শাহজাহান তন্ময় - পর্ব ৪৯ - নাবিলা ইষ্ক - ধারাবাহিক গল্প


আঁধারে রাতের বুকে ঝমঝমিয়ে নামা বৃষ্টি এবারে রূপান্তরিত হয়েছে ইলশাগুঁড়ি বৃষ্টিতে। বারান্দার কাঁচের স্লাইড ডোর পরিপূর্ণ ভাবে লাগানো হয়নি।
অর্ধখোলা। হিম শীতল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ছিটেফোঁটা ধেয়ে এসে অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মিশে যাচ্ছে। পরপর বীভৎস শব্দে বেশ কয়েকটা বজ্রপাত পড়েছে আশেপাশে। ওই সময়টাতে অন্যরকম আকাশের দেখা মিলল। এইযে কেমন মানচিত্রের মতন লম্বা সরু সাদা বেশকিছু দাগ পড়ল আকাশের বুকে। মনে হলো আকাশটা কিছু খণ্ডে বিভক্ত। ক্ষণিকের জন্য দিনের মতন উজ্জ্বলও হলো পৃথিবী। সেই আলোতে অরুর সুশ্রী মুখের স্পষ্ট দর্শন ঘটল। কী দারুণকায়দায় চোখ দুটো বন্ধ করে রেখেছে! নিপুণভাবে কাঁপছে ভরাট মসৃণ গোলাপি ঠোঁটজোড়া। এলোমেলো কালো চুলগুলো আশ্চর্য রকমের সৌন্দর্য বহর করে বসেছে। একমুহূর্তের প্রাকৃতিক আলো যেন তন্ময়কে সম্মোহন করে গেল। ব্যাকুল হয়ে ওঠল তার মনপ্রাণ, দৃষ্টি। পা'জোড়া কেমন নিজ গতিতে কয়েকপা এগোল। দুজনের মধ্যকার দূরত্ব অস্থায়ী ভাবে বিলীন হয়ে গেল। 

বিদ্যুৎ লাইন ফল্ট হয়েছিল বুঝি? ট্রান্সফর্মার ফিউজ হয়েছে নিশ্চয়ই। নাহলে হয়তো কন্ট্রোল রুমের সুইচ টিপে দিয়েছে। ব্যস, লাইন সাট ডাউন! আরও কিছুক্ষণ নাহয় থাকতো তেমন। এখনই কেন আসতে হলো বিদ্যুৎ? বাল্বের সাদা রশ্মি অনুভব করেই ঝটপট চোখ মেলে চাইল অরু। লজ্জিত, প্রার্থিত মুখমণ্ডল জুড়ে মুহূর্তেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা, আড়ষ্টতরা ভিড় জমাল। তন্ময়ের নিপুণ দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলতেই পরমুহূর্তে যেন লজ্জায় নেতিয়ে পড়ল। ঠোঁট জোড়া কেমন তিরতির করে কাঁপল। শ্বাসপ্রশ্বাস সহ বুকের ওঠানামার গতিও অস্বাভাবিক দ্রুততম গতিতে চলল। তন্ময় তখনো একচিত্তে চেয়ে দেখল সবটাই। খেয়াল করল খুঁটিনাটি ওর সব হাবভাব, কাজকর্ম। কেমন বিড়ালছানার মতন দৃষ্টি ঘোরাচ্ছে! যেন চুরি করেছে কিছু একটা। অনেকটা মাছ চুরি করে ধরা পড়া বিড়ালের মতন। তন্ময়ের ঠোঁট জুড়ে তখন দুর্লভ হাসির বিচরণ। দুষ্টুমির তাগিদে দু'পা এগুতে-এগুতে প্রশ্ন ছুঁড়ল,

'কিছু একটার আশায় ছিলি, হুঁ?'

এহেন প্রশ্নে অরুর আশ্চর্যতা সপ্তমে পৌঁছাল। চোখজোড়া বড়ো বড়ো হয়ে এলো। কোনোরকমে আটকে আসা গলায় আমতাআমতা ভঙ্গিতে বলল,

'কী? কই! না-না তো। ভ– ভয় পেয়েছিলাম। থান্ডার্স্টর্ম হলো না? এরজন্যই।'

তন্ময় সন্তর্পণে হাসিটুকু গিলে নিয়ে; গাম্ভীর্যতা বজায় রেখে কয়েক কদম এগোতে নিতেই– সঙ্গে সঙ্গেই অরুও পিছুতে থাকল তালে তাল মিলিয়ে। একপর্যায়ে পিঠ ঠেকল বারান্দার স্লাইডিং ডোরে। তন্ময়ের সুঠোম দেহখানার সম্মুখে প্রায় আড়াল হলো অরুর ছোট্টখাট্টো দেহটি। তন্ময় মাথা ঝুঁকিয়ে কণ্ঠ নামিয়ে– নিচু স্বরে বড়ো চতুরতার সঙ্গে শুধাল,

'আমি চুমু খাব এই আশায় ছিলি?'

অরু সাথেসাথেই চেঁচিয়ে ওঠে অস্বীকার করে বসে, 'কখনো না।'
'চোখমুখ বন্ধ করে অমন কামুকে এক্সপ্রেশনস দিয়ে কী বোঝাতে চাচ্ছিলি তাহলে?'

অরু আহত চোখে চেয়ে রয়। মিনমিনে সুরে জিজ্ঞাস করে, 'কেমন এক্সপ্রেশনস?'
'উম– লাইক ইউ আর ইগার্লি ওয়েটিং টু বি কিসড বায় মি।'

অরুর দুর্বল গলার প্রতিবাদী জবাব এলো মিনিটখানেক সময় নিয়ে, 

'ক-কখনো না।'
'ওহ্, ওখে। তাহলে কি ধরে নিব তুই পছন্দ করছিস না আমার চুমু?'

অরু লজ্জায় স্তম্ভিত হলো, 'এসব কখন বললাম আমি!'

তন্ময় ভ্রু নাচিয়ে শুধাল, 'তারমানে পছন্দ করিস?'
'এহ?'
'করিস না?'
'কী!'

কথার মারপ্যাঁচে পড়ে কণ্ঠনালি স্তম্ভিত হলো অরুর। স্বীকার করতেও লজ্জা লাগছে; না করেও উপায়ান্তর খুঁজে পাচ্ছে না! বিপাকে পড়া অরুর মুখটা দেখে আনন্দিত হলো তন্ময়। ফিচেল হেসে ফেলল। সহাস্যমুখে হাত বাড়িয়ে অরু লালচে গাল টেনে দিয়ে সরে এলো। গিয়ে বসল পূর্বের জায়গায়। ল্যাপটপটা খোলা তখনো। কাজে মননিবেশ হওয়া তন্ময়কে দেখে অরু এবারো আশ্চর্য না হয়ে পারলো না। মানুষ কতরকম রূপেগুনে আবদ্ধ! আশ্চর্য! আশ্চর্য! অরু হতাশ নয়নে চাইল হাতে থাকা কফিটার দিক। ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। শুকনো গলাটা ভিজিয়ে নিতে ডগডগ শব্দে ঠাণ্ডা কফিটাই কয়েক ঢোক গিলে নিলো। ডান হাতে গালটা ডলে নিলো। তন্ময় কফিটা বানিয়েছে বলেই বুঝি এতো ভালো লাগছে?
কফিটা খেতে খেতে আবারো গিয়ে বসল তন্ময়ের সামনে। তন্ময় না তাকিয়েই নিজ কফির মগ তুলে এক ঢোক গিলল। কপাল কুঁচকে এলো মুহূর্তেই। ঠাণ্ডা হয়ে আছে। কফির মগ পাশে রেখে প্রশ্ন ছুঁড়ল,

'পড়াশোনা নেই? গিয়ে পড়তে বোস।'
'কফিটা খেয়ে নিই।'

তন্ময় কীভাবে বোঝাবে সামনে ও থাকলে তার কাজে মন বসে না! মস্তিষ্ক চলে না। চোখও স্থির রয় না ল্যাপটপ স্ক্রিনে। ঘুরেফিরে যে সম্মুখে বসা ওকে খুঁজে বেড়ায়! 

______

শাবিহাকে নিয়ে অয়ন শাহজাহান বাড়ি ঢুকল রাতের বারোটা ত্রিশে। মোস্তফা সাহেব লিভিংরুমে শক্ত মুখে বসে আছেন। ঘুমে চোখজোড়া ছোটো হয়ে এসেছে। চায়ের কাপ হাতে তিনি সজাগ থাকার প্রচেষ্টায়। তন্ময় মোবাইল বের করেছিল কেবলই। অয়ন, শাবিহাকে সদরদরজার সামনে দেখেই দাঁড়াল। অয়ন দ্রুতপায়ে এগিয়ে এসে মিইয়ে যাওয়া গলায় জানাল,

'ভাইয়া, গাড়িটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল মাঝরাস্তায়। আমি–'

অয়নের আগাম বাক্য পূর্ণতা পেলো না। কঠিন কণ্ঠে ধমকে ওঠেন মোস্তফা সাহেব,

'একদম মিথ্যে বলবে না! মিথ্যেবাদী ছেলে। প্রমিজ করে প্রমিজ রাখতে পারো না। তুমি ভবিষ্যতে কী রূপ দেখাবে আমি এখনই দেখছি। কয়টা বাজছে দেখো। কোন ভদ্রবাড়ির ছেলে এতরাত করে বাইরে থাকে?'

অয়ন অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। সাহায্যের আবেদন নিয়ে দৃষ্টি ফেলল তন্ময়ের পানে। তন্ময় চোখে চোখ রেখে আশ্বস্ত করল। চুপচাপ শুনতে থাকার তাগিদা দিলো। অয়ন ভদ্রছেলের মতন মাথা নত করে হবু শ্বশুরের বকাঝকা শুনলো। মোস্তফা সাহেব মিনিটখানেক ভাষণ ঝেড়ে চুপসে গেলেন। তন্ময় এযাত্রায় বলল,

'শাবিহা! ওপরে যা।'

শাবিহা তড়তড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে চলে গেল। বাবার ভয়ে ফিরে আরেকটিবার চাইল অবদি না। অয়ন তখনো দাঁড়িয়ে। মোস্তফা সাহেব কড়া চোখে অয়নকে মেপে চলে যেতে উদ্যত হলেন। তন্ময় সদরদরজার দিকে এগুতে এগুতে অয়নের উদ্দেশ্যে বলল,

'আয়!'

অয়ন পিছু নিতে নিতে পরিষ্কার গলায় জানাল,

'ভাইয়া, আমি সত্য বলছিলাম। গাড়ি ব্রেকডাউন খেয়ে বসে যায়। এরজন্যই লেট হয়ে গেল। আমি জেনেশুনে বাঘের খপ্পরে কেন পড়তে চাইব?'

তন্ময় হাসল, 'আমার বাবাকে বাঘ বলা হচ্ছে, হুঁ?'

অয়ন লজ্জিত গলায় শুধরে নেবার ভঙ্গিতে অস্বীকার করতে উদ্যত হলো,

'আমি তা মিন করিনি। মানে বলতে চা— '

বাগান পেরুতে পেরুতে তন্ময় ওপরে তাকাতেই দেখল অরু দাঁড়িয়ে। অর্ধখন্ডিত চাঁদ দেখছে। বৃষ্টি বন্ধ হতেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। শীতল বাতাস ছেড়েছে। চাঁদটা দারুণ সুন্দর ভাবে জ্বলছে। হাত ঘড়িতে বারোটা পঁয়তাল্লিশ! এখনো ঘুমাতে যায়নি? তন্ময় দাঁড়াল। গলা উঁচিয়ে ডাকল,

'তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কটা বাজে?'

অরু হকচকিয়ে ওঠে হঠাৎ উচ্চকণ্ঠের স্বরে। নিচু তাকাতেই দেখে তন্ময় আর অয়ন দাঁড়িয়ে। অরুকে দেখেই অয়ন হেসে হাত ওঠায়। অরুও হেসে হাত দুলিয়ে শুধায়,

'কোথায় যাচ্ছেন? আমিও যাব।'

তন্ময় ভ্রু তুলে ফেলে, 'ফিরে যেন তোকে না দেখি। ঘুমাতে যা।'

অয়নকে নিয়ে তন্ময় বেরোয়। রাস্তাঘাট নিস্তব্ধতায় ঘেরা। কুকুরদল হাঁটছে, চেঁচাচ্ছে। ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তখনকার বিষয়টা নিয়ে তন্ময় এবারে বলে,

'আমার বাবা ওপরে ওপরে শক্ত হওয়ার মুখোশ পড়ে থাকে। সত্যি বলতে সে খুবই সফট হার্টেড। অত্যন্ত ইমোশনাল। তাকে দেখে এসব বোঝা মুশকিল। তোমায় সে পছন্দ করে। বুঝতে দিতে চায় না। শুধুমাত্র তোমার বয়সটা শাবিহার থেকে কম হওয়াতে ইনসিকুয়্যের অনুভব করছেন। ধীরেসুস্থে মিলিয়ে যাবে আমার বিশ্বাস।'

অয়ন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার তাগিদে বলে,

'আমি বুঝতে পেরেছি। আমি আরও সতর্ক হব। যথাসম্ভব চেষ্টা করব আংকেলের ইনসিকুয়্যেরিটি দূর করতে।'
'কিছুই করতে হবে না। আমার বোনকে সুখে রাখো, ভালো রাখো – এটাই একমাত্র চাওয়া আমাদের। ওকে হাসিখুশি দেখা মানেই আমাদের জীবন স্বার্থক। ও তোমায় ভালোবেসে জীবনসঙ্গী হিসেবে পছন্দ করেছে। ডু নট লেট হার ডাউন, অয়ন। রেসপেক্ট হার–প্রটেক্ট হার অ্যান্ড লাভ হার প্লিজ।'

অয়নের কণ্ঠে দৃঢ়তা, 'আই উইল, ভাইয়া। আই উইল! নাহলে তো আপনারা আছেন। হাত পা ভেঙে দেবেন।'

তন্ময় হাসে। হাত উঠিয়ে চাপড়ে দেয় অয়নের কাঁধ। অয়নকে ওদের বাড়ির সামনে এগিয়ে দিয়ে আসে। অয়ন ঢুকতেই তন্ময়ও ফিরে আসে। সদরদরজা লাগিয়ে ওপরে তাকায়। নিপুণভাবে চেয়ে খেয়াল করে অরু লুকিয়ে আছে। চুলগুলো বাতাসে দুলছে। মেয়েটা একদম কথা শোনে না!

________

শুক্রবার বলতেই ছুটির দিন। শাহজাহান পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য এদিন বাসাতেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একসাথে সকালের খাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়াটা যেনো বাধ্যতামূলক। বাগানে বসে চা খেতে-খেতে আড্ডায় মশগুল হয়ে পড়াও নিত্যনতুন কোনো বিষয় নয়। সকালের নাস্তায় আজ ছিল পরোটা। পরোটার সঙ্গে রাঁধা হয়েছে—গোরুর ভুড়ি ভুনা, আলু ভাজি , ডিম পোজ। নাস্তা খেয়ে কফি হাতে তন্ময় বাগানে এসে বসেছে কেবলই। ক্ষণিকের মধ্যে একেএকে মোস্তফা সাহেব, আনোয়ার সাহেব, ওহী সাহেবও বাগানে এসে বসেছেন। আকাশের হাতে হানি বোটাল। মধু খেতে সে ভালোবাসে। বিশেষ করে সাতসকালে ব্রেকফাস্টের পর খেতে তার দারুণ লাগে। এখনো হানি বোটাল নিয়ে বাগানে উপস্থিত হয়েছে। একটি চেয়ার টেনে বসতে বসতে তন্ময়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করল,

‘আজকের প্ল্যানিং কী? শুনেছিলাম আজ নাকি অয়নের ফ্যামিলি আসবে? কখন আসবে? জানিয়েছে কিছু?’ 

তন্ময় নিরুৎসাহিত কণ্ঠে জানাল, ‘সন্ধ্যায় আসবে।’

আনোয়ার সাহেব বড়ো ভাইয়ের পানে চেয়ে শুধাল, 

‘ভাইয়া, বাজারসদাই করতে হবে না? এখনই রওনা দিই নাকি? হ্যাঁ, রে তন্ময়! কজন আসবে? জানিয়েছে কিছু?'
'অয়নের বাবা-মা, বড়ো চাচা, ছোটো মামা-মামি, ভাতিজি আর অয়ন! এ'কজনই আপাতত।'

মোস্তফা সাহেব ছেলের মুখপানে চেয়ে বললেন,

'কী করব?'

তন্ময় ভেবেচিন্তে জানাল, 'মা, চাচিদের জিজ্ঞেস করো কী কী রান্নাবান্না করবে! সেই মোতাবেক লিস্ট করে দেক। আমি আর আকাশ গিয়ে নিয়ে আসি।'

ওহি সাহেব উৎসাহিত গলায় বললেন, 'তোদের যেতে হবে না। আমরাই যাই তিন ভাই। কতদিন বাজার যাই না। ঠিক বললাম তো ভাই?'

মোস্তফা সাহেব মাথা দোলালেন। কপালে কিঞ্চিৎ ভাঁজ ফেলে বললেন, 'ছেলে দুটোও আসুক সাথে।'

তন্ময় আওড়াল, 'গোষ্ঠী ধরে বাজার করতে যাবা নাকি পুরো বাজারটা তুলে আনতে? আম কনফিউজড!'

জবেদা বেগম যাবতীয় সরঞ্জামের লিস্ট ধরিয়ে দিলেন। লিস্টে নজর বুলিয়ে সেটি ভাঁজ করে পাঞ্জাবি পকেটে ভরে নিলেন মোস্তফা সাহেব।
দু'ভাই আর ছেলেদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন সকাল সকাল। অরু অবশ্য সাথে যেতে চাচ্ছিল। তন্ময় চোখ রাঙাতেই দমে গেল। চোখমুখ আঁধার করে ফিরে গেছে। তন্ময় ভাবুক হয়ে পড়ল। চঞ্চল, বাঁচাল, নির্বোধ এই মেয়েটিকে আগাগোড়া জেনেও যেন কিছুই জানা হলো না। নিখুঁত দৃষ্টিতে–প্রগাঢ় হৃদয় ব্যবহার করে কতটুকু বুঝেছে? কতটুকু জানতে পেরেছে? এর পরিপূর্ণ উত্তর তন্ময়ের অজানা। তবে ওর অজানা সব যে সে জানতে চায়। অন্যায় কী? অন্যায় হলেও বা কী? ছোটোখাটো দেহের ওই মেয়েটিকে পা থেকে মাথা অবদি মুখস্থ করতে চাওয়াটা মেন্ডট্যরি। ওর এমন কিছু থাকতে পারবে না যা সে জানে না। বুঝে না!
.
.
.
চলবে................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন