‘ইনানের বাবা, ইফাজ খানকে চিনেন নিশ্চয়ই? আপনি তো ওনার আন্ডারেই ছিলেন তাই না?’
তাজবীরের নিচ তলার রুমে দুইটা আরএফএলের চেয়ারে মুখোমুখি বসে আছে পলক আর তাজবীর। আর ছোটো একটা টুলের উপর কফি। পলক ছুঁয়েও দেখল না। তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ হলেও পলকের কাছে গরম লাগছে অনেক। সে শার্টের দুইটা বোতাম খুলে রাখলো। তাজবীর কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে আর পলককে ডিটেকটিভদের মতো প্রত্যক্ষ করছে। পলকও তো সুন্দর কম না। তাহলে ইফাজ খান পলককে ছেড়ে জেহফিলের মতো জানোয়ারের কাছে কেন মেয়ে দিলো? যাকগে, সেটা নিয়ে তার মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।
পলক সটান বসে আছে। তার অভিব্যক্তি বোঝা দুষ্কর। ভ্রু কুঞ্চিত করে শক্ত চোয়াল উঁচু করে পায়ের পা তুলে বসে আছে। ব্যাটার ভাব এমন যেন সে না, তাজবীর এখানে অতিথি হয়ে এসেছে, আর সে ঘরের মালিক। সে তাজবীরের কথার জবাব না দিয়ে ফের প্রশ্ন করে,
‘মেইন টপিকে আসুন। শরৎকে কে খুন করেছে সেটা আপনি ভালো ভাবেই জানেন তাই না?’
‘ইয়াপ।’ কফির মগ ঘুরাতে ঘুরাতে বলল।
‘আর সেটা জেহফিল। সেটাও কি জানেন?’
‘অবশ্যই জানি।’
‘পার্ফেক্ট।’ পলকের মুখ উজ্জ্বল হলো। জেহফিলকে কী কঠিন শাস্তি দেয়া যায় ভাবতে লাগে সে। ফাঁ’সি দিবে? নাকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড?
‘আর কী এভিডেন্স আছে আপনার কাছে? যাতে জেহফিলকে ধরা সহজ হয়ে যায়?’
তাজবীর তেরছা হাসে, দুই হাঁটুতে কনুই রেখে সামনে ঝুঁকে আসে। নিচু স্বরে বলে, ‘ভিডিও আছে।’
পলক প্রসন্ন হাসলো। এ তো মেঘ না চাইতেই জল। তার ভেতরটা উত্তেজনায় ছটফট করছে। এত ভয়ানক ভাবে হ’ত্যা করার ভিডিও দেখলে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না, বরং মৃ’ত্যু দিবে। আর সেটাই তো পলক চায়। অবশেষে.. অবশেষে ইনান তার হবে। ভেতরে ভেতরে এক্সাইটেড হলেও মুখে প্রকাশ করল না সে। ভাবভঙ্গি ফর্মাল রেখে বলল,
‘আশা করছি আপনি আমাদের হেল্প করবেন ভিডিওটা দিয়ে। ইউ নো, এই ধরনের মানুষ কতটা ডেঞ্জারাস। নেক্সট টার্গেট কে হয়, আবার কাকে মা’রে, এরা একটা আতঙ্ক ক্রিয়েট করেছে।’
‘অবশ্যই হেল্প করবো মি. পলক।’ দাঁত বের করে চমৎকার হাসলো তাজবীর, তার গালের টোল ভারী সুন্দর। ‘আপনাকে একজন ডিসেন্ট পুলিশ অফিসার মনে হয় আমার কাছে। তাই আপনাকে আরো একটারও ভিডিও দিবো।’
কমপ্লিমেন্ট কানে নিলো না পলক। বহুবছরের প্র্যাকটিস করা লোক দেখানো হাসি হাসলো।
‘জেহফিল আমাকেও মা’রতে এসেছিল। সেই ভিডিও আমি রেখেছি। অবশ্য লুকিয়ে লুকিয়ে জান হাতে নিয়ে করতে হয়েছে।’
আর কী লাগে পলকের? অনেক প্রমাণ আছে। শরৎকে মা’রার ভিডিওটাই তো মেইন। আরেকজন ভিক্টিম পাওয়া গেল তবে।
‘ভিডিওগুলো দিন।’
পলকের তাড়া বুঝল তাজবীর। কিন্তু এত সহজে তো দিবে না। তার উদ্দেশ্য তো আগে হাসিল করতে হবে। পলক লোকটা জেহফিলকে ধরার জন্য পাগল হয়ে আছে। নিশ্চয়ই এই শালাও ইনানের উপর নজর দিয়েছে। ইনানের জন্য তার চোখে ভালোবাসার ঝিলিক তাজবীরের নজর এড়ায়নি তখন। শিট পলক। শরৎএর মতো যেন তোমার অবস্থা না হয়!
‘দিবো। তার আগে আরো একটা ভিডিও দিবো আপনাকে।’ তাজবীর চাইলেই এখন সবগুলো ভিডিও দেখিয়ে সবকিছুর ইতি ঘটাতে পারে। কিন্তু তার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি এসেছে। কোনো কারণ ছাড়াই তাকে যেমন দৌড়ানি খেতে হয়েছিল, তেমন পলককেও একটু নাকানিচুবানি না খাওয়ালে তার ভালো লাগবে না। একটু স্বাদ নিক না। সমান সমান হয়ে গেল। দুজনে তখন গলা জড়াজড়ি করে দুঃখের গান গাইবে।
‘কীসের?’ উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চায় পলক।
‘ইফাজ খানকে তো চিনেন?’ তাজবীর থামে।
‘এটা বলার কী আছে? তারপর বলুন।’
তাজবীর কিছু না বলে মোবাইলে একটা ভিডিও অন করে পলকের চোখের সামনে ধরল। পলক স্তব্ধ বনে যায় ভিডিওটা দেখে। ভেতরকার সব উত্তেজনা বাষ্পের মতো মিলে যায়। চোখ অনুভূতিশূন্য। নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে তার। আদৌ কি ইফাজ এই হ’ত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত? সে যা দেখছে তা তার ভ্রম নয়তো?
ভিডিওতে দেখা যায় ইফাজ খান কাকভেজা হয়ে জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে সেখানে একটা বস্তা গেঁড়ে দিচ্ছে। বস্তায় এবং ইফাজের জামায় রক্ত মাখানো। বস্তার মুখ ভালোভাবে আটকানো না থাকায় হঠাৎ একটা চকচকে জিনিস নিচে পড়ল। জুম করলে দেখা গেল, একটা হাতের কাটা অংশে ঘড়ির গ্লাস চকচক করছে। পলক চিনে ফেলল চট করে, আজ রুহি শরৎএর যেই ছবিগুলো তাকে পাঠিয়েছিল সেখানেও সেইম কাটা হাতের ঘড়িটা দেখতে পেয়েছে।
তাজবীর মোবাইল সরিয়ে নিলো। পা দিয়ে ফ্লোরে ঠুকঠুক আওয়াজ করছে সে, মুখ গোল করে শ্বাস ফেলে বাইরে তাকায়। আরেকটু পর ভোর হয়ে যাবে। তাজবীর সেদিন বারান্দায় ইনানের খোঁজে গেলে দেখতে পায় বাসার সামনে ইনানের বাবার গাড়ি। ইনানের বাবা গাড়ির ডিকিতে কিছু একটা ঢুকানোর জন্য হুড়োহুড়ি করছেন। কাছ থেকে পর্যবেক্ষণের জন্য তাজবীর বৃষ্টির মধ্যেই বেরিয়ে পড়ে। গাছের আড়ালে থেকে লক্ষ্য করে সবটা। ইফাজের গায়ে রক্ত দেখতে পায়, আর বস্তাতেও রক্তাক্ত কিছু একটা। তার মন কু গাইছে, কোনো খারাপ কিছু হতে চলেছে…আঁচ করতে পারছে সে।
ইফাজ গাড়ি নিয়ে চলে গেলে সেও পিছু নেয় নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। যখন দেখল দূরের এক জঙ্গলে গাড়ি থেমেছে সে গাড়িটাকে পাশ কাটিয়ে রাস্তার বাঁকে রেখে আসে যেন চোখে না পড়ে। তারপর দ্রুত দৌড়ে দৌড়ে আসে সে জায়গায়। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় এবং বৃষ্টি থাকায় সমস্যা হয়নি। দেখল ইফাজ মাটি খুঁড়ছে। মোবাইলের ক্যামেরা অন রাখল। মাটিতে সেই বস্তা কবর দিয়ে চোরদের মতো পালায় ইফাজ। ক্যামেরা অফ করে তাজবীর মাটি খুঁড়ে বস্তা বের করে। কেননা সে দেখেছে একটা কাটা হাতকে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে। বস্তা বের করার পর যা দেখল তাতে সঙ্গে সঙ্গেই ভেতর থেকে সব উগড়ে দিলো তাজবীর। শরৎএর চেহারায় কয়েকটা কো’প পড়লেও বুঝা যাচ্ছিল। তাজবীর বেশিক্ষণ থাকতে চাইল না। দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। বস্তাটা টেনে রাস্তার ধারে রেখে গাড়ি নিয়ে চলে আসলো। ইফাজ খানকে ছাড়বে না সে। শাস্তি দিতে না পারোক, অন্তত অনুশোচনায় ভুগাতে তো পারবে! সারাজীবন অনুশোচনা করে ধুঁকে ধুঁকে মরা-ই বড় শাস্তি।
‘কান্ট বিলিভ দিস..’
পলক থেমে থেমে বলল। তাজবীরের ভাবনার সুতো কাটে। সে পলকের দিকে নজর বুলায়। দেখে মনে হচ্ছে পলকের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। পানির গ্লাস এগিয়ে দেয়। পলকের যেন হাত তুলতেও কষ্ট হচ্ছে। কাঁপা কাঁপা হাতে পানির গ্লাস নিয়ে কাষ্ঠ গলাকে ভিজিয়ে শান্তি দেয়। অস্বাভাবিক লাগছে তাকে।
তাজবীর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়। উঠে গিয়ে পলকের কাঁধে হাত রাখে। পলক ধাতস্থ হলে মোবাইল বের করে ইফাজের নাম্বারে ডায়াল করে। তাজবীর তা দেখে মোবাইল নিয়ে কেটে দেয় কল।
‘এখন না। সকাল হোক।’
পলক দুই হাতে মাথা চেপে ধরে নুইয়ে রাখে। যাকে আইডল ভাবত…যাকে এত শ্রদ্ধা করত…যাকে বাবার স্থান দিলো…দেবদূতের চোখে দেখত..সেই লোকটা পুলিশ হয়েও এত বড় একটা অপরাধ কীভাবে করতে পারল!! জেহফিল যতই শরৎকে মা’রুক, সাহায্য করেছেন তো ইফাজ। প্রত্যক্ষভাবে না হোক পরক্ষভাবে তো সাহায্য করেছে! শুধুমাত্র নিজের মেয়ের কথা ভেবে জেহফিলের মতো নিকৃষ্ট একজন খু’নিকে ছেড়ে দিলো!
পলকের কাঁধে রাখা হাত শক্ত করে চেপে সান্ত্বনা দেয় তাজবীর। পলক মলিন চোখে তাকায়, কিছু সময়ের ব্যবধানেই তার চেহারার বয়স যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
‘মি. পলক। লিসেন। আগে জেহফিলকে ধরুন। মেইন কালপ্রিট ও। ও কিন্তু খুব চালাক। এত সহজে ধরতে পারবেন বলে মনে হয় না। হাতের কাছে থাকলেও এত সহজে ধরা দেবে না সে। এক কাজ করা যায়।’
তাজবীর ঠোঁট চেপে ভাবল, ‘ইফাজ খান আর জেহফিলকে একসাথেই ধরে ফেলুন।’
পলকের চোখ প্রশ্ন দেখে তাজবীর নিজেই বলে, ‘ইজি ওয়ে। জেহফিলকে ধরতে পারলে ইফাজ খান পালাবে না। উল্টো দেখবেন নিজেই হার স্বীকার করবে। বেটার হয় প্ল্যান করে ওদের দুজনকেই একসাথে ধরুন। অবশ্য আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে, তবে সেটাতে আপনার লাইফেরও রিস্ক আছে।’
‘ডোন্ট কেয়ার, বলুন।’
তাজবীর হাসে, ‘ম’রতে রাজি আছেন মনে হচ্ছে।’
তাজবীরের উপহাস বিরক্তির উদ্রেক ঘটায় পলকের মনে।
‘ক্যান ইউ প্লিজ…’
‘সরি। যাইহোক, আমি আপনাকে হেল্প করতে পারি। তবে তার আগে একটা কাজ করতে হবে আপনাকে। ওহ, আরেকটা কথা বলতে তো ভুলেই গেছি। কয়েকমাস আগে যে ওদের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল আপনি জানেন?’
ভ্রু কুঁচকায় পলক, ‘ইনানের?’
‘দুজনেরই। কার অ্যাক্সিডেন্ট। আর তাতে ইনান গুরুতর আহত না হলেও জেহফিলের এক পা ভেঙে যায় মেবি। হাঁটতে চলতে কষ্ট হয়। দেখি আমি এখান থেকে।’
‘সত্যিই ভাঙলে ও খু’ন করতে পারতো না।’
‘হয়তো, হয়তো না। নাটক করছে কিনা সেটা আমিও নিশ্চিত না। আমাকে মা’রতে আসার টাইমে তো দেখলাম খুঁড়িয়ে আসছে।’
‘নাটক করছে, একশ পার্সেন্ট শিওর থাকেন।’
.
সকালের নরম রোদ লুটোপুটি খায় তাজবীরের মেঝেতে। পলক বিদায়ের জন্য উঠে পড়ে। পলকের সাথে হ্যান্ডশেক করে হঠাৎ তাজবীর বলে,
‘সাবধানে থাকিয়েন। আবার প্ল্যানের আগেই আপনি কেল্লাফতে হয়ে যাবেন না যেন।’
‘ল্যাংড়া জেহফিল মা’রবে নাকি আমাকে?’
‘হু নোউজ, মা’রতেও পারে। সাইকোদের ঠিক আছে নাকি? টেক কেয়ার।’
________
ইনান মুড অফ করে বসে আছে। জেহফিল আয়নায় ইনানের বিষন্ন সুশ্রী চেহারা দেখে যাচ্ছে একধ্যানে। তার বাটারফ্লাই হাসিখুশি থাকলেও যতটা সুন্দর লাগে, অভিমান করলে তারচেয়েও বেশি সুন্দর লাগে। এত মারাত্মক নজরকাড়া কেন তার ওয়াইফ! তার ওয়াইফ! জেহফিলের ওয়াইফ! কথাটা ঝনঝন করে উঠল বুকের মাঝে। তারই তো! আর একমাত্র, ব্যক্তিগত, নিজের ওয়াইফ! তার এত প্রীটি বাটারফ্লাইএর দিকে অন্য ছেলের নজর সে সহ্য করবে কীভাবে? ধপ করে জ্বলে উঠল সে। চোখে হঠাৎ অগ্নিশিখা ঝিলিক দিচ্ছে। পলক…জানোয়ারটা তার বাটারফ্লাইয়ের গালে হাত রেখেছে! কাছে এসেছে, খুব কাছে! তাও তার নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে! বুকের পাটা কতটুকু তা দেখার ইচ্ছা জাগল প্রচণ্ড। তার জন্য আগে তো বুক কা’টতে হবে। বুক থেকে বুকের পাটা আলাদা করতে হবে। কী দিয়ে আলাদা করবে সে? চোখ গেল স্কাল্পচার বানানোর চিকন ধারালো ছুরির দিকে।
জেহফিল নাকি আজকে রান্না করবে। সেটা নিয়ে ঝগড়া করছে তারা। ইনানই ঝগড়া করছে মূলত। জেহফিল অপলক ইনানকে দেখে চলেছে। ইনান মুখ গোমড়া করে বলল,
‘এই আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?’
‘সে তো তোমাকে দেখার পড়েই হয়েছি।’ চোখ টিপে দুষ্টু হেসে বলল জেহফিল।
‘নাটক কম করবেন। এমনিতেই হাঁটতে চলতে পারেন না, তা রান্না কীভাবে করবেন?’
‘রান্না করতে পা লাগে?’
‘না লাগুক। চেয়ারে বসে রান্না করবেন আমি জানি। কিন্তু কোনো টাইপের হেল্প নিবেন না এটা কেমন কথা? অ্যাটলিস্ট, আমি কেটেকুটে দেই, মাংস কাটি, সবজি কেটে দেই, সব এগিয়ে দেই, আপনি রান্না করেন। তাও করবেন না। সমস্যাটা কী আপনার?’
‘সমস্যা হচ্ছে এতদিন আমার বউ আমাকে কষ্ট করে রান্না করে খাওয়াচ্ছে তা আমার সহ্য হচ্ছে না। বউএর কষ্ট দেখতে পারছি না।’
‘আপনি কী…’
‘আর কোনো কথা না। যদি তুমি জোর করো তাহলে আমি কিচ্ছু খাবো না, ঔষধও না। অ্যান্ড আই মিন ইট। বোঝা গেছে?’
ইনান রাগত স্বরে আরো কথা বলতো, জেহফিলের চোখ গরম করা দেখে কিছু বলল না। দুইজন রেগে গেলে সমস্যা।
___
রাতের রান্নার জোগাড় সন্ধ্যাতেই করে ফেলতে চাইছে জেহফিল। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়াটা খারাপ না। খিচুড়ি করা যায়। বৃষ্টিময় আবহাওয়ায় ইনানের মোস্ট ফেভারিট খাবার খিচুড়ি। সাথে আমের আচার। আজ ইনানের পছন্দমতো সব রান্না করবে সে। তার ডিনারকে ভালোমতো ডিনার না করালে তো তুষ্ট হবে না।
কিচেনের জানালা দিয়ে বৃষ্টির পানি আসলে জেহফিল আটকানোর জন্য এগিয়ে যায়। তখন দেখল একটা গাড়ি তাদের বাড়ির নিচে থেমেছে। আর গাড়ি থেকে নেমে আসছে অপ্রত্যাশিত অতিথি..পলক। তা দেখে বাঁকা হাসলো জেহফিল। হাতের ছু’রিটা চেপে ধরল কিচেন ক্যাবিনেটের উপর। বিড়বিড় করে বলল,
‘looks like we're going to have a guest today. A very very important guest…’
.
.
.
চলবে…..........................