তুমি রবে নীরবে - পর্ব ২১ - নাদিয়া সাউদ - ধারাবাহিক গল্প


কথার বলার সময় রওনকের উষ্ণ শ্বাস ছড়িয়ে যাচ্ছিল কুহুর গলা আর কানের পাশ।ভয়ানক ভাবে পায়ের তলানি শিরশির করে উঠছিল।ফের মাথা তুলে কুহুর চোখে দৃষ্টি রাখল রওনক।চোখেমুখে রাগ টেনে বলল কুহু,

"সত্তর কেজি মানে?আর কিসের পারিশ্রমিক দিব আপনাকে? পা কে ভেঙ্গেছে? পা ভাল থাকলে কি আর কোলে উঠতাম নাকি? টাকা বাঁচিয়ে উপকার করলাম কোথায় ধন্যবাদ দিবে তা নয়!উল্টো কুলিদের মতো পারিশ্রমিক চেয়ে বসে আছে!ঠিক আছে দিয়ে দিব আপনার পঞ্চাশ টাকা!

তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল রওনক,

" মেনে নিলাম আমার জন্য পা ভেঙ্গেছে! পঞ্চাশ টাকা জরিমানা দিয়ে নিয়ে আসতাম।টাকা আমার যেত!তুমি অযথা আমার শক্তি অপচয় করালে কেন? এর মূল্য তো টাকা দিয়ে পরিমাপ করবো না আমি!

রওনকের কথায় চুপসে গেল কুহু।হাবভাব ভাল ঠেকছে না!কেন যে তখন কোলে তোলার কথা বলতে গেল!আঙ্গুল দিয়ে কুহুর কপালে পরে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিল রওনক।স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে কুহু।ধীরে ধীরে আঙ্গুল নামিয়ে কুহুর গাল স্পর্শ করল রওনক।মৃদু কেঁপে উঠলো কুহু।নাক স্পর্শ করতেই চোখের পাতা তিরতির করে কেঁপে উঠলো।মুহূর্তের জন্য শ্বাসরোধ হয়ে গেল কুহুর।কাঠের পুতুলের ন্যায় সটান হয়ে শুয়ে রইল।কিছু বলার জন্য ঠোঁট আলগা করতেই আঙ্গুল রেখে থামিয়ে দিল রওনক।এই মুহূর্তে তার দৃষ্টি কুহুর পেলব ওষ্ঠযুগলে!এবার বোধহয় কিছুটা ভয় লাগতে শুরু করেছে কুহুর।কি চাইছেন রওনক ভাই?বুকের ভেতর থাকা হৃদপিণ্ড টা যে কোনো সময় বেরিয়ে আসবে।চোখের মণি ঘুরিয়ে রওনককে দেখে যাচ্ছিল কুহু।ধীরে ধীরে আরো অনেকটা এগিয়ে গেল রওনক।ভয়ানক ভাবে চোখমুখ খিঁচিয়ে নিল কুহু।মুখের উপর ফুঁ পরতেই ফের চোখ মেলে তাকাল কুহু।ততক্ষণে রওনক উঠে দাঁড়িয়েছে।হাত ঘড়ি খোলায় ব্যস্ত!প্রলম্বিত শ্বাস ফেলল কুহু।উঠে বসল।কি হলো খানিকক্ষণ আগে?এগিয়ে গিয়ে কাবার্ড থেকে জামা বের করতে করতে বলল রওনক,

"হতাশ আমি খুবই হতাশ!

রওনকের কথা শুনে ভুরু কুঁচকে তাকাল কুহু।দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল রওনক,

" যে মেয়ের টানা টানা হরিণীর মতো চোখ,বাঁশির মতো সরু নাক,আপেলের মতো গাল,গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট থাকে তাকে উপন্যাসিক ভাষায় রূপবতী বলে।আফসোস এর একটাও তোমার মধ্যে বিদ্যমান নেই!চুল চেরা বিশ্লেষণ করেও সৌন্দর্যের লেশটুকু পেলাম না!আমার মতো সুদর্শন যুবকের কপালে কিনা এরকম একটা মেয়ে ছিল!

রওনকের কথায় কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গেল কুহু!এতক্ষণ তবে কুহুর রূপের গবেষণা চালাচ্ছিল লোকটা?দাঁত কিরমিরিয়ে বলল সে,

"যারা রাতকানা হয় তারা রাতে কিছুই দেখতে পায় না।আর আপনি তো দিনকানাও!মোটা চশমা ছাড়া যার চলেই না!আমার মতো মেয়ে যে আপনাকে বিয়ে করেছে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবুন।

ওয়াশরুমের দিকে যেতে যেতে বলে রওনক,

"হ্যাঁ খুব সৌভাগ্যবান পুরুষ আমি।রূপে কাঁচকলা,গুনে ঢেঁড়স আর জ্ঞানে মাথা মোটা পেয়েছি একটা।যার সামনে খোলা বইয়ের মতো সবকিছু স্পষ্ট থাকলেও পড়তে জানে না।বুঝতে পারে না কিছু।হুটহাট আজব কাজ করে বসে!আর রাগিয়ে তোলে।

রওনকের কথায় রাগ দ্বিগুণ হলো কুহুর।নিজে শিক্ষক বলে একেবারে জ্ঞানের ভান্ডার যেন।ফোঁসফোঁস করে দম ফেলল সে।


রাতের খাবার তৈরিতে ব্যস্ত শারমিন বেগম।রিশা বার কয়েক এসেছিল মাকে সাহায্য করতে।মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছেন শারমিন বেগম।খানিকক্ষণ সময় নিয়ে আবারো রিশা আসলো।কুহুর জন্য খাবার নিয়ে যেতে হবে।ঔষধ খাওয়ার সময় হয়ে গেছে মেয়েটার।অবশ্য কুহুর উপর খানিকটা অভিমানই হলো রিশার।পা ভেঙ্গেছে একটাবার জানালো না পর্যন্ত!আজকে রওনকের সঙ্গে দেখা হবার পরেও তো বিষয়টা জানাল না।বিষয়টা খুব কষ্টই দিল তাকে।রিশার এরকম আধিখ্যেতা দেখতে ভাল লাগছে না শারমিন বেগমের।মেয়েটা পড়া রেখে সেবা নিয়ে পরেছে!কি দরকার ছিল এমন পা নিয়ে চলে আসার?এই সংসারে তো শারমিন বেগম একাই কাজ করেন,সামলান।বাড়তি সময় নেই অন্যের সেবা করবার জন্য।কিছু সময়ের মধ্যে রওনক আসলো।খাবারটা রিশা কতখানি গুছিয়ে নিয়েছে তদারকি করলো।পাশেই নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছেলেমেয়ের কান্ড দেখছেন শারমিন বেগম।হাসিমুখে মায়ের সামনে আসলো রওনক।মন খারাপটুকু আসার পর থেকেই খেয়াল করেছে সে।মনের মতো কিছু না পেলে সেটা ভাল লাগে না এটাই স্বাভাবিক।মায়ের হাত দু'টো ধরে বলল রওনক,

"তুমি কি রাগ হয়ে আছ মা?আসলে পরিস্থিতি কখন কি হয় আমরা কেউ জানি না।আমি কি কখনো ভেবেছিলাম কুহুকে বিয়ে করবো? ওই পরিস্থিতিতে আমার বিবেকে যেটা সায় দিয়েছে আমি সেটাই করেছি।সঠিক-ভুল ভাববার মতো সময় পাইনি।মানিয়ে নেওয়ারই চেষ্টা করছি।কিন্তু তোমরা এভাবে কষ্ট পেতে থাকলে আমার কাছে খারাপ লাগে মা।আর দুদিন কুহুদের বাড়িতে আন্টির জোড়াজুড়ির কারণে থেকেছি।

ছেলের কথায় খানিকটা নরম হলেন শারমিন বেগম।সে যে রাগ এটা রওনক বুঝে ফেলেছে ভেবেই লজ্জিত বোধ হলো।হাসার চেষ্টা করে স্বাভাবিক হলেন তিনি।রওনকের মুখেও হাসি ফুটে উঠলো।রিশা খাবার নিয়ে ততক্ষণে প্রস্থান করলো।মাকে এতগুলো মিথ্যা বলার কারণেও প্রচন্ড খারাপ লাগছে রওনকের।হতে পারে কুহুকে এখন তার অপছন্দ।সময়ের সাথে পছন্দ হতেও কতক্ষণ?যে কাউকে অপছন্দের তালিকাভুক্ত করার পূর্বে একবার সুযোগ দিতে হয়।হতে পারে একসময় সেই সবচেয়ে পছন্দের হয়ে গেল!একদিন হয়তো এই কুহুকে নিয়েই মায়ের গর্ব হবে।সেদিন আর এই মিথ্যের জন্য অনুশোচনা হবে না রওনকের।এগিয়ে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে নিল রওনক।কুহুর পায়ে সেঁক দিতে হবে।দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছেলের দিকে তাকিয়ে রইলেন শারমিন বেগম।


রিশার সঙ্গে গল্পের ঝুড়ি খুলে বসেছে রিশা।কয়দিন পরেই তাদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে জানাল রিশা।ইতিমধ্যে বই কিনে নিয়েছে সে।আচমকাই চুপ হয়ে গেল কুহু।খাওয়ায় মনোযোগী হলো।রওনক ভাইয়ের খপ্পরে যখন এসে পরেছে পড়াশোনা থেকে ইহজন্মে রেহাই মিলবে না নিশ্চিত!রিশা উঠে গিয়ে ঔষধের প্যাকেট নিয়ে আসলো।যথাসম্ভব সাহায্য করলো কুহুকে।পড়া বিষয় নিয়ে আর আগ বাড়িয়ে কিছু বলল না কুহু।রওনক রুমে প্রবেশ করলো।বরফের কেইস টা রিশার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল কুহুর পায়ে যেন সেঁক দেয়।কুহুকে আড় চোখে দেখে যাচ্ছিল।খানিক্ষন আগে কুহুর রূপ নিয়ে কথা বলায় বেজায় রেগে আছে মেয়েটা।রওনক কথা বললেও কোনোরকম উত্তর দিচ্ছে না।বাধ্য হয়ে রিশাকে ডেকেছে রওনক।দুজনের কান্ড দেখে মিটিমিটি হাসছে রিশা।সাপেনেউলে সংসারে তিনশত পয়ষট্টি দিনই মান অভিমান থাকবে জানবারই কথা।কুহুর খাওয়া শেষ হতেই শুভরাত্রি জানিয়ে চলে গেল রিশা।দীর্ঘশ্বাস ফেলে কয়েক কদম হেঁটে বেলকনিতে চলে গেল রওনক।মেয়েটাকে যত ব্যাথা বোঝাতে চায় উল্টো মনে ব্যাথা নিয়ে বসে থাকে নির্বোধ মেয়েটা!আকাশে আজ কোনো নক্ষত্রের দেখা নেই।কালো মেঘ টুকরো ভেসে বেড়াচ্ছে।বাতাস ছড়িয়েছে জোড়ে।লম্বা লম্বা দম নিল রওনক।বৃষ্টি আসার পূর্বের বাতাসটা মন ভাল করে দিতে ঔষধের মতো কাজ করে!বেশিক্ষণ প্রকৃতির সঙ্গে সন্ধি করতে পারল না রওনক।তার আগেই ঘর থেকে মায়ের ডাক আসলো।খাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছেন।রওনক রুমে আসতেই দেখে বিছানায় কুহুর পাশে বসে আছেন শারমিন বেগম।পায়ের খোঁজ নিতে এসেছেন তিনি।ব্যাপারটা খুব ভাল লাগল রওনকের।মাথা নিচু করে কথার জবাব দিচ্ছিল কুহু।ছেলে আসতেই তাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন শারমিন বেগম।দৃষ্টি তুলে তাকিয়ে রইল কুহু।এ বাড়িতে কেউ তাকে পছন্দ করে না।রওনক ভাইয়ের চাওয়ার মাঝেও হয়তো রূপসী কোনো রমনী ছিল!কুহু যে দেখতে খারাপ এমন টা নয়।অন্যের চোখেও তো তাকে ভাল লাগতে হবে।রওনকের বলা কথাগুলো তীরের মতো বুকে বিঁধেছে!এই লোকটা একটুখানি অপমান করলে,কটু কথা বললে এত কেন কষ্ট হয় বুঝে আসে না কুহুর।বারংবার ভাবে এড়িয়ে যাবে।বেহায়া মন ঠিক ওসব কথা গায়ে মেখে নিয়ে কষ্ট পায়!অথচ এসবের কোনো মূল্যই নেই রওনক ভাইয়ের কাছে।কথাগুলো ভাবতেই চোখ জলে ভিজে উঠলো।


কুহু ছাড়া সকলেই খাবার টেবিলে উপস্থিত আছে।খাওয়ার মাঝে রাশেদ জামাল জানালেন আর একবছর তার চাকরির মেয়াদ আছে।এরপরই অবসর প্রাপ্ত হবেন তিনি।এর আগে রিশার বিয়ের একটা বন্দোবস্ত করতে চান তিনি।বাবার কথা শুনে খাবার মুখে তুলতে গিয়ে থমকে গেল রিশা।সবে ব্যাথা ভোলার প্রচেষ্টায় আছে সে।এখন বিয়ে করা তার পক্ষে কখনই সম্ভব নয়।শুধু ঘুমানোর সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকি সারাক্ষণই মাথায় ঘুরে আশফিকের চিন্তা।বাবার সঙ্গে সহমত পোষণ করলো রওনক।তবে তার একটা শর্ত,যেখানেই রিশার বিয়ে হোক তারা যেন ওকে পড়ায়।ছেলে বলার আগেই এই বিষয়টা ভেবে রেখেছেন রাশেদ জামাল।চাকরি রানিং অবস্থায় মেয়ে বিয়ে দিলে ভাল ঘরেই দিতে পারবেন।তবে কথাগুলোতে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না শারমিন বেগম।কাঠ গলায় বললেন তিনি,

"কুহু যদি এতিম আর মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে হয়ে এত ভাল জায়গায় বিয়ে হতে পারে, তাহলে তোমার অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে আমার রিশার কপাল পুড়বে না।অযথা দুশ্চিন্তা করো না।

মায়ের কথা শুনে খাবার খেতে গিয়ে থমকে গেল রওনক।কেন জানি কথাটা ভাল লাগল না তার।কুহু এখানে থাকলে খুবই কষ্ট পেত।এতক্ষণ যাবৎ রিশার মস্তিষ্কে জুড়ে ভাবনা ছিল।অন্য এক জগতে চলে গিয়েছিল সে।কারো কথাই তার কর্নকুহর অবধি পৌঁছায়নি।অর্ধাংশ খাবার রেখে উঠে দাঁড়াল সে।এই মুহূর্তে বিয়ে করবে না জানিয়ে কোনোরকম চলে গেল।বাকি খাবার আর শেষ করতে পারল না রওনক।সেও চলে গেল।একরাশ বিরক্তি নিয়ে বসে রইলেন শারমিন বেগম।ছেলেমেয়েদের উপর রাগ হলেন।তোরা যদি খাবিই না তাহলে কষ্ট করে এত রান্না করার কি প্রয়োজন ছিল?


খাটের এক কোণায় গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে কুহু।হাতে মোবাইল।মনোযোগ নিয়ে কিছু করছে।একপলক তাকিয়ে থেকে ডায়েরি নিয়ে বেলকনিতে চলে আসলো রওনক।ইতিমধ্যে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।রাতের আকাশ ঝাপসা লাগছে কেমন।ডায়েরি খুলে বেতের চেয়ারে বসল সে।বাতাসে আপনাআপনি পৃষ্ঠা উল্টে যাচ্ছে।তপ্ত শ্বাস ফেলে লিখতে বসলো রওনক।" কারো সরলতা আর বোকামো যে প্রেমে পড়ার কারণ হতে পারে সেটা জানা ছিল না!আমিই বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র আশ্চর্য প্রেমিক পুরুষ!যে এমন অসঙ্গত কারণগুলোকে ভালবাসার সংজ্ঞা হিসেবে মেনেছে!"

লেখার মাঝেই রুমে কিছু পরার শব্দ হলো।দ্রুত ডায়েরি রেখে রুমে ছুটলো রওনক।কুহু মেঝেতে বসে আছে।এলবো সাপোর্ট স্টিক পরে আছে পাশেই।তারমানে মেয়েটা আবারও পরে গেছে!চোয়াল শক্ত করে এগিয়ে এসে চিলের মতো ছোঁ মেরে কুহুকে শূন্যে তুলে নিল রওনক।ব্যাথার অভিব্যক্তি ছড়িয়ে আছে কুহুর মুখাবয়বে।খাটে এসে কুহুকে নামিয়ে দিল রওনক।চোখ তুলে তাকাবার সাহস করলো না কুহু।বেশ যত্ন নিয়ে পা টা দেখলো রওনক।চিন্তার ছাপ তার চোখেমুখে।পরক্ষণে কুহুর দিকে তাকিয়ে শুধাল,

"ব্যাথা করছে?কেন নামতে গেলে?ডাকবে না আমায়?

কাঠ কাঠ গলায় বলল কুহু,

" স্টিকগুলো এনে দিন।আমি ওয়াশরুমে যাব।

কুহুর কথায় মাথায় ভয়ানক রাগ চেপে গেল রওনকের।দু'হাতে কুহুর বাহু চেপে ধরে শুইয়ে দিল বালিশে।চোখে স্পষ্ট ক্রোধ!কুহু হকচকিয়ে উঠলো!রওনকের মুখের দিকে তাকাতেই কেমন আড়ষ্ট হয়ে গেল।চোয়াল শক্ত করেই বলল রওনক,

"কি এমন অন্যায় করে ফেলেছি আমি?যার জন্য এরকম শাস্তি নির্ধারন করলে!একটা মানুষ এতটা নির্বোধ হয় কি করে?কোনটাতে নিজের ভাল আর কোনটাতে মন্দ সেটাই পার্থক্য করতে জানে না!উল্টো নিজেকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়!

পাল্টা রাগ নিয়ে বলল কুহু

" সরুন।আমার টা আমি বুঝে নিব আ.......

পুরো কথা শেষ করতে পারলো না কুহু।সামনে থাকা পুরুষটি তার অধরোষ্ঠ দখল করে নিল।ভয়ানক চমকে উঠলো কুহু!এমন কিছুর জন্য তার মস্তিষ্ক যেন প্রস্তুত ছিল না!রওনকের ফোপাঁনো ভারী নিশ্বাসের শব্দ কান ভার করছে কুহুর।পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেই দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল।আচমকা ঠোঁটে দন্তাঘাত পেতেই ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে গেল কুহুর।হঠাৎই বাইরে বজ্রপাতের শব্দ হলো।চোখমুখ খিঁচিয়ে রওনকের টিশার্ট খামছে ধরল কুহু।
·
·
·
চলবে.............................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন