আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

আরোরা - পর্ব ০৭ - তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া - ধারাবাহিক গল্প


#আরোরা (ফ্যান্টাসি, হরর, রোমান্টিক)
#পর্ব_৭
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া



পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বুঝে টেবিলের নিচ থেকে এনা বেরিয়েছে। কিন্তু অন্ধকারে দিয়াশলাই খুঁজে পাচ্ছে না। কেমন একটা ভয় ভয় লাগছে তার। এমন সময় ঘরে লণ্ঠন হাতে এডওয়ার্ড প্রবেশ করে। আরোরার পাশে বসে এনাকে বলে,
" মিস এনা আমি এডওয়ার্ড, আরোরার পরিচিত। আপনি যদি লণ্ঠন হাতে নিতেন তাহলে আমি আরোরাকে বিছানায় শুইয়ে দিতে পারতাম। "
এনা তড়িৎ গতিতে আরোরার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে এডওয়ার্ডের হাত থেকে লণ্ঠন নিলো।
" অবশ্যই। "
এডওয়ার্ড আরোরাকে কোলে তুলে নিয়ে আস্তে করে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছে। টেবিলের উপর লন্ঠন রেখে এনা বোনের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করেছে এরমধ্যে। 

" আরো? এই আরো? ঠিক আছিস বোন আমার? "

বারকয়েক ডাকার পরেও আরোরার জ্ঞান ফিরছে না দেখে চিন্তায় পড়ে গেল এনা। এডওয়ার্ড ইশারায় শান্ত হতে বললো এনাকে। আরোরার মাথার পেছনে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে এডওয়ার্ড। আসলে আরোরার জ্ঞান হারানোর পেছনে এডওয়ার্ডের হাত ছিলো। সে চায়নি আরোরা তার কণ্ঠস্বর শুনে সবকিছু বুঝে যাক। নেহাৎ এনা তাকে চেনে না তাই কণ্ঠস্বর অতোটা খেয়াল করেনি। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে আরোরা ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকাল। চোখ মেলে তাকাতেই ভয়ে আঁতকে উঠল মেয়েটা।
" আপা! আপা তুমি ঠিক আছো? আপা! "
" আমি ঠিক আছি আরো। তুই শান্ত হ। "
এনা আরোরাকে জড়িয়ে ধরে আছে। ভীষণ ভয় পেয়ে গেছে সে। এডওয়ার্ড একটু দূরে সরে দাঁড়িয়ে আছে। 
" আরো তোর বন্ধু এডওয়ার্ড এসেছে। "

এনার কথায় সম্বিত ফিরল আরোরার। এডওয়ার্ডকে যে বাইরে রেখেই দৌড়ে ভেতরে এসেছিল সেসব খেয়াল ছিলো না এতক্ষণ। বোনকে ছেড়ে এডওয়ার্ডের দিকে দৃষ্টিপাত করে আরোরা।
" এডওয়ার্ড আপনি ঠিক আছেন তো?"
এডওয়ার্ড বরাবরের মতো মুচকি হেসে বলে,
" আমি একেবারে ঠিক আছি। কিন্তু এখন আমাকে যেতে হবে। অনেক রাত হয়ে গেছে। "
" ঠিক আছে। সাবধানে যাবেন।"
" আচ্ছা, আসছি।"
আরোরা এবং এনাকে বিদায় জানিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো এডওয়ার্ড। এনার মনে এডওয়ার্ডকে নিয়ে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাছাড়া এতরাতে দরজা খুলে রেখে আরোরাই বা কোথায় গিয়েছিল সেসব প্রশ্নও আছে বৈকি। তবে এখন এসব জিজ্ঞেস করার সঠিক সময় নয় বলে প্রশ্নগুলো নিজের মনের মধ্যেই রাখলো এনা।

ম্যাক সাঁচিকে জড়িয়ে নিলো নিজের বুকে। সাঁচি ম্যাকের বুকে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। ম্যাকের নেশা নেশা লাগছে। সাঁচির গলায় আলতো করে কামড়ে দিলো সে। সাঁচি কেমন শব্দ করে উঠলো তাতে। ম্যাক সাঁচির পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটার বক্ষের সাথে নিজের বক্ষের ছোঁয়াছুঁয়ি হওয়ায় ম্যাকের শরীরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজেকে আর সামলাতে না পেরে সাঁচির ঠোঁটগুলি নিজের ঠোঁটের দখলে নিয়ে নেশালো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাঁচির চোখের দিকে। 
" তুমি!"
ম্যাক চমকে উঠে শোয়া থেকে উঠে বসলো। মেরিনার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে তাতে। সে আবারও ম্যাকের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। ম্যাক এক ঝটকায় সরিয়ে দিলো মেরিনাকে। 
" তোমার কী হয়েছে ম্যাক? মাসখানেক ধরে আমার কাছে তো আসছ না উলটো আমি কাছাকাছি এলেও দূরে সরিয়ে দিচ্ছ!"
মেরিনা সাপের মতো ফুঁসছে। ম্যাকের মেজাজও বিগড়ে গেছে। 
" মেরিনা ঘুমের মধ্যে এরকম কাছাকাছি আসার মানেটা কী? কী ধরনের অসভ্যতা এটা?"
" তুমি যখন আমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় আদর করতে তখন তো এসব ভাবনি তুমি! এখন এসব অসভ্যতা মনে হচ্ছে তোমার কাছে? "
মেরিনা ভীষণ রাগী একটা ভ্যাম্পায়ার। তবে কেবল ম্যাকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তার এমন নয়। একাধিক ভ্যাম্পায়ারের সাথে তার শারিরীক সম্পর্ক আছে। ম্যাক সবকিছুই জানত তবুও মেরিনার সাথে সময় কাটাত। কিন্তু বিগত কিছু দিন ধরে কোনো মেয়ের প্রতি আর শারীরিক আকর্ষণ অনুভব করছে না সে। কেবল সাঁচিকে নিয়ে ম্যাকের সমস্ত জল্পনাকল্পনা। যেমন এই মাত্র ঘুমের ঘোরে সাঁচিকে ভেবেই মেরিনাকে কাছে টেনে নিয়েছিল সে।

" মেরিনা বিষয়টা এমন নয় যে আমরা প্রেমের সম্পর্কে আছি এবং তুমি সে কারণে অভিযোগ করছো। তোমার সাথে বিছানায় যাওয়ার জন্য একাধিক পুরুষ ভ্যাম্পায়ার আছে। তাহলে আমাকে জোর কেনো করছো? আমি এসব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি। তাই আমার কাছে আর কখনো এসবের জন্য এসো না।"

ম্যাকের কথা শেষ হতেই চেঁচিয়ে উঠলো মেরিনা।

" কেনো? আমার শরীরে এখন আর মধু খুঁজে পাচ্ছ না? কোন নতুন মধু খুঁজে পেলে শুনি?"
" মেরিনা! পাশের ঘরে রাজকুমার এডওয়ার্ড আছে। তাছাড়া বাবাও আছে অন্য দিকের ঘরে। আমি চাই না এসব কথা সবাই শুনুক। "
" তোমার চাওয়া মতো সবকিছু হবে না ম্যাক। আমার তোমাকে চাই এই মুহুর্তে, চাই। "
" মেরিনা!"
" চিৎকার করবেনা ম্যাক। "
" মেরিনা আমি একজনকে ভালোবাসি। আমি চাই না এসবের মধ্যে নিজেকে আর জড়াতে। তাছাড়া আমি তো কখনো তোমাকে বলিনি আমাদের সম্পর্কে কোনো প্রেম কিংবা ভালোবাসা আছে? "
" ভালোবাসো? তুমি! "
মেরিনা অবাক হয়েছে ম্যাকের কথায়। ম্যাক কাউকে ভালোবেসে যৌনাচার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে বিষয়টা মোটেও হজম হচ্ছে না মেরিনার। ম্যাকের স্বভাবচরিত্র সম্পর্কে সবাই জানে। এই ছেলে মেয়েদের বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে কিন্তু মেয়েদেরকে নিজের মনে কখনো জায়গা দেয়নি। ম্যাক মেরিনার হাবভাবে বুঝে গেছে, ভীষণ অবাক হচ্ছে সে। তাই নিজেকে শান্ত করে মেরিনার কাছে এগিয়ে গেলো। মেরিনা ম্যাককে কাছে আসতে দেখে ভ্রু উঁচিয়ে তাকিয়ে আছে। 
" হ্যাঁ মেরিনা আমিও একজনকে ভালোবাসি। বিষয়টা তোমার হজম না হলেও এটাই সত্যি। আমি তাকে ঠকাতে চাই না। তাই আজকের পর আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আশা করি তুমি বুঝতে পেরেছ?"
" ঠিক আছে। "
মেরিনা আর কথা না বাড়িয়ে কক্ষ ত্যাগ করেছে। কিন্তু মেরিনার হঠাৎ শান্ত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ঠিক মানতে পারছে না ম্যাক। নিশ্চয়ই কোনো মতলব আঁটছে মেয়েটা। সাঁচির কাছে দু'দিন হলো ম্যাক যায়নি। আজকে ভীষণ ইচ্ছে করছে তাকে দেখতে। কিন্তু সাঁচি নিশ্চিত আবারও রসুন ছড়িয়ে রেখেছে ঘরের আশেপাশে। দীর্ঘশ্বাস ফেললো ম্যাক। তবুও রাতের আঁধারে সে যাবে একনজর সাঁচিকে দেখার জন্য। 

হলিথান শহরের অবস্থা আশংকাজনক। এই কদিনে প্রায় শতাধিক মানুষ নেকড়ের খাবার হয়েছে। ভ্যাম্পায়ারদের আক্রমণ তূলনামূলক কম তবুও সব মিলিয়ে শহরের লোকজন প্রাণ হাতে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে একপ্রকার। এমতাবস্থায় এনাকে চেম্বারে পাঠাতেও ভীষণ ভয় লাগছে আরোরার। এনা সেদিনের পর আরোরাকে এডওয়ার্ডের সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করেছিল কিন্তু আরোরা তো নিজেই তার বিষয় কিছু জানে না। তাই এনাকেও ঠিকঠাক মতো কিছু বলতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে আরোরার উপর অভিমান করে আছে এনা। সে ভাবছে আরোরা ইচ্ছে করে সবকিছু গোপন করছে হয়তো। এডওয়ার্ড আসলে তার বিষয় সবকিছু জিজ্ঞেস করবে বলে মনস্থির করেছে আরোরা। কিন্তু সে-ও আসছে না। সবকিছু কেমন অদ্ভুত লাগে আরোরার। 

সন্ধ্যা নেমেছে। আকাশ পরিষ্কার আজ। কোথাও মেঘের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। এই অঞ্চলে তিনটি ঋতু পরিলক্ষিত হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত। সেই অনুসারে বর্ষা শেষের পথে। হালকা হালকা ঠান্ডা লাগা শুরু করেছে। ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে উৎসব লেগেছে আজ। সবকিছু সাজিয়ে-গুছিয়ে তুলেছে মন্ত্রী কিয়াম ও তার পুত্র ম্যাক। কথা ছিলো সামনের পূর্নিমায় এডওয়ার্ডকে রাজা হিসেবে অভিষেক করাবে রাজা জোহানসন। কিন্তু উনার শরীরটা একটু খারাপ হওয়ায় যতটা দ্রুত সম্ভব ছেলেকে সিংহাসনে বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। আজকে এডওয়ার্ডকে ভীষণ সুন্দর লাগছে। সাদা-কালো রঙের মিশ্রণের কারুকার্য করা একপ্রকার আলখাল্লা পরেছ সে। চুলগুলো বরাবরের মতো সুন্দর লাগছে। ম্যাক এডওয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। কিয়ামের সেটা সহ্য হচ্ছে না। ম্যাকের মা গত হয়েছেন অনেক বছর আগে। বাবা ছেলের সংসার বলতে গেলে। 
" এই জায়গায় তোমাকে দেখতে চাই ম্যাক। "
" আমি যেখানে আছি সেখানেই ঠিক আছি বাবা। তুমিও নিজের জায়গায় সন্তুষ্ট থাকলে ভালো হয়। এডওয়ার্ড এই সিংহাসনের উত্তরাধিকার আমি নই।"
ম্যাকের কথায় আবারও বিরক্ত হচ্ছে কিয়াম। এই ছেলে কি নিজের ভালো বোঝে না? কিয়াম স্থান ত্যাগ করলো রেগেমেগে। জোহানসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এডওয়ার্ড। পাশে হেলগা ছেলের দিকে ছলছল নয়নে তাকিয়ে আছে। কী সুন্দর লাগছে তার এডওয়ার্ডকে! 
" আজকের পর থেকে এই ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের রাজা তুমি। আশা করি তুমিও আমার মতোই সবাইকে আগলে রাখবে।"
জোহানসন পুত্রের মাথায় হাত দিয়ে বললেন। এডওয়ার্ড মাথা নিচু করে কুর্নিশ করে প্রত্যুত্তরে বলে,
" জি বাবা। আপনার দেখানো পথেই চলবো আমি। সর্বদা দায়িত্ব, কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করবো। আপনি শুধু প্রার্থনা করুন আমার জন্য। "
" আমার প্রার্থনা সর্বদা তোমার সাথে আছে। হেলগা অনুষ্ঠান শুরু করতে বলো।"
" ঠিক আছে মহারাজ। "

রাজার আদেশে অভিষেকের মূল পর্ব শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ে এডওয়ার্ডকে রাজকীয় মুকুট পরিয়ে সিংহাসনে বসানো হচ্ছে। দূরে ম্যাক দাঁড়িয়ে শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছে। আজকে যেভাবেই হোক সাঁচির কাছে সে যাবেই!

মেঘমুক্ত আকাশে রূপালি চাঁদখানা তার আলো ছড়াচ্ছে। চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে হলিথান শহরের অলিগলি। এনা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। মনটা বড্ড অশান্ত তার। আরোরা ঘুমিয়ে গেছে আরো আগেই। কিন্তু এনার ঘুম আসছে না। বেখেয়ালি হয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতেই হঠাৎ কারো অস্তিত্ব নজরে এলো এনার। সতর্ক হয়ে নড়েচড়ে উঠলো সে। দু'টো নেকড়ে এগিয়ে আসছে রাস্তা ধরে এদিকে। চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তাদের ভয়ংকর রূপ। একটা নেকড়ের রঙ কালো আরেকটা ধূসর রঙের। এনা নিজেকে একটু আড়াল করে দেখতে লাগলো মতিগতি। যদিও এনারা দোতলায় থাকে, অতদুরে নেকড়ে লাফিয়ে উঠবে না। কিন্তু সাবধানের মার নেই! নেকড়েগুলো নিজেদের মধ্যে কিছু বলাবলি করছে। সেসব এনার বোঝার কথাও নয় তাই বুঝতে পারছে না। কিন্তু আচমকা একটা ব্যাপার দেখে অবাক হলো এনা। ধূসর রঙের নেকড়েটা এনাদের বাড়ির কাছাকাছি আসতে চেয়েছিল কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়লো। নেকড়েটা গর্জন করে উঠলো তাতেই। কালো রঙের নেকড়েটা এগিয়ে গেলো তার দিকে। এনা আরকিছু দেখতে চায় না। ভয়ে দ্রুত জানালা ভালো করে বন্ধ করে নিজের বিছানায় বসে হাঁপাতে লাগলো সে। কী ভয়ংকর দৃশ্য! কিন্তু এনাদের বাড়ির পাশে ঘেঁষতে কেনো পারছে না নেকড়েগুলো? 

" কী হলো সেলিন?"
আলেক্সা সেলিনকে ধরে উঠিয়েছে। সেলিন বেশ চোট পেয়েছে হাতে। 
" কী হয়েছে সেটা আমিও বুঝতে পারছি না আলেক্সা। মনে হলো খুব শক্তিশালী কিছু একটা আমাকে ধাক্কা দিলো এমন।"
" এই বাড়িতে কে কে থাকে কাল দিনে খোঁজ লাগাতে হবে। নজর রাখবো বাসা থেকে কে কে বের হচ্ছে। এখন চলো,তোমার শরীর খারাপ মনে হচ্ছে। "
" হ্যাঁ চলো।"

আলেক্সা আর সেলিন চলে যেতেই লিও সেখানে এসে হাজির হয়েছে। ওদের কথাবার্তা দূর থেকে শুনছিল সে। গত দুই রাতে লিও নিজেও সেলিনের মতো ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল। তাই সাহস করে আজকে আর বাড়ির আশেপাশে যাওয়ার চেষ্টা করেনি লিও। তবে আলেক্সার কথা শুনে তার মাথায়ও দুষ্ট বুদ্ধি চলে এসেছে। দিনেই এনা ও আরোরার উপর হামলা করবে সে। এডওয়ার্ড যে নিজেই এই সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করেছে সেসব বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি লিও এর।



চলবে............................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।