আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

প্রেয়সীর হৃদয় ব্যাকুল - পর্ব ৫৯ - নাবিলা ইষ্ক - ধারাবাহিক গল্প


অরু কিছুটা ছন্নছাড়া। একটু বদমেজাজি। সামান্য বোকাসোকা ও। বুঝে কম, চেঁচায় বেশি। তাই বলে এতটাই অবুঝ হ্যাঁ? সে প্রেগন্যান্ট, অথচ নিজেই জানে না! বাকি সকলেই জানে! দুঃখ পেল। কষ্ট অনুভব করল। তবে চোখে জল এলো না। সে আনার চেষ্টা করেছে সামান্য। যখন থেকে প্রেগন্যান্সির খবর শুনেছে, পেটে হাত বুলিয়ে চলেছে সমানে। ক্ষনে ক্ষনে আয়না দেখছে। বিড়বিড়িয়ে কিছু একটা আওড়াচ্ছে। অনাগত সন্তানের সঙ্গে হয়তো বোকা মেয়েটা কথা বলতে চাচ্ছে! বাড়ির সবাই চিন্তায় অরুকে নিয়ে। নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছে। অরু নাকি অনেক ছোটো। এমন অল্পবয়সে বাচ্চা নেওয়া ঝুকিপূর্ণ বিষয়। তার সম্পুর্ন জীবন উপভোগ করা বাকি। পড়াশোনাই বা কতদূর গেল? নিতান্তই ছোটো মেয়েটা এখনই বাচ্চা নিলে, ভবিষ্যতে এই বিবাহ জীবন তার আর ভালো লাগবে না। ইত্যাদি! 
এসব শুনে অরুর মন খারাপ হলো। ভীষণ পরিমাণে! বাড়ির সবাই কেন ভাবছে যে তার বয়স হয়নি? হয়তো অরু অবুঝ। পরিবারের ভালোবাসার আবডালে বড়ো হওয়া একটা বড়সড়বাচ্চা। কিন্তু সে আশেপাশের মানুষ দেখে। বন্ধুবান্ধবদের অবস্থা জানে। এসএসসি দিয়েই তার বান্ধবী রূপা বিয়ে করে ফেলল আলহামদুলিল্লাহ, এখন সে দু'বছরের বাচ্চার মা। তার বয়সী অনেক মেয়ে-ই সংসার করছে। তাদের বাচ্চা আছে। তাহলে অরু কেন পারবে না? পারবে সে। পেরে দেখাবে সবাইকে। এই বাচ্চার জন্য অরু সবকিছু করতে রাজি। সবকিছু! 

ভালোবাসার রঙ লাল। লাল কেন? কারণ লাল রক্তের প্রতীক। আর রক্ত আমাদের ভেতরটায় অবস্থিত। রক্ত বিহীন কী মানুষ বাঁচে? উঁহু নয়। বাঁচে না। তেমনই ভালোবাসা ছাড়া মানুষ বাঁচে না। মানুষ মাত্রই ভালোবাসার কাঙাল। ভালোবাসার দাস। এতো কষ্ট, বিচ্ছেদ, হৃদযন্ত্রণার পরও ভালোবাসাই চেয়ে যায় মানুষ। ভালোবাসার মানুষ কাছে চায়, পাশে চায়। একটা দিন চোখের মনিটার উপর প্রিয় মানুষটার মুখ ভেসে না উঠলে, বক্ষে শান্তি মিলে না। পরানে আগুন জ্বলে দাউদাউ করে। যন্ত্রণা অনুভব হয়। ছটফট করে হৃদয়। আর যদি ভালোবাসার মানুষটা কথা না বলে? তাহলে কেমন অনুভূতি হয়? ভয়ংকর নয় কী? অবশ্যই। তন্ময় একদম কথা বলছে না। অরুর পানে তাকাচ্ছে না। গম্ভীরমুখে অন্যদিকে ফিরে রয়। খেতে বসে মাথা নিচুস্তর পদে রাখে। চুপচাপ থাকে। অরু বিড়ালছানার মতো তার আশেপাশে ঘুরেফিরে বেড়ায়। একটু দৃষ্টি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে রয়। কিন্তু পাষাণ মানুষটার কোনো হেলদোল নেই। ভুলবশত ও ফিরে দেখছে না।কেমন থমথমে করে রেখেছে চেহারা। কেন? তন্ময় কী খুশি নয় এই সুখবর শুনে? সে কী বাচ্চাটা চায় না? পরমুহূর্তেই মনে পড়ল বড়ো মায়ের কথা। তিনি স্পষ্ট গলায় বলেছিলেন, বাবা হবার খুশিতে তন্ময় ইমোশনাল হয়ে পড়েছিল! কেঁদেছে ও। তাহলে? অরুর সাথে এমন কেন করছে? আকাশকুসুম ভাবনায় বিভোর সে, বড্ড অসহায় হয়ে পড়েছে। 
বক্ষে বইছে সীমাহীন, আসমান জমিন ধ্বংসের সমান যন্ত্রণা। অসহ্যকর এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি শুধু তাকে তন্ময় দিতে পারবে। 
_________
হাসপাতালে এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে সকাল দশটার। দশটার পূর্বেই অরুকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরোনো হবে। সুমিতা বেগম ন'টার মধ্যেই ব্যাগ গুঁছিয়ে নিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়েছেন সঙ্গে। যেমন, ফ্ল্যাক্সে গরম পানি। টিস্যু, নরম তুলতুলে খাবার। পানির বোতল, ইত্যাদি। জবেদা বেগম রান্নাঘরে। তিনি খুব ভোরে আকাশকে দিয়ে টাটকা সিং মাছ আনিয়েছেন। মেয়েটা হাসপাতাল যাবে। রক্ত পরিক্ষা করাবে। কতগুলো রক্ত নেওয়া হবে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। সেসময় সিং মাছ বড্ড উপকারী। শরীরে রক্ত হতে সাহায্য করে। সঙ্গে তিনি আনাড় আনিয়েছেন। এই ফলেও শরীরে রক্ত হতে সাহায্য করে। এমন অনেককিছুই আনিয়েছেন যা এখন অরুর শরীরের জন্য উপকারী। 

অরুর সঙ্গে হাসপাতালে যেতে সবাই তৈরি। এইযে দীপ্ত সকালসকাল ড্রয়িংরুমে বসে। তৈরি হয়ে। বাড়ির সকলের আগে। এরপর এসেছে আকাশ তারপর শাবিহা। তারাও নাকি যাবে হাসপাতালে। পাঞ্জাবি পরে এসেছেন মোস্তফা সাহেব। আনোয়ার সাহেব ও পরপর এলেন। ড্রয়িংরুম ভর্তি মানুষ দেখে, একে অপরের মুখে তাকিয়ে হাসলেন। সজোরে, উচ্চস্বরে। জবেদা বেগম হেসে বললেন, 'বাচ্চাদের গিয়ে কাজ নেই। বড়ো কয়েকজন গেলেই হবে।'

আনোয়ার সাহেব হাসলেন। এগোলেন বড়ো ভাইয়ের দিক। কাছাকাছি এসে বললেন, 'ভাইয়া যান। আমি থাকি।'
'না না। তুই যা আমি থাকি।'

তর্কতর্কি হলো কিছুক্ষণ। অবশেষে ফয়সালা হলো। আনোয়ার সাহেব এবং মোস্তফা সাহেব দুজনেই যাবেন। সঙ্গে সুমিতা বেগম। ব্যস! অরু নেমেছে। বড়ো বড়ো চোখে সবাইকে দেখছে। তারা বেরোবে এমন সময় তন্ময় বেরিয়ে আসলো। ধীরেসুস্থে। তাড়াতাড়ি হাঁটলে ব্যথা পায়। খুব সাবধানে হাঁটতে হয় তার। তাকে দেখে মোস্তফা সাহেব চিন্তিত হলেন। জিজ্ঞেস করতে চাইলেন, 'তুমি কেন... '

আনোয়ার সাহেব ভাইয়ার চোখে চোখ রাখলেন। ইশারায় কিছু একটা বোঝালেন। হয়তো মোস্তফা সাহেব বুঝেছেন। তাইতো আর কিছুই বললেন না। আড়ালে দীর্ঘনিশ্বাস ফেললেন। শেষমুহুর্তে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে চারজন বেরিয়েছেন। 

তন্ময় ড্রাইভিংয়ে বসেছে। এক্সিডেন্টের পর একটা ট্রমাটিক সিচুয়েশনে ছিল সে। আপাতত নেই। সুস্থসবল ভাবেই চালাচ্ছে। হাতে চিনচিন ব্যথা অনুভব করছে, তবে তা সম্পুর্ন অগ্রাহ্য করল মস্তিষ্ক! এই সামান্য ব্যথা তার একরোখা মস্তিষ্ক নাজেহাল টিস্যুর মতো ডাস্টবিনে ফেলে দিল যেন!

অরু বাপ-চাচার মধ্যখানে চুপসে বসে আছে। মোস্তফা সাহেব চিন্তিত নয়নে বারবার পাশে তাকাচ্ছেন। মেয়েটার কোনো সমস্যা হচ্ছে কি-না! থেমে নেই আনোয়ার সাহেব ও। তিনি বড়ো ভাইয়ের থেকে এগিয়ে কি-না! প্রশ্নই করে বসলেন,'খারাপ লাগছে আম্মা?'

অরু মাথা নাড়াল। চোখ বুজল। আবারো খুলল। সামনে তাকাল। তন্ময়ের পাশে সুমিতা বেগম বসে। তিনি ফিরে তাকালেন। পানির বোতল বের করে এগিয়ে ধরলেন, 'একটু খেয়ে নে। ভালো লাগবে।'

বাড়ি থেকে বেরিয়ে আধঘন্টা হয়নি। এখনই কী পানির তৃষ্ণা পায়? অরু তবুও হাত বাড়িয়ে নিল। অল্পখানিক পানি খেয়ে বোতল হাতে রাখল। উদাসীন চাহনি নিক্ষেপ করল পাষাণ মানুষটার দিক। মানুষটা কী বুঝতে পারছে তার হৃদয়ের ব্যাকুলতা? ভেতরটা যে ক্ষনে ক্ষনে দুমড়েমুচড়ে উঠছে উপলব্ধি করতে পারছে? পারছে না। তাইতো এভাবে কষ্ট দিতে পারছে।  

আনোয়ার সাহেব দক্ষ চোখের অধিকারী। আশেপাশের হালচাল চোখা চোখে দেখে বুঝে ফেলতে পারেন। আপনজনের মুখ পড়ে সবকিছু বুঝে ফেলার গুণ তার মধ্যে বিদ্যমান। তাইতো ছেলেমেয়ের মধ্যে সমস্যা চলছে বুঝতে সময় লাগেনি। দুজনের মধ্যে একটা রেষারেষি চলছে, বুঝে নিলেন আনোয়ার সাহেব। তন্ময় বুদ্ধিমান ছেলে। প্রচন্ড নির্ভরশীল। অগাধ বিশ্বাস এই ছেলের প্রতি তার আছে। ঠিক সামলে নিবে। ঠিক করে নিবে। ভেবেই আনমনে মৃদু হাসলেন আনোয়ার সাহেব। নিজেদের বোঝাপড়া নিজেরাই করে নিক। মাত্রই তো শুরু সংসার জীবন। এমন ছোটোখাটো কথা-কাটাকাটি, মান-অভিমান নিয়েই তো এগোতে হবে। 

অপেক্ষাকৃত মনমানসিকতা নিয়ে দাঁড়িয়ে দুই গুরুজন। দৃষ্টি তাঁক করে রেখেছেন সামনে। অরুর বেশ কিছু টেস্ট নেওয়া হয়েছে। একেক টেস্টের জন্য একেক ফ্লোরে যেতে হচ্ছে। গার্ডিয়ান শাহজাহানেরা সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছেন। তন্ময় বেঞ্চে বসে দু'পা ছড়িয়ে। একনাগাড়ে সে দাঁড়াতে পারছিল না বিধায়, একপ্রকার জোরপূর্বক ছেলেকে বসিয়েছেন মোস্তফা সাহেব। পাক্কা দু'ঘন্টা লেগেছে সবগুলো টেস্ট করাতে। রিপোর্ট গুলো কাল নিয়ে যেতে হবে। তন্ময় প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছে। সুদূরে অরু দুর্বল হয়ে, ঢলে পড়েছে সুমিতা বেগমের বাহুতে। একটু র'ক্ত নিয়েছে, আর একটুখানি এদিকসেদিক কী যেতে হয়েছে, তাতেই নাজেহাল অবস্থা মেয়েটার। 
_______
'মাহিন!'
'হু! ক!'
'দুঃসংবাদ শুনছস! এখন সুসংবাদ শুনবি না?'
'আবার কী হইলো?'
'আংকেল হতে যাচ্ছস শালারপো!'

মাহিন থমকাল সামান্য ঘাবড়াল। সোফা ছেড়ে দাঁড়াল। হতবাক, বিমুঢ় সে, 'কী কস? গাঞ্জা খাইছস?'
'তুই দিছস?'
'ইব্রাহীম! কী বলতাছস?'
'আমাদের বড়ো তন্ময় চাচা ওরফে আমাদের চ্যাম্প.. চ্যাম্পের চ্যাম্পিয়ন আসতে যাচ্ছে!'
'খাইছেড়ে!'
'খাইছে মানে! বাইড়া তাড়াতাড়ি। এক্ষুনি যাইতে হইব।'

মাহিন দেরি করল না। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে শরীরে শার্ট জড়িয়ে, টেবিল থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। সোজা হাইওয়ে চলে এলো। এখানে সীমান্ত ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে রিয়াদ, শুহানি, ইব্রাহীম। তারা মাহিনের অপেক্ষাতেই ছিল। কথোপকথনে পুরোদমে ব্যস্ত। গাড়ি নজরে আসতেই প্রত্যেকে উঠে বসলো। পেছনে রিয়াদ, শুহানি। সামনে ইব্রাহীম। মুহুর্তে টেনে চলে গেল গাড়িটা। উদ্দেশ্য শপিংমল। কিছু কেনাকাটা করবে। সঙ্গে হরেকরকম মিষ্টি.. ফলমূল নিতে হবে না? এমন সুসংবাদ অনেককিছুর প্রাপ্য। 
______
বাড়িতে ফিরে ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নিয়েছে অরু। মায়ের হাতে স্যুপ খেয়েছে। মাথায় পানি দিয়েছে। ফলের রস খেয়েছে। নিজেকে সুস্থসবল করে রুম থেকে বেরিয়েছে। মাথাটা বের করে আশেপাশে নজর বুলিয়েছে। না কেউ নেই! তারপর ছোট ছোট পা ফেলে তন্ময়ের রুমের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। তন্ময় বিছানার সাথে হেলে বসে। মুভি দেখছে মনোযোগ দিয়ে। অরু গুটিগুটি পা ফেলে বিছানার সামনে দাঁড়াল। তন্ময় তাকে দেখেও দেখছে না। অবশেষে করুণ গলায় ডাকল, 'শুনেন।' 

তন্ময় মাথা তুলে তাকাল। অরুর মায়াবী মুখে দৃষ্টি তাঁক করল। এবং তাকিয়েই থাকল। নজর আর সরাল না। তীক্ষ্ণ ভূতগ্রস্ত দৃষ্টিতে অরু ভীতু হলো। নড়েচড়ে উঠল। দৃষ্টি সরিয়ে ফেলল। বুকের ভেতরটা ধপাস করে উঠল। এভাবে তাকালে অরুর বুঝি কিছু হয়না? অপরদিকে তন্ময় শুধু তাকিয়েই আছে। কোনোপ্রকার প্রশ্ন করছে না। আর নাইবা দৃষ্টি সরাচ্ছে। অদ্ভুত! অরু তীক্ষ্ণ দৃষ্টির মাঝেই বিছানার কোণে বসলো। জড়সড় ভঙ্গিতে। জামার কোণ ধরে মোচড়ামুচড়ি করছে। মস্তিষ্ক হাতড়ে কিছু একটা বলে, 'মুভি দেখছেন?'

তন্ময়ের জবাব এলো না। তবে সে ল্যাপটপ ঘুরিয়ে দিয়েছে অরুর দিক। যাতে সে নিজে দেখে নিতে পারে। অরু কষ্ট পেলো। কিছুক্ষণ আগের মিশ্রিত লজ্জিত অনূভুতি সুদূরে পালাল। মনের গহীনে হানা দিল একরাশ বিষন্নতা। গুমোট বাঁধ ভাঙা কান্না ঠেলে আসতে চাচ্ছে। সে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে রাখল। কান্না না করার আপ্রান চেষ্টা করল। তার দ্বারা হলো না। ক্ষনিকের মাঝে চোখের কোণ ঘেঁষে গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। ফুঁপিয়ে উঠল। গলার স্বর নামিয়ে আওড়াল, 'কথা বলেন না কেন! কী করছি আমি?'

তন্ময় নিশ্চুপ তাকিয়ে থাকলো। তারপর হুট করে উঠে দাঁড়াল। ভাঙা পা ফেলে ধীর গতিতে গিয়ে দরজা লক করল। ফিরে এসে দাঁড়াল অরুর সম্মুখীন হয়ে। একদম সামনাসামনি। অরুর কান্না গলায় আটকে গেল। চোখের জল থমকে গেল। মুখ তুলে সে তাকাল। তন্ময় ঝুকল। একদম অরুর মুখ বরাবর। তার ঘন, তপ্ত নিশ্বাস অরুর মুখশ্রী ছুঁয়ে গেল। অনিমেষ তাকিয়ে থাকলো ক্ষনিক। সময় নিয়ে শুধালো, 'তুই পিল গুলি নিয়েছিলি?'
.
.
.
চলবে........................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।