আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

অলকানন্দা - পর্ব ৫২ - আনিকা রাইশা হৃদি - ধারাবাহিক গল্প

!!১২৭!!

লেখিকা 'Agatha Christie' এর দুটি বই 'The Mysterious Affair at Styles' এবং 'The M'ur'de'r of Roger Ackroyd' এই দুটি বই ছিলো একদম বুক সেলফের মাঝে। মাহা বই দুটি নিচে ফেলে দিতেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে বুকশেলফের মধ্যখান ভাগ হয়ে যায়। আচানক এমন হওয়ায় মাহা ভয়ে পেয়ে খানিকটা পিছিয়ে আসে। মোবাইলের আলো ফেলে ভিতরে। ঘুটঘুটে আঁধার। মোবাইলের আলোয় ঝাঁপসা একটা রাস্তা আবিষ্কার করে মাহা। ভয়ে ভয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। কেমন একটা ভ্যাঁপসা গন্ধ ভেসে আসছে নাকে। পঁচা, গলা, বিগলিত কিছুর শক্ত একটা গন্ধ। মাহা সাহস নিয়ে ভিতরে যায়। ছোট গলি। যত ভিতরে প্রবেশ করছে গন্ধ ততই প্রবল হচ্ছে। একসময় গলির শেষমুখে এসে মাহা বৃহৎ কামড়া খুঁজে পায়। সম্মুখে খালি। ঝাঁপসা আলোয় কিছুই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছেনা। হাঁটতে হাঁটতেই কিছু একটার সাথে পায়ে ধাক্কা খেয়ে সে নিচে পড়ে যায় সে। মোবাইলও নিচে পড়ে যায়। আলো নিভে গেছে। মাহা হাতড়ে খুঁজে চলেছে মোবাইল। একসময় কি যেন লাগে মাহার হাতে। মাহা হাত দিয়ে চাপ দিতেই তার হাত জিনিসটার ভিতরে প্রবেশ করে। গলিত তুলতুলে কিছু একটা। মাহা পায়ের কাছে মোবাইলের অস্তিত্ব পেতেই অন্য হাতে তা নেয়। এবং লাইট জ্বালাতেই সে চিৎকার করে উঠে। থরথর করে কাঁপছে তার শরীর। একটা মৃ'ত গলিত লাশের হৃদপিণ্ডের দিকটায় হাত প্রবেশ করিয়েছে মাহা। মাহা দ্রুত হাত টেনে খুলে। হাতে লালচে, আঠালো গলিত মাং'স। মোবাইলের আলো চোখে সহনীয় হয়ে উঠে। মাহা আশেপাশে তাকিয়ে দেখে এক সারিতে সাদা কাপড় কিংবা কাপড় বিহীন কতগুলো লা'শ। পাশে লা'শ রাখার ফ্রিজ। লা'শ রাখার ফ্রিজগুলো খুবই সরু থাকে। চতুর্ভুজ আকৃতির বক্সের ন্যায়। ভিতরে মৃ'ত দেহ শোয়ানোর মত জায়গা। চেয়ারে বেঁধে রাখা একজন ব্যা'ক্তির লা'শ। চোখ গলে গেছে। শরীরের মাংস অবশিষ্ট নেই। কেবল কং'কাল। আরেকপাশে ছি'ন্ন কতগুলো মু'ন্ডু। দেয়ালে বড় অক্ষরে লেখা HBP (human body parts)। কাঁচের বয়ামে সংরক্ষণ করে রাখা, চোখ, কিডনি আরো কয়েক ধরনের অঙ্গ। মাহা আঁতকে উঠে। তরতর করে শরীর ঘামছে তার। ক্লাস্টোফোবিয়ায় আক্রান্ত মাহার দম আঁটকে আসছে। মাহা বিকট এক চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। 

____________

মাহার যখন চোখ খুলে সে আবিষ্কার করে একটা চেয়ারে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে। আলো আঁধারের খেলা হলরুমে। সামনে রকিং চেয়ারে বসে মাউথ অর্গান বাজাচ্ছে সার্থক। মাহা যখন চোখ মেলে সার্থকের দিকে চাইলো তখনই তার মাউথ অর্গান বাজানো বন্ধ হয়। শান্ত চোখে সে তাকায় মাহার পানে। শান্ত তার দৃষ্টি। 
"ঐঘরে কেন প্রবেশ করলে মাহা?"

রাগে, ক্ষোভে ক্রন্দনরত গলায় মাহা বলে, 
"আপনার সত্যটা দেখে ফেলে কি ক্ষতি করে ফেললাম?"
"না, মাহা। তুমি কোনো কালে আমার ক্ষতি করতে পারো না। তুমি আমার পবিত্রা।"
"চুপ!"

সার্থকের শান্ত কথার পিঠে মাহা চিৎকার করে উঠে। 
"আপনি একটা সিরিয়াল কি'লা'র। মানসিক ভাবে বিকৃত মানুষ।"
"প্লিজ মাহা। আমাকে ভুল বুঝোনা। আমি.. 
"কি সাফাই দিবেন আপনি? এত এত খু'ন আপনি নিজ হাতে করেছেন। আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে সার্থক। আমি আপনাকে ভালোবেসেছিলাম। আপনার বাড়ি গাড়ি সবটা খু'নের টাকায়!"
"চিৎকার করো না মাহা। তোমার শরীর খারাপ করবে।"
"আমার সাথে নাটক করার প্রয়োজন নেই। আপনি বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ সার্থক। আপনিই চৈতিকে খুন করেছেন, তাই না? আমাকে সব খুলে বলুন। নয়তো আমি আ'ত্মহ'ত্যা করবো।"
"মাহা!"

করুণ গলা সার্থকের। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সার্থক। 
"হাসপাতাল থেকে ডক্টর জিনিয়ার মাধ্যমে EHC এর অধিকারী সম্পর্কে জানতে পারি। ঢাকায় আমরা চাইলেই তাকে খু'ন করে গু'ম করতে পারতাম। কিন্তু আমাদের তাকে জীবন্ত লাগবে। ঢাকা এয়ারপোর্টের কড়া সিকিউরিটিতে আমরা চাইলেই তাকে নিয়ে বিদেশ যেতে পারতাম না। সিলেট থেকে তা সহজ হতো। মিস তাজ বারবার মানা করে দিয়েছিলো ঢাকা শহরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না গু'ম করতে। কারণ গু'ম হওয়া শিক্ষার্থী কে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাস্তায় নামে। আন্দোলন করে। তাই চাচ্ছিলাম এমন কিছু করবো যাতে সবাই ভাবে মেয়েটা বিদেশে চলে গিয়েছে স্বেচ্ছায়। লুবানকে কাজে লাগালাম। শুরু হলো লুবানের নাটক। সিলেটে লুবানের টানে ছুটে আসে সে। রুৎবা পাগলী তার হাত ধরে সতর্ক করে দিয়েছিলো তাকে। বাইক নিয়ে আমার লোকেরাই পিছু করেছিলো তোমাদের খাসিয়া পল্লী যাওয়ার পথে। এখানে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়। লেগুনা চালকও আমার লোক। তাদের কাজই মাঝ রাস্তায় লোক নামিয়ে দেওয়া। পরে ট্রাকে পি'ষে তাদের শিকার করা। তারা ভুলে তোমাদের উপরেই আক্রমণ করে বসে। পরে আমার নির্দেশে ফিরে আসে। ঐদিন বিকেলে লুবানের সাথে দেখা করতে আসো তোমরা। জিদানকে পাঠাই আমি। সে নতুন WCS এ। সাথে রবার্ট, মুইংচিন, খাজাও ছিল। আমার আর লুবানের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিলো বিদেশি ক্লাইন্টদের সাথে। বেশি পন্ডিতি দেখাতে গিয়ে চৈতিকে খুন করে জিদান। আমি আজো জানিনা তোমার জায়গায় চৈতি কেন গিয়েছিলো সেদিন। অদ্ভুত ব্যাপার আমাদের লোক মাহা হোসেনের ছবি দিয়েছিলো তাও ছিলো চৈতির। ভুলে চৈতিকে মাহা ভেবে তার ছবিই আমাদের নিকট দেয় সে। আমরা চৈতিকে মাহা ভেবে বসলাম। ভাগ্য খেলছিলো আমার সাথে। 

 কেন এর উত্তর সার্থক না জানলেও মাহা তো জানে! চৈতিকে অপরাধবোধ থেকে বাঁচাইতেই মাহা এই ছোট একটা খেলা খেলে। 

"গাছের পিছনে দেখার পর তারা আটক করে তোমাকে। নিয়ে যায় জঙ্গলের ভেতর আমাদের আরেক আস্তানায়। রবার্ট একজন বিজ্ঞানী ছিলো। ছিলো বলছি কারণ আমি তাকে খু'ন করেছি। সে এক ফর্মুলা আবিষ্কার করে। এটা মূলত আতঙ্কবাদী, জ'ঙ্গি জনগোষ্ঠীর জন্য তৈরি করেছিলো সে। তারা বো'ম বানানোর জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের কিডন্যাপ করে। বো'ম বানিয়ে ফেলার পর যদি সেই বিজ্ঞানীর শরীরে এই ইনজেকশন পুশ করা হয় তাহলে সেই ব্যাক্তি বিগত কয়েকদিন, কয়েকমাস কিংবা কয়েকবছরের স্মৃতি ভুলে যাবে। যাতে বিজ্ঞানীরা যদি বেঁচেও ফিরে তারা যেন কিছু বলতে না পারে। এই ফর্মুলা সফল হলে কোটি কোটি টাকা কামাতো রবার্ট। তার প্রয়োজন ছিলো একটা মানুষের। যে তার গিনিপিগ হতে পারবে। সে তোমাকে গিনিপিগ বানানোর সিদ্ধান্ত নিলো এবং তোমার রক্তে ইনজেকশন পুশ করে ফর্মুলা প্রবেশ করালো। তবে তুমি বেঁচে ফিরে গেলে। জিদান রুমানাকে বুঝ দিলো। জিদান আমার মত হতে চাইতো সবসময়। তাই সে একটা ছিন্ন পা আগুন পাহাড়ে ফেলে আসে। আমি জানতাম না পুলিশের এএসপি তোমাদের পরিচিত। জিদানের নির্বুদ্ধিতার কারণে আমি রাগে, ক্ষোভে তখন উন্মাদ প্রায়। সকল ক্ষোভ গিয়ে পড়লো তোমার উপর। জিদান সকল খোঁজ দিচ্ছিলো আমাকে। সিদ্ধান্ত নিলাম ফেরার পথে ট্রেনে খু'ন করবো তোমাকে। তাও নিজ হাতে। 

সার্থকের কথায় আঁতকে উঠে তার পানে চায় মাহা। ভিতরটা অন্তঃসারশূন্য লাগছে। এতবার মৃ'ত্যুর সম্ভাবনা থাকার পরেও আজ মাহা জীবিত! তার কারণে চৈতির জীবন গিয়েছে। ভিষণ কষ্ট হচ্ছে মাহার বুকে। রুদ্ধ হয়ে আসা কন্ঠে সে বলে,
"আপনি..আপনি আমাকে খু'ন করার জন্য গিয়েছিলেন সার্থক!"

সার্থক মাথা নুইয়ে বলে,
"হ্যাঁ, মাহা। তবে বিশ্বাস করো তোমার মায়াবী চেহারা, তোমার কণ্ঠ, তোমার উপস্থিতিতে জীবনে প্রথমবারের মতো এক ধাক্কা লেগেছিলো আমার বুকে। সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিলাম তোমার নাম মাহা শুনে। হলুদ অলকানন্দার মতো মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেললাম আমি। আমার মতো নরপিশাচের হৃদপিণ্ডের লাবডাব বেড়ে গেলো মাহা তোমার সংস্পর্শে এসে। ট্রেনে ডা'কাত হামলা হওয়ার পর যখন তোমাকে নিয়ে জঙ্গলে ছুটে গেলাম। তখন আমার মস্তিষ্ক বলছিলো সুবর্ণ সুযোগ শেষ করে দাও একে। আমার মন বলছিলো 'না'। তোমাকে কোলে নিয়ে, বুকের মাঝে নিয়ে অনুভব করলাম আমার এতকালের উত্তপ্ত বুকটা শান্ত হয়েছে। অদেখা এক বন্ধনে তোমার সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেলাম আমি। এতটা শান্তি আমি কেবল মায়ের কোলে পেতাম। আমি পারলাম না তোমাকে খু'ন করতে। তারপর আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত বিয়ে। তোমার পালিয়ে যাওয়া। জানো ভিষণ রাগ হয়েছিলো আমার সেদিন। রবার্ট, মুইংচিন অবশ্য আমাকে অনেক বুঝিয়েছে। আমি মানিনি। মুইংচিন তোমাকে হাসপাতালে হ'ত্যার চেষ্টা করে। তোমার প্রতি তার অনেক ক্রোধ ছিলো। তাকে আমি হুকুম করেছিলাম এমনটা যেন দ্বিতীয়বার না হয়। তারপরও রবার্ট তোমাকে অপহরণ করে। আমি সেখান থেকেই তোমাকে রক্ষা করে আমার বাড়ি নিয়ে আসি। এমিলিনের আমাদের সুখ সহ্য হতো না আমি বেশ বুঝতাম। তারপর লুবান তোমার সাথে খারাপ আচরণ করে আমি তাকে হ'ত্যা করি। রবার্ট তোমাকে গিনিপিগ বানাতে চেয়েছিলো। রবার্টের ইনজেকশনের সাইড ইফেক্টে তুমি আজেবাজে স্বপ্ন দেখতে। স্বপ্নে বারবার চৈতিকে দেখতে। আমি তাকেও হ'ত্যা করি। মাহা, আমি তোমার উন্মাদ প্রেমিক। এমিলিন, নিভা মিলে আমাদের সন্তান কে পৃথিবীতে আসতে দেইনি। আমি তাদেরও পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেই। ডেভিড তোমার সাথে খারাপ আচরণ করে। আমি তাকেও হ'ত্যা করি। মেরি তোমাকে মা'র'তে চেয়েছিলো তাকেও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেই। তোমার বেলায় আমি কাউকেই যে ছাড় দিতে পারিনা মাহা।

"মুইংচিনকে মারলেন কেন?"
মাহার শান্ত, ভগ্ন গলায় প্রশ্ন। 

"মুইংচিন ছোট বাচ্চাদের মাং'স খেতে ভালোবাসে। লাইব্রেরিতে র'ক্তা'ক্ত হাতে মুইংচিন কে দেখে ফেলে রাতুল। রাতুলকেও অবলোকন করে মুইংচিন। আমি তাকে বারবার সতর্ক করেছি সে যেন তোমার কিংবা তোমার পরিচিত কারো ক্ষতি না করে। তারপরও সে রাতুলকে গু'ম করে খু'ন করে ভক্ষণ করে। আমি জিদানকে নির্দেশ দেই সে যেন দোষী হয়। নয়তো ফাঁসতে হবে আমাকে। তাজের সাথে বিয়ের পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। আমি চাইলেও সে আমার কোনো উপকার করবেনা। আবার ক্ষতিও করবেনা। যদিও রেজওয়ানের টিমে আমাকে বাঁচাতেই ঢুকেছিলো সে। রেজওয়ান কে বিভিন্ন ভাবে কনফিউজড করে দেয় তাজ। মাতব্বর শরীফের সিলেট আসার খবরটাও সেই দেয় আমাকে। আমার লোকজন মাতব্বর শরীফকে গায়েব করে। আমি গু'লি করি রেজওয়ানের হাতে। ভিতরে চেয়ারে বসানো লা'শটাই মাতব্বর শরীফের। যাই হোক রুমানা কষ্ট পাওয়ায় তুমি কষ্ট পেলে। তাই মুইংচিন দুনিয়া ছাড়লো। বিশ্বাস করো মাহা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। অনেক বেশি।"
"তাহলে এসব কাজ কেন করছেন?"
"কারণ আমি অপারগ। WCS এর সদস্যরা চারপাশে ওৎ পেতে আছে। ছিঁড়ে খাবে তোমাকে। আমি তা কিভাবে হতে দেই মাহা? আমি যতদিন এই আসনে আছি তুমি নিরাপদ থাকবে।"
"আমার এমন নিরাপত্তা চাইনা। আমার এমন জীবন চাই না।"

মাহা চিৎকার করে কাঁদে। নাহারকে পাহাড়ায় বসিয়ে সার্থক বাইরে বেরিয়ে যায়। আজকের মধ্যেই তার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারতে হবে। মাহা ঘুমের ভান ধরে পড়ে আছে। হাতের বাঁধনটা প্রায় খুলে ফেলেছে। নিজের চোখের সামনে এত অন্যায় দেখেও মাহা কিছুতেই চুপ করে থাকবেনা। তবুও সার্থক নামক মানুষটার জন্য বুক পুড়ছে মাহার। মাহা কেমন করে থাকবে সার্থক বিনে!
.
.
.
চলবে............................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।