আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

মনেরও গোপনে (পর্ব ০৪)


#মনেরও_গোপনে 
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া 
#পর্ব_৪ 



" আসলে অতিরিক্ত ভালোবাসে ভাবি তোমাকে। হয়তো তোমার দিক থেকেও কিছু খামতি আছে। নয়তো অহেতুক সন্দেহ কেনো করবে বলো? আর কাজিনের সাথে দেখা করাই দোষ কোথায়!"

" আমার কী খামতি আছে রাহাত? আর তোশাকে ঠিক পছন্দ করে না রাহি। কারণ তোশা আমাকে পছন্দ করে কলেজ লাইফ থেকেই। "
" আদ্রিয়ান তুমি যথেষ্ট বুঝো। নারী তার পছন্দের পুরুষকে কারো সাথে ভাগ করতে পারে না। হ্যাঁ তুমি বলবে তোশা তো তোমাকে নিয়ে যায়নি কিংবা তুমিও তোশার সাথে থাকোনি,কিন্তু যে নারী তার স্বামীকে পেতে চায় সেই নারীর উপস্থিতি অবশ্যই একজন স্ত্রীর কাছে অপছন্দের বিষয়। এসব তুমি ফিল করতে পারছো না এটাই তোমার খামতি।"
রাহাতের কথাবার্তা বিরক্ত লাগছে আদ্রিয়ানের। এতটুকু বুঝে গেছে রাহাত আগাগোড়াই বউ পাগলা হয়ে গেছে। তাই কথা আর বাড়াবে না বলে প্রসঙ্গ বদলাতে চেষ্টা করলো। কী কথা বলা যায় ভাবতেই দুপুরের খাবারের কথা মনে পড়লো।
" আচ্ছা এসব পরে আলোচনা করা যাবে, চলো খেয়ে আসি। "
" তুমি যাও, আমি তো অলরেডি খেয়েছি বললাম না? "
" ঠিক আছে থাকো তুমি, আমি আসছি।"
আদ্রিয়ান রুম থেকে দ্রুত বেরিয়ে গেলো সাথে রাহাতও। মুখে না বললেও আদ্রিয়ান যে রাহাতের কথোপকথনে বিরক্ত হচ্ছিল সেটা বেশ বুঝতে পেরেছে রাহাত। 

" আদ্রিয়ান কী আজ বাসায় খাবে না রাহি? বেলা তো অনেক হলো এখনো তো ফিরলো না।"
সালমান খুরশিদ দুপুরের খাবার খেতে খেতে রাহিকে প্রশ্ন করলেন। রাহি টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল কিছু প্রয়োজন হলে দিবে বলে।
" আমি তো জানি না বাবা। কল দিয়ে কিছু জানায়নি আমি দিলে কেটে দিচ্ছে। "
"ছেলেটা কেমন হয়ে যাচ্ছে আজকাল। সবকিছুই কপাল।"
রিনা বেগম উপরোক্ত কথাটি বলে চেয়ারে বসলেন। মিহিও বাসায় ফিরে গোসল সেরে খেতে বসেছে। সত্যি বলতে ভাইয়ের পরিবর্তন তার চোখেও পড়েছে। শুধু কী এসব? রাহির সাথে করা খারাপ আচরণগুলোও মিহির চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। আর মায়ের শেষ কথাটাও যে কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন সেটাও অজানা নয় মিহির।
" মা সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। ভাবি তুমিও একসাথে খেতে বসে যাও, ভাইয়া হয়তো আজ আসবে না দুপুরে। "
রাহি মিহির কথায় মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। সবাই খাওয়াদাওয়ায় ব্যস্ত আপাতত। রাহি শুধু প্লেটের মধ্যে আঙুল ঘুরিয়ে যাচ্ছে। রাহি না চাইতেও দু-চোখ কেমন ঝাপসা হয়ে গেছে। মিহি একবার তাকালো রাহির দিকে। তারপর আবারও খাবারের দিকে মনোযোগ দিলো। একমাত্র বিকেলবেলা কোনো কাজ থাকে না রাহির। রাতে আবার রান্না করতে হয়। তাই দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পরে মিহি এসেছে রাহির ঘরে। পাশাপাশি ঘর হওয়ায় রিনা বেগমের চোখের আড়ালেই সব আলোচনা করা যাবে বলে মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলো মিহি। বিছানায় মুখোমুখি বসে আছে মিহি আর রাহি। বয়সে রাহির থেকে তিন-চার বছরের ছোটো মিহি। কিন্তু তবুও তুমি করেই সম্মোধন করে রাহিকে।
" ভাবি আসলে আমি প্রতিদিন রাতে শুনি তোমাদের ঝামেলা হয়। জানি এসব তোমাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার তবুও কেনো জানি মনে হচ্ছে এটা নিছক মান-অভিমান কিংবা রাগ নয়,ঝামেলা তারচে বেশি।"
মিহির কথায় একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো রাহির। ঠোঁটের কোণে ম্লান হাসির রেখা ফুটিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে রাহি বললো,
" আসলে তোমার ভাইয়ের মন মানসিকতা ইদানীং খারাপ থাকে। হয়তো অফিসে কোনো ঝামেলা হচ্ছে আজকাল এজন্যই। "
" আসলেই কী তাই ভাবি?"
এবার আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলোনা রাহি। বাচ্চাদের মতো হুহু করে কেঁদে উঠলো মিহিকে জড়িয়ে ধরে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে গেছে মিহি। বুকের ভেতর কতটা কষ্ট লুকিয়ে রাখতে পারে এই মেয়েটা সেটা তার কান্না দেখেই বুঝলো মিহি। কিছুক্ষণ কাঁদার পরে নিজেকে সামলে নিলো রাহি। অনেক দিনের কষ্ট কিছুটা হলেও নোনাজলের মধ্যে দিয়ে হালকা হবে বলেই মিহিও চুপ করে ছিল এতক্ষণ।
" কয়েকমাস ধরে তোমার ভাইকে ভালো কিংবা খারাপ যে প্রশ্নই করি তাতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে। যার ফলে আমার মনেও সন্দেহ দানা বেঁধে গিয়েছিল। তাই আমি ফেইসবুক থেকে শুরু করে মেসেঞ্জার,হোয়াটসঅ্যাপ সবকিছুর উপর নজর রাখতাম। বাসায় ফিরলেও মাঝে মধ্যে সন্দেহবশত প্রশ্ন করে ফেলি। তা নিয়ে আদ্রিয়ান আরো রাগ করে। ও যদি আমাকে বুঝিয়ে বলে তবে কিন্তু আমি মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম বলো?"
মিহি ভালো শ্রোতার মতো নিঃশব্দে সবকিছু শুনে যাচ্ছে। রাহি আবারও নিজের কথার খেই ধরলো।
" শুধু রাগ করলে একটা বিষয় কিন্তু... "
" কিন্তু কী ভাবি?"
" আগে প্রতিদিন জড়িয়ে ঘুমাতাম কিন্তু ইদানীং গায়ে হাত লাগলেও ফুঁসে ওঠে। অন্য কিছু তো বাদ।"
রাহি বেশ ইতস্ততভাবে বললো। মিহি বুঝলো ভাবির কথার গভীরতা। আদ্রিয়ান রাহিকে শরীর ও মন সবদিক থেকেই দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
" ভাবি ধৈর্য ধরো আগে। আমার নিজের ভালোবাসার কিংবা প্রেমের অভিজ্ঞতা না থাকলেও একটা জিনিস খুব ভালো করে জানি।"
" কী?"
রাহি মিহিকে বিস্ময় ভরা চোখে প্রশ্ন করে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। মিহি আস্তে আস্তে বললো,
" শোনো ভাবি, মানুষের স্বভাব হচ্ছে খুব সহজে কিছু পেয়ে গেলে সেটার যথাযথ মূল্য সে দিতে পারে না কিংবা দেয় না। এমনকি সেটা হিরা কিংবা সোনা হলেও কয়লা ভাবে। সব সম্পর্কেই আসলে নির্দিষ্ট একটা স্পেস রাখা দরকার। কিন্তু আমরা সেটা পারি না। ভালোবাসলে একেবারে মনপ্রাণ দিয়ে বেহিসাবি ভালোবাসি। ফলে বিপরীত পাশের মানুষটা একেবারে গ্রান্টেড ধরে নেয়। সে বুঝে ফেলে এই মানুষটাকে যতই অবহেলা করি না কেন, আমাকে কখনোই ছেড়ে যাবে না। তাই ভালোবাসার ক্ষেত্রেও টেইক এন্ড গিভ পলিসি নীতি দরকার। সে যতটা ভালোবাসা দিচ্ছে ঠিক ততটুকুই দিতে হবে।"

মিহির কথাগুলো খুব মন দিয়ে শুনলো রাহি। কথা সে ভুল বলেনি। একটা সময় ছিল যখন আদ্রিয়ান রাহিকে পাগলের মতোই ভালোবাসতো। কিন্তু তখন রাহি এখনকার মতো এতটা ভালোবাসতো না আদ্রিয়ানকে। কিন্তু যখনই রাহি আদ্রিয়ানের প্রতি অধিক দূর্বল হয়ে গেলো তখনই আদ্রিয়ান এরকম শুরু করলো।  
" কিন্তু মিহি আমি তো তোমার ভাইয়ের স্ত্রী, প্রেমিকা তো নই। "
" এটা বউ কিংবা প্রেমিকার বিষয় না। নিজের ব্যক্তিত্ব এবং আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কখনো কাউকে ভালোবাসতে নেই। তবে সে যদি তোমাকে যথাযথ ভালোবাসে তাহলে কখনোই তোমাকে নিজের স্বত্বা ত্যাগ করতে দিবে না। তুমি ভাইয়াকে একেবারে নিজের মতো করে ছেড়ে দাও। এমন ভাব দেখাও যাতে মনে হয় ওর অবহেলা কিংবা রাগে তোমার কিছু যায় আসে না। "
" আমি পারবো মিহি?"
" অবশ্যই পারবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বাবার বাড়ি চলে যাও। চোখের আড়ালে গেলে তোমার শূণ্যতা ফিল করবে। "
" তাহলে কাল চলে যাবো ও বাড়ি।"
" না ভাবি। চার-পাঁচ দিন পর যাবে তবে এই ক'দিন একেবারে ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখাবা। তুমি তোমার মতো সময় কাটাবে। ওর সাথে নিজে থেকে অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা বলবে না বুঝেছো?"
" হ্যাঁ বুঝেছি। মিহি তুমি আমার বড়ো বোনের মতো উপদেশ দিলে,তোমার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই বোন।"
রাহি মিহির দু-হাত ধরে আবেগে আপ্লূত হয়ে বললো। মিহি হেসে বললো, 
" বড়ো বোন না হলেও ছোটো বোন তো বটেই তাই না?"
এবার রাহিও মিহির সাথে হাসলো আর মনে মনে আসন্ন পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে বলে সিন্ধান্ত নিলো। আদ্রিয়ানের থেকে দূরে থাকা রাহির জন্য পরীক্ষাই বটে! 

সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে নিজের বাসায় ফিরেছে রুদ্র চৌধুরী। কিন্তু রাতেও বাসায় ফিরতে বিশেষ ভালো লাগে না তার। কারণ বাড়িতে সে, রহমান চাচা ছাড়া আর কোনো তৃতীয় মানুষ নেই। রহমান চাচাকে রান্নাবান্না করার জন্য গত দু'বছর আগে রেখেছিলো রুদ্র। অবশ্য রহমান চাচা প্রায় বিয়ের কথা বলেন আজকাল। কিন্তু রুদ্রর তেমন টনক নড়ে না সে কথায়। বিয়ে নিয়ে এ জীবনে কোনো চিন্তা ভাবনা নেই তার।
" চাচা বাড়ি এরকম অন্ধকার কেনো? আপনি কোথায়!"
বাড়িতে ঢুকেই সবকিছু অন্ধকার দেখে কিছুটা বিস্ময় নিয়ে নিজের রুমে গিয়েছিল। ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে জামাকাপড় পরিবর্তন করে বসার ঘরে এসে রহমান চাচাকে ডাকছে এখন। রহমান চাচা রান্নাঘর থেকে একটা মোমবাতি নিয়ে বসার ঘরে এসে দাঁড়িয়ে হতাশ কন্ঠে বললো, 
" আর বইলো না রুদ্র বাবা,কারেন্টে যে কী এক লোডশেডিং লাগাইয়া রাখছে আইজকাল। "
রহমান চাচার কথায় মুচকি হাসলো রুদ্র। বেচারা রহমান চাচার অন্ধকারে রান্না করতে বেশ ঝামেলা হয়েছে। কপাল ভালো সিলেন্ডার গ্যাস সরবরাহ আছে বাসায়। লাইনের গ্যাসের আগুনের তো ভরসা নেই ঢাকা শহরের।
" বুঝতে পেরেছি চাচা। চলুন আমি আপনাকে রান্নায় সাহায্য করছি।"
" হ চলো তাইলে মোমবাতিটা উঁচু করে ধরবে আরকি। কত কইরা বলি তোমাকে একটা বিয়ে করো এখন, তুমি তো কথাই শোনো না আমার। "
রুদ্র নিঃশব্দে হেসে জবাবে বলে,
" এখন একটা বিয়ে করবো চাচা? তারমানে পরে কি আরো কয়েকটা বিয়ে করতে পারবো? "
রুদ্রর এহেন কথাবার্তার দরুন রহমান চাচা সশব্দে হেসে উঠলেন। রান্নাঘরের দিকে এগোতে এগোতে বললেন, 
" তুমি আর বদলাবে না। "
রুদ্রও রহমান চাচাকে অনুসরণ করে রান্নাঘরে পৌছুলো। মোমবাতির বদলে ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে চাচার দিকে ধরলো। হঠাৎ চোখমুখ বদলে গেছে রুদ্রর। মলিনতাহীন চেহারা নিয়ে জোর করে হাসার চেষ্টা করে বললো,
" আমি বদলাতে চাই না চাচা। কারণ মানুষ মারা গেলে সহ্য করা যায় কিন্তু বদলে গেলে ভীষণ কষ্ট হয়। "
মুহুর্তেই দুজনের মধ্যে পিনপতন নীরবতা ছেয়ে গেলো। রহমান চাচা নিজের মতো করে তরকারি কেটেকুটে রাঁধছেন আর রুদ্র আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ। রহমান চাচা এ বাড়িতে দু'বছর হলো এসেছেন ঠিক তবুও রুদ্রর জীবনের কোনো কথাই অজানা নয় তার। না চাইতেও পুরনো ঘায়ে খোঁচা দিয়ে দিলেন রহমান চাচা। ভাবতেই ভদ্রলোক আরো নিশ্চুপ হয়ে কাজ করতে লাগলেন। 

ইদানীং আদ্রিয়ান একটু রাতে করে বাসায় ফেরে। সবার খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলেও আদ্রিয়ানের জন্য রাহি না খেয়ে অপেক্ষা করতো। কিন্তু আজ বাসায় ঢুকে রাহিকে ডাইনিং টেবিলে বসে থাকতে না দেখে একটু অবাক হলো আদ্রিয়ান। ভাবলো অসুস্থ হলো না তো মেয়েটা? এসব ভাবতে ভাবতে নিজের ঘরে গেলো সে। কিন্তু ঘরে গিয়ে দেখলো রাহি দিব্যি ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ব্যস্ত। যাক তাহলে ঠিক আছে সব! আলমারি থেকে টি-শার্ট আর লুঙ্গি বের করে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে গেলো তারপর আদ্রিয়ান। কিন্তু রাহি কেনো আজ জামাকাপড়গুলো বের করে এগিয়ে দিলো না বুঝতে পারছে না। 
" ওহ আচ্ছা। তা কবে দেখা করবি বল।"

ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে রাহিকে ফোনে কথা বলতে দেখলো আদ্রিয়ান। কিন্তু সেদিকে বিশেষ খেয়াল না করে ডাইনিং টেবিলে খাওয়ার উদ্দেশ্য এগোলো। অদ্ভুত বিষয় রাহি তবুও ফোনে কথা বলেই যাচ্ছে, মোটেই আদ্রিয়ানের সাথে গেলো না! 



চলবে............................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।