শাহজাহান তন্ময় - পর্ব ২৯ - নাবিলা ইষ্ক - ধারাবাহিক গল্প


জানালাটা পরিপূর্ণ ভাবে খোলা। শুভ্র রঙের পর্দা গুলো উদাসীন উড়ছে, ভিজছে। ইলশাগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে রাত থেকে। ঝিরঝিরে, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিধারার সঙ্গে রয়েছে হিমশীতল আবহাওয়া। বৃষ্টির ফোঁটা হাওয়ায় ভেসে জানালা পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছে। ফোঁটা গুলো যেন মার্বেলের ফ্লোরে পড়ে 'টিপটপ' শব্দ তুলছে! দেয়াল ঘড়িতে ঘন্টার কাঁটা ঘুরছে সকাল আটটা আর মিনিটের কাঁটা ঠিক দশে। বাইরেটা এখনো আঁধারে নিমজ্জিত। মনে হচ্ছে, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামবে বলে। তন্ময়ের তন্দ্রার গভীরতা বেশ পাতলা। বৃষ্টির ক্ষীণ ধ্বনিতে সে আধোঘুমে রয়েছে। মস্তিষ্ক পইপই শুনছে বর্ষণের অস্পষ্ট নৃত্য। শরীরের প্রচাত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অলসতার চাদরে লেপ্টে। শান্ত, স্থির এবং উদাসীন নয়নযুগল একবার চাইল জানালার দিকটায়। জানালায় ঝুলে আছে তিনটে ফুলের টব, অলকানন্দা, স্পাইডার লিলি আর বকুল। সবে ফুল ফুটতে ধরেছে। সেসব সতেজ হয়ে আছে বৃষ্টির ছোঁয়াতে। চকচক করছে সবুজরঙা পাতা গুলো। ফুলটুলের প্রতি তন্ময় অযথাই নির্লিপ্ত। ওদের যত্নে রাখা, সময় করে পানি দেওয়ার আগ্রহ কোথায় তার? এগুলো সচরাচর অরুই করে থাকে। ওর ফুলের প্রতি রয়েছে ভীষণ উত্তেজনা, অত্যধিক প্রবণতা। তাদের বাগানের ফুল গুলোর সেবাযত্ন ওই করে থাকে। সকাল-বিকেল প্রায়শই ওকে দেখা যায় বাগানে। অনেক প্রকারের ফুলের মাঝে ওকেও দেখতে লাগে একটি জীবন্ত ফুল। যেই ফুলটি তার আশেপাশে সর্বদা ঝকঝক করে বেড়ায়, মৌমাছিদের মত। কোনো একটা স্পেসিফিক ফুলের সঙ্গে ওর তুলনা করা যায় না। একেক রজনীতে ও একেকরকম ফুলের মত দেখতে। 

ধ্বনিশূন্যতা বজায় রেখে কক্ষের দরজাটা খোলা হলো। জবেদা বেগম ঢুকলেন নীরবে। অত্যন্ত ধীরেসুস্থে চরণ পড়ছে ফ্লোরের বুকে ; যদি শব্দে ঘুম না ভাঙে ছেলেটার। তবে বিছানায় চাইতেই দেখলেন, তন্ময়কে চোখ মেলে তারই পানে চেয়ে থাকতে। মুহূর্তে আঁটসাঁটো হলো বদন। পরপর চমকিত তিনি উচ্চকণ্ঠে হেসে শুধালেন,

 'ঘুম ভেঙেছে তাহলে আমার রাজপুত্রের?'

জবেদা বেগম বিছানার কাছাকাছি আসতেই, তন্ময় হাত বাড়িয়ে মায়ের নরম হাতটা টেনে ধরল। বিছানায় অবলীলায় বসিয়ে নিজের অগোছালো উগ্র চুলের মাথাটা কোলে রাখল অযত্নে। স্নেহরূপে হেসে মমতাময়ী হাতটা ছেলের চুলে রাখলেন জবেদা বেগম। ডান হাতের আঙুল গুলো ব্যস্ত হলো, ছেলের ছোটো চুলগুলো আদুরে শক্তিতে টেনে দিতে। আনমনে বললেন,

  'তোর বাবা এখনো সকালের নাস্তা করেনি। লিভিংরুমে বসে আছে ছেলের সঙ্গে নাস্তা করবে বলে। অবশ্য মুখে বলেনি। এসব কী আর তার বলতে হয়? তার মুখ দেখেই বলতে পারি আমি।'

ক্ষণিকের জন্য চোখ বুঝেছিল তন্ময়। মায়ের উক্তি শুনে চোখ মেলে মায়ের মুখপানে চায়। চেয়ে থেকে অন্যমনস্ক কণ্ঠে শুধোয়, 

  'বাহ! আমার মুখখানা ভালোভাবে দেখ। দেখে বলোত আমি কী ভাবছি!'

তন্ময় উত্তর আশা করেনি। এভাবেই বলল। তবে তাকে অবাকের চূড়ান্তে ফেলে জবেদা বেগম না ভেবেই চটপটে জবাব দিলেন,

  'নিশ্চয়ই অরুর কথা।'

এমন উত্তর তন্ময় আশা করেনি। স্বপ্নেও নয়। অপ্রত্যাশিত জবাব কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই, দু-দফায় কেশে ওঠে সে। কাশিটুকু যেন মাথায় চড়ে বসেছে। জাবেদা বেগম হতভম্ব হোন। চটজলদি ডান হাত বাড়ান ছেলের পিঠের দিকটায়। ছোটো-ছোটো চড় বসাতে লাগলেন। অতি সাবধানতাজনিত কণ্ঠে শুধিয়ে বসেন, 

  'কীরে বাবা! আমি কি আন্দাজি সঠিক গাছে ঢিল ছুঁড়লাম?'

তন্ময় কিংকর্তব্যবিমূঢ়! আঁখি যুগল ছেড়ে মণি দুটো বেড়িয়ে আসবার উপক্রম হয়েছে প্রায়! গলাটা শব্দকরে পরিষ্কার করল। উঠে বসল অতিদ্রুত। চোরের ন্যায় দৃষ্টি এদিক-ওদিক ফেলল। মায়ের সঙ্গে চোখাচোখি না করেই জানাল,

  'তেমন কিছু না।'
  'আমার তো তেমন কিছুই মনে হচ্ছে আব্বা!'

তন্ময় মায়ের সঙ্গে তর্কে পারবে না আর নাইবা পারবে যুক্তিতে। তবুও অস্বীকার করতে যাচ্ছিল ; পূর্বেই খোলা দরজা দ্বারা অরু ঢুকতে-ঢুকতে প্রফুল্লহৃদয়ে, উচ্চকণ্ঠে বলল,

  'কী মনে হচ্ছে বড়োমা!'

তন্ময় আর একমিনিট ওখানে থাকল না। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। চপ্পল জোড়ায় পা গলিয়ে, বাথরুম ঢুকল কলকলে চরণে। অরু বড়ো বড়ো চোখে দেখল তন্ময়ের পালানো সুঠাম দেহখানা। নজর ফিরিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ল জবেদা বেগমের পানে, 

  'কী হয়েছিল এখানে বড়োমা? আমি কি কিছু মিস করে গেলাম?'
  'হ্যাঁ, মিস করেছিস।'

অরুর কণ্ঠে উতলতা,  

  'কী মিস করেছি? আমাকে ঝটপট বলো।'
  'শোন তাহলে!'
  'শুনছি, শুনছি। বলো তুমি!'
  'তুই ব্রেকফাস্ট মিস করেছিস। তাড়াতাড়ি নিচে আয় খেতে।'

জবেদা বেগম বেরিয়ে এলেন। দরজা পেরুতে-পেরুতে নিঃশব্দে হাসলেন আঁচলে ঠোঁট চেপে।
 অরু বোকার মত দাঁড়িয়ে রইল বেশ কিছুক্ষণ। তার সাথে এভাবে মজা নিলো বড়োমা? পারল সে এমনটা করতে? এক্সপেক্টেশন কতটা উঁচুতলায় উঠেছিল তা তো বড়োমা জানত না। জানলে এভাবে মজা কখনওই করত না। অরু দেখল বিছানাটা অগোছালো। চঞ্চল পায়ে সে নিজ ইচ্ছেতে গোছাতে শুরু করল। গোছানো শেষে ফুলের টব দুটো দেখতে বসল সময় নিয়ে। তখনি তন্ময় বেরোলো পরিপাটি পোশাকে। গলায় তোয়ালে ঝুলে। অরুর মুখশ্রীর একপাশটায় চেয়ে প্রশ্ন করল,

  'খেয়েছিস?'
  'বাহ-রে। কেউই তো খায়নি। আমি কীভাবে একাএকা খেতে বসি? বড়ো চাচ্চু না খেয়ে বসে আছেন, তাকে রেখে কেউ কি খাবার মুখে তুলবে? আর এভাবেও আজ ছুটির দিন। সাথে বাইরে বৃষ্টি। বড়ো মা খিচুড়ি পাকিয়েছে উইদ গরুর গোশত। একসাথে সবাই মিলেমিশে খেলে বেশি আনন্দ হবে।'
  'আচ্ছা। চল!'

তোয়ালে চেয়ারে ছুঁড়ে রুম ছাড়ল তন্ময়। অরু তার পাশে। সমানতালে হাঁটছে। ইতিমধ্যে লিভিংরুমে কমবেশ সবাই উপস্থিত। জয়তুন বেগম গল্পের আসর বসিয়েছেন। তার ছোটো ছোটো গল্পগুলো সব জবেদা বেগমকে ঘিরে। মেয়ে তার কেমন চঞ্চল ছিল, কতটুকু দুষ্টুমিতে মেতে থাকত সেসবই। তন্ময় বাবার পাশেই বসল। মোস্তফা সাহেব আড়চোখে চাইলেন ছেলের দিক। শুধালেন,

  'আজ বেরোবে?'
  'বলতে পারছি না।'
  'সুফিয়ানের পঞ্চান্নতম জন্মদিন সেলিব্রেট করা হবে। ইনভাইটেশন পাঠাল। যাওয়া উচিৎ। সাথে চলো।'

জবেদা বেগমের ডাক পড়াতে, বাবা-ছেলের আলোচনাটুকু ডাইনিংয়ে চলে এলো। খাওয়া-দাওয়ার ফাঁকেফাঁকে তাদের কথাবার্তা চলল। মাঝেমধ্যে আনোয়ার-ওহী সাহেবেও দু'চারটে মতামত তুলে ধরেন। খাওয়া শেষে টিস্যু হাতে তন্ময় বাবার সাথে উঠে পড়ে। পাশাপাশি হেঁটে অগ্রসর হয় সদরদরজার দিকটায়। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এখন ঝুম বৃষ্টিতে পরিণত হয়েছে। সবুজবর্ণ বাগানে অপূর্বতা ছেয়ে। আনোয়ার সাহেব বড়ো ভাইয়ের পাশে এসে দাঁড়ালেন। বললেন, 

 'ভাইয়া, অরু ড্রাইভিং শিখতে চাচ্ছিল।' 

মোস্তফা সাহেবের কপালের চামড়ায় চার-পাঁচ দৃশ্যগত ভাঁজ পড়ল।

 'শেখা অবশ্যই ভালো। আরেকটু বড়ো হোক না। তাড়া কীসের? এতটুকু মেয়ে ও। অনার্সটা শেষ করুক। ভর্তি করে দেব নে তখন। আশরাফুলের ছেলের ড্রাইভিং ইন্সটিউট আছে। বললেই হবে। আর এভাবে টুকটাক শিখতে চাইলে তন্ময়, আকাশ ওরা আছে তো। শিখবে ওদের থেকে। ধারণা আসবে ভালো।'

আনোয়ার সাহেব হঠাৎ হাসেন। বলেন, 

 'মেয়ে আমার বড়ো হয়ে গিয়েছে।'
 'বড়ো? কোন দিক দিয়ে? এতটুকু মেয়ে আমাদের। এখনো বাড়ির এদিক-ওদিক কেঁদে বেড়ায়।'

শব্দ করে হাসে আনোয়ার সাহেব,

  'ভাইয়া, আপনার আলমের কথা মনে আছে? ওর ছেলে মেঘ এবার অনার্স ফোর্থ ইয়ারে। পড়াশোনার পাশাপাশি আলমের বিজনেসও সামলাচ্ছে। ওর জন্য আলম সেদিন অরুকে চাইল।'

পাশে দাঁড়ানো ছেলের মুখপানে মোস্তফা সাহেব আলগোছে চেয়ে নিলেন একটিবার। মুখশ্রীর রঙ বদলেছে। বদলেছে দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা। চেহারায় লেপ্টানো হাসিটুকুর ছোঁয়া এখন আর নেই। মোস্তফা সাহেবের কণ্ঠে থাকা বাক্য 'আমার কাছে মেয়ের হাত চাইতে এমন আলম নিত্যদিন আসে।' টুকু গিলে ফেললেন। কথা ঘুরানোর ছুঁতোয় বললেন,

  'ওর আগে শাবিহা-রুবি আছে। ওদের বিয়েশাদির সম্পর্কেই এখনো কোনো আলাপ ওঠেনি।'
  'চিন্তা হয় ভাইয়া। মেয়েটাকে আদরে বাদর বানিয়ে রেখেছি। সারাজীবন যদি নিজের পাশে রাখা যেত, তাহলেই শান্তি পেতাম।'

মোস্তফা সাহেব ঠোঁটে ঠোঁট টিপলেন,

 'ঘরজামাই আনব। ঠিক বললাম তো তন্ময়?'

তন্ময় গম্ভীর গলায় বলে ওঠে,

 'আমার কাজ আছে। গেলাম।'

তন্ময় বাড়ির ভেতর চলে গেল। আনোয়ার সাহেব কিচ্ছুটি আঁচ করতে পারলেন না। তিনি তখনো ভাইয়ের সাথে নিজের মনের কথাগুলো বলে চলেছেন নির্নিমেষ।

____

অরু ছাঁদের এককোণেতে দুটো চেয়ার পেতেছে। ঠিক ছাউনির নিচে সে এক চেয়ারে বসে অন্য চেয়ারে পা'জোড়া তুলে। হাতে বাদামের কাঁচের বৌঊল। ডান হাতে বাদাম তুলে হাওয়ায় ছুঁড়ে মুখ 'হা' করে পুরে ভেতরে নিচ্ছে। বৃষ্টি উপভোগ করছে বাদাম চিবুনির তালে-তালে। তন্ময় সিঁড়ির মাথাতে দাঁড়িয়ে ওর এই অমানবিক কাণ্ডকারখানা অনিমেষ দেখছে। অজান্তে বুকের মধ্যিখানে জমেছে ক্ষোভ। ইচ্ছে করছে আচ্ছা করে ওকে বকতে। নাকে-চোখে কাঁদলে হয়ত তার বিরক্তিকর ক্ষোভ নিভে আসবে। 
অরু হাওয়ায় তোলা বাদামটি মুখে পুরতে পারল না। কারো উপস্থিতি অনুমান করে চাইল। ওমনি উঠে দাঁড়াল ঝটপট। তন্ময়ের কণ্ঠে মেঘ ঘনিয়ে বজ্রপাত নেমেছে যেন,

 'চাচ্চু বললেন, তুই নাকি ড্রাইভিং শিখতে চাচ্ছিস?'

অরু ভেঙাল,

 'চাইব না? আমার চাওয়া দোষ? এইযে, আমি বৃষ্টিতে ঘুরতে যেতে চাচ্ছি। কই কেউতো নেই আমাকে ঘুরতে নেওয়ার। আমি ড্রাইভিং শিখলে নিজেই যেতে পারব যখন ইচ্ছে।'

তন্ময়ের কণ্ঠ নিজ অজান্তে নরম হয়ে এলো,

  'আমাকে বলেছিস তুই?'
 'বললেই কী? আপনি মনে হয় বসে আছেন, নেওয়ার জন্য!'
 'তোর কোন ইচ্ছে আমি অপূর্ণ রেখেছি, হু?'

অরুর চোখমুখে আঁধার নামল। মিনমিনে গলায় বলল,

  'মেইন ইচ্ছেটাই অপূর্ণ।'
  'কোন মেইন ইচ্ছে?'

তন্ময় জেনেও অজানার ভাণ ধরল ভালোভাবে। অরু ঘাবড়াল তবুও অটল রইল,

  'আপনি জানেন।'
  'জানি না।'

অরুর গলার স্বর নেমে আসলো,

 'ওটা করতে পারে আর জানে না।'

ওটা বলতে অরু 'চুমু' বোঝিয়েছে সেটুকু বুঝেও অবুঝ সাজল তন্ময়। ওকে জব্দ করার তালে শুধাল,

  'বড়ো ভাইয়ের সাথে এভাবে কথা বলিস?'

অরু দাঁতে দাঁত চেপে বলে, 

  'বড়ো ভাই বুঝি ওসব করে?'

অতটুকু বলে হঠাৎ অরু মিষ্টি হাসে। হাসিতে যেন পদ্ম ফুটেছে। তন্ময়ের বুকটা আতঙ্কে মুচড়ে ওঠে। সন্দেহ হয় কিছু একটার। সন্দেহকে সত্য প্রমাণ করে অরুর হাসিটুকু স্নিগ্ধ, সতেজ হয়ে ওঠে। কণ্ঠে শ্রদ্ধাশীলতা ঢলে পড়ছে,

  'বড়ো ভাইয়া, আপনি একদম ঠিক বলেছেন। বড়ো ভাইদের সাথে ওভাবে কথা বলা আমার উচিৎ হয়নি। ভাইয়া আমার বিরাট ভুল হয়েছে, মাফ করে দিন।'  

তন্ময়ের মনে হলো, তার হৃদয় ছিঁড়ে গরম, তাজা র ক্ত টলটলে বেরোচ্ছে। অরু সেই র ক্ত হেসেহেসে পান করছে স্বতঃস্ফূর্ততায়। তন্ময় ঢোক গিলল। জব্দ করতে গিয়ে যে সে নিজেই হবে, ভাবেনি। এভাবেই এই 'ভাই' তার গলায় আটকে থাকা বিরাট বড়ো কাঁটা। আর এখন এই কাঁটা যদি প্রতিনিয়ত কর্ণকুহরে প্রবেশ করে, সে তো বেশিক্ষণ বাঁ চবে না। সে হাসার প্রচেষ্টা করল সামান্য,

  'আমি জানি আমি কী হই তোর। বারবার বলার প্রয়োজন নেই তো।' 
  'কী যে বলেন না বড়ো ভাইয়া! এসব শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা। আমি রেডি হই গিয়ে। বেরোবো তো তাই না?'

অরু হেলেদুলে বেরিয়ে গেল। তন্ময় কপালে আঙুল চাপল। সে খেয়াল করেছে, অরু তাকে আগের মত ভয় পায় না। এই পরিবর্তন ঘটেছে ওই চুমুর পর থেকে। সাহস বেড়েছে সঙ্গে স্পর্ধাও। 
.
.
.
চলবে..............................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন