আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আরোরা - পর্ব ০৫ - তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া - ধারাবাহিক গল্প


#আরোরা (ফ্যান্টাসি, হরর, রোমান্টিক)
#পর্ব_৫
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া



ম্যাক ধীরে ধীরে সাঁচিকে জড়িয়ে নিলো বুকে। সাঁচির ভয় করছে। কিন্তু কিছু করতে পারছে না। আজকে নিশ্চিত তার প্রাণ যাবে সাথে সতীত্বও! সাঁচির অস্থিরতা বুঝতে পেরে ম্যাক ঠোঁট সরিয়ে নিলো। সাঁচি ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। যার ফলে পাতলা ফিনফিনে পোশাকের উপর দিয়ে বুকের ওঠানামা দেখে ম্যাকের শোচনীয় অবস্থা হচ্ছে। ম্যাক চাইছে সাঁচি নিজের ইচ্ছায় তার সাথে ঘনিষ্ঠ হোক কিন্তু মেয়েটা তো ভীষণ ভয় পাচ্ছে ওকে। নাহ এসব করা ঠিক হবে না এখন। আপাতত সাঁচির ভয় কমাতে হবে। নইলে হয়তো অতিরিক্ত ভয়ে মেয়েটা মরেও যেতে পারে। ম্যাক সাঁচিকে স্বাভাবিক করে দিলো। সাঁচি যেনো এতক্ষণে নিজের ইচ্ছেমতো নড়েচড়ে উঠলো। লম্বা নিঃশ্বাস ফেললো বারকয়েক। ম্যাকের দিকে দৃষ্টিপাত করতেই ভয়ে রক্তশূণ্য হয়ে গেছে সাঁচির মুখাবয়ব। ম্যাক সাঁচিকে শান্ত করার চেষ্টা করবে বলে একটু পিছিয়ে বসলো। 
" সাঁচি শান্ত হও। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবোনা। "
" আপ আপনি রক্তচোষা পিশাচ? আমাকে মেরে রক্ত খেতে এসেছিলেন না-কি আমার শরীরের জন্য এসেছিলেন? "
কাঁপা কাঁপা গলায় শুধালো সাঁচি। ম্যাক মুচকি হাসলো। বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হেঁটে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
" দু'টোই বলতে পারো। প্রথমে এসেছিলাম রক্ত চুষে খেতেই পরে তোমার সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হলাম। তোমার অবচেতন অবস্থায় তোমাকে ছুঁয়ে দিতাম কিন্তু এমনকিছু করিনি যাতে তোমার খুব কষ্ট হয়। তারপর তুমি ডাক্তারের কাছে গেলে। রসুন রেখে দিলে সর্বত্র! ব্যাস আমি আর তোমার ঘরে আসতে পারতাম না। তোমার কাছে না আসতে পেরে আমার কষ্ট হতে লাগলো। অস্থির লাগতো, হাসফাস করতাম সারারাত। বুঝাতে পারছিনা সেই যন্ত্রণা। তারপর প্রতিদিন বাইরে থেকে তোমাকে দেখে যেতাম। আজ এসেছিলাম শিকার করতে। তোমার চাচাতো বোনের মেয়ে মিলা ছিলো আমার শিকার কিন্তু আমি জানতাম না সে তোমার বোনের মেয়ে। পরে তোমার বাসার কাছে আসতে বুঝলাম তোমার আত্মীয় হবে। তারপরের ঘটনা তুমি জানো সাঁচি। মিলা নিজেই না বুঝে রসুনগুলো সব ফেলে দিয়েছে। "
একনাগাড়ে কথাগুলো বলে থামলো ম্যাক। সাঁচি চুপচাপ সবকিছু শুনছিলো। এখন যেভাবে হোক পিশাচটার থেকে বাঁচতে হবে। সাঁচি কখনো একজন ভ্যাম্পায়ারকে ভালোবাসতে পারবে না। সাঁচি দ্রুত বিছানার পাশে ওয়ারড্রব থেকে একটা সাদা রঙের স্কার্ফ বের করে গায়ে জড়িয়ে নিলো। কে জানতো এই লোক রাতে তার শরীরের ভাজ দেখে আরো উত্তেজিত হতো! জানলে এমন পাতলা ফিনফিনে পোশাক কে পরতো? সাঁচির নীরবতা দেখে ম্যাক এগিয়ে এসে পাশে বসলো। ভয়ে কেঁপে উঠল সাঁচি। ম্যাক সাঁচির দিকে এগিয়ে ঘাড়ে ঠোঁট রাখল। সাঁচি মনে মনে শেষবারের মতো সবকিছু স্মরণ করে নিচ্ছে। এখুনি পিশাচটা তার সমস্ত রক্ত চুষে নিবে। কিন্তু না সাঁচির ধারণা ভুল প্রমাণিত করে দিয়ে ম্যাক আলতো করে কামড়ে দিলো ঘাড়ে। থেমে থেমে কয়েকটা গাঢ় চুম্বন এঁকে দিলো গলায়। সাঁচির অদ্ভুত লাগছে। হোক সে ভ্যাম্পায়ার কিন্তু পুরুষ তো বটে? জীবনে প্রথম কোনো পুরুষ সজ্ঞানে সাঁচিকে এতটা ঘনিষ্ট ভাবে আলিঙ্গন করছে। তার উপর ম্যাক দেখতে বেশ সুদর্শন এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী! সাঁচি অজানা আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলতেই হঠাৎ তার খেয়াল হলো এটা কোনো মানুষ নয়,ভ্যাম্পায়ার। চোখ মেলে দূরে সরে বসলো সে। ম্যাক মুচকি হাসলো 
" দয়া করে আমার পরিবারের কারো কোনো ক্ষতি করবেন না। আমাকে মারুন কিন্তু তাদের ছেড়ে দিন "
সাঁচি নিজের ভয় থেকে বললো। ম্যাক বাদুড়ের রূপ ধারণ করার আগ মুহুর্তে বললো, " আমি তোমাকে জীবিত আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে চাই সাঁচি, মৃত নয়। আসছি।"
সাঁচি থতমত খেয়ে ম্যাকের চলে যাওয়া দেখছে। কী বলে গেলো সে? সবকিছু কি সত্যি? সাঁচির মাথা কাজ করছে না। কী মনে করে যেনো আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল সে। তখুনি নজরে এলো গলার কালচে দাগগুলো। ম্যাক ইচ্ছে করে এই দাগগুলো করেছে। 
" আমার স্মৃতি হিসেবে এই ভালোবাসার চিহ্ন সারাদিন আমার কথা তোমাকে ভাবাবে সাঁচি। "
কোথা থেকে যেনো বাতাস এসে ফিসফিস করে সাঁচিকে বলে গেলো। সাঁচি আয়নার সামনে থেকে সরে সোজা কম্বল মুড়ি দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো। সবকিছু বড্ড অদ্ভুত! 

সকালের রোদের আলো জানালার ফাঁক গলিয়ে এসে আরোরার চোখেমুখে পড়ছে। সে হাত দিয়ে রোদের থেকে নিজের চেহারা লুকাতে চাইছে। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হওয়ায় সাধের ঘুম ভেঙে গেলো তার। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিছানা থেকে উঠে বসলো আরোরা। চোখেমুখে পানির ছি টে দিয়ে রান্নাঘরের দিকে এগোলো সে। এনা সকালের নাস্তা তৈরি করতে ব্যস্ত। গমের রুটির সাথে ভেড়ার মাংসের ভুনা রান্না হবে আজ। মাংস কষিয়ে তাতে পানি দিলো এনা। বোনকে দেখে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করতে লাগলো এনা।
" শুভ সকাল আরোরা।"
" শুভ সকাল আপা। "
" কী হলো? সকাল সকাল এমন পেঁচার মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?"
এনার কথায় যেনো আহত হলো আরোরা। মলিন মুখ করে বললো,
" আপা ঘুমটা ঠিকমতো হলোনা। "
" আহারে! সকাল সাতটা বাজলো তা-ও আমার বোনের ঘুম হলোনা। "
" যাও তোমার সাথে কথা নেই আপা।"
আরোরা মিছে মিছে রাগ করার ভান করে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে খাবার টেবিলে এসে বসলো। এনা হাসতে হাসতে নিজের কাজে মন দিলো। আরোরা একইভাবে বসে আছে। পেটে ক্ষুধায় চোঁ-চাঁ করছে। এনা মিনিট দশের মধ্যে রুটি আর মাংস নিয়ে এলো। ভেড়ার মাংসের সাথে গমের রুটি ভীষণ ভালো লাগে আরোরার। এনা আরোরার সামনে ওর জন্য বাটিতে করে মাংস রাখলো সাথে রুটি। এনার জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই খেতে শুরু করেছে আরোরা। এনাদের বাসাটা দোতলায়। বেডরুম দু'টো আর রান্নাঘর সাথে একটাই বাথরুম। বসার বলতে ছোটো একটু জায়গা। মিচবার থেকে হলিথানে ঘর ভাড়া একটু বেশি। এনা ডাক্তারি করলেও খুব একটা টাকাপয়সা রাখে না রোগীদের থেকে। আর আরোরা শুধু স্কুলের স্বল্প বেতন দিয়ে চলে। 

সন্ধ্যা নেমেছে হলিথান শহরে। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে যাচ্ছে তার নিজ গন্তব্যে। প্রতিটি ঘরে ঘরে লন্ঠন জ্বেলেছে গৃহস্থরা। এলিজাদের ভেড়ার খামারে হঠাৎ ভেড়াগুলোর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলিজা বাসা থেকে বেরুলো। এলিজা আর এলিজর স্বামী জোথেন এই শহরে বসবাস করে। জোথেন এখানকার একটা ধর্মশালায় কাজ করে। খুবই কম আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় বলে এলিজা নিজের উদ্যোগে এই খামারটা গড়ে তুলেছিল। তাই খামারটা খুব প্রিয় এলিজার। ঘুটঘুটে অন্ধকারে হাতে লন্ঠন নিয়ে খামারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এলিজা। বাইরে শীতল হাওয়া বইছে। এলিজার ঠান্ডায় কাঁপা-কাঁপি অবস্থা প্রায়। খামারের দরজা খুলতেই ভেড়া গুলো এলিজাকে দেখে একটু শান্ত হলো। এলিজা ভালো করে খামারের মধ্যে লন্ঠনের আলোয় দেখতে লাগলো। না কিছু নেই তো। তবে ওঁরা এমন কেনো করলো ভাবছে এলিজা। হঠাৎ খুটখাট আওয়াজে নড়েচড়ে উঠলো এলিজা। তার পেছনে মনে হচ্ছে কেউ দাঁড়িয়ে আছে এবং তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়েও আছে। আচমকা গরগর আওয়াজে চমকে উঠলো এলিজা। বুকটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠেছে, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। জোথেন ঘরে আছে। ওকে ডাক দিতে হবে। কিন্তু ভয়ে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। এরমধ্যে গরগর আওয়াজটাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভয়ে ভয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই ভয়ে রক্তশূণ্য হয়ে গেছে এলিজার চেহারা। ধূসর রঙের লোমশ শরীরের বড়সড় একটা নেকড়ে দাঁড়িয়ে আছে তার দিকে দৃষ্টিপাত করে। চোখেমুখে তার তীব্র হিংস্রতা, সামনের দাঁতগুলো বেরিয়ে আছে। এলিজা বুঝে উঠার আগেই নেকড়েটা ঝাঁপিয়ে পড়লো তার উপর। লন্ঠন গিয়ে ছিটকে পড়লো খামারের ভেতর। মুহুর্তেই আগুন লেগে গেলো সেখানে। ভেড়াগুলো প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে লাগলো। 

প্রতিদিনের মতো আজকেও জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আরোরা। নীল রঙের গাউনের সাথে সাদা ওড়না গলায় পেঁচানো তার। চুলগুলো কাঠি দিয়ে উপরে তুলে বাধা। কী একটা অদ্ভুত মায়ায় পড়ে গেছে সে। এডওয়ার্ড আসবে কি-না জানে না অথচ তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কখন থেকে। 

দূরে কোথাও আগুন দেখে একটু দাঁড়াল এডওয়ার্ড। ঠিক আগুন নয়,ওয়ারউলফের সাথে চোখাচোখি হয়েছে তার। নেকড়েটা তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এডওয়ার্ড বুঝতে পারছে এই আগুনের পেছনে হয়তো এই নেকড়ের হাত রয়েছে। কিন্তু এখানে তার কিছু করার নেই বলে নিজের গন্তব্যের দিকে উড়তে লাগলো সে। এডওয়ার্ড চলে যেতেই ধূসর রঙের নেকড়েটাকে একটা কালো রঙের নেকড়ে এসে ইশারায় জঙ্গলের ভেতর নিয়ে গেলো। দেখে মনে হচ্ছে কালো রঙের নেকড়েটা রেগে আছে কিছুটা। আর সেজন্য ধূসর রঙের নেকড়েটার মন খারাপ। 

অপেক্ষা করতে করতে যখনই জানালার পাশ থেকে সরে যাচ্ছিল আরোরা তখনই এডওয়ার্ডকে দেখতে পেলো সে। কালো রঙের পোষাকের বদলে আজকে ধূসর রঙের আলখাল্লা পরে আছে এডওয়ার্ড। চোখাচোখি হতেই দু'জনের ঠোঁটের কোণেই হাসি ফুটে উঠেছে । এডওয়ার্ড ইশারায় আরোরাকে নিচে আসতে বললো। কিন্তু এনা? এই রাতে তো কিছুতেই বোনকে বাইরে বেরোতে দিবে না সে। আর দেওয়ার কথাও নয়। বাইরের যা পরিস্থিতি! প্রতিদিন শহরের লোকজন হয় নেকড়ের খাবার হচ্ছে নয় ভ্যাম্পায়ারের শিকার হচ্ছে। এমতাবস্থায় কেউ রাতে প্রাণের ভয়ে ঘর থেকে বেরোয় না খুব জরুরি কাজ ছাড়া। এডওয়ার্ড বুঝতে পারছে এনার জন্য আরোরা চিন্তায় পড়েছে। এডওয়ার্ড আরোরাকে গলা খাদে নামিয়ে ডাক দিলো,
" আরোরা! তোমার আপা ঘুমানোর পর এসো বরং। আমি রাত ন'টায় আসবো।"
" ঠিক আছে এডওয়ার্ড। "
আরোরার কথার বিনিময়ে মিষ্টি একখানা হাসি উপহার দিয়ে দৃষ্টির সীমানার বাইরে চলে গেলো এডওয়ার্ড। আরোরা বুঝতে পারছে ধীরে ধীরে এই অজানা যুবকটির প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছে সে। চাইলেও সেই দূর্বলতা কাটাতে পারছেনা সে। 

" সেলিন তোমাকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। আমরা মানুষ খাই না কেবল পশুপাখি খেয়ে জীবনধারণ করি। মানুষ শিকার করে আমাদের গোত্রের বাইরের নেকড়েরা। "
আলেক্সার ঝাঁঝাল কন্ঠের ধমকে চুপসে গেছে সেলিন। সে যে ইচ্ছে করে এলিজাকে মেরেছে তেমনটাও না। সে তো ভেড়া খেতেই গিয়েছিল খামারে। কিন্তু হঠাৎ মানুষের মাংসের আভাস পেয়ে নিজেকে সামলে নিতে পারেনি। 
" আমার ভুল হয়েছে আলেক্সা। ভবিষ্যতে এমন হবে না আর।"
" ঠিক আছে। এখন চলো দেখি কোথায় থাকার ব্যবস্থা করা যায়। আগামী পূর্ণিমার আগ পর্যন্ত আমাদের হলিথান শহরে অবস্থান করতে হবে। হয়তো অন্য শহরেও যেতে হতে পারে। সবটাই কিং এর নির্দেশমতো।"
সেলিন মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। আলেক্সা দূর পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ডেবিটকে মিস করছে খুব। নিশ্চয়ই ডেবিটও তাকে মিস করছে? 



চলবে............................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।