রাগেগরগর করছেন মোস্তফা সাহেব। বাড়ির লোকদের হাবভাবে রাগ-টা আরও বেশি করে মাথায় চড়ে বসেছে। বাড়ির একটা মানুষেরও মাথাব্যথা নেই। সবাই এই বিয়েতে সম্মতি দিয়ে বসে আছে! আশ্চর্য! তাদের এমন পজিটিভ রিয়েকশন কেন হবে? নির্বাক না হয়ে একেকজন ঢাকঢোল পেটাতে তৈরি। তার ছোটো ভাই আনোয়ার সাহেবের কথাই বলা যাক। সে দিব্যি ধেইধেই করে নেঁচেকুদে রাজি তন্ময়-অরুর বিয়েতে। উল্টো তিনি পারলে এখনই তন্ময়কে কোলে তুলে নাচতে শুরু করে দেন। হয়তো পারলে এলাকাজুড়ে মাইকিং করতে ছুটতেন। ছেলের সাথে এত-এত বোঝাপড়া এতকিছু - এত ঝগড়াঝাঁটি মোস্তফা সাহেব তাহলে কার জন্য করলেন? দিনশেষে যার জন্যে তিনি করেছিলেন চুরি সেই এখন বলছে সে চোর। সবাই ভালো মধ্যে মোস্তফা সাহেব হলেন কালো। ভিলেন সেজে বসে আছেন। এসব ভেবেই সিংহের মতন গর্জন দিয়ে উঠছেন। তাকে দেখেই দুরুদুরু কাঁপছে জবেদা বেগমের অন্তরাত্মা। ভয়ে তিনি জুবুথুবু হয়ে আছেন। চাচ্ছেন কোনোরকমে ল্যাটা মেরে শুয়ে পড়তে। চোখবুজে ঘুমের দেশে পাড়ি দেবার ঢপ ধরবেন। ঘুমিয়ে পড়েছে দেখলে কি আর ডেকে তুলে চেঁচাবে? কখনোই না। সেইসূত্র ধরে তিনি বিছানার কাছটায় মাত্রই গিয়েছেন। ওম্নেই রাগিত সুরে মোস্তফা সাহেব স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলে বসেন,
'এই কী ছেলে তুমি আমায় দিলে? এর থেকে আমার কলিজা ছিঁড়ে খেতে। খেয়ে ঢেকুর তুলতে।'
জবেদা বেগমের চোখজোড়া ছোটোছোটো হয়ে এলো ততক্ষণাৎ। অগোচরে মুখ বেঁকিয়ে ভেঙচি কাঁটলেন। যে মানুষটা ছেলেকে একদিন না দেখলে ঘুমোতে পারে না। ছটফট করে বেড়ায়। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। তার মুখে এসব মানায়? নেহাতপক্ষে রেগেমেগে বলছে। সাতসকালে ঠিকই সব ভুলে বসবে। জবেদা বেগম বোঝানোর তাগিদে বলতে নিচ্ছিলেন,
'রাগ ঝেড়েমুছে শুয়ে পড়েন। রাত অনেক হয়ে—'
মোস্তফা সাহেব হঠাৎ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। লিভিংরুমে পৌঁছে বাড়ির প্রত্যেকটি সদস্যকে চেঁচিয়ে ডেকে আনলেন। ঘোষণা দিলেন–অরু আর দোতলায় থাকতে পারবে না। ওকে নিচতলার একটি ফাঁকা রুমে ট্রান্সফার হতে হবে। আজ এবং এখনই। মোস্তফা সাহেবের কথা অমান্য করবার স্পর্ধা কার আছে? সে মুহূর্তেই আকাশ-শাবিহা-রুবি লেগে পড়েছে অরুর রুমের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ট্রান্সফার করতে। নিচতলার বাঁদিকের রুমে রাতারাতি ট্রান্সফার করা হলো বেশকিছু জিনিসপাতি। মোস্তফা সাহেব সিঁড়িপথে দাঁড়িয়ে থেকে, বিচক্ষণ নজরে নিজ চোখে–জিনিসপাতি ট্রান্সফারের কার্যক্রম দেখেছেন। আনোয়ার সাহেব একটিবার অবশ্য মুখ খুলতে নিয়েছিলেন। বড়ো ভাইয়ের কঠিন চোখের চাহনি দেখে চুপ করে গিয়েছিলেন পরমুহূর্তেই। একই ব্যাপারটা ঘটেছে তন্ময়ের সঙ্গে। সেও দোতলায় দাঁড়িয়ে অসহায় চোখে দেখছে এসব কাণ্ডকারখানা। কিছু যে বলবে সম্ভব নয়। এখন মুখ খুলে কিছু বললেই সর্বনাশ হবে। এভাবেই বাবাকে দেয়া ওয়াদা সে ভঙ্গ করেছে। সেই বিষয়ে মোস্তফা সাহেব আপসেট ভীষণ। তন্ময় বুঝতে পেরেছে বলেই আর ঝামেলা করল না। একচিত্তে দেখল অরুর ছোটোখাটো দেহটা পুতুল হাতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে। আড়চোখে ফিরেফিরে বারংবার কেমন করে চাইছে। মুখটা এইটুকুন হয়ে আছে। ওর মুখশ্রীতেই লেপ্টে আছে, ও যেতে চাচ্ছে না। তন্ময়ের ভারী মায়া লাগল। ইচ্ছে করল দৌড়ে গিয়ে ওকে বুকে পিষে নিতে। যত প্রকার আদর এই পৃথিবীতে এক্সিস্ট করে সব ওর ওপর ঢেলে দিতে।
অরুকে নিচতলার রুমে ঢুকতে দেখে কিছুটা শান্ত হলেন মোস্তফা সাহেব। স্থিরচিত্তে উপস্থিত সকলের মুখমণ্ডলে চোখ বুলিয়ে বললেন,
'নিজেদের মধ্যে কোনো বিয়ে হয় না। পরিবার ছাড়া কীসের বিয়ে? পারিবারিক ভাবে বিয়েটা না হওয়া অবদি অরু এখানেই থাকবে। তোর কী মতামত আনোয়ার? আপত্তি আছে?'
আনোয়ার সাহেব বড়ো ভাইয়ের তালে-তাল মিলিয়ে; সঙ্গে সঙ্গেই মাথাটা দুলিয়ে বোঝালেন, না। আপত্তি নেই, থাকতে পারে না। মোস্তফা সাহেব শেষবারের মতন ছেলেকে তেরছাভাবে একমুহূর্ত দেখলেন। তন্ময়ও সমানভাবেই তাকিয়ে রইল। জন্মদাতা পিতাকে আরেকদফায় রাগাতে ভ্রু তুলল। দু-ভ্রু নাচিয়ে যেমন শুধাচ্ছে, কী ব্যাপারস্যাপার! মোস্তফা সাহেবের মেজাজ মুহূর্তেই তুঙ্গে উঠল। তিনি আঙুল তুলে উচ্চকণ্ঠে বকাঝকা করে, চলে যেতে উদ্যত হলেন। জবেদা বেগমও স্বামীর পেছনে চলে গেলেন। আনোয়ার সাহেব মৃদু মৃদু হাসছেন। মুচকি হেসেই চোখ তুলে দোতলায় দৃষ্টি ফেলেন। তন্ময়কে একপল দেখে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে ওঠে এলেন। তন্ময় এগিয়ে এসে সামনাসামনি দাঁড়াল। দৃষ্টি তার নত। ভদ্রসভ্য তার ভাবভঙ্গি। আনোয়ার সাহেব হাত উঠিয়ে তন্ময়ের কাঁধে রাখলেন। তন্ময় দৃষ্টি নত রেখে বলল,
'অরুকে বোনের মত আমি কখনো দেখিনি। মাফ চাচ্ছি, চাচ্চু। তোমার ভরসা, আস্থা ভেঙেছি। তোমাকে ঠকিয়েছি।'
আনোয়ার সাহেবের ঠোঁটের রেখা প্রসারিত হলো। তিনি মোলায়েম পিতৃত্ব সুরে শুধালেন,
'বাবা, তোর কী অরুকে পছন্দ ছিলো?'
তন্ময় মাথা ওঠাল। তার নিগূঢ়তম চোখ জোড়ার দৃষ্টি সম্মুখে দাঁড়ানো আনোয়ার সাহেবের চোখের মধ্যিখানে। সে গভীর কণ্ঠে ঝরঝরে ভঙ্গিতে নির্দ্বিধায় বলল,
'পছন্দ প্রচণ্ড ছোটো শব্দ হয়ে যায়। বড়ো সাধারণ শোনায়। আমি ওকে ভালোবাসি। ভীষণ রকমের ভালোবাসি, চাচ্চু।'
আনোয়ার সাহেব দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বোঝবার ন্যায় মাথা দোলালেন। ফিচেল হেসে বলেন,
'যতটুকু বুঝলাম অরুও তোকে ভালোবাসে। মিয়াঁ-বিবি রাজি তো ক্যায়া কারেগা কাজি, হুঁ?'
তন্ময়ও এযাত্রায় ঠোঁটে ঠোঁট টিপে হেসে ফেলে। আনোয়ার সাহেব নিভুনিভু গলায় বলেন,
'একটামাত্র সন্তান আমার। তাও মেয়ে। সবসময় ভেবে রেখেছি একটা সময় আসবে, যখন আমার এই আদরের টুকরোটাকে বিয়ে দিতে হবে। আমাদের ফেলে ওকে ওর শ্বশুরবাড়ি যেতে হবে। তাদের মানিয়ে চলতে হবে। কেমন হবে তারা? আমাদের মত কী আগলে রাখবে ওকে? ভালোবাসবে? পত্রিকা পড়তে বসলেই কতরকম নিউজ পড়ি আর আঁতকে উঠি। ভয় পাই। আমার মেয়েটা সুখে থাকবে তো?'
এতটুকু বলে একটু থামলেন আনোয়ার সাহেব। তার চোখজোড়া তার লাল হয়ে এসেছে। ভেজা চোখ নিয়ে হেসে স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিতে বলে ওঠেন,
'এখন আর সেসব চিন্তাভাবনা নেই রে, বাবা। খাঁটি রত্ন তুই। হাতের তলায় বড়ো হওয়া ছেলে আমাদের। তোকে চিনি- জানি। আমার মেয়ের জীবনসঙ্গী হিসেবে তোর থেকে ভালো কেউ হতে পারে না। সম্ভব না। আমি ওকে তোর হাতে তুলে দিতে পেরে চিন্তামুক্ত থাকব। সারাজীবন মেয়েটা চোখের সামনে থাকবে। একই বাড়িতে। এইতো আমার শান্তি।'
তন্ময় প্রতিজ্ঞা দেবার মতন দৃঢ় কণ্ঠে জানায়,
'আমি অরুকে সুখে রাখব—দেখে রাখব; সারাজীবন।'
———
পরদিন শাহজাহান বাড়ি শান্ত। বড়ো স্থির। যে যার মতন নিত্যকারের হাবভাবেই রয়েছে। তন্ময় নিজেও নির্বিকার আগেকার ন্যায়। সদ্যবিবাহিত পুরুষ তাকে কোনোদিক দিয়ে লাগছে না। সে সকাল-সকাল রোজকারের মত অফিস ব্যাগ হাতে নিচে নেমে এসেছে। ব্রেকফাস্ট করে অফিস যাবে। অরু ইতোমধ্যে পরিপাটি ভাবে উপস্থিত। উৎসুক নয়নে রান্নাঘরে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। কী করতে চাচ্ছে ও আর এক আল্লাহ ছাড়া কেউ হয়তো বুঝবে না। তন্ময় গোপনভাবে একপল দেখল। খেয়াল করল সুন্দর একটি ড্রেস পরেছে। সাদা আনারকলি। দু'চোখে গাঢ় করে কাজল পরেছে। দু'হাত জুড়ে সাদা কাঁচের চুরি। তন্ময় মুগ্ধ হলো। বেহায়ার মত চেয়ে থাকতে চেয়েও, নিজের দৃষ্টি অস্বাভাবিক ধৈর্যসহ নিয়ন্ত্রণে নিলো।
একই গতিতে হেঁটে এসে চেয়ার টেনে বসল। অরু শব্দ শুনে তরিৎ ফিরে তাকাল। তন্ময়কে দেখে জড়সড়ভাবে দাঁড়াল। লাজুক ওর হাবভাব। কী সুন্দর নতুন বউয়ের মত লজ্জা পাচ্ছে। আফসোস! তাদের অবস্থান অন্যদের থেকে ভিন্ন। নাহলে হয়তো তারা এখন নিউলি ম্যারিড কাপল হতো। সুন্দর একটি দেশে হানিমুনে ছুটত।
খেতে বসে সকলেই ঘুরেফিরে তন্ময়-অরুকে আড়চোখে, কোণচোখে দেখছে। নির্বিকার থাকতে চেয়েও পারছে না কেউই। এইযে জবেদা বেগম বারংবার ওদের দেখছেন আর মিটিমিটি হাসছেন। একই অবস্থা শাবিহা-রুবি-দীপ্তর। সুমিতা বেগম আবার অন্যদিকে আগের চেয়ে তন্ময়ের পানে নজর বেশি দিচ্ছেন। চারবার তিনি তন্ময়ের সামনে গিয়ে ওর পাতে রুটি তুলে দিলেন। এযাত্রায় মুখ খুলে জিজ্ঞেস করে বসলেন,
'বাবা, আর কিছু লাগব তোর?'
মুখে পরোটা গিলতে নিয়ে তন্ময় কেশে উঠল। বাড়ির ছেলে সে। সারাজীবন ডাইনিং থেকে নিজ হাতে নিয়ে খেয়েছে। কখনো এহেন প্রশ্ন করেননি সুমিতা বেগম। তাই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে একমুহূর্তের জন্য। জবেদা বেগম ঠোঁটে ঠোঁট টিপে হাসি আটকে রেখেছেন। অরু ইতোমধ্যে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে পড়েছে। তড়িঘড়ি করে ব্যগ্র ভঙ্গিতে একগ্লাস পানি এগিয়ে ধরে। এতে করে পরিস্থিতি আরও হাস্যকর হয়ে ওঠে। শব্দ করে হেসে ফেলে শাবিহা। মোস্তফা সাহেব গম্ভীরের চূড়ান্তে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। গটগট পায়ে বেরিয়ে যান। সে যেতেই সবাই স্বতঃস্ফূর্ততায় হেসে কুটিকুটি। সকলে কেন হাসছে তা তন্ময় বুঝলেও অরু বুঝল না বোধহয়। বোকাবোকা চোখে দেখছে সবাইকে। তন্ময়ের চোখে চোখ পড়ে এবারে। নিগূঢ়ভাবে চেয়ে থেকে– ধীর গলায় তন্ময় নিজ অজান্তেই বলে বসে,
'অফিস যাচ্ছি। আসি।'
কান সকলের খাড়া হয়েছিল। কথাটি কমবেশ সবার কর্ণগোচর হলো। দ্বিতীয় দফায় উচ্চস্বরে হেসে উঠল সকলে। তন্ময় অনির্মিত ভাবে ব্যাগ হাতে বেরিয়ে এলো দ্রুত পদচারণে। বাগানে পৌঁছে আটকে রাখা দীর্ঘশ্বাসটুকু ফেলবে; তখনই খেয়াল করল সম্মুখে মোস্তফা সাহেব দাঁড়িয়ে। যেন তারজন্যই অপেক্ষা করছে ভদ্রলোক। শবাবা-ছেলের মধ্যে সেখানেই, সেমুহূর্তে দাঁড়িয়ে কিছু মুহূর্ত তর্কবিতর্ক চলল। সেই তর্কবিতর্ক থামল আনোয়ার সাহেবের উপস্থিতিতে। মোস্তফা সাহেব এবং আনোয়ার সাহেব একসঙ্গে বেরিয়ে পড়েছেন। তন্ময় নিজের গাড়িতে উঠে বসেছে। গাড়ি স্টার্ট করেই বাঁদিক চাইল। অরু এগিয়ে আসছে। সঙ্গে শাবিহাও আছে। ওদের আসতে দেখে কাঁচ নামিয়ে দিলো। শাবিহা মিটমিট করে হেসে শুধাল,
'আমাদের সামনের পার্লারে নামিয়ে দিবা?'
তন্ময় ভ্রু তুলে জিজ্ঞাসু ভঙ্গিতে,
'এত সকালে পার্লারে কী?'
শাবিহা ডান চোখ টিপে রহস্যময় ভাবে বলল,
'অরু নাক ফুঁড়াবে।'
আশ্চর্য হলো তন্ময়। নাক ফুটো করবে? হঠাৎ সেটা কেনো? তাও বিয়ের পরদিনই? সে খানিক ভেবে দেখল দেশের মেয়েরা সাধারণত বিয়ের পরপর নাক ফুঁড়িয়ে নেয়। এযাত্রায় তার চকিত দৃষ্টি অরুতে পড়ে। অরুর কান দুটো রক্তিম। ও অন্যদিক চেয়ে আছে। তন্ময় নিজেও কল্পনাজল্পনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অরুকে নাকফুলে কেমন লাগবে? পরপর নিজের ভাবনায় মাটি চাপিয়ে গম্ভীরকণ্ঠে ধমকের সুরে বলে,
'নাক ফুঁড়াতে হবে কেনো? তাও এসময়। এসবের দরকার নেই। যা ভেতরে।'
এতটুকু বলে সে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। রাতে ফিরে লক্ষ্য করে অরু নাক ফুঁড়িয়েছে। খুব সুন্দর একটি ডায়মন্ডের নাকফুল পরে আছে। এই সাধারণ বিষয়টা ঝড় তুলল তার বুকে। ইচ্ছে করল ছুঁয়ে দেখতে। চুমু খেতে। দারুণ সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়াল ওই নাকফুল ওর মুখজুড়ে। একদিন সুযোগ পেয়ে সে চুমুও বসিয়েছিল। তারপর- তারপর একেকটি দিন
একই গতিতে, একই নিয়মে চলতে লাগল। মনমতন অরুর সঙ্গে সময় কাটানো দুষ্কর হয়ে দাঁড়াল বটে। বাড়ির সবাই তাদের চোখে চোখে রাখে। একা ওকে পাওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দূর হতে একপল দেখা। ব্যস! মাঝেমধ্যে অবশ্য সঙ্গ পাওয়া যায়। গেলেও সময় যেন কীভাবে চলে যেত। এভাবেই তো কেঁটে গেল তিনটা বছর। কতগুলো বসন্ত।
.
.
.
চলবে............................