হাওয়াই মিঠাই |
ভােরবেলা তাহিয়ার ঘুম ভাঙতেই দেখে মীরা ঘরে নেই। বুক কেঁপে উঠলাে তার। সাথে সাথে ফোন করলাে। একবার রিং হতেই ফোন ধরলাে মীরা।
"তাহিয়া এত ভােরে উঠেছিস?"
"তুমি কোথায় আপু?"
"জগিং করতে বের হলাম। সুন্দর সকাল।"
"আমি আসি আপু?"
"আসবি? আয়। মাত্রই বেরিয়েছি আমি। হলের সামনে দাঁড়াচ্ছি তাহলে।”
"আচ্ছা।"
মীরার কন্ঠ এখন খুবই স্বাভাবিক। গতকাল সারারাত এই মেয়ে কেঁদেছে তা কেউ বলবে না। তাই তাহিয়া একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লাে। দ্রুত তৈরি হয়ে দৌড় দিল। মীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করছিল। তাহিয়াকে দেখে মীরা বলল,
"ওয়ার্ম আপ করে নে। আমি একটা চক্কর মেরে আসি।"
তাহিয়া হেসে বলল,
"৪ তলা থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে নেমেছি। ওয়ার্ম আপ হয়ে গেছে।"
মীরা হেসে ফেলল, তাহিয়াকে ইশারায় শুরু করতে বলে সে ধীরে ধীরে দৌড়ানাে শুরু করলাে। তাহিয়াও যােগ দিল। জগিং করতে করতেই দু'জনার কথােপকথন চলতে লাগলাে,
"আজকের সকালটা সত্যিই সুন্দর মীরাপু!"
"আমার জন্য তুই এত চিন্তা করিস কেন তাহিয়া?"
হঠাৎ এমন প্রশ্নে তাহিয়া একটু অপ্রস্তুতবােধ করলাে। তারপর বলল,
"কারণ এই দূরদেশে বটবৃক্ষ আর যে কেউ নেই আমার।"
মীরা হেসে বলল,
"রাফি আমার বয়ফ্রেন্ড। এক্স বলবাে না। এক্স হয়নি, শুধু হারিয়ে গেছে। আমার প্রথম প্রেম, আমার একমাত্র ভালােবাসা।"
"ছােটকালের প্রেম?"
"একেবারে আকালের।"
মীরা হেসে দিল, সাথে তাহিয়াও। মীরা প্রথম পরিচয় থেকে শুরু করে রাফির কনফেশন পর্যন্ত পুরােটুকু বলল তাহিয়াকে। ততক্ষণে ঘেমেনেয়ে একাকার দুজনেই। তাহিয়া বলল,
মীরা বললাে,
"আপু একটু জিরিয়ে নেই?"
"একবারে বটতলায় গিয়ে জিরাই। ক্ষুদা লেগেছে। আর একটুই তাে।"
"আচ্ছা চলাে।"
বটতলায় গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে দুজনে খেতে বসলাে। তাহিয়া বলল,
"তারপর রাফি ভাইয়ার মনের কুমতলবের কথা শুনে তােমার রিয়াকশন কী ছিল?"
মীরা হেসে বলল,
"আমি তাে তখন বান্ধিয়ে রাখার মতাে ছাগল। ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কঁদছিলাম ওর কথা শুনে। তবে পরে মনে হলাে ওর মনে কুমতলব থাকলেও ও তাে নিজেকে রেজিস্ট করে নিয়েছে। শুধু তাই নয় আমাকে সত্যিটা বলেও দিয়েছে। আমি উল্টো খুশি হলাম একথা ভেবে যে ও সত্যিই আমাকে খুব ভালােবাসে।"
তাহিয়া খেতে খেতে দাঁত বের করে বলল,
"এখনকার তুমি হলে ঘুষি মেরে দাঁত ভেঙে ফেলতে।"
"একবার ভাঙতে হবে রে ওর দাঁত। এতবড় সাহস আমাকে ফেলে চলে যাওয়া!"
"আচ্ছা মীরাপু শেষমেশ কি তুমি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিলে? সেজন্যই ভাইয়া চলে গেছে?"
"নাহ। আমার সত্য মিথ্যা প্রমাণের আগে আরেকটা বিশেষ ঘটনা আছে। যে ব্যাপারটায় আজও আমি ক্লিয়ার না।"
"কী সেটা?"
"রাফির কনফেশনের পরদিন আবার যখন কথা হচ্ছিল তখন সে বলল,
"কী ব্যাপার মীরা আমার মনে এত বড় একটা অপরাধের প্ল্যান ছিল সব জেনেও তুমি চুপচাপ আছাে? কান্না ছাড়া আর কোনাে রিয়াকশন নেই কেন?"
আমি না ওর কথার মানেই বুঝলাম না। ছাগলের মত জানতে চাইলাম,
"কি রিয়াকশন হওয়া উচিৎ ছিল?' ও বলে, ব্রেকাপ করা উচিৎ ছিল, অন্তত সাময়িকভাবে। অথবা অন্যকোনাে শাস্তি দাও। তােমার কোনাে আত্মসম্মানবােধ নেই কেন?"
আর তখন আত্মসম্মান না বােঝা আমি বি লাইক... মীরা গালে হাত দিয়ে ভাবার ভান করলাে। তাহিয়া হাে হাে করে হেসে দিল। জিজ্ঞেস করল,
"তারপর?"
"তারপর আর কী! তখন তাে বুঝিনি তবে বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে আমার কেন যেন মনে হয় কুমতলবের ব্যাপারটা রাফি মিথ্যে বলেছিল। আমার আত্মসম্মানবােধ তৈরির করে দেয়ার জন্য। সেবার কী যে বয়ান দিল! আত্মসম্মানবােধ শিখিয়েই ছাড়লাে।"
"তাহলে তােমাকে ঘরে নিয়ে দরজা লাগিয়েছিল কেন?"
"যাতে আমি সন্দেহ করি। এটাও তাে হতে পারে তাইনা? কিন্তু অত বােধ তাে আমার ছিল না তখন। তাই সন্দেহ করিনি। নাহলে দেখ, রাফিকে আমি যতটুক চিনেছি এসব ভাবনা মাথায় আসার মত ছেলে ও না। এতদিন রিলেশনে একবার চুমুও খেতে চায়নি! যতবার রাগ হয়েছে দেখেছি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। রাগের মাথায় কোনাে মেয়ের এমন ক্ষতি করা ওর পক্ষে সম্ভব না। ও বারবার আমাকে বলতাে,
"তুমি আমাকে শতভাগ বিশ্বাস করাে এটা আমার পছন্দ না। একটুখানি অবিশ্বাস রাখবে।"
"হয়তাে এই একটুখানি অবিশ্বাস তৈরির জন্য মিথ্যে বলেছে।"
তাহিয়া মুখের খাবারটুকু শেষ করে বলল,
"আপু রাফি ভাইয়া একটা প্রচণ্ড রহস্যময় চরিত্র। আমি না তাকে পুরােপুরি বিশ্বাস করতে পারছি। না সন্দেহ করতে পারছি। তাছাড়া আমরা শুধু একটা দিক থেকে সব জানতে পারছি। তার দিকটা আমাদের অজানা।"
"হুম। সে মানুষের মধ্যে তার ব্যাপারে রহস্য তৈরি করতে পছন্দ করতাে। তবে তার রহস্য আমি ভাঙবােই। খুঁজে বের করবই তাকে।"
"আচ্ছা আপু তুমি আসলে কেন তাকে খোঁজো? শুধু কিছু প্রশ্নের উত্তরের জন্য নাকি অন্যকিছু?"
মীরা বলল,
"প্রশ্ন তাে অনেক রয়ে গেছে তাহিয়া। সেসবের উত্তর তাে আমার অবশ্যই চাই। তবে আমি ওকে খুঁজি কারণ আমি ওকে চাই। ওকে ছাড়া আর কাউকে ভালােবাসতে পারিনি আমি। ওকে না পেলে আজীবন আমার ভেসে ভেসেই কাটাতে হবে। স্থিতি আসবে না।"
"যদি পাওয়ার পর দেখাে বিয়ে হয়ে গেছে? মানে তােমার এখন ২৫ বছর মানে তাে ভাইয়ার ৩১। বিয়ের বয়স তাে পার হয়ে গেছে।"
"সতীন নিয়ে সংসার করব। তবু রাফিকে আমার চাই।"
তাহিয়ার এবার হঠাৎ করেই মীরাকে সেই বাচ্চা মীরা মনে হলাে। প্রসঙ্গ পাল্টানাের জন্য বলল,
"সেবার তুমি কি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিলে নাকি সত্যি?"
মীরা হেসে বলল,
"রাফি সত্যিটা খুঁজে বের করেছিল। কীভাবে তা আমাকে বলেনি। শুধু বলেছে ত্রিশা সবার সাথে কণ্ঠস্বর অন্যরকম করে কথা বলতাে। এমনকি শুভ ভাইয়াকে ও আমার ভয়েস শুনিয়েছিল, ওইযে রেকর্ডিং? ওটা থেকে। শুভ ভাইয়া বলেছে এই কণ্ঠস্বরই নাকি তাকে ফোন করে স্বামী-বাচ্চার বাপ এসব বলতাে।"
"কি সাংঘাতিক! তুমি রাফি ভাইয়াকে কীভাবে বিশ্বাস করিয়েছিলে ওটা তুমি না?"
"আমার বিশ্বাস করাতে হয়নি। রাফি এসব প্রথমে আমাকে জানায়ওনি। নিজেই সব খুঁজে বের করেছে। আর তারপরেই শুরু হয়েছিল আমাদের আসল প্রেম। উফ কী সুন্দর ছিল সেই দিনগুলাে, স্বপ্নের মত!"
"আর ভুলবােঝাবুঝি হয়নি?"
"না। তারপর থেকে শুধু প্রেম। উত্তাল প্রেম। আমার এসএসসি দিয়ে কলেজে ওঠা পর্যন্ত। একসময় রাফি আমার থেকেও বেশি ভালােবাসতে শুরু করেছিল।"
"আহা! কিন্তু সত্যিটা কিভাবে জানলাে রাফি ভাইয়া?"
"রাফি কীভাবে জেনেছে তার সব বলেনি আমাকে। তবে এটুকু বলেছে আরিফ ভাইয়া আর দীপু ভাইয়া আমার কণ্ঠস্বর শুনে বলেছে ওই মেয়ে আমি ছিলাম না। কিন্তু শুভ ভাইয়া বলেছে ওই মেয়ে আমি ছিলাম। তখন নাকি ওর সন্দেহ হয়েছে। পরে জানতে পেরেছে ত্রিশার সাথে শুভ ভাইয়ার প্রেম হয়ে গিয়েছিল। সেটা লুকানাের জন্যই শুভ ভাইয়া বলেছে ওটা আমি ছিলাম। যাইহােক, সত্যিটা বের করার পরেই পুরাে ঘটনা রাফি বলেছে আমাকে। আর সত্যিটা বের করতে গিয়ে। ত্রিশাও জেনে গেছে আমার সাথে রাফির রিলেশনশিপের ব্যাপারে।"
"হায় হায় এই কালনাগিনী আবার কোনাে প্যাঁচ লাগায়নি তাে?"
"না। ও শুধু আমাকে বলেছিল, নিজের দিকে তাকা আর রাফি ভাইয়ার দিকে তাকা। তাের মত ক্ষ্যাতের সাথে রাফি ভাইয়া সিরিয়াস প্রেম করে ভাবিস? জাস্ট টাইম পাস করে।"
"তুমি কিছু বলােনি বেয়াদবটাকে?"
"না, আমি ওসব শুনে কেঁদেছিলাম খুব। পরে অবশ্য রাফি হারিয়ে যাওয়ার পর একদিন আমার সামনে এসে বলেছিল, 'কি মিলল তাে আমার কথা? রাফি ভাইয়া শুধু টাইম পাস করেছে তাের সাথে।' তখন আমি ছাদে ছিলাম। ওকে ছাদে ফেলে এমন মার মেরেছিলাম যতদিন বাঁচবে মনে থাকবে ওর।"
তাহিয়ার চোখ নেচে উঠলাে,
"সত্যি?"
"হ্যাঁ। মেরে চেহারা পাল্টে দিয়েছিলাম। ওটাই ছিল আমার জীবনে কাউকে দেয়া প্রথম মাইর।"
"বাসায় বিচার নিয়ে আসেনি?"
"এসেছে। কিন্তু ততদিনে রাফিকে হারিয়ে আমি বদ্ধ উন্মাদ। কলেজেও যাইনা। বাসায় সবাই জেনে গিয়েছিল আমার বয়ফ্রেন্ড আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। বাসায় আমাকে শাসন করবে কী আমাকে সামলিয়েই কূল পায় না। আমিও ভয় পেতাম না। আমি শুধু রাফিকে চাইতাম। পিয়াল ভাইয়া কতবার যে বলেছে রাফিকে খুঁজে বের করে দেবে। কিন্তু পারেনি।"
"আচ্ছা ভালাে কথা আপু, পিয়াল ভাইয়া রাফি ভাইয়ার নাম্বার কেন নিয়েছিল সেটা কি আর জানতে পারােনি?"
মীরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
"হ্যাঁ, ভাইয়া রাফিকে যাচাই করার জন্য নাম্বার নিয়েছিল। নিজে ফোন করেনি। যেহেতু আমাদের ফোনে পরিচয় তাই, কয়েকটা মেয়েকে দিয়ে ফোন করিয়েছিল।"
"পরে?"
"কেউই সুবিধা করতে পারেনি। সবার সাথেই নাকি রুড বিহেভ করেছে।"
"ওহ আচ্ছা। কিন্তু আপু তােমাদের দু'জনার মধ্যেই এত ভালােবাসা থাকা সত্ত্বেও আলাদা হলে কী করে?"
"তেমন কিছুই না। যখন আমাদের উড়াউড়ি লেভেলের প্রেম চলছে তখন রাফির বাবা মারা গেল।"
"কীভাবে?"
"হার্ট অ্যাটাক।"
"তারপর?"
"তারপর আস্তে আস্তে রাফি কেমন যেন হয়ে গেল। হুটহাট রেগে যেত, দেখা করতে চাইতাে না। হুট করেই একদিন বলল, সম্পর্ক রাখবেনা। আমি কারণ জানতে চাইলে বলল, কারণ কিছুই না। আমি খুব কান্নাকাটি করতাম। তারপরেও কিছুদিন আমাদের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হুট করেই একদিন সকালে ফোন করে দেখি ওর ফোন বন্ধ। ৯ টা বছর পার হয়ে গেছে। সেই ফোন আজও খােলেনি।"
"এভাবে কিভাবে একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়?"
"গেল!"
"তুমি তাে রাফি ভাইয়ার বাসা চিনতে। খুঁজতে যাওনি?"
"হ্যাঁ গিয়েছি। তখন তাে একা চলাফেরা করতে পারতাম না। পড়তাম গার্লস কলেজে। কোনাে ছেলেবন্ধুও ছিল না যাকে নিয়ে যাওয়া যায়। কোনাে বান্ধবী আমার সাথে যেতে সাহস করতাে না। শেষমেশ একাই গেলাম। কিন্তু বাস আমাকে সাভার নিয়ে গেল! কেন যেন ব্যাংক টাউন খুঁজে পেলাম না। ছােট স্টপেজ তাে কেউ দাঁড়াতে না বললে বাস ওখানে দাঁড়ায় না। বেশ কিছুদিন পরে আমার এক বান্ধবী যেতে রাজী হলাে। সেদিন একটু সাহস হলাে মনে। কিন্তু আমি রাফির বাসার রােড নাম্বার জানতাম না। ব্যাংক টাউন এক অদ্ভুত এলাকা। মেইন রােডের দুইপাশে রােড। ২, ৩, ৪ সবগুলাে রােড বাঁ দিকেও আছে, ডান দিকেও আছে। তুই যদি বলিস ৩ নাম্বার রােডে আমার বাসা। তখন আবার লােকে জিজ্ঞেস করবে বাঁ দিকে নাকি ডান দিকে? তার উপর সবগুলাে রােড একইরকম দেখতে। ম্যাক্সিমাম বাসাও একরকম। সব রােডের শেষ মাথায় গিয়ে দেখেছিলাম, রাফির বাসার মত বাসা কোথাও পাইনি।"
"শিট! তারপর?"
"তারপর জেদ চেপে গেল। অতদূর থেকে বারবার খুঁজতে আসা যায়না তবে কাছাকাছি থাকলে সেটা সম্ভব। তাছাড়া সাভারের সবকিছুতেই রাফির গন্ধ খুঁজে পাই। তাই জাহাঙ্গীরনগর এসে ভর্তি হলাম। প্রথমবার অবশ্য চান্স পাইনি। আবার একবছর প্রচন্ডভাবে পড়াশােনা করলাম। তখনই আসলে আমি ভালাে ছাত্রী হয়ে গেলাম। তারপর যখন জাহাঙ্গীর নগরের হলে উঠলাম প্রতিদিন ক্লাসের পর ব্যাংক টাউন যেতাম। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, খুঁজতে খুঁজতে ব্যাংক টাউন আমার মুখস্ত হয়ে গেল। কিন্তু রাফির বাসা খুঁজে পেলাম না। বন্ধুদের নিয়ে ধামরাইও গিয়েছি কয়েকবার। কিন্তু ওদের গ্রামের বাড়ি ধামরাইয়ের ঠিক কোথায় সেটা তাে আর জানিনা। তাই সেখানেও পাইনি।"
"অদ্ভুত! তুমি নিজে গেছাে যে জায়গায় সে জায়গা খুঁজে পাওনি!"
"পেলাম না। একবারই গিয়েছিলাম। তখন কেমন একটা ঘােরের মধ্যে ছিলাম। কিছুই খেয়াল করিনি। তবে ওদের বাসাটার কথা মনে আছে। ওরকম বাসা পাইনি পুরাে ব্যাংক টাউনে।"
"এখনও খোঁজো?"
"হ্যাঁ খুঁজি। তবে এই প্রথম ব্যাংক টাউনে রাফিকে ছাড়া অন্যকিছু খুঁজবাে।"
"কী?"
"একটা বাসা। চাকরিটা তাে সম্ভাবত হয়ে যাবে। এরপর ব্যাংক টাউনেই বাসা নেব। ব্যাংক টাউন থেকে কল্যানপুর আধা ঘন্টারও পথ না।"
"কিন্তু যদি সেই জ্যাম লাগে?"
মীরা হেসে বলল,
"যাবি তাে আমার সাথে ব্যাংক টাউন? নাকি একা থাকতে হবে?"
তাহিয়া টেবিল চাপড়ে বলল,
"যাবাে না মানে? শুধু যাবােই না। এবার থেকে রাফি ভাইয়াকে খোঁজার মিশনে আমিও আছি তােমার সাথে। শালা যাবে কোথায়? কেন তােমাকে ফেলে চলে গেল। সেই কৈফিয়ত আমার চাই ই চাই। সম্পর্ক রাখবাে না বললাম আর উধাও হয়ে গেলাম। কী আমার বীরপুরুষ রে!"
"সাবাস! এই না হলে আমার বােন।"
মীরা তাহিয়ার পিঠ চাপড়ে হেসে বলল,
"সাবাস! এইনা হলে আমার বােন।"
তাহিয়া হাসলাে। মীরা হােটেলের বয়কে উদ্দেশ্য করে বলল,
"ওয়ে মামা বিল দাও।"
পর্ব ১৬ | পর্ব ১৮ |