আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুগ্রহ করে গল্প সম্বন্ধে আপনার মতামত অবশ্যই প্রকাশ করবেন। আপনাদের মতামত আমাদের এই ছোট প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শীঘ্রই আরও নিত্য নতুন গল্প আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখক/লেখিকা'র নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত গল্পের ডায়েরি’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখক/লেখিকা'র কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় গল্পের ডায়েরি কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। গল্পের ডায়েরি'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

চোখের তারা তুই - পর্ব ১৩ - তাইয়েবা বিন কেয়া - ধারাবাহিক গল্প


#চোখের_তারা_তুই
#পর্বঃ১৩ 
#লেখিকাঃতাইয়েবা_বিন_কেয়া 



"নীরব একটু কষ্ট নিয়ে আঁধারকে জিজ্ঞেস করে

" তুমি কাকে পছন্দ করো আঁধার। তার নাম জানতে পারি "।

আঁধার বুঝতে পারে নীরব কষ্ট পেয়েছে সেটা ওর চোখ আর গলার সুর শুনে বুঝতে পারছে৷ কিন্তু নীরবকে আর কষ্ট দিতে পারবে না সে তাই সত্যি বলে দেয় 

" আসলে স্যার আমি যাকে পছন্দ করি তার নাম হলো ফারহান। ওনাকে আমি অনেক ভালোবাসি "।

নীরব ভালোবাসি কথা শুনে ভীষণ কষ্ট পায় কারণ সে এই কয়েকদিনে আঁধারের মায়ায় পড়ে গেছে। আর মায়া জিনিস অনেক অদ্ভুত সে ভেবেছে এই ট্রুর শেষ করে কলেজে ফিরে গেলে আঁধারকে সব সত্যি বলে দিবে কিন্তু আঁধার অন্য কাউকে ভালোবাসে। নীরব কিছু না বলে চলে যায় 

আঁধার ওর চলে যাওয়া দেখে আর মনে মনে বলে 

" সরি স্যার আমাকে পারলর মাফ করে দিবেন। আমি কখনো চাই নাই আপনি কষ্ট পান কিন্তু ভবিষ্যতে আপনার সাথে সম্পকর্ক থাকলর আপনি আরে বেশি কষ্ট পাবেন। আমি জানি ফারিশ আমাকে ভালোবাসে না কিন্তু ওর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে তাই নিজের স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের দিকে তাকাতে পারব না আমি। আর ছয়মাস পরে কি হবে সেটা আমি জানি না হয়তো ফারিশ আর আমার ডিভোর্স হয়ে যাবে। কিন্তু কখনো ফারিশের জায়গা আপনাকে দিতে পারব না সরি "।

ফারিশ গাড়ি করে চলছে রাস্তায় গ্রামের দৃশ্য উপভোগ করছে দারুণ সুন্দর গ্রাম। সে কিছু সৌন্দর্য মূহুর্তের ছবি তুলে নেয়। আর পাশে থাকা ফাহিমকে বলে 

" আচ্ছা ফাহিম এই গ্রাম অনেক সুন্দর তাই না। সত্যি গ্রামের মানুষ অনেক লাকী হয় যারা এই সুন্দর পরিবেশে থাকতে পারে। শহরে শুধু ইট পাটকেল দিয়ে গড়া "।

ফাহিম হলো ফারিশের পিএ সবসময় ওর সাথে থাকে কিন্তু কিছুদিন একটা কাজে বিজি থাকতে হয়। তবে আজকে ফারিশ গ্রামে যাবে বলে ওর সেফটির জন্য যাচ্ছে। ফাহিম খুব ফাযিল একটা ছেলে অনেক মুখ কাটা।

" আরে বস আপনি ঠিক বলছেন গ্রাম অনেক সুন্দর। আমার খুব ইচ্ছা গ্রামে বিয়ে বিয়ে করব এখানে বাসর করব আর সুন্দর ছয় সাতটা বাচ্চার জন্ম দিবো "।

ফারিশ একটু রাগী চোখে ফাহিমের দিকে তাকিয়ে দেখে আসলে এই ছেলেটা মুখ কাটা। কয়েকদিন একটু দূরে ছিলো ভালো ছিলো কিন্তু এখন মাথা ব্যাথা করে ফেলেছে। ফারিশ বলে 

" আচ্ছা তোর মুখে কি কিছু আটকায় না সামনে রমজান চাচা বসে আছে। তোর মুখে কিছু আটকায় না "।

ফাহিম একটু অবাক হয়ে বলল 

" রমজান চাচা কি বিয়ে করে নাই সেও বাসর করেছে তার বাচ্চা আছে।

ফারিশ একটু রাগী চোখে ফাহিমের দিকে তাকায়। 

" তোকে কিছু বলা আমার ভুল তোর সাথে কথা বলা। আসলে তুই যদি আমার বন্ধু না থাকতি তাহলে তোকে পিএ অনেক দূরের কথা অফিসের পিওন রাখতাম না "।

" আরে ব্যাস সত্যি বললে দোষ হয়ে যায় দুনিয়ার সব মানুষ বিয়ে করে বাসর করে আবার বাচ্চা হয়। তোর বিয়ে হয়েছে তোর কি বাচ্চা হবে না। " 

ফারিশ একটু রাগী চোখে তাকায় 

" না আমার বাচ্চা হবে না আর আমি বাসর করতে পারব না "।
ফাহিম অবাক হয়ে ফারিশের দিকে তাকায় আর বলে 

" তুই বাসর করতে পারবি না আর তোর বাচ্চা হবে না কেনাে কোথাও তোর কোনা সমস্যা আছে। এইজন্য তুই বিয়ে করতে রাজি হলি না এতোদিন "।

ফারিশ রাগের চরম সীমান্ত অতিক্রম করেছে এই ফাহিমকে নিয়ে কি ঝামেলা তার। সবসময় আজব কথা বলে 

" তুই মুখ বন্ধ করবি না বুঝতে পারছি। যদি আর আজেবাজে কথা শুনি তাহলে এই গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো তোকে "।

ফাহিম একটু চুপ করে যায় সত্যি ফারিশ ওকে গাড়ি থেকে ফেলে দিতে পারে নাই যা রাগী ও কিন্তু ফাহিম চুপ করে থাকলে মনে হয় পেটে কথা লাফালাফি করছে। তাই চুপচাপ থাকা তার সম্ভব না। সে বলে 

" আচ্ছা সিরিয়াস কথা বলব তোর আঁধার ভাবীকে কেমন লাগে মানে মেয়েটা কেমন"।

ফাহিম চুপ থাকার মতো ছেলে না সেটা ফারিশ বুঝতে পারে। তবে আঁধার কথা শুনে একটু চুপ থেকে বলে 

" আঁধার খুব ভালো মেয়ে খু্ব মিষ্টি। এই শহরে হাজারো মানুষের মধ্যে ও একটা নিষ্পাপ মেয়ে যার সাথে থাকলে মনে হয় যদি সম্ভব হয় তাহলে সারাজীবন ওর সাথে থাকতে। এক ফালি সুখ দেয় ওকে খুব ভালোবাসি ওকে "।

ফারিশের কথা শুনে ফাহিম অবাক হয়ে যায় কারণ ফারিশ কখনো ভালোবাসা কথা বলে নাই। কিন্তু আজ সে চাই আঁধারকে ভালোবাসতে সত্যি। 

" আচ্ছা ফারিশ তুই কি আঁধারের প্রেমে পড়ে গেলি। যদিও প্রেমে পড়ে যদি যাও তাহলে কোনো সমস্যা নাই কারণ আঁধার তোর বউ শুধু তোর অধিকার আছে ওর উপর ".

ফাহিমের কথা শুনে একটু হালকা হেসে বলে 

" সব অধিকার সবসময় দেখানো যায় না। আর ফারিশ ফারহান চৌধুরী কারো প্রেমে পড়তে পারে না "।

" তোর এই ইগোর কারণে কখনো নিজের ভালোবাসার মানুষকে সত্যি বলতে পারবি না। দেখবি তোর জন্য একদিন আঁধার অন্য কারো হয়ে যাবে "।

ফারিশ কিছু বলতে যাবে তখন রমজান চাচা বলে 

" স্যার আমরা চলে এসেছি। নামুন "।

ফারিশ চাচার কথা শুনে গাড়ি থেকে নেমে যায়। টুনি সব বাড়ির সবাই ছুটে আসে 

" আরে ফারিশ ভাই তুমি সত্যি এসেছো। তুমি আসবে আমার ভাবতে পারি নাই "।

ফারিশ একটু হেসে টুনির মাথায় হাত রেখে বলে 

" আরে তোর বিয়ে আমি আসব না সেটা হতে পারে। আর তুই এখনো গায়ে হলুদের সাজে সেজে রেডি হও কালকে বিয়ে অনেক আনন্দ করব তোর বিয়েতে "।



চলবে...........................
Author, Publisher & Developer

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উফ!
মনে হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট সংযোগে কিছু সমস্যা আছে। অনুগ্রহ করে আগে আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক করুন এবং তারপর আবার ব্রাউজিং শুরু করুন৷
AdBlock সনাক্ত করা হয়েছে!
আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যাডব্লকিং প্লাগইন ব্যবহার করছেন৷ আমরা আপনাকে আপনার অ্যাডব্লকিং প্লাগইন বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি, কারন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা যে রাজস্ব আয় করি তা এই ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।