মেঘের বাড়ি - পর্ব ১৪ - ফারহানা ছবি - ধারাবাহিক গল্প

পড়ুন ফারহানা আক্তার ছবি'র লেখা একটি সামাজিক ধারাবাহিক গল্প মেঘের বাড়ি
মেঘের বাড়ি
মেঘের বাড়ি

(২৭)

আগামীকাল মেঘের কেসটা কোর্টে উঠবে৷ মেঘের উকিলের সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া শেষ৷ এখন শুধু আগামীকাল আসার পালা৷ উত্তেজনায় মেঘের ঘুম উড়ে গেছে যেন৷ তবুও ঘুমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে সোহেলের চোখে ঘুম নেই আগামীকাল কোর্টে কী হবে সেই চিন্তায় মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে৷

পরেরদিন সকাল এগারোটায় কোর্টে হাজির করা হয় জায়েদা সহ তার স্বামী এবং মেয়ে জামাইকে৷ পুলিশের ইনফরমার পুলিশকে আসামির কারেন্ট এড্রেস পাঠিয়ে দেওয়ার পর পর পুলিশ এসে জায়েদা তার স্বামী মেয়েদের এরেস্ট করে নিয়ে যায় কোর্টে৷ শুধু সাথী আর তার স্বামী পালাতক ছিলো বিধায় তাদের ধরতে পারেনি৷ এদিকে মেঘ এর পক্ষ থেকে যেহেতু কেস করা হয়েছে সেহেতু তাকে উপস্থিত থাকতে হবে৷ মেঘের তিন ভাই মেঘকে নিয়ে কোর্টে হাজির হয়৷ মেঘের উকিল এসে মেঘের সাথে কথা বলে তাকে সাহস যোগানোর চেষ্টা করে৷ কারণ জীবনে প্রথমবার মেঘ কোর্ট চত্তরে পা রেখেছে৷ মেঘদের কোর্টে যাওয়ার আধাঘন্টা পর কোর্ট বসে৷ মেঘ কোর্ট রুমে হাজির হয়৷ সেখানে আগে থেকে জায়েদা সহ বাকিরা হাতকড়া পড়া অবস্থায় ছিলো৷ জায়েদা মেঘের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু সে সাহস যুগিয়ে উঠতে পারেনি৷

জজ সাহেব আসতে সবাই উঠে দাড়ায় তারপর শুরু হয় কোর্টের কার্যক্রম৷ মেঘের উকিল একের পর এক প্রমান সহ তার বক্তব্য পেশ করে জজ সাহেবের কাছে৷ তবে জায়েদার উকিলের কাছে কোন প্রমান তথ্য না থাকায় তার কোন কথায়ই ধপে ঠিকলো না৷ সোহেলের কোর্টে ঢুকতে একটু দেরি হয়৷ সোহেল কোর্টে এসে সব দেখতে লাগলো৷ জায়েদা তার ছেলের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে লাগলো৷ সোহেলের হাতে আজ কিচ্ছু নেই বিধায় চুপচাপ সব দেখে যাচ্ছে৷ মেঘের উকিল মেঘকে বি*ষ খাওয়ানো থেকে শুরু করে মেঘের জা যে তাকে সাহায্য করার জন্য নি*র্যা*তি*ত হতে হয়েছে সেটাও বলে৷ জজ সাহেব সব দেখে পরের মাসের বারো তারিখ রায় জানানো হবে বলে দিয়ে উঠে যায়৷

সব প্রমান জায়েদা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে হওয়ায় জায়েদা এবং তার স্বামী মেয়ে জামাইয়ের যে যাবত জীবন বা ফাঁ*সির রায় হতে পারে৷ জায়েদার উকিল জানায় সোহেলকে৷ সবটা শুনে সোহেল ভেঙে পড়ে৷ কোর্টের সামনে সিড়িতে বসে পড়ে৷ মেঘের ভাইয়েরা মেঘকে ধরে সিড়ি দিয়ে নেমে যেতে সাহায্য করছে৷ তিন ভাই মেঘকে এভাবে আগলে রাখতে দেখে সোহেল মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইল৷ মেঘ হঠাৎ সোহেলের সামনে দাড়িয়ে বলে উঠলো,

"মিস্টার সোহেল ডিভোর্স পেপার তো পেয়েছেন৷ আশা করি খুব শীগ্রই আপনি সাইন করে দিবেন৷ কয়েকমাস পর ডিভোর্স কার্যকর হবে ততোদিন না হয় মা বোনকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন৷"

সোহেল নরম গলায় মেঘকে বলতে লাগলো,

"মেঘ আমার মা বাবা বোন জামাই যা করেছে তা ঠিক করেনি তারা তাদের শাস্তি পাবে কিন্তু বাচ্চারা কী দোষ করেছে? তারা কেন শাস্তি পাবে?"

আজ বেশ কড়া রোদ্দুর পড়ায় মেঘের শ্যামলা বরণ মুখটা লাল বর্ণ ধারণ করেছে৷ রাগটাও যেন সে মুহূর্তে আরও বেশি মাথায় চড়ে বসলো৷ মেঘ রাগে রাত কটমট করে সোহেলের উদ্দেশ্য বললো,

"তাহলে তো এই প্রশ্ন আমিও আপনাকে করতে পারি মিস্টার সোহেল৷ আমি যাই করি না কেন আমার অনাগত সন্তান তো কিছু করেনি তাহলে তার কেন প্রাণ সংশয় হলো? উওর দিন?"

সোহেলের কাছে কোন উওর না থাকায় সোহেল চুপ রইল৷ মেঘ ঘৃনা ভরা দৃষ্টিতে সোহেলের দিকে তাকিয়ে চলে যেতে নিলে মেঘ থেমে গিয়ে বলে সোহেলকে আবার বলে ওঠে,

"দেনমহরের তিন লক্ষ টাকা৷ আমার বাড়ি থেকে দেওয়া সোনার গহনা আর ফার্নিচার গুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠিয়ে দিবেন না হলে এবার আপনার নামে কেস করতে বাধ্য হবো৷"

"মেঘ কী বলছো?"

"এক সপ্তাহ সময় দিলাম৷ আমার বলা সময়ের মধ্যে আমার বাড়ি জিনিস টাকা না পৌছালে আপনাকেও না হয়........"

বাকিটা আর বললো না মেঘ৷ নিজের প্রাপ্য বুঝে নিতে মেঘ এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দিবে না এটা তার ভাইয়েরা জানে তাই মেঘকে আর বাধা দিলো না৷ কথা শেষ হতেই মেঘ কে নিয়ে কোর্ট থেকে বেড়িয়ে যায়৷ এদিকে জায়েদা আর বাকিদের গাড়ি তে উঠানোর সময় সোহেল তার মায়ের সামনে দাড়িয়ে বললো,

"এমনটা না করলেও পারতে আম্মা৷ আজ তোমাদের কৃতকর্মের জন্য আর তোমার জে*লের ঘানি টানছো৷"

জায়েদা চোখে পানি নিয়ে সোহেলকে বলে,

"বাপ আমি যা পাপ করছি তার সাজা আমি পামু কিন্তু আমার নাতি নাতনীদের কী হইবো ওগোরে কেডা দেখবো?"

"পাপ করার আগে তোমাদের ভাবার দরকার ছিলো আম্মা৷ আর তোমার মেয়েদের যদি একটু ভালো শিক্ষা দিতা তাইলে আজ এই পরিস্থিতিতে দাড়াতে হতো না৷"

আখি মিলা কিছু বলতে গিয়েও বললো না৷ কারণ ভাইয়ের সামনে সে মুখ আর নেই যে তারা কিছু বলবে৷ সময় শেষ হতে তাদের কে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আর সোহেল ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে৷ বাড়িতে এসে দেখে আখির দুই তিন ছেলে মেয়ে মিলার মেয়েকে গোছল করিয়ে নিজ হাতে সাথী এবং মনি খাইয়ে দিচ্ছে৷ বিষয়টা সোহেলের বেশ ভালো লাগে৷ মনি তার ভাসুর কে দেখে বলে,

"ভাইজান কোর্টে কী রায় দিলো?"

"সামনের মাসে বারো তারিখ রায় ঘোষণা করবে৷"

সাথী ভয় নিয়ে সোহেল কে বলে,

"ভাই আমি তো ভাবির সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি তাহলে আমারে কেন ফাঁসালো? তৎক্ষনাৎ মনি বলে উঠলো,

"সাথী আপা আপনে ভাবিরে কিছু না কয়লেও তো বাকি রাখেন নাই৷ আপনের মা বোনের কথা উঠছেন বইছেন৷ তয় সেগুলারে কী কমু?"

সাথী মাথা নিচু করে রইল৷ কারণ তার কাছে কোন উওর নেই৷ সোহেলের মাথা প্রচন্ড ব্যাথা করছে৷ কথা না বারিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লো৷ প্রায় বিকেল করে সোহেলের ঘুম ভাঙে উঠে গোছল করে নিজে নিজে খাবার বেড়ে খেয়ে নেয়৷ তারপর লিস্ট করতে বসে মেঘের বাড়ি থেকে কী কী ফার্নিচার এসেছিলো৷ সব লিস্ট করে সবুজকে ডেকে বলে,

"আগামীকাল একটা বড় ভ্যান ভাড়া করে আনিস তো সবুজ৷"

"কেন ভাই বড় ভ্যান দিয়ে কী হবে?"

"এই লিস্ট অনুযায়ী প্রত্যেকটা জিনিস ভ্যানে তুলে তোর ভাবির বাসায় দিয়ে আসবি৷"

সবুজ কথা না বাড়িয়ে ভ্যান ঠিক করে ফেলে৷ পরেরদিন লিস্ট দেখে সব জিনিস ভ্যানে তুলে দিলো তার সাথে সাথে সাথী একটা পোটলায় মেঘের সোনার গহনা গুলো নিয়ে আসে৷ আর সোহেল মেঘের কথা মত তিন লক্ষ টাকাও গহনার ভেতর রেখে সবুজের হাতে পাঠিয়ে দিলো৷

দুপুর বেলা সবুজ মেঘের বাড়ি পৌছালে মেঘের ভাইয়েরা বেশ অবাক হয় সবুজকে দেখে সবুজ তাদের জানায় সে মাল জিনিস নিয়ে এসেছে আর এগুলো নেওয়া ব্যবস্থা করতে সাথে মেঘের সাথে দেখা করতে চায়৷ সেজবউ সবুজকে বারান্দায় বসিয়ে সরবত খেতে দিয়ে মেঘকে ডেকে আনে৷ মেঘ কে দেখে সবুজ সেই টাকা আর গহনার পোটলাটা মেঘের হাতে তুলে দিয়ে বলে দেখোতো ভাবি সব ঠিক আছে কী না?"

মেঘ গহনার সাথে তিন লক্ষ টাকা দেখে বুঝতে পারে গতকাল মেঘের বলা প্রত্যেকটা কথা মত সোহেল জিনিস টাকা গহনা পাঠিয়েছে৷

(২৮)

সবুজকে অনেক বলার পরও সবুজ ওবাড়ির অন্য মুখে তুলে নি৷ মেজভাবি সরবত দিলেও সবুজ সে সরবত খাইনি৷ তাতে মেঘ একটু কষ্ট পায়৷ বিকেলে একটা রুম ফাঁকা করে মেঘের সব জিনিস সে রুমে সাজিয়ে ফেলা হয়৷ এদিকে সোহেল সব জিনিস ওবাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার পর ঘর গুলো বেশ খালি হয়ে যায়৷ সোহেল ভেবে পায় না৷ বিদেশে থাকা কালিন হাজার হাজার টাকা পাঠিয়েছিলো ঘর বাড়ি সাজানোর জন্য অথচ সে কাজ না করে টাকা গুলো জায়েদা তার জামাইদের দিতো৷ আর কথা গুলো আজই সাথী তার ভাইকে জানায়৷ সোহেল তার আম্মার এমন রুপ দেখবে কখনো আশা করেনি৷ নিজের ঘরে গিয়ে এনভেলাপের ভেতর ডিভোর্স পেপার বের করে সোহেল ছিড়ে ফেলে৷ সবাই জানবে হয়তো তাদের স্বামী স্ত্রীর তালাক হয়ে গেছে কিন্তু আদৌতে সত্যিটা শুধু সোহেলই জানবে যে তাদের কোন তালাক হয়নি৷

এই কয়েকদিনে মা ভাবিদের যত্নে মেঘের রুগ্ন শরীর যেন তরতাজা হয়ে উঠলো৷ চোখের নিচের কালি আজ কাল আর দেখা যায় না৷ সাথে আগের থেকে মেঘ যেন আরও সুন্দর হয়ে গেছে৷ মেঘের ঘণ লম্বা চুল গুলো তার মেজভাবি তৈল দিয়ে বেনী করে দেয় প্রত্যেকদিন৷ আর তার সেজভাবি মেঘের গোছলের পর জামাকাপড় অব্দি ধুয়ে দিতো৷ দেখতে দেখতে একটি মাস কেটে যায়৷ এই এক মাসে না সোহেল মেঘকে ফোন করেছে আর না মেঘ করেছে৷ মেঘ তার সন্তানের দিকে তাকিয়ে সোহেলকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো৷ কারণ এই জন্মে সে আর ওই নরকে ফিরতে চায় না আর না চায় সংসার করতে৷

সোহেল দুদিন জেলে গিয়ে তার বাবার সাথে দেখা করে আসতো তবে তার মা বা বোন জামাইয়ের সাথে দেখা করতো না৷ সোহেল এখন তার খামার, গরু, ছাগল দেখা শুনা করে৷ ধানের সময় জমিতে ধান বুণে৷ একমাস পর সোহেল ক্যালেন্ডারের পাতায় বারো তারিখে ক্র*স চিহ্ন দিয়ে বলে আগামীকাল কোর্ট রায় দিবে৷ জানি না কী হতে চলেছে তবে যাই হোক না কেন সোহেল জানে তার পরিবারের বেশ কঠিন সাজা হতে চলেছে৷

একটু একটু মেঘের পেটটা বড় হচ্ছে৷ জানান দিচ্ছে মেঘের মাতৃত্বের৷ মেঘ বেশ আরামে আছে৷ ছোট বোন মা ভাবিরা ভাইয়েরা বেশ খেয়াল রাখছে মেঘের৷ কাল যে কোর্ট তা মেঘের খেয়াল নেই৷ তবে কিছুক্ষণ আগে ছোটভাই সোহাগকে উকিল আগামীকালের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ সোহাগ আগামীকাল যাবে বলে জানান৷ মেঘকে জানানোর পর মেঘ কাল যাবে বলে ভাইদের জানান৷ তবে শেফালী বেগম এই সময় মেয়েকে বাইরে যেতে দিতে ইচ্ছুক নয়৷ মেঘ তবুও জেদ করতে থাকে কোর্টে যাবে বলে৷ সোহাগ আশস্থ করে তাকে নিয়ে যাবে এই বলে৷

পরের দিন জায়েদা এবং তার স্বামী মেয়ে জামাইকে কোর্টে তোলা হলে মেঘ তাদের দেখতে পেয়ে তাদের কাছে এগিয়ে গিয়ে বলে,

" কেমন আছেন আম্মা? জেলে আপনাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না তো?"

জায়েদা আর তার মেয়েরা রাগে দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে দাড়িয়ে আছে৷ একটা কথাও বললো না৷ তবে আজ হুট করে সবুজ আর মনিকে কোর্টে দেখে মেঘ বেশ খুশি হয়৷ মনি মেঘের কাছে এসে বলে,

"ভাবি কেমন আছো?"

"আলহামদুলিল্লাহ ভালো৷ তুমি কেমন আছো মনি আপা?"

"এই তো দেখতাছেন বেশ ভালোই আছি৷"

সোহেল ইতোমধ্যে কোর্টে আসলে মেঘ কথা না বাড়িয়ে কোর্ট রুমে ঢুকে যায়৷

আজ রায় ঘোষণা করা হবে৷ কী হবে না হবে কেউ জানে না৷ ভয়ে বুক ধুকপুক করছে জায়েদার৷ যদি ফাঁসি হয়? তখন কী হবে? এটা ভেবেই জায়েদা হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে৷ কেন যে মেঘ কে বি*ষ খাওয়াতে গেলো আর কেনই বা অত্যা*চার করতে গেলো? এখন শুধু আফসোস করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই৷

প্রায় দশ মিনিট পর জজ জায়েদা এবং তার মেয়েদেরকে বিশ বছর এবং আমজাত এবং তার জামাইদের প্রত্যেকের পনেরো বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়৷ আর পালাতক আসামী সাথী এবং তার স্বামীকে এরেস্ট করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়৷

কোর্টের রায় শুনে সেখানে জায়েদা কাঁদতে লাগলো আর সোহেলের চোখের কোন বেয়ে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো৷

মেঘের মুখে আজ প্রশান্তির হাসি দেখতে পেলো তার ভাইয়েরা ৷ আজ তারা ও খুশি কিন্তু খুশি না সোহেল আর সবুজ যত যাইহোক তারা তাদের জন্মদাতা দাত্রী কী করে সবটা মেনে নেয়? আর কোর্টে দাড়ালো না সোহেল সবুজ আর মনি৷ তারা বেরিয়ে গেলো কোর্ট চত্তর থেকে আর তার পর পর মেঘকে নিয়ে তার ভাইয়েরাও বাড়িতে চলে যায়৷

দু'দিন পর সন্ধ্যার দিকে চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পেয়ে মেঘের ঘুম ভেঙে যায়৷ উঠে ধীরে সুস্থে বারান্দায় আসতেই মেঘ হতবাক হয়ে যায়............

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন