উন্মুক্ত লাইব্রেরী
পর্ব ০৩
আয্যাহ সূচনা
“আপনি জিন্দা আছেন দেইখা ভালো লাগলো”
বিমূঢ় অন্বেষা। কয়েকদিনে এই কণ্ঠের সাথে পরিচয় হয়েছে। বই থেকে মুখ তুলে চাইতেই বর্ণের চওড়া হাসিমাখা মুখ দেখতে পায়।তবে এ কোনো বোকা হাসি নয়। অদ্ভুত রকমের হাসি।যার অর্থ বোঝা দায়।তাদের সাক্ষাত আজকাল অবধারিত হয়ে উঠেছে। লাইব্রেরীতে দুজনের উপস্থিতি ঘটে একই সময়ে।
অন্বেষা হেসে বললো, “হুম বেঁচে আছি”
“ভাবলাম কোনো জায়গায় পটল তুলছেন!”
“শুনুন আমি রাস্তায় চলাফেরা করতে জানি।সেদিন কি হয়েছিলো কি জানি?”
“কি হইছিলো কি?আমার কাছ থেকা একবার সাহায্য নিয়া মন ভরে নাই।এই কারণে রাস্তা পাড় না হইতে পাড়ার ভঙ ধরছেন।”
“বেশি কথা বলেন!”
“চোপা দিছে একটা খোদায় ব্যবহার করমু না?”
খাবার আর পড়া দুটো একসাথে চলছিলো অন্বেষার।রুম্পা আর ঝুমা সেদিন তাকে প্রচুর অপমান করেছিলো বাড়ি ফেরার পর।অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেছে ফিসফিস করে।তাতে বরাবরের মতোই কান দেয়নি সে।আজ দুজনের অজান্তে বিরিয়ানি রান্না করে এনেছে।আগে মানবতা দেখিয়ে তাদের জন্য রাঁধতো।এখন আর রাঁধে না।
বর্ণের দিকে চেয়ে সৌজন্যতা দেখিয়ে বললো,
“খাবেন?”
এই সুন্দর ঘ্রাণটাই এতক্ষণ নাককে বিরক্ত করছিলো। কোথা থেকে আসছিলো এই ঘ্রাণ বুঝতে পারলো বর্ণ।বিরিয়ানির সুরত দেখেছে অনেকদিন পর। একমাস আগে এক বিয়ে বাড়ীতে বিনা দাওয়াতে খেয়ে এসেছে।ধরা পড়েনি এই যা। পুরান ঢাকার বিয়েতে এই এক লাভ।মানুষের ভিড়ে চুপিচাপি খেয়ে বেরিয়ে পড়া যায়।আজ আবার দেখে মনে লোভ লাগলো।কিন্তু হুট করে আত্মসম্মান নামক জিনিসটা ঘাড়ে চাপলো যা বর্ণের কোনোদিন ছিলো না।বর্ণ মনে মনে বললো, ‘ আত্মসম্মান শালা ভুল টাইমে আইলি!”বলে মুখ ভার করে রাখে।জবাব দেয়,
“আপনিই খান”
“গতকাল আমাকে সাহায্য করেছেন।সাহায্যের কৃতজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করুন”
“শিউর? পরে খোটা দিবেন নাতো? মাইয়া মানুষের ঠোঁটের আগায় থাকে খোটা”
অন্বেষা হেসে বলে, “না আমি এত খারাপ না”
শার্টের হাতা গুটিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করে।হাত বাড়িয়ে বলে, “দেন তাইলে।”
বর্ণের মুখে ভিন্ন রকম উচ্ছ্বাস দেখেছে অন্বেষা। রাক্ষসের মতো নয় বরং সুন্দর করেই খাওয়ার পর্ব শুরু করে।তবে অতি দ্রুত।ঠোঁটের উপর ঘন কালো গোঁফে বিরিয়ানি কিছুটা লেগে গেল। সঙ্গেসঙ্গেই বৃদ্ধাঙ্গুল এর পিঠ দিয়ে মুছে ফেলে।খাবার মুখে পুড়ে অস্পষ্ট গলায় প্রশংসা করলো।বললো,
“ভালো!”
অন্বেষা মাথা নুয়ে স্মিত হাসলো।এরকম প্রশংসা আগে কখনও পায়নি।কেউ তৃপ্তি নিয়ে খায়নি তার রান্না করা খাবার।নিজেই খেয়েছে।নিজেকে কি নিজে বাহবা দেওয়া যায়?প্রায় পাঁচ মিনিটে পুরো বাটি সাবার।এবার পিত্তি জ্বলে উঠে বর্ণের।বিরিয়ানির তেলে মাখা হাতের পিঠ কপালে ঠেকিয়ে বললো,
“হায় হায়!আপনি খাইবেন কি?আমি সব শেষ কইরা ফেললাম”
অন্বেষা বলে, “এখন উপায়?”
বাম হাতে পকেট চেক করলো বর্ণ।দেড়শো টাকার মতো আছে।কোনো কথা না বলেই অন্বেষাকে ইশারা করলো বসতে।সে আসছে।দৌঁড়ে দেখা গেলো হাকিম চত্বরের উদ্দেশ্যে।মিনিট দশেক পর ফিরে এলো হাতে পলিথিন নিয়ে।দেখে বুঝা যাচ্ছে এর ভেতরে খাবার।বললো,
“ধরেন স্পেশাল ফ্রাইড রাইস।আপনার জন্য মুরগির পিস একটা বাড়ায় আনছি।এবার হিসাব সমান সমান”
কিংকর্তব্যবিমূঢ় অন্বেষা।এত দ্রুত ব্যাপারটা ঘটে গেছে যে বুঝতে পারেনি।এমন কিছু করবে সেটাও কল্পনাতীত ছিলো। অন্বেষা মাথা দোলায়।বলে,
“আরেহ আপনি কেনো আনতে গেলেন?আমি বলেছিলাম?”
বর্ণ অদ্ভুত ভঙ্গিতে বলে উঠে,
“আপনিইতো কইলেন এখন উপায়?আমি উপায় বাইর করলাম।বিরিয়ানির বদলে ফ্রাইড রাইস।এই নেন হা কইরা গিলেন।”
“কোনো দরকার ছিলো না”
বর্ণ বই হাতে নেয়।বলে বিড়বিড় করে,
“পরে আমারে খোটা দিবেন,গালি দিবেন।আমার পেট খারাপ করবো”
বিড়বিড় করলেও অন্বেষা শুনে ফেললো। সেও অন্যদিকে চেয়ে উচুঁ গলায় বর্ণকে শুনিয়ে বললো,
“আমি এমন কিছুই করবো না।হাহ!”
দুজনেই দুদিকে আনমনে হেসে উঠে। শোধবোধ হয়েছে।আর কেউ কাউকে খোটা দিতেই পারবে না। অন্বেষা বর্ণের আনা খাবার মুখে তুলে।তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবার তাকে এনে দিয়ে শোধ করা বিষয়টি হাস্যকর লাগছে। ক্ষুদার তাড়নায় বর্ণের কথা মোতাবেক গিললো দ্রুত।
অন্বেষা তার প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী বইয়ের অন্তত দশটি পৃষ্ঠা পড়ে।আজও তাই করলো।অফিসে যেতে হবে।তাই উঠে দাঁড়িয়ে বর্ণের মনোযোগী মুখের দিকে চেয়ে প্রশ্ন করে,
“আপনার নাম?”
ঘন পাপড়ি আচ্ছাদিত পুরুষালি চোখ জোড়া তাকালো বর্ণ।প্রশ্নটি অনাকাঙ্ক্ষিত বটে।তারপরও জবাব দেয়,
“বিবর্ণ”
অন্বেষা চমকালো।বিবর্ণ কারো নাম হয়?তবে সেদিন শুনেছিলো আবছা।বর্ণকে পাবেন না সাহায্য করতে।ধরেই নিলো ঠাট্টা করছে।সে কিছু প্রশ্ন করার পূর্বেই বর্ণ জানতে চায়,
“আপনার নাম কি ঝগড়াটে মহিলা?”
অন্বেষা কপাল কুঁচকে নিলো।এই ভালো এই খারাপ।এই শান্ত এই বাঁদর!মুখ ভেংচি কেটে বললো,
“আমার একটা সুন্দর নাম আছে বুঝলেন।বাবা শখ করে রেখেছিলেন। অন্বেষা জামান।আপনার বিবর্ণ এর চেয়েতো কোটি গুণ ভালো”
বর্ণ তাচ্ছিল্য করার সুরে বললো,
“ কচু!এমন একটা জঞ্জালমার্কা নাম উচ্চারণ করতেও আক্কেল দাঁত বাইর হইয়া মাটিতে গড়াগড়ি করবো।এসব নাম কেউ রাখে?”
অন্বেষা দুহাত বেঁধে দাঁড়ালো। অদ্ভুত মানবের দিকে সরু চেয়ে বললো,
“বিবর্ণ খুব সুন্দর নাম তাই না?”
“আলবৎ সুন্দর।উন্মুক্ত আর বিবর্ণ।”
“মানে?”
“মাইয়া মানুষের মাথার ভেতরের জায়গা ছোট।বুঝবেন না।”
হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে অন্বেষা।রয়ে সয়ে বলে,
“আপনি কি জন্মগত এমন?নাকি বাথরুমে পা পিছলে মাথায় আঘাত পেয়েছেন?”
বর্ণ বই বন্ধ করে পাশে রাখে।পায়ের উপর পা তুলে দুহাত ছড়ায় বেঞ্চির উচু স্থানে।বললো,
“মানুষ পা পিছলায় আরো অনেক জায়গায় পড়তে পারে।আপনার মাথায় বাথরুম কেন আসলো? দুর্গন্ধযুক্ত জায়গা অনেক প্রিয় না?”
“ছিঃ কি বলেন এসব!বাথরুম মানে গোসলখানা”
“আমগো মতো ভাদাইম্মাগো লেইগা বাথরুম শৌচাগার সব সমান।”
“আপনি একটা অদ্ভুত মানুষ!”
বলে এক মুহুর্ত দাঁড়ালো না অন্বেষা। কাঁধে ব্যাগ তুলে হাঁটা শুরু করলো।পিছনে বর্ণের হাসির ঝংকার কান অব্দি পৌঁছেছে।পাগল ছেলেলোক!নোংরা কথাবার্তা বলে নূন্যতম লজ্জা নেই।বেলাজের মতন হাসছে।
________
‘ আমি ভাসাইয়া বেড়াই নৌকা,
কিন্তু তীরের সন্ধান নাই’
নয় তলা গার্মেন্টস এর তৃতীয় তলায় মালপত্র কার্টনে বোঝাই করছে বর্ণ।এগুলো আগামীকাল প্লেনে চড়বে।রপ্তানি হবে দুর দেশে।গান তুলেছিলো পরপর মনে হলো এরূপ বিষাদের গান তার সাথে যাচ্ছে না। তীর নেইতো কি হয়েছে।নদীর তলদেশ থেকে মাটি কুড়িয়ে কুড়িয়ে এনে চর তৈরি করে নেবে।জমিনে হাতপা ছড়িয়ে দুহাত মেশিনের মত চালাচ্ছে।ঠিক তখনই এক সহকর্মী জীবন এসে এক কাপ চা দিলো। তারও যে বড্ড অভাব। বললো,
“অর্ধেক খাইয়া আমারে দিস”
বর্ণ এদিক ওদিক মাথা দুলিয়ে কাজ করতে করতে বলল,
“কিল্লেগা যে এত দরদ দেহাস বাল!শরীরে ঝনঝনানি শুরু হয় আবেগের ঠেলায়”
জীবন উত্তর দিলো,
“দরদ না গরম গরম চা দিসি ব্যাটা।যেটা দেরি করলে ঠান্ডা পানি হইবো।খায়া দে”
গরম চা খেয়ে অভ্যস্ত। ধোঁয়া ওঠা চায়ের অর্ধেক কাপ এক চুমুকে খেয়ে জীবনের দিকে এগিয়ে দিলো।আবার মনোনিবেশ করলো কাজে।জীবন ছেলেটা শুধুই তার সহকর্মী।কথা বার্তায় খাতির জমেছে।এই খাতির সীমাবদ্ধ গোডাউন অব্দি।জীবন হতাশ গলায় বলে উঠলো,
“আর ভাল্লাগেনা বুঝলি।পাঁচ হাজার টাকায় কি এই ইট বালির শহরে থাকন যায়?”
বর্ণ হেঁয়ালি সুরে বলে উঠে, “বিন্দাস থাকন যায়।”
“তোর আর কি! ঘুরোস ফিরোস মাস্তানি করস।না আছে সংসার না কোনো চিন্তা।যেদিকে রাইত ওদিকেই কাইত”
“ঠিক কইসোস।এইযে আমলাগুলারে দেখি সারাদিন ফাঁসির দড়ির মতো গলায় টাই ঝুলাইয়া ঢেং ঢেং করে এদিক ওদিক।মনে করে নিজেগো সাহেব।অথচ এরা পা চাটা কুত্তা!চিনে খালি ট্যাকা। ট্যাকা দেখলেই লালা ঝরায়।ঘিন লাগে দেখলে!”
“তুইওতো চাকরি করস! নিজেরে মালিকের পা চাটা কুত্তা মনে হয়না।”
বড় একটি বক্স জীবনের পায়ের উপর রাখলো।ইচ্ছে করে।আঘাত দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিলো তবে সীমিত পর্যায়ে।জীবন মুখ কুচকে নিলো।বর্ণ ময়লা জমিনে শরীর ছড়িয়ে শুয়ে পড়ে।বলে,
“আমারে মালিক নামের জাহিল ব্যাটা কাম দেয় আমি করি। মাসশেষে বেতন দেয়।আমার লগে সহজ হিসাব।”
জীবন এক পা তুলে হাঁটু ভাঁজ করে বসে।একহাত সেখানে রেখে প্রশ্ন করলো,
“তুই জীবনে অনেক সুখী তাই নারে বর্ণ?”
“সুখ দুঃখের হিসাব করার সময় কই?খাওয়া-দাওয়া,কাম-কাজ,ঘুম।এগুলি ছাড়া আর কি চাস তুই?”
জীবন আর কোনো জবাব দিলো না।তার জীবনের যুদ্ধটা হয়তো বর্ণ বুঝবে না।ইতিমধ্যে মনে হলো বুঝে কি?যদি বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকে? আড়াই বছর যাবত এই বদ্ধ গোডাউনে তার সাথে যত আলাপচারিতা।কখনো দেখেনি তাকে জীবন নিয়ে কোনো রকমের খেদ প্রকাশ করতে।হাসে এক বিরল হাসি যেখানে খুঁজলে কোনো প্রাণের সন্ধান পাওয়া মুশকিল।
______
“তুমিতো নতুন নাগর জুটিয়েছো।ওই নাগরকে বলো হাতের ফোসকায় মলম লাগিয়ে দিতে।”
চুলোয় গরম পানি চড়িয়েছিলো অন্বেষা।নামানোর পূর্বেই রুম্পা এসে ইচ্ছেকৃত ধাক্কা দেয় তাকে। উত্তপ্ত গরম পানি হাতে আর পায়ে পড়েছে।রীতিমত কাতরাচ্ছে মেয়েটি।লাল থেকে নীল হতে শুরু করে জায়গাগুলো।বুক চিরে চিৎকার আসতে চাইছে।চোখে বন্যা।তারপরও মায়া হলো না পাষণ্ড দুই নারীর।উল্টো অকথ্য কথা বলতে শুরু করলো তাকে।
অন্বেষা বললো, “ভুল করেছেন অন্তত মানবতা দেখিয়ে চুপ থাকতে পারেন।সেটা না করে নিজেদের ভুলগুলোকে গলাবাজি করে ঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন!”
ঝুমা এসে কিছুটা ধাক্কা দিলো অন্বেষাকে।বললো,
“ফকিরনীর বাচ্চা!বুঝে শুনে গলা উঁচু করবি।নইলে জ্বিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলবো”
অন্বেষা দমে গেলো না কিছুতেই।বললো,
“আপনারা নিশ্চয়ই বড়লোক।তাহলে আমার মত ফকিরনীর সাথে থাকছেন কেনো? ধানমন্ডি উত্তরায় আলিশান ফ্ল্যাটে থাকুন।”
রুম্পা অন্বেষার মুখ চেপে ধরে।আঘাত করার চেষ্টা। অন্বেষা জেদের বশে ছাড়িয়ে নিতে চেয়েও পারলো না।অনেকটা ব্যথা পেয়েছে এমনেতেই।শক্তি দেহে অবশিষ্ট নেই।
“তোর বাপকে বল তোকে একটা আলিশান ফ্ল্যাট কিনে দিতে।আছে ওই মুরোদ?”
অন্বেষা মুখ ঝাড়া দিয়ে সরে গেলো।বললো,
“খবরদার আব্বুকে টানবেন না।অন্তত মৃত মানুষের লেহাজ করুন।”
“করলাম না!কি করবি?”
অন্বেষা চোখ মুছে নেয় দুহাতে।জবাব দেয়,
“আপনাদের দিয়ে আশাও করিনা।”
একাকী কাক ডাকা ভোরে হাঁটছে অন্বেষা। গন্তব্যহীন।উদ্দেশ্য তার সাথে ঘটে যাওয়া খারাপ ঘটনা ক্ষণিকের জন্য ভুলে যাওয়া।পাখির কিচির মিচির এর সাথে বাড়ছে নগরীর কোলাহল।সেখানে কি মন আছে তার?নেইতো।আজ বাবার কথা খুব মনে পড়ছে তার। দিশেহারা হাঁটতে হাঁটতে কেউ পেছন থেকে হাত টেনে ধরে পেছনে আনে।উচ্চ আওয়াজে ধ্যান ভাঙলো।
“আমার চক্ষের সামনেই কেন আপনার মরতে হইবো?বাল!আমারে কি বিনা বেতনের কর্মচারী মনে হয়?মরতে যাইবেন আর আমি বাঁচামু না? ভেজাইল্লা ছেড়ি মানুষ!”
অন্বেষার চোখ ঝাপসা।বর্ণ এখনও হাত ছাড়েনি। ফোসফোস করছে লোকটা। অন্বেষা হিতাহিত জ্ঞানহীন।একেবারে শূন্য এই ক্ষণে তার মস্তিষ্ক।বর্ণের দিকে অনিমেষ চেয়ে প্রশ্ন করলো,
“আপনি কেনো বারবার দেবদূত রূপে চলে আসেন?”
চলবে................................