মাইক্রো-র ভেতরে এয়ারকন্ডিশনার আছে। তবে তা বন্ধ। কেন? কারণ তন্ময়ের প্রিয়তমা প্রকৃতির উত্তপ্ত হাওয়া উপভোগ করবে। পুতুলের মতন আঁখিদুটি দ্বারা চেয়ে যখন বলল, ‘ভাইয়া, উইন্ডোজ গুলো খোলা থাকুক?’ তখন মাহিন উত্তাপে গলগল করে ঘামছে। ক্ষ্যাপা সূর্যকিরণের তাপে অচৈতন্য হওয়া বাকি। তবুও অরুর আবদারটুকুর মুখে শক্তপোক্ত এক না বলতে বড্ড নারাজ। সে রুস্তমের সঙ্গে চোখাচোখি করে। দু'বন্ধু অনিচ্ছাকৃত রোবটের ন্যায় মাথা দোলায়। সহমত! ওদের নাস্তানাবুদ হতে দেখে তন্ময় ইষৎ পৈশাচিক আনন্দ পায়। অন্যত্র অরু আত্মহারা। সমর্থন পেয়ে। উচ্ছ্বাস বদনে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে ব্যাকুল সে। মাইক্রো-তে মোট ছয়টা উইন্ডো। প্রদীপ্ত সূর্যের তাকে মস্তক গলে যাবার উপক্রম। প্রত্যেকটি উইন্ডো খোলা। অরুর পার্শ্ববর্তী উইন্ডোতে সূর্যের উত্তপ্ত কিরণ পড়ছে। ঠিক ওর মুখমণ্ডলের ওপরও। এই দৃশ্য কিয়ৎক্ষণ অবলোকন করে তন্ময়। ওর ফরসা মুখটা রক্তিম হয়ে যাচ্ছে। ভরাট গাল দুটো লালিত। মুহূর্তেই অরুর হাত টেনে একান্ত কাছে আনে। এহেন আকস্মিক কাণ্ডে অরু হকচকিয়ে যায়। ধাতস্থ হয়ে মাথা তুলে চায়। দৃষ্টিতে প্রশ্ন। অতঃপর কৈফিয়ত না পেয়ে প্রশ্ন করে বসে,
‘কী হলো?’
অরুর প্রশ্নের প্রত্যুত্তর করে রুস্তম। তার পুরুষালি কণ্ঠখানা কৌতুককর শোনায়, ‘তোমার সুন্দর মুখটায় সূর্যিমামা বসেছে। এটা তোমার পার্সোনাল বড়ো ভাইয়া মানতে চাচ্ছে না। যদি তোমার বেবি স্কিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়? তাহলে তো…’
তন্ময় রুক্ষমূর্তি রূপ ধারণ করে ফেলেছে। বুদ্ধিদীপ্ত চোখদুটো গম্ভীর। ললাটে চারটে নিষ্ঠুর ভাঁজ পড়েছে। ওষ্ঠদ্বয় একে ওপরের সঙ্গে প্রগাঢ়ভাবে লেপ্টে। সন্তর্পণে হাতের তালুর মুঠোয় রাখা ইয়ারপিস দুটো– পুনরায় অরুর কানে নির্বিকার চিত্তে ঢুকাল তন্ময়। একেকটি বন্ধুর মুখশ্রী পানে সূক্ষ্ণ দৃষ্টি বুলিয়ে শেষমেশ সতর্ক কণ্ঠে গর্জিয়ে ওঠল,
‘ওর সামনে ফালতু কথা না। শুধরে থাক। ওয়ার্নিং দিচ্ছি।’
মাহিন যেন কৌতুক শোনে। ক্রুর রবে হাসে। আমোদেই ভ্রু নাচিয়ে শুধায়,
‘না শুধরালে কী করবি? শাহজাহান তন্ময় চাচা ঠিক কী করবে জানতে আগ্রহী বড্ড!’
রিয়ান ড্রাইভিং-এ মনোযোগী স্বত্বা হয়েও সুরে সুর মেলায়,
‘বল, বল —কী করবি? আমি তো এক্সাইটেড। অরুর মতন। আমাদের স্মল বেইবি এই ট্যুর নিয়ে এক্সাইটেড এবং আমিও।’
তন্ময়ের চোয়াল শক্ত হয়। চাপাস্বরে ধমকানো সুরে বলে, ‘লাথি খাইস না। বলছি না এসবে ডাকবি না ওকে?’
রিয়ান অসহায় ভঙ্গিমায় আওড়ায়, ‘এমন বাচ্চা মেয়েকে কী বলে ডাকব?’
তন্ময়ের নির্বিকার প্রত্যুত্তর, ‘ভাবি।’
‘ইশ! এই সম্বোধনে ডাকতে লজ্জা লাগে। ওই বাচ্চা মুখটা কী আমাদের ভাবির কাতারে পড়ে?’
মাহিন মাথা দোলায় ক্রমান্বয়ে। তন্ময় অতিষ্ঠ এবং হতাশ। এইমুহূর্তে তার অনুশোচনা হচ্ছে। ওদের সাথে অরুকে সঙ্গে নিয়ে ট্যুর দেয়াটা নির্বুদ্ধিতা বৈ কিছু নয়। তন্ময়ের ভোঁতা পুরুষোচিত মুখাবয়ব দেখে রুস্তম মুখ টিপে হাসছে। তন্ময়ের পার্শ্ববর্তী আসনে বসা নির্বোধ, নির্ভেজাল, অবিদিত অরুকে দেখে বলে,
‘অরুর কানে ইয়ারপিস দিছিস কেন? বেচারি লেফটআউট ফিল করবে। ইয়ারপিস খোল।’
তন্ময় দাঁতে দাঁত পিষে। ভ্রু দুটো নাচিয়ে কাঠকাঠ গলায় প্রত্যুত্তর করে, ‘করুক। তোর ভাবতে হবে না। আমার বউকে নিয়ে আমাকেই ভাবতে দে।’
রিয়ান, মাহিন আর রুস্তম দৈত্যের ন্যায় হেসে ওঠে। ওদের হাসির তোপে পড়ে অসহ্য শুহানি।
অতিষ্ঠ ওদের কর্মকাণ্ডতে। চোখ রাঙিয়ে তাকায় রিয়ানের দিক। ওর উদ্দেশ্যেই শাসানো গলায় বলে,
‘ওফ, থাম তোরা। ঘুম ধরছে। সারারাত ট্যুর প্ল্যানিং-এর চক্করে ঘুম হয়নি। এখন ঘুমাব, ঘুমাতে দে। আল্লাহ্'র দোহাই লাগে।’
শুহানির এইকথাতে, মুখ দ্বারা রিয়ান আর একটি শব্দ বের করার স্পর্ধা দেখায় না। নীরব রয়। এতে অসন্তোষ মাহিন। ওষ্ঠদ্বয় ফুলিয়ে রাখে। একজন বউকে ভয় পায়, অন্যজন বউকে অন্তঃকরণের পিঞ্জরে বন্দি করে রাখে। এদের মধ্যে সিঙ্গেল সে লেফটআউট এবং বিষণ্ণ। অসাধারণ নীরবতায় তন্ময় সন্তুষ্ট অনুভব করে। স্বস্তির শ্বাস ফেলে। অরুর কান থেকে ইয়ারপিস খোলে। ওর মাথাটা একান্ত কাঁধে চেপে আদেশ ছুঁড়ে,
‘কবুতরের মত ছটফটানো বন্ধ কর। চোখ বুজে ঘুমা। লম্বা জার্নি।’
ট্যুর নিয়ে প্রবল উৎসাহিত অরু গতরাত ঘুমুতে পারেনি। নিদ্রার ‘ন’ টুকু আসেনি সারারাত। নিশাচর প্রাণী প্যাঁচার মত সজাগ ছিল ভোরের আগ পর্যন্ত। চোখ দুটি ছোটো-ছোটো হয়ে আছে। ইষৎ রক্তিমও বটে। তন্ময়ের কথায় অনুভব হয় নির্ঘুম চোখদুটোর তন্দ্রা প্রয়োজন। প্রাণোচ্ছল ভঙ্গিতে বেশ আমোদেই তন্ময়ের কাঁধে মাথা রেখে, হাত জড়িয়ে চোখ বুজল। এই দৃশ্যে ফ্যাচফ্যাচ করে হাসে। তন্ময় চোখ রাঙাতেই ঘাড় ঘুরিয়ে ফেলে।
নীলসাদাটে গগনের বুক ছিঁড়ে ওড়া স্বাধীন পাখিদের মতন শহুরে সড়কপথ পিষে ছুটছে মাইক্রো-টি। মাইক্রো অনুসরণ করছে নীড় বিহীন ইষৎ সংখ্যক পাখিদল। কার ক্ষমতা কতটুকু তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে যেন। রিয়ান দু'ঘন্টাখানেকের মত ড্রাইভ করেছে। এইমুহূর্তে সরু এক সড়কের নৈকট্যে মাইক্রো থামাল। এর বেশি ড্রাইভ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। গতরাত তার পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি। ট্যুর সম্পর্কিত রচনার প্রণালী সাজানোয় ব্যগ্র ছিল। ড্রাইভিং-এর আসন ছেড়ে বেরোল বিদ্যুৎ গতিতে। এযাত্রায় পরিষ্কার এবং ম্লান কণ্ঠে ঘোষণা দেবার ভঙ্গিতে জানাল,
‘এখন ড্রাইভ করবে —আমাদের চাচা ওরফে মাহিন মজুমদার। কড়ো তালি হোক।’
সূর্যিমামার উত্তপ্ততা মৃদু হয়ে এসেছে। বাতাবরণের মিষ্টি স্পর্শ শীতল। ড্রাইভিং-এর পার্শ্ববর্তী সিটে মাহিন তন্দ্রার তোপে দুলছিল। সিটে মাথাটা এলিয়ে ছিল কোনাকুনি ভাবে। আকস্মিক কড়ো তালির ধ্বনিতে হকচকিয়ে ওঠল। কাঁচা তন্দ্রার রেশ তখনো কাটেনি। ইষৎ রক্তিম চক্ষুযুগল পিটপিট করে চেয়েছে কেবল। মুখাবয়ব পরাকাষ্ঠা গম্ভীর। নিশ্ছিদ্র এক প্রলয়কারী দৃষ্টি তাঁক করেছে রিয়ানের পানে। যেন দৃষ্টি দিয়েই ধনুক বাণ ছুঁড়ে এফোঁড়ওফোঁড় করছে রিয়ানের জ্যান্ত হৃৎপিণ্ড। রিয়ানের এতে হেলদোল হলো না। সে উত্তেজনাহীন এক নির্বিকার। অরুর গভীর তন্দ্রা ছুটেছে। তন্ময় অসন্তোষ। রিয়ান এহেন আমোদেই ফের উচ্চকণ্ঠে বলল,
‘কীরে— বেরিয়ে ড্রাইভ কর।’
মাহিন প্রগাঢ় নিদ্রায় দুলুদুলু করছে। পাপড়িযুগল জোরপূর্বক বুজে আসছে। রিয়ানের কথা কানে নেয় না। পুনরায় সিটে মাথা এলিয়ে জানায়,
‘আমার দ্বারা হবে না। ঘুমের তোপে গাড়ি কোথাও মেরে দেব।’
রুস্তম নাক ডেকে ঘুমুচ্ছে। শুহানির কানে ইয়ারবাডস ঢোকানো। দুজনই এই কোলাহলপূর্ণ ব্যাপারে নির্বোধ। তন্ময় ওদের বিরক্ত চোখে কিয়ৎক্ষণ দেখে। বেরিয়ে আসে দরজা খুলে। অরুকেও হাতের ইশারায় বেরুতে বলে। অরু ত্বরিত বেরোয় তন্ময়ের পেছন-পেছন। তন্ময় ড্রাইভিং-য়ে বসতে-বসতে মাহিনের উদ্দেশ্যে বলে,
‘পেছনে গিয়ে ঘুমা।’
যেন এই বাক্য শোনবার প্রত্যাশায় ছিল মাহিন। বিলম্ব না করে উৎফুল্ল বদনে বেরিয়ে এলো। ইতোমধ্যে রিয়ান অবসাদগ্রস্ত ভঙ্গিতে মাইক্রো-র পেছনের আসনে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে পড়েছে। মাহিনও ওর শরীরে চরণ ফেলে আধশোয়া ভাবে চোখজোড়া বুজে নিয়েছে। সকলেই আপাতত সু'গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। অরু ড্রাইভিং-য়ের পাশে বসেছে। তন্ময় গাড়ি রি-স্টার্ট করেছে। ইতোমধ্যে তারা ঢাকার শহুরে পথঘাট হতে বহুদূর। মফস্বলের নৈকট্যে। সবুজে রঙানো নৈসর্গিক সৌন্দর্যে এক অপরূপ অর্পিত। দূরদূরান্তের যেথায় দৃষ্টি যায় শুধুমাত্র গাছেদের সমাহার। আঁধারছন্নতায় পড়া চাঁদের আলোয় এই যেন এক টুকরো স্বর্গ…
————
সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত সিলেট—পৌঁছাতে-পৌঁছাতে রাত এগারোটা ত্রিশ। তখন মানুষ্যদের যাতায়াত দ্বিপ্রহরের তুলনায় কম। নিস্পন্দ চতুর্দিক। মাইক্রো কোথাও থামে না।
সোজা বাগানবাড়ির উদ্দেশ্যে ছোটে। সবাই বিধ্বস্ত, ক্লান্ত। পৌঁছেই ভোজন সেরে নিজেদের গদিতে আয়েশ করে ঘুমুবে। সর্বপথ তন্ময় ড্রাইভ করে। অরু এই ঘুমায় আবার এই সজাগ। সজাগ থাকলে মুখ বন্ধ হয় না। ক্রমাগত চলে। তোতাপাখির ন্যায় যতসব বেহিসেব প্রশ্ন করতেই থাকে। পেছনে আধবসা মাহিন এবং রিয়ান বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তারা সবসময় ভেবেছে অরু কম কথা বলে। শান্ত-স্থির। অথচ স্বচক্ষে এই দৃশ্যে দুজন ভাষাহীন। অবশ্য ইব্রাহিম সেবার মজার সুরে বলেছিল,
‘অরুকে এখনো চিনিস নাই। ও অসহ্য রকমের চঞ্চল। একবার মিশে গেলে চিনবি।’
তবে বিশ্বাস করতে অপারগ তারা। দুজনই নিজ চোখেতে সেবার দেখেছিল অরুকে। নিশ্চেষ্ট ভঙ্গিতে বসেছিল। আজও দ্বিপ্রহরে পুতুলের মত নিশ্চুপ। মুখে রা নেই। অথচ সাঁঝের সময় থেকে যেন পৃথক অরুকে আবিষ্কার করল। শুহানি বেশ উপভোগ করেছে এই চঞ্চল অরুকে। ও যা-যা প্রশ্ন করছে তন্ময় প্রত্যুত্তর না করলেও সে নিয়মকরে করছে। এতে বেশ ভাব জমেছে দুজনের। হরেক রকমের বিষয়ে চর্চা হচ্ছে। মাইক্রো ইতোমধ্যে মৌলভীবাজার পৌঁছেছে। ঠিক পশ্চিমের কোলাহলধ্বনি হতে সুদূরে স্থাপিত রুস্তমদের বাগানবাড়ি। এযাত্রায় বাগানবাড়ির দোরগোড়া ছুঁয়েছে তাদের মাইক্রো। পুরাতন আমলের বাড়িটি সুউচ্চ প্রাচীর এবং গাছপালা দ্বারা আবৃত। প্রাচীন ছাঁদের প্রাচীর ঘেঁষে অর্পিত একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছের শাখা বিস্তৃত। বাতাবরণে দুলছে ঝুলন্ত লতাপাতা। দারোয়ান ইয়াসিন মোল্লা দ্বার খুলে দিয়েছে। কেয়ার টেকার বাবু মিঁয়া ইতোমধ্যে দাঁড়িয়ে তাদের অপেক্ষায়। গাড়ির ধ্বনি শোনে অন্দর হতে বেরিয়েছে ইব্রাহিম, সৈয়দ এবং এলিজা, ঐশী। ইব্রাহিম আর সৈয়দ গতকালই সিলেট পৌঁছেছিল। এলিজা, ঐশী আজই সাঁঝের সময়ে এসে পৌঁছেছে। দুজন প্লেনে করে এসেছে। মাহিন বেরিয়েই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঝাঁকাতে লাগল। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে মেরুদণ্ড বেঁকে গেছে যেন। শুহানি বেরিয়েই এলিজা, ঐশীর আলিঙ্গনে মত্ত। রিয়ান বেরুল ঘুমকাতুরে চোখে। অরু চেয়ে তন্ময়ের পানে। তন্ময় বেরোচ্ছে না বলে সেও বসে। তন্ময় গাড়ি পার্ক করতে উত্তরদিকে ড্রাইভ করছে। ওখানে একটি গাড়ি ইতোমধ্যে পার্ক করা। গাড়িটার পাশেই মাইক্রো পার্ক করল তন্ময়। আপন সিটবেল্ট খুলে অরুর সিটবেল্ট খুলতে কোমর বাঁকিয়ে, হাত বাঁড়াল।
শুধাল,
‘টায়ার্ড?’
অরু গর্দান নাড়াল ক্রমান্বয়ে। বলল, ‘আপনি সেই কখন থেকে ড্রাইভ করেছেন। নিশ্চয়ই খুব ব্যথা করছে কোমর?’
তন্ময়ের মলিন মুখাবয়ব জুড়ে দুষ্টুমির ভিড় জমাল। যা সে অনায়াসে লুকিয়ে ফেলল। গম্ভীরতা বিরাজমান। দু'জনের মুখশ্রী এইমুহূর্তে ঘনিষ্ঠতায়। সিটবেল্ট খুলে তন্ময় ডান ভ্রু তুলে বলে,
‘হুঁ। মালিশ করে দিবি?’
অরু মাথা দুলাল। মুখ বাড়িয়ে আকস্মিক তন্ময়ের গালে ওষ্ঠদ্বয় ছোঁয়াল। মৃদু গলায় প্রত্যুত্তরে বলল, ‘দেব।’
তন্ময় কিয়ৎক্ষণ আশ্চর্য হয়। এবার সত্যিই আগ্রহী…. উত্তেজিত। উৎকণ্ঠিত সে অপেক্ষারত। অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হওয়া যন্ত্রণা ওর মোলায়েম হাতের স্পর্শ পেতে ব্যগ্র।
.
.
.
চলবে............................