সুমিতা বেগম ও উপমা বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের কাজে লেগে আছে। ব্যস্ততায় ছেয়ে আছে আরিফ সাহেব আর অর্ণবও। ঘরোয়া ভাবে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও জানানো হয়েছে অনেক মানুষকেই। প্রতি নিয়ত মনে হচ্ছে, তাকে জানানো হয়নি; জানানোটা জরুরি। ইতোমধ্যে ত্রিশ জনকে নেমন্তন্ন করা হয়েছে। চারদিন বাদেই বিয়ে। এত জলদি! এই নিয়ে আরিফ সাহেব দ্বিমত করেছিলেন। কিন্তু ছেলে পক্ষের কঠোর যুক্তির জন্য পেরে ওঠেননি।
রুমের মাঝে উপমার প্রবেশ হতেই অর্ণব অভিমানী গলায় বলল, “এতক্ষণে এলে! আর এলে কেন? যাও যাও, কাজ করো। বর তো কেউ না তোমার!”
উপমা ক্লান্ত ভঙ্গিতে বলল, “অনেক কাজ আছে গো।”
অর্ণব বিছানার উপর ফেলে রাখা ফাইলগুলো গোছাতে গোছাতে বলল, “তো এলে কেন?”
উপমা জিজ্ঞেস করল, “আমার কেন যেন টেনশন হচ্ছে।”
অর্ণব চিন্তিত স্বরে বলল, “টেনশন কেন?”
উপমা কথাটা চেপে গেল। বিয়ের প্রপোজাল পাঠাবে, এটা হৃদ ওকে বলেছিল। কিন্তু পাঠিয়েও দিয়েছে! এটা বলেনি। উপমার ফোনে প্রবলেম হয়েছে। দুই একদিনের মাঝে নতুন ফোন কিনে হৃদকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে। উপমার টেনশন কিছুটা কমে, সাঁঝের এমন ভাব দেখে। সাঁঝ বিয়েতে রাজি হয়ে গেল! যাই হোক, একবার সাঁঝকেই জিজ্ঞেস করতে হবে। নয়তো উপমার চিন্তা কমবে না।
উপমা বলল, “আচ্ছা থাকো। আমি সাঁঝের কাছে যাই।”
অর্ণব বলল, “আর আসবা না। যাও। রাতেও ওখানেই থাকবা।”
উপমা মুচকি হেসে বলল, “আচ্ছা।”
অর্ণব কপাট রাগ দেখিয়ে বলল, “কী মেয়ে! অভিমানও বোঝে না!”
উপমা সোজা সাঁঝের রুমে চলে এলো। সাঁঝ আলমারি গোছাচ্ছে। উপমা এগিয়ে এসে বলল, “ফাইনালি বিয়েটা হচ্ছেই! তাই না?"
সাঁঝ মুচকি হাসল। তার খুশি সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
উত্তেজিত কণ্ঠে বলল, “উপমা রে! কালকে এই খুশিতে আধা ঘণ্টা নেচেছি! উফফ! কখন যে কবুল বলব! আমার আর তর সইছে না!”
উপমা নিশ্চিত হলো। মিহি হেসে বলল, “আচ্ছা, যাই আমি। কাজ আছে।”
উপমা প্রস্থান ঘটাল। সাঁঝ বুঝতে পারছে না এত খুশি সে রাখবে কোথায়? বরাবরের মতোই যদি এবারও কিছু একটা গন্ডগোল হয়! সাঁঝ যতবার মাত্রাতিরিক্ত খুশি হয়েছে, ততবার সেই কারণটা বিগড়ে গিয়েছে।
হঠাৎ সাঁঝের মনে হলো, অদিতিকে এখনও জানানো হয়নি। বিছানায় বসে কল লাগাল অদিতিকে। কিন্তু, এই কথাটা মুখোমুখি বললে ভালো হয়।
অদিতি কল রিসিভ করেই জিজ্ঞেস করল, “কী খবর?”
“ভীষণ ভালো, তোর?”
“আমারও।”
অদিতি আবারও জিজ্ঞেস করল, “ঢাকা ফিরেছিস?”
“না।”
“ফিরবি কবে? কাল না পরশু?”
“চার-পাঁচদিন পর।”
“কীঃ! এতদিন থাকার জন্য তো আসিসনি। কিছু হয়েছে?”
“হু, অনেক কিছু।”
“কী হয়েছে?”
“দেখা করে বলি?”
“আচ্ছা। কখন?”
“বিকেলে বাসায় থাকিস। আসব আমি।”
“আচ্ছা।”
অদিতির সাথে কথা শেষ হতেই সাঁঝ ফ্রেন্ডস গ্রুপে কল দিল। খানিকক্ষণের মধ্যে আয়াত ও প্রণব জয়েন করল, এবং স্ক্রিনে সাঁঝের উজ্জ্বল মুখশ্রী দেখতে পেল। সাঁঝের মুখ কখনো এতটা উজ্জ্বল তারা দেখেনি, হঠাৎ বাড়ি যাওয়ার পর সাঁঝের এমন মুখভঙ্গি তাদের বোধগম্য হলো না।
আয়াত ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল, “কীরে! বিয়ে-টিয়ে ঠিক হয়ে গেল নাকি তোর?”
বিপরীতে সাঁঝ লাজুক হাসল। এদিকে ক্যামেরার ওপাশের দুই মানব-মানবীর অক্ষিদ্বয় গোল হয়ে গেল। প্রণব বিস্ময় নিয়ে বলল, “কস কী সোনু! দুলাভাইয়ের বোন আছে?”
সাঁঝ হেসে বলল, “না, নেই। তবে মামাতো-ফুপাতো বোন আছে।”
প্রণব বলল, “চালায়া নিমু।”
আয়াত বলল, “প্রনুর কথা ছাড়। এটা বল আগে, দেবর আছে? না থাকলে বিয়ে ক্যানসেল। আই নিড অ্যা টসটসে বেয়ান।”
সাঁঝ বলল, “আছে একটা দেবর। মেডিক্যালের সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।
"যাক বাবা! আমার বিয়েটা তবে হবে!”
তিন বন্ধু একত্রে হেসে উঠল। সাঁঝ হাসি থামিয়ে বলল, “শুক্রবার বিয়ের ফাইনাল ডেইট হয়েছে।”
আয়াত চকিতে প্রশ্ন করল, “মানে! আজ তো সোমবার! কোন সপ্তাহের?”
সাঁঝ বলল, “চারদিন পরেই। তোরা কাল চলে আসবি।”
প্রণব কিছুক্ষণ ভেবে বলল, “কালকে যাইতে পারমু না আমি। পরশুদিন চইলা আসমু। বুধবার ফাইনাল।”
আয়াতও বলল, “আমাকে তো মা-পাপা একা এতদূর যেতে দেবে না রে। আমি বরং প্রনুর সাথে আসব।”
সাঁঝ প্রণবকে বলল, “কাল আসতে পারবি না কেন? কোন গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেইটে যাবি?”
প্রণব ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে আশেপাশে দেখাল। আয়াত ভ্রু কুঁচকে বলল, “এটা তো তোর রুম না! কোথায় আছিস?”
সাঁঝ বলল, “দেখে তো হোটেলের কোনো রুম মনে হচ্ছে!”
আয়াত চিল্লিয়ে বলে উঠল, “গফের সাথে লিটনের ফ্ল্যাটে! ছিঃ!, মামা, ছিঃ!”
প্রণব ফ্রন্ট ক্যামেরা ওপেন করে বলল, “জি ন্যাহ্! সিলেট আসছিলাম, ঘুরবার। এন্ড একা।”
আয়াত রাগী চোখে তাকিয়ে বলল, “আমাকে নিয়ে গেলেও তো পারতিস!”
প্রণব হেসে বলল, “তুইই তো কইলি, তোর ঝাকানাকা মা-পাপা তোরে একা কোথাও যাইবার দিব না।”
আয়াত নিচু স্বরে বলল, “ফ্রেন্ডসদের কথা বললে অবশ্যই যেতে দিত।”
প্রণব বলল, “এটা ফ্রেন্ডসদের লগে হইব না। একটা পোলা ফ্রেন্ডের লগে হইব।”
সাঁঝ চিৎকার দিয়ে বলল, “থামবি তোরা?”
প্রণব বাঁকা হেসে বলল, “একটা ননদ পটায়া দে। তারপর।”
আয়াতও একই সুরে বলল, “একটা দেবর পটায়া দে। তারপর।”
__________________
সন্ধ্যা হতে না হতেই সাঁঝের মনে পড়ে গেল তিনদিন আগের কথা। হুট করে ঢাকা থেকে চলে এসেছিল হৃদ। সেই সন্ধ্যেটা মনে হতেই সাঁঝের সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠল। ভালোবাসার প্রথম স্পর্শ! অজানা কারণে সাঁঝের অধর কোণে হাসির রেখার দেখা মিলল। সাঁঝ দৌড়িয়ে গিয়ে দাঁড়াল বারান্দায়। গ্রিল নেই। রেলিংয়ের উপর হাত রাখল।
সেদিন হৃদকে জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনি! হঠাৎ! কেন?”
হৃদ অস্থির স্বরে বলেছিল, “তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল। কাছ থেকে তোমার গলার স্বর শুনতে ইচ্ছে হচ্ছিল। তুমি তো শুধু আমার জীবনের সাথে মিশে যাওনি, আমার অভ্যেস হয়ে গিয়েছ। বড্ড ভয়ংকর এক অভ্যেস হয়ে গিয়েছ; যে অভ্যেস ছেড়ে দেওয়া আমার পক্ষে কোনো ভাবেই সম্ভবপর নয়।”
সাঁঝ অবাক চোখে তাকিয়ে বলেছিল, “এইজন্যে এত দূর চলে এলেন?”
হৃদ মুচকি হেসে বলেছিল, “এটাই হয়তো প্রেমাসুখের টান।”
সেদিনের কথা মনে হতেই সাঁঝের বুকের মাঝে সুখের হাওয়া খেলে গেল। ভালোবাসা এভাবেও পাওয়া যায়! আর ক'দিন বাদেই সে সত্যিকারের বউ সাজবে। ছোটোবেলায় স্কুলের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’তে সাঁঝ প্রতিবার বউ সাজত। তার যে বউ সাজতে ভালো লাগে।
কথা গুলো মনে হতেই সাঁঝ ভাবল, “কতদিন ধরে শাড়ি পরা হয় না!”
ভেবেই লাজুক হাসল। বিয়ের পর সে প্রতিদিনই সাজবে। সাঁঝ এখন শাড়ি পরল না। তবে একটুখানি আলতা লাগাল। পায়ে আলতা ও নূপুর পরে নিল। কী সুন্দর লাগছে!
একটা ছবি তুলে হৃদের ইনবক্সে পাঠিয়ে দিল।
মিনিট খানেকের মধ্যেই রিপ্লাই এলো, “ভোরের প্রথম কিরণ যখন পড়বে এই ধরণীতে, তুমি রঙিন পায়ে দৌড়িয়ে বেড়াবে বাগানের ঐ শিউলি গাছটির চারপাশে। আমি তোমার সেই আলতা রাঙা পায়ের নূপুর হয়ে বাজতে চাই।”
সাঁঝ হাসল। মেসেজ করল, “ফ্রী আছেন?”
হৃদ রিপ্লাই করল, “পাঁচ মিনিট পরই হসপিটাল থেকে বেরোব। তখন কল দিচ্ছি। যেতে যেতে কথা বলব।”
হৃদ পাঁচ মিনিট পর কল দিল। সাঁঝ রিসিভ করেই বলল, “উহুম উহুম! বিয়ে-শাদী করে ফেলছেন তবে!”
হৃদ মিহি হেসে বলল, “এত তাড়া কিসের?”
সাঁঝ পাত্তা দিল না। হৃদ জিজ্ঞেস করল, “হঠাৎ আলতা লাগালে?”
সাঁঝ বলল, “আমি সব হঠাৎ হঠাৎ-ই করি। আপনার প্রেমের উপলব্ধিও হঠাৎ-ই করেছি।”
“ওহ্ আচ্ছা! বাচ্চা-কাচ্চাও হঠাৎই হয়ে যাবে, না?”
“হ্যাঁ, তাই হবে।”
হৃদ ঠোঁট চেপে হাসল। সাঁঝ বুঝতে পেরে কপাল কুঁচকে বলল, “আপনি এত নির্লজ্জ হচ্ছেন কী ভাবে?”
“দু'দিন বাদে যে আমার বউ হবে, তার কাছে লজ্জা কীসের?”
“ওটা হওয়ার পর দেখা যাবে।”
“সাঁঝ! শোনো!”
সাঁঝ হালকা স্বরে বলল, “হুম। বলুন।”
“প্লিজ, আমার হয়েই থেকো।”
সাঁঝ হালকা হেসে বলল, “আমি তো আপনারই! আর কার হব?”
হৃদ ব্যথিত গলায় বলল, “ইদানিং বুকে ভীষণ যন্ত্রণা হয়। মনে হয়, কিছু একটা হারিয়ে ফেলব। মনে হয়, আমার বুক চিরে কেউ আমার হৃৎপিণ্ডটা ছিনিয়ে নেবে। আমি রক্তাক্ত হব, সাথে অনুভূতি শূন্য।”
“এরকম ভাববেন না।”
“না চাইতেও এসব ভাবনায় চলে আসে। আমি ঘুমোতে পারছি না। ঘুম আমার চোখের জন্য নিষিদ্ধ বস্তু হয়ে গিয়েছে।”
সাঁঝ চুপ করে আছে। বুঝতে পারছে না কী বলবে। হৃদ আবার বলল, “শুনেছি, বেশি ভাবলে ফলে যায়।”
____________________
সকালে নিজের বাসায় নিজের ছোটো আম্মুকে দেখে প্রহর এগিয়ে এসে পাশের সোফায় বসল। মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করল, “কেমন আছ, ছোটো আম্মু?”
পাশের সোফা থেকে প্রহরের ছোটো বোন পিহু দুষ্টু হেসে বলল, “বিয়ে হচ্ছে তো তোমার। তুমি বলো, কেমন আছো?”
প্রহর মাথা চুলকালো। মনোয়ারা বেগম হেসে বলল, “আমি খুব খুশি রে।”
প্রহর বলল, “আমিও।”
মনোয়ারা বেগম বলল, “আমি আগে থেকেই চাইছিলাম এটা। তোর বাবা-মা, সাঁঝের বাবা-মাও রাজি ছিল। মাঝখান থেকে তুই বিয়ের জন্য অমত করে বসেছিলি।”
প্রহর পুনরায় মাথা চুলকাল। সাঁঝকে সে আগেই ছবিতে দেখেছিল। বিয়েতে রাজি হয়নি একটাই কারণে, বয়সের ডিফারেন্সটা অনেক। সে চেয়েছিল, নিজের চেয়ে দুই-তিন বছরের ছোটো মেয়েকে বিয়ে করবে। কিন্তু সাঁঝ তার চেয়ে আট বছরের ছোটো।
সেদিন ভার্সিটির ক্যাফেটেরিয়াতে যখন সাঁঝকে দেখল। তখনই চিনে ফেলেছিল। সাঁঝের মায়াবী চাহনি তাকে ঘায়েল করেছে। তাই তো! তাই তো বিয়েতে রাজি হয়ে গেল।
রান্নাঘর থেকে প্রহরের মা মনোয়ারা বেগমকে বলল, “আপা! কী কী লাগবে, ঠিক গোছাতে পারছি না। একটু এদিকে এসো না!”
মনোয়ারা বেগম উঠে বলল, “আসছি, রেহেনা।”
__________________
বাড়িতে মানুষ আসা শুরু করেছে। আজ বুধবার। হৃদ ইদানিং কিছু কাজে ভীষন ব্যস্ত। ঠিক মতো কথা হয়ে উঠছে না সাঁঝের সাথে। সাঁঝও আগের মতো পাগলামো করে না। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়েছে। অদিতিকে সবটা বলার পর, সাঁঝের চেয়ে বেশি খুশি সে হয়েছে। অদিতি কাল আসবে। সাঁঝ ও জোর করেনি আগে আসতে। ও আসবে যে, এটাই অনেক।
বারোটার দিকেই সেখানে চলে এলো আয়াত ও প্রণব। দুজনেরই চোখ মুখে আতঙ্ক।
প্রণব গিয়ে নিজের কোমরের দুপাশে হাত রেখে চিন্তিত ভঙ্গিতে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল। আয়াত সোজা নিজের কপাল চাপড়াচ্ছে। উপমা এতক্ষণে সবটা জানার পর নিজেও হতভম্ব। হৃদকে বিষয়টা বলার সাহস পাচ্ছে না। কাল বাদে পরশু বিয়ে। বাড়ি ভর্তি মেহমান। এখন কীভাবে কী সামলাবে?
টেনশনে তিনজন বন্ধুর চেহারার এমন অবস্থা দেখে সাঁঝ জিজ্ঞেস করল, “আমার বিয়েতে খুশি নোস তোরা?”
উপমা অবিশ্বাস্য দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। আয়াত সাঁঝের বাহুতে দুটো থাপ্পড় মেরে বলল, “তোকে নিজের ফ্রেন্ড বলতে আমার রাগ লাগছে, সাঁঝ!”
সাঁঝ জিজ্ঞেস করল, “কেন? কী করেছি?”
প্রণব বলল, “তুই কিছু করস নাই। মানুষ কোন লেভেলের নাদান হয়, তোরে দেখলেই বুঝা যায়।”
সাঁঝ চোখ ছোটো ছোটো করে বলল, “মানে কী?”
আয়াত রাগী কন্ঠে বলল, “শালী, কার সাথে বিয়া বইতাছ তুমি, জানো না?”
সাঁঝের চোখ দুটো বিশালাকার হয়ে গেল। উপমা নিজেও খানিকটা তেজ দেখিয়ে বলল, “এই মাইয়া আমাকে বলেছে, ওর নাকি হৃদ ভাইয়ার সাথে বিয়ে হচ্ছে।”
প্রণব রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল, “তুই হইতাছিস, দুধে ধোয়া করলা পাতা। যা! যাইয়া বাপ-মারে ক, বিয়া করবি না তুই।”
সাঁঝ বুঝতে পারছে না ব্যাপারটা। জিজ্ঞেস করল, “কী, কেন?”
আয়াতের মেজাজ খারাপ হচ্ছে। শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা মেয়েটার ভাষাও তার মেজাজের সাথে বিগড়ে গিয়েছে। সাঁঝকে বলল, “তোর বিয়া আমার ক্রাশ, প্রহর স্যারের লগে হইতাছে।”
উপমা বলল, “আর সেই স্যার আমার চাচাতো ভাই।”
সাঁঝের মাথায় যেন আকাশ ভাঙে পড়ল। অনুভূতি শূন্য হয়ে বসে রইল। বিয়ে! অন্য কারো সাথে!
.
.
.
চলবে.....................................