অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি - পর্ব ০৫ - সাইরা শেখ - ধারাবাহিক গল্প


মেরুন রঙের শাড়ি পড়েছে সভ্যতা।নম্রতা ওকে সাজিয়ে দিচ্ছে। যদিও এটার প্রয়োজন ছিল না কিন্তু নম্রতা সেটা শুনলে তো? কুচি ঠিক করে নম্রতা প্রশ্ন করল, 'তোর কি কাউকেই ভালো-টালো লাগে না?'

সভ্যতা আয়নার দিকে তাঁকিয়ে, চুল খোঁপা করে উত্তর দিল,'একজনকে লেগেছিল, সপ্তাহখানেক আগে ডেয়ার খেলতে গিয়ে প্রপোজও করেছি,ছেলেটা সেখানেই কাত। সেন্সলেস হয়ে পড়ে গেল কেন? বুঝলাম না।'

নম্রতা আঁচল ঠিক করে বলল, 'সবসময় টমবয়ের মতো থাকলে ভয় তো পাবেই। সারাদিন সবাইকে ধমকে, ভয় দেখিয়ে চলিস কেন?একটু নরম হতে পারিস না? আর ৪দিন পর আমার বিয়ে, আমি চলে গেলে একা একা কি করবি?'

সভ্যতা উত্তর দিল না। নম্রতা কিছুটা থেমে পুনরায় বলল, 'চারমাস আগেও কলেজের অনুষ্ঠানে গিয়ে এই শাড়ি নিয়ে কিসব ঝামেলা পাকিয়েছিলি।আজও শাড়ি পড়ে যাচ্ছিস। আজ তো কোনো অনুষ্ঠান নেই।তাহলে?'

'কিছুদিন পর ফেয়ারওয়েল। তাই বন্ধুরা মিলে একটু ঘুরতে যেতে চাচ্ছি। ওরা শাড়ি পড়বে তাই আমাকেও পড়তে হবে। এমন বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ড্রেসকোড ফলো করা উচিত।'

নরম হলো নম্রতা। নিষ্প্রভস্বরে বলল,'আচ্ছা।'

সভ্যতা গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলল,'এক মিনিট আপু, আমার কথা এখনও শেষ হয়নি। গতবার কলেজের অনুষ্ঠানে আমি কোথায় ঝামেলা পাকালাম? কেউ যদি আমার শাড়ির আঁচল ধরে টানে, বেয়াদবি করে।আমি তাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেব? ওর কপাল ভালো যে শুধু দেওয়ালের সঙ্গে টাক দিয়ে কপাল ফুলিয়ে দিয়েছি। শালা বেয়াদব।'

নম্রতা খোপায় বেলীফুলের মালা গুজে বলল, 'এসব আমাদের আগে বলিসনি কেন? সব কথা চেপে রাখিস কেন? আর কাউকে না বলিস, আমাকে তো বলতে পারিস।'

সভ্যতা এবার শক্ত চেহারায় ঘুরে তাঁকাল। নম্রতা একটু দূরে সরে দাঁড়ায়। সভ্যতা চোখ রাঙিয়ে বলে,

'তোর কি হয়েছে বল তো? সকাল সকাল এসব ফালতু টপিক নিয়ে কথা বলা স্টার্ট করলি ক্যান? আমি কখন কথা চেপে রাখি? আমি শুধু তখনই উত্তর দেই যখন প্রশ্ন করা হয়। আগে এভাবে প্রশ্ন করিসনি তাই উত্তর পাসনি। আর টমবয় কি? আমি যাস্ট নিজেকে সেফ রাখতে মা'রপিট শিখেছি। আমাকে টিজ করে কোনো বীরপুরুষ যাতে পালাতে না পারে তাই। লাস্ট ওয়ান, ভালোবাসা! আমি তো আগেই বলেছি ওসব আমার দ্বারা হবে না। ক্লাসমেট থেকে শুরু করে সিনিয়র সবাই আমাকে ভয় পায়। কারণ আমি কারোর তালে তাল দিতে পারি না, ভুলভাল কিছু দেখলেই মুখ ফসকে উচিত কথা বলে ফেলি, হাতও চলে। যারা অ্যাভারেজ স্টুডেন্ট তারা মনে করে আমার চেহারা বেশি সুন্দর আর রেজাল্টও বেশ ভালো হওয়ায় ওরা পাত্তা পাবে না তাই সামনা-সামনি কেউ প্রেম-ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়না। বাকিদের ধারণা আমার যে বর হবে তার কপালে দুঃখ আছে।ইটস ওকে,আমাকে সামলানো টাফ এটা জানি আমি। সেজন্যই তো ওয়েট করছি একজন বুদ্ধিমান, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষের জন্য।'

নম্রতা মৃদু হাসে। সভ্যতা এই হাসির অর্থ জানে। তাই নম্রতার ভুল সংশোধনের জন্য ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্যে বলল, 'তোর কাজিনরা নাকি তাদের কাজিনদেরও ধরে আনছে? আজকেই আসবে নাকি? তোর কাজিনদের তাও একটু সহ্য করা যায়, কিন্তু কাজিনের কাজিনদের! একদম না। বিয়ের ইভেন্ট না হলে আমি ওদের এবাড়িতে এলাও করতাম না। যতসব আনওয়ান্টেড গেস্ট! বুঝতে পেরেছিস? আমার জন্য ওরা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি।'

নম্রতা হেসে বলল, 'ওরা ওতটাও খারাপ না। তুই একটু বাড়িয়ে বলছিস। বুঝি সব, কার জন্য বলছিস। কাকে তোমার আনওয়ান্টেড গেস্ট মনে হয় সেটাও জানি।'

'জানলেই ভালো। আমি আগেই বলে রাখছি আপু ওসব বিলেত ফেরত অশুদ্ধ পুরুষকে আমি বিয়ে করবো না। আমার বিয়ে, আমাকে না জানিয়ে ঠিক করে ফেলল? দরকার পড়লে কোনো ক্যাবলাকান্তকে বিয়ে করবো। তবুও ওমন বিলেত ফেরত ক্যারেক্টারলেস ছেলেকে বিয়ে করা অসম্ভব। যেসব ছেলেদের চেহারা সুন্দর এদের চরিত্র চেহারার মত সুন্দর হয় না। এরা একেকটা প্লে-বয় হয়। কথার জালে আর রুপের জাদুর বড়শিতে মেয়েদের চোখে পলকে তুলে ফেলে। আমার বর এমন হবে তা আমি মানতে পারবো না। উহু, এই ছেলে বাদ। ওকে এত ভালো লাগলে তুই নিজে বিয়ে করে নে।আমি গেলাম..'

সভ্যতা চলে গেল। নম্রতা হতাশ চোখে তাঁকিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে বলল, 'পিহুর সে'রকম কোনো পছন্দ নেই আম্মু। সমস্যা হচ্ছে ছেলের চরিত্র নিয়ে। ওর মাথায় এটা গেঁথে গেছে,যে আরীবের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকলে সেও আরীবের মতো হবে। চিন্তা করো না, ওকে রাজি করানো যাবে। আমি আছি না?'

'ওকে সবকিছু জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে ছেলেটা আরীবের মতো না। তারপরও জেদ ধরে বসে আছে। এত ভালো ছেলেকে পছন্দ হচ্ছে না। এই মেয়ে কার মত হয়েছে?' তিক্ত মেজাজে বললেন মা।

বাবা পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে বললেন, 'আমার মত। সব থেকে খারাপ জিনিস পছন্দ হয়, ভালো জিনিস সহ্য হয় না। বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে।'

মা রেগে গেলেন, 'কি বললে তুমি?বিয়ের ক্ষেত্রে তোমার পছন্দ খারাপ হয়েছে? বিয়ের এতগুলো বছর পর এখন এসব শোনা লাগছে।এতই যখন অপছন্দ হয়েছিল তখন বিয়েটা করলে কেন? তোমাকে আমি বলেছিলাম বিয়ে করতে? এমন ভাব করছ যেন বিয়ে করে আমাকে উদ্ধার করেছ।'

'উদ্ধার-ই তো করেছি। আমি বিয়ে না করলে তোমার মতো মহিলাকে আর কে বিয়ে করত? তোমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত আমার প্রতি। আমি বিয়ে করেছি বলেই আমার মতো এত ভালো একটা মানুষের বউ হতে পেরেছো।'

'কৃতজ্ঞ? হাহ্, শুনলি তো কুহু তোর বাবা কি বলছে? আমি নাকি কৃতজ্ঞ থাকবো। '

এরপর বাবার দিকে তাঁকিয়ে বললেন,'কৃতজ্ঞ তো তোমার থাকা উচিত। আমি বলে তোমার সংসার করছি অন্যকেউ হলে তোমাকে কবেই ছেড়ে দিত।'

নম্রতা ঠোঁট চেপে হাসে। বাবা কারণে অকারণে রাগিয়ে দেয় মা-কে। তারপর আধঘন্টার উপরে ঝগড়া চলে। আধঘন্টা পর বাবা নিজে এসেই রাগ ভাঙান, মায়ের পছন্দের খাবার কিনে আনেন, ফুল কিনে আনেন। তাই এখানে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই।তাদের ঝগড়া মান অভিমান এভাবে চলতে থাকুক।নম্রতাকে গেস্টরুম গুলো ঠিক করতে হবে। 
.
.
দুপুর তিনটায় বাড়ি ফিরল সভ্যতা। বাড়ির সামনে তিন চারটে বাইক রাখা। নম্রতার কাজিন-রা চলে এসেছে? সভ্যতার হাসি হাসি চেহারা আ'রক্ত হলো ক্রোধে। সভ্যতা বলেছিল,সে আপাততো বিয়ে নিয়ে ভাবছে না। তারপরও বিলেত ফেরত মানুষটি চলে এলো? ব্যাটার কোনো মান সম্মান নেই নাকি? 

বসার ঘরে বসে আছে প্রায় ১৫-১৬ জনের মত। সভ্যতা সবাইকে ডিঙিয়ে নিজের ঘরে যেতে লাগলো। যাওয়ার সময় শুনল, নম্রতা কাউকে বলছে, 'ওটা পিহু।' 
সভ্যতা বিরক্ত হলো, পরিচয় করানোর স্টাইল ভালো লাগল না। এভাবে কে পরিচয় করায়? পরিচয় করাবে, রাজকীয়ভাবে। নাম, বংশের নাম, চমৎকার স্বভাব, এবং প্রশংসার সাথে। দুম করে 'ওইটা পিহু' বলে চিনিয়ে দিলেই হলো? সভ্যতা একবার পেছনে তাঁকাল, সবাই ওর দিকেই চেয়ে আছে। সভ্যতা অপ্রস্তুত হয় না। সবার চেহারায় নজর বুলিয়ে পুনরায় হেটে চলে আসে নিজের ঘরে। আসার সময় ভাবতে থাকে এদের মধ্যে সেই পাত্র কোনটা? 

পাত্রের ছবি আছে ফোনে, সভ্যতা শুনেছে পাত্র দারুণ হ্যান্ডসাম। কিন্তু যখন ছবি পাঠানো হয়েছিল তখন হঠাৎ বিয়ের কথা শুনে রাগে-বিরক্তিতে ছবিটি দেখেনি সে। তাই ঘরে ঢুকেই প্রথমে দরজা লাগিয়ে শাড়ি পাল্টে থ্রিপিচ পড়ে নিল। আজ ভ্যাপসা গরম পড়েছে, নম্রতা শরবত রেখে গিয়েছিল ঘরে। সভ্যতা শরবতের গ্লাস নিয়ে শরবত পান করে, বিছানার ওপর ফোন নিয়ে বসলো। 

ছবিটি নম্রতা পাঠায়নি, পাত্র স্বয়ং পাঠিয়েছিল। সভ্যতা সব ম্যাসেজ ও ইমেইল চেক করছে। হোয়াটস অ্যাপ চেক করতে করতে একটি নাম নজরে আসে।'উসমান সিকান্দার'। সভ্যতা এ নামে কাউকে চেনে না। তাই ম্যাসেজ অপশনে ঢুকল। দেখল, NID কার্ডে যেমন ছবি তোলা থাকে তেমন একটি ছবি পাঠিয়ে রেখেছে কেউ। ক্লিনশেভ, ধবধবে সাদা চেহারা, বাদামি মণি, কিছুটা সুদর্শন হলেও আপাততো সভ্যতার পছন্দ হচ্ছে না তাকে। ছবিটি দেখে সভ্যতার এটাও মনে পড়ল এমন কাউকে সে ড্রইংরুমে দেখেনি। অর্থাৎ এই ছেলেটা পাত্র নয়। আর কারোর কোনো ছবি নেই, আর কেউ কোনো ছবি পাঠায়নি। তাহলে কি মিথ্যা বলা হয়েছে?

সভ্যতার মেজাজ বিগড়ে গেল। ওর সঙ্গে এ কেমন তামাশা? রেগে বড় বড় পা ফেলে ঘর থেকে বের হলো সে। ফোনের দিকে চোখ তার, এখনও সে পাত্রের ছবি খুঁজছে। এমন সময় শক্ত কিছুর সঙ্গে মাথা ঠেকল। সামান্য ব্যাথা পেয়ে সভ্যতা তার রাগান্বিত, কঠিন চেহারাটি উপরে তুলে, রাগতস্বরে বলল,

'কে...'

কিছুটা সময় নিয়ে এক পুরুষালী কন্ঠস্বর বলে উঠল, 
'মাশহুদ নাম আমার এবং তোমার ভাষায়,আমি তোমার সেই অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি।'

সভ্যতা স্তব্ধ হয়ে যায়।একবার ফোনের দিকে আর একবার সামনে দণ্ডায়মান মানুষটির দিকে তাঁকিয়ে রুঢ়কন্ঠে বলল, 
'অনাকাঙ্ক্ষিত-র ব্যাপারটা কি আপু বলেছে?'
'না। তোমার চেহারা বলছে। তোমার চেহারায় স্পষ্ট ফুটে উঠছে তুমি মনে মনে আমাকে গালি দিচ্ছ। আমার নাম ও চরিত্রের ১২ টা বাজাচ্ছ।'

সভ্যতা দ্রুত ফোন সামনে নিয়ে নিজের চেহারা দেখল। চিন্তিত কন্ঠে বলল, 'কি আশ্চর্য! আমিও তো দেখতে পাচ্ছি। 
আমার কপালে স্পষ্ট লেখা, 'এই ছেলের সাথে তোর বিয়ে হলে তুই জীবনেও শান্তি পাবি না সভ্যতা।' 
সিরিয়াসলি! এসব সত্য-বাক্য কি করে ফুটে উঠছে ললাটে? আমাকে দ্রুত মেক-আপ করতে হবে নয়ত বাকিরাও দেখে ফেলবে। তখন কষ্ট পাবে নিজেদের ভুল ডিসিশন নিয়ে। তাদের কষ্ট দেওয়া যাবে না। কিছুতেই না।'

সভ্যতা তড়িঘড়ি করে নিজের ঘরে ঢুকে গেল। মাশহুদ সভ্যতার যাওয়ার পথে চেয়ে থেকে মৃদু হাসে। চমৎকার মেয়ে। কি সুন্দর মার্জিত ভাষায় এক লাইনে চরম অপমান করে গেল।

ওদিকে সভ্যতা ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। হাতে থাকা ফোনটির ওপর ভীষণ বিরক্ত বোধ করছে। ফোনে ভাসমান ছবিটির দিকে সন্দিগ্ধ চোখে চেয়ে ত্যক্তবিরক্ত কন্ঠে বলল,

'আজকের পর থেকে ছবি দেখে কারোর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করবো না। মানুষ ছবিতে আর বাস্তবে সবসময় এক হয় না। উফ! এই লোকটা এত সুন্দর ক্যান? একে বিয়ে না করা চরম ভুল ডিসিশন হবে। কিন্তু শুধু রূপ দেখে হ্যাঁ বলাও ঠিক হবে না। আমার এটা ভুলে গেলে চলবে না, আরীব ভাই এবং তার মধ্যে কত কত মিল। সুন্দর চেহারা,পড়ার খাতিরে বিদেশে যাওয়া, সেখানে চাকরি করা, থাকতে চাওয়া, মায়ের ব্লাকমেলে দেশে ফেরা, মায়ের অসুস্থতা। আরীব ভাইকে চিনি তারপরও দেশের বাইরে গিয়ে মেয়েদের চক্করে পড়েছে। চেনা মানুষের ওই দশা হলে এই অপরিচিত লোকটা? ওনার ব্যাপারে তো কিছু জানিই না। চরিত্র কেমন তাও জানি না, সাদা চামড়ার মেয়েদের সঙ্গে চলাফেরা করা ছেলে আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে কেন? নিশ্চই কোনো গলদ আছে। ওরেহ্ আমার লাইফটা এরা এত কমপ্লিকেটেড করে দিল ক্যান...'

দরজায় টোকা পড়ে। অকস্মাৎ আওয়াজে ভড়কে গেল সভ্যতা। গলার স্বর কেঁপে উঠল, 'ক..কে?'

মাশহুদ থমথমে গলায় বলল, 'আমি। তোমার সঙ্গে কিছু কথা আছে, দরজা খোলো।'

'আমার এখন কথা বলার মুড নেই। পরে আসুন।'

'আমি বিলেতে কারোর সঙ্গে থাকিনি। এটার প্রুফ নেবে না?' মাশহুদের কন্ঠে ঠাট্টা প্রকাশ পায়।

সভ্যতা এবার রেগে যায়। দ্রুত দরজার কাছে এসে, দরজা খুলে গম্ভীরগলায় বলল, 'প্রয়োজন নেই। হতে পারে প্রুফের নামে সাজানো গল্প শোনাচ্ছেন। এসব আপনাদের জন্য কঠিন কিছু নয়। আপনি যে প্রচুর চালু তা আপনাকে দেখলেই বোঝা যায়।'

মাশহুদ ঘরে ঢুকে বলল, 'চালু? এটা নেগেটিভ ওয়ার্ড হয়ে যাচ্ছে না? বুঝলাম আমি অনাকাঙ্ক্ষিত। তোমার, আমার প্রতি কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, কিন্তু তারপরেও এভাবে অপমানজনক শব্দ প্রয়োগ করা কি ঠিক হচ্ছে সভ্যতা? আমি তোমার শিক্ষা দেখে অবাক হচ্ছি, আমাকে তো বলা হয়েছিল যথেষ্ট সভ্য, মার্জিত মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।'

সভ্যতা বুকের ওপর হাত গুজে কঠিনগলায় বলল, 'আমার চেহারায়, কোথাও কি 'নির্বোধ'-ও লেখা আছে? দেখুন বয়স অল্প হতে পারে কিন্তু আমি প্রচণ্ড সেয়ানা। আপনি যে ইচ্ছে করে ইমোশনালি ব্লাকমেল করতে চাচ্ছেন তা বুঝতে পারছি আমি। তাই এসব বাচ্চা ভোলানো কথায়, নাটক করে আমাকে কনভিন্স করা অসম্ভব। তাছাড়া আপনার কাজিনের ঘটনাই দেখুন। তাকে দেখার পর আমি কিছুতেই আপনার ফাঁদে পা দেব না।সো, ডোন্ট ট্রাই টু বি ওভার-স্মার্ট!'
.
.
.
চলবে...............................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন