উন্মুক্ত লাইব্রেরী
পর্ব ১৯
আয্যাহ সূচনা
“তুই নিজে খাইতে পাস না।আবার এহন গলায় ঝুলাইছোস অন্য বেডিরে।কি খাওয়াবি বউরে?”
আফজাল মিয়ার কক্ষে বসে আছে বর্ণ। এসেছিলো আলোচনা করতে।উল্টো তিনি বউ খাওয়ানোর বানী জুড়ে বসেছেন।ভ্রুকুটি করে কিছুক্ষণ তাকালো বর্ণ। এত কথা ভালো লাগছে না।কাজের কথা না বলে আজাইরা আলাপ জুড়েছে।
“আমার মগজ একটু একটু ভুনা কইরা খাওয়ামু।লগে কিডনির ভাজি আর কলিজার ঝোল ওয়ালা তরকারি”
বিকৃত মুখভঙ্গিতে আফজাল মিয়া খ্যাঁক খ্যাঁক করে বলে উঠলেন,
“খবিশ কোনহানকার জানি!”
বেহুদা অর্থহীন কথায় নিজের সময় অপচয় বলে মনে হলো বর্ণের।অবশেষে বর্ণ গম্ভীর ভঙ্গিতে মূল প্রসঙ্গে এলো।বললো,
“চাচা এত কথা মজা লাগেনা।উপরের ঘরটা কি পরিষ্কার করায় দিবেন?”
আফজাল মিয়া প্রত্যুত্তর করলো,
“নিজেরা যদি কইরা নিতে পারোছ তাইলে কর।উপরের ঘরের ভাড়া বেশি কইলাম।”
বর্ণ আফজাল মিয়ার এরূপ কথায় ক্রুদ্ধ হয়ে বলে উঠে,
“উপরের ঘর বছরের পর বছর এমনেই পইড়া আছে।হঠাৎ কইরা এটার দাম কেমনে বাড়লো?আমি যেই ভাড়া দেই ওইটাই দিমু।….লন লাগলে নিজেরাই পরিষ্কার কইরা লইলাম।”
“এহ!আমার ঘরের দাম আছে হুমুন্দির নাতি!”
বর্ণ ঠোঁট শক্ত করে বলে উঠলো,
“এক পাও কব্বরে গিয়া আছে তাও শরীর ভর্তি টসটসা লোভ।দুইদিন পর মইরা যাইবেন।আমি কিন্তু দাবি ছাড়ুম না। মরার পরও দাবি রাখুম আপনি আমারে ঠকায় খুপড়ি ঘরের ভাড়া বেশি রাখছেন।”
আফজাল মিয়ার স্ত্রী ভীতু স্বভাবের।এতক্ষণ দুজনের কথা চুপচাপ শুনছিলেন।হুট করে আতঙ্কিত হয়ে উঠেন।মুখে সেই ছাপ স্পষ্ট।স্বামীর পিঠে হাত রেখে বললেন,
“এই তুমি ওর কথাই মাইনা লও।”
বর্ণ বাঁকা হাসে।বলে উঠে,
“চাচী?আপনিতো বুদ্ধিমতি।কেমনে বিয়া করলেন এই খাইস্টা ব্যাটারে?আপনার দরকার আছিলো আমার মত তাগড়া একটা পোলা। কিসব বুইড়ার চক্করে পইড়া আছেন। লন বিয়া করি”
আফজাল মিয়ার স্ত্রী ঠিকই ধরতে পারছেন বর্ণের ঠাট্টা।লাজুক ভঙ্গিতে মুখ লুকিয়ে বলে উঠেন,
“যা ছেড়া!”
অন্যদিকে মুখোমুখি অপমানে রেগে গেলেন আফজাল মিয়া।বর্ণকে চড় দেখিয়ে বললেন,
“নিজের বউ লইয়া থাক! আমারডার দিকে নজর দেস কেন?”
বর্ণ কাপড় ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। হাসতে হাসতে বললো,
“রাইত এর আন্ধারে আপনার বউ ভাগায় লইয়া যামু।ভালোয় ভালোয় উপরের ঘরের চাবিটা দিয়েন।আমি কইলাম এক কথার মানুষ চাচা।”
বর্ণের পিছু পিছু গেট অব্দি এসেছে আফজাল মিয়ার স্ত্রী।বর্ণ খেয়াল করেও পিছু তাকালো না।এক পর্যায়ে বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত আসলে বর্ণ ব্রেক কষে নিজের চলনে।দুষ্টু মুখে প্রশ্ন করলো,
“আরেহ চাচী কইলাম না নিশি রাইতে আপনারে ভাগায় নিমু।এত তাড়াহুড়া কেন? তাগড়া জোয়ান বর্ণরে দেইখা ফিদা হইয়া গেলেন নিহি?”
আফজাল মিয়ার স্ত্রী কপট রাগ দেখিয়ে কান মলা দিলেন বর্ণের।বর্ণ হাসছে।হেসে হেসে অভিনয় করছে ব্যথা পাওয়ার।মিথ্যে আর্তনাদের সুর।কান ছাড়লেন না তিনি তবুও।বললেন,
“আমার লগে মশকরা করছ!”
“করলাম একটু আপনে আমার ডার্লিং লাগেন না?”
আলতো করে চাপড় দিলেন বর্ণের গালে।বলতে লাগলেন,
“মশকরা কর!হাসিখুশি থাক।কিন্তু লগে এই ভাদাইম্মাগো মত রাস্তায় রাস্তায় না ঘুইরা দায়িত্ব ল।তুই কিন্তু এহন একলা না। বউ আছে তোর।”
বর্ণ মুখ কুচকে বলে উঠে,
“আপনারে আমি ভালো ভাবছিলাম।আপনি জ্ঞান দিতে শুরু করলেন কিলেগা? বিয়া করুম না কিন্তু”
“চুপ থাক! বউটারে যত্ন করিস। জনির লগে লাগালাগি কমায় দে।তোর আর ওর দুশমনি আবার বউয়ের উপরে না পড়ে।”
বর্ণ চুপ হয়ে গেলো। জনি!ওর থেকে বাঁচানোর জন্যেইতো এতকিছু।চক্ষু নুয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো বর্ণ।বললো,
“ওর লগে আমার অনেক হিসাব নিকাশ আছে চাচী। এসপাড় ওসপাড় না হওয়া পর্যন্ত যে কলিজার আগুন নিভবো না।আর রইলো ওই ছেমড়ি! বিয়া যেহেতু করছি একটা ফুলের টোকাও দিতে পারবো না।”
“যদি দেয়?দিয়া ফালায়?ওরাতো মানুষ ভালা না”
রহস্যময় হাসলো বর্ণ। জবাব দিলো, “ওর বুকে ইটা ভাঙ্গুম।কলিজা বাইর কইরা এই পুরান ঢাকার গলির কুত্তারে খাওয়ামু”
_______
বর্ণ অন্বেষাকে সচরাচর ফোন করেনা।প্রথম দিয়েছিলো সেদিন যেদিন তার মাথায় বিয়ে করার ভূত চেয়েছিলো।আজ দ্বিতীয়বার।অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলো অন্বেষা।হুট করে বর্ণের জরুরি তলব কিছুটা শঙ্কায় ঠেলে দেয় অন্বেষাকে।চিন্তায় বিভোর হয়ে হাঁটতে লাগলো অন্বেষা।গন্তব্য টিএসসি।বর্ণ জানিয়েছে সেখানেই অপেক্ষা করছে সে।কঠোর আদেশ জারি করেছে দ্রুত আসে যেনো।ঘরে চাল শেষ। কিনে পায়ে হেঁটে রওনা হলো অন্বেষা।
উচুঁ স্থানে পা ঝুলিয়ে বসে আছে বর্ণ। দূর হতে দেখলো ধূসর রঙের পোশাক পরিহিত এক মেয়েকে হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে আসতে।চিনতে কি ভুল হয়?সে যে সারাজীবনের জন্য গলায় ঝুলে যাওয়া মালা।
অন্বেষা অস্থির ভঙ্গিতে নিঃশ্বাস নিতে নিতে প্রশ্ন করে,
“কি হয়েছে?”
ঘেমে নেয়ে একাকার উজ্জ্বল শ্যামলা মুখশ্রী। নিয়ন আলোয় চিকচিক করছে ঘাম। বর্ণ দেখলো। হাতের ইশারায় বসতে বলে। অন্বেষা বসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায় বর্ণের দিকে।
“আমার মেসের নলে তিনদিন যাবত পানি নাই।”
আজব একটি কথা শুনে হতভম্ব অন্বেষা। মেসে পানি নেই এটা জানানোর জন্য ডেকেছে? প্রত্যুত্তরে জানতে চায়,
“তো?”
“আমিও তিনদিন যাবত গোসল করিনা।আমার কাছে আইবা?তোমার মনেতো পিরিতের রং। আহো তোমারে জড়ায় ধরি!”
জড়িয়ে ধরার ভনিতা করে কিছুটা এগিয়ে আসতে চাইলে অন্বেষা পিছনে সরে যায়।বিকৃত ভঙ্গিতে বলে,
“নোংরা কোথাকার!এসব বলতে ডেকেছো?”
ইচ্ছে হলো গালটা চেপে ধরতে।তবে তেমন কিছুই করেনি বর্ণ। দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠে,
“ইটিশ পিটিশ পিরিতের রং গায়ে মাখার আগে মনে আছিলো না আমি গান্ধা?”
লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে ধীরস্থির করলো অন্বেষা।বাড়ি গিয়ে বর্ণ রেঁধে দিবে না তাকে। তার কাজ তার নিজেরই করতে হবে।এখানে অহেতুক সময় নষ্ট করার কোনো মানে নেই।
“তুমি বলবে কেনো ডেকেছো?নাহয় আমি গেলাম।বাড়ি গিয়ে রান্না করতে হবে।”
বলে জায়গা থেকে উঠে দাঁড়ালো অন্বেষা।কাঁধে ব্যাগ চাপে।ফালতু প্যাঁচাল শুনতে আসেনি।আজ মেজাজ প্রচুর খারাপ।
“আরেহ বহো না ছেড়ি…আহো বাসর প্ল্যান করি”
অন্বেষার চক্ষু ছানাবড়া।বলে কি এই ছেলে!বাসর প্ল্যান করবে মানে? অন্বেষাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বর্ণ তার হাত টেনে পাশে বসায়।
“আরেহ তোমার আর আমার বাসর প্ল্যান করমু।একটা ঝাকানাকা প্ল্যান আছে আমার কাছে।”
হতবুদ্ধির মত চেয়ে এখনও অন্বেষা।এই ছেলেটার প্রেমেই পড়তে হলো?বর্ণ তোয়াক্কা না করে বললো,
“রং বেরঙের লাইট,তারপর ফুল আনমু কয়েক কালারের।ফুল জানি একা বোরিং ফিল না করে তাই কয়টা পাতা বাহার গাছও দরকার।ফুল লতা পাতা আর লাইটের বাসর।আমার বিয়ার চেয়ে বাসর নিয়া বেশি টেনশন।”
বিরক্তি আর বেহায়াপনার চরম সীমানায় পৌঁছেছে আলাপন। অন্বেষা বর্ণের মতো করেই বললো,
“হ্যাঁ তারপর দুজন চোখে মুখে কালী মেখে ঝিঙ্গা লালা হু হু করবো”
অন্বেষার বাহু চাপড়ে বর্ণ বললো, “মাক্ষন একটা আইডিয়া দিছো ছেমড়ি”
তর্ক করেও খানিক সংকোচে পড়ে গেলো অন্বেষা।মুখ ফুটে বাসরের কথা বলছে লজ্জাহীন ছেলেটা।নারীর কাছে প্রথমবার শুনতে বিষয়টি ভীষণ লজ্জাজনক বটে।হাওয়ায় ভেসে বিয়ে করে ফেলার পর বিয়ে পরবর্তী সময় নিয়ে কি ভাবার সময় ছিলো?
বর্ণ ক্ষুদ্র চোখে লালাভ বর্ণ ছোঁয়া মুখপানে চেয়ে প্রশ্ন করে,
“লাল নীল বাত্তি জ্বলে কেন মুখে? আহো তোমারে সিগন্যালে খাড়া করায় দিয়া আহি।”
অন্বেষা মাথা নত করেই শক্ত স্বরে বলে উঠে,
“কি বলতে ডেকেছো স্পষ্ট করে বলো।”
“যদি না কই কি করবা? মারবা?স্বামীর উপরে হাত তুলবা? ছিঃ ছিঃ!এগুলি পাপ জানো না।”
স্বামী শব্দটি ঝংকার দিয়ে কানে বাজলো।বর্ণের কাছে শব্দগুলো ভীষণ স্বাভাবিক।তার কাছে ততটাই অস্থিরতার কারণ।নতুন অনুভুতিগুলো যেনো শব্দহীন।ভালো লাগা নাকি খারাপ লাগা কিছুই বোধগম্য হলো না। বিভ্রাট সৃষ্টি করলো এই দুয়ে।কাঁধে থাকা ব্যাগ শক্ত করে চেপে রইলো।বর্ণ ইচ্ছেকৃত অধিক সময় ব্যয় করে বলে,
“কালকে সকালে তোমার যত বালের ক্লাস, বালের অফিস, বালের রান্দা আছে সব বাদ। বাড়িওয়ালারে কইবা বাড়ি ছাড়বা। এমনেতেও ব্যটার লগে আমার একটু পার্সোনাল দুশমনি হইয়া গেছে।আর আমারও চাকরি গুল।আমি আপাতত নয় হাজার টাকার মালিক কিন্তু বেকার।মনে থাকবো যা যা কইছি?”
অন্বেষা দৃষ্টি তুলে শুধায়, “এসব কেনো করবো?”
“সংসার করার শখ না? শখ মিটামু।কালকের পর থিকা বর্ণের লগে জুইড়া প্রতিদিন পুড়বা। ঝলসায় যাইবা।কয়লা হইবা।তারপর তোমারে নিয়া গিয়া আমি কয়লার মিলে বেইচা দিমু।”
_______
অন্বেষা বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে।তার কয়েক কদম পিছু পিছু বর্ণ।হাঁটছে এবং দেখছে শক্ত হাতে ভারী চালের ব্যাগ তুলে রাখা দূর্জয়ী রমণীকে।একবার মায়া হলেও মন থেকে মায়া ঝেড়ে ফেলে দেয় আকস্মিক।এত মায়ায় যে বরাবরের মতই তার পোষাবে না।কিছুতেই অনুভূতিহীনতার সাথে আপোষ নয়।মায়ার স্থান গ্রহণ করলো প্রশ্ন।কি করে এই মেয়েটা এত দুঃসাহসী?এত বল কোথা থেকে আসে তার এই দেহে?মনের বল দেহবল রূপে জ্বলিত হয় বুঝি?
হুট করে গলির মুখে অন্বেষার পদচারণ থামে।তার কদম অনুসরণ করে চলা বর্ণেরও।কিছুটা অবাক অন্বেষা।বর্ণের চোয়াল শক্ত হয়ে উঠে।পেছন থেকে সামনে এগিয়ে এলো।দূরত্ব দিয়ে একহাত আর কনুই এর সাহায্যে শক্ত স্থানে ভর করে দাঁড়ালো।
অন্বেষার পথ আটকে দাঁড়ানো জনির ঠোঁটে হাসি।নরম গলায় অন্বেষাকে প্রশ্ন করে,
“আপনি কি এই মহল্লায় নতুন নিহি?”
অন্বেষা কিছুটা বিব্রত হয়ে জবাব দেয়, “জ্বি”
জনি বুঝবার ভঙ্গিতে মাথা দোলালো।বললো,
“আচ্ছা।হাসিব চাচার বাড়ীতে থাকেন?”
অন্বেষা আবারো সাবলীল স্বরে জবাব দেয়, “জ্বি”
“আপনার আব্বা আম্মায়ও লগে থাকে?”
“জ্বি না একাই থাকি…”
বলে সামান্য ঘাড় ঘুরায় অন্বেষা। ল্যাম্প পোস্টের নিচে সং সেজে দাঁড়িয়ে বর্ণ। অগ্নিচক্ষু স্পষ্ট দৃশ্যমান।কাছাকাছি হওয়ায় দেখতে পেলো অন্বেষা।চোখ দিয়ে গিলে ফেলার পাঁয়তারা করছে।আগুন চোখের ইশারায় কিছু একটা বলতে চাইছে।এক পর্যায়ে আঙ্গুল তুলে ইশারা করলো। অন্বেষা বুঝতে পারলো না কিছুই।
তখনই জনি আবার প্রশ্ন করে, “ওহ!”
হুট করে অন্বেষার ফোন বেজে উঠে।বর্ণ অন্যদিকে ঘুরে কল করেছে তাকে।ফোন রিসিভ করলো। বাজখাঁই গলায় বর্ণ বলে উঠলো,
“ইশারা বুঝো না।এই হিজড়ারে সামনে থিকা সরায় বাড়ি যাও।ওর লগে বেশি আলাপ পারলে তোমার কলিজা চাবায় খাইয়া ফালামু!”
এমন হুমকিতে খানিক থতমত খেয়ে যায়।হুম বলে ফোন কেটে দিলো।স্বল্প ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো বর্ণ এখনও সেখানে দাঁড়িয়ে। অন্বেষা বললো,
“বাবা মার সাথে না তবে স্বামীর সাথে থাকি।”
জনি যেনো আকাশ থেকে পড়লো।প্রশ্ন করলো আশ্চর্য ভঙ্গিতে,
“স্বামী মানে?”
“স্বামী মানে হাসবেন্ড”
“ঐটাতো বুঝলাম…হাসবেন্ড? মানে কি? তুমি বিবাহি….”
“হাসবেন্ড মানে আপনাদের ভাষায় জামাই।”
“আরেহ বুঝবার পারছি…তোমারে দেইখ্যা লাগেনা তুমি বিবাহিত।”
“না লাগলে কি করার বলুন? সত্যিতো এটাই”
জনি উদাস স্বরে বলে উঠে, “হুম”
“আসি তাহলে?আমার গুন্ডা টাইপ স্বামী যেকোনো সময় রেগে ফায়ার হয়ে যেতে পারেন।”
জনি মাথা দুলিয়ে বললো, “হ হ যাও”
অন্বেষা গলির মধ্যে যেতে যেতে পিছু তাকায়। একবার বর্ণের দিকে চেয়ে জনির পানে দৃষ্টিপাত করলো।বললো,
“অপরিচিত মানুষকে আপনি বলে ডাকবেন।ঠিক আছে?তাছাড়াও আমি আপনার বড় বোনের মতো।”
চলবে……........................