অতঃপর তুমিহীনা আমি - পর্ব ০৫ - তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া - ধারাবাহিক গল্প


#অতঃপর_তুমিহীনা_আমি 
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া 
#পর্ব_৫ 



" আপনার হয়তো খেয়াল নেই আমাদের আগেও দেখা হয়েছিলো। রায়ান রহমানের মার্ডারের দিন। যেদিন আপনার বিজনেস পার্টনার রায়ান রহমান খুন হয়েছিলেন সেদিনও আপনি খুনের স্পটে গিয়েছিলেন। তখন রিয়ানের ভাই আহির আপনাকে কিছু কথা বলেছিলেন। কিছুটা এরকম ছিল,'তুই সত্যিই আমার ভাইয়ে মেরে ফেললি!' "

"সেটা তো রাগের বশে আমি রায়ানকে বলেছিলাম।রায়ান মারা যাবার আগের দিন কোম্পানির হিসেবের কারচুপির ব্যাপার নিয়ে একটু তর্ক হয়েছিলো। তাই আহির ভাইয়া ওই কথা বলেছিলেন।"
"হয়তো ঠিক। তবে সেখান থেকেই রাজন এবং আমি আপনার উপর সন্দেহ করতে শুরু করি। কিন্তু কেসটা পুলিশের কাঁধে ছিলো বিধায় আমরা কিছু বলিনি আপনাকে। তারপর যখন দ্বিতীয় খুনটা হয়, মানে শাহ-আলম খানের খুন হয় যখন, তখনও জানতে পারি উনারও আপনার সাথে সম্পর্ক খারাপ ছিলো। তখনই আমাদের সন্দেহটা আরও প্রখর হয়ে ওঠে। তারপর পুলিশ যখন কেসটা আমাদের ডির্পাটমেন্টের সাথে শেয়ার করে তখন আপনার পিছনে লোক লাগালাম।"

"কিন্তু আমি তাদের কাউকেই খুন করিনি!"

"সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ! আপনার বিষয়ে অনেক অসঙ্গতি আছে। তিনটে খুনের মাঝেই কোনো না জায়গায় আপনার উপস্থিতি। রায়ান রহমানের সাথে কম্পানির আর্থিক দিক নিয়ে তর্ক! শাহ-আলম খানের সাথেও খারাপ সম্পর্ক! কিন্তু কেনো?"
"কারণ উনার স্ত্রী থাকা সত্বেও পতিতালয় যেতেন।উনার স্ত্রী আমাকে ভাইয়ের মতো ভালোবাসেন। সেই কারণেই আমি তাকে ওইসব স্থানে যেতে বারণ করেছিলাম। এরজন্যই বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিলো।"
"আর মাসুদ রানার ব্যাপারটা?"
"মাসুদের সাথে বেশ ভালোই ছিল সম্পর্ক!"
"তাহলে ঘটনাস্থলে আপনার চুল আর ঘড়ি পাওয়া গেলো কী করে? আর তার চেয়েও বড়ো কথা খুন হবার আগেই কে আপনাকে খুন হবার খবর জানালেন? তাহলে কি সে আপনার পরিচিত?"

"আমি জানি না। সত্যি বুঝতে পারছি না কীভাবে আমার জিনিসপত্র ওখানে গেলো। আর পরপর দুজনার খুনের পর মাসুদের খুনের খবর শুনে অবাক হইনি। হয়তো এরপর আমার পালা!"
নিহারীকা মুর্হূতেই সাপের মতো ফোঁস করে উঠে বললো,
"কী! কিসব কথা বলছেন? "
 "না মানে যারা খুন হয়েছেন সবাই তো আমার বিজনেস পার্টনার। তাই মনে হলো কথাটা। তবে তোমার অভিনয়টা দারুণ ছিল।"
নিহারীকা আসাদের কথায় একটু থেমে বলতে শুরু করে,
"এটা আমার কাজ ছিলো। আমি ইচ্ছাকৃত এসব করিনি। তবে আসল খুনি কে এটাই এখন বড়ো প্রশ্ন। আমার মনে হচ্ছে খুনি আপনাকে ফাঁসাতে চাইছে। কিন্তু প্লানটা তেমন কার্যকরী হয়নি। মেবি আনাড়ী খেলোয়ার।"
আসাদ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
"আমি এমনিও ফেঁসে গেছি! আবারও ঠকে গেছি মায়া।"
"নিহারীকা,আমি মায়া নই।"
"হুম। এখনি চলে যাবে?"
"হ্যাঁ, কাজ শেষ আর আপনাকে খুনি বলে মনে হচ্ছে না তাই থাকার দরকার নেই । তাছাড়া সামনে আমার বিয়ে।"
আসাদের চোখ ছলছল করছিল এতক্ষণ। নিহারীকার বিয়ের কথা শুনে এক ফোঁটা অশ্রু গোপনে বিসর্জন দিলো সে। নিহারীকার চোখেও জল ছলছল করছে। আসাদ নিজেকে সামলে ঠোঁটের কোণে একটু চিকন হাসি ফুটিয়ে বললো,
"অভিনন্দন! রাজনকেও জানিয়েও দিও।"

নিহারীকা চমকে উঠে বলে,
"আপনি কী করে জানলেন রাজনের সাথেই আমার বিয়ে হবে?" 
আসাদ বিছানায় বসে বলে,
"যেদিন রাজন এ বাড়িতে প্রথম এসেছিলেন তুমি ঘরেই ছিলে কিন্তু উনি বারবার আমার ঘরের দিকে দেখছিলেন। আর উনি যাবার পর আমি তোমার কাছে এসে দেখি তুমি আপন মনে ঘুমাচ্ছিলে। আর তখনি তোমার কোমরে লুকানো ছোট ফোনট দেখে ফেলেছিলাম আমি। তোমার সাথে রাজনের ব্যাক্তিগত আলাপ ,কাজের কথা সবই দেখেছি।"
"তারমানে আরো আগে থেকেই সবকিছু জানতেন আপনি? তাহলে বলেননি কেন?"
নিহারীক ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো।
"বললে কী করতে?"
আসাদ নিহারীকার প্রশ্নের উপরে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।
"আরো আগেই চলে যেতাম হয়তো!"
"এরজন্যই বলিনি!"
পুরো ঘর জুড়ে পিনপতন নিরবতা। আসাদ চুপ করে বসে আছে। নিহারীকা সব গুছিয়ে রাজনকে ইতোমধ্যে কল করে নিতে আসতে বলেছে। রাত প্রায় বারোটা বেজেছে। তাই একা না যেয়ে রাজনকে আসতে বলেছে।

রাত প্রায় বারোটা বেজেছে। এস আই সিফাত একটা হোটেলের রুমে এক তরুণীর সাথে নিষিদ্ধ খেলায় মেতে উঠেছে। এমন সময় রুমের এসি অফ হয় যায়,লাইট অন অফ হতে শুরু করে। সিফাত বিরক্তি নিয়ে বিছানা থেকে উঠে রুমের দরজা খুলে দেখতে যায় আসলে কী প্রবলেম হচ্ছে? দরজা খুলতেই সিফাতের মাথার উপর ভারী কোনো জিনিস দিয়ে সজোরে কেউ আঘাত করে।
মূর্হেতেই সিফাতের শরীর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রুমে থাকা তরুণী সিফাতের পরে যাওয়ার আওয়াজ পেয়ে রুমের বাইরে গিয়ে আবছা আলোয় দেখে সিফাত সাহেব ফ্লোরে পড়ে আছেন । মেয়েটির চিৎকারে হোটেলের সবাই ঘটনাস্থলে আসেন।
সিফাতের নিথর দেহটা এখনো ফ্লোরে পড়ে আছে।মাথা থেকে রক্ত বের হয়ে সারা ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়েছে। যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবে প্রাণপাখি উড়ে গেছে তার। ইতোমধ্যে পুলিশ পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। 

রাজন বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়িয়ে আছে । সেই কথা নিহারীকাকে কল করে জানিয়েছে রাজন। ব্যাগপত্র হাতে আসাদের দিকে একবার করুণভাবে তাকালো নিহারীকা। একটা বিড়ালের সাথে কিছুদিন কাটালেও স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতি একটা অনুভূতি তৈরি হয়, মায়া কাজ করে । আর আসাদ তো একটা রক্তে মাংসের মানুষ! হয়তো আসাদের প্রতিও নিহারীকার তেমনি অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে।
আসাদও নিহারীকার দিকে তাকিয়ে জোড় করে কোনো রকম একটু হাসে বিদায় জানানোর জন্য ।নিহারীকা আসাদের উদ্দেশ্যে বললো,
"এস.আই সিফাত খুন হয়েছেন। যিনি এই কেসটার প্রথমে তদন্ত করেছিলেন।"
আসাদ উত্তেজিত হয়ে বলে, "কী?"
"রাজন ফোনে সেটাই বলেছে। আসছি,কপালে থাকলে আবার দেখা হবে।"
নিহারীকা আসাদকে হুট করেই জড়িয়ে ধরে। আসাদ অবাক হলো কিন্তু আসাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিহারীকা দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়। আসাদ শুধু নিহারীকার যাবার পথের দিকে তাকিয়ে আছে।
রাজন ও নিহারীকা এস আই সিফাতের লাশটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। উপুর হয়ে পড়ে আছে সিফাতের শরীর। পড়নে শুধু একটা ট্রাউজার। মাথার পিছনে অনেক গভীর ক্ষত। 
হোটেলের ম্যানেজারের কাছে জানতে পারে সিফাত এক তরুনীকে নিয়ে আজকের রাতের জন্য এই রুম বুক করেছিলেন। মেয়েটিকে পুলিশ বসিয়ে রেখেছেন। নিহারীকা মেয়েটির সাথে কথা বলে জানতে পারে সে একজন পতিতা। সিফাত তাকে কুঠি থেকে এক রাতের জন্য এনেছিলেন। আর এস.আই সিফাত অনেক আগে থেকেই তাদের কুঠিতেও যেত বলে জানায় মেয়েটি। মেয়েটির কথায় রাজন ও নিহারীকা দুজনেই কিছু একটা ভেবে একে অন্যের তাকিয়ে বলে উঠে,
"পেয়েছি!"
"প্রত্যেকটা খুনের পিছনেই এই সেইম কারণ!"
"মানে স্ত্রীকে ঠকানো? যারা মারা গেছেন সবাই তো বিবাহিত?" 
 রাজন বেশ উত্তেজিত হয়েই বললো।
"রাজন এক্ষুনি চলো আমার সাথে চলো ।"
নিহারীকা রাজনের হাত ধরে হেচকা টান মেরে হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।

"কী করছো? এখানে এখন আমাদের থাকতে হবে!বুঝেছি অনেকদিন কাছে ছিলে না বাট এখন ডেটে যাবার টাইম না।"
নিহারীকা রাগে দাঁত কিড়মিড়েয়ে বললো,
"ধুর এতরাতে তোমার সাথে ডেট করার মতো মুড নেই আমার। চুপচাপ গাড়িতে বসো। আর গান রেডি রেখো। হয়তো প্রয়োজন পড়তে পারে।"
রাজন আর কিছু না বলে চুপচাপ নিহারীকার বলা ঠিকানায় যেতে থাকে।

আসাদের চোখে ঘুম নেই। জিবনে আর কতবার পরাজিত হবে ? এসব বসে বসে ভাবছে। আর নিহারীকা? নিহারীকা তো রাজনের হবু বউ। তাকে নিয়ে ভাবাটাও এখন অপরাধ। অথচ এতোদিন একই বিছানার দু'পাশে দুজন ঘুমিয়েছে। একসাথে সময়ও কাটিয়েছে। মায়া হিসেবেই ভালোবেসেছিল আসাদ। বাস্তবে যে মায়া শুধুই মরীচিকা সেটা আসাদ কল্পনাও করেনি।

একটা চারতলা বাড়ির সামনে রাজন গাড়ি থামায়। আশেপাশে তাকিয়ে রাজন অবাক হয়ে যায়।জায়গাটা খুব ভালো করেই চেনে রাজন। এস.আই সিফাতের বাসার সামনেই গাড়ি পার্ক করেছে রাজন।
"এখানে কেন আসতে বললে? খবরটা তো বাড়ির লোককে কল করেও জানাতে পারতাম!"
নিহারীকাকে জিজ্ঞেস করে রাজন।
 "চুপচাপ গাড়ি থেকে নামো। আর হ্যাঁ হাতে পিস্তল রেডি রাখো । আশা করছি এখানেই সম্ভাব্য খুনিকে পাবো।"
রাজন কৌতুহলী দৃষ্টিতে নিহারীকার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়েও বলে না। কারণ রাজন জানে নিহারীকা কিছু বলবেনা। মেয়েটা একটু অতিরিক্ত সাসপেন্স ক্রেইট করে।
নিহারীকা আর রাজন ধীর পায়ে গেট পেরিয়ে বাড়ির মেইন দরজার কাছে পৌঁছলো। অবাক করা ব্যাপার হলো, এত রাতে বাড়ির মেইন দরজা খোলা!রাজন নিহারীকার পিছু পিছু দরজা পেরিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। পুরো বাড়ি অন্ধকার। রাজন আর নিহারীকা সারা বাড়ি খুঁজেও কাউকে পায়না।অন্ধকারের মধ্যেই নিহারীকা রাজনের কানে ফিসফিসিয়ে বলে, 
"গাড়িটা বাড়ির পেছনে আছে তাই না?"
"হ্যাঁ চট করে কেউ বাড়িতে ঢুকতে গেলে নজরে পড়বে না।"
"ওকে।"

এস.আই সিফাতের বাড়ির সামনে একটা কালো গাড়ি থামিয়ে একজন লোক গাড়ি থেকে নামে।পড়নে তার জিন্স আর কালো রঙের একটা হুডি।অন্ধকারের দরুণ চেহারা তেমন দেখা যাচ্ছেনা।লোকটা চারদিকে একবার দেখে দ্রুত এস.আই সিফাতের বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে।

"নিহারীকা!"
রাজন চমকিত হয়ে বললো।
"কী হলো?"
"ভালো করে শোনো! মেবি কেউ আসছে!"
নিহারীকা আর রাজন কান খাড়া করে শুনতে থাকে, মেইন দরজা থেকে কারও ভিতরে হেঁটে আসার শব্দ শুনে ওরা দুজনেই সুবিধাজনক একটা জায়গায় লুকিয়ে পড়ে। আগুন্তুক দরজা আঁটকিয়ে দোতলায় চলে যায়। নিহারীকা আর রাজনও লোকটাকে ফলো করে দোতলায় পৌঁছায়।
আগুন্তুক এবার মাথা থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলে। রাজন তার মুখ দেখে আঁতকে উঠলো। এই আগুন্তুক আর কেউ নয়। স্বয়ং নাজমা, অর্থাৎ এস.আই সিফাতের স্ত্রী!
নিহারীকা রাজনকে ইশারায় শান্ত হতে বলে।রাজনের শ্বাস প্রঃশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে।নিহারীকার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে রাজন।চোখে তার বিস্ময়! নিহারীকা বলেছিলো,এখানেই পাওয়া যাবে সম্ভাব্য খুনিকে। তাহলে কি নাজমা এই সবগুলো খুন করেছে?
রাজনের মনে যে এখন এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তা ভালো করেই বুঝতে পারছে নিহারীকা। নাজমা বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে একা একাই কথা বলছে।নিহারীকা একটু গলা খাকারি দিয়ে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে বলে,
"আসতে পারি মিসেস সিফাত?"
নিহারীকার গলার আওয়াজ শুনে নাজমা দ্রুত বিছানা থেকে উঠে বসে দরজার দিকে তাকায়।
"কী? অবাক হলেন নাকি?"
নাজমা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে,
"আপনি? আপনি ওই মেয়েটা না! আসাদের বাড়ি থাকতেন?"
নিহারীকা একটু ভাব নিয়ে রুমের ভিতরে ঢুকে বলে,
"হুম। তবে আমার পরিচয় মায়া না। স্পেশাল অফিসার অফ সিআইডি নিহারীকা চৌধুরি।"

নিহারীকা তার পকেট থেকে আইডি কার্ডটা নাজমার উদ্দেশ্যে দেখায়। নাজমার মুখটা নিমিষেই ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
"তা এত রাতে এখানে কীভাবে এসেছেন আপনি?"

নিহারীকা নাজমার প্রশ্নে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, "তারআগে আপনি বলুন,এত রাতে এইসব পোশাক পড়ে কোথায় গিয়েছিলেন?"
নাজমা আমতা আমতা করে বললো,"একটা কাজে গিয়েছিলাম।"
নিহারীকা একটা রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বললো,
"আপনার হাজবেন্ড যে খুন হয়েছেন তা কি আপনি জানেন?"
নাজমা একটু বিচলিত হয়ে বললো,
"কী?"
"মনে হলো আকাশ থেকে পড়লেন?"
নাজমা এবার হুট করে উঠেই চোখের পলকে নিহারীকার গলায় একটা ছুরি ধরে শয়তানী হাসি দিয়ে বললো,
"তাহলে তুমি সব বুঝেই গেলে?"
"অনেক বড় ভুল করছেন আপনি। আমাকে খুন করেও কিন্তু আপনি পালাতে পারবেন না। আশা করি ইতোমধ্যে পুলিশ বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলেছে।"
"আমাকে ভয় দেখাতে এসোনা পিচ্চি মেয়ে!"
নিহারীকার কথা শেষ না হতেই রাজন কয়েকজন পুলিশ নিয়ে নাজমার রুমে প্রবেশ করে। নাজমা এবার বেশ ভড়কে যায়। রাজন কৌশলে নিহারীকাকে হেচকা টান মেরে নিজের কাছে নিয়ে নেয়।



চলবে..........................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন