আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

মনেরও গোপনে (পর্ব ২৬)


#মনেরও_গোপনে 
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া
#পর্ব_২৬



রাহি হাসিমুখে গাড়িতে উঠে আদ্রিয়ানের পাশে বসলো আর বেলুনগুলো পিছনের সিটে রাখলো। ভালোবাসা আসলেই সুন্দর। ভালোবাসার মানুষের কাছে কোনো রাখঢাক রেখে কিছু চাওয়া লাগে না। গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে। আদ্রিয়ান এক হাতে গাড়ি চালাচ্ছে অন্য হাতে রাহির হাত ধরে আছে। 

সালমান খুরশিদের বাসায় আজ আনন্দের ঢল নেমেছে। সবাই খুব খুশি। বাড়িতে নতুন সদস্য আসছে বহু বছর পর। রিনা বেগমও নাতিনাতনি আসার সুসংবাদে পুত্রবধূকে আরো বেশি আদর যত্ন করতে শুরু করেছেন। 
" রাহি তুমি আজ থেকে আর কোনো কাজকর্ম করবে না। যা দরকার আমি নিজে করবো।"
বসার ঘরে সোফায় বসে কথাগুলো বললেন রিনা বেগম। সালমান খুরশিদ, আদ্রিয়ান, রাহি সবাই এখানে উপস্থিত। মায়ের কথার প্রতুত্তরে আদ্রিয়ান বললো,
" আমি কাজকর্ম করার জন্য একজন লোক রেখে দিবো মা। এই বয়সে তোমাকে সব কাজ করতে হবে না। "
" হ্যাঁ মা আপনার ছেলে ঠিক বলেছে। আপনি আমার সাথে গল্প করবেন,আপনার যা ভালো লাগে তাই করবেন।"
" লোক রাখলেও আমি রান্নাবান্না দেখে নিবো সব। নিজের সংসারের কাজকর্ম বাইরের লোক দিয়ে করালে ঠিক শান্তি আসে না রাহি।"
" আচ্ছা মা আপনার যেমন ইচ্ছে। "
" তোমার সাথে এমনিতেই গল্প করবো। "
রিনা বেগমের কথায় রাহি মুচকি হাসলো। সালমান খুরশিদ আদ্রিয়ানের সাথে আলোচনায় ব্যস্ত। দুই দিন পর মিহিদের পরিবারের সবাইকে ডেকে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করবে। পরিবারের সবাই একসাথে নতুন অতিথি আসার সংবাদ পাওয়ার আনন্দে একত্রিত হবে। রাহি আনমনে একবার শ্বাশুড়ির দিকে তাকালো। সময় সবকিছু কেমন করে বদলে দেয় তাই না? একটা সময় রিনা বেগম রাহিকে চোখে দেখতে পারতো না আর আজ!
রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে ঘরে গিয়ে মিহিকে কল করে রাহি। রাহি বিছানায় বসে আছে আর আদ্রিয়ান রাহির কোলে শুয়ে আছে চোখ বন্ধ করে। 
"হ্যালো মিহি,কেমন আছো তোমরা?"
" এইতো ভালো ভাবি, তোমরা কেমন আছো? "
" আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালো আছি। তোমাকে একটা খবর দেওয়ার জন্য কল দিলাম। "
" হ্যাঁ বলো,সবকিছু ঠিক আছে তো ভাবি?"
মিহির কন্ঠে ব্যতিব্যস্ততা অনুভব করে রাহি আর হেয়ালি না করে সরাসরি বললো,
" তুমি ফুপি হতে যাচ্ছো।"
" কী বললে? সত্যি ভাবি? দিনে বললে না কেনো? আমি আসতাম তখনই। "
" আরে পাগলি শান্ত হও। বাবা রুদ্রকে কল দিয়ে দাওয়াত করবেন, পরশু এসো সবাইকে নিয়ে। "
" ঠিক আছে ভাবিইইই। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালো লাগছে। "
" এখন রাখছি পরে কথা হবে। "
মিহি উত্তেজনায় বিছানায় বসা থেকে উঠে দৌড়ে রুদ্রকে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরলো। রুদ্র ল্যাপটপে একটা জটিল রোগ সম্পর্কে কিছু আর্টিকেল পড়ছিল। মিহির হঠাৎ এরকম কান্ডে বেশ অবাক হলো। সেদিনের পর থেকে মিহি বেশ দূরে দূরে থেকেছে। কিছুতেই ঘনিষ্ঠ হতে পারেনি। রুদ্রকে বলেছে কয়েকদিন সময় লাগবে তার। তাই রুদ্র নিজে থেকেও কোনো প্রকার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেনি।
" কী হয়েছে মিহির দানা? এত এক্সাইটেড কেনো? "
মিহি রুদ্রকে ছেড়ে সামনের একটা চেয়ারে হাসি হাসি মুখ করে বসলো। 
" আমি ফুপি হতে যাচ্ছি ডাক্তার সাহেব! "
" ওহ খুব ভালো নিউজ তো। "
" ইয়েস। অলরেডি রাত সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে, নইলে এখুনি যেতাম ভাবির কাছে। "
" নিজের তো মুরোদ নেই তাই ভাবির বেবির খবর শুনেই আনন্দ করো আরকি। সুমিরও বেবি হবে জানো তো?"
মিহি ঠোঁট উল্টে বললো,
" হুম জানি কিন্তু আমার মুরোদ নেই কে বললো আপনাকে? "
" আছে বলছো?"
" আলবাত আছে। সেদিন না বললেন আমি এখনো ছোটো, ওইসব করার বয়স হয়নি। "
রুদ্র ল্যাপটপ বন্ধ করে রেখে মিহির হাত ধরে চোখে চোখ রেখে বললো,
" আমার বউ যথেষ্ট বড়ো হয়েছে। এখন থেকেই বাচ্চাকাচ্চা নেওয়া শুরু না করলে ভবিষ্যতে ক্রিকেট টিম কীভাবে গঠন করবো বলো তো?"
" এই শুরু হয়েছে আপনার বদমাইশি। "
রুদ্র মিহির হাতদুটো টান দিয়ে মিহিকে নিজের দিকে টানলো আরেকটু। কিন্তু মিহি ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে যাচ্ছিলো প্রায়। কিন্তু রুদ্র ধরে নিজের কোলে বসালো। মিহি বেশ অপ্রস্তুত হলো তাতে। 
" ডু ইউ লাভ মি মিহির দানা? "
" উমম...ভেবে বলবো। "
" অপেক্ষায় রইলাম তাহলে। তবে ভালো না বাসলেও চলবে। শুধু আমার সন্তানের মা হবে তাতেই চলবে। "
" কী বাজে লোক! "
রুদ্র মিহিকে জড়িয়ে ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলেছে। রুদ্রর প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের আওয়াজে মিহির মনের মধ্যে কেমন যেনো অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। ইচ্ছে করছে লোকটাকে আপন করে নিতে। আসলে মিহি যতোই রুদ্রকে নিয়ে সুখে থাকার চেষ্টা করে, দিনশেষে সেই অচেনা লোকটার স্পর্শ তাকে রুদ্রর স্পর্শ পেতে কোথাও যেনো আঁটকে ফেলে। কিন্তু আজ মিহি মনস্থির করেছে রুদ্রকে তার অধিকার দিবে। সেই স্পর্শ যতই ভাবাক তাকে সেটা পরপুরুষের, কিন্তু রুদ্র তার স্বামী। মিহির নিরবতা রুদ্রকে ভাবাচ্ছে। মাথায় হাত বুলিয়ে দেখা চিন্তিত স্বরে শুধালো, 
" তোমার কী শরীর খারাপ লাগছে মিহির দানা? হঠাৎ চুপ হয়ে গেলে! "
" ঠিক আছি আমি। আপনার বুকের ধুকপুকানি শুনছিলাম। "
" তা কী শুনলে? কী বলে হৃদয়? "
" বলছে, আজ মিহির দানাকে খুব করে কাছাকাছি চাচ্ছে সে।"
" বাব্বাহ! সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছিলো? "
মিহি রুদ্রর বুকে আলতো করে আদুরে ঘুষি মারলো কয়েকটা। রুদ্র মিহির ঘাড়ে মুখ গুঁজে চুলগুলো এক পাশে সরালো। নিমিষেই মিহির শরীর জুড়ে কেমন একটা অজানা অনুভূতি বয়ে গেলো। কন্ঠে ব্যাকুলতা নিয়ে ঘোরলাগা দৃষ্টিতে রুদ্রর দিকে চেয়ে মিহি। রুদ্র ততক্ষণে ঘাড় থেকে মুখ সরিয়ে মিহির আঁখি যুগলের পানে দৃষ্টিপাত করেছে।
" এভাবে লাজলজ্জা সবকিছু কেড়ে নিলে আপনার সামনে আসতে পারবোনা আর আমি। "
" আমি তোমার স্বামী। সারাজীবন আমার সামনেই আসতে হবে বুঝলে?"
" ইশশ! "
" বিছানায় কী হেঁটে যাবে না-কি কোলে তুলে নিবো?"
" আরামে যেতে পারলে কে কষ্ট করে বলুন।"
রুদ্র মুচকি হেসে মিহিকে কোলে তুলে নিলো। বিছানায় শুইয়ে দিয়ে রুমের বাতি নিভিয়ে মিহির পাশে শুয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
" জানো আমার মায়ের চেহারার সাথে তোমার চেহারার একটু একটু সাদৃশ্য খুঁজে পাই আমি। "
মানুষটার মায়ের কথা মনে পড়েছে। মিহি বিষয়টা বুঝতে পেরে নিজে থেকেই রুদ্রকে জড়িয়ে ধরলো।
" পৃথিবীতে অনেকের সাথে অনেকের চেহারার মিল থাকে। মায়ের কথা যখন খুব মনে পড়বে দু’রাকাআত নফল নামাজ পড়ে মায়ের জন্য দোয়া করবেন। মন শান্ত হবে।"
" আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তোমার মতো একজন জীবন সঙ্গী দিয়েছেন। "
" আমিও শুকরিয়া আদায় করি। "
স্ত্রী'র ললাটে চুম্বন এঁকে গভীর আলিঙ্গনে চোখ বন্ধ করলো রুদ্র। ভালোবাসার মানুষদেরকে বক্ষে জড়ানোতে যে তৃপ্তি কিংবা শান্তি তা আরকিছুতে নেই। সেটা হতে পারে মা,বাবা কিংবা স্বামী - স্ত্রী।
 
সামনাসামনি দাঁড়িয়ে আছে সুমি ও শরীফ। বাড়ির বাগানে হাঁটাহাঁটি করছিলো শরীফ। রাত বাড়তেই সুমির আসার কথা ছিলো। দিনে এক ফাঁকে দেখা করার কথা বলেছিলো শরীফ। যতই পরস্ত্রী হোকনা কেনো সুমি শরীফের ডাক অগ্রাহ্য করতে পারেনি। তাই মিতু ঘুমানো মাত্রই গুটিগুটি পায়ে দরজা খুলে বাইরে চলে এসেছে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ধরে দু'জন দাঁড়িয়ে অথচ কারো মুখে কোনো কথা নেই। এতদিন অনেক দ্বিধায় ছিলো শরীফ। যতবার ভেবেছে সুমিকে আপন করে নিবে ততবারই সমাজের কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো তার। এই সমাজ কখনোই একজন অবিবাহিত পুরুষের জীবনে, একজন ডিভোর্সি সন্তানসহ নারীকে গ্রহণ করাকে ভালো চোখে দেখবে না। তার উপর মিতুও যথেষ্ট বোঝে এখন। সাথে সুমির অনাগত সন্তানের কথাও ভাবতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো কথা সুমির ডিভোর্স হয়নি এখনও। আদৌও সুমি তার সাথে থাকতে চায় কি-না তা-ও জানে না শরীফ। এতো এতো সমস্যা নিয়ে কোনো কূলকিনারা করতে পারছিলো না শরীফ। কিন্তু আজ সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব ধুয়েমুছে সুমির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে শরীফ।
" কেমন আচেন? "
নীরবতা ভেঙে সুমি নিজেই প্রশ্ন করলো। শরীফ নড়েচড়ে উঠলো। আকাশে অগুনিত তারা,চাঁদের আলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সবকিছু। ডিসেম্বরের ঠান্ডা বাতাস এসে লাগছে দু'জনের সর্বাঙ্গে। 
" তুমি ভালো নেই সুমি এটা জানার পর একটা মুহুর্ত আমি ভালো নেই। "
" কিচু করার নাই। তকদিরে যা ছিলো তাই হইছে। আফনে বিয়াশাদী করলেন না ক্যান?"
" তাহলে তোমার কী হতো সুমি?"
শরীফের কথায় সুমি চমকালো। কী বলতে চাচ্ছে লোকটা? করুণা করছে না-কি ভালোবাসা! 
" আমার যা হওয়ার তাই হইবো। "
" সুমি,ভালোবাসো এখনও? "
" সময়ের যাঁতাকলে ভালোবাসা ভুইলা দায়িত্ব আর কর্তব্য পালন করছি ঠিক। তয় মনের মইধ্যে ঠিক সুপ্ত ভালোবাসা রইয়া গেছে। "
" একবার তোমার হাত ধরবো?"
" না, আমি এহনো পরস্ত্রী। "
সুমির এই কথাটা বুকের ভেতর কেমন তীরের মতো বিঁধলো শরীফের। এত বছর পরেও উপেক্ষা? শুধু একটু হাত ছুঁয়ে দেখতেই তো চেয়েছিল। শরীফ কিয়ৎক্ষণ চুপ থাকে নিজেকে সামলে নিতে। 
" ঠিক আছে। তুমি কি তোমার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাও?"
সুমি নিজের পেটের উপর হাত রেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, 
" না চাইলেও যাইতে হইবো। তয় জানি না হেয় আমারে ঘরে তুলবো কি-না। "
" তাহলে কেনো যাবে তুমি? "
" এইখানে থাইকা কী হইবো? মিতু একলা থাকলেও একটা কথা হইতো। আরেকজন যে আইতাছে সে?"
" আমি যদি তাকে নিজের সন্তানের পরিচয় দেই সুমি? মিতুকে তুমি বোঝাতে পারবেনা? "
সুমির বিস্ময় কাটে না শরীফের কথা শুনে। আসলেই সত্যি না-কি সবকিছুই কল্পনা কিংবা স্বপ্ন? সুমির চক্ষুদ্বয় ছলছল করছে। এরকম তো না হলেও হতো। শরীফের সাথে থাকলে কী বিধাতার খুব ক্ষতি হতো? মনে মনে সৃষ্টিকর্তার প্রতি তীব্র অভিমান করে সুমি। সুমির নীরবতা দেখে শরীফ আবারও বলে, 
" সুমি? আমি তোমাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে চাই। তবু কি ফিরিয়ে দিবে আমাকে? "
শরীফের কন্ঠে এতটা আকুলতা সুমির আর দ্বিধা রইলো না সিন্ধান্ত নিতে। 
" আফনে মিতুর বাপের সাথে তালাকের ব্যবস্থা করেন, আমি মিতুরে বুঝামু।"
" আমি কালকেই এ বিষয় রুদ্র ভাইয়াকে বলবো। উনার সাথে আমি সব কথা শেয়ার করি,তোমার বিষয়ও জানে।"
" আইচ্ছা। এহন যাই, ম্যালা রাইত হইছে। আফনেও যান ঠান্ডা লাগবো।"
" আচ্ছা সাবধানে যেও, আসছি।"
শরীফ যতক্ষণ দৃষ্টি সীমানার মধ্যে ছিলো সুমি দাঁড়িয়ে থেকেছে। তারপর দৃষ্টির আড়াল হতেই দ্রুত পায়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে দরজা আঁটকে নিজের রুমে চলে গিয়েছে। 



চলবে........................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।