আশফিক কিঞ্চিৎ ভ্রু কুঁচকে তাকাল রওনকের পানে।কুহুর চোখের দিকে দৃষ্টি রেখেই বলল রওনক,
"একটা মানুষ এতটা গর্দভ কি করে হয়?মালাটার সুতো একপাশে অনেকটা ছোট।আশফিকের পক্ষেও ওটা হাতে বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়।
আশফিকের হাত থেকে মালাটা ছিনিয়ে নিয়ে উঁচিয়ে দেখাল রওনক।সত্যিই মালার একপাশের সুতো অনেক ছোট!অথচ এটা আশফিকের দৃষ্টিতে পরেনি।কুহু একদম নিশ্চুপ হয়ে রইল।সুতোটা যে ছোট সেটা অবশ্যই খেয়াল করেছে সে।ভেবেছে অন্য কেউ সাহায্য করলে হয়তো বাঁধা যাবে।আশফিক আশপাশে তাকিয়েও ফুল বিক্রেতা ছেলেটির দেখা পেল না।নয়তো আরও একটা মালা কিনে দিত কুহু'কে।রিশা তাড়া দিল ফুচকা খেতে যাওয়ার জন্য।এমনিতেও কুহু হাতে বেশি সময় নিয়ে বের হয়নি।সবাই চলে গেলেও রওনক দাঁড়িয়ে রইল ঠাঁয়!ক্রোধে মালাটা হাতে শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরল।মুহূর্তে চামড়া কেঁটে গেল খানিক।তোয়াক্কা নেই তাতে।যতদূর দৃষ্টিতে কুহুকে দেখা যাচ্ছিল নিষ্পলক তাকিয়ে ছিল।মেয়েটাকে নিয়ে একটু বেশিই ভেবে ফেলছে না রওনক?মনের কথা জানিয়ে দিলে কুহু যে তাকে প্রত্যাখান করতে দু'বার ভাববে না এটা নিশ্চিত!তবে কি এই বোকা মেয়েটাকে নীরবেই অন্তঃকরনে রেখে দিতে হবে আজন্মকাল?যে অনুভূতির মূল্য দিতে জানে না,তার কাছে প্রকাশ লাভ আছে?ভাবনা এলোমেলো করে দেয় রওনককে।সবকিছুর উর্ধ্বে শুধু কুহুকে তার চাই!ব্যস এটুকুই ভাবনা।
একদম ঝাল দিয়ে তিন প্লেট ফুচকা অর্ডার করল আশফিক।রিশা আর কুহুর সঙ্গে চ্যালেন্জ করেছে রীতিমতো!বাইরের দেশে তেল মশলাযুক্ত খাবার খুব একটা খাওয়া হয় না তার।তবুও সে তো বাঙ্গালী ছেলে।এইটুকু ঝালে নাজেহাল অবস্থা হবে না নিশ্চয়ই!রিশা বেশ ঝাল খেয়ে অভ্যস্ত।সেটা ভাল করেই জানা আছে কুহুর।তবে খুব একটা ঝাল খেতে পারে না সে।আশফিক আর রিশা পাল্লা ধরে টপাটপ মুখে পুরে নিচ্ছে ফুঁচকা।খানিক ভয়ার্ত দৃষ্টি নিয়ে প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে কুহু!দশটা ফুচকাতে না হয় ডজনখানেক শুকনো মরিচের গুঁড়ো!তার সঙ্গে কাঁচামরিচ তো আছেই!আশফিক তাড়া দিল কুহুকে।তার মতে কুহু চিটিং করছে,এখনও খাচ্ছে না।খানিক হাসার চেষ্টা করে একসঙ্গে দুইটা মুখে পুরে নিয়ে চিবুতে থাকল কুহু।রিশার চোখে ইতিমধ্যে জল জমে গেছে!ফোঁপাচ্ছে সে!আশফিক শব্দ করে হাসছে!নাক লাল হওয়া ছাড়া তার আর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না!রিশা,কুহু দু'জনেই আশ্চর্য হয়ে গেল!এই ছেলে তো ফুচকাতে ঝাল খাওয়া নিয়ে মেয়েদের রেকর্ড ভাঙ্গবে!কুহুর চোখ দিয়ে জল গড়াতে শুরু করল।গলায় ঝালটা লাগল তীব্রভাবে!মুহূর্তে কাশি উঠে গেল লাগাতার।আশফিক বিচলিত হয়ে গেল!কুহুর মাথায় হাত রেখে শান্ত করার চেষ্টা করল।আচমকা কেউ চিলের মতো ছো মেরে টেনে নিয়ে গেল কুহুকে।রিশা তাকিয়ে আছে তার রাগত ভাইয়ের দিকে।পানির বোতল কুহুর দিকে বাড়িয়ে ধরে শক্ত গলায় বলল রওনক,
"যেটা খেতে পারো না,সেটা কেন খেতে যাও?তোমার কান্ড দেখলে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই!সম্পূর্ণ বুঝদার মেয়ে তুমি।একটা বাচ্চা মেয়েও বুঝবে এটা খেলে তার ঝাল লাগবে!
কুহু কোনো উত্তর দিল না ঢকঢক করে বোতলের অর্ধেক পানি খেয়ে নিল।চোখমুখ বিশ্রিরকম লাল হয়ে উঠল!আশফিকের দিকে তাকিয়ে বলল রওনক,
" কারো ঝাল লাগলে পানি দিতে হয়।মাথায় হাত রাখলে বা শান্ত করতে চাইলে ঝাল কমে যায় না।
আশফিক আমতাআমতা করছিল।অপরাধের ছাপ ফুটে উঠল তার মুখাবয়ব জুড়ে।তখন কুহু বেগতিক কাশছিল বলেই মাথায় হাত রেখেছিল সে।রিশা বেশ আনন্দ নিয়েই বলল,
"তারমানে আমি ফার্স্ট!আশফিক ভাই-এর প্লেটে আরও তিনটে ফুচকা আছে।কুহুর প্লেটে তো সাতটা আছে!আর আমার প্লেটে একটা!
রওনক কাঠিন্য দৃষ্টি ফেলে বলল রিশাকে,
"এটা কি ধরনের ছেলেমানুষি রিশ?জিতে গিয়ে কি হলো?নিজের ক্ষতি ছাড়া কিছুই না!সবকিছুতে জিততে নেই!
কথাটুকু বলে'ই কুহুর প্লেটে থাকা অবশিষ্ট সব কয়টা ফুচকা খেয়ে নিল রওনক।উপস্থিত সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছে রিশা!তার ভাই তো জীবনে ফুঁচকা ছুঁয়েও দেখে না!তারউপর এত ঝাল তো খায়-ই না!আশফিকের চোয়াল ঝুলে গেল!শুকনো ঢোক গিলে নিয়ে বলল সে,
"ভাই সবচেয়ে বড়ো চিটিং টা তো তুই করলি!মানে কুহুকে জিতিয়ে দিলি!একজন শিক্ষকের কাছে অন্তত এটা আশা করিনি!
রওনক কোনো উত্তর দিল না।চোখ রক্তিম হয়ে উঠল তার!দৃষ্টি কুহু'তে নিবদ্ধ!কুহুর হাতে থাকা পানির বোতল টা ছিনিয়ে নিয়ে সবটুকু এক নিশ্বাসে খেয়ে নিল!কুহু বাকরুদ্ধ হয়ে গেল!এই বোতলে তো সে এক্ষুনি মুখ লাগিয়ে পানি খেয়েছে!সেটাই দ্বিধাহীন খেয়ে নিল রওনক ভাই?অবশ্য মাঝেমধ্যে এই লোকটার আচরণ বুঝে উঠতে পারে না কুহু!আজকে কুহুকে জিতিয়ে দিবে,এটা তো কল্পনারও সহস্র মাইল দূরে ছিল!অজান্তেই খুব ভাল লাগল কুহুর!কেন জানি এই মুহূর্তে রওনক ভাইয়ের রক্তিম মুখখানা দেখে মায়া হলো!না হয় হেরে যেত কুহু!তাই বলে এতগুলি ঝাল গিলে নিবে লোকটা?
!!১২!!
প্রাতঃকালের জন্য নাশতা তৈরি করতে কিচেনে আসল তোহা।এসে দেখল কুহু সবার জন্য খাবার তৈরি করে নিয়েছে ইতিমধ্যে।ছেলে আয়াশকে সামলিয়ে ভোরবেলা উঠতে খানিক কষ্টই হয়ে যায় তোহার।হাসিমুখে খাবার গুলো প্লেটে গুছিয়ে তুলে নিল তোহা।কুহু জানাল তার খাওয়া হয়ে গেছে।এখন সে রিশাদের বাড়িতে যাবে।পাল্টা আর কিছু বলল না তোহা।কিছুক্ষণ আগেই রিশার কল এসেছে।আজকে নাকি আশফিক চলে যাবে।কথাটা রীতিমতো মাথায় ভাজ ফেলেছে কুহুর!সবকিছু তো তাড়াহুড়ো করে হয় না!মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনোরকম বেরিয়ে গেল সে।
•
বেলকনিতে ডায়েরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে রওনক।নিচে আশফিক দাঁড়িয়ে আছে থ্রি-কোয়ার্টার আর টিশার্ট পরে।দু'হাতে ডাম্বেল নিয়ে এক্সারসাইজ করছে।রওনকের দিকে দৃষ্টি পরতে'ই ডেকে উঠল আশফিক।রওনক জানাল আসছে কিছুক্ষণের মাঝে।ছুটির দিন হওয়ায় আজকে অনেকটা সময়ই হাতে আছে।কালকে বাড়ি ফেরার পর আশফিকের বলা কথা বারংবার ভাবাচ্ছে রওনককে!কুহুর সঙ্গে রওনকের এরকম বাজে আচরণ নাকি আশফিকের ভাল লাগেনি।কুহু মোটেও নির্বোধ নয় বরং সে সরলতার প্রতিমা!আশফিকের মুখে কুহুর গুনগান শুনে চরম বিরক্ত হয়েছিল রওনক।সব কটু কথার পেছনে রাগ থাকে না।এটা যেচে বোঝাতে যায়নি আশফিককে।ভাবনা ঝেরে, ডায়েরি খুলে কয়েক লাইন লিখতে বসল রওনক,
❝সবকিছু প্রকাশ করতে হয় না,নীরবতাও অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়।চোখের ভাষা বুঝতে শিখলে,মন অব্ধি পৌঁছানো যায় অনায়াসে!ভালবাসি নির্বোধ মেয়ে!রোষানলের আড়ালে সন্ধান করো অন্তঃকরণের!সর্বদা তোমার জন্য মনের দুয়ার খোলা!আমি অপেক্ষারত আমৃত্যু,হৃদয়ে তোমার আগমনের!❞
চিরচেনা কন্ঠস্বরের খিলখিল হাসির শব্দ শুনতেই, বেলকনি থেকে উঁকি দিয়ে তাকাল রওনক।কালো,সাদা মিশেল থ্রিপিস পরে দাঁড়িয়ে আছে কুহু।ওড়না আঁটসাঁট করে শরীর পেঁচিয়ে কোমড়ে বাঁধা।একটা ডাম্বেল দু'হাতে ধরে আছে।পাশে আশফিক হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে।ঠোঁটে লেপ্টে আছে অমায়িক হাসি।পাশেই রিশার হাতে আরেকটা ডাম্বেল।ঠাস করে শব্দ করে ডায়েরি বন্ধ করল রওনক।কপালে পরলো সুক্ষ্ম রাগের ভাজ!রিশা উপরে তাকাতেই দেখল রওনক নেমে আসছে!দ্রুত ডাম্বেল টা আশফিকের হাতে ধরিয়ে দিল সে।কুহুর হাত থেকেও ডাম্বেল ফেলে দিয়ে টেনে নিজের রুমের দিকে নিয়ে গেল।আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেল কুহু!অবাক হয়ে বারকয়েক রিশাকে ডাকল আশফিক।কোনো সারা দিল না রিশা।একবার যদি রওনকের মনে সন্দেহ ঢুকে যায় আশফিককে পছন্দ করতে শুরু করেছে কুহু,তাহলে ইহজনমে আর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা হবে না রিশার।রুমে এসে কুহুকে ছেড়ে দিয়ে ঘনঘন দম ফেলল রিশা।চোখমুখ কুঁচকে বলল,
"অনেক হয়েছে কুহু!আমার মনে হয় এসব বিষয় নিয়ে আশফিক ভাইয়াকে আর কিছু বলা ঠিক হবে না।তুই যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছিস!নির্ঘাত আশফিক ভাই ভাবতে শুরু করবে তুই উনাকে পছন্দ করিস!
ফুস করে দম ফেলে বলল কুহু,
"তুই যেভাবে দূরে দূরে থাকিস,কোনোকালেই মনের কথা জানাতে পারবি না।আজকে আমি বাড়ি থেকে পন করে এসেছি তোর কথা সোজাসুজি আশফিক ভাইকে জানিয়ে দিব।উনি যদি মনেও করে থাকে আমি তাকে পছন্দ করে ফেলেছি,যখন তোর কথা জানাব তখন তো উনার ভুল ভাঙ্গবে তাই না?
রিশা কিঞ্চিৎ মন খারাপ করে খাটে গিয়ে বসল।কোথাও সবকিছু ঠিক লাগছে না তার।অনুভূতি প্রকাশের জন্য যতটা সাহস,আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন,ততটুকু নেই মনে হচ্ছে!যদি আশফিক ভাই দেশে থাকত তাহলে একটা কথা ছিল।দু'দিন পর চলে যাবে সে!মন কি আর দেশে পরে থাকবে?
•
রওনক নিচে আসতেই কুহুকে দেখতে পেল না।আশফিক দু'হাতের ডাম্বেল রওনকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
"হাত ব্যাথা হয়ে গেছে!মেয়েদের পটাতে,বশ করতে যে কত কষ্ট করতে হয় ইয়ার!পরিশ্রম করে বডি বানাতে হয়।সিক্সপ্যাক না থাকলে মেয়েরা সহজে আকর্ষিত হয় না!
রওনকের কপালে ভাজ পরলো।সেদিন কুহুর বলা কথাটুকু মনে পরে গেল!আশফিকের বডির জন্যিই কি হট বলেছিল বেয়াদব মেয়েটা?ভ্রু বাঁকিয়ে বলল সে,
" আচ্ছা!তুই এসব কারণেই এক্সারসাইজ করিস নাকি?আমি তো জানতাম স্বাস্থ্য সচেতনতা আর ফিট থাকার জন্য এক্সারসাইজ প্রয়োজন!তোর থেকে নতুন কিছু জানলাম আজ!
আশফিক এগিয়ে এসে রওনকের পেটানো শরীর চাপড়ে বলল,
"শুধু ফিট থাকার জন্য এমন বডি বানিয়েছিস,নাকি মেয়েদের ফিট খাওয়ানোর জন্যও?দুটোই তাই তো?একেই বলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা!
আশফিকের কথা শুনে তব্দা খেয়ে তাকিয়ে আছে রওনক!কুহু কি তার দিকে নজর দিয়েছে কখনও?সারা দুনিয়ার কাছে তার সৌন্দর্য প্রকাশ পেলেও, নির্বোধ মেয়েটার চোখে সে হাবলা!ঘর্মাক্ত আশফিক ফ্রেশ হওয়ার জন্য রুমে চলে গেল।রওনক এদিক-সেদিক তাকিয়ে কুহুকে খুঁজতে লাগল।শিক্ষা তো আজ একটা পাওনাই আছে এই গর্দভ মেয়ে!
!!১৩!!
আচমকা রিশার মন খারাপ করার কারণ খুঁজে পেল না কুহু!তবে কি আশফিক ভাই আজ চলে যাবে বলে রিশার মন খারাপ?নাকি মনের কথা এখনও জানাতে পারেনি বলে?বেশ অনেকগুলো কথা বলে রিশাকে হাসাতে চেষ্টা করল কুহু।কোনো ফায়দা হলো না।অন্যমনস্ক হয়ে রইল রিশা।কুহুকে বলল,মনের কথা জানাতে ভয় পায় সে।যদি আশফিক ভাই তাকে রিজেক্ট করে দেয় তবে বিষয়টা খুবই লজ্জাকর হয়ে যাবে!যেহেতু তারা সম্পর্কে কাজিন হয়।এই বিষয়টা চাপা থাকবে না।রিশার কথা যৌক্তিক লাগল না কুহুর।তারমতে কাউকে ভালবাসলে মনপ্রাণ উজার করে জানিয়ে দিতে হয়!পরে কি হয় সেটা ভাবতে নেই!ভালবাসা অতো ভেবেচিন্তে হয় না।অনুভূতির উপর কারও হাত নেই!হুট করে কুহুর মাথায় এক দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল।ঠোঁট টিপে হেঁসে বলল সে,
" তুই বরং আশফিক ভাই-এর সামনে গিয়ে একটা গান গাইতে পারিস রিশু।সে অর্থ শুনে ঠিক বুঝে নেবে তুই তাকে ভালবাসিস।
আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে বলল রিশা,
"মানেহ?গান গাইব?কি গান?
কুহু গলা খানিক খাঁকারি দিয়ে সুর দিয়ে গাইতে আরম্ভ করল,
"তোমাকে চাই আমি আরও কাছে,
"তোমাকে বলার আরও কথা আছে,
"আমি বলতে পারি না মুখে তওবা তওবা,
"দিলে জখম হলো উহু আহা,
"একি সরম এলো উহু আহা!!
গানের তালে তালে নাঁচছিল কুহু।আচমকা শক্তপোক্ত কিছুর সঙ্গে সজোড়ে ধাক্কা খেতেই গান বন্ধ হয়ে গেল!চোখমুখ খিচিয়ে নিল সে!কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হওয়ার পর মনে হলো শূন্যে ভেসে আছে কুহু!এক চোখ মেলে তাকাতেই দেখল রওনক ভাই চশমা সমেত ভয়ানক দৃষ্টি ফেলে তার দিকে ঝুঁকে আছে।অপর হাতে কুহুকে জড়িয়ে রেখেছে।কুহুর গান শুনে হাসছিল রিশা।তবে এই মুহূর্তে তার হাসিটুকুও উবে গেল!
·
·
·
চলবে..............................................