রোদরঞ্জন - পর্ব ৩৮ - আশফি শেহরীন চিত্রা - ধারাবাহিক গল্প


শীতের আমেজ নেই বললেই চলে। বৃষ্টি এসে জানান দিচ্ছে শীতের শেষ এসে পড়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিই তার প্রমাণ। ইনান কপালে হাত রেখে আকাশের দিকে বিতৃষ্ণা নিয়ে তাকায়। বৃষ্টি আসার আর সময় পায় না! ইনানের ফুরফুরে মনটা নিমিষেই বিষণ্ন হয়ে গেল। বিকেলে পরিষ্কার আকাশ দেখে বের হয়েছিল কাঠ কাটতে। আজ তার আর জেহফিল দুজনেরই খুব ইচ্ছে করছিল ছাদে আগুন জ্বালিয়ে শীতের শেষটা উপভোগ করবে, শিক কাবাব বানাবে, গান গাইবে, গল্প করবে। গোডাউনে কাঠের স্বল্পতা দেখে ইনান বনে এসে কাঠ কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। জেহফিল সাথে আসতে চাইলেও ইনান জোর করে তাকে রেখে চলে আসে। 

বৃষ্টির তেজ বেড়েই চলেছে। স্বচ্ছ নীলাকাশ ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে কালো মেঘেদের থাবায়। ধরণী তলিয়ে গেল আঁধারে,‌ যখন শোঁ শোঁ শব্দে জোরে বাতাস বইতে লাগল। ঝড় হবে। আকাশ ভেঙ্গে সজোরে বারিধারা আরম্ভ হলো। কয়েক পলের মাঝেই ইনান ভিজে চুপচুপে হয়ে গেল। কোমরে হাত দিয়ে অসহায় চোখে টুকরো করা কাঠের দিকে তাকালো। যেন ক্ষমা চাইছে। এত সময় নিয়ে সে মাত্র দুইটা কাঠ কাটতে পেরেছে। কয়েক টুকরো কাঠ দড়িতে বেঁধে একটা লম্বা ডাল কাটার জন্য প্রস্তুত হলো। এত অন্ধকার হয়ে গেছিল চারপাশ, সাথে গাছ এবং ঝোপঝাড়ের কারণে নিশানা ঠিক রাখা দুর্গম হয়ে পড়েছিল। হঠাৎ তার জেহফিলের কথা মনে পড়ল। 

এই বৃষ্টি দেখে জেহফিল যে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না তা তার মাথা থেকেই বেরিয়ে গেল। নিশ্চয়ই জেহফিল ছাতা মাথায় ইনানকে খোঁজার জন্য রওনা দিবে। ইনান গাছের ডাল রেখে দ্রুত বাকিগুলো কাঁধে তুলে নিল। অন্ধকার বাড়ার আগে আগেই ঘরে যেতে হবে। কুড়াল এক হাতে নিয়ে পিছু ফিরতেই শক্ত কিছুর সাথে ধাক্কা খেল সে। আচানক ধাক্কায় কাঁদা মাটিতে পা পিছলে উল্টে পড়ে গেল। হাতের কুড়াল আর ভেজা কাঠ ছড়িয়ে পড়ল এদিক সেদিক। গাছের সাথে ধাক্কা খেয়েছে মনে করে বিরক্ত নিয়ে সেই গাছের দিকে তাকাতেই মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায়। শরৎ পকেটে হাত দিয়ে কুটিল হেসে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

‘বাহ! তোর তো দেখি অনেক শক্তি! তারমানে বেডে তোর সাথে জেহফিলের খুব ভালোই পারফরমেন্স হতো তাই না?’
 
বলতে বলতে চোখ তার জ্বলজ্বল করে উঠল, ‘চল না রে, তোর পারফরমেন্স দেখাবি আমাকে, আজাইরা কামে শক্তি নষ্ট না করে আমার উপরেই নষ্ট কর না হয়। লেটস হ্যাভ ফান।’

এই বলে এক পা এক পা করে ইনানের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। জেহফিল আর তার সম্পর্কে এত বাজে মন্তব্য শুনে গা রি রি করে উঠল ইনানের।

ইনানের বাবা বলেছিল শরৎকে খোঁজার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছে, কিন্তু কয়েকদিন ধরেই নাকি শরৎ লাপাত্তা। শরৎএর চারিদিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আগে থেকে কেউ অবগত ছিল না বিধায় ইফাজ খানের মেয়েকে হেনস্থা করার কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন শরৎএর বাবা। এমনকি ইফাজের মুখে শরৎএর অতীতের কিছু বাজে কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জেনে নেন। এবং ইফাজ খানকে কথা দেন শরৎ বাড়িতে আসা মাত্রই তাকে ঘাড় ধরে জেলে দিয়ে আসা হবে। 

তবে হুট করে শরৎ যে অসময়ে এইখানে এসে পড়বে তা ভাবনাতীত ছিল ইনানের।‌ শরৎএর এগোনো দেখে ইনান আশপাশটায় নজর বুলিয়ে নিলো। এইখান থেকে দুই মিনিটের পথ তাদের বাড়িতে যেতে। কিন্তু শরৎ সেই পথের মাঝেই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই তাকে উল্টো পথ বেছে নিতে হবে। জঙ্গলের প্রতিটা ঝোপঝাড় ইনানের চেনা। অনেক বার জেহফিলের সাথে এখানে এসেছে সে। 

ইনান হাতের নাগালে কাঠ পেল একটা। তা শরৎএর পায়ের দিকে ছুঁড়ে মেরে কল্পনামাফিক দৌড় দেয়। শরৎ সাইডে সরে যাওয়ায় পায়ে লাগেনি আর। 

‘তেজ কমাবো তোর, জাস্ট ওয়েট।’ চোখ মুখ কুঁচকে বলল শরৎ। কাঠটা হাতে নিয়েই ইনানের পিছু পিছু ছুট লাগায়। 

ঘনিয়ে আসা অন্ধকারে গাছের ডালপালা, লতাপাতা মাড়িয়ে দৌড়াতে বেশ বেগ পেতে হয় ইনানের। বাতাসের ঝাপটায় গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ছে হঠাৎ হঠাৎ। কয়েকবার ইনানের কাঁধ, পায়ের উপরেও সরু ডাল পড়েছে, এছাড়া কাঁদা মাটিতেও পিছলে পড়েছে। পরনের ক্রপ টপ আর জিন্সে ভেজা মাটি, গাছের পাতা লেপ্টে আছে। বড় বড় গাছের আড়ালে লুকানোর চেষ্টা করেও পারে না ইনান, এভাবে খোলা জায়গায় লুকানো যায় না। ইনানের হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলছে। অবিশ্রান্ত দৌড়ানোর ফলে ঠান্ডা আবহাওয়াতেও গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ঝমঝম বৃষ্টি, ভূতুড়ে পরিবেশ, বড় বড় গাছের অন্ধাকার ডালপালা, শরৎএর আক্রমণ- সবকিছুর ভয় একসাথে ইনানকে জেঁকে ধরেছে। 

দৌড়ানোর মাঝে শরৎ কয়েকবার কাঠ নিয়ে ইনানের পা বরাবর ছুঁড়ে মেরেছিল। ভাগ্য সহায় ছিল ইনানের যে একটাবারও কাঠ পায়ে লাগেনি। 

এখন তাজবীর কোথায়? এই নাকি তাকে চোখে চোখে রাখে তাহলে এখন কোথায় গেল? ইনান আর জেহফিল যখনই একটু বারান্দায় কিংবা রুমে খুনসুটি করে তখন তাজবীর বেয়াদবের মতো হা করে তাকিয়ে থাকে, মিটিমিটি হাসেও। আবার ইনান এও লক্ষ্য করেছে তাজবীর মোবাইলটা সবসময় হাতে একভাবেই রাখে, ইনানের কয়েকবার সন্দেহ হয়েছিল তাজবীর তাদের ছবি তুলছে না তো। তাজবীরের এসব ব্যবহারে অনেক ত্যক্তও হয়ে গেছিল ইনান। সারাক্ষণ নজরে রাখে এখন যখন বিপদ আসলো তখন বান্দা কোথায় গেল? তাজবীরের গোষ্ঠী উদ্ধার করতে লাগল ইনান‌।

ছুটতে ছুটতে হঠাৎ তার পকেটে মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠে। গড! ইনান তো ভুলেই গিয়েছিল সাথে যে মোবাইল ছিল। দৌড়ানো অবস্থাতেই ইনান বের করে দেখে পানিতে মোবাইল সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে দ্রুত কল ধরল। 

‘ইনান তুমি কোথায়, ঘরে এসে বসে আছি। এই বৃষ্টির মাঝে কোথায় গেলে?’

‘বাবা…’ 

ইনানের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার এলোমেলো নিঃশ্বাসের আওয়াজ শুনে ধরফড় করে উঠলেন ইফাজ।

‘কী হয়েছে ইনান? এমন শোনাচ্ছে কেন তোমার আওয়াজ? তুমি কোথায়?’

‘আমি… বাবা, শরৎ আমার পিছু নিয়েছে। আমি এখন… আমি এখন বাড়ির পেছ…পেছনের জঙ্গলে…’ হড়বড়িয়ে এক নিঃশ্বাসে বলল ইনান।

‘কল কেটো…’

ইফাজ খানে কথা কেটে গেল। ইনান মোবাইল সামনে এনে দেখল মোবাইল অফ হয়ে গেছে। পকেটে ঢুকিয়ে পা চালায়। উদ্দেশ্য আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া। ঐখানে গেলেই ঘরে যাওয়াটা সহজ হয়ে যাবে। 

ঠিক তখনই পেছন থেকে শরৎএর ছুঁড়ে মারা কাঠ আঘাত হানে ইনানের পায়ে। কয়েকবার চেষ্টার পর অবশেষে ইনানের পায়ে লাগল। তার সাত আট কদম দূরেই ইনান। ইনান ব্যথায় কঁকিয়ে উঠল, চিৎকার করে উঠল জেহফিলের নাম ধরে। মনে মনে সে চাইছে জেহফিল আসুক, তাকে এই জানোয়ারের হাত থেকে বাঁচাক।

আহত পা নিয়েও ইনান থামল না। শরীরের সব শক্তি এক করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দৌড় দেয়‌। যেহেতু শরৎ এই রাস্তার সাথে পরিচিত নয় তাই তার জন্য ইনানকে ধরাটা একটু কঠিনই হয়ে পড়েছে। নাহলে কখন ইনানকে ধরে মাটির সাথে চেপে…

সন্ধ্যা নেমে গেছে। আকাশের অবস্থা দেখলে মনে হয় এখন রাত একটা। অন্ধকারে বৃষ্টির পানিতে পা আছড়ে ফেলে শেষ পর্যন্ত ইনান আগের জায়গায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়। এইখান থেকে বাড়ির পথ সহজ হবে।
___

ইফাজ খান ছাতা হাতে দৌড়াচ্ছেন আর ইনানের মোবাইলে লাগাতার কল দিচ্ছেন। কত বড় বড় অপরাধীদের তিনি ধাওয়া করেছেন। তখন ততটাও বুক কাঁপেনি এখন যতটা কাঁপছে। তার মেয়ে এখন বিপদের মুখে। তাকেই যে বাঁচাতে হবে তার মেয়েকে।‌ তিনি চিৎকার করে ইনানকে ডাকছেন, আর চোখ যেদিকে যাচ্ছে সেদিকেই দৌড়াচ্ছেন। পকেট থেকে ব’ন্দুক বের করে হাতে রাখলেন। শরৎকে দেখা মাত্রই তার মাথার খুলি উড়িয়ে দিবেন। 

____

শরৎ হাঁপাতে হাঁপাতে আগের জায়গায় ফিরে আসে। বৃষ্টির পানিতে চোখ খোলা দায় হয়ে যাচ্ছে। ইনান এত সহজে পালাতে পারবে না তার হাত থেকে। নিশ্চয়ই কোথাও লুকিয়ে আছে। ইনানের আওয়াজ শোনার চেষ্টা করে, কিন্তু বৃষ্টির ভারী আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। চোখের উপর জোর দিয়ে ঝোপঝাড়ে ইনানকে খুঁজতে থাকে সে। 

ঠকঠক! শরৎএর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাকে কিছু একটার জানান দিচ্ছে। বৃষ্টির খরশান শব্দের চেয়েও অন্য একটা শব্দ তার কানে ধাক্কা খায়। কান পেতে শোনার চেষ্টা করল সে। গাছ কিংবা কাঠের উপর লোহার কিছুর একটার ঘর্ষণের আওয়াজ, সাথে একটা মানুষের কিছু বলার আওয়াজ।

যখন টের পেল আওয়াজটা তার পেছন থেকে আসছে তখন ঘুরল পেছনে, আর সঙ্গে সঙ্গেই তার সে মাটিতে পড়ে গেল, চোখ বড় বড় করে অন্ধকারে সে দেখল তার নিচের মাটি গাঢ় লাল হয়ে আছে, উৎসের দিকে খেয়াল করতেই দেখল একটু দূরে তার ব্র্যান্ডের ঘড়িটা এবং তার শার্টের হাতা। ধাঁধালো মস্তিষ্ক ততক্ষণাৎ ধরতে পারে না ব্যাপারটা। ক্রমান্বয়ে শরীরের মাঝে একটা ঝাঁকুনি অনুভব করল শরৎ। চোখের দৃষ্টি স্পষ্ট হয়ে গেল, দেখল তার ঘড়ি আর শার্টের হাতাই নয়, তার আস্ত হাতটা তার থেকে ছয় ফুট দূরত্বে মূর্তির হাতের ন্যায় পড়ে আছে। রক্ত মাখানো হাতের কাটা অংশ আর হাড্ডি জ্বলজ্বল করছে। গগন কাঁপিয়ে চিৎকার দিলো শরৎ যখন বুঝল তার এক হাত নেই। পাগলের মতো এপাশ ওপাশ করতে থাকে অসহ্য যন্ত্রণায়। 

ইফাজ খান থমকে যান কারো চিৎকার শুনে। খুব বেশি দূরে নয়। বুক কেঁপে উঠে তার। সেদিকে ছুটেন তিনি।

শরৎ ছটফট করতে করতে ঝাপসা দেখে তার সামনে কেউ একজন পা হেঁচড়ে এগিয়ে আসছে। হাতে ধরা ইনানের সেই কুড়ালটা। শরৎ ভয়াতুর চোখে তাকায় তার যমের দিকে। অন্ধকারে বুঝতে পারে না। শুধু ঝাপসা একটা অবয়ব দেখতে পারে সে, সাথে কানে বাজে কিছু শব্দ,

‘...র বা….ই’

এই সেম একটা বাক্যই বারবার শুনছে সে, কিন্তু ধরতে পারছে না কথাটা। 

হাড়হিম হয়ে গেল শরৎএর শরীর। কোনো কথা বের হচ্ছে না তার মুখ দিয়ে, খুব ‘প্লিজ, তুমি যেই হও, ছে…ড়ে দেও আমাকে। আ..আই প্রমিস, আর কখনো ইনানের ক্ষতি করবো না… চোখ তুলেও তাকাবো না..প্লি…’

শরৎএর কথা শেষ না হতেই অবয়বটা কুড়াল দুইহাতে তুলে কপাল বরাবর আঘাত করল। মুহূর্তের মাঝেই শরৎএর ভ্রূ থেকে উপরের অংশ অর্থাৎ মাথা আলাদা হয়ে গেল। মগজের প্যাঁচানো অংশগুলো ছোট ছোট পোকার মতো আশেপাশে ছিটিয়ে পড়ল। শরৎএর শরীরের কম্পন ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে, চোখ খোলা এবং মুখ হা হয়ে ঘাড় কাত করে পড়ে আছে সে। বৃষ্টির পানিতে র’ক্তগুলো মিশে গেল মাটিতে। চারিদিক র’ক্তে রঞ্জিত হয় গেছে। 

অবয়বটি সেখানেই ক্ষান্ত হলো না। আরো কয়েকবার কো’প দিল শরৎএর বুকে, পেটে, গলায়, পায়ে। কো’পাতে থাকল যতক্ষণ না তার মনের আঁশ মিটে। গরগর করে কাঁপতে কাঁপতে কত শতবার কো’প দিল হিসাব নেই। শরৎএর চোখ খুলে নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছে, আরেক চোখ কানের সাথে ঝুলে আছে। গলার হাড্ডি দেখা যাচ্ছে। তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। 

শরৎকে বিচ্ছিন্ন করা শেষে মানুষটা জ্বলন্ত চোখে শরৎএর কা’টা দেহের দিকে চেয়ে থাকে। তারপর বসে থেকে শরৎএর অঙ্গগুলো একত্রিত করে সাজাতে থাকে, ইংলিশে লিখে,

‘ MY BUTTERFLY’ 

লেখাটা থেকে রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছিল। এত ভয়ানক লাগছিল দেখতে কিন্তু তার কাছে যেন খুবই সাধারণ। সে কুড়ালটা ফেলে পা টেনে টেনে চলে যায়…

ঝোপের আড়াল থেকে সবটা লক্ষ্য করছিলেন ইফাজ খান। তার শরীর কাঠ হয়ে গেছে। কিছুই টের পাচ্ছিলেন না তিনি। রক্ত যেন নেই শরীরে। হাত পা থরথর করে কাঁপছে তার। শরীরের প্রতিটা লোম দাঁড়িয়ে গেছে ভয়ে। মাথা চক্কর মে’রে উঠল। এক্ষুনি যেন ঘুরে পড়বেন। গাছের সাথে হাত ঠেকিয়ে নিজেকে সামলান। এত ভয়ানক দৃশ্য দেখার আগে তার মৃ’ত্যু হলো না কেন? 
.
.
.
চলবে…........................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন