হাওয়াই মিঠাই - পর্ব ২৪ - মৌরি মরিয়ম - ধারাবাহিক গল্প

পড়ুন মৌরি মরিয়ম'এর লেখা একটি অসাধারণ ধারাবাহিক গল্প হাওয়াই মিঠাই'র চতুর্ব্বিংশ পর্ব
হাওয়াই মিঠাই
হাওয়াই মিঠাই

রাফি এবার মীরাকে সরিয়ে দিতে চাইলো। মীরা চোখ তুলে রাফির দিকে তাকিয়ে বলল,

"একবার আমাকে ধরতে পারো না?"

রাফি হেসে বলল,

"না পারি না।"

মীরা তখনো কাঁদছিল। রাফি তাকে সরিয়ে দিল। পাশেই একটা গাছ ভেঙে পড়ে ছিল। রাফি সেখানে গিয়ে বসলো। মীরা গিয়ে পাশে বসল। রাফি বলল,

"আমি ভেবেছিলাম তুমি শক্ত হয়েছো। এখন দেখছি আসলে ঠিক আগের মতোই আছো।"

"আমি শক্তই হয়েছি রাফি। শুধু তোমার সামনে এলেই আমি আগের মীরা হয়ে যাচ্ছি।"

রাফি এবার হেসে দিল। মীরা চোখ মুছে বলল,

"তারপর কী হলো রাফি? যে বাড়ি বাঁচানোর জন্য এতকিছু করলে সেই বাড়িই কেন বিক্রি করলে? মা কবে ফিরে এলো?"

রাফি বলল,

"তোমার সাথে ব্রেকাপের বছরখানেক পর পর্যন্ত ব্যাংক টাউনেই ছিলাম।"

"ওই দোকানটাতেই কাজ করতে তখন?"

"হ্যাঁ।"

"রূপ কার কাছে থাকতো?"

"রাহির যতদিন এইচএসসি পরীক্ষা চলেছে ততদিন পাশের বাসার আন্টির কাছে রেখে যেত। কখনো কাজিনরা কেউ কেউ আসতো।"

"মীরা আপু আসতো না?"

রাফি হেসে বলল,

"আসতো মাঝেমধ্যে।"

"তুমি দোকানে চলে যাওয়ার পর?"

"হ্যাঁ।"

"তারপর?"

"রাহির পরীক্ষার পর ও বাসাতেই থাকতো। ভর্তিকোচিং করতে পারেনি সেই ডিপ্রেশনে ভর্তি পরীক্ষাও দেয়নি কোথাও। রাহিও ভেবেছিল পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাজ শুরু করবে। কিন্তু রূপকে রাখার আর কেউ ছিল না বলে ওকে কিছু করতে দেইনি। বলেছিলাম রূপ আরেকটু বড় হলে যখন একা থাকতে পারবে তখন নাহয় ও কিছু করবে। পরের বছর মা ফিরে আসার পর রাহি একটু সাহস ফিরে পেয়েছিল। তখন আবার পড়াশোনা শুরু করে।"

"তুমি আবার শুরু করোনি কেন?"

"সবাই মিলে পড়াশোনা করলে ইনকাম করবে কে?"

মীরা প্রসঙ্গ পাল্টে বলল,

"কোথায় পড়েছে রাহি ভাইয়া?"

রাফি হেসে বলল,

"এখানেই।"

মীরা অবাক হয়ে বলল,

"জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে?"

"হ্যাঁ।"

"কোন ডিপার্টমেন্ট?"

"ইকোনমিকস। রাহিই আমাকে প্রথম বলেছিল তুমি এখানে পড়ো।"

মীরা এবার দ্বিগুণ অবাক হয়ে বলল,

"রাহি ভাইয়া কীভাবে জানলো?"

"ক্যাম্পাসে দেখেছে তোমাকে।"

"কই আমি তো দেখিনি।"

"তোমাকে কে না চেনে। তুমি তো ক্যাম্পাসে গুন্ডি বলে বেশ পপুলার। রাহি তো ছিল আমজনতা।"

মীরা এবার অভিমানী গলায় বলল,

"আমার সব খবরই ছিল তবে তোমার কাছে। অথচ আমি পাগলের মত শুধু খুঁজে গেছি, পাইনি কোথাও।"

"সব খবর ছিল না মীরা। বেশি খবর রাখলে আবার দুর্বল হতে সময় লাগতো না। একবার প্রতিরোধ ভেঙে গেলে তাসের ঘরের মত ছাই হয়ে যায়।"

"প্রতিরোধ ভেঙে গেলে ক্ষতি কী ছিল?"

"সত্যিই জানতে চাও কী ক্ষতি ছিল?"

"হ্যাঁ অবশ্যই জানতে চাই।"

"সেদিন বললাম না মা মেয়ে দেখছে আমার জন্য?"

"হ্যাঁ।"

"মার যেসব মেয়ে পছন্দ হচ্ছে তাদের আমাকে পছন্দ হচ্ছে না।"

মীরা আকাশ থেকে পড়লো,

"তোমাকে পছন্দ হচ্ছে না? অন্ধ নাকি তারা?"

"মানে মেয়েগুলোর ফ্যামিলির আমাকে পছন্দ হচ্ছে না। ইন্টার পাশ ছেলের সাথে কেউ মেয়ে দিতে চায়? পাত্রের সব দোষ মানা যায়, শুধু অশিক্ষিত দোষটা ছাড়া।"

এবার মীরা চুপ হয়ে গেল। রাফি বলল,

"তখন আমার প্রতিরোধ ভেঙে গেলে আজ তোমার ফ্যামিলি থেকে রিফিউজ হতে হতো। নিজের অবস্থান ভাবো আর আমার অবস্থান ভাবো।"

"তুমি তো আমার থেকে বেশি টাকা আয় করো।"

"কিন্তু তুমি ম্যাথমেটিকসে পোস্ট গ্রাজুয়েট। আর আমি ইন্টার পাশ।"

"পোস্ট গ্রাজুয়েট হইনি এখনো। আরো দু সেমিস্টার বাকী।"

"হয়ে তো যাবে।"

মীরা চুপ। রাফি বলল,

"যাই হোক, অনেক ফ্যামিলি আবার এইসব দেখে না। ছেলের টাকা থাকলেই চলে। সেসব ফ্যামিলি আবার আমার মায়ের পছন্দ হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিয়ে হচ্ছে না।"

মীরা এবার রেগেমেগে বলল,

"বিয়ে করার জন্য একদম নাচছো দেখছি!"

রাফি হেসে ফেলল। তারপর বলল,

"নাচছি না৷ তবে বয়স হয়েছে না? মানুষের বাচ্চাকাচ্চা দেখলে হিংসা লাগে, মনে হয় বাবা হওয়ার জন্য হলেও বিয়ে করা উচিত।"

রাফির বিয়ের কথা শুনে মীরার আবার কান্না পাচ্ছে। সে প্রসঙ্গ পাল্টে বলল,

"আমরা ট্র‍্যাক চেঞ্জ করে ফেলেছি। তুমি বাড়ি বিক্রি করেছিলে কেন সেটা বলছিলে।"

"ওহ হ্যাঁ। মায়ের খোঁজ নেয়ার কোনো অপশন ছিল না। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল কখনো না কখনো মায়ের খোঁজ পাবই। সেই আশায় বসে ছিলাম। বছরখানেক পর একদিন রাতের বেলায় মা রাহির ফোনে কল করে।"

"তারপর?"

"তারপর বাবাকে চায়। রাহি বলতে পারে না বাবা যে আর নেই। সেই কথাটাও আমাকেই বলতে হয়েছিল। জীবনে প্রথমবার মায়ের কান্নাটাও আমাকেই শুনতে হয়েছিল।"

যে মানুষটাকে ভালোবেসে মা নিজের পরিবার, নিজের দেশ সবকিছু ছেড়ে একসময় চলে এসেছিল; সেই মানুষটার মৃত্যুর সময় পাশে থাকতে পারেনি, শেষবারের মতো দেখতেও পারেনি। এসব ভাবতেই আবার মীরার বুকের ভেতর কান্না উছলে উঠলো। রাফি বলল,

"টার্কি যাওয়ার কিছুদিন পর মা এক্সিডেন্ট করে। এরপর কোমায় চলে যায়। প্রায় দেড় বছর পর জ্ঞান ফেরে। তারপরই মা বাবাকে ফোন করে। বাবার নাম্বার বন্ধ পেয়ে আমাকে ফোন করে। আমার নাম্বারও বন্ধ পেয়ে রাহিকে ফোন করে।"

"ভাগ্যিস রাহি ভাইয়ার নাম্বার খোলা ছিল।"

"এই আশাতেই রাহির ফোন খোলা রাখতে বলেছিলাম। নাহলে অভাবের সময় রাহিও ওর ফোন বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল।"

"আচ্ছা মায়ের ফ্যামিলির কেউ কি পারতো না তোমাদের কারো সাথে যোগাযোগ করতে? নাকি তারা তখনো তা চায়নি।"

"ব্যাপারটা তেমন না। তাদের কাছে কারো ফোন নাম্বার ছিল না। মায়ের ফোন এক্সিডেন্ট স্পটে পাওয়া যায়নি। তাই তারা যোগাযোগ করতে পারেনি।"

"মা কেন যেন গিয়েছিল টার্কিতে?"

"নানা অসুস্থ ছিল। সে মাকে দেখতে চেয়েছিল। যাওয়ার পর সে চেয়েছিল মা কিছুদিন থাকুক। তাই মা তিনমাস থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগেই তো কতকিছু হয়ে গেল।"

মীরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

"তারপর?"

"তারপর মা ফিরে আসতে চাইলো কিন্তু তার কাছে ফেরার টাকা ছিল না। ওদিকে মায়ের চিকিৎসা করিয়ে মামাদেরও হাত খালি। মাত্র ৫০-৬০ হাজার টাকার মামলা কিন্তু আমাকে কেউ সাহায্য করেনি তখন। একরকম রাগের মাথাতেই বাড়িটা বিক্রি করে দেই। খারাপ লেগেছিল, বাবার এত শখের বাড়ি! তারপর আবার মনে হলো, মায়ের চেয়ে বেশি শখের তো বাবার আর কিছুই ছিল না। তাকে তার সন্তানদের কাছে ফিরিয়ে আনতেই তো বিক্রি করছি। বাড়ি বিক্রি করে মাকে টাকা পাঠাই। এরপর মা ফিরে আসে।"

"বাড়ি বিক্রি করে দাদাবাড়িতে উঠেছিলে সেখানে কোনো সমস্যা হয়নি?"

"কে বলল দাদাবাড়িতে উঠেছিলাম?"

মীরা থতমত খেয়ে গেল। রাফি যে ধামরাই ছিল সেটা শান্তনার কাছে জেনেছে এ কথা রাফিকে বলবে কী করে? শান্তনা তো মানা করেছিল। সে বলল,

"আমি শুনেছিলাম তুমি ধামরাই ছিলে?"

"হ্যাঁ ওখানে বাসা ভাড়া কম আর প্রতিদিন সাভার আসা-যাওয়া করতে সমস্যা হবে না তাই ওখানে বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম। দাদাবাড়িতে উঠিনি। যে চাচারা অসময়ে তাদের আসল চেহারা দেখিয়েছে তাদের কাছে উঠব আমি? তার উপর সেখানে মীরা থাকে।"

"মীরা আপু কি বড়চাচার মেয়ে?"

"হ্যাঁ।"

"তারপর বিজনেস কীভাবে শুরু করলে?"

"তারপর মা বলল বাকি টাকা দিয়ে বিজনেস শুরু করতে।"

"ব্যবসা করার মত তেমন সাহস আমার ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে টাকাগুলো খরচ হয়ে যাচ্ছিল। তারচেয়ে কিছু করাই ভালো। সাভারে ছোট করে একটা কম্পিউটারের দোকান দিলাম। তারপর সেখান থেকে প্রফিট জমাতে জমাতেই দুবছর পর দোকানটা ঢাকায় ট্রান্সফার করি। ব্যবসাটা আসলে ঢাকা যাওয়ার পরেই ভালোভাবে বাড়ে। প্রথমে ছোট একটা দোকান নিয়েছিলাম। পরে পাশেরগুলো নিয়ে বড় করেছি।"

রাফির কথা শেষ হলে মীরা হঠাৎ করেই বলল,

"আচ্ছা তুমি যে বললে খুব বেশি খোঁজ নিতে না আমার। তার মানে তো অল্প করে নিতে। তাইনা? কখন অল্প করে নিতে?"

রাফি হেসে বলল,

"এখন এসব জেনে কী হবে?"

"আমি যে তোমাকে খুঁজতাম সেটা জানতে?"

"না।"

"সত্যিই জানতে না?"

"সত্যিই টের পাইনি কখনো।"

"টের পেলে যোগাযোগ করতে?"

"প্রথমেই করতাম না। যখন বুঝতাম তুমি সামলে উঠেছো তখন করতাম।"

"খোঁজ নিয়ে কি কি জানতে পেরেছো?"

"এইযে তুমি সেই অবলা মীরা নেই আর। গুন্ডি হয়ে গেছ। ক্যাম্পাসের ছেলেরাও তোমাকে মোটামুটি ভয় পায়।"

"আমি যে গন্ডায় গন্ডায় প্রেম করি এটা জানতে পারোনি?"

রাফি এবার হেসে বলল,

"জানি। এমনকি তুমি রাহির এক বন্ধুর সাথেও প্রেম করেছ।"

মীরা চোখ কপালে তুলে বলল,

"নাউজুবিল্লাহ! কে সে?"

রাফি হেসে বলল,

"আকাশ। ঘুষি মেরে যার নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলে।"

মীরা হেসে বলল,

"কিন্তু আকাশ তো এখানে পড়ে না।"

"আকাশ রাহির কলেজের বন্ধু। এখানকার না।"

"তোমার কষ্ট হয়নি ওসব শুনে?"

"না। তুমি নিজেকে সামলে নিয়েছ এটা জেনেই শান্তি পেয়েছি। কারণ অন্যায়ভাবে ছেড়ে গিয়েছিলাম তো আমিই। আমি যদি তোমাকে ছেড়ে না যেতাম তাহলে তো আর তুমি এসব করতে না।"

"তোমার জায়গায় আমি থাকলে কিন্তু ভুল বুঝতাম।"

রাফি হেসে দিল। মীরা বলল,

"রাফি সিরিয়াস কোনো সম্পর্কেই আমি নেই। আমি শুধু টাইমপাস করি। তোমার উপর অনেক রাগ ছিল। সেই রাগ মেটানোর জন্য আমি প্রেম করতাম আর দু'তিন মাস গেলেই কারণ ছাড়া ব্রেকাপ করতাম। কেন জানিনা এতেই আমি শান্তি পেতাম।"

"জানি।"

"আচ্ছা রাফি তুমি কি ইচ্ছে করেই আমার থেকে সাবধানে থাকতে? এতদিন এত খোঁজার পরেও কেন পাইনি আমি তোমাকে?"

"না মীরা। তুমি যে আমাকে খুঁজছো সেটাই তো আমি জানতাম না। আসলে আমি যখন ব্যাংক টাউন বা ধামরাই তখন তুমি ঢাকায়। আবার আমি যখন ঢাকায় চলে গেলাম, তখন তুমি জাহাঙ্গীরনগর এসে পড়লে। আমি ঢাকায় অথচ তুমি খুঁজছো ব্যাংক টাউন আর ধামরাই। তার উপর তোমার কাছে কোনো ঠিকানাও নেই। না পাওয়াটাই তো স্বাভাবিক।"

মীরা রাফির একটা হাত জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রেখে বলল,

"এবার পেয়েছি। আর ছাড়ছি না। তোমাকেও আর ছাড়তে দেব না।"

রাফি মীরাকে সরিয়ে দিতে চাইলো। মীরা কাঁকড়ার মত আঁকড়ে ধরে রইলো। রাফি বলল,

"গেছে মাথাটা আবার গেছে। ছাড়ো মীরা। এভাবে ধরার মত সম্পর্ক ৯ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে।"

মীরা ছেড়ে দিল তবে বলল,

"আমরা আবার শুরু করব রাফি।"

"এখন তুমি আবার সেই স্কুলে পড়া মীরার মতোই কথা বলছো। অথচ তুমি এখন অনেক ম্যাচিওরড।"

মীরাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রাফি আবার বলল,

"চলো আজকে উঠি। আমার তো আবার ঢাকায় ব্যাক করতে হবে।"

রাফি উঠে দাঁড়িয়ে দ্রুতপায়ে হাঁটা শুরু করলো। মীরা তার জায়গা থেকে নড়লো না। সেখান থেকেই চিৎকার করে বলল,

"গত ৯ টা বছরে আমি এটাই বুঝেছি রাফি যে তোমাকে ছাড়া আমার ভাল থাকা সম্ভব না। আর আমি ভালো থাকতে চাই রাফি।"

রাফি পেছন ফিরে মীরার দিকে তাকিয়ে যেন শুনতেই পায়নি এমন ভাব করে বলল,

"চলো ফেরা যাক।"

রাফি মীরাকে বাসায় পৌঁছে দিতে গেলো। যখন দেখলো মীরার বাসা ঠিক ওর পুরোনো বাসার উল্টোদিকেই তখন সে অবাক হয়ে বলল,

"তুমি সত্যিই পাগল মীরা।"

মীরা অভিমানী গলায় বলল,

"পাগল করে এখন আবার ন্যাকা সাজা হচ্ছে।"

রাফি বলল,

"সবকিছু হৃদয় দিয়ে না ভেবে কিছু ব্যাপার মস্তিষ্ক দিয়ে ভেবো।"

ঠিক তখন তিনতলার বারান্দা থেকে তাহিয়া ডাকলো,

"রাফি ভাইয়া..."

রাফি উপরে তাকিয়ে ওকে দেখতেই বলল,

"হ্যালো তাহিয়া। কি খবর কেমন আছো?"

"ভালো আছি। ওখানে দাঁড়িয়ে কেন? বাসায় আসুন না।"

"আজ সময় নেই আপু।"

মীরা বলল,

"কত সময় আর লাগবে? অন্তত এক কাপ চা খেয়ে যাও। যদিও আমার হাতের চা ভালো না। তাহিয়া ভালো বানায়।"

"পাগল নাকি আমি? রাস্তাঘাটে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরো বাসায় নিয়ে কী করবে তার ঠিক আছে?"

পর্ব ২৩পর্ব ২৫

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন