উন্মুক্ত লাইব্রেরী
পর্ব ০৮
আয্যাহ সূচনা
কপাল চাপড়াচ্ছে বর্ণ।কাঁদো কাঁদো মুখটা।ইচ্ছেকৃত নিজের কপালে জোরে জোরে চাপড় দিয়েই গেলো।সেটি দেখে অন্বেষা প্রতিক্রিয়াশূন্য চোখে চেয়ে রয় তার দিকে।কীর্তি বুঝার বোধ ক্ষমতা নেই তার।তাদের দেখা সেই বরাদ্দকৃত স্থানে।উন্মুক্ত লাইব্রেরীর প্রাঙ্গণে। এ যেনো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।সব এলোমেলো হলেও লাইব্রেরীতে আসতে ভুল হয়না কারোই।বর্ণের এমন হায় হুতাশ দেখে চোখের এক কোণে যে পানি ছিলো সেটাও শুকিয়ে গেছে অন্বেষার।সাথে অধরজোড়াও। জ্বিভ দিয়ে ভিজিয়ে শুষ্কতা দূর করে।
বোকা স্বরে প্রশ্ন করে, “আপনার কি হলো?”
বর্ণ তার কালজয়ী অভিনয় বন্ধ করে অন্বেষার দিকে তাকায়।ঝড়ের ন্যায় নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
“আমার?আমার কখনো কিছু হইতে দেখছো?হয় খালি তোমার।শরীরের ভিত্রে কি পানির কল বহাইনা? কিছুর তে কিছু হইলেই কল ছাইড়া দাও আর চোখ বাইয়া পানি পড়ে! মানে সমস্যাটা কি!”
ঠোঁটে ঠোঁট চাপে অন্বেষা।হৃদয়হীন মানুষ!এর মাঝে মনে পড়লো তারও তুমি বলে ডাকার কথা। কান্নাকাটির মধ্যেও স্মরণশক্তির টিউবলাইট জ্বলিত।বললো,
“তোমার মত বখাটে, বাউন্ডুলে ছেলের ইমোশন বলতে কিছু আছে?”
ইচ্ছে করে ঠোঁটের বিকৃত ভঙ্গি বানিয়ে বর্ণ প্রশ্ন ছুঁড়ে,
“কিয়ের শোষণ?”
অন্বেষা আওয়াজ উঁচু করে বললো, “ইমোশন!”
বর্ণ কথা এড়িয়ে বলে উঠলো, “ মরা কান্দা জুড়ছো কিলিগা এটা কও?”
“মনের সুখে!” ত্যাড়া জবাব দিলো অন্বেষা।
প্রশ্ন করে জবাব পায়নি।মেজাজটা বিগড়ে গেলো বর্ণের।মুখ শক্ত করে বসে রইলো পায়ের উপর পা তুলে। কিয়ৎক্ষণ পর অন্বেষা নিজে থেকেই বলে উঠলো,
“আমাকে দুইদিনের মধ্যে ঘর ছাড়তে বলেছে বাড়িওয়ালা।”
চোখ ঘুরিয়ে তাকালো বর্ণ।মেয়ে মানুষের এই স্বভাব অবাক না হয়ে পারা যায় না।প্রশ্ন করলে সরাসরি জবাব দেয়না।ইনিয়ে বিনিয়ে রং তামাশা করবে।এরপর মূল কথায় আসবে ঠিকই।বর্ণ জবাবে বলে,
“একদম ঠিক করছে। ঘেঁটি ধইরা বাইর করা উচিত!”
রাগে মুখ কুচকে চায় অন্বেষা। সহানুভূতিতো নেই। মানবিকতাটা পর্যন্ত নেই তার মাঝে।এমন আমিষহীন লোক প্রথম দেখছে জীবনে।
“অমানবিক!”
“হাহ!গায়ে লাগলো না কথাটা”
“গায়ে লাগবে কি করে? শরীরেতো গন্ডারের চামড়া। কাম নাই কাজ নাই।এদিক ওদিক ভাদাইম্মা ছেলেদের মত ঘুরে বেড়ানো ছাড়া।মারামারি আর রংবাজি ছাড়া কোনো কাজ আছে তোমার?সাথে অভদ্র মুখের ভাষা।আমার অনেক কাজ বুঝলে?পড়ালেখা,কাজ।আর তুমি অকর্মার ঢেঁকি। ঢোলের মত সারাদিন ঢাকাইয়া সুরে বাজতেই থাকো।অসভ্য ইতর কোথাকার জানি।ইংরেজিতে লাইফেলেস বলে এটাকে।”
মনের পীড়া আর চিন্তারা ক্রোধ হয়ে বেরিয়ে এলো।অনেকগুলো কথা একসঙ্গে বলে হাঁফ ছাড়লো যেনো।হালকা মনে হচ্ছে নিজেকে।শক্ত কঠিন মুখে বর্ণের থমথমে মুখের দিকে চেয়ে রয় নির্ভয়।জবাবের আশায়।দিক না কিছু ত্যাড়া উত্তর।আজ অন্বেষাও তৈরি জমানো সব ধরনের ক্ষোভ এই অকর্মার উপর ঝাড়তে।
“নেহাতই ছেড়ি মানুষ।নইলে আমারে অপমান করার তওফা হিসেবে তোমার এই টসটসে গালে চটকোনা দিয়ে হাড্ডি চ্যাড়াব্যাড়া করে ফেলতাম”
অন্বেষা অর্থ না বুঝে প্রশ্ন করে, “চ্যাড়াব্যাড়া?”
“গাড়ি এক্সিডেন্ট করলে সামনের দিক যেমন ভস্কায় যায় ওমন।”
ফোঁসফোঁস করে অন্বেষা জবাব দেয়, “এসবইতো পারবে!আমি একটা বিপদে পড়েছি কই সাহায্য করবে তুমি নাটক জুড়ে বসেছো।”
“এবার আইছো লাইনে।সাহায্য লাগবো এটা হইলো আসল কথা।কেন করুম সাহায্য?”
“সেদিন না তোমাকে বিরিয়ানি খাওয়ালাম?আবার ঝালমুড়ি খাওয়ালাম?ব্যান্ডেজ এর বিলটাও কিন্তু আমি দিয়েছি।”
“আহারে খচ্চর মাইয়া মানুষরে! খাওয়াইয়া খোটা দেয়।”
অনেক তর্ক বিতর্কের পর দমে এলো অন্বেষা। মনে হলো বাচ্চামো করছে।এভাবে বলা আসলেই ঠিক হয়নি।তবে ক্ষমা চাইবে না কিছুতেই। উপলব্ধিটা নিজের মধ্যেই থাকুক।
পায়ের উপর তুলে রাখা পা অনবরত নাড়িয়ে বর্ণ বলে,
“এইতো এমনে চুপ থাকবা।পরিবেশ শব্দ দূষণমুক্ত থাকে”
“হুম”
অন্বেষার এমন ছোট উত্তর শুনে বর্ণ বলে, “ঢং আর ন্যাকামি করবা না।আমি তোমারে সাহায্য করুম কেন?কি লাগো তুমি আমার?হঠাৎ কইরা কই থিকা উঁইড়া আয়া জুইড়া বইছো! ঘাড়ের উপরে শাকচুন্নির মত চাইপা আছো।”
অন্বেষার মাথায় হুট করে দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেলো।মলিন মুখ অবয়ব বজায় রেখে হাত এগিয়ে দেয়।বলে,
“এসো আমরা বন্ধুত্ব করি”
বর্ণ আবারো তুচ্ছ হাসে।বলে, “এসব ধান্দাবাজি আমি বুঝি!সাহায্য পাওয়ার নয়া টেকনিক।প্রথমে বন্ধুত্ব করবা তারপর হুট কইরা একদিন জানতে পারমু তুমি প্রেমে পইড়া নিজের হাত কাঁটতাছো!”
“তোমার মত বখাটের সাথে প্রেম করার ইচ্ছা আমার নেই। আই ডিজার্ভ বেটার।”
“এহন কি করমু আমি?”
“বখাটের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আমার জন্য বাড়ি খুঁজবে। অবশ্যই মেয়েদের মেস।পরিবেশ ভালো যেখানে।”
বর্ণ চোখ পাকিয়ে তাকায়।আবদার শুনে ইচ্ছে হলো গালে ঠাটিয়ে একটা চড় দিতে।কিন্তু এই ছিঁচকাদুনে মেয়েকে থাপ্পড় দেওয়া বিশাল রিস্ক এর ব্যাপার স্যাপার।বর্ণ উঠে হাঁটা দিলো। অন্বেষাও ব্যাগ কাঁধে তুলে তার পিছু পিছু।আন্দাজ করতে পেরে কপাল কুচকে বিরক্তি প্রকাশ করে বর্ণ। হাঁটতে হাঁটতে একটি কোলাহলপূর্ণ কমিউনিটি হলের সামনে এসে থেমে যায়।পিছু ফিরে অন্বেষার দিকে তাকিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখে নিলো।হুট করে বললো,
“কাপড় চোপড়তো ভালোই পিনছো। চুলগুলি খুলো”
“কেন?”
“খুলো মিয়া!এত প্রশ্ন করলে আমি তোমারে বাড়ি খুঁইজা দিমু না।”
কারণ না জেনে চুল খুলতে কোনোভাবেই রাজি না অন্বেষা।এই ভ্যাপসা গরমে কেনো খুলবে? লাভটা কি?বর্ণ চোখ দিয়ে আগুন ঝাড়ালো যেনো। বললো,
“এক থিকা তিন গুনমু!এর আগে চুল না খুললে এইযে পাশে ড্রেন।একটা ধাক্কা দিমু বেশি না”
বলে কিছুটা এগিয়ে আসে বর্ণ।সত্যি সত্যি ফেলে দিবে ভেবে পিছিয়ে যায়।হাত উচু করে চুলের খোঁপা ছেড়ে দিলো।মাঝারি আকারের চুলগুলো অনায়াসে পিঠে গড়িয়ে পরে।স্বস্তি মিললো যেনো বর্ণের অন্তরে।বলে উঠে,
“মানুষের বাচ্চা লাগতাছে এবার।”
“চুল কেনো খুলালে?”
বর্ণ বাঁকা হাসে।ঘুরে তাকায় কমিউনিটি হলের সদর দরজার দিকে।এক ঝাঁক মানুষ আসছে।আরেক ঝাঁক বেরোচ্ছে।রং বেরঙের পোশাক পরনে।মেক আপ এর প্রলেপে ঢাকা একেক রমনীর মুখমণ্ডল। অন্বেষা চোখ পিটপিট করে গর্দান কিছুটা তুলে বর্ণের মতলব বুঝার চেষ্টা করছে।পকেটে হাত গুঁজে বর্ণ আনন্দিত সুরে বলে,
“মনে হয় ভিতরে হেব্বি আয়োজন।”
কিছুটা সন্দেহ পুরোপুরি সঠিক প্রমাণিত হলো। অন্বেষা যা আন্দাজ করতে করতে থেকে যাচ্ছিলো তাই।দম আটকে আসলো।বললো,
“না”
“চলো!”
এতো এতো খাবার। গলা দিয়ে নামেনি কিছুই। অন্তরাত্মা শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাওয়ার উপক্রম।রুহ বেরিয়ে আসতো আর কিছুক্ষণ পরই।ভাগ্যিস বেরিয়ে এসেছে।পাগলের মত হো হো করে হেসে যাচ্ছে বর্ণ। সেতো কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছে।দিন দুনিয়ার কোনো হুশ জ্ঞান তার ছিলো না।যেনো বিনা দাওয়াতে বিয়ে খেতে এক্সপার্ট সে। অন্বেষা নিজের একহাত তুলে দেখলো এখনও কাঁপছে এখন অব্দি।এমন ভয় আগে কখনও পায়নি। কান্ড জ্ঞান হারিয়ে এই কাপা হাত নিয়েই সজোড়ে ঘুষি বসালো বর্ণের বাহুতে।বর্ণের হাসি থেমে যায়। কপালে তিন তিনটে গাঢ় ভাজ পড়েছে।
চোয়াল শক্ত করে বলে, “কলিজা বহুত বড় হইয়া গেছে না?”
বর্ণের রাগের কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে অন্বেষা তর্জনী আঙ্গুল তুলে শাসালো। বললো,
“চুপ!এগুলো মানুষের কাজ!ধরা পড়লে দুজনে মিলে ধোলাই খেতাম।….আর ভিডিও? ক্যামেরাম্যানতো ভিডিও করেছে।সেখানে যদি ধরা পড়ি?”
উল্টো ঝাড়ি খেয়ে প্রতিক্রিয়া শূন্য হয়ে পড়ে বর্ণ। এমনভাবে একটা মেয়ে তার ধমকের উপর ধমক দিয়ে নিজের কথা বললো।কোনো তোয়াক্কাই করলো না তার মেজাজকে। থম মেরে রইলো বর্ণ কিছু সময়ের জন্য। দাঁতে দাঁত পিষে কটমট করে চেয়ে আছে।
অন্বেষা দ্বিগুণ জেদীতা দেখিয়ে বলে, “কি হ্যাঁ?কি?চোখ দেখাও কেনো?চোখ তুলে মার্বেল খেলবো একদম।আমাকে অবলা নারী ভেবেছো?”
হতবুদ্ধি দৃষ্টি।চোখ রাঙিয়ে শাসিয়ে যাচ্ছে। নির্বিশঙ্ক আনন।অবিরত মুখ চলে যেখানে বর্ণের সেখানে আজ বাকশক্তিহীন।আহাম্মকের মতো চেয়ে আছে লোহিত উজ্জ্বল শ্যামলা মুখ পৃষ্টে। কোথা থেকে এলো সে?কেনো এলো?কেনোই বা জড়ালো?
বর্ণের মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে অন্বেষা বলে, “অফিস আছে আমার।যাচ্ছি।কালকের মধ্যে আমার জন্য থাকার জায়গা খুঁজবে।নাহয় মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিবো।”
প্রস্থান করে অন্বেষা।বর্ণ চেঁচিয়ে বললো,
“হ তোমার বাপ দাদার কেনা গোলামতো আমি!অর্ডার চালাইবা আর আমি কোমর দুলায় নাচুম!”
শুনেছিলো অন্বেষা।চোখ ঘুরিয়ে আরেকদফা শাসিয়ে গেছে।বর্ণ মাথার চুল খামচে ধরলো।বিড়বিড় করে বললো,
“কোন পাগল ছাগলের পাল্লায় পড়লাম আমি!”
______
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় সিক্ত,কোলাহলে নগরী ধ্বনিত- প্রতিধ্বনিত।নি:শেষিত-ক্লান্ত অন্বেষার পদচারণা স্যাঁতস্যাঁতে সরণিতে।কাঁধে ব্যাগ,মস্তিষ্ক ভর্তি চিন্তা চেতনা।স্বল্প ভেজা কেশ উজ্জ্বল শ্যামলা ললাটে লেপটানো।পারিপার্শ্বিক অবস্থা ব্যস্ত থেকে ব্যস্ততর।যানবাহনের অজস্র কোলাহল।এই হইচই এর মাঝে অন্বেষার শ্রবণ ইন্দ্রিয় যেনো বধির। ভারাক্রান্ত অন্তরের বিরাগ গীতগান।রাস্তায় ছড়িয়ে সোঁদা মাটির মধুর সুবাসও গুরুত্বহীন এই প্রশ্নের কাছে,কি করবে?
নিয়ন আলোর নাচন পেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক।
শহরের কলরবে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়।ইশ!যদি পেতো বর্ণের মতো একটি ছন্নছাড়া জীবন?
আজ উদ্দেশ্যে বাড়ি নয়। মোড় ঘুরিয়ে হাঁটা দিলো অন্য পথে।এসে দাঁড়িয়েছে ধানমন্ডির এক আলিশান বাড়ির সামনে। উঁচু দালান, আভিজাত্যে টইটুম্বুর।কাপড়ের অবস্থা কিছুটা শুধরে ঢুকে গেলো।
“দুই লাখ টাকা আপনাদের জন্য দুই হাজার টাকা হলেও আমার জন্য অনেক বড় একটা অংক ফুপু।”
হাতের কাজে সাহায্য করে যে মেয়েটি দুই কাপ চা আর হালকা নাস্তা এনে ড্রয়িং রুমের কাঁচের টেবিলের উপর রাখলো।অন্বেষার মনোযোগ এখন চায়ের দিকে নয় বরং মূল কথায়।
জেসমিন আক্তার বলে উঠলেন, “তোমার টাকা কি আমরা মেরে খাবো মা?আমার কাছে আছে সেফ আছে।”
“সেফ আছে…কিন্তু আমি খরচ করতে চাই ফুপু।আমার দরকার।আমার ভার্সিটির সেমিস্টার ফি দিতে হবে। ঘর বদলাবো।আজকাল এই শহরে এডভ্যান্স না দিয়ে কোনো বাসা পাওয়া যায়না।আমার আরো প্রয়োজন আছে।তাছাড়াও টাকাটা আমার বাবার”
কণ্ঠে সামান্য কঠোরতা টেনে কথাটি বলে অন্বেষা।তার এমন কথায় কিছুটা কপাল কুচকান জেসমিন আক্তার।তবে চতুরতা দেখিয়ে নিজের বিরক্তি দমিয়ে নিলেন।বললেন,
“মাগো তুমি আমার একমাত্র ভাজতি।তোমারে বললাম আমার সৌভিককে বিয়ে করে এই ঘরে আসো।তোমার ফুপু থাকতে তুমি কেন দিন আনবা দিন খাইবা?এই বাড়িতে রানী হইয়া থাকবা তুমি!একার সংসার পাইবা।আমরা আর কতদিন?”
অন্বেষা আড়ালে তুচ্ছ হাসে।এই হাসি জেসমিন আক্তার দেখলো কিনা কে জানে?সে তার বেয়াড়া ছেলেকে অন্বেষার ঘাড়ে চাপাতে চাইছে।যার প্রথম বিয়ে টিকে নি।শ্বাশুড়ি আর স্বামীর অত্যাচারে দুই পাশে গৃহ ত্যাগ করেছে।সর্বহারা মেয়েকে ঘরের রাণী নয় বরং দাসী করে এনে হুমুক চালানোই তার মূল উদ্দেশ্য।কিন্তু অন্বেষা এই চতুরতায় পড়বে না কিছুতেই।উঠে দাঁড়ালো।আর বললো,
“সৌভিক ভাই আমার আপন ভাই।তার দিকে অন্য নজর দিতে আমার নিজেরই ঘৃণা লাগবে। আপনিতো জানেন আমি ছোটবেলা থেকেই খুঁতখুঁতে স্বভাবের।যদি বিয়ে করে সংসার না করতে পারি?আপনার ছেলের দ্বিতীয় সংসার না টিকলেও লোকে মন্দ বলবে।”
জেসমিন আক্তার উঠে দাঁড়িয়েছেন। অন্বেষার সাথেই হেঁটে দরজার উদ্দেশ্যে পা বাড়ান। অন্বেষা জুতো পায়ে দিয়ে বিদায় জানানোর পূর্বে দাম্ভিক কন্ঠস্বরে বললো,
“শুক্র শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকে ফুপু।আমি রোববার টাকাটা নিতে আসবো।পুরো দুই লাখ টাকাই দরকার আমার”
চলবে...........................