আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

নেকড়ে মানবী - তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া - অনু গল্প


#নেকড়ে_মানবী 
#অনু_গল্প 
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া 



সন্ধ্যা নেমেছে।আকাশে কালো মেঘের ছোটাছুটি চারদিকে। আকাশ খুব গম্ভীর হয়ে আছে। ইতোমধ্যে হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টিরও দেখা মিলেছে বাইরে।মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।টিনের চালে বৃষ্টির পতনের শব্দ বেশ ভালোই লাগছে হৃদিতার।জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে।ভেজা চুল থেকে এখনো টুপটুপ করে পানি ঝড়ছে। কালো রঙের সিল্কের শাড়িতে ভয়ংকর রকমের সুন্দরী লাগছে মেয়েটাকে।সাদা ধবধবে ফর্সা তার গায়ের রঙ। নীল রঙের চোখের মাঝে অন্য রকম কিছু আছে যেন।তবে ভেজা থাকার কারণে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না।বৃষ্টির প্রকোপ বেড়ে গেছে। সাথে দ্বিগুণ গতিতে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর বাজ পড়ছে।হৃদিতার কাছে সেই বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতির বিধ্বংসী রূপ যেন অপরূপ লাগছে। রেহান ধোঁয়া ওঠা গরম কফির মগ নিয়ে হৃদিতার পাশের ছোট টেবিলে রাখে।তারপর পাশের টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা মোমবাতি বের করে জ্বালায়। হৃদিতা রেহানের আগমনে বাইরে থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রেহানের দিকে নজর দেয়।দুজনের চোখাচোখি হতেই দুজনেই সৌজন্যতার খাতিরে মুচকি হাসে।হৃদিতা একবার রেহানকে ভালো করে দেখে নেয়।লম্বা সুঠাম দেহের অধিকারী রেহান।গায়ের রঙ কিছুটা চাপা তবে দেখতে মাশাল্লাহ! রেহান হৃদিতার উদ্দেশ্যে বলে আসুন কফি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। হৃদিতা জানালা বন্ধ করে মুখে সৌজন্যমূলক হাসি ফুটিয়ে কফির মগ নিয়ে পাশের চেয়ারে বসে। রেহানও হৃদিতার সামনাসামনি চেয়ারে বসে কফির মগে চুমুক দিয়ে বললো,
" আপনি দেখছি বেশ বুদ্ধিমতি! আমি বলার আগেই জানালা অফ করে দিলেন। "
" এটা সাধারণ জ্ঞান। পাশের টেবিলে মোমবাতি জ্বলছে জানালা খোলা থাকলে বাতাসে নিভে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। "
" তা ঠিক বলেছেন। যাইহোক,মিস.."
" আমি হৃদিতা ইসলাম। আপনি?"
"আমি রেহান চৌধুরী। তারপর বলুন তো হৃদিতা মেডাম ওভাবে আমার বাড়ির সামনে পড়েছিলেন কেন? "
বর্তমানে রেহান একজন টুরিস্ট। চট্টগ্রাম থেকে একটা অফিশিয়াল কাজের জন্য বান্দরবান এসেছে সে।আর এসে যে হোটেলে ওঠার কথা ছিল দূর্ভাগ্যবশত সেটায় আগুন লেগে যায়।যদিও হোটেলের তো অভাব ছিল না এখানে।কিন্তু হোটেলে উঠতে চাইলে তার পূর্ব পরিচিত রমিজ আলীর সাথে দেখা হয়ে যায়। পরে সে তার বাগানবাড়িতে থাকতে অনুরোধ করে। রমিজ আলী ঢাকায় থাকেন।বড় ব্যবসায়ী সাথে ভিষণ সৎ মানুষও বটে। তিনি বেশ সৌখিন মনের লোক বলে পাহাড়ের বুকে একটা টিন সেট বিল্ডিং তৈরি করছেন। এমনিতে ছাদ আছে তবে সামনের রুমে টিন সিস্টেম। আসলে টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার আওয়াজে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। 
হৃদিতা রেহানের প্রশ্নে কিছুটা বিব্রতবোধ করে। একে তো একা একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে পুরো একটা খালি বাড়িতে বসে আছে।তার ওপর বাইরে দূর্যোগ সাথে বিদ্যুৎ নেই।এমনকি হৃদিতার ফোনটার চার্জ শেষ হয়ে গেছে। 
"আসলে আমি বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে এসেছিলাম। আমার ফোনে নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলাম না।তাই নেটওয়ার্কের জন্য হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে এসেছিলাম। কিন্তু কতটা দূরে চলে এসেছি খেয়াল করিনি। অলরেডি সন্ধ্যা হয়ে এসেছিলো তখন। তার সাথে কালো মেঘের ভেলায় চারদিক আরও বেশি অন্ধকার লাগছিল। তারপর যখন বুঝতে পারলাম ফিরতে হবে এবার।তখন সামনে উদ্যত হতেই দেখি সামনে একটা সাপ।আমি সাপ খুব ভয় পাই। তো দৌড়ে সামনে যেতেই পাথরের সাথে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলাম। ব্যস! তারপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরতে দেখি আপনার বাড়ি আছি!"
কথাগুলো বলে বেশ হাঁপিয়ে ওঠে মেয়েটা।রেহান একটু মুচকি হেসে বলে,
"হ্যাঁ তারপর আমি ফেরার পথে দেখি এক আগুন সুন্দরী মেয়ে আমার বাড়ির সামনে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে। আকাশের অবস্থাও বেশ খারাপ হয়ে গেছিল। আপনাকে কয়েকবার ডাকাডাকি করার পরও যখন রেসপন্স করলেন না। তখন ভাবলাম বাড়ির ভিতরেই নিয়ে যাই।"
হৃদিতা রেহানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায়।এই দূর্যোগের রাতে কোনভাবেই হৃদিতা একা হোটেলে ফিরতে পারতো না। তারপর দুজনে আরো কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। কথার টপিক ছিল লোডশেডিং আর পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে। ।কথাবার্তা শেষে হৃদিতাকে রাতের খাবার খেতে আমন্ত্রণ জানায় রেহান।সে একা মানুষ। তেমন খাবার-দাবার না থাকলেও যতটুকু ছিল তা দিয়ে হৃদিতাকে ভালো করে আপ্যায়ন করে।
.
গভীর রাত! বাহিরের দূর্যোগের প্রকোপ কিছুটা কমে গেছে। ঘড়ির কাঁটায় তিনটে বাজতেই হঠাৎ রেহানের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম চোখে বিছানা থেকে উঠে বসে এদিক ওদিক তাকিয়ে একটু চিন্তায় পড়ে যায় ছেলেটা। হৃদিতাকে পাশের রুমে শুতে বলে সে বারান্দায় বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তাহলে এই ঘরের বিছানায় কি করে আসলো সে? আর হৃদিতাই বা কোথায়! রেহান অন্ধকারে হাতড়ে গিয়ে কোন রকমের ঘরের বাতি অন করার চেষ্টা করলো।কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চলে এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে এত তাড়াতাড়ি যে বিদ্যুৎ আসে না। সেটা রেহানের মনেই ছিল না। অন্ধকারে দাঁড়িয়ে সে যখন এসব ভাবছিল তখনি হাতে মোমবাতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে হৃদিতা।রেহান একদৃষ্টে অবাক হয়ে হৃদিতার দিকে তাকিয়ে আছে। মোমবাতি হাতে ভেজা খোলা চুল!চুলের ডগা বেয়ে টুপটাপ করে পানি পরছে। কাজল কালো চোখের সাথে রক্ত রাঙা ঠোঁটের বাঁকা হাসিতে রেহান সম্মোহিত। আদিম নারীদের মতো ব্লাউজ ছাড়া শাড়িতে তাকে অপরূপ সুন্দরী লাগছে রেহানের কাছে। হৃদিতা রেহানের কাছে গিয়ে কানে ফিসফিসিয়ে বলে, 
" আমাকে খুঁজছিলে প্রিয়!"
হৃদিতার কথায় রেহানের ঘোর কাটে।কিন্তু রেহানের যেন কোন কথা বলার শক্তি নেই। শত চেষ্টা করেও মুখ থেকে একটা আওয়াজও বের করতে পারছে না সে।হৃদিতা মোমবাতিটা ঘরে রেখে রেহানের হাত ধরে ঠোঁটের কোণে রহস্যময়ী হাসি ফুটিয়ে ধীরে ধীরে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে। রেহান সুবোধ বালকের মতো হৃদিতার সাথে যাচ্ছে। কিন্তু বুঝতে পারছে না তার সাথে আসলে কি ঘটছে কিংবা ঘটতে চলছে! 
বেশ কিছু ঘন্টা দূর্যোগের পরে প্রকৃতি এখন শান্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টির জন্য ছাদের কয়েক জায়গায় হালকা পানি জমেছে। সবকিছু অন্ধকার! আজ এত অন্ধকার কেন ভাবতেই রেহানের মনে পড়ে আজ অমাবস্যা! তাই এতো অন্ধকার। তবে এত তীব্র অন্ধকারেও কিভাবে এই মেয়ে তাকে নিয়ে ছাদের এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিপুণ ভাবে হেঁটে যাচ্ছে সেটা মাথায় ঢুকছে না তার।আর কেনো-ই বা সে কোন কথা বলতে পারছে না? 
রেহানকে ছাদের মাঝ বরাবর বসিয়ে হৃদিতা একটা মোমবাতি জ্বালায়। মোমের আলোতে হৃদিতার চেহারায় অন্য একটা অবয়ব ফুটে ওঠে। মূহুর্তেই রেহানের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। হৃদিতার চোখে ভয়ংকর এক দানবীয় রূপ দেখতে পাচ্ছে সে।রেহান যতদূর সম্ভব নিজেকে শক্ত রেখে হৃদিতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।
" আপনি কে?"
হৃদিতা কিছু না বলে গগন কাঁপানো চিৎকার করে দেখতে দেখতে ভয়ংকর এক নেকড়ের রূপ ধারণ করে। রেহান বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বিস্ময় চোখে তাকিয়ে আছে হৃদিতার দিকে। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছে না রেহান।তার চোখের সামনে এক মানবী একটা নেকড়েতে পরিবর্তিত হয়ে গেছে! যার শরীর দানবের মতো বিশাল । ধূসর রঙের লোমশ শরীর তার। চোখের হিংস্রতা আর দাঁতের ফলা দেখে যেকোন মানুষ ভয়ে শিউরে উঠবে। রেহান কিছু বলার আগেই হৃদিতা তাকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়।কিন্তু ঠিক সেই মুর্হুতেই নাটকীয়ভাবে ছাঁদে প্রবেশ করে রেহানের স্ত্রী নিহা। নিহাকে দেখে রেহান মুখে চওড়া হাসি ফুটিয়ে হৃদিতার উদ্দেশ্যে বলে আমি একা নই মিস হৃদিতা।
নিহাকে দেখে হৃদিতা স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে। 
" মি. রেহান আপনার কি মনে হয় নিহা আপনাকে বাঁচাবে? হা হা! "
রেহান হৃদিতার কথার হেয়ালি বুঝতে পারনি ঠিক। নিহার দিকে তাকাতেই সে দ্বিতীয় বারের মতো ভয়ে শিউরে ওঠে। নিজের চোখকে এবার আর বিশ্বাস করতে পারছে না সে। যার সাথে গত দু'বছর সংসার করেছে তার একি ভয়ংকর রূপ দেখছে আজ! নিহাও মায়া নেকড়ে! না না বলে রেহান চিৎকার করে ওঠে। হৃদিতা রেহানের কাছে গিয়ে কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলে, 
"যাকে আপন ভাবছেন সে যে আমার রক্তের বোন!হাহাহা "
" আমি বিশ্বাস করি না আমার চোখকে না না।"
রেহানের অবস্থা উন্মাদের মতো। নিহার চোখের দিকে তাকিয়ে রেহান জানতে চায় কি হচ্ছে এসব?
নিহাও মানবী রূপ ধারণ করে। হৃদিতার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে বলে তাকে বলেছিল বেশি কৌতুহলের পরিণতি ভালো হয় না। আসলে রেহান পেশায় একজন গোয়েন্দা পুলিশ অফিসার।চট্টগ্রাম থাকে।পাহাড় ভালো লাগে বলে কাজের ফাঁকে প্রায়শই বান্দরবান আসতো সে।তখনই নিহাকে ভালো লাগে তার। তারপর পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় দুজনের। কিছুদিন আগে পত্রিকায় প্রকাশিত একটা সংবাদ দেখে রেহান। নিউজটা ছিল,
বান্দরবানে ঘুরতে গিয়ে টুরিস্টদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কিংবা নিখোঁজের পরে ভিক্টিমকে পাওয়া গেলেও অস্বাভাবিক আচরণ করা।

রেহান যেচেই কেসটা নিজের হাতে তুলে নেয়। সে যদিও জানতো তার আগে আরো পাঁচ জন অফিসারের মধ্যে তিনজন নিখোঁজ হয়ে যায় আর দুজন এই কেস সামলাতে গিয়ে মানসিক রোগী হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি। নিহা তাকে বারণ করলেও রেহান তারপরও বান্দরবান চলে আসে। আর রেহানকে একা ছাড়তে রাজি হয় না নিহা।তাই বাধ্য হয়ে তদন্তের কাজে নিহাকেও সাথে নিয়ে আসতে হয়েছে। 
রেহান নিহার আচরণে হতভম্ব হয়ে গেছে পুরো। হৃদিতা একটু রেগেই রেহানের উদ্দেশ্যে বলে কি দরকার ছিল আমাদের এলাকায় এসে এত তদন্তের? আমরা পৃথিবীতে রাজত্ব করবো খুব শীগ্রই। কারণ আমরা ইতোমধ্যে এই এলাকার অর্ধেক মানুষকে মায়া নেকড়ে করে দিয়েছি।আর যাদেরকে পারিনি তাদের হত্যা করে ফেলেছি।পারিনি কেন জানো! কারণ তারা পিচাশের সাধনা করে। আর আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু পিচাশ।তাই যারা পিচাশ অনুসারী তাদেরকে মেরে ফেলি। এবার তোমার পালা! 
দেখতে দেখতে হৃদিতা ও নিহা ভয়ংকর নেকড়ের রূপ ধারণ করে। রেহান দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। তখনই পা পিছলে পড়ে যায় সে।ইটের সাথে মাথায় আঘাত লাগার কারণে মুহূর্তেই দু'চোখ অন্ধকার হয়ে আসে রেহানের।
.
সূর্য উঠেছে বেশ কিছুক্ষণ। সারা রাতের দূর্যোগের ফলে আশেপাশে অনেক গাছপালা ভেঙে গেছে। প্রকৃতি আজ কিছুটা অস্বাভাবিক। কারণ ঝড়ের তান্ডব! জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো ঠিকরে পড়ছে রেহানের চেহারায়। হাত দিয়ে মুখ ঢাকতে ঢাকতে বিছানা ছেড়ে উঠে বসে সে।ঘুমের রেশ কাটতেই মনে পড়ে যায় গতকাল রাতে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনার কথা। রেহান এদিকে ওদিকে তাকিয়ে দেখে সে তার রুমেই আছে। তার মানে সে চট্টগ্রামই আছে! তাহলে কি গতরাতে সে কেবল দুঃস্বপ্ন দেখেছে?রেহানের আকাশ পাতাল ভাবনার মধ্যেই প্রিয়া চা হাতে রুমে প্রবেশ করে। নিহাকে দেখে রেহানের মুখে ভীষণ ভীতি ফুটে উঠেছে।নিহা রেহানের মুখ মলিন দেখে জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে? অলরেডি তো আটটা বাজে! বান্দরবনের ট্রীপ কি ক্যান্সেল না-কি! রেহান নিহাকে রাতের কথা কিছু না বলেই শুধু বলে কোথাও যাবে না সে।এদিকে অনেক কেস জমা আছে। নিহা চা রেখে সকালের নাস্তা তৈরি করতে চলে যায়। নিহা রান্নাঘরে নাস্তা তৈরি করছে। হঠাৎ জানালার পর্দাটা একটু নড়ে উঠলো। নিহা কাজ করতে করতেই হৃদিতার উদ্দেশ্যে বলে,
"কাজ হয়ে গেছে বোন। আশা করি আমার ভালোবাসা আর তোর কাজের মধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না।"
নিহার কথায় জানালার পাশ থেকে কেবল একটা ছায়ামূর্তি সরে গেলো।
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।