১৪, বৃহস্পতিবার।
আজ দুর্দমনীয়, প্রদীপ্ত; পরিষ্কার গগন। সহস্র নাম না জানা পাখি দলবল বেঁধে নীলসাদাটে গগনের বুক ছিঁড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। ঠিক যেন ক্যানভাসে রঙ তুলিতে আঁকা কোনো দৃশ্য। চমৎকৃতভাবে ভূষিত। সূর্যিমামা আজ খ্যাপাষাঁড় যেন। তার প্রলয়ং করী আ গুনমুখ তপ্ততায় মগজ গলে যাবার পথে। ভ্যাপসা গরমে গতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জুড়ে জ্বালাপড়ার সঙ্কেত। পক্ষান্তরে এই উত্তপ্ত দুপুর মেনে না যায়, তবুও বৃষ্টিবাদল মেনে নেয়ার মতন অন্তঃকরণ আজ নেই। অন্যদিন হলে ভিন্ন ব্যাপার। তন্ময় এইভাবেও বর্ষণের দিনগুলো আহামরি পছন্দ করে না। এই ভাবনাটুকু নিতান্তপক্ষে তার হৃদয়ের কোণেতে যত্নে রাখা সুপ্ত অনুভূতি। অবশ্যই অরুর সম্মুখে তা প্রকাশ করার মত নয়। ও অনিরাপদ শ্রোতা। দেখা যাবে কেঁদে বসে আছে। কেন বৃষ্টির মতন অসাধারণ জল তার পছন্দ নয়! এই প্রশ্নটুকুই বারংবার করে যাবে। যুক্তি দিয়ে আর যাহোক অরুর সঙ্গে ইহজন্মে পারা সম্ভব নয়। অভিমান করে বসলে একান্ত তন্ময়ের অর্থনাশ। সে চায় না তার হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল— না হওয়া সংসারে আগুন লেগে বসুক। ইতোমধ্যে বাম পকেটের আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থাপুর্ণ যন্ত্রটি সহস্রবার কেঁদেছে। ক্রমান্বয়ে আওয়াজ করেই চলেছে। দুটো মিনিট চুপ করার নাম নিচ্ছে না। ডান হাত বাম পকেটে ঢুকিয়ে ফোন-টা বের করল তন্ময়। স্ক্রিনে ভেসেছে, ইংরেজি অক্ষরে বড়ো করে লিখা মাহিনের নাম। ষোলোটি মিসডকল-এর বারোটি তার একার করা কার্যক্রম। বাকি চারটি শুহানি এবং রিয়ানের। দুজন গুণে-গুণে দুটো-দুটো করে কল করেছে। তন্ময় সর্বাগ্রবর্তী মাহিন মজুমদারকে কল ব্যাক করল। অশান্ত, উদগ্রীব ছেলেটার মাথায় কী সমস্যা জানা প্রয়োজন! মাহিন হয়তোবা ফোন হাতে ধরে বসেছিল। কল রিসিভ হলো তক্ষণ। ম্লান কণ্ঠ খানা ব্যাকুল শোনাল,
‘দোস্ত, দোস্তরে…’
এহেন বিষাদযুক্ত কণ্ঠ কর্ণে পৌঁছে তন্ময়কে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হলো না। হওয়ার কথাও নয়। যুতসই কারণ নেই। সে নির্বিকার হয়ে কাবার্ড হাতাচ্ছে। মোট ছয়টা শার্ট নিয়েছে। ছয় রঙের। টি-শার্ট চারটা। চার ধরনের। ছয়টা প্যান্ট, ভিন্ন স্টাইলের। ল্যাগেজ পরিপূর্ণভাবে গোছানো পরিপাটি ভঙ্গিতে। তারপরও সবকিছু শেষবার দেখে নেয়া তার অভ্যাস।
‘হুঁ, বল।’
অনুরাগশূন্য প্রত্যুত্তর শুনে মাহিন বিরক্তিতে ‘চ’ উচ্চারণ করে। প্রত্যাশা মোতাবেক বালের ‘ব’ টুকুও হলো না। পাশে ড্রাইভ করতে থাকা অতি ব্যস্ত রিয়ান শিকদার দাঁত কেলিয়ে হাসছে। মাহিন এতে অসন্তুষ্ট হয় দ্বিগুণ। এবারে সত্যিকার অর্থে ম্লান গলায় আওড়ায়,
‘ওন দ্য ওয়ে।’
কক্ষের দুয়ারের সম্মুখে অরু এসে দাঁড়িয়েছে। নুড রঙের ফর্মাল প্যান্টের সাথে ফুলসিলভস এর কালারফুল ফতুয়া পরেছে। ডাবল প্যাঁচে গলায় কালারফুল প্রিন্টেড স্কার্ফ। চরণে ওর উচ্চতার চেয়ে দ্বিগুণ বড়ো হিলস। চুলগুলোতে ঝুটি বেঁধেছে। হালকাপাতলা মেকাপ করেছে। জুতোজোড়া বাদ দিলে সবই তন্ময়ের পছন্দের। ফোনে সে অনাগ্রহী গলায় বলে,
‘ওকে।’
অতঃপর কল কাঁটে। অরুকে হাতের ইশারায় কাছে ডাকে। অরু উৎসাহিত বড্ড। সহাস্যমুখে ত্বরিত কাছে এসে দাঁড়ায়। ক’দিন ধরেই তন্ময়ের সবরকম কথাবার্তা শুনছে সে বাধ্যগত মেয়ের মতন। তন্ময় আঙুল তুলে চরণ দেখিয়ে শুধায়,
‘কী পরছিস?’
অবুঝের মত অরু পিটপিট করে আঁখিদুটি। যেন প্রশ্নের অর্থ বোঝেনি। দৃষ্টি নামিয়ে চরণ দুটোর পানে ফেলে। ফের দৃষ্টিপাত করে তন্ময়ের গম্ভীরমুখে। চোখদুটোতে তার প্রশ্নবোধক চিহ্ন!
কী খারাপ পরেছে সে? তন্ময় বিরক্ত মুখে আদেশ ছুঁড়ে,
‘জুতো পালটে আয়। যা।’
মুহূর্তেই অরুর এতক্ষণ যাবত দীপ্তি ছড়ানো মুখশ্রী আঁধারছন্ন হলো। আতঙ্কগ্রস্ত চোখে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে প্রশ্ন করল,
‘কেন? এই জুতোতে কী সমস্যা?’
তন্ময় পরিষ্কার ভাবেই বেশ অবলীলায় জবাবে বলল, ‘নিজের উচ্চতা অনুযায়ী জুতো পরে আয়।’
বাক্যটি অরুর জ খমিত হৃদয়কে ক্ষিপ্রভাবে র ক্তাক্ত করে। ম্লান চোখে চেয়ে রয়। যেন তন্ময় বেশ অন্যায়ত বাক্য বলে ফেলেছে। দণ্ডনীয় অ পরাধ করে বসেছে। অরু বরাবরই একান্ত উচ্চতা নিয়ে কুণ্ঠিত। সবসময় উঁচু জুতো পরতে চাইবে। পা মচকায়, ছিলে যায় তাতেও হিলস পরা বন্ধ হয় না ওর। সেবার তো সবগুলো হিলস কেটে দিয়েছিল তন্ময়। ফের কিনেছে মেয়েটা। ও কী কোনোভাবে তাদের উচ্চতার মানানসই নিয়ে পড়ে আছে? বিষয়টা মস্তিষ্কে আসতেই হাসি পায়। কারণ অরুর উচ্চতা ঠিক তার বুক অবদি। বিষয়টা তাকে সর্বদাই আনন্দ দেয়। উচ্ছ্বাস অনুভব করায়। ইচ্ছে মোতাবেক ওর গোবর ভরতি মাথাটা অনায়াসেই ধরা যায়। বোকা কোথাকার। তন্ময় এবারে উঁচু গলায় ধমকে ওঠে,
‘যাচ্ছিস না কেন? স্লিপার ধরনের জুতো পরবি। এক ইঞ্চি উঁচু হলে খবর আছে।’
অরুর নাকের পাটা দুটো ফুলল। ছলছল করল নয়নযুগল। কেঁদে ফেলার আগামবার্তা। অভিমানে বুক ফুলিয়ে বলল, ‘যাব না।’ এরপর হনহনিয়ে বেরিয়ে গেল। তন্ময় শব্দহীন হাসল। তবে মাথা ঘামাল না। ওকে তার চেনা আছে, জানা আছে। ঠিকই সময়মত উঁকিঝুঁকি দেবে। এই ট্যুর ও মিস দেবার মত মেয়ে না। ল্যাগেজ লকড করে দেয়ালঘড়ি দেখল তন্ময়। দুটো ত্রিশ। দশ মিনিটের মধ্যেই মাইক্রো আসবে। সে ডাইনিং থেকে হাত ঘড়িটা তুলে পরে নিলো। চুলে ব্যাকব্রাশ ছোঁয়াল। পারফিউম ছিটাল। ওয়ালেট পেছন পকেটে ভরে রাখল। ফোন ডাত তুলে নিয়ে, বাম হাতে ল্যাগেজ টেনে বেরুল কক্ষ ছেড়ে। অরু বাইরেই দাঁড়িয়ে। নত মুখে, ল্যাগেজ হাতে। খেয়াল করলেই দেখা যাচ্ছে, অভিমানে মুখ ফুলিয়ে রেখেছে। চরণে স্লিপার জুতো। তন্ময় হাসে। ডাকে,
‘আয়।’
অরু এগিয়ে আসতেই, তন্ময় ওর গাল টেনে ধরে আদুরে ভঙ্গিতে। ললাটে এক চটপট শুঁকনো চুমু বসিয়ে মৃদু গলায় জানায়, ‘তোর-আমার এই উচ্চতার ডিফারেন্স দেখতে ভালো লাগে। এইযে তুই আমার বুক বরাবর, এটা আমাকে প্রশান্তি দেয়।’
অরু আশ্চর্যান্বিত। কিয়ৎক্ষণ মস্তিষ্ক যেন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। সংযোগ হতেই একগাল হেসে তন্ময়ের বুকে আছড়ে পড়ে। তন্ময় দাঁত দ্বারা জিহ্বা কেঁটে— সতর্ক চোখের দৃষ্টি নিচে ফেলে। এবং কথায় আছে,
‘যেখানে বাঘের ভয়;সেখানেই সন্ধ্যে হয়।’
একই বিষয় ঘটেছে। মোস্তফা সাহেব অবরুদ্ধ। ইতোমধ্যে মাথা ঘুরিয়ে ফেলেছেন। হতাশ তন্ময় চোখবুজে কপাল চেপে ধরে। কবে যে ওর জ্ঞানবুদ্ধি হবে। দু’হাতে আলতোভাবে সরিয়ে দেয় অরুকে। জবেদা বেগম খেতে ডাকছেন উচ্চকণ্ঠে। তন্ময় ত্বরিত সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামছে। অরুও প্রাণোচ্ছলে রূপান্তরিত হয়েছে। কিয়ৎক্ষণ পূর্বের একবুক অভিমানিনী মেয়েটি যেন এই মেয়ে নয়। হেসেদুলে হুমড়ি খেয়ে পিছু নিয়েছে তন্ময়ের। জবেদা বেগম লাঞ্চবক্স তৈরি করেছেন চারটি। কয়েকরকম খাবার বানিয়েছেন। এরমধ্যে অরুর পছন্দের মমোসও আছে। সুমিতা বেগমও একটি চমৎকার ডিশ প্যাক করে দিয়েছে। আনোয়ার সাহেব মেয়ের জন্য সামান্য বিচলিত বটে। চঞ্চল মেয়েটাকে দূরে ছাড়তে অন্তঃপটে খচখচ হচ্ছে। মোস্তফা সাহেব তেমন কিচ্ছুটি বলেননি। গোমড়ামুখে চেয়ে শুধু বিড়বিড়িয়ে বলেন,
‘অরুকে দেখে রেখ।’
তন্ময় তাদের দুর্ভাবনা বোঝে। অরুকে নিয়ে সবার আশঙ্কাটুকু বোঝা খুবই স্বাভাবিক। ও যা বিচ্ছু ধাঁচের। ওকে কন্ট্রোলে রাখা মুশকিল তো অবশ্যই। অন্যদিক দীপ্ত ভীষণ ইমোশনাল। ছেলেটা চোখজোড়া রক্তিম। খুব করে তাদের সঙ্গে যেতে চেয়েছিল। তবে সম্ভব নয়। ও টিউটোরিয়াল এক্সাম চলছে। এক্সাম না চললেও ওকে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দ্বার পেরিয়ে বেরুতেই মাইক্রো দেখা গেল। ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে ভ্রমণ গাড়ি। গাড়ির ভেতরের কেউই বেরোল না। তবে অন্দরে বসেই গর্দা ন বের করে সালাম ঠুকল একেকজন। তন্ময় বিদায় জানিয়ে অরুকে নিয়ে গাড়ির কাছাকাছি এলো। গাড়ির পেছনের গদির দরজা খুলে দিলো রিয়ান। গাড়িটা মূলত তিনটি সারিবেঁধে আসন। ঠিক পেছনের গদি ফাঁকা। বাকি সবগুলো লেপ্টে বসেছে সম্মুখে। তন্ময়ের অনুভূতি ঠিক কী সে জানে না! এমন দেখানো প্রাইভেসি দিয়ে কী বোঝাতে চাচ্ছে? কথা বাড়াল না। সামনেই পরিবারের সদস্য। অরুকে বসিয়ে সেও উঠে বসল। অরু জানালার কাচ নামিয়ে হাত নাড়ছে। তার সজীব মুখশ্রীতে সূর্যের কিরণ পড়ছে। সেই দৃশ্য দেখে আনোয়ার সাহেব অসহায় ভঙ্গিতে মাথা নাড়ালেন। হেসে বড়ো ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বললেন,
‘মেয়েটা যে এত তন্ময়ের পাগল, আমি বুঝতে পারিনি আগে।’
মোস্তফা সাহেব গম্ভীরমুখে রইলেন। মনে-মনে ব্যাঙ্গ করে বললেন, ‘আর আমার অপদার্থ ছেলেটা যে কত পাগল তোর মেয়ের জন্য, তা জানলে তুই হার্টব্রেক খাবি।’
গাড়িটা ধীরেসুস্থে শাহজাহান দোরগোড়া পেরিয়ে বেরিয়ে গেল। বাড়িটা এখনই কেমন নীরব, নির্জীব লাগছে।
————
অরুকে তন্ময়ের বন্ধুবান্ধ সাত জনম আগে থেকেই চেনে। সামনাসামনি পরিচয় পূর্বে একবার মাত্র হয়েছিল। তাও তাদের সহস্র আবেদনের পর, জনাব শাহজাহান্ তন্ময় রাজি হয়েছিলেন। তবে দিয়েছিলেন অজস্র সতর্কবার্তা। সেসব পালন করার প্রতিশ্রুতি বন্ধুদল দিয়েছিল বলেই সে অরুকে এনেছে। এর অবশ্য কারণ আছে। বন্ধুদের মুখ চলে ট্রেনের গতিতে। বন্দু কের বুলেটের মত শুধু নষ্ট, অশ্লীল কথা বেরোয়। এসব অরু শুনে বসলে বিপদ। বিপদ অবশ্যই তন্ময়ের, বন্ধুদের নয়। তারা উলটো তন্ময়কে বিপদে ফেলতে মুখিয়ে আছে। তাই আজ অরুকে পেয়ে মাহিন উৎসুক বড়ো। সটানভাবে চুপচাপ পুতুলের মত বাচ্চা-বাচ্চা মুখের মেয়েটাকে দেখে তার মুখ চলল একাগ্রভাবে,
‘আসসালামু আলাইকুম —মামণি, আর ইউ এক্সাইটেড?’
অরু আশ্চর্য হলো এই সম্বোধনে। তাদের মামণি হলে কী তন্ময়েরও সে মামণি? ততক্ষণাৎ প্রশ্নবোধক চোখে মাথা ঘুরিয়ে তন্ময়ের পানে চাইল। তন্ময় তখন চোয়াল শক্ত করে চোখ রাঙিয়ে চেয়ে মাহিনের দিক। শক্তপোক্ত চাহনি জানান দিচ্ছে, তোকে জাস্ট পিষিয়ে খেয়ে ফেলব। মাহিন বোঝার মত করে –জিহ্ব কেটে ডাকনাম সংশোধন করে ফের বলে,
‘ওহ, সরি। মাই মিস্টেক! আসসালামু আনলাইকুম, ভাবী। আর ইউ এক্সাইটেড।’
অরু বোঝার মত হেসে মাথা দোলাল। সালামের জবাব দিয়ে বাধ্য গলায় প্রত্যুত্তরে বলল, ‘জি, ভাইয়া। অনেক এক্সাইটেড।’
শুহানি সামনেই ছিলো। আপাতত পিছু ঘুরে আছে। অরুকে দেখছে। শব্দ করে হাসছিল। এযাত্রায় অরুর গাল আদুরে হাতে টেনে বলল,
‘একদিক দিয়ে মামণি ডাকা ভুল নয় কিন্তু। তুমি অনেক ছোটো। তন্ময় বাচ্চা বউ বানিয়ে আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে।’
রিয়ান ড্রাইভ করছিল। সড়কপথে চেয়েই জানাল,
‘সহমত। অরু আমাদের স্মল বেইবি।’
তন্ময় হাত বাড়িয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে অরুর কানে ইয়ারপিস ঢুকিয়ে দিলো। অরু চোখ তুলে চেয়ে আছে। তন্ময় ওর চোখ হাত দিয়ে ঢেকে গম্ভীরকণ্ঠে বলে,
‘শা লা র বাচ্চা, তোর মুখ বন্ধ কর। বেইবি কী? লাথি দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেব।’
রিয়ান সহ বাকিরা..নিষ্ঠুর দানবের মতন হেসে ওঠল। কম্পন সৃষ্টি হলো মাইক্রোর ভেতরটায়। তন্ময়ের এই প্রটেক্টিভ রূপ তারা দারুণ উপভোগ করছে। আহ, সামনের দিনগুলো চমৎকার কাটবে।
.
.
.
চলবে................................