আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

অতঃপর তুমিহীনা আমি - পর্ব ০৪ - তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া - ধারাবাহিক গল্প


#অতঃপর_তুমিহীনা_আমি 
#পর্ব_৪ 
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া 



আসাদ ডাইনিং রুম থেকে বেডরুমে গিয়ে দেখে মায়া ঠিক আগের মতোই ঘুমিয়ে আছে। মেয়েটা কতটা ঘুম পাগলী! আসাদ মনে মনে এসব ভেবে একা একা মুচকি হাসে। তবে খুনের ব্যাপারটা কিছুতেই আসাদ হজম করতে পারছে না। সেদিন রাতে যে নম্বরটা থেকে কল করেছিল, আসাদ আসলেই তেমন খেয়াল করেনি। তবে ঘড়ির ব্যাপারটাতে আসাদ নিজেই একটু অবাক হয়। এসব ভাবতে ভাবতে আসাদ দেখে মায়া ঘুম থেকে জেগে উঠছে। দু'হাত উপরে তুলে আড়মোড়া ভাঙলো মায়া। চোখ কচলাতে কচলাতে বললো,
"বাবু কিছু হইছে?"
আসাদ একটু হেসে বলে,
"বললে বলতে হবে অনেক কিছু হয়েছে! তবে তোমাকে কিছু হয়নি বলাটাই শ্রেয়।"
মায়া বিছানা থেকে উঠে আসাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে,
"চুমকি মাসি কি আপনাকে কিছু বলছে?"
"আরে পাগলী উনি আর কি বলবেন? যে টাকা দিয়েছি তাতে আর কিছু বলার কথা না।"
মায়া এবার বেশ কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করে,
"তাহলে?"
আসাদ দু'মিনিটে রাজনের বলা সব কথার সারসংক্ষেপ খুলে বলে। আসাদের কথায় মায়ার যেন একটুও ভাবান্তর হয়নি। মায়া নির্লিপ্তভাবে বললো,
"আপনি যদি র্নিদোষ হন তাইলে তো আর ডর নাই!"
আসাদও মায়ার কথায় সায় দেয়। এভাবেই কাটতে থাকে আসাদ ও মায়ার দিন। ডিটেকটিভ রাজন প্রায়ই আসাদের কাছে প্রশ্ন করতে আসে। তবে সঠিক প্রমাণের জন্য কিছু করতে পারেন না।

এস আই সিফাত একটা গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আশেপাশে পুরুষ আর নারীদের ঢল দেখতে পাচ্ছে সিফাত। সিফাতকে দেখেই এক তরুণী বলে উঠলো,
"কি গো বাবু! এতদিন পর আইজ আমাদের কথা মনে পড়লো বুঝি?"
সিফাত হাসি মুখেই বললো,
"বোঝোই তো পুলিশের চাকরি! চট করে এসব এলাকায় আসা যায় না। তাছাড়া নানান ঝামেলায় ছিলাম। তা চলো কুঠির ভেতরে যাই।"
সিফাতের কথায় মুর্হূতেই আশেপাশের কয়েকজন তরুনী হো হো করে হেসে ওঠে।

"নিহারিকা তুমি কি আজ দেখা করতে পারবে?তোমার মনে ঠিক কি চলছে সেটা একটু ক্লিয়ার করে বলবে?"
"রাজন আমি তো তোমাকে বলেছি, এভাবে হুটহাট করে আমি বের হতে পারবোনা। আর তাছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনো প্রমাণও পাইনি আমি।"
"তুমি ইচ্ছে করেই এসব করছো।"
"এর মানে কী রাজন?"
"সেটা তুমিই ভালো করে বলতে পারবে।"
"কাল যে করেই হোক দেখা করবে। আমি টেক্সট করে কোথায় দেখা করবো জানিয়ে দিচ্ছি। বাই।"

টুট টুট

নিহীরিকাকে কিছু না বলতে দিয়েই রাজন মুখের ওপর কল কেটে দিলো।

"মায়া"
আসাদের গলা শুনে মায়া চমকে উঠে! কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,  
"জি বাবু।"
"কার সাথে কথা বলছিলে? তোমাকে কেমন জানি রেগে আছো রেগে আছো লাগছে!"
মায়া একটা মেকি হাসি দিয়ে বললো,
"কী যে বলেন বাবু! আমাদের আবার রাগ? মাসির সাথে কথা বলছিলাম। কাল একবার যেতে হবে।জরুরী কোন কাজ আছে।"
আসাদ ভ্রু কুঁচকে বললো,
"কাজ? উনার আবার কি কাজ!"
"ওহ আপনি বুঝবেন না। আমারদের অনেক কাজ কাম থাকে কুঠিতে।"
"আচ্ছা বুঝলাম তবে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে।"
"আচ্ছা। বাবু, প্রায় মাস হলো অথচ এতদিনেও আপনি আমাকে ছুঁয়েও দেখেননি!"
"কেনো? তুমি কী চাইছো তোমাকে আমি স্পর্শ করি?"
মায়া আসাদের কথায় অপ্রস্তুত হয়ে যায়। ঠিক কী বলবে বুঝতে পারছে না। আসাদ এক পা এক পা করে মায়ার দিকে এগিয়ে আসছে। মায়া এক কদম পিছু হটছে আর আসাদ এক কদম সামনে এগোচ্ছে। এভাবে এগোতে এগোতে দেয়ালের সাথে পিঠ লাগলো মায়ার । আর পিছে যাওয়ার মতো জায়গা নেই মায়ার। কী করতে যে কথাটা বলে ফেলেছে সেই কথাই এখন ভাবছে। আসাদ দেয়ালের সাথে মায়ার দু'হাত চেপে ধরে মায়ার চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে। মায়ার দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। আসাদ মায়ার কানে ফিসফিসেয়ে বললো,
"ব্যাপার কী? এত ঘেমে গেছো কেনো? কপালে এত ঘামের বিন্দু কেনো?"
মায়া কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারছে না। সবকথা যেন গলায় আঁটকে আছে। আসাদ এবার মায়ার হাত ছেড়ে দিয়ে হাসতে হাসতে খাটে গিয়ে বসে।মায়া যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো! নিজেকে একটু সামলে মায়া ভ্রু কুঁচকে আসাদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
"কি হলো এইটা?"
"তোমাকে একটু ভয় দেখালাম। হি হি!"
"আমি? ভয়! ইশ।"
মায়া একটু ভাব নিয়েই বললো। আসাদ মায়ার হাত ধরে এক ঝটকায় বিছানায় ফেলে দিলো। মায়া বিছানায় শুয়ে আসাদের দিকে তাকিয়ে একটা বোকার মতো হাসি দিয়ে আবার বললো,
"বাবু আইজ কী হয়েছে আপনার?"
আসাদও মায়ার পাশে শুয়ে পড়ে। তারপর সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে,
"মায়া আমি ভনিতা করে বলতে পারিনা। আর না পারি অভিনবভাবে নিজের মনের কথা বলতে। তাই সোজা করেই বলছি, তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।"
মায়া অবাক হয়ে আসাদের দিকে তাকায়।
"ভালোবাসেন? তাও আমাকে!"
"কেনো? তুমি কী রক্ত মাংসের মানুষ না? নাকি রোবট তুমি?"
"রোবাট আবার কী?"
"তোমার মাথা। ইচ্ছে করেই বলছো এসব। তুমি কি আমাকে নিয়ে ভাবোনি?"
আসাদ চোখ বড় বড় করে মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে মায়ার কথা শোনার জন্য।
"সময় হলে বলবো।"
মায়া বিছানা থেকে উঠে বললো।
"আচ্ছা তুমি মাঝে মধ্যেই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলো!কিন্তু তোমার ভাষা তো এরকম না!"
আসাদের কথায় মায়া একটু ভড়কে যায়। তবু আসাদকে বলে,
"কত লোকের সাথে মিশেছি বাবু! তাদের কাছ থেকেই শিখেছি।"
"ওহ,তবে এই বাবু বলা বাদ দাও। কেমন জানি লাগে শুনতে।"
"আচ্ছা ।"

রাত গভীর। নিস্তব্ধ চারদিকে। সবাই গাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন। জিন্স,আর কালো হুডি পরিহিত একটা লোক আসাদের বাড়ির আশেপাশে দু'একটা ঢুঁ মেরে চলে যায়।

সন্ধ্যে নেমেছে। ঘড়ির কাঁটায় সাতটা বেজে দশ মিনিট। রাজন কফিশপের একটা টেবিলে বসে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিহারীকা চলে আসে।রাজনের সামনের চেয়ারে নিহারীকা বসে। রাজন একটু হেসে বললো,
"কী অবস্থা!"
"হ্যা ভালোই। এবার বলো হেড অফিস থেকে কী বলেছেন? মানে স্যার কি আমার বিষয় কিছু বলেছেন!"
নিহারীকা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে বললো।
"দেখো নিহারীকা স্যার বলেছেন আর এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো কিছু প্রমাণ করতে না পারলে কেসটা অন্য কোন অফিসারকে হস্তান্তর করবেন।"

নিহারীকা রাজনের কথায় একটু হেসে বলে,
"আসলেই স্যার এই কথা বলেছেন?"
"নয়তো কী?"
রাজন আমতা আমতা করে বললো।
"স্যার এসব কিছুই বলেননি! যা বলার তুমি বলছো।যাতে কেসটা তাড়াতাড়ি সমাধানের চেষ্টা করি।"
রাজন চমকে উঠে নিহারীকার কথায়।
"তুমি বুঝলে কী করে?"
নিহারীকা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
"উফ রাজন বেবি! তুমি মেবি ভুলে গেছো আমরা গোয়েন্দা!"
"তার ওপর লেডি গোয়ন্দা! এখন বলো,তুমি ঠিক আছো? আই মিন যে চরিত্রে অভিনয় করছো তাতে তো বুঝতেই পারছো!"
"না না,আমি ঠিক আছি। আসাদ খুব ভালো মানুষ।এখনো পর্যন্ত আমাকে অসম্মান করেনি।"
"তারমানে কি এখন আমার চেয়ে আসাদ বেশি ভালো হয়ে গেছে! হা হা"
নিহারীকা ভ্রু কুঁচকে বলে,
"এখানে আসাদের সাথে তোমার তুলনা আসলো কোথা থেকে?"
"নাহ মজা করছিলাম। স্যার এমন কিছুই বলেনি।তোমার সাথে কথা বলার সুযোগ পাইনি কতদিন তাই!"
"সেটা আগেই বুঝতে পেরেছি। বাসার সবাই কেমন আছেন? আর হ্যাঁ তুমি তদন্ত করে কিছু জানতে পেরেছো?"
"ভালো আছেন সবাই। নতুন কিছু পাইনি। তবে তিনটে খুনের একটাই সূত্র! নারী! তারা সবাই এক সময় না এক সময় পতিতালয়ে গিয়েছিলেন।তিনজনের চরিত্রই সুবিধের ছিলো না। আর আসাদকে যে কারণে সন্দেহ করেছিলাম, ওই তিন জনেরই বিজনেস পার্টনার ছিল আসাদ। আর আসাদও পতিতালয় যায়!"
"হুম। তবে এতদিন তো আসাদের সাথে থাকলাম কিন্তু এরকম কোন তথ্য পাইনি!"
"তাহলে আরকি? ওখানে আর থাকতে হবেনা। আমি চাইনা আমার হবু বউ অন্য কারও সাথে থাকুক।"
নিহারীকা একটা মেকি হাসি দিয়ে বললো,
"তাহলে তখন মায়া সাজিয়ে অন্যের বাড়ি ঢোকানোর প্লান করেছিলে কেনো? আসাদ যদি আমাকে জোড় করতো তখন কী আমাকে বিয়ে করার কথা ভাবতে!"
নিহারীকার কথায় একটু লজ্জিতবোধ করে রাজন।
"আমি জানি সেরকম কোনো পরিস্থিতিতে পড়লে তুমি ঠিক সামলে নিতে পারতে!"
"কিন্তু আসাদের বাড়ি থেকে আধা ঘন্টা আগে বের হয়ে যাবার ঘটনাটা?"
"হয়তো এটা একটা চাল! আসাদকে আমাদের চোখে অপরাধী করে খুনি নিজে পলাতক আছে।"

"তারমানে খুনি আসাদের পরিচিত? নাকি আসাদের ব্যক্তিগত ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে ওকে টার্গেট করেছে?"
"দেখো নিহারীকা তুমিও যেখানে আমিও ঠিক সেইখানেই দাঁড়িয়ে আছি। আসাদকে আমাদের সন্দেহের তালিকা থেকে একটু নিচে রাখতে হবে এখন। আপাতত চুমকিকে বলে তুমি ওখান থেকে বের হবার চেষ্টা করো। আর যত তাড়াতাড়ি পারি কেসটার একটা কূল কিনারা করতে হবে। এই কেসটার জন্যই আমাদের বিয়ে আটকে আছে।"
"আচ্ছা দেখছি। আজ উঠছি।"
নিহারীকা উঠে যেতেই রাজন পিছন থেকে হাত ধরে টান দেয়। ফলে নিহারীকা রাজনের কোলে বসে পরে আর মুখাবয়ব রাজনের বুকে এসে পরে।
নিহারীকা চট করে নিজেকে সরিয়ে ফেলে রাজনের বুক থেকে।
"কী ব্যাপার এভাবে সরে গেলে কেন?"
"রাজন এটা একটা কফিশপ!"
রাজন জিহবায় কামড় দিয়ে বলে,
"ওপস! আচ্ছা যাও।"
নিহারীকা হাসতে হাসতে চলে যায়। কিন্তু রাজনের মনের ভেতর একটা ব্যাপারে খচখচ করছে।নিহারীকা কি আসাদের প্রতি দূর্বল হয়ে পরেছে?
আসাদ অফিস থেকে ফিরেছে প্রায় এক ঘন্টা আগে। কিন্তু মায়া এখনো বাড়ি ফেরেনি দেখে আসাদ একটু চিন্তায় পরে গেছে। বলেছিলো তো মাসির কী কাজ আছে যেনো। সেখানে কি আবার মায়াকে খদ্দেরের কাছে পাঠালেন?
এসব ভেবে ভেবে আসাদ অস্থির হয়ে উঠে। আসাদ ড্রয়িং রুমের এপাশ থেকে ওপাশে পায়চারি করছে।মুনসর আলী আসাদের এহেন আচরণ দেখে বেশ অবাক হচ্ছেন। এত বছরে অনেক মেয়েকেই বাড়িতে রেখেছে আসাদ। তবে কারো জন্যই এতটুকুও ভাবেনি। অথচ মায়ার জন্য এতটা উদ্ধিগ্ন কেন হচ্ছে আসাদ!
কলিংবেলের শব্দে আসাদ দ্রুত দরজা খুলতে যায়।দরজা খুলে মায়াকে দেখে আসাদ যেন প্রাণ ফিরে পায়। তৎক্ষণাৎ মায়াকে জড়িয়ে ধরে আসাদ। মুনসর আলী ভেতরে চলে যান। মায়া আসাদের ব্যবহারে খুব অবাক হয়।
"কী করতাছেন ? চাচা কী ভাবলো বলেন তো!"
মায়া একটু বিরক্তি নিয়েই বললো কথাটা । আসাদ মায়ার কথায় স্বম্বিত ফিরে পায়। মায়াকে ছেড়ে দিয়ে গলা খাকারি দিয়ে বললো,
"কোথায় গিয়েছিলে তুমি? আর চুমকি তোমাকে অন্য কোথাও পাঠায়নি তো?"
মায়া ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো,
"নাহ। তয় পুলিশি কিছু ঝামেলা আছে। তাই এহন থেকে কিছু দিন কুঠিতেই থাকতে হইবে।"
"কিন্তু কেন?"
আসাদ একটু রেগেই বললো কথাটা।
"বললাম তো!"
মায়া কথা বলতে বলতে আসাদের রুমে যায়। আর নিজের জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করে। আসাদ মায়ার হাত থেকে জামা কাপড় ছুড়ে ফেলে দেয়।আসাদের চোখদুটো রাগে লাল হয়ে গেছে।
"কি হচ্ছে এসব?"
মায়া কথাটা বলে আবার বলে,
"কী করতাছেন এইসব?"
"তুমি কোথাও যাবেনা। পুলিশকে আমি দেখে নিবো।"
"কী দেখবেন? পতিতার সাথে কীসের রিলেশন আপনার! এই প্রশ্নের কী উওর দিবেন?"
"বিয়ে করবে আমাকে?"
"কী?"
"হ্যাঁ ভালোবাসি তোমাকে। তোমার অতীতে যাই থাকুক সেটা নিয়ে আমার কিছু যায় আসেনা। বাকি রইলো শরীরের কথা? আমি তোমার মনকে ভালোবাসি। তোমার শরীরে যে কলঙ্ক লেগেছে তা আমি আমার ভালোবাসার স্পর্শে মুছে দিবো। প্লীজ আমাকে ছেড়ে যেওনা মায়া!"
"এটা হবার নয়!"
আসাদ মায়ার কাঁধে হাত রেখে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করে ,
"কেনো?"
জবাবে মায়া একটা আই কার্ড আসাদের সামনে ধরে। আসাদ কার্ডের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়। মুখ থেকে অস্ফুট একটা শব্দ বের হয় আসাদের,
"নিহারীকা চৌধুরী!"
"আমি মায়া নই। আমি স্পেশাল ডিটেকটিভ অফিসার নিহারীকা।"
"এসবের মানে কী?"
নিহারীকা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আসাদকে সবকিছু খুলে বলতে শুরু করে।



চলবে.........................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।