মন ছুঁয়েছে সে - পর্ব ৩২ - মৌরিন আহমেদ - ধারাবাহিক গল্প

মন ছুঁয়েছে সে 
পর্ব ৩২ 
মৌরিন আহমেদ 
.
.
.
চারিদিকে বিস্তীর্ণ সবুজ। ঘন ঘন গড়ে ওঠা গাছ আর মাঠের সবুজে মিলিয়ে রাশি রাশি রাশি সবুজ। ওপরে নীল আকাশে উজ্বল সূর্য। তার কিরণের ঝিলিক দিয়ে উঠেছে প্রতিটি গাছপালা। প্রকৃতির এই নীরব-নিস্তব্ধরূপ উপভোগ না করে ক্ষিপ্ত পায়ে হেঁটে যাচ্ছে একদল সৈনিক। কালো পোশাকধারী, সাথে উন্নত অস্ত্র-সস্ত্র। সেইফ্টি জ্যাকেটের উপরে লেখা "rab"। সবার আগে ছুটছেন ক্যাপ্টেন। ভীষণ ক্ষিপ্ত গতিতে আবার সন্তপর্নেও। কোনমতেই যেন শত্রুপক্ষ তাদের উপস্থিতির কথা আগে থেকে টের পেয়ে না যায়!

পেয়ে গেলেই পালানোর পায়তারা করবে। আর একবার পাখি হাতছাড়া হয়ে গেলেই সর্বনাশ! হয় তো এখানকার পাততাড়ি গুটাবে ঠিকই কিন্তু আবার তারপরেই অন্য কোথাও তাদের গোপন কারবার চলবে! সেটা করলে তো আর তাদের চলবে না। 'জিরো টলারেন্স নীতি' তো তাদের এই শিক্ষা দেয় না। তাদের নীতি টা অনেকটা 'ধর তক্তা মার পেরেক' টাইপের। মানে 'ধরো তাদের, ঢুকাও জেলে!' তাই এই ড্রাগ ডিলারদের কোনোভাবেই ছেড়ে দেয়া যাবে না! 

একে একে বেশ কয়েকটা পাহাড় ডিঙিয়ে ফেললো ওরা। ঘন সবুজ গাছপালা ভেদ করে পৌঁছে গেল একটা খোলা জায়গায় সামনে।এখানটায় আসতেই চোখ ধাঁধিয়ে গেল যেন সবার। আকাশের সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় মাঠের উপর চাষ করা ছোট ছোট চারাগাছ গুলোকে অন্যরকম লাগছে। গাছের আগায় ফুটে থাকা লাল লাল পপি ফুলগুলোর আপন দীপ্তিতে জ্বলছে যেন!

একমুহূর্তের জন্য দাড়িয়ে গেল ক্যাপ্টেন। তার সাথে সাথে দলের বাকি সদস্যরাও। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দূরের ঐ কুড়ে ঘরটা দেখতে পায়। ঘরের দু' পাশে মানে এখান থেকে যতটুকু দেখা যাচ্ছে ওখানে কে? দু'টো লোক না? হাতে কী রাইফেল? 

একঝলকে দলের বাকিদের দিকে তাকালেন উনি। চোখ আর ঠোঁট নাড়িয়ে কী যেন পরামর্শ করলেন। তারপর ডান হাতে মাথার চারপাশে ঘুরিয়ে কাকে কাকে যেন একটা বিশেষ নির্দেশ দেন। যাদের নির্দেশ দেওয়া হলো, তারা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এগিয়ে গেল কাজে। আর বাকিরা ছুটলো তার পিছু পিছু!

ঘড়ির কাঁটায় সময় খুব বেশি না। মাত্র ২৮মিনিট। এরই মধ্যে জায়গাটা নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয় rab এর লোকেরা। কয়েক মিনিটের একটা খন্ধযুদ্ধের মাধ্যমেই পরাজিত করে সন্ত্রাসীদের। গোলাগুলিতে দুর্ভাগ্যবশত rab এর আহত হয়েছে কয়েকজন, হতাহতের কোনো খবর নেই। আর ওই পক্ষের একজনের স্পট ডেট। আর দু' তিনজনের হাত পায়ে গুলি লেগেছে। উদ্ধার হয়েছে ৫৭৫ পিস ইয়াবা, ১কেজি ৬০০গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ। ৮টি রাইফেল আরও কিছু গোলা বারুদ। 

আধ ঘন্টার মধ্যেই দুটো জিপকে আসতে দেখা গেল। ওদের হ্যান্ড কাপ লাগিয়ে জিপে তুলে দিলেন ক্যাপ্টেন। বাজেয়াপ্ত করা জিনিসগুলোও জিপে তোলা হলো। সর্বশেষে একখানা ম্যাচের কাঠি ঠুকে আগুন ধরিয়ে দিলেন ক্ষেতে! দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো সমস্ত মাঠ!

যেটা নিষিদ্ধ,, সেট যতো সুন্দরই হোক না কেন, সেটা নিষিদ্ধ, বেআইনি! আর বেআইনি কোনো কিছুর অস্তিত্ব তারা রাখতে পারেন না। সে ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয় নি। তাই নিজে দাড়িয়ে থেকে ছাই করে দিলেন ক্ষেতটা!
___________________

 - "কে কাকে হুল ফোটাবে সেটা পরে ভাবা যাবে। আপাদত সামনের ধাক্কাটা সামলান। আর একটা কথা, আমি আপনার মতো নর্দমার মাছি না যে ভোঁ ভোঁ করতে করতে হুমকি দেব। আমি সিংহ। সিংহের হিংস্র থাবায় চাপকে মেরে ফেলা আমার অভ্যাস। আর ধ্রুব কাউকে ছাড় দেয় না। মাইন্ড ইট!"

চিঠিটা পড়ার সাথে সাথেই রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে গেল ইফতেখার চৌধুরীর। কঠিন দৃষ্টিতে আরেকবার চিঠির লেখাগুলোর দিকে তাকিয়েই হঠাৎ দুমড়ে মুচড়ে ফেললেন। দু' হাতের চাপায় পিষ্ট করে দাঁত কটমট করতে করতে ছুঁড়ে মারলেন ঢিল টাকে। 

রাগে তার শরীর থরথর করে কাঁপছে। ইচ্ছে করছে ওই ধ্রুব নামক শ'য়'তা'নটা কে ধরে আচ্ছামত পিটাতে! ব্যাটার সাহস কতবড়, তাকে বলে কি না মাছি! বলে কী না থাবায় চাপড়ে মেরে ফেলবে! শা'লা আয় না, আয়! দেখি তোর বুকে কতো দম! 

প্রচণ্ড রাগে যখন দিশেহারা হয়ে গেছেন তখন হঠাৎ করেই পকেটে থাকা ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠলো। চরম রাগান্বিত হয়ে পকেটে হাত চালান। ব্লেজারের পকেট না শার্টের পকেট? নাহ্, প্যান্টের পকেটে রয়েছে সেটা। বেশ দম্ভের সাথে সেটা বের করলেন। মুখটা এখনও রাগের কারনে রক্তিম বর্ণ ধারণ করা। ফোনটা রিসিভ করে দাম্ভিকতার সাথে বললেন,

 - বল্, কী হয়েছে? 

 - বস্.. বস্.. সর্বনাশ হয়ে গেছে! আমাদের...

বলেই কাঁপতে থাকে ওপাশের লোকটা। বাকি কথা বলার সাহস খুঁজে পায় না। তাই দেখে ধমকে ওঠেন উনি,

 - কথা না বলে চুপ মেরে আছিস ক্যান? কী হয়েছে কী, হ্যাঁ? 

ধমক খেয়ে কেঁপে উঠলো খবরদাতা। কোনোমতে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,

 - আমাদের খাগড়াছড়ির চালান টা র্্যাবের হাতে ধরা পড়েছে, বস্। ৫৭৫পিস ইয়াবা, আইস.. ওখানকার লোক-লস্কর সব সমেত... কেউ পালাতেও পারে নি। শুনলাম, মরেছে নাকি কয়েকটা..

 - ইউ ব্লাডি বিচ!

রাগে চিৎকার দিয়ে ওঠেন ইফতেখার চৌধুরী। আছাড় দিয়ে হাতের ফোনটা ভেঙে ফেললেন। শুধু তাতেই ক্ষ্যান্ত হলেন না। সেটা যখন মেঝেতে পড়ে চুর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল তখন পা দিয়ে মারা দিতে থাকেন। প্রচন্ড পিষ্টনে ফোনটাকে একেবারে ধুলিস্যাৎ করে দিতে চান!

ধ্রুব, ধ্রুব, ধ্রুব! এই একটা বজ্জাতের জন্য তার এতো লস! কয়েকদিন আগে তার বস্তিতে রেট পড়া, তার ছেলে ইফতিকে রাবে ধরে নিয়ে যাওয়া আর আজ বিরাট বড় চালান হাতছাড়া হয়ে যাওয়া! একের পর এক ধাক্কা এসেই যাচ্ছে তার ব্যবসায়িক জীবনে! কোটি কোটি টাকার ক্ষতি! সব হচ্ছে কার জন্য? ওই হাড়ে বজ্জাত ছেলেটা, ধ্রুবের জন্য! বর্ষণ রাইয়ান ধ্রুব! তোকে কিছুতেই ছাড়বো না আমি!

রাগে অন্ধ হয়ে হাতের কাছে যা পেলেন তাই ছুঁড়ে মারলেন মেঝেতে। নিজের ল্যাপটপ, অফিসের ফাইল, কেবিনের চেয়ার-টেবিল, সব তছনচ করতে শুরু করলেন। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একসময় মেঝেতে বসে পড়লেন। দু' হাতে চুল খামচে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে রইলেন। রাগটাকে সামাল দিতে চাইছেন। একটু ঠাণ্ডা হওয়া দরকার!

ওই ধ্রুবকে একটা শিক্ষা উনি দিয়েই ছাড়বেন! তাতে যদি ওনার ফাঁসির দড়িও পরতে হয়, উনি পরবেন। কুছ পরোয়া নেহি!

তারপর হঠাৎ কি যেন মনে করে উঠে দাড়ালেন। অদ্ভুদ বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো তার কুৎসিত ঠোঁটের কোণে। ধ্রুবকে মারার এক পৈশাচিক পরিকল্পনা ঘুরছে মস্তিষ্কে। সেটা সফল হলেই শান্তি পাবেন উনি। ব্যাটা, ধ্রুব এবার তুই পালাবি কোথায়? তোর মৃত্যু আমার হাতে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা! ভেবেই কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলেন উনি।
____________________

কয়েকটা দিন পেরিয়ে গেছে আবেদীন পরিবারে এখন সব শান্ত। কারণ অনন্যা এখন সুস্থ। সে এখন আগের মতো ভার্সিটিতে যায়, সবার সাথে বসে কথা বলে, সবসময়ই হাসি খুশি থাকে। ওকে নিয়ে জোহরা বেগমের মনে যে উত্তেজনা আর উদ্বেগে তৈরি হয়েছিল তা এখন কেটে গেছে। মেয়ে তার আবার স্বাভাবিক আচরণ করছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন তো তখনও থেকে যায়, অনু কী আসলেই সুস্থ হয়েছে? ধ্রুব নামক যে ভুত তার মাথায় চেপেছিল তা কী ঘাড় ছেড়ে বিদায় নিয়েছে? এর সঠিক সত্যতা আসলে কে জানে? 

না, ধ্রুবকে সে ভুলে যায় নি। মনে রেখেছে, কারণ ওর মন ছুঁয়েছে সে। তার নামে ভালোবাসাটা হৃদয়ে লালন করেছে। কিন্তু জানতে দিচ্ছে না কাউকে। হয় তো আর কখনও দিবেও না!
.....
সেদিন সাইক্রিয়াটিস্টের কাছ থেকে আসার পর এক অন্যরকম পরিবর্তন হয় অনন্যার ভেতর। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ' পদবীর আখ্যা পাওয়া ওই লোকটার সঙ্গে কথা বলে যেন ওর চিন্তা-ভাবনার আমূল পরিবর্তন হয়। সেদিন তার চেম্বারে...

জোহরা বেগম কে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে অনন্যার দিকে ফিরলেন ডাক্তার। ফাইলটা উনি আগেই দেখেছেন তাই বাড়তি কোনো কথাবার্তার ঝক্কিতে গেলেন না। খুব সহজ এবং সাবলীল ভাবেই আসল কথাটা পাড়লেন। বললেন,

 - তোমার ফাইলটা আমি দেখেছি, অনন্যা। সরি তুমি করেই বললাম.. বয়সে অনেক ছোটই হবে....

 - it's ok.

মৃদু কণ্ঠে জবাব দেয় অনন্যা। উনি আবারও বললেন,

 - তোমার ফাইলে বিশেষ কোনো রোগের কথা উল্লেখ করা নেই, সাময়িক বিষণ্ণতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তোমার মায়ের সাথেও আমি কথা বলেছি। উনি আমাকে যেটা জানিয়েছেন সেটা একটা ছেলেজনিত ব্যাপার। আচ্ছা, তুমি কি ছেলেটাকেভালোবাসতে?

প্রশ্ন শুনে ভয়ার্ত চাহনিতে ডাক্তারের দিকে তাকালো। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বললো,

 - জ্বি, বাসতাম.. কিন্তু.. কিন্তু...

 - তুমি কি বলতে অস্বস্তি বোধ করছ? দেখ, আমি একজন ডাক্তার। বয়স এবং অভিজ্ঞতার কারণেই আমার আজকের এই অবস্থান.. একজন ডাক্তার হিসেবে নয়, as a friend তোমার কাছে জানতে চাইবো তোমার সমস্যার কথা। তুমি ঠিকঠাক ভাবে সব উত্তর দিলেই আমি আমার কাজটা করতে পারবো। তুমি মনে হয় আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছ। প্লীজ, আমাকে সবটা খুলে বলো। ভয় পেয় না...

এরপর অনেকটা সময় পর অনন্যা ওনাকে সবটা খুলে বলে। যদিও তাতে সময় নেয় অনেক, কিন্তু তারপরও নিজের মুখে সবটা বলে যেন শান্তি পায়। বিষয়টা মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকেন ডাক্তার। প্রতিটা ব্যাপারই নিজের মতো করে বোঝার চেষ্টা করেন। নিজেকে ওই জায়গায় দাড় করিয়ে চিন্তা করেন। অতঃপর বললেন,

 - অনন্যা, তুমি কি জানো তুমি অনেক বেশিই সরল?

বলেই ওর দিকে তাকালেন। ও চোখ নামিয়ে মাথা নেড়ে সায় জানায়। সেটা দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন উনি। ধীরে সুস্থে বললেন,

 - ভালোবাসা কোন অপরাধ নয়, অনন্যা। তাই তুমি যে ছেলেটাকে ভালোবাসো বা ভালোবেসেছ সেটাও অপরাধ নয়। আবার ওই ছেলেটা যে না বলে হারিয়ে গেল, এটার দায়ও তোমার নয়। তাহলে তোমার সমস্যাটা আসলে কোথায়?... দেখ, তোমাকে নিয়ে তোমার মা-বাবার একটা স্বপ্ন আছে। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার না হোক, খুব ধনী না হোক, কিন্তু তারপরও একটা ভ্যাগাবন্ড ছেলের সাথে তারা তোমাকে, নিশ্চয় মেনে নিবে না। এটা অবশ্যই তাদের ভুল ইচ্ছা কিংবা দোষ নয়। এটা তাদের অধিকার। আর কিছু না হোক তোমাকে তারা কখনই দুঃখী দেখতে চাইবেন না!... 
তুমি এখন মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগছ, ওই ছেলেটাকে নিয়ে যাকে তুমি ভালোবাসো। কিন্তু বলতে পারো নি। বলতে পারলে কী হতো, তোমার পরিবার মানতো কী না আমি জানি না... কারণ সেটা হয় নি। কিন্তু একটু ভাবো তো, তুমি যাকে ভালোবাসো, সেই ভালোবাসার চেয়ে তোমার পরিবারের ভালোবাসা বেশি না কম?.. ধরো, তুমি ওই ছেলের ভালোবাসায় বুঁদ হয়ে পালিয়ে গেলে, তখন কী হতো? আমি এ ব্যাপারে কিছু বলবো না, এটা তোমায় ভাবতে হবে।.. ভাবো।
তোমাকে সবসময় বর্তমান নিয়ে ভাবতে হবে। অতীত ভুলে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে হবে। সেজন্য ধ্রুবকেও ভুলতে হবে।... আমি জানি বলা যতোটা সহজ করা তারচেয়ে অনেক বেশি কঠিন। কিন্তু কঠিন হলেও কাজটা তোমাকে করতে হবে। অ্যাটলিস্ট ওকে ভুলতে না পারো, ওকে নিয়ে চিন্তা করা বাদ দাও!.. হাসো, খেল, কাঁদো, কিন্তু বিষণ্ণতায় ডুবে যেও না। তোমার মন, তোমার ভালোবাসা তোমার কাছে। ওটা কেউ তোমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।.. তুমি ধ্রুবকে ভালোবাসতে চাইলে কেউ তোমাকে বাঁধা দিবে না। কিন্ত তাই বলে ওকে ভালোবেসে নিজের ক্ষতি করো না। নিজেকে সময় দাও। যত্ন দাও... ভাগ্যে বিশ্বাস রাখো, ধ্রুব তোমার ভাগ্যে থাকলে তুমি তাকে পাবে, নিশ্চয়ই!...

ডাক্তারের কথা অনু রেখেছে। ধ্রুবকে ভুলে না গেলেও আপাদত ওকে নিয়ে ভাবছে না। মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছে। যদিও ও খুব ভালো করেই জানে যে, ধ্রুবকে ভোলা ওর পক্ষে অসম্ভব! তবুও করছে। ওর এই সামান্য ত্যাগের জন্য যদি আর সবাই খুশি থাকে তো থাক। ক্ষতি কী?
.
.
.
চলবে........................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন