ফেব্রুয়ারি মাস। বসন্তকাল। বাংলায় ফাল্গুনমাস। আজ চৌদ্দ তারিখ। ভালোবাসা দিবস। এই দিনে ঢাকাশহরের পথঘাটে ধর্মঘট পড়ে। ভালোবাসার ধর্মঘট। আকাশে-বাতাসে, আয়ুতে-বায়ুতে উড়েবেড়ায় ভালোবাসারা। ডানে-বামে, ওপরে-নিচে সবাখানেই– বিভিন্নভাবে উপস্থিতি থাকে কপোত-কপোতিদের। এহেন দিনের সাতসকালে তন্ময় ধানমণ্ডির 'লাভোনা' রেস্টুরেন্টে নির্বিকার মুখে বসে। পরনে সাদা রঙের পলো শার্ট সাথে কালো কার্গো প্যান্টস। চুলগুলো অপরিপাটি ভাবে কপালে পড়ে। শূন্যে চেয়ে থেকে; হাতের গরম কফিটায় হুটহাট চুমুক বসাচ্ছে। এযাত্রায় মাথা না ঘুরিয়ে, শুধু চোখের মণি ঘুরিয়ে আড়চোখে একটিবার দেখে নিলো, পাশাপাশি একদম মুখোমুখি বসা দুজন ব্যক্তির ছলাকলা।
অয়নের সঙ্গে খুব একটা প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক নেই মোস্তাফা সাহেবের। বিশেষ একটি কারণে অয়নকে দু'চোখে দেখতে পারেন না ভদ্রলোক। মুখচোখ গম্ভীর করে রাখেন চূড়ান্ত পর্যায়ে। যেন অয়ন কোটি টাকা তার থেকে চু রি করে নিয়েছে। অবশ্য কোটি টাকা না নিলেও, একমাত্র মেয়ে তো চু রি করেছে? ধুরন্ধর ছেলেমানুষ একটা! নাক টিপলে এক্ষুনি দুধ বেরোবে। এমন ছেলের ভেতর মেয়েটা তার দেখল কী? কথায় আছে প্রেম অন্ধ। মেয়েটা নিশ্চিত অন্ধ হয়ে গেছে। মোস্তফা সাহেবের কপালে গুনেগুনে চারটা ভাঁজ পড়েছে। হাতের কফিটা পানির মতন ঠাণ্ডা হতে চলেছে। চুমুক দেবার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। এই বিচ্ছু ছেলেকে দেখলে তার খাওয়া-দাওয়া হাওয়াতে মিলিয়ে যায়। বেলুনের মতন চুপসে আসে মুখশ্রী। আর এদিকে আরেকটা আছে তার ছেলে! চুপচাপ মুখে কুঁলুপ এঁটে বসে। ওকে কী তিনি বসে থাকতে এনেছেন? কিছু বলবে তা না! একটিমাত্র আপন ছোটো বোন ওর। সেই বোনের জন্য কী চিন্তা নেই? মোস্তফা সাহেব দুবার চোখ উঠিয়ে তাকালেন তন্ময়ের দিকে। ইশারা-ইঙ্গিতে তিনি কথাবার্তা আগাতে বলবেন। কিন্তু ছেলে তাকে সেই সুযোগ দিলে তো? দিচ্ছেই না। উদাস ভঙ্গিতে অন্যদিক ফিরে বসে। উপায়ন্তর না পেয়ে গলা খাঁকারি দিলেন। তন্ময় ডান ভ্রু তুলে তাকায়। জুবুথুবু হয়ে বসা অয়নও চায়। ছেলেটা প্রচণ্ড নার্ভাস। বুকের ভেতরটা ধুকপুক করছে। করবে না? বয়সে বড়ো প্রেমিকার পিতা-ভ্রাতা তার সম্মুখে গম্ভীরমুখে বসে। আড়ে-আড়ে গম্ভীর, নিগূঢ়ভাবে চাইছে। তাকে শক্তপোক্ত ভঙ্গিতে দেখছে। আর সে আসামির ন্যায় মাথা ঝুঁকিয়ে আছে। এছাড়া আর করার কিছু কী আছে? নেই। সখ্যতা করতে হবে। ভবিষ্যৎ শ্বশুরকে পটাতে না পারলে কেমন পুরুষ সে? নিজেকে ধাতস্থ করল অয়ন। উৎসুক চোখে চেয়ে সে ভদ্রভাবে একগ্লাস পানি এগিয়ে ধরল। অন্য হাতে একটু টিস্যু বাড়িয়ে বলল,
'আঙ্কেল, একটু গলাটা ভিজিয়ে নিন। ভালো লাগবে।'
মোস্তফা সাহেব কঠিনমুখে, শক্ত চোখে চেয়ে গম্ভীরকণ্ঠে শুধালেন,
'আসল বয়স কত তোমার? স্মার্ট কার্ড কোথায়? এনেছ তো? আর পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি আর অনার্সের সার্টিফিকেট কোথায়?'
অয়ন শুকনো ঢোক গিলল। একপল অসহায় ভাবে তন্ময়ের দিক তাকাল। আমতাআমতা করে বলল, 'এসব তো আনতে বলেননি, আঙ্কেল!'
মোস্তফা সাহেব চোখদুটো বড়ো করে ফেললেন। চোখ রাঙিয়ে শাসালেন, 'বলতে হবে কেন? এসব ইম্পর্ট্যান্ট তুমি জানো না? এতটুকু জানো না কিন্তু প্রেম তো ঠিকই করতে জানো। অভদ্র ছেলে!'
অয়ন মিনমিনে ভঙ্গিতে জানাল, 'প্রেম তো রক্তে মিশে। এম্নিতেই এসে যায়। কিন্তু ভবিষ্যৎ শ্বশুর ঠিক কী দেখে পরিক্ষা নেয়, তা তো জানতাম না!'
নির্বাক মোস্তফা সাহেব নিজের জবান হারিয়ে বসলেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় তাকে একপলক দেখে–তন্ময় আড়ালে আবডালে সেকেন্ডের জন্য ঠোঁট টিপল। মোস্তফা সাহেব রাগিত গলায় বলে উঠলেন,
'এই ছেলে, ভবিষ্যৎ শ্বশুর কে তোমার? মুখ সামলে কথা বলো, ভালোয় ভালোয় বলছি। আমার মেয়ে তোমার হাতে আমি দিচ্ছি না। শুনেছ, বুঝেছ? কান খুলে; মন দিয়ে শোনো।
আমার মেয়েকে তোমার হাতে দেব না।'
অয়ন আশ্চর্য না হয়ে পারল না। এখানে তাহলে তাকে ডাকা হয়েছে কেন? প্রশ্নবোধক চোখে তন্ময়কে দেখল। তারপর মোস্তফা সাহেবকে। হতবাক গলায় শুধাল,
'এই কথা কী আমি শাবিহাকে কল করে জানাব?'
মোস্তফা সাহেবের তাজ্জব বনে গেলেন। চোখের পলক পড়া বন্ধ হয়ে গেল। মেয়ের নাম বলে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে? তাকে; শাহজাহান মোস্তফাকে? ধমকে উঠলেন ততক্ষণাৎ,
'বলে দেবে মানে? তুমি আমাকে হুমকি দিচ্ছ? সাহস তো কম না তোমার! দেখছিস তন্ময়? দেখ এই ছেলের আসল রূপ।'
অয়ন স্বাভাবিক। শান্ত গলায় বলল, 'আমাকে শাবিহা বলেছে, আপনি আমাদের মেনে নিয়েছেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে কথাবার্তা বলতে এসেছেন। আমি সেভাবেই তৈরি হয়ে এসেছি।'
মোস্তফা সাহেব কী ইচ্ছে করে এসেছে? সখে এসেছে নাকি? নেহাতি মেয়ের মুখপানে চেয়ে এসেছে। মেয়ের কান্নাকাটি তিনি বাবা হয়ে মেনে নিতে পারছিলেন না বলেই বাধ্য হয়েছেন মেনে নিতে। অয়ন সিরিয়াস হলো। চোখমুখ শান্ত স্থির করে তাকাল। কণ্ঠে দৃঢ়তা এনে বলল,
'আপনি আমাকে বলেছিলেন শাবিহাকে পেতে আমায় যোগ্য হতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমি দুবছর সময় নিয়েছিলাম। বলেছিলাম দুবছরে নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে দেখাব। নিজের ইনকাম সোর্স দেখাব। তিন বছর হতে চলল। আপনাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আমি রেখেছি। কথামত আমি নিজের ব্যবসা শুরু করেছি। বেশ কিছু কোম্পানিতে ইনভেস্ট করেছি। ইনভেস্ট শতগুণে বেড়েছে। মার্কেট স্টক কিনেছি। শাবিহাকে সুখে রাখার মতন অবস্থা হয়েছে আমার। এখন আপনার প্রতিশ্রুতি রাখার পালা, আঙ্কেল।'
মোস্তফা সাহেব অন্যদিক ফিরে রইলেন। মুখে রা নেই তার। তন্ময় কফিটা টেবিলে রাখল। অয়নের চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করল,
'আন্টি-আঙ্কেল, মেনেছেন? তাদের কোনোরকমের আপত্তি নেই তো?'
অয়ন মাথা দুলিয়ে বলল, 'নেই, ভাই। তারা মেনেছেন। আর বাদবাকি কে মানল না মানল–আই ডোন্ট কেয়ার!'
মোস্তফা সাহেব উঠে দাঁড়ালেন। তন্ময়-অয়নও উঠে দাঁড়াল। মোস্তফা সাহেব এযাত্রায় পরিপূর্ণ দৃষ্টি অয়নের দিকে রেখে বললেন,
'তোমার মা-বাবাকে বাসায় আসতে বলো। বাকিটা তাদের সাথেই বলব।'
কথাটুকু শেষ করে তিনি দরজার দিক হাঁটা ধরলেন। তন্ময় অয়নের কাঁধ চাপড়াল আশ্বস্ত করবার ভঙ্গিতে। অয়নের চোখ উজ্জ্বল হয়ে আছে নক্ষত্রের মত। খুশিতে আত্মহারা হয়ে, প্রফুল্ল গলায় বলে,
'ধন্যবাদ, ভাই। আমি নিরাশ করব না। শাবিহাকে সুখে রাখব। ভালো রাখব।'
তন্ময় হেসে ফেলে, 'আই ট্রাস্ট ইউ। ওল দ্য বেস্ট।'
তন্ময় বেরিয়ে এলো রেস্টুরেন্ট থেকে। গাড়ির সামনে মোস্তফা সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন সটানভাবে। তন্ময় পকেট থেকে চাবি বের করল।
চাবি চাপ দিয়ে গাড়ি আনলক করল। মোস্তফা সাহেব উঠে বসলেন। ওপরপাশ দিয়ে ড্রাইভিংয়ে বসল তন্ময়। সিটবেল্ট বাঁধতে-বাঁধতে বলল,
'সিটবেল্ট বেঁধে নাও, বাবা।' ছেলের কথামতন মোস্তফা সাহেব সিটবেল্ট বাঁধলেন। তবে তিনি অন্যমনস্ক। চিন্তিত বড়ো। বাবার মুখ দেখেই বুঝে নিলো তন্ময়। নরম গলায় বলতে লাগল,
'যা হয়নি তা নিয়ে এত উলটপালট চিন্তাভাবনা কেন করছ, বলো তো?'
মোস্তফা সাহেবের কণ্ঠে পিতৃসম দুশ্চিন্তা,
'বাবা হয়ে নে তারপর বুঝবি।'
তন্ময় কুটিল হাসল। গাড়ি স্টার্ট করল। বিচিত্র গলায় বলে ফেলল, 'সুযোগ কই দিচ্ছো?'
মুহূর্তেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন মোস্তফা সাহেব। চোখ গরম করে তাকান। শাসাতে শুরু করেন ছেলেকে, 'লজ্জা করে না তোর এসব বলতে? বিবেক নেই তোর? এতটুকু মেয়েটা! একসময় বোনও তো হতো।'
তন্ময় নির্বিকার গলায় বলে বসল, 'বিবেক আছে বলেই এখনো বাবা হইনি। লজ্জাশরম আমার এভাবেও একটু কম। জানোই তো।'
মোস্তফা সাহেব এই দামড়া ছেলের সঙ্গে আর একটি কথাও বলবেন না।
_____
বাসায় ফিরতেই তন্ময়কে সবাই ঘিরে ধরল। সবাই বলতে শাবিহা-রুবি-দীপ্ত আর আকাশ। তাদের উৎসুক হাবভাব দেখে তন্ময় ভ্রু তুলল। আকাশের ইশারায় চোখ তুলে লিভিংরুমে চাইতেই স্তম্ভিত হলো। একটি বড়ো গোলাপ ফুলের তোড়া। আঙুল তুলে সেটা দেখিয়ে শুধাল,
'কার এটা?'
শাবিহা মুখ খুলেছিল জবাব দেবার জন্য। তবে দিতে পারল না। তার পূর্বেই দোতলা হতে একটি রিনরিনে পাতলা মেয়েলি কণ্ঠ তেড়ছা ভঙ্গিতে বলে উঠল,
'ডিরেক্টর, হ্যাপি ভেলেনটাইন্স ডেই। ফ্রম সামিয়া।'
তন্ময় ভ্যাবাচেকা খেয়ে ওপরে তাকাল। তবে কণ্ঠের মালিকের দেখা পেলো না। পাশ থেকে রুবি ফিসফিসিয়ে জানাল,
'ভাইয়া, তুমি যাওয়ার পরপর এই ফুলের তোড়া আসে। সেন্ডার সামিয়া। আর ছোটো নোট আছে সঙ্গে। সেখানে লেখা, ডিরেক্টর হ্যাপি ভেলেনটাইন্স ডেই।'
তন্ময় বিরক্ত হলো। দীর্ঘশ্বাস ফেলল। সামিয়া তার অফিসের। ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেনন্টে নতুন জয়েন করেছে। তাই অজান্তেই এমন দুঃসাহস দেখাতে পেরেছে। মাসখানেক তো হলো জয়েন হয়েছে। এই মেয়ে কী জানে না সে ম্যারিড? এতদিনে তো জানার কথা। আশ্চর্য! লিভিংরুমের দিক আর এগিয়ে গেল না। বরঞ্চ আকাশের উদ্দেশ্যে বলল,
'এটাকে আপাতত বাইরে রেখে আয়।'
আকাশ মিনমিনে কণ্ঠে শুধাল, 'মৌমাছি কী সব তোকেই দেখে? কোথা থেকে আসে এরা?'
তন্ময় অসহায় এই বিষয়ে। সে কী এসব মৌমাছি চায়? চায় না। বরং দূরে-দূরেই থাকে। তার এই জীবনে সে শুধু একটা মৌমাছিই চেয়েছে। সেই মৌমাছি নিয়েই তার জগৎ-সংসার। তন্ময় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে আসে। অরুর ঘরের দরজা বন্ধ। ধীরেসুস্থে দুটো করাঘাত করে। তবে জবাব নেই। কণ্ঠ খাদে নামিয়ে ডাকে,
'অরু?'
ভেতর থেকে মেঘের মতন শান্ত কণ্ঠ শোনা গেল,
'কেউ নেই ভেতরে। দূর হোন।'
ছাঁদ থেকে নামছিলেন জবেদা বেগম। তাকে দেখে তন্ময় সরে যায়। নিজের রুমে ফিরে এসে অরুকে কল করে। মেয়েটা সঙ্গে সঙ্গে কল কেঁটে দেয়। যেন কল কাঁটার জন্য ফোন হাতে নিয়েই বসেছিল। তন্ময়ের মনে পড়ে গতকাল রাতের কথা। অরু বিড়ালছানার মতন তার চারিপাশে ঘুরঘুর করেছিল আজ বেরোবে বলে। ভেবেচিন্তে ম্যাসেজ পাঠায়,
'ঘুরতে যেতে চাচ্ছিলি না? রেডি হয়ে নাম।'
অরুর ভেঙানো ধরনের শর্টকাট জবাব এলো,
'হ্যাপি ভেলেনটাইন্স ডেই, ডিরেক্টর।'
তন্ময় দুসেকেন্ড সময় নিয়ে লিখল, 'রেডি হয়ে নাম। অপেক্ষা করছি।'
'যাব না।'
তন্ময় ম্যাসেজটি দেখে হাসল। জবাব না দিয়ে রুম ছেড়ে বেরোল। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল। মোস্তফা সাহেব লিভিংরুমে শান্ত মস্তিষ্কে বসে চা খাচ্ছেন। পাশেই জবেদা বেগম বসে। তন্ময় বেরোতে-বেরোতে বলল,
'অরুকে নিয়ে একটু বেরোচ্ছি। সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসব।'
মোস্তফা সাহেব বাঁকাচোখে একপল ছেলেকে দেখলেন তবে মুখে কিছু বললেন না। চা খাওয়াতে মনোযোগী হয়ে রইলেন। অপরদিক জবেদা বেগম বোঝার ন্যায় হাসলেন।
বেরিয়ে এসে তন্ময় ড্রাইভিংয়ে উঠে বসল। সূর্যের রশ্মি চোখে লাগায়–সানগ্লাস পরে নিলো। অপেক্ষারত সে কয়েকবার সদরদরজার দিক তাকাল। অরু বেরোল বিশ মিনিট পর। অঙ্গপ্রত্যঙ্গে লেপ্টানো র ক্ত লাল রঙের কামিজ। লম্বা চুলগুলো ছাড়া। যা কোমর ছুঁয়ে আছে। কপালে ছোটো কালো টিপ। ছোটোখাটো হাস্যজ্জ্বল মুখটা গম্ভীর করে রেখেছে। সূর্যের আলোতে ওকে রাগিত অপ্সরী লাগছে। তন্ময়ের রাগান্বিত অপ্সরী! অরু তড়তড়িয়ে পাশে এসে বসল। দরজা লাগিয়ে অন্যদিক ফিরে থাকল। তন্ময় আড়চোখে একবার চেয়ে গাড়ি স্টার্ট করল। বাড়ি থেকে গাড়িটা বেরোতেই শুধাল,
'কোথায় যাবি?'
অরুর জবাব নেই। সে একচিত্তে বাইরেটা দেখছে।
গাড়ির কাঁচও আজ নামাতে বলছে না। ভালোরকম রেগেছে মনে হচ্ছে। তন্ময় চিন্তিত হয়। মস্তিষ্ক খুঁজতে শুরু করে, প্রেয়সীর রাগ ভাঙানোর রাস্তা।
.
.
.
চলবে............................