আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

হাওয়াই মিঠাই - পর্ব ২৩ - মৌরি মরিয়ম - ধারাবাহিক গল্প

পড়ুন মৌরি মরিয়ম'এর লেখা একটি অসাধারণ ধারাবাহিক গল্প হাওয়াই মিঠাই'র ত্রয়োবিংশ পর্ব
হাওয়াই মিঠাই
হাওয়াই মিঠাই

মীরা নিজেকে সামলানোর জন্য দুদিন অপেক্ষা করলো। এই দুইদিনে নিজের সব কথাগুলোও গুছিয়ে নিল। তারপর দেখা করলো রাফির সাথে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চ থেকে মীর মোশাররফ হলের দিকের রাস্তাটায় হাঁটছে রাফি-মীরা। তাদের সম্পর্কের প্রথমদিকে রাফি মীরাকে বলেছিল, জাহাঙ্গীরনগরের এই জায়গাটা তার সবচেয়ে প্রিয়। মীরা প্রথমে কোনো কথা বলছিল না। রাফিই বলল,

"এখনো মনে আছে তোমার এই জায়গাটার কথা?"

মীরা বলল,

"জাহাঙ্গীরনগরে যেদিন প্রথম এসেছিলাম সবার আগে এই জায়গায় এসেছিলাম।"

রাফি মুচকি হাসছে। কে জানে কী ভাবছে মনে মনে। মানুষের মনের কথা জানার যদি কোনো ব্যবস্থা থাকতো!
রাফি বলল,

"কী বলতে ডেকেছো সেটা বলো?"

মীরা থামলো। রাফির সামনে গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়ালো। তারপর বলল,

"হঠাৎ করে অমন উধাও হয়ে গিয়েছিলে কেন?"

রাফি হেসে বলল,

"হঠাৎ? হঠাৎ কীভাবে? আমি তো অনেকদিন ধরেই বলছিলাম যে সম্পর্ক রাখবো না। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তুমি মানছিলে না। যোগাযোগ বন্ধ করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না তখন।"

"আচ্ছা রাফি একজনের ইচ্ছেয় কি প্রেম হয়?"

রাফি হেসে বলল,

"তোমার পরের প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে একজনের ইচ্ছেয় ব্রেকাপ কেন হবে?"

"প্রশ্ন যখন জানোই উত্তরটা দিয়ে দাও।"

"চলো হাঁটতে হাঁটতে বলি?"

মীরা চোখমুখ কঠিন করে বলল,

"না আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তোমাকে উত্তর দিতে হবে।"

রাফি আবারো হাসলো। বারবার রাফির এই হাসি দেখে মীরার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। মীরা আবার কিছু বলার আগেই রাফি বলল,

"আমি যে নিজের ইচ্ছেয় ব্রেকাপ করেছিলাম ব্যাপারটা এমন ছিল না।"

"তাহলে কার ইচ্ছেয় ব্রেকাপ করেছো?"

"পরিস্থিতির।"

"রাফি তুমি যখন বারবার ব্রেকাপের কথা বলতে, তখন আমি কারণ জানতে চাইতাম। তুমি বলতে যে সম্পর্ক রাখা সম্ভব না তাই ব্রেকাপ করতে চাচ্ছো। কিন্তু কেন সম্ভব না সেই উত্তর তুমি কখনো দাওনি।"

"সেই উত্তরও যদি আমি তখন তোমাকে দিতাম, তুমি বুঝতে না মীরা। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আমি নিজের সমস্যাগুলোর কথা কাউকে বলতে পারি না।"

"নিজের গার্লফ্রেন্ডকেও না?"

"দুনিয়া না বোঝা গার্লফ্রেন্ডের কাছে সমস্যার কথা বলব? তাছাড়া আমার সমস্যার কথা আমি আমার বাবা-মাকেও বলতে পারি না।"

"সেটা তোমার ব্যক্তিগত সমস্যা৷ সেজন্য আমি ভুগবো কেন?"

"অল্প ভুগেছো৷ যাতে বেশি ভুগতে না হয় সেজন্যই সরে গিয়েছিলাম।"

"অল্প ভুগেছি!"

মীরার কন্ঠে রাগ ঝরে পড়ছে। সে এবার চিৎকার করে বলল,

"তোমার কোনো ধারণা নেই রাফি, কী দিন পার করেছি আমি!"

রাফি এবারো হেসেই বলল,

"তোমারও কোনো ধারণা নেই আমাদের সম্পর্কটা থাকলে কী দিন পার করতে হতো। আমরা সবসময় যেটুকু ফেস করি সেটুকুকেই সর্বোচ্চ ভাবি। যা ফেস করি না তার কথা তো জানিই না।"

মীরা রাফির চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,

"তোমার এই যুক্তি খুব পাকা। কিন্তু আমি এখানে যুক্তিবিদ্যার ক্লাস করতে আসিনি। কেন আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলে সেই কৈফিয়ত আমার চাই। আমার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটাও আমি জানতে চাই।"

"তোমার মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না। সমস্যা পুরোটাই আমার ছিল।"

"কী সমস্যা সেটাই জানতে চাচ্ছি।"

রাফি হেসে বলল,

"বলছি তার আগে অন্য একটা কথা বলি?"

"বলো।"

"তোমার এই কঠিন রূপটা ভাল লাগছে। নিজেরটা আদায় করতে শিখে গেছ। খুব দরকার ছিল এটা।"

মীরা এবার অন্যদিকে তাকালো। রাফি হাঁটা শুরু করে বলল,

"চলো হাঁটি।"

মীরা এসে রাফির পাশাপাশি হাঁটতে শুরু করলো। রাফি বলল,

"আচ্ছা তুমি এতবছর বাদে হঠাৎ কেন এসব জানতে চাচ্ছো?"

মীরার এবার নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে কষ্ট হচ্ছে। সে বলল,

"এতোদিন জানতে চাওয়ার জন্য তুমি ছিলে টা কোথায়? ৯ টা বছর ধরে পাগলের মত খুঁজছি তোমাকে, সেদিন কেবল তোমার নাগাল পেলাম।"

"কেন তুমি তো আমাদের বাসা চিনতে। ব্রেকাপের পরেও এক বছর সেখানে থেকেছি, তুমি তো সেখানে যেতে পারতে।"

মীরা এবার একটু নরম হয়ে বলল,

"গিয়েছিলাম। খুঁজে পাইনি।"

"কেন?"

"যেদিন তোমাদের বাসায় গিয়েছিলাম সেদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। কোনদিক দিয়ে কোনদিকে যাচ্ছি কিছুই খেয়াল ছিল না।"

রাফি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

"ও আচ্ছা।"

মীরা অনুনয় করে বলল,

"৯ টা বছর ধরে ঘুরছি কত প্রশ্ন নিয়ে! এখন তো বলো কেন হারিয়ে গিয়েছিলে?"

রাফি একবার মীরার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,

"মীরা তুমি কখনো না খেয়ে থেকেছো?"

"রাগ করে কত না খেয়ে থেকেছি! কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?"

রাফি হাত নেড়ে বলল,

"রাগ করে নয়। তুমি ক্ষুধার্ত কিন্তু তোমার কাছে খাওয়ার কিছু নেই। খাবার কেনার টাকা নেই। এমন পরিস্থিতিতে না খেয়ে থেকেছো কখনো?"

মীরা কথার আগামাথা বুঝতে পারছে না। মাথা নেড়ে বলল,

"না এমন তো হয়নি।"

রাফি উদাস গলায় বলল,

"আমি থেকেছি৷ ছোট্ট রূপ ক্ষুধার যন্ত্রণায় কেঁদেছে, অথচ আমি ওকে আমি তিনবেলা ঠিকমতো খাবার দিতে পারিনি। টাকার অভাবে আমাদের দুই ভাইয়েরই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়টা ছিল আমাদের সম্পর্কের শেষ দিকে। ফোনে টাকা ভরতে পারতাম না তাই তোমাকে রেগুলার ফোন দিতে পারতাম না। সামান্য সব ব্যাপারে হুটহাট রেগে যেতাম। তুমি বলতে আমি বদলে গেছি। তোমাকে আগের মত ভালোবাসি না। তখন আমি ব্রেকাপ করতে চাইতাম। আমার মনে হতো এই সম্পর্ক রাখার কোনো মানেই হয়না। যে জীবনে আমার প্রতিটা দিন অনিশ্চিত সেই জীবনে আরেকজনকে ভালোবাসার ছুঁতোয় জড়িয়ে রাখা যায় না।"

মীরা আচমকা আবার রাফির সামনে এসে দাঁড়ালো। বিস্মিত কন্ঠে বলল,

"কী বলছো তুমি? এমন অবস্থা হলো কী করে?"

রাফি মীরার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,

"মা টার্কি যাওয়ার কয়েকমাস পর থেকে আমরা তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। নানাবাড়ির ফ্যামিলি যেহেতু বাবা-মার বিয়েটা মানেনি তাই ওইবাড়ির কারো সাথেই কখনো আমাদের যোগাযোগ হয়নি। বাবা মাকে নিয়ে খুব টেনশন করতো। কিন্তু মাকে খুঁজতে যে টার্কি যাবে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না কারণ অত টাকা বাবার হাতে তখন ছিল না। বাবার জমানো টাকাপয়সা যা ছিল তা দিয়েই মাকে টার্কি পাঠিয়েছিল। তারপরেও একসময় ভাবছিল লোন করে হলেও যাবে কিন্তু তার আগেই বাবা মারা যায়।"

"কিন্তু মা তো এখন তোমাদের সাথেই আছে।"

"হ্যাঁ আরো অনেক পরে ফিরেছে।"

রাফি আবার হাঁটা শুরু করেছে। মীরাও হাঁটা ধরে বলল,

"এতদিন কেন আসেনি?"

"এক এক করে বলছি সব। আগে তোমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেই। আমাদের ব্যাংক টাউনের বাড়িটা বাবা অফিস থেকে হোম লোন নিয়ে করেছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের পুরো টাকাটাই হোম লোনে কাটা গেছে। তবু পুরো লোন শোধ হয়নি। বাকীটা বড় চাচার কাছ থেকে ধার হিসেবে এনে দিয়েছি। মনে হয়েছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকলে আমরা কিছুটা নিশ্চিন্ত। ওদিকটা এভাবে ম্যানেজ হয়েছে কিন্তু আমাদের সংসার চলবে কীভাবে? টিউশনি করার মত ক্ষমতা আমাদের দুই ভাইয়ের কারোই ছিল না। আর ওদিকে টিউশনিতে ইনকামও খুব একটা ছিল না। আমার সেমিস্টার ফাইনাল দেয়া হয়নি কারণ সেমিস্টার ফি দিতে পারিনি। ওদিকে সামনে রাহির এইচএসসি পরীক্ষা, ফর্ম ফিলাপের টাকা নেই। আমার পড়াশোনা বন্ধ হলেও চাচ্ছিলাম না রাহির টা হোক। ঘরের টিভি ফ্রিজ থেকে শুরু করে একে একে সব ফার্নিচার বিক্রি করেছি। সেই টাকা দিয়ে রাহির পড়াশোনা আর আমাদের সংসার চলেছে কয়েকমাস। কিন্তু একটা সময় বিক্রি করার মতো আর কিছুই ছিল না। ইলেকট্রিক বিল জমতে জমতে একসময় লাইন কেটে দিল। সন্ধ্যার পর মোম জ্বালাতাম আমরা। গ্যাস বিল জমতে জমতে গ্যাস লাইনও কেটে দিল। মাটির চুলা বানিয়ে রান্না করেছি। পাগলের মত একটা কাজ খুঁজছিলাম আমি। যেকোনো কাজ। ওদিকে অনেক গার্মেন্টস আর বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যাক্টরি ছিল। সেগুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ালেও নাকি শ্রমিকের চাকরি পাওয়া যায়। এমনটা শুনে গিয়েছি কয়েক জায়গায়। কিন্তু তুমি ভাবতে পারবে না আমি শুধু বিদেশীদের মত দেখতে বলে লোকে ভাবতো আমি সত্যিই বিদেশী। ওসব কষ্টের কাজ করতে পারব না। যাই হোক, কোনোমতে সাভারের একটা কম্পিউটারের দোকানে কাজ নিলাম। খুবই অল্প বেতনে। তবু তো কোনো কাজের ব্যবস্থা হলো এই ভেবেই তখন আমি খুশি। কিন্তু এক মাস যাবে তারপর টাকা পাব, ওদিকে বাসায় গিয়ে দেখি আমার রূপ ক্ষুধায় কাঁদছে। বাসায় খাওয়ার কিচ্ছু নেই। সকাল থেকে সে গাছের শসা খেয়ে আছে। কারো কাছে হাত পাততে না জানা আমি তখন বড় চাচাকে ফোন করলাম সে জানিয়ে দিল আগের টাকা শোধ না করা পর্যন্ত সে আর ধার দিতে পারবে না। ছোট চাচার কাছে চাইতে সে আমাকে ১০০ টাকা দেবে বলল এবং সেটা আমার ধামরাই গিয়ে আনতে হবে। সে মহাব্যস্ত পুলিশ অফিসার কিনা। তখন আমার মনে হলো আমার ফিউচার কী? পড়াশোনা হওয়ার আর তো কোনো চান্স নেই। এমনিতেই কিছু কম্পিউটারের কাজ জানি, তাই একটা দোকানে কাজ পেয়েছি। ওই দোকানে থেকে থেকে হয়তো আরো কিছু কাজ শিখতে পারব। কিছু বেতন বাড়বে বা আরো বড় কোনো দোকানে কাজ পাব। এইতো তাই না? আর তুমি? তুমি যেমন ফ্যামিলির মেয়ে, তারা কখনো তোমাকে বাবা-মা ছাড়া দোকানের একজন অশিক্ষিত কম্পিউটার অপারেটরের সাথে বিয়ে দেবে? ওই পরিস্থিতিতে তোমার সাথে সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আর আগুনের উপর হাঁটা একই কথা। প্রেম ভালোবাসার অনুভূতিগুলো কাজ করতো না। একসময় সারাদিন তোমার কথা ভাবতে থাকা আমার কখনো সারাদিনে একবারও তোমার কথা মনে পড়তো না। কিন্তু আবার প্রতিদিন ব্রেকাপ করতে চেয়েও পারতাম না। তুমি কল দিলেই দুর্বল হয়ে পড়তাম। তাই সিমটা ভেঙে ফেলে ফোনটা বিক্রি করে দিলাম। কিছু টাকাও হাতে এলো।"

কথা শেষ হতেই রাফি মীরার দিকে তাকিয়ে দেখে মীরা কাঁদছে। হেসে বলল,

"আরে কাঁদছো কেন তুমি?"

মীরা হুট করে রাফিকে জড়িয়ে ধরে বলল,

"এসব তখন কেন বলোনি আমাকে?"

বরাবরের মত এবারো রাফি ধরতে পারল না মীরাকে। শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,

"ছেলেরা নিজের দুর্বলতার কথা গার্লফ্রেন্ডকে বলতে পারে না মীরা। আমি তো আরো না।"

মীরা এবার চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেছে। রাফি হেসে বলল,

"আরে মেয়েটা পাগল নাকি! সেই দিন কবেই চলে গেছে, এখন কেন কাঁদছো?"

রাফির কোনো কথাতেই কাজ হচ্ছে না, মীরা হাউমাউ করে কাঁদছে।

পর্ব ২২পর্ব ২৪
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।