!!৬!!
চারিদিকে হইহট্টগোল!শতশত লোকের ভিড়ভাট্টা!ব্যাকুল হয়ে এদিক সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছে রওনক!কয়েক সেকেন্ডের মাঝে মস্তিষ্ক ফাঁকা হয়ে এলো তার!শুকনো ঢোক গিলে উদভ্রান্তের মতো সবদিক খুঁজে যাচ্ছে!ভয়ে কপালে ঘাম জমেছে রিশার!এত এত লোক সমাগমের মধ্যে কোথাও কুহু নেই!এতটা বেখেয়ালি তো নয় মেয়ে'টা!বিপদের আশঙ্কা হতেই শরীর অসার হয়ে আসলো রিশার!আচমকা মাথায় খানিকক্ষণ আগের চিন্তা আসল রওনকের।একদল ছেলেপেলে কুহুকে দেখছিল কুদৃষ্টি নিয়ে।দোকানগুলোর ঠিক পেছনেই নদী বয়ে গেছে।ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ভিড় করা পাড়ে।দ্রুত দৌড়ে সেদিকে চলে গেল রওনক।খানিকটা দূরে দৃষ্টি থমকাতেই শরীর পাথর হয়ে গেল যেন!কিছু মুহূর্তের জন্য আঁটকে গেল নিশ্বাস!ধরনী তাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে লাগলো!রোগাপটকা তিন-জন ছেলে কুহুকে টেনে ছোট ডিঙি নৌকায় তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।নিজেকে যথাসম্ভব আঁটকে রাখার চেষ্টা করছে কুহু।এদিক-সেদিক অসহায় দৃষ্টি বুলিয়ে যাচ্ছে!মেয়েটা হয়তো চেঁচাচ্ছে!তীব্র গানের আওয়াজে সে আর্তনাদটুকু কারও কর্নকুহর অব্ধি পৌঁছাচ্ছে না!দিকবিদিকশুন্য হয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটে গেল রওনক!দু'টো ছেলে নৌকাতেই ছিল।একজন রওনককে দেখেই চেঁচিয়ে উঠলো।ডাঙ্গায় থাকা ছেলেটি কুহুর হাত ছেড়ে দিয়ে কোনোরকম লাফিয়ে নৌকায় উঠে গেল।রওনকের শব্দ পেতেই একছুটে গিয়ে চওড়া বক্ষস্থলে ঝাপিয়ে পরলো কুহু!আকস্মিক ঘটনায় থমকে গেল রওনক!নিশ্চল হয়ে গেল পা!সামনে এগোতে পারল না সে।ততক্ষণে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল নৌকাটা।ঘনঘন শ্বাস ফেলল রওনক।রাগে ভয়ানক এক গা'লি দিয়ে চিৎকার করে উঠলো ছেলেগুলোর উদ্দেশ্য!ক্রোধে সর্ব শরীর কাঁপছে তাঁর।হাতের নাগালে পেলে জ্যান্ত পুঁতে দিত আজ!পরক্ষণে অনুভব করলো কুহুর শরীর মৃদু কাঁপছে।কাঁদছে বোধহয় মেয়েটা!ঠিক কতটা ভয় পেয়ে রওনককে জড়িয়ে ধরেছে,সেটুকু আন্দাজ করতে পারছে রওনক।পাল্টা জড়িয়ে নিতে গিয়েও নিজেকে দমিয়ে রাখল সে।খানিকক্ষণ আগে তাঁর অশান্ত উত্তাল হয়ে যাওয়া বুক এখন এক নিমেষে শান্ত!আজ যদি কিছু হয়ে যেত মেয়ে'টার?বাঁচার কি কোনো রাস্তা থাকত রওনকের?কথাটুকু ভাবতেই অজানা এক ভয়ে একহাতে কুহুকে জড়িয়ে নিল!দূর থেকে তাকিয়ে দেখছে রিশা।এই দৃশ্যটুকু পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মনে হলো তার!নিরাপদ আশ্রয়ই খুঁজে নিয়েছে কুহু!ঠোঁটের কোণে একটুখানি হাঁসি নিয়ে আড়ালে চলে গেল রিশা।কুহুর শরীর থেকে এক মিষ্ট ঘ্রাণ নাকে এসে ধাক্কা খাচ্ছে রওনকের।খোলা চুলগুলো অবাধ্যে'র মতো তার নাক,চোখ ছুঁয়ে দিচ্ছে!এতটা কাছ থেকে এত গভীর ভাবে মেয়েটাকে কখনও অনুভব করা হয়নি!হৃৎস্পন্দনের শব্দটুকুও শোনা যাচ্ছে সুক্ষভাবে!আচমকাই যেন চেতনা জাগ্রত হলো কুহুর!মুহূর্তে রওনকের বুকে মৃদু ধাক্কা দিয়ে সরে আসলো সে।লজ্জা,অসস্থি,ভয় মিলেমিশে এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো!খেই হারিয়ে রওনক ভাইকে জড়িয়ে ধরায় ভীষণ খারাপ লাগছে তার ভেতরে।ভয়ে মস্তিষ্ক লোপ পেয়েছিল বুঝি।দৃষ্টি তুলে তাকাতে পারলো না।থমথমে ভরাট স্বরে বলল রওনক,
"এখানে এলে কি করে তুমি?লাড্ডুর দোকানে তো দাঁড় করিয়ে রেখে গিয়েছিলাম!
নত মস্তকে দৃষ্টি পায়চারি করলো কুহু।খানিকক্ষণ আগের ঘটনা ভেসে উঠলো মানস্পটে।ছোট অসহায় একটা ছেলে কাঁদতে কাঁদতে এসে বলেছিল,তার মা অজ্ঞান হয়ে পরে আছে নদীর ধারে।কেউ তার কথা শুনছে না।সাহায্য করছে না।দয়ালু কুহু'র তখন বড্ড মায়া হলো।আগপাছ না ভেবে ছেলেটিকে অনুসরণ করেছিল সে।নদীর ধারে পৌঁছাতেই আড়াল থেকে তিনটে ছেলে বেরিয়ে আসে!তারপরের ঘটনা টুকু ভাবতেই চোখমুখ খিঁচে নেয় কুহু!রওনক ভাই যদি আর একটুখানি পরে আসতো,তবে আজ কুহুর কি হতো জানা নেই!কুহুকে চুপ থাকতে দেখে ফের বলল রওনক,
" একটা মানুষ এতটা নির্বোধ হয় কি করে?এই ছেলেগুলো অনেক্ক্ষণ ধরে তোমাকে ফলো করছিল!একবারও কি সেটা খেয়াল করেছো,ষ্টুপিড মেয়ে?তখন বলেছিও পর্যন্ত চোখ-কান খোলা রেখ!আমার কথার অর্থ কখনো বুঝতে চেষ্টা করো?নাকি আমাকেই পরোয়া করো না কোনটা?
বেশ ক্রোধ নিয়েই কথাগুলো বলল রওনক।মৃদু কেঁপে উঠলো কুহু।রওনক ভাই তো তাকে ক্ষেপানোর জন্যই তৎপর থাকে সবসময়।যদি সিরিয়াস ভাবে বুঝিয়ে বলতো তাহলেই তো বুঝে নিত সে!দৃষ্টি নিচু রেখেই কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
"ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলা কথা আমি বুঝতে পারি না।সবসয় এরকম রাগ দেখিয়ে কথা বলেন কেন আমার সঙ্গে?সব দোষ আপনার।আপনি আশেপাশে থাকলেই মনে হয় এই বুঝি ক্ষ্যাপিয়ে দিবেন।ফলস্বরূপ আশপাশের কিছুই আমার খেয়ালে থাকে না।
কপাল স্লাইড করে প্রলম্বিত শ্বাস ফেলল রওনক।কাকে কি বোঝাচ্ছে সে?নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রেখে বলল,
" তুমি বাচ্চা মেয়ে নও কুহু!আজকে যদি তোমার কিছু হয়ে যেত?কি করতাম আমি?
শেষের কথাটায় রওনকের স্বর কেমন কাতর শোনাল।কুহু কিছু বলতে পারলো না।এখনো শরীর জুড়ে এক অসস্থি ভর করে আছে।রওনক'কে জড়িয়ে ধরার কথাটা মাথা থেকে নিঃশেষ হতে চাইছে না!কি জানি কি ভাবছে লোকটা!রিশার বড়ো ভাই হিসেবে সবসময় সেও ভাইয়ের নজরে দেখে এসেছে রওনককে।তাঁর দ্বারা এরকম কিছু ঘটে যাবে ভাবতে পারেনি।পাল্টা আর কিছু বলল না রওনক।কড়া আদেশের স্বরে মাথায় ঘোমটা টেনে দিতে বলল কুহু'কে।বাধ্য মেয়ের মতো কথা শুনলো কুহু।গম্ভীর মুখে হাঁটা ধরলো রওনক।নিশ্চুপ অনুসরণ করলো কুহু।
!!৭!!
পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব ভাল করেই নিল কুহু।রাতদিন এক করে মনোযোগী হলো পড়ায়।ভাল রেজাল্ট তাকে করতেই হবে।রওনক ভাইয়ের কথার জবাব,আর ছোট একটা চাকুরী'র জন্য।সব কয়টা পরীক্ষা'ই প্রত্যাশার চেয়েও খুব ভাল হলো!প্রায় মাস খানেক ধরে চলল কুহুর পরীক্ষা।শেষ পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে রিশার অপেক্ষা করতে লাগলো কুহু।বন্ধু'রা ইতিমধ্যে চলে আসলো।প্রশ্নপত্র নিয়ে সবার মাঝে খানিক্ষন চলল আলাপচারিতা!কুহুর চোখেমুখে আত্মবিশ্বাস!ভাল রেজাল্ট সে করবেই এইটুকু নিশ্চয়তা দিয়ে দিল সবাইকে।আরিয়ান হতাশ গলায় বলল,
"তোর আর রিশার রেজাল্ট তো ভাল হবেই!তোরা রওনক স্যারের কাছে পড়িস।এক্সট্রা সময় পাস অনেক।আমরা তো কোচিং-এ কেবল একটুখানি সময় পাই-ই স্যারকে।কত ঝামেলা থেকেই যায়।
আরিয়ানের সাথে রূপসা,সোহা,নয়ন একত্রে সুর মেলালো।কথাটা ঠিক ভাল লাগলো না কুহুর।কপালে ভাজ ফেলে ভ্রু কুঞ্চিত করে বলল সে,
" শোন টিচার যতই ভাল হোক!যদি স্টুডেন্ট ঠিকঠাক পড়া না পারে তাহলে রেজাল্ট কোথাথেকে ভাল হবে?স্যারের মতো সে পড়িয়েই যাবে।কিন্তু স্টুডেন্ট'কে তো তা বুঝতে হবে!পড়তে হবে।তাই না?
কুহুর কথা বিজ্ঞদের মতো শোনাল।এই কথার জবাব কেউ দিতে পারলো না।হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রিশার অপেক্ষা করতে লাগলো কুহু।ক্লাসে আর কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না!বেলা গড়িয়ে ঠাঁই নিয়েছে গোধুলিতে।সন্ধ্যা নামবে ভাব!পশ্চিমাকাশে লাল আভা ছড়িয়েছে!আকাশের দিকে তাকালে চট করেই মন ভাল হয়ে হওয়ার মতো!এমনিতেও আজ মন ভাল কুহুর!শেষ পরীক্ষায় মন সবারই খুশি খুশি থাকে!কথা শেষ হতেই সবাই বিদায় নিল।রয়ে গেল আরিয়ান।এখনও মাঠে অনেকের আনাগোনা।ব্যাগে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো কুহুর।ব্যাগ হাতড়ে ফোন নিয়ে দেখল রিশার কল।রিসিভ করে কানে জড়াল।ওপাশ থেকে রিশা জানাল,সে অনেক্ক্ষণ আগে'ই বাড়ি পৌঁছে গেছে!কথাটা শুনতেই ভয়ানক রাগ দেখাল কুহু!কি এমন তাড়া ছিল যে বলে যাওয়া সম্ভব হলো না!বাসা থেকে ফোন আসায় নাকি দ্রুত চলে গেছে রিশা।বারংবার ক্ষমা চাইল কুহুর কাছে।কোনো উত্তর দিল না কুহু।লাইন কেটে দিয়ে হাঁটা ধরলো।দ্রুত কুহুর পাশে এসে দাঁড়াল আরিয়ান।খানিক্ষন আগে ফোনে বলা কথাটুকু শুনেছে সে।অভয়ের স্বরে বলল কুহুকে,
"এত টেনশন নিচ্ছিস কেন?আমি তো আছি।পৌছে দিব তোকে।চল।
কিছু বলল না কুহু।প্রস্তাব'টা শুনে খুশি হলো।এই বেলা একা যাবে ভেবে ভয় হচ্ছিল খানিক।সেদিনের মেলায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পর চোখ-কান খোলা রেখে চলে কুহু।আরিয়ান ছেলেটা খুব ভাল।প্রায় দেড় বছর যাবৎ তাকে চিনে কুহু।সুতরাং নির্ভয়ে যাওয়ায় যায় তার সাথে।হাসিমুখে কথা বলতে বলতে এগোলো দু'জন।মেইন সড়কের কাছাকাছি আসতেই গম্ভীর এক পুরুষালি কন্ঠস্বর থামিয়ে দিল কুহু'কে!আরিয়ান,কুহু একত্রে তাকাল পিছু ফিরে!স্যার'কে দেখতে পেয়েই সালাম জানাল আরিয়ান।কুহু নিষ্পলক চোখে দেখছিল বাইকে বসা,আকাশী রঙা শার্ট পরিহিত রওনক'কে।চশমা এঁটে দেওয়া চোখে কুহুর দিকে তাকিয়ে আছে সে।হাতে হেলমেট নিয়ে নেমে এসে শুধাল,
" বাড়িতে যাচ্ছ তোমরা?
কুহু জবাব দিল,
"জ্বী স্যার।
" সন্ধ্যা তো নেমে গেছে।একা যেতে পারবে?
পাশ থেকে আরিয়ান উত্তর দিল,
"আসলে স্যার,আমি বাড়ি পৌছে দিব কুহুকে।আজকে রিশা দরকারি কাজ পরার চলে গেছে।
গম্ভীর সেই স্বরটুকু নিয়ে আরিয়ান'কে বলল রওনক,
" তুমি চলে যেতে পারো।কুহুকে আমি নামিয়ে দিব।
রওনকের কথার প্রতিত্তোরে কিছু বলল না আরিয়ান।স্যারের বাড়ির পাশেই কুহুর বাড়ি এটা সবার জানা।বিদেয় নিয়ে চলে গেল সে।কুহু দৃষ্টি নিচু রেখে দাঁড়িয়ে রইল স্থবির হয়ে।আবারও এক অসস্থি তাকে ঘিরে ধরলো।গায়ের জামাটা ধরলো মুষ্টিবদ্ধ করে।রওনক সামনে আসলেই জড়িয়ে ধরার দৃশ্যটুকু মনে পরে যায়।এই ক'দিন প্রয়োজন ব্যতিত লোকটার সামনেও যায়নি কুহু!এখন রওনকের সঙ্গে বাড়ি অব্ধি যেতে গেলে নিশ্চয়ই বাইকে বসতে হবে তাকে!কথাটুকু ভাবতেই হাতের আঙ্গুলের ডগা ঠান্ডা হয়ে গেল।কুহুর ভাবুক,চিন্তাগ্রস্ত মুখশ্রী দৃষ্টি এড়ালো না রওনকের।মেয়েটা দিন দিন কেমন দূরে চলে যাচ্ছে।ব্যাপারটা অনুভব করেছে রওনক!কেন কুহুর এই পরিবর্তন বুঝতে পারছে না সে।বড্ড বেশিই কি জ্বালাতন করে ফেলে মেয়েটাকে?তার দূরত্ব যে রওনকের বক্ষস্থল অশান্ত,দূরন্ত,ফাঁকা করে ফেলে,সেটুকু কি অনুধাবন করতে পারে মেয়েটা?শেষ কয়েক রাত্তির ঠিকঠাক ঘুম হয়নি রওনকের,সে হদিস কি আছে এই বোকা মেয়ের?এই চোখে যে তাকে নিয়ে অজস্র অনুরাগের কাব্য রটে, সেটুকু কি যত্ন নিয়ে পড়েছে কখনও?আজকে মনস্থির করে এসেছে রওনক।নিজের মনের অব্যক্ত লুকোনো কথা,কুহুকে নিয়ে তার অনুভূতি সবটা প্রকাশ করবে!এভাবে নীরবে কতদিন আগলে রাখবে অন্তঃকরণে?কুহুর হাতে কলমের অজস্র দাগ বসে আছে।সেগুলো ঢলছিল সে।নিজের অসস্থি দূর করতেই হয়তো!পিনপতন নীরবতায় কাটতে লাগলো শতশত সেকেন্ড!কুহুর পানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল রওনক।শুভ্র রঙা থ্রিপিস পরে আছে মেয়েটা।কাঁধে ঝুলছে কালো ব্যাগ।চুলগুলো যত্ন করে বিনুনি পাঁকিয়ে সামনে রাখা!গোলাকৃতির মুখাবয়ব জুড়ে ভিন্নরকম এক জড়তা খেলা করছে।কপালে পরে থাকা কাটা চুলগুলো মৃদু বাতাসে দুলছে!রওনকের খুব করে ইচ্ছে হলো আলতো হাতে অবাধ্য চুলগুলো গুঁজে দিক কানের পেছনে।এরকম বহু মনোবাসনা,স্বপ্ন পুষে রেখেছে সে মনোহারিণী'কে নিয়ে!নিজের করে পেয়ে গেলে নিজের লুকোনো ইচ্ছে আর তীব্র ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ করবে রওনক!শুধু অপেক্ষা'র পালা!নিরবতা বিচ্ছিন্ন করলো রওনক।কুহুর দিকে হেলমেট বাড়িয়ে ধরে বলল,
"পরে নাও এটা।
লাল,কালো মিশেল হেলমেটের দিকে দৃষ্টিপাত করে কুহু।কম্পিত স্বরে কোনোরকম বলে,
" আমি বাইকে উঠতে ভয় পাই রওনক ভাই।আপনি একা চলে যান।আমি বাস ধরে নেব।
·
·
·
চলবে...............................................