নিশীভাতি - পর্ব ৫১ - মুশফিকা রহমান মৈথি - ধারাবাহিক গল্প


"কাওছার! ওই কাওছার। বের হ এক্কনি"

বাহিরে লোকের সমাবেশ। সকলের মিলিত স্বরে ঘুম ভাঙ্গলো রাশাদের। শুক্রবার বিধায় আজ দোকান বন্ধ। বাসায় একটু বিশ্রাম নেবার পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু বাহিরের চিৎকারে তা সম্ভব নয়। গায়ে একটি শার্ট জড়িয়েই বেরিয়ে এলো সে। তাকে দেখেই অভিযোগের সুর তুললো কালাম,
"রাশাইদ্দা, তোর বাপরে ক আমার টেহা দিতি”

কালাম গ্রামের বেশ প্রবীনদের জড়ো করেছে। মোট সাত-আটজন তো হবেই। সকলের ক্রুদ্ধ নয়ন দেখছে রাশাদকে। রাশাদ বিমূঢ় দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো। মস্তিষ্ককোষগুলো থম ধরে রইলো। ঘুমের রেশটা চট করেই মিলিয়ে গেল। প্রখর হলো কপালের ভাঁজ। কাওছারের ঘরের দিকে একবার চাইলো। সবাই বের হয়ে এলেও সে বের হয়ে আসে নি। ভেতর থেকে উদ্বিগ্ন স্বরে ইলহা শুধালো,
 “কারা এসেছে?”

মেয়েটির আজকাল ঘুমাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। খাবার রুচি নেই বললেই চলে। সব কিছুতেই না কি গন্ধ লাগে! যা একটু মন মেরে খেতে বসে, জোর করে পেটে দিলেও উগড়ে ফেলে মুহূর্তেই। হাসপাতালের চাকরিটা এখনো ছাড়ে নি সে। অনেকটা জোর করেই রেখেছে। রাশাদ বাধা দিলেও সে দৃঢ়। ফলে শরীরটা আরোও দূর্বল হয়ে গেছে। বসে বসেই ঘুমিয়ে পড়ে। প্রচুর ক্লান্তি আসে। আর রাত হলেই ঘুম আসতে চায় না। আজ ছুটি বলেই সে একটু দেরি করে ঘুমাচ্ছিলো। এই চিৎকার চেঁচামেচিতে সেটাও হলো না। রাশাদ কোমল স্বরে বলল,
 “কিছু না, আপনি ঘুমান”

বলেই সে দরজাটা ভিজিয়ে দিলো। দাঁড়ালো উন্মুখ জনতার সামনে। শীতল স্বরে বললো,
 “কালাম কাকা, চেঁচাচ্ছো কেনো? আর কিসের টাকা?”
 “তোর ওই লম্পট বাপটারে জিগা যাইয়্যা, আমার ছ্রমের টেহ। স্বপন দেহাইছে আমার পোলারে সরকারী চাকরি দিবো। তোর বোনের জামাই তো নেতা, ওয় কইলেই চাকরি হইবো। আমি আমার জমি বন্ধক থুয়্যা তোরে টেহা দিছি। অথচ সেদিন যখন কইলাম, কিরে কাওছার; পোলা তো পরীক্ষা দেয়, চাকরি হয় না। তুই কইলি আরোও টেহা লাগবো। আমি পুরান টেহা ফেরত চাইলে ওয় কয় দিবে না। আমার জমি এখন মুনিম খাইয়্যা লাইবো। কুত্তার বা/চ্চা আমারে লুইট্যা নিছে। আমার টেহা ফেরত দিতে ক। হেতেরে বাইর হইতে ক"

কালাম চিৎকার করে নিজের কষ্টগুলো জাহির করতে শুরু করলো। কালামের চোখ থেকে ঝরঝর করে পানি ঝরছে। ছেলের ভবিষ্যতের জন্য সে তার শেষ সম্বলটুকুও কাওছারকে দিয়ে দিয়েছে। টাকাটা ফেরত না পেলে সর্বস্বহারা হবে সে। তাদের চেঁচামেচিতে শামসু মিঞা আর আতিয়া খাতুনও উঠানে এলেন। শামসু মিঞা কঠিন স্বরে বললেন,
 "কাওছার কোয়ানে, ওরে ডাক"

অবশেষে গর্ত থেকে বের হলো কাওছার। চোরের মতো সে বেরিয়ে এসে দাঁড়ালো এক কোনায়। কালাম ছুটে যেয়ে তার গেঞ্জি ধরে বললো,
"তুই আজকে আমার টেহা দিবি"

কাওছার কোনোমতে তার থেকে নিজেকে ছাড়ালো। জোর গলায় বললো,
 "কিয়ের টেহা! কিয়ের টেহা দিবো তোরে!"
 "যে টেহা নিছোস সেই টেহাই দিবি"
"মিথ্যা কছ কেন! আমি কোনো টেহা নেই নি"
 "কাওছাইররা। তুই কিছু দিন আগেও ওই গেরামের বনি শেখের বাড়িতে জুয়া খেলছোস। পঞ্চাশ হাজার টেহা হারছোস, ওই পাইছোস এতো টেহা? তুই তো কামাই ও করস না। কি ভাবছস আমি পরমান ছাড়া আইছি?”

এবার কাওছারের মুখশ্রী রক্তশুন্য হলো। শুকিয়ে গেলো গলা। জোর কমে এলো। কেউ যাতে এই টাকার হদিস না পায় তাই সে অন্য গ্রামে যেয়ে জুয়া খেলে। পঞ্চাশ হাজার টাকার কাহিনীটা বেশ পুরাতন নয়। কালামের সাথে ঝগড়ার অনেক পড়ে সে টাকাটা বের করেছিলো। বনি শেখের বাড়ি প্রতি শুক্র-শনি জুয়ার আসর বসে। সে বেশ ভালোই খেলছিলো। দেড় লাখ টাকা জিতেও গিয়েছিলো। কিন্তু কিভাবে যেনো এলোমেলো হয়ে গেলো। হারতে হারতে নিজের হাতে অবশিষ্ট থাকলো পাঁচ টাকা। ভাগ্যিস সে ধার করে নি। শফির কাহিনীতে শিক্ষা হয়েছে। কিন্তু এখন তো মহাবিপদ হলো। কাওছার বুঝলো এখন স্রোত তার বিপরীতে। তাই মুহূর্তেই ছুটে গেলো বাবার কাছে। শামসুর পা ধরে মরা কান্না জুড়লো,
 “আব্বা, বিশ্বাস যান আমি টেহা নেই নাই। কালামের কাছে কোন সাক্ষী ই নাই। ও আমারে ফাসাইতেছে। টেহা হাতানোর ফন্দি এডি”
 “তুই কি কালামের ছেলের চাকরির কথা কইছিলি”
 “আব্বা আমি তো ঘর থেইক্যাই বের হই না। জানবো কেমনে”

রাশাদ নিঃশব্দে তামাশা গুলো দেখছে। তার দৃষ্টি শান্ত। বাবাকে এক মুহূর্তের জন্য তার বিশ্বাস হয় না। এই লোকের উপর বিশ্বাস করা মানে, নর্দমায় গোসল করা। তবুও সে শান্ত কারণ এখানে প্রবীন শামসু মিঞা। তার সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভরশীল। আতিয়া খাতুনের মুখশ্রী ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। লোকের মাঝের ক্রোধ তো দৃষ্টি এড়াচ্ছে না। এদিকে তার মানুষটার শরীরটাও ভালো না। বয়স আর রোগের কারণে মস্তিষ্কে চাপ নিতে পারে না। রক্তচাপ বেড়ে যায়। কালাম তখন বলে উঠলো,
 “তুই তারমানে আমার টেহা দিবি না?”
 “আরে নি নাই, দিমু কি?”
 “তুই তাইলে জুয়ার টেহা পাইলি কই?”
 “পরমান কি আমি বনি শেখের বাড়ি গেছি?”
 “আমি যখন এইডা খোঁজ নিছি তুই কই টেহা খরচ করছস, তাইলে তুই জুয়া খেলছোস কি না যেইডার পরমান ও আছে। বনি শেখ তো তোর শত্তুর না। সে কইলে কি পরমান হইবো”
 
কাওছারের স্বর ক্ষীন হয়ে এলো। কালামের কথায় সত্যতা প্রকাশ পাচ্ছে। শামসু মিঞা বুঝলেন কালাম মিথ্যে বলছে না। কালামের সাথে লোকও আছে। তারাও হাউকাউ করছে। লজ্জায় বৃদ্ধের মুখখানা লাল হয়ে গেলো। দৃষ্টিতে অব্যক্ত বেদনা। সম্মানহানির আর কিছুই বাকি নেই। লোকসমাজ নিয়ে তার বাঁচতে হয়। সেখানে আজ আবারও মাথা কাটা গেলো তার। আর কত সইতে হবে। সন্তান থেকে প্রাপ্য কষ্ট বোধহয় বেশি দগ্ধ করে। ব্যাথিত হয়ে ক্ষীণ স্বরে বললো,
 “কালাম তুমি চাও কি?”
 “শয়তানডারে কন মোর টেহা আজকেই দিবো”

শামসু মিঞা অসহায় হয়ে পড়লেন। এত টাকা তার কাছে নেই। তিনি চাইলেন রাশাদের দিকে। রাশাদ তখনো মৌন। এই আঁধঘন্টা সে একেবারেই চুপ ছিলো। কোনো কথা বলে নি। বিকারহীন, নির্লিপ্ত। শামসু মিঞা অনুরোধের স্বরে বললো,
 “রাশাদ, তুই দেখ কি করবি। আমি কিচ্ছু কমু না”

রাশাদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। বুকে হাত বাঁধলো। যেনো সে অপেক্ষা করছিলো এমন কিছু শোনার। ফলে গম্ভীর স্বরে বললো,
 “কালাম কাকা, টাকাটা আপনি কি কাওকে জানিয়ে দিয়েছিলেন?”
 “হ্যা?”
 “মানে, উনাকে যখন টাকা দিয়েছেন আমি বা দাদা কি জানতো ব্যাপারটি? আর ফাইজান সাহেব চাকরি দিতে পারবেন এই কথাটা কি ফাইজান সাহেব নিজ মুখে বলেছিলেন? কারণ কাওছার মিঞার পক্ষে তো চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। সে নিজেই আঙ্গুল ছাপ। তাহলে কি ভরসায় এত্তোগুলো টাকা দিয়েছেন? মুখের কথায়?”
 
এবার একটু অপ্রস্তুত হলো কালাম। না সে কাউকেই জানায় নি। এমন কি যার জন্য দিয়েছে, ফাইজান। সেই মানুষটির সাথেও দেখা করে নি। সে কাওছারকেই ভরসা করেছে। তার কথায় মইয়ে উঠেছে। টাকাগুলো তার হাতেই দিয়েছে। কালাম বিপাকে পড়লো ঈষৎ। কিন্তু দমলো না। জোর গলায় বললো,
 “এতোসব বুঝি না, টেহা দিছি। টেহা নিমু”
 “সেটা নিবেন। আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমার কথা স্পষ্ট, আমাদের না জানিয়ে আপনি টাকাটা দিয়েছেন। তাই এই বাড়ির কেউ টাকা দিবে না। আর আমার বোনাই এমন নোংরা কাজেও যুক্ত নয়। সে যদি সাহায্য করার হত। নিজেই করতো। এখন যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা দিবে। মেরে পারেন, ধরে পারেন, তার থেকেই টাকা নিবেন”

উপস্থিত সকলের মুখখানা শুকিয়ে গেল। কাওছারের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো। শামসু মিঞা চৌকাঠে বসলেন। সবাই জানে কাওছার টাকা উড়াতে পারে, কিন্তু টাকা দেবার মুরদ তার নেই। কালাম এখানে এসেছিলো যেনো রাশাদ এই দায়িত্ব নেয়। ছেলেটা এক কথার মানুষ। তার কথার এদিক ওদিক হয় না। শুধু একবার গছিয়ে দিতে পারলেই হলো। কিন্তু আজ রাশাদ মাথা পেতে অন্যায় সহ্য করবে না। কালাম ফাঁকা ডাক দিলো,
 “আমি ফুলিশে দিমু কিন্তু”
 “অবশ্যই, আপনাকে ঠকানো হয়েছে এখানে।“

কালাম রেগে গেলো প্রচুর। ফলে রাগ সংবরণ না করতে পেরে ছুটে গেলো কাওছারের কাছে। এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করলো। কেউ থামাতে পারলো না। মারের চোটে মুখ ফেটে রক্ত চুয়ে পড়তে লাগলো। কাওছারের আর্তনাদ কানে আসছে। আতিয়া খাতুন ছুটে এলেন রাশাদের কাছে। তার হাত ধরে বললো,
 “রাশাদ, কাওছাররে মাইর‍্যা লাইবো ওরা। তুই ওরে বাঁচা”
 “আমি কি করবো দাদী?”

নিষ্পৃহ স্বর রাশাদের। মুখশ্রীতে কোনো ভাবের পরিবর্তন হলো না। আতিয়ার চোখ বেয়ে পড়ছে নোনা জল। কাতর স্বরে বললো,
 “তোর আব্বা ওয়। টেহাডা তুই দিয়া দে। এতো পাষান হইস না”

রাশাদ বিদ্রুপভরে হাসলো। খুব শীতল স্বরে বললো,
 “আমার জীবনের উনত্রিশটা বছর এই তাশের ঘরের জন্য বিসর্জন দিয়েছি। তবে আর না, আমি সত্যি ক্লান্ত দাদী। যে অন্যায় আমি করিনি, তার শাস্তি আমি কেনো পাবো বলোতো? আমি কি মানুষ নই? একটা মানুষের পাপ কত সহ্য করা যায়? আর সব জেনেও আমার উপর সব চাপিয়ে দেওয়াটাও কি ঠিক। আগে হলে হয়তো আমি মাথা পেতে মেনেও নিতাম। তবে আর না। আর সহ্য হচ্ছে না। আমার একটা পরিবার আছে। আমার সন্তান ইনশাআল্লাহ পৃথিবীতে আসতে চলেছে। আমি চাই না আমার সন্তানের ভাগ্যটাও আমার মত হোক। পদে পদে নিজের বাবা নামক মানুষটির জন্য লাঞ্চনা, ধিক্কার সহ্য করতে হোক। আমি তাকে আমার মতো ভবিষ্যত দিতে চাই না দাদী"
 “ওই মাইয়্যা তোর মাথাডা খাইয়্যা লাইছে। তুই তো এমন কঠিন ছিলি না রাশাদ”
 
দাদীর অপরাধে মনক্ষুন্ন হলো রাশাদের। দরজার ওপাশে ওই নিরীহ মেয়েটিও বোধ হয় কথাগুলো শুনছে। রাশাদের কাঠিন্য বাড়লো,
 “ইলহাকে এই নোংরার মধ্যে টানবে না দাদী। যদি সে এমন মেয়ে হত, আমি তাকে কখনো গ্রহন ই করতাম না। এইবার বলছো আমি কিছু বললাম না। কিন্তু আর না”

এদিকে শামসু মিঞার শরীর ভেঙ্গে পড়লো। শ্বাসকষ্ট উঠলো। কালামের সাথের মানুষগুলো পুলিশে খবর দিলো। পুলিশ এলো আধ ঘন্টা বাদে। মার খেয়ে কাওছারের অবস্থা নাজেহাল। পুলিশ কালাম এবং কাওছারকে ধরে নিয়ে গেলো। আতিয়া খাতুন রাগে অনেক কথা বললো রাশাদকে। রাশাদ স্বভাবত ই তার কোনো বিরোধিতা করলো না। শুধু এটুকু বললো,
 “কাওছার এ বাড়িতে থাকলে আমি এখানে থাকবো না। আমি অকৃতজ্ঞ হতে চাই না। তবে তোমাদের বাছতে হবে দুজনের একজনকে। আমার সন্তানকে আমি এই নোংরাতে রাখবো না”

************

রোদের তেজ আজ প্রচন্ড। ঘাম বেয়ে পড়ছে শিরদাঁড়া বেয়ে। হুমায়রার চুলগুলো উঁচু করে বাঁধা। আজ স্যার অনেকক্ষণ পড়িয়েছেন। সামনে টেস্ট পরীক্ষা, সময় কম। তাই সিলেবাস শেষ করার তাড়া খুব। কিন্তু ঝামেলা হলো এই ভরদুপুরে একটা রিক্সাও নেই। ড্রাইভার আজ আসে নি। ঘরে কোনো পুরুষ নেই যে গাড়ি চালাবে। শরীফা বকবক করলেও তার অজানা অনেক কিছু আছে। হুমায়রা ঠিক করেছে ফাইজান এলে এবার গাড়ি চালানো শিখবে। তখন একা একাই গ্রামে যাবে। সে ফুপু হতে চলেছে, কথা শোনামাত্রই ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে বাড়িতে। কাওছারকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে। দাদার শরীরটাও ভালো নয়। ঘরে বেশ মনোমালিন্য চলছে। রাশাদ আর দাদী কেউ কারোর সাথে কথা বলছেন না। দাদী কাওছারকে শেষ সুযোগ দিতে বলছেন। কিন্তু রাশাদ এবার শক্ত। হুমায়রাও তার পক্ষে। অনেক হয়েছে আর না। এবার একটু তার ভাইজানও সুখের মুখ দেখুক। মানুষটার সারাটাজীবন অন্যকে খুশী করতেই কেটেছে। এবার একটু নিজের জন্য বাঁচুক। রাশাদের সাথে অনেক কথা হলেও যুবাইদার কথাটা জানায় নি হুমায়রা। এতো কিছুর মধ্যে যুবাইদার কথা বলা মানে মুখে এলাচ পড়া। অহেতুক স্বাদ নষ্ট করা। এর মাঝেই হুমায়রার মনে খটকা লাগলো। হুট করে বললো কেউ তার পিছু নিয়েছে। পথটা এখন প্রায়ই জনমানবহীন। ভরদুপুরে দোকানপাটও বন্ধ। ফলে বুকটা ধক করে উঠলো তার। শিরদাঁড়া বেয়ে হিমপ্রবাহ নামলো। কপালে জমলো বিন্দু বিন্দু ঘামকনা। পেছনে তাকানোর সাহস হলো না। পেছনের মানুষের পায়ের বেগ ক্ষিপ্র হলো। হুমায়রা পেছনে না তাকিয়েই ছোটার চেষ্টা করলো। কিন্তু পারলো না। পেছনের মানুষটি তাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরলো……………
.
.
.
চলবে....................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp