রাস্তার কিনারে ইতি বসে আছে দেখে ড্রাইভার চাচা দৌঁড়ে কাছে আসলেন। উনি ইতির মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘কাঁদো না মামণি চলো বাসায় যাই।’
‘হ্যাঁ চাচা। আপনি যান, আমি আসছি।’
দুই হাতে চোখের জল মুছে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসল ইতি। খোলা জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রইল। ঝরঝরে বাতাসে চুলগুলো হালকা উড়ছে। ইতি স্পষ্ট দৃষ্টি বাহিরে রাখল, এই আশায় হয়তো হঠাৎ স্যারকে সে দেখতে পাবে। বেশ খানিকক্ষণ পর। ড্রাইভার চাচা বললেন, ‘ইতি মামণি আমরা এসে গেছি।’
ইতি গাড়ি থেকে নামল। এরপর কিছুক্ষণ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দরজা খোলার অপেক্ষা করল। বাড়িতে প্রবেশ করে সে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে গেল। নাসিমা ডাকলেন, তবু দাঁড়াল না ইতি। এখন মায়ের মুখোমুখি হলে তিনি বুঝে যাবেন ওঁ কান্না করেছে। ইতি বাথরুমে থেকে স্নান করে দীর্ঘ সময় পর বের হলো দেখল বিছানার উপর নাসিমা বসে আছে। ইতি বলল, ‘আম্মু, তুমি কখন এলে?’
‘তুমি যখন আমাকে উপেক্ষা করে রুমে ঢুকেছিলে।’
‘মানে? তুমি দীর্ঘ ৩০ মিনিট ধরে ঘরে বসে আছো?’
‘হুম।' বলে থামলেন নাসিমা। এরপর বললেন, ‘তাড়াতাড়ি খেতে নিচে আসো।’ তিনি আর কিছু জিজ্ঞেস করল না, চলে গেল। ইতি বাধ্য মেয়ের মতন খাবার টেবিলে এসে বসল।
ইফাদ সিকদারের বয়স বাড়ছে। সময়ের সাথে সাথে ওনাকে চশমা নিতে হয়েছে। এখন চশমা ছাড়া সবই ঝাপসা দেখেন। ইফাদ জিজ্ঞেস করলেন, ‘মামণি তোমার দিনকাল কেমন চলছে?’
‘আলহামদুলিল্লাহ ভাল, আব্বু।’
‘তোমাকে একটা কথা বলতে চাই।’
‘কি কথা?’
‘আমরা তোমার জন্য একটা ছেলে দেখেছি, তুমি কাল একবার ছেলেটার সাথে দেখা কোরো।’
‘আব্বু অসম্ভব, আমার সময় হবে না!’
‘তোমার বাবা কথা বলছেন শেষ করতে দাও।’
‘আমি কিছু শুনতে চাই না। আম্মু! আমি কারো সাথে দেখা করতে পারব না। আমি স্যারকে ভালোবাসি। স্যার ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করব না। সারাজীবন এভাবেই থাকব, তবু কাউকে বিয়ে করব না! তবুও আমার বিয়ে নিয়ে যদি তোমরা আবারও কথা বলো, আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।’
ইতি খাবার রেখে চলে গেল। নাসিমা বললেন, ‘মেয়েটা না খেয়ে চলে গেল।’
ইফাদ উত্তেজিত ও রাগী কণ্ঠে বললেন, ‘আমি কি ভুল কিছু বলেছি? নাসিমা। আমি ওঁর বাবা, কিভাবে আমার মেয়েকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখতে পারি?’ বলে থামলেন ইফাদ। একটু পর আবার বললেন, ‘এই আমি। কত জায়গায় শাওনের খোঁজ করেছি, কিন্তু তার কোনো হদিস আজও পাইনি, যেন সে পৃথিবীতেই নেই। আমার একমাত্র মেয়ে তিলেতিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার যে কলিজা ফেটে যায়। আমি শুধু আমার মেয়েকে সুখী দেখতে চাই। এটা কি আমার অপরাধ?’
নাসিমা বললেন, ‘আমি পরে ওঁকে বুঝিয়ে বলব। তুমি খেয়ে উঠো।’
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল ইফাদ সিকদার। বললেন, ‘আমার মেয়ে না খেয়ে চলে গেল, আমি খাবো কিভাবে? আমার গলায় খাবার নামবে না নাসিমা। শাওন চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের মেয়ে ভয়ংকর পরিবর্তন হয়ে গেছে। ৬ বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। শুধু শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে ওঁর যেন জীবন্ত লাশ।’
নাসিমা মেয়ের রুমে আসলেন। ইতি রুমে নেই। বাথরুম ও বারান্দা চেক করলেন। সেখানেও নেই। নাসিমা ছাঁদে আসলেন দেখল তার মেয়েটা এককোনায় দাঁড়িয়ে আছে। তিনি গলা তুললো, ‘এত রাতে ছাঁদে আসছো কেন?’
‘আম্মু, আমাকে একা থাকতে দাও!’
‘ইতি তুমি আমাদের একমাত্র মেয়ে। তোমাকে আমরা এভাবে আর দেখতে পারছি না। আমরা চাই তোমার একটা কুল হোক।’
‘আম্মু আর কিছু বলবে না। আমি স্যারের জায়গায় কাউকে ভাবতে পারি না! এটা অসম্ভব।’
‘শাওন ৬ বছর ধরে চলে গেছে আর তুমি এখনও তাকে আঁকড়ে আছো। কেনো?’
‘আমি বাসা থেকে চলে যাব। আমাকে দেখবে না, তোমাদের কষ্টও হবে না।’
‘ইতি।’ নাসিমা ধমক দিলেন এরপর করুণ কণ্ঠে বললেন, ‘আমরা তোমাকে আর কিছু বলব না তোমার যা খুশি করো, কিন্তু বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবা না। তোমাকে ছাড়া আমরা বাঁচতে পারব না।’
নাসিমা কান্না লুকিয়ে চলে গেল। ইতি আকাশের দিকে দৃষ্টি স্থির করল। চোখ তারও ছলছল করছে। ইতি অকপটে বলল, ‘স্যার, আপনাকে ছাড়া থাকা আমার জন্য খুব কঠিন।’ ইতি চোখ বন্ধ করল, চোখের পাতায় ভেসে উঠল পুরোনো স্মৃতিগুলো।
◩
ছয় বছর আগে। সকাল ০৮:৩০ মিনিট, মঙ্গলবার ২৮ আগস্ট, ২০১৫। কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। হালকা কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি। সকালে কুয়াশায় ঢাকা থাকে। সকালের শিশিরে ঘাস ভেজা। মৃদু ঠান্ডা বাতাসের সাথে সাথে শীতের মেজাজ, ভোর যখন হালকা কুয়াশায় ঢেকে যায়, তখন ধীরে ধীরে সূর্য দেখা দেয়। সূর্যের রশ্মি জানালার কাঁচে ঢুকে ঘরে পড়ে। আলমারির কাভার্ড থেকে কলেজের পোশাক খুঁজতে লাগল ইতি। সহসা চিৎকার করে বলে উঠল, ‘আম্মু, আমার পোশাক খুঁজে পাচ্ছি না। একটু খুঁজে দাও।’
নাসিমা বললেন, ‘আমি রান্নাঘরে, নাস্তা বানাচ্ছি তুমি দেখছ না? আজ নিজে নিজে খুঁজে নাও।’
নীল বলল, ‘আম্মু, আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে, খুঁজে দাও না।’
নাসিমা বিরক্তিকর কণ্ঠে বললেন, ‘এই মেয়েকে নিয়ে যে কি করব? এত বড় হয়ে গেছে অথচ নিজের জিনিসপত্র নিজে খুঁজতে পারে না। পুরোদিন আমাকে জ্বালিয়ে মারবে আম্মু এটা পাচ্ছি না, ওটা পাচ্ছি না। উফফ।’
‘মা।’
‘চিৎকার করছ কেন?’ ধমক দিল নাসিমা। আলমারির ভেতর একটু খোঁজাখুঁজির পর পোশাক পেয়ে গেলেন তিনি। তারপর বললেন, ‘এই যে তোমার পোশাক। তুমি একটা কাজও ঠিকমতো করতে পারো না। তোমার কি হবে ইতি? একমাত্র আল্লাহ জানেন।’
‘আম্মু জামাটা দাও।’
‘রেডি হয়ে নিচে আসো। নাস্তা করে তারপর বের হবা।’
‘ঠিক আছে।’
ইফাদ সিকদার বসে সকালের নিউজ পেপার পড়ছেন। হঠাৎ বললেন, ‘ইতি মামণি গুড মর্নিং।’
‘গুড মর্নিং আব্বু।’
‘বাবা, মেয়ে দুজন এসে নাস্তা করে নাও।’
ইতি ওঁর বাবার পাশের চেয়ার টেনে বসল। ইতিকে ওঁর বাবা খাইয়ে দিচ্ছেন সহসা নাসিমা বললেন, ‘রোজ যে মেয়েকে এভাবে খাইয়ে দাও ওঁর বিয়ে হলে কি করবে?’
ইতির পেট ভরে গেছে। সে উঠে দাঁড়াল। তারপর বলল, ‘কিসের বিয়ে? আমি তো বিয়েই করব না। দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি এখন যাই।’
ইফাদ সিকদার বললেন, ‘দাঁড়াও, তোমাকে একটা কথা বলার আছে।’ ইতি দাঁড়িয়ে গেল। ইফাদ বললেন, ‘আজ থেকে নতুন স্যার আসবে তোমাকে প্রাইভেট পড়াতে। ছেলেটা খুবই ভদ্র। এর আগের স্যাররা এক সপ্তাহ ও টিকে নাই। জানি না কি করো, তারা ভয়েই পালিয়ে যায়। ওঁর সাথে কোনো দুষ্টুমি করবে না! বুঝেছ?’
নাসিমা বললেন, ‘এখন থেকে একটু শাসন করো, তোমার মেয়ের ওঁর বন্ধুদের সাথে মিলামিশা বন্ধ করো। বন্ধুদের জন্যই দিনদিন ফাজিল হচ্ছে।’
ইতি ঠোঁট উল্টিয়ে হাসল। মনে মনে ভাবল, ‘আম্মু, তুমি যে বন্ধুদের ফাজিল বলছ আমি সে দলের প্রধান।’
ইফাদ বললেন, ‘দিনদিন বড়ো হচ্ছো ইতি। এখন থেকে ম্যাচিউর হও।’
ইতি ওঁর বাবার সঙ্গে কথা শেষ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। ইফাদ গাড়ি নিয়ে আজ গাজীপুরের বাহিরে যাবেন এজন্য ইতির আজ রিক্সা করে যেতে হবে। ইতি রাস্তার পাশ দিয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটতে লাগল। এরপর স্যারদের সঙ্গে দুষ্টুমির ঘটনা মনে করতে লাগল। একজন স্যার তিনি ভীষণ বোকাসোকা ছিল ওনার চায়ের কাপে মরা তেলাপোকা দেয় ইতি। উনি চা খেতে যাবেন তখন তেলাপোকা দেখে ছিটকে দূরে সরে যান। তখন ইতি লোকটাকে ভয় দেখিয়ে বলে চলে যাওয়ার জন্য যদি না যায় তাহলে আরও ভয়াবহ কিছু করবে। লোকটা সেদিন যে গেল আর পড়াতে আসেনি। এরপর অন্য আরেক স্যারকে নির্জন রাস্তায় বন্ধুদের দিয়ে শাসিয়ে ছিল। লোকটা দুইদিন পড়িয়ে তারপর বিদায় হয়। এরপর দুইমাস পাড় হয়ে গেল। বাবা আবার নতুন স্যার নিয়ে আসছে। ইতি ভাবতে লাগল সে এই স্যারকে কিভাবে তাড়াবে?
রাস্তার মোড়ে এসে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে গেল ইতি। বেশ কিছু রিক্সা ছুটে যাচ্ছে। খালি রিক্সা নাই বললেই চলে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটা খালি রিক্সা পাওয়া গেল। ইতি উচ্চকিত গলায় ডাকল, ‘আঙ্কেল যাবেন।’
ইতির ঠিক বাঁ পাশে দাঁড়ানো এক ছেলে বলল, ‘ওই মামা যাবা?’
ইতির সামনে রিক্সাটা দাঁড় করিয়ে রিক্সাওয়ালা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা কই যাইবেন?’
ইতি বলল, ‘আমি শাহিন কলেজ যাব।’
ছেলেটা বলল, ‘চার নাম্বার গেট যাব।’
রিক্সাওয়ালা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনারা দুজন দুই জায়গায় যাইবেন। আমি একজন নিয়া যাইতে পারুম। কে যাইবেন?’
ইতি বলল,
‘আমি আপনাকে আগে ডাকছি এজন্য আমি যাব।’
সে কোমল স্বরে বলল, ‘আমিও ডেকেছিলাম তাই আমি যাব। আপনি প্লিজ অন্য রিক্সা করে যান। আমার চাকরির ইন্টারভিউ আছে। আমি সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে চাকরিটা পাব না।’
ইতি বলল, ‘আমারও কলেজ যেতে দেরি হচ্ছে তাই এই রিক্সায় আমি যাব৷ আপনি অন্য রিক্সা খুঁজুন।’
‘দেখুন, প্লিজ।’
‘আমি যাব।’
গতকাল রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। রাস্তার কিনারায় পানি জমে আছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ইতি লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে রিক্সায় উঠে বসল। তারপর বলল, ‘আপনি তাড়াতাড়ি চলুন।’
সাদা রঙের টি-শার্ট কাঁদা পানিতে ভিজে গেছে। এই অবস্থায় চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে সে যেতে পারবে না। মাটির উপর থেকে ফাইলটা নিয়ে উঠে দাঁড়াল। মেয়েটির কাজে সে ভীষণ বিরক্ত রাগ ও ক্ষোভে চোয়াল শক্ত করল।
রিক্সাওয়ালা বললেন, ‘মা, তুমি কিন্তু কাজটা ঠিক করো নাই। লোকটা আর চাকরির লাইগা যাইতে পারব না।’
‘আমার কিছু করার ছিল না আঙ্কেল, ক্লাসে সময় মতো না পৌঁছালে স্যার বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখবেন।’
ইতি রিক্সার ভাড়া মিটিয়ে চলে গেল। ক্লাস শুরু হয়েছে। ইতিকে ক্লাসে প্রবেশ করার অনুমতি স্যার দিল না। ক্লাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকল। দ্বিতীয় ক্লাসে প্রবেশ করে। দুটো ক্লাস শেষ হলো, ইতির বন্ধুরা তাকে ঘিরে বসল। তারপর মিম জিজ্ঞেস করল, ‘কিরে কি হয়েছে কথা বলছিস না কেন? দুটো ক্লাসেও চুপ ছিলি।’
ইতি ওদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করল। ওঁরা হেসে লুটিয়ে পড়ছে। আব্রু বলল, ‘এই রকম ঘটনা এই প্রথম না। এর আগে এমন বহুত কাজ করছিস।’
মুন্নি বলল, ‘ছেলেটার সাথে এমন করা উচিত হয়নি। সে তো বলেছিল তার চাকরির ইন্টারভিউ আছে। নিশ্চিত ওমন ময়লা শরীরে ইন্টারভিউ দিতে যেতে পারেনি।’
রুবেল বলল, ‘যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন সেসব নিয়ে মাথা ঘামালে কি সব সল্ভ হয়ে যাবে? আচ্ছা এসব এখন বাদ দে চল ফুচকা খেতে যাই। আজ সব বিল তানিম দিবে।’
তানিম আঁতকে উঠল, ‘আমি কেন দিবো?’
রুবেল বলল, ‘তুই দিবি কারণ গতবার আমি দিয়েছিলাম।’
আব্রু ইতির গা ঘেঁষে বসল। তারপর জিজ্ঞেস করল, ‘ছেলেটা দেখতে কেমন?’
ইতি একটু ভাবল। বলল, ‘আমি তার যথেষ্ট কাছাকাছি ছিলাম, তাই তাকে ভলোমতো দেখতে পেয়েছি। তার শরীরের গঠন অনেক ভাল, পেশীবহুল ছিল না, পাতলা ও লম্বা আর সবচেয়ে বৈশিষ্ট্য ছিল তার চোখ আমার মনে হয়েছিল দেখতে বাঘের মতো। সে ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত সুদর্শন আর খুব সুন্দর ছিল। তার ত্বক ফরেনারের মতো পরিস্কার। এবং সে আমার সঙ্গে কথা বলার সময় মাথা নিচু করে কথা বলছিল বোধহয় মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা পায়।’
মিম বলল, ‘তোকে শুধু জিজ্ঞেস করা হয়েছে ছেলেটা দেখতে কেমন? তুই পুরো ডিটেইলস বলে দিচ্ছিস।’
ইতি বাকরুদ্ধ। মুন্নি বলল,
‘এসব ছাড়। বিকেলে ফুচকা খেতে যাবি?’
ইতি বলল, ‘আমার যাওয়া হবে না।’
‘কেন?’
এক নিঃশ্বাসে ইতি বলল,
‘আমাকে পড়ানোর জন্য আজকে নতুন স্যার আসবেন।’
ওঁরা অবাক হলো। অস্ফুটস্বরে জিজ্ঞেস করল, ‘আবার?’
রুবেল জিজ্ঞেস করল, ‘এই স্যারের সঙ্গে কি করবি?’
ইতি বলল, ‘ভাবছি।’
.
.
.
চলবে........................