আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

অন্তর্নিহিত কালকূট - পর্ব ১১ - অনিমা কোতয়াল - ধারাবাহিক গল্প


অন্তর্নিহিত কালকূট
পর্ব ১১
অনিমা কোতয়াল
.
.
.
রুদ্র নামক এই পাষাণ মানুষটাকে বাধ্য হতে দেখা যায়না।চমক জিনিস কী সে তা জানেই না। সবার ধারণা বাধ্যবাধকতা কিংবা চমক জিনিসটা রুদ্রের জন্যে তৈরী হয়নি। তবে একটা মানুষের সামনে রুদ্রর এই দুটো অনুভূতিই বেরিয়ে আসে। তাকে বাধ্য করতে কিংবা চমকে দিতে একমাত্র রাশেদ আমের নামক মানুষটাই পারে। 
আজও তাই ঘটেছে। রাশেদের কথা শুনে নিঃসন্দেহে ভীষণভাবে চমকে উঠেছে রুদ্র। কারণ বিশেষ কোন প্রয়োজন না পড়লে নিজের হাতে খু-ন করেন না রাশেদ। এমন কী প্রয়োজন পড়ল? মুহূর্তের মধ্যেই নিজেকে একদম স্বাভাবিক ফেলল। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বলল, 'কেনো?'

রাশেদ আমের কিছু বললেন না। রুদ্র বুঝতে পারল রাশেদ একটু সময় নিয়ে বলতে চাইছে। অপেক্ষা করল ও। বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে সোজা হয়ে বসল রাশেদ আমের। ধীরেসুস্থেএকটা সিগারেট জ্বালিয়ে ঠোঁটের মাঝে নিল। নিরুৎসুক দৃষ্টিতে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল, 'সম্মানীয় গুপ্তচর ছিল সে। সবুজ আর খোকনের মতোই। যদিও ব্যপারটা আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলাম আমি। ভেবেছিলাম তোমায় কিংবা উচ্ছ্বাসকে বলব। সম্ভবত ওর কপালে সহজ মৃত্যু লেখা ছিল। তাইতো তোমার কানে খবরটা পৌঁছে যাওয়ার আগেই আমাদের বৈঠকঘরে ঢুকে পড়ল। পেনড্রাইভ আর ফাইলটা চুরি করার জন্যে।'

ভ্রু কোঁচকালো রুদ্র। একটু ভেবে বলল, 'ও একা ভেতরে ঢুকল কীকরে? করিডরে তো আটকে দেওয়ার কথা।'

'সম্ভবত পূর্ব পাশের দেয়াল দিয়ে ঢুকেছিল। বারান্দা টোপকে। অনেকদিন সময় নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছে। তুমি বাড়ি ছিলেনা, সেই সুযোগে রাতের মধ্যে ওগুলো চুরি করে এখান থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ওর।'

চোয়াল শক্ত হয়ে উঠলো রুদ্রর। ও অবাক হচ্ছে রাশেদকে এতো নির্বিকারভাবে কথাগুলো বলতে শুনে। র-ক্ত গরম করে দেওয়া কথাগুলো রাশেদ এতো শান্ত, নির্বিকার থেকে বলে কীকরে? রাশেদ আবার বলতে শুরু করলেন, 'স্বপনের দুর্ভাগ্য ছিল; সৌভাগ্যও বলতে পারো যে ঐসময় আমি গিয়েছিলাম ঐ ঘরে। আমার ডায়েরিটা নিতে। ওর সত্যিটা জানা থাকলেও এখনই এতোটা সাহস করে ফেলবে ভাবতে পারিনি আমি। আমাকে দেখে চমকে উঠেছিল। হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ঐসময় আমি গিয়ে উপস্থিত হব ওখানে। বুঝতে পেরেছিলাম ওকে এক মুহূর্তের জন্যে জীবিত ছেড়ে দিলে আমাদের পরবর্তী প্রজেক্টের ইনফরমেশন অন্য গ্রুপের কাছে অবশ্যই চলে যাবে। আর সেটা হলে কতবড় ক্ষতি হতো তা তোমার অজানা নয়। তাই বাধ্য হয়ে টেবিলের ঝুড়িতে রাখা ছু-রিটা সোজা ওর গ-লায় চালিয়ে দিয়েছি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শেষ। ইকবালকে বলেছিলাম লা-শটা ফেলে দিয়ে আসতে। ওই হয়তো লোক দিয়ে লেকের পাশে ফেলে দিয়ে এসছিল লা-শটা।'

সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে নির্বিকারভাবে তার করা এক হত্যাকাণ্ড বর্ণনা করলেন রাশেদ। রাগে শিরা ফুলে উঠছে রুদ্রর। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে বসে আছে সে। ঐ বিশ্বাসঘাতকটাকে নিজের হাতে মা-রতে না পারার জন্য চরম আফসোস হচ্ছে। এতো সহজ মৃ-ত্যু স্বপনের পাওনা ছিল না। পারলে এখন মৃত স্বপনকে জীবিত করে আবার নির্মমভাবে হ-ত্যা করতো সে। কিন্তু সেটা আর সম্ভব নয়। ভাবলেই সর্বাঙ্গ জ্বলে উঠছে যেন। রাশেদ বললেন, 'আমরা হত্যা করি শুধুমাত্র প্রয়োজন পড়ে তাই। নিজেদের হিংস্রতা জাহির করার জন্যে নয় রুদ্র। কতবার বোঝাবো এটা তোমাকে?'

রুদ্র কিছু বলল না। ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলল। রাশেদের এই উপদেশ যে রুদ্রর ওপরে কোনরকম কোন প্রভাব ফেলেনি সেটা রাশেদ নিজেও বুঝতে পারলেন। তাই প্রসঙ্গ পাল্টে বললেন, 'তুমি বোধ হয় কিছু বলতে এসেছিলে।'

রুদ্র এবার শান্ত হলো। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এবার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বলল, 'ওদের সাথে আরও কেউ আছে বাবা। আমাদের সাবধান হতে হবে।'

' আরও একজন আছে।' 

' একজন?' চমকে উঠল রুদ্র। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের হিংস্র সত্ত্বাটা বেড়িয়ে আসতে চাইল। ক্রোধে জ্বলে উঠল চোখ দুটো। দাঁতে দাঁত চেপে জিজ্ঞেস করল, 'কে সে?'

' তিনজন আছে সন্দেহের তালিকায়। কে, সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছিনা আমি। তবে তিনজনের মধ্যেই যে একজন সেটা নিশ্চিত। তপু, আক্কাস আর জালাল। এদের মধ্যে কে, সেটা বের করার দায়িত্ব তোমার।'

বাঁকা হাসল রুদ্র। স্বপনকে না মারতে পারার আফসোস এবার এদের মধ্যে কোন একজনকে মেরে মেটাবে। রুদ্র উঠে দাঁড়াল। চলে যেতে নিলে রাশেদ বললেন, ' আর হ্যাঁ, ইন্সপেক্টরকে এতো হালকাভাবে নিওনা সবসময়। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ধ্বংসের কারণ হতে পারে। যা করবে, ঠান্ডা মাথায় করবে।'

রুদ্র মাথা নাড়ল। এরপর বেরিয়ে গেল রাশেদের ঘর থেকে। রুদ্রর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল রাশেদ। এরপর আবার চেয়ারে গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল সে।

-

' কী বলছিস কী ভাই? আরও একটা শু*র আছে দলের মধ্যে?'

অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল উচ্ছ্বাস। রুদ্র কিছু বলল না। আপনমনে সিগারেট টেনে যাচ্ছে। গলগল করে ধোয়া ছাড়ছে নাকমুখ দিয়ে।
রোজ রাতের মতো আজও ইউনাইটেড হসপিটালের পাশের রাস্তায়, জিপের ওপর বসে সিগারেট টানছে দুজন। রুদ্রর কোন জবাব না পেয়ে উচ্ছ্বাস আবার বলল, 'বুঝবি কীকরে তিনজনের মধ্যে বেইমানটা কে? কোন প্লান করেছিস?' 

রুদ্র এবারেও কিছু বলল না। তার দৃষ্টি আকাশের দিকে স্থির। উচ্ছ্বাস বুঝল এই ছেলে এখন গভীরভাবে কিছু ভাবছে। পেটে বম্ব ফাটলেও এখন এর মুখ দিয়ে কোন কথা বের হবে না। সবসময় আকাশের দিকে তাকিয়ে কী ভাবে ছেলেটা? বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে সিগারেট টানায় মনোযোগ দিল উচ্ছ্বাস। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করল হসপিটালের সামনে একটা রিকশা এসে থেমেছে। রিকশা থেকে নেমে এলো নাজিফা। কালো রঙের হ্যান্ড ব্যাগটা থেকে একটা নোট বের করে বাড়িয়ে দিল রিকশাওয়ালার দিকে। বাকি টাকাটা ফেরত নেওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে করতে উচ্ছ্বাসদের দিকে একটা বিরক্তিমিশ্রিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। মুহূর্তের মধ্যে ফিরিয়েও নিল সে দৃষ্টি। বরাবরের মতো এবারেও উচ্ছ্বাস হাসার একটা ব্যর্থ এক চেষ্টা করেছিল। তবে হয়ে ওঠেনি।নাজিফা টাকাটা নিয়ে এক মুহূর্ত দাঁড়াল না। হনহনে পায়ে চলে গেল হসপিটালের মধ্যে। উচ্ছ্বাস হাতের ঘড়িতে সময় দেখে বলল, 'আজ নাইট ডিউটি পড়েছে বোধহয়।' 

' আমার মনে হয় মেয়েটাও তোকে পছন্দ করে।' এতক্ষণে মুখ খুলল রুদ্র।

চোখ বড় বড় হয়ে গেল উচ্ছ্বাসের। রুদ্রের কথাটা ঠিক হজম হলোনা তার। উত্তেজনায় অস্থির হয়ে বলল, 'কেনো? তোর এমন মনে হল কেন?'

' মেয়েটার চোখে তোর জন্যে তীব্র বিরক্তি দেখেছি আমি।'

হতাশ হলো উচ্ছ্বাস। নিরস গলায় বলল, 'তো? এতে তো অপছন্দ করা বোঝালো। পছন্দের কী দেখলি এখানে?' 

রুদ্র এবার সরাসরি উচ্ছ্বাসের দিকে তাকাল। গম্ভীর স্বরে বলল, 'মেয়েটার সাথে এর আগে কখনও কথা হয়েছে তোর?'

' না, হয়নি।'

' কোনভাবে পূর্ব পরিচয় আছে?'

' কোনভাবেই না।'

' ওকে কখনও ডিসটার্ব করেছিস? রাস্তাঘাটে কিংবা অন্যভাবে?'

উচ্ছ্বাস একপ্রকার বিষম খেয়ে বলল, ' নাউজুবিল্লাহ! নির্বিকারভাবে খু-ন করার সাহস আমার আছে। কিন্তু এই সাহস আমার নাই ভাই। এই মেয়ে শুধু মেয়ে না, ঝাঁসির রাণী। তাছাড়া রাশেদ বাবা জানলে আমার ঠ্যাং ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে দিয়ে বলবে, "বাছাধন এবার ঘরে বসে বিশ্রাম করো। বাহিরের জগৎ তোমার জন্যে নহে।" '

হেসে ফেলল রুদ্র। সিগারেটটা নিচে ফেলে পা দিয়ে পিষতে পিষতে বলল, ' তাহলে মেয়েটা শুধুশুধু তোর প্রতি বিরক্ত হতে যাবে কেন? তোর দিকে তাকায়ই বা কেন? বিরক্তি সবসময় অপছন্দের মানুষটার ওপরেই আসতে হবে তার কোন মানে নেই। পছন্দের মানুষটা যখন অপছন্দের কাজ করে, তখনও বিরক্তি আসে।'

উচ্ছ্বাস ভ্রু তুলে জিজ্ঞেস করল, 'তারমানে তুইও জ্যোতিকে পছন্দ করিস? তাই এতো বিরক্তি?'

রুদ্র কিছু বলল না। আবার তারায় ভরা আকাশের দিকে তাকাল। চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে উঠল জ্যোতির মুখ। তার পাগলামো, কাঁদা, হাসা সবকিছুই। নিজের মনকে একবার প্রশ্ন করল "পছন্দ করিস জ্যোতিকে?" কিন্তু বরাবরের মতোই মন নিশ্চুপ রইল। কোন উত্তর দিলোনা রুদ্রকে। 
রুদ্রর উত্তর না পেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল উচ্ছ্বাস। দুটো চোখ মেলে চাইল বিস্তৃত আকাশের দিকে। প্রেম-ভালোবাসা কী সত্যিই তাদের জন্যে? তারা যে দুনিয়ায় নিজেদের জড়িয়েছে; সেখানে প্রেম-ভালোবাসা নামক এসব অনুভূতিকে স্থান দেওয়া উচিত? কিন্তু মনটা যে মাঝেমাঝে ভীষণ অবুঝ আচরণ করে। কিছুতেই মানতে চায়না এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা।
আরও একটা সিগারেট শেষ করে ওরা চলল নাইট ক্লাবের উদ্দেশ্যে। মদের নেশা জেগেছে। মাঝরাত অবধি ওখানেই কাটাবে। 
-

রাত আড়াইটার পর ক্লাব থেকে বেরিয়ে এলো রুদ্র আর উচ্ছ্বাস। অভ্যাস আছে তাই হুইস্কি তেমন কাবু করতে না পারলেও, ক্লান্তি বেশ কাবু করে ফেলেছে দুজনকে। বাড়ি গিয়ে টানটান হয়ে শুয়ে পড়বে বিছানায়। 
যদিও রুদ্রর আজ বাড়ি ফেরার ইচ্ছে ছিলোনা। ক্লাবের ওপরের তলার রুমটা তৈরী করে রাখা ছিল তার জন্যে। সাথে রাতের সঙ্গিনীও। কিন্তু পরে আর তেমন কোন ইচ্ছে রইল না রুদ্রর। আজ নিজের ঘরে গিয়ে শান্তিতে ঘুমোনোটাই বেশি ভালো মনে হল।

অগ্রহায়ণ মাস। যার আরেক নাম মার্গশীর্ষ। বাংলা বছরের অষ্টম মাস হলেও একসময় অগ্রহায়ণ-ই ছিল বছরের প্রথম মাস। শীত ঋতুর ঠিক আগের মাস বলে ঠান্ডার আমেজ অগ্রহায়ণ থেকেই চলে আসে। 
রাত তিনটা। প্রায় ফাঁকা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছে রুদ্র আর উচ্ছ্বাস। নিরবিলি ফাঁকা রাস্তা। সোডিয়ামের আলোয় রাস্তাগুলো চমৎকার লাগছে। সাথে ঠান্ডা হাওয়া আর মেঘলা আকাশ। উচ্ছ্বাসের বেশ ভালো লাগছে এই পরিবেশ। এখানেই রাতটা থেকে যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু রুদ্রকে বলার সাহস করে উঠতে পারছেনা। কারণ রুদ্রর মুখভঙ্গি দেখে বোঝার উপায় নেই তার ভালো লাগছে নাকি খারাপ। হঠাৎ করেই রুদ্রর শরীর কেমন শিরশির করে উঠল। অস্বাভাবিক মনে হল গাড়িটা। অদ্ভুত এক অনুভূতি হল। অবচেতন মন তাকে বারবার সাবধান করতে থাকল কোন আসন্ন বিপদের থেকে। কিছুক্ষণ অস্থির হয়ে ভাবল রুদ্র। উচ্ছ্বাসের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। সে শীতল প্রকৃতিকে অনুভব করতে ব্যস্ত। কিছু একটা ভেবে ব্রেক চাপার সাথেসাথেই স্থির হয়ে গেল রুদ্র। শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত নেমে গেলো। কয়েক সেকেন্ডের জন্যে স্তব্ধ হয়ে গেল সে। ব্রেক কাজ করছে না!
.
.
.
চলবে...........................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।