চোখের তারা তুই - পর্ব ০২ - তাইয়েবা বিন কেয়া - ধারাবাহিক গল্প


চোখের তারা তুই 
পর্ব ০২ 
তাইয়েবা বিন কেয়া 
.
.
.
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিজের রুমে চলে যায় আমি রান্না ঘরে যায় সেখানে খালা কাজ করছে তাই একটু সাহায্য করতে থাকি।সব কাজ শেষ হলে নিজের রুমে যায় ওনি টেবিলে বসে কিছু কাজ করতে থাকেন(আঁধার)।

হঠাৎ রুমে সেই মেয়েকে দেখি একটু রাগ করেছে মনে হয় কথা শুনে।কোনো কথা না বলে আবার কাজে ফোকাস করি। 

এই ফারিশ ফারহান চৌধুরী একটু আগে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছে একটা জঘন্য লোক ওনি। রাত অনেক হয়ে গেছে কিন্তু ছাদে যেতে ইচ্ছে করছে আর এই ঘরে তখন ফিরে আসবো যখন ওনি ঘুমিয়ে পড়বেন। 

মেয়েটা চলে যাবে তখন ডাক দেয়। ওর নাম মনে হয় আঁধার তাই সেই নাম ধরে ডাক দেয় " আঁধার একটু এখানে বসে যান আমার কিছু কথা আছে আপনার সাথে"।

আমার মনে একটু ভয় করছে কারণ যদি বকা দেয় তখন কি হবে। তবুও একটু সাহস নিয়ে চেয়ারে বসে যায়। 

আপনার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে কিন্তু এই বিয়ে কখনো মেনে নিতে পারব না আমি। কারণ বিয়ে বিষয়টা আমি বিশ্বাস করি না মনে হয় একটা ঝামেলা। কিন্তু শুধু বড় আব্বু বলেছে আপনাকে বিয়ে করতে সেই জন্য বাধ্য হয়ে রাজি হতে হয়েছে। বড় আব্বু কে আমি অনেক ভালোবাসি কিন্তু আপনি তাকে ঘৃণা করেন তার যথেষ্ট কারণ আছে আপনার কাছে। কিন্তু আমার মনে হয় আপনি একটু বড় আব্বু কে বুঝতে চেষ্টা করেন সে মানুষ হিসাবে খুব ভালো। আপনার মায়ের সাথে কি হয়েছে সেটা আমি জানি না তবে বড় আব্বু খারাপ মানুষ না সেটা বলতে পারি।

আমি ওনার কথা শুনে কোনো কথা না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। একটু চিন্তা করি আসলে বড় আব্বু কিন্তু খারাপ মানুষ না বেশ ভালো ব্যবহার করে সবার সাথে। তাহলে মায়ের সাথে খারপ ব্যবহার কেনো করেছেন আসলে সত্যি ঘটনা কি সেটা জানতে হবে। হঠাৎ ভাবী ডাক শুনে পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি তুলি। 

আমি ভাবীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটু ডাক দেয় সে পিছনে ফিরে তাকায় "আরে ভাবী তুমি এখানে কি করো" ?।রুমে যাও রাত অনেক হয়েছে তাড়াতাড়ি না ঘুমিয়ে পড়লে সকালে উঠবে কি করে। কলেজে যেতে হবে। 

আমি তুলির কথা শুনে একটু হাসি দেয় " আসলে তুলি রুমে একটু দম বন্ধ লাগছে তাই একটু ছাদে যেতে ইচ্ছা করছে। আর তুমি চিন্তা করবে না কলেজে সঠিক সময় চলে যাবো। 

আরে এখন অনেক রাত হয়ে গেছে ছাদে গেলে ভাইয়া বকা দিবে। আর তোমাকে বড় আব্বু তার রুমে যেতে বলেছে সে কিছু কথা বলবে তোমার সাথে।

বড় আব্বু নাম শুনে হাসি মুখ একটু কালো হয়ে যায়। কারণ সত্যি ঘটনা আসলে কি সেটা এখনো জানা হয় নাই তাই এই বড় আব্বুকে আমি ঘৃণা করি। কিন্তু ওনি আমার সাথে কি কথা বলবে (আঁধার).

ভাবীর হাসি মাখা মুখ কালো হয়ে গেছে বড় আব্বুর নাম শুনে। কিন্তু আমি কোনো কথা না বলে নিজের রুমে চলে যায় (তুলি).

একটু চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিয়ে বড় আব্বুর রুমে যায় কিন্তু বাহিরে গিয়ে দাঁড়িয়ে দরজায় একটা টোকা দেয় (আঁধার).।

হঠাৎ দরজায় শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখি আঁধার দাঁড়িয়ে আছে বিয়ের দিন ভালো করে দেখতে পারি নাই। তবে মায়ের মতো দেখতে হয়েছে। একটু হাসি দিয়ে ওকে ভিতরে আসতে বলি (নিলয় চৌধুরী). 

আমি ভিতরে যায় খুব সুন্দর রুম সব গুছিয়ে রাখা হয়েছে আম্মু এমন রুম অনেক পছন্দ করতো।তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বেলকনিতে রাখা একটা ফুলের টব যেখানে একগুচ্ছ গোলাপ রয়েছে। আম্মুর গোলাপ সবসময় অনেক প্রিয় ফুল ছিলো। 

কি রুমটা তোর পছন্দ হয়েছে আর এই বাড়ি পছন্দ হয়েছে তোর। শোন তোর যদি কেনো কিছু দরকার হয় তাহলে আমার কাছে এসে বলবি সব তোর সামনে এসে হাজির হয়ে যাবে। (নিলয় চৌধুরী). 

বড় আব্বুর কথা শুনে একটু বিষাদের হাসি দেয় আমি।তারপর বলি "এই বাড়ি আমার আম্মুকে তো একটু সুখ দিতে পারে নাই তাই আমাকে আর কি দিবে বলুন"। (আঁধার). 

আঁধার কথাটা অভিমান করে বলেছে সেটা বুঝতে পারি 
"আসলে সুখ কথাটা অনেক ছোটো কিন্তু সবার কপালে এই কথাটা থাকে না। যদি সম্পর্ক বিশ্বাস দিয়ে তৈরি না হয় তাহলে সুখ কি করে আসবে (নিলয় চৌধুরী) .

  বড় আব্বু কথা টা শুনে আমি তাকে উত্তর দেয় " হুম বিশ্বাস না থাকলে সম্পর্ক টিকে থাকে না কিন্তু যদি কেউ বিশ্বাস ভেঙে ফেলে তাহলে তাকে আবার বিশ্বাস করা কঠিন। আর এই বাড়ি থেকে আমার কিছু দরকার নাই শুধু এই ফুলের গাছ থেকে একটা গোলাপ চাই আমার (আঁধার)." 

এই গাছের ফুল আমি কাউকে দেয় না কারণ এই ফুল একজন খুব পছন্দ করতো। কিন্তু তোকে দিবো কারণ তুই আমার অনেক আপন মানুষ তাই নিয়ে যাহ ফুল (নিলয় চৌধুরী).

বড় আব্বু মুখে আপন কথাটা শুনে খারাপ লাগে নাই তবে নিজের অনূভুতি সামলে রাখতে হবে তাই আমি টব থেকে একটা ফুল নিয়ে রুমে চলে আসি। ফুল দেখে আম্মুর কথা অনেক মনে পড়ছে কিন্তু আম্মু ছেড়ে চলে গেছে আমাকে।নিজের রুমে চলে যায় গিয়ে দেখি ওনি বিছানা রেডি করছেন। 

আমি দেখি আঁধার রুমে এসেছে কিন্তু হাতে একটা ফুল নিয়ে। "শুনুন আমি বেডে ঘুমিয়ে পড়লাম আপনি ছোফায় ঘুমিয়ে পড়েন (ফারিশ).

আমি ওনার কথা শুনে ছোফায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। সকালে উঠে আবার কলেজে যেতে হবে। ফজর আযান শুনে ঘুম ভেঙে যায় ওজু করে নামাজ পড়ে নেই আর রুমে একটা কুরআন শরীফ আছে সেটা তিলাওয়াত করি (আঁধার).

সকালে ঘুম থেকে উঠে আঁধার কুরআন তিলাওয়াত করে রান্না ঘরে যায়।জরিনা আগে থেকে ঘুম থেকে উঠে পড়েছে তাই সে চায়ের পানি দেয়(লেখিকা)।

আরে ছোটো মেডাম আপনি এতো সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। আর আপনার কিছু লাগবে তাহলে বলেন আমাকে রান্না ঘরে আসার কি দরকার ছিলো (জরিনা).

আরে খালা আর কিছু লাগবে না আর রান্না ঘরে এসেছি সকালের রান্না করতে হবে তো আসলে আমার কলেজ আছে তাই এখন রান্না শুরু করে দিলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে (আঁধার).

আমি কথা টা শুনে খুশি হয়ে যায় মেয়েটা খুব ভালো। না হলে এখন কেউ রান্না ঘরে আসতে চাই না সবাই শুধু হুকুম করে।(জরিনা।

সবার জন্য রান্না করে ফেলি সময় হয়ে গেছে কলেজে যেতে হবে তাই রুমে চলে যায়। ওনি ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। (আঁধার).
.
.
.
চলবে..........................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন