দু'পাশে গাছের বাহার। অনেকটা জঙ্গলের মতো। চাঁদের মৃদু রশ্মিতে গাছগুলো দেখা যাচ্ছে কিছুটা। রাতের মিষ্টি হাওয়া এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে ইনারার মুখখানি। সে জানালাতে কনুই রেখে গালে হাত রাখল এবং তাকিয়ে রইলো বাহিরের দিকে। তারপর সে সভ্যকে জিজ্ঞেস করে, "এই'যে মিঃ অসভ্য, কতক্ষণ লাগবে আমাদের যেতে?"
"সবে তো রওনা দিলাম। যেতে যেতে তো সকাল হবে।"
"এতক্ষণ?" ইনারা অবাক হয়ে তাকায় সভ্যের দিকে, "আমরা কি মঙ্গলগ্রহে যাচ্ছি?"
"তুমি আর তোমার কথাবার্তা! একটা কথাতেও কোনো সেন্স নেই।"
"আর আপনার সেন্স তো উতলে পরতেছে।"
"তোমার সাথে কথা বলা আর দেয়ালে নিজের মাথা মারা এক।"
"তো কে কথা বলতে বলল শুনি?"
"তুমিই কথা বলতে শুরু করেছ?"
"তো আপনাকে উওর কে দিতে বলেছে?"
সভ্যকে চুপ থাকতে দেখে সে-ই আবার বিরক্ত হয়ে বলে, "এখন কথা বলছেন না কেন?"
"আজব তো উওর দিলেও জ্বালা, না দিলেও জ্বালা। কি করব তোমার সাথে বলো?"
"থাক আপনার কিছু করতে হবে না। অসভ্য একটা!"
ইনারা মুখ ফুলিয়ে অন্যদিকে ফিরে তাকাল। সভ্য চোখ ঘুরিয়ে বলে, "যদি বর্তমান যুগে জিজ্ঞেস করা হয় কোন জাতির সাথে সবচেয়ে বেশি জুলুম করা হয় তাহলে নিশ্চয়ই উওরটা বিবাহিত পুরুষই হবে। আর তোমার মতো বউ পেলে তো আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা। ওখানে যেয়ে দেখি কত উড়তে পারো। আর কিছু ঘন্টা।"
ইনারা বিরক্ত নিয়ে তাকায় সভ্যের দিকে, "মানে একথা বলতে লজ্জা লাগে না আপনার? আমার মতো সুইট মেয়েকে আপনি এভাবে বলতে পারলেন?"
"সুইট আর তুমি? আস্তো এক জংলী। নায়িকা হয়ে গেছে কিন্তু কথার ধরণ পাল্টালো না।"
ইনারা ভেংচি কেটে ভাব নিয়ে বলল, " আপনার জন্য হতে পারি কিন্তু এখন আমার জন্য স্টুডিওর বাহিরেও ছেলে মেয়েরা চিৎকার করে আমার নাম নেয়।"
"সেটা আমার জন্যও নিয়েছে। তোমার থেকে ত্রিশগুণ বেশি ভক্ত ছিলো পঞ্চসুরের। রিমেম্বার?"
সভ্য শান্ত গলায় বলে কথাটা।
ইনারা কথার উত্তর না খুঁজে পেলেও দমে যায় না। সে জোর গলায় বলে, "তো কি হয়েছে? আপনারা পাঁচ বছর পর এত সাফল্য পেয়েছেন। আমি বাজি ধরলাম আমি তো তিন বছরেই সে কাজ করে দেখায়।"
"দেখব আসলে করো, না হাওয়ায় কথা বলো।"
"কেবল ফ্যানরাই না ইন্ডাস্ট্রির কতজনও আমার ভক্ত হয়ে গেছে। তাও এক সাপ্তাহে। আজ অনেক জনের সাথে কথা বললাম। ইনফ্যাক্ট আজমল স্যার নিজে আমার সাথে কথা বলেছেন। তার নতুন ফিল্মে আমাকে প্রধান চরিত্র নেবার কথাও বলেছেন। আর গেস হোয়াট সিনেমার আরেকটা প্রধান চরিত্র কে? ওয়াসিন খান। দেশের টপ অভিনেতা। আর কত হ্যান্ডসাম! সে তো আজ আমাকে পার্টিতে দেখে চোখই সরাতে পারে নি। সারাটাক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।"
কথাটা বালার সাথে সাথেই সভ্য ব্রেক লাগালো। ইনারার দিকে তাকাল কঠিন দৃষ্টিতে, "কি বললে আবার বলো তো?"
ইনারা এবার আমতা-আমতা করল, "এভাবে তাকানোর দরকার নেই। আমি ভয় পাই না।"
সভ্য তার সিট বেল্ট খুলে ইনারার দিকে এগিয়ে এসে তার কপালের চুলগুলো কানের পিছনে গুঁজে দিলো এবং কঠিন গলায় বলল, "শুনো ইনারা, এরপর যদি তুমি অন্যকোনো পুরুষের কথা আমার সামনে বলেছ অথবা কারও প্রশংসা করেছ তাহলে অনেক খারাপ হবে। তোমার সাথে অন্যভাবে থাকি এর মানে এই না যে আমি আর আগের মতো কঠিন নই। বুঝেছ?"
সভ্যের এভাবে তাকানো দেখেই তো ইনারার জান শুকিয়ে গেছে। সে ঢোক গিলল। দ্রুত মাথা নাড়ায় এবং হ্যাঁ বলে।
"গুড।"
সভ্য তার গালে একটু চুমু খেয়ে আবার ড্রাইভিং করতে বসে।
ইনারা সভ্যের চুমু খাওয়া স্থানে হাত রেখে কতক্ষণ তাকে বকে। তারপর লজ্জা পেয়ে হেসে দেয়। জিজ্ঞেস করে, "আচ্ছা পঞ্চসুরের কথায় মনে পড়েছে আপনার কি সামি ছাড়া অন্য কারো সাথে যোগাযোগ নেই?"
"হঠাৎ এ প্রশ্ন করলে যে?"
"এমনিতেই। বলুন না।"
"সামি ছাড়া আর কারো সাথেই যোগাযোগ নেই।"
"ঐশী এবং ইরফানের সাথেও না? কী হয়েছে তাদের সাথে?"
"বিশেষ কিছু না এমনিতেই যোগাযোগ নেই।"
"কিন্তু তাদের সাথে তো..."
ইনারা সম্পূর্ণ কথা বলার পূর্বেই সভ্য তাকে চুপ করিয়ে দিলো, "এসব কথা বাদ দাও। আর এত সুন্দর রাতের মজা নেও।"
সে গাড়ির একটা বাটন চাপ দিলো আর সাথে সাথে খুলে গেল গাড়ির ছাদটা। খোলা আকাশ দেখতেই ইনারার মুখে হাসি ফুটল। সে সিটে উঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত পাখির ডানার মতো মেলে রাত্রিটা অনুভব করল। এই রাস্তায় কেবল তাদেরই গাড়ি। তাই খোলা আকাশের নিচে এমন স্বাধীনতা অনুভব করল সে বহু বছর পর।
সভ্য গাড়ি চালাতে চালাতে তাকে দেখে মৃদু হাসে। রাতের চন্দ্রিমার সাজে তাকে আরও পবিত্র দেখাচ্ছে। অপরূপ দেখাচ্ছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা এলাকা ছাড়িয়ে গেল। আরও দুইটি গাড়ি আসলো। চারটা বডিগার্ড দাঁড়ানো। এর মধ্যে তিনজন সামনের গাড়িতে যায় এবং একজন তাদের সাথে গাড়িতে উঠে। সামনের সিটে বসে। গাড়িতে উঠার কিছুসময়ের মধ্যেই ইনারা ঘুমিয়ে পড়ে। সভ্য তার কোর্টটা দিয়ে ইনারাকে জড়িয়ে দিয়ে তাকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে রাখে।
ইনারার ঘুম ভাঙ্গে সভ্যের কন্ঠে, "ইনারা, আমরা এসে পড়েছি। উঠো।"
ইনারা চোখ খুলে। চারদিকে আলো ফুটে উঠেছে। জানালার বাহিরে তাকায় সে। সাথে সাথে তার চোখ দুটো ছানাবড়া হয়ে যায়। লাফ মেরে উঠে বসে। বাহির থেকে দেখলে কোনো বাড়ি নয়, রাজবাড়ী দেখা যায়। বিশাল বড় একটা মহল। শ্বেতপাথর দিয়ে গড়া দুই মঞ্জিলের মহলটা। যদিও ইনারার এত অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। ইসমাত কোম্পানি তো আর ছোট না। দেশের সবচেয়ে বড় কোম্পনির মধ্যে একটা। তবুও এখন সুন্দর একটি মহল দেখে সে প্রভাবিত না হয়ে পারল না।
গাড়ি থেকে নেমে ইনারা দেখে তার দুপাশে বিশাল বড় বড় গাছ এবং স্ট্রিট লাইট লাগানো। সভ্য তাকে নিয়ে সে সুন্দর পথ দিয়ে এগোল। গাছগুলো থেকে ফুল ঝরে ঝরে তাদের পথে পড়েছে। সে পথ পেরিয়ে যে তারা যেয়ে দাঁড়ালো এক বিশাল দোয়ারের সামনে।
দোয়ারটি খোলা। সভ্য তার কাছে এসে মৃদু স্বরে বলে, "মহারাণী আপনার শশুড়বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম।"
সভ্য তার হাত ধরল। আঙুলে আঙুল ঢুকিয়ে প্রবেশ করল বাড়িতে। সেখান থেকে ড্রইংরুমে গেল তারা। সোফায় সভ্যের বাবা ও দাদা বসে চা পান করছেন এবং সংবাদপত্র পড়ছেন।
সভ্য ডাকল, "দাদাজান দেখুন কাকে নিয়ে এসেছি?"
দাদাজান সংবাদপত্র থেকে মুখ তুলে তাকায় সভ্য এবং ইনারার দিকে। সাথে সাথে সে উঠে দাঁড়ায়। ইনারার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, "আরে তুমি সত্যি এসেছ। ভালো, খুব ভালো। তো কোনো সমস্যা হয় নি তো?"
"না দাদাজান।"
সভ্য মুখ বানিয়ে বলে, "আমি তো প্রতিমাসে আসি। এ কথা তো আজ পর্যন্ত আমাকে একবারও জিজ্ঞেস করলেন না দাদাজান।"
দাদাজান তার হাসিমুখটা কঠিন করে তাকায় সভ্যের দিকে, "কেন? তুও বিশেষ কেউ যে তোমাকে জিজ্ঞেস করতে হবে?"
সভ্য দ্রুত মাথা নাড়ায়, "না না আমাকে কেন জিজ্ঞেস করতে হবে? আমি আর বিশেষ কে?"
আফসোসের নিশ্বাস ফালায় সভ্য।
সভ্যের বাবাকে ইনারা চিনলো। ছবিতে দেখেছিলো। সে এসে চশমাটা নড়াচড়া করে ভালো করে দেখলো ইনারাকে, "তোমাকে কোথাও দেখেছি আমি। নিউজপেপারে। তুমি নায়িকা না? নতুন কোন যে ছবি এসেছিলো সে ছবির নায়িকা?"
"জ্বি। আসসালামু আলাইকুম।"
সাথে সাথে সে উচ্চস্বরে বলে, "ও অভ্রের মা, দেখে যাও মেহমান এসেছে ঘরে। এই মিনু দেখে যা তোর পছন্দের নায়িকা এসেছে।"
তার হঠাৎ এমন উচ্চস্বরে কথা বলায় ইনারা ঘাবড়ে যায়। দাদাজান ধমক দিয়ে বলে, "এই ছাগল এভাবে চিৎকার করে কে ডাকে? মেয়েটাকে ভয় পাইয়ে দিলি তো তুই।"
"ওহ সরি আব্বা।" সভ্যের বাবা আবার ইনারার দিকে তাকিয়ে বলে, "আসলে মা আমার বোনের মেয়ে নতুন সিনেমাটা দেখে তোমার ভক্ত হয়ে গেছে। আমিও দেখেছি। অনেক সুন্দর অভিনয় করেছিলে তুমি।"
"থ্যাঙ্কিউ আঙ্কেল।"
এক ডাকে সকলে এসে হাজির হয় কক্ষে। প্রথমে দাদীজান রাগান্বিত স্বরে বলে, "ইসমাঈল তোকে কতবার বলেছি এত জোরে কথা বলবি না। এটাকে কোন দিক থেকে ভদ্রতা বলে?"
কিন্তু সভ্যকে দেখতেই তার মেজাজের হঠাৎ পরিবর্তন ঘটলো। সে হাসিমুখে যেয়ে সভ্যের কপালে চুমু খেয়ে বলে, "কতদিন পর এলি তুই? দাদীজানের কথা মনে পড়ে না বুঝি?" আবার সে ইনারার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, "ও কে? তোর পরিচিত কেউ? আগে কাওকে তো বাড়িতে আনিস নি।"
উওর পাবার পূর্বেই আরেকবার উঁচু আওয়াজ শুনতে পায় ইনারা। সিঁড়ি থেকে একটি তরূণী চিৎকার করে দ্রুত গতিতে ছুটে এসে ইনারার হাত ধরে বলে, "আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না আপনি আমার সামনে। আপনি জানেন আমি আপনার কতো বড় ফ্যান। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি আমার সামনে দাঁড়ানো। চিমটি কাটুন তো।"
"কী!" হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করে ইনারা।
"চিমটি কাটুন। চিমটি।"
ইনারা চিমটি কাটে। সাথে সাথে মেয়েটা খুশিতে লাফানো শুরু করে। তখন একটি মহিলা বলে, "আরে মিনু ওর কথাই না তুই গত কয়েকদিন ধরে বলছিস। দেখ তুই বলতে না বলতেই সভ্য তোর জন্য ওকে নিয়ে এলো।"
মিনু সাথে সাথে তাকায় সভ্যের দিকে৷ তাকাতেই লজ্জায় মাখা মাখা হয়ে যায় এবং হেসে বলে, "তাই না'কি সভ্য ভাইজান। আপনি আমার কত খেয়াল রাখেন! থ্যাঙ্কিউ ভাইজান।"
ইনারা প্রথমে চোখ বড় করে নেয়। মনে মনে বলে,"ভাই বলে ঠিক আছে। সঙ্গে আবার জান লাগানোর কি আছে?"
দাদীজান হেসে বলে, "ও তাই? যাক ভালো হলো। মুনি বৌ'মাকে ডাক দেও। বলো মেহমানের যেন ভালো আদর যত্ন করে।"
"দাদীজান," সভ্য ইনারার হাত নিজের হাতে নিলো, "ও মেহমান না, এই ঘরের বউ। আমার স্ত্রী।"
কথাটা ভীষণ সাধারণ ছিলো। সভ্যর হয়তো তার পরিচয় এভাবেই দেওয়ার ছিলো৷ কিন্তু ইনারার বুকের ভেতরটা লাফিয়ে উঠে। সে মুগ্ধ দৃষ্টিতে একপলক তাকায় সভ্যের দিকে। আবার চোখ নামিয়ে নেয়।
"তোর স্ত্রী মানে?" হতভম্ব হয়ে বলে দাদীজান, "মশকরা করিস? তোর বিয়ের কথা তো আমি মিনুর সাথে চিন্তা করে রেখেছি। কথা নাই বার্তা নেই এভাবে বললেই হবে যে কাওকে বিয়ে করে এনেছিস?"
"তুমি কার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছ এতে আমার কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমি মিনুর কথায় আগেও না করেছি। ওকে আমি ছোট বেলা থেকে বোনের মতো দেখে এসেছি। ও আমার বোন হয়। আমি এ কথা আগেও বলেছি। তাই এতোটুতেই কথা শেষ হওয়া উচিত ছিলো।"
"তাই বলে কি যে কোনো মেয়েকে এনে বিয়ে করে বসে থাকবি। রূপ দেখিয়ে ফাঁসালো আমার নাতিকে। তোর টাকার পিছনে পাগল হয়ে গেছে। ওর বংশকে চিনি না, ওর পরিচয় জানি না। তুই খোঁজ নিয়েছিস?"
"আমার খোঁজ নেবার প্রয়োজন নেই।"
"তাহলে আমি এই বিয়ে মানি না।"
ইনারা স্তব্ধ হয়ে গেল। আগে সে সভ্যের সাথে বিয়ে নিয়ে এত গভীর করে ভাবি নি। তার যে পরিবার বলতে কেউ নেই তা ইনারা ভালো করে অনুভব করে। কিন্তু দাদীজানের এক প্রশ্নে সে অনুভূতিটা বুকে আঘাতের মতো লাগলো। সত্যিই তো তার বংশ কী? পরিচয় কী?
ইনারা আস্তে করে সভ্যের হাত ছাড়তে নিলেই সভ্য তার হাত আরও শক্ত করে ধরে নিলো।
যতটা জোর গলায় কথাটা দাদীজান বললেন, এর থেকেও বেশি জোর গলায় সভ্য বলল, "তুমি মানাতে, না মানাতে এখন কিছু আসে যায় না। আমি মানুষ দেখে বিয়ে করেছি, বংশ পরিচয় দেখে না। আর তোমার ওর পরিচয় এতই লাগলে বলে দেই ওর নিজের পরিচয় গড়ছে, অভিনেত্রী হিসেবে। আর ওর অন্য পরিচয় আমি, ওর স্বামী এবং ও আমার অর্ধাঙ্গিনী।"
দাদীজান ইনারার দিকে তাকিয়ে বলল, "যা ইচ্ছা তা কর।" এবং রাগে হনহনিয়ে চলে গেল। তার পিছনে গেল সভ্যের ফুপিও। আর যেতে যেতে মিনুর হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে গেল।
দাদাজান দাঁড়ানো থেকে সোজা বসেই পড়লেন। সে চিন্তিত সুরে বললেন, "এ তো ভারী ঝামেলা হয়ে গেল। আমার মনে হয় তোমাদের ডাকাটা ঠিক হয় নি। নাতবৌ আমাকে ক্ষমা করে দেও। আমার জন্য তোমার এসব শোনা লেগেছে। একটা কাজ করো তোমরা চলেই যাও। আমি তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না।"
ইনারার আরও বেশি কষ্ট হচ্ছিল দাদাজানের কথা শুনে। সে যেয়ে দাদাজানের পা'য়ের কাছে বসে হাত ধরে বলল, "আপনি আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমার উপর পাপ লাগাবেন না। আপনি আমার আপন দাদার মতো। আর রইলো দাদীজানের কথা তার দায়িত্ব আমাকে দিন। আমি আবার ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার মেয়ে না। যাস্ট দুইদিন দিন, দাদীজানকে করব আমার দলে ইন।"
.
.
.
চলবে...............................