সময় যেতে যেতে বাহাদুর শেখ এক পর্যায়ে আসমানী বেগমের হাড্ডিসার দূর্বল কাঁধে নিজের মাথা ঠেকিয়ে কম্পনরত গলায় বললেন,
" আল্লাহ যে তোমারে আমার জন্য বানাইছিলো এইডা জানলে বুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই তোমারে বউ করে আনতাম দিল।"
আসমানী বেগম ঠোঁট বাঁকিয়ে বললেন,
" আপনার যখন বুদ্ধি হইছিলো তহন তো আমার জন্মই হয় নাই। তাইলে কারে বউ করে আনতেন!"
বাহাদুর শেখ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। আসলেই তো! আসমানী বেগমের তো তখন জন্মই হয়েছিলো না। মাঝেমধ্যে অতি আবেগে কী সব যে বলে বসেন!
দুজনে অনেকক্ষণ এভাবে বসে বসে সময় কাটালো। স্মরণ তাদের দুজনকে বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করলো। এই বুড়ো বয়সেও দাদা দাদীর ভালোবাসা কতটা মজবুত ভাবলেই অবাক হয় সে। মাঝে মাঝে অন্য খেয়ালে নিজেকে শুধায়,
" এ যুগে আদৌ কি এমন ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব? আমি কি কাউকে এতোটা ভালোবাসতে পারবো? বা কেউ আমাকে এতোটা ভালোবাসতে পারবে যে শেষ বয়সে এসে দাদীর মতো আমাকে কাঁধে মাথা রাখতে দিবে? যার হাত ধরে লাঠি ভর করে এভাবে সকালে হাঁটতে বের হবো!"
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে স্মরণ। স্বভাবে সে ভীষণ দুষ্টু। তার বাইরের রূপ দেখে মনে হয় সে বেশ গম্ভীর। অবশ্য অফিসে গেলে সে নিজেকে গম্ভীর ভাবে প্রকাশ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু তার সকল দুষ্টুমি, অবুঝপনা, রাগ দেখানো ফলে কাছের মানুষগুলোর উপর।
---------------------
নাজমা বেগম, মাসুদা বেগম ড্রইংরুমে বসে ঈদের বাজারের লিস্ট করছেন। বিশাল বাজারের লিস্ট ক্ষণে ক্ষণে আরোও বিশাল হচ্ছে। আদা, রসুন, জিরা, সেমাই,চিনি, দুধ, গোশত আরোও কত কী! লিস্ট করার এক পর্যায়ে মিলি বেগম ও লিলি বেগমও এসে যোগ হলেন। এরপর এলেন আসমানী বেগমও।
পাঁচজন মিলে লিস্ট কম, গল্প করছেন বেশি। বহু বছর পর এবার দু বোনই বাড়িতে ঈদ করছেন। এত বছর একটানা শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে করতে ত্যক্তবিরক্ত তাঁরা। কেননা একে তো তাদের শ্বশুরবাড়ির বিশাল জনগোষ্ঠী, উপরন্তু কেউ কাউকে তেমন সাহায্য করে না। কেমন যেনো এককেন্দ্রিক ধরণের! লিলি বেগম তো মেজ বউ হয়েও মাঝেমধ্যে গলা চওড়া করে ফেলেন। একজন মানুষের জন্য আদৌ এত দায়িত্ব নেয়া সম্ভব! এখানে যে তার দুই ভাবী একে অপরকে সাহায্য করে, মিলেমিশে থাকে, তার শ্বশুরবাড়িতে হয় এর ঠিক উল্টোটা।
বাজারের লিস্ট রেখে এখন পাঁচজনে মিলে হাসিঠাট্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ওদিকে মাত্রই রেডি হয়ে রুম থেকে বের হলেন আনিস সাহেব। নাজমা বেগমের উদ্দেশ্যে হাঁক ছেড়ে ডাক দিলেন,
" কই গো স্মরণের মা! কই তুমি? বাজারের লিস্ট করা শেষ হয়েছে? তাড়াতাড়ি দাও। "
বাইরে থেকে স্বামীর ব্যস্ত কণ্ঠ শুনে জিব কাটলেন নাজমা বেগম। গল্পে গল্পে অতীব জরুরি কাজটাই ভুলে বসেছেন তিনি। এবার আর দেরি করা যাবে না। মাসুদা বেগমকে তাড়া দিলেন তিনি। বললেন,
" তাড়াতাড়ি লিখো মাসুদা। তোমার ভাইজান আবার রেগে যাবেন৷ আজ অনেক কাজ তাদের। "
মাসুদা বেগম কথা বাড়ালেন না। জরুরী যা যা লাগবে তা তা যোগ করলেন। লিস্ট রেডি করা শেষে নাজমা বেগম দৌড়ে গিয়ে আনিস সাহেবের হাতে লিস্ট ধরিয়ে দিলেন। আনিস সাহেব তখন ডাইনিং টেবিলে বসে ফোনে খবর দেখছিলেন। লিস্টটা হাতে পেয়েই কলার ঠিক করতে করতে স্মরণ ও সাদকে ডাক দিলেন। দুই ছেলেকে নিয়ে আজ বাজার করতে যাবেন তিনি।
আনিস সাহেব, স্মরণ ও সাদ বাজারের উদ্দেশ্যে যেই না বের হতে যাবেন অমনি সাজিদ এসে তাদের সাথে যোগ দিলো। আনিস সাহেব তাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
" কি ব্যাপার সাজিদ? কোথায় যাও?"
সাজিদ মামা শ্বশুরের উদ্দেশ্যে ভদ্রতাপূর্ণ হাসি দিয়ে বললো,
" আপনাদের সাথে বাজারে যাচ্ছি। চলুন।"
" আরে কি বলে ছেলে! তুমি জামাই মানুষ। এখানে এসেছো, খাওদাও আরাম করো। বাজারে গিয়ে কি করবে। যে গরম!"
" পুরোনো জামাই হয়ে গিয়েছি মামা। এখন নতুন জামাই আসছে তার সাথে ফরমালিটি দেখাবেন।আমার সাথে না। "
সাজিদের কথা বলার ঢঙে হেসে উঠলো চারজনেই। এভাবে বেশ জোর করার পর আনিস সাহেব বললেন,
" আচ্ছা, শুকনো বাজারে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা তিনজন তো যাচ্ছিই। তুমি বরং আনোয়ারের সাথে মাংসের বাজারে যেও।"
সাজিদ রাজি হলো। 'আচ্ছা' বলে বাড়ির ভেতরে চলে এলো। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আনিস সাহেব, মাহবুব ও সাজিদ মাংস কেনার উদ্দেশ্যে বের হলো।
ঈদের দিন সকালে সেমাইয়ের সাথে গরম গরম ধোঁয়া উঠা খিচুড়ি ও ঝাল গরুর গোশত রান্না করা হবে। সে উদ্দেশ্যেই গোশত কিনতে যাচ্ছে তারা।
নাজমা বেগম ডাইনিং ডাইনিং টেবিল গোছাচ্ছিলেন। এমন সময় দেখলেন ইমাদ সাহেব রুম থেকে বেরিয়ে আসছেন। মাত্রই ঘুম থেকে উঠেছেন তিনি। মাথার সামান্য চুলগুলোও অগোছালো হয়ে আছে। বোধহয় ঘুমের রেশ এখনো কাটেনি তার। তাই তো রুম থেকে বের হওয়ার পর পরপর তিনবার লম্বা হাই ছাড়লেন।
ইমাদ সাহেবকে দেখে নাজমা বেগম বাঁকা স্বরে মিলি বেগমের উদ্দেশ্যে বললেন,
" কই গো মিলি? তোমার নবাবজাদা স্বামী ঘুম থেকে উঠেছেন। সাজ শৃঙ্গারের ব্যবস্থা করো তার।"
হাই ছাড়তে ছাড়তে মাঝ পথেই তাতে বিরতি কষলেন ইমাদ সাহেব। নাজমা বেগম যে তাকে উদ্দেশ্য করেই কথাটা বললেন তা বুঝতে এক সেকেন্ডও সময় লাগলো না। মুহূর্তে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি।
নাজমা বেগম ও ইমাদ সাহেব আপন চাচাতো ভাইবোন। তবে ছোট থেকেই দুজনের মধ্যে দা কুমড়ো সম্পর্ক ছিলো। কারণে অকারণে একে অপরকে সহ্য করতে পারতো না দুজন। তাদের বয়সের পার্থক্যও ছিলো মাত্র এক বছরের।
আনিস সাহেবের সাথে নাজমা বেগমের বিয়ে হওয়ার পর ইমাদ সাহেবের মরহুমা মা অর্থাৎ নাজমা বেগমের চাচি মিলি বেগমের জন্য ইমাদ সাহেবের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। দু পরিবারের মতে নাজমা বেগমের বিয়ের মাত্র দু মাসেই মধ্যেই মিলি বেগমের বিয়ে হয়ে যায়। বয়সে
সেই ছোট থেকে চলে আসা চাচাতো ভাইবোনের দ্বন্দ্ব বিয়ের পর ননদাই ও শ্যালক পত্নীর খোঁচাখোঁচিতে পরিণত হয়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে নাজমা বেগম বড় হওয়ায় সুযোগ পেলেই ইমাদ সাহেব খোঁচা মারেন। ইমাদ সাহেবও কম যান না৷ গম্ভীর স্বভাবের লোকটা একটুতেই ছ্যাঁত করে উঠেন, শুনিয়ে দেন দু চারটা কথা।
ইমাদ সাহেব এবার গম্ভীর ক্রোধান্বিত গলায় বললেন,
" আমাকে বলছো নাজমা?"
নাজমা বেগম কাজে মনোযোগী হওয়ার ভান করে পূর্বের ন্যায় বললেন,
" এখানে তো আর কেউ নেই মনে হয়। নাকি নিজেকে অদৃশ্য ভাবছো ইমাদ?"
ইমাদ সাহেব তেতে উঠে বললেন,
" আবারো নাম ধরে ডাকছো আমাকে! বারবার কি ভুলে যাও আমি তোমার বড়?"
নাজমা বেগম চট করে তাকালেন। এক গাল হেসে কটাক্ষের সুরে বললেন,
" তুমিও কি ভুলে যাও আমি সম্পর্কে তোমার ভাবী হই? সম্মান করতে জানো না।"
ইমাদ সাহেবের মুখশ্রী অপমানে থমথমে হয়ে এলো। ক্রোধের আগ্নেয়গিরি এবার বোধহয় ফেটে যাবে। কিন্তু এ অঘটন ঘটার পূর্বেই মিলি বেগম প্রায় দৌড়ে চলে এলেন। স্বামীর ধৈর্য্য ও ক্রোধের সীমা সম্পর্কে শুরু হতেই অবগত তিনি। এ নিয়েও অবগত আছেন যে তাঁর স্বামী ও ভাবীর মধ্যে দা কুমড়ো সম্পর্ক আছে।
মিলি বেগম এসেই ইমাদ সাহেবকে ধরে বললেন,
" দেখো ঝগড়া করো না। মাত্রই ঘুম থেকে উঠলে। চলো হাত মুখ ধুয়ে নাও। "
ইমাদ সাহেব শুনলেন না। গলা উঁচিয়ে বললেন,
" মিলি, তোমার ভাবীকে বলো সম্মান দিয়ে কথা বলতে।"
নাজমা বেগম ইমাদ সাহেবের কথা তোয়াক্কা করলেন না। বেশ ফুরফুরে মেজাজে বললেন,
" সম্মান করলে সম্মান পাবে। আমি সম্পর্কে তোমার বড়, তারপরও নাম ধরে ডাকো আমাকে!"
মিলি পারে না দুজনের মুখে স্কচটেপ এঁটে দিতে। এদিকে ইমাদ সাহেবের ক্রোধের আগুন অপরদিকে নাজমা বেগমের খোঁচা। কি এক বিপাকে পড়লেন তিনি! ইমাদ সাহেবকে বাহু চেপে ধরে রেখে নাজমা বেগমের দিকে অসহায় চাহনিতে চেয়ে বললেন,
" ভাবী প্লিজ। একটু থামেন।"
জবাবে নাজমা বেগম কিছু বলতে যাবেন এর পূর্বেই আসমানী বেগম রুম থেকে তেড়ে বেরিয়ে এলেন। মেয়ের জামাই, ছেলের বউ দুজনের উদ্দেশ্যেই হাঁক ছেড়ে বললেন,
" কোন গ্যাদা দুইডা এমনে ঝগড়া করতাছে! মনডা চায় দুইডারেই লাঠি দিয়া বাইড়াই। কোন কুক্ষণে যে একই বাড়িত দুইডার বিয়া হইছিলো আল্লাহ জানে।"
শাশুড়ীকে দেখে ইমাদ সাহেব শান্ত হলেন কিছুটা। বাচ্চাদের মতো অভিযোগের সুর তুলে বললেন,
" আম্মা দেখুন....."
সম্পূর্ণ কথা শেষ করতে পারলেন না ইমাদ সাহেব। এর পূর্বেই আসমানী বেগম রুমের বাইরে থাকা একটা লাঠি নিয়ে তেড়ে এসে বললেন,
" ভাগবি তোরা দুইডা! আর কদ্দিন পর শওড় শাওড়ী হয়া যাইবো আর এহনও গ্যাদা মাইনষের মতো ঝগড়া করে! লাঠি দিয়া বাইড়া সোজা করে ছাড়মু দুইডারে।"
আসমানী বেগমের ভয়ে নাজমা বেগম এক ছুটে রান্নাঘরে দৌড়ে গেলেন। মিলি বেগম স্বামীকে নিয়ে ঢুকে পড়লেন রুমে। লাঠি হাতে নিয়েই ক্রোধে ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লেন আসমানী বেগম। এই দুজনের জ্বালায় অতিষ্ট তিনি।
-----------------------
স্মরণ বাজারে গিয়েছে, জিলাপি কিনতে। আজ মাহবুব সাথে এসেছে। মাহবুব বাড়ির সবার জন্য বড় সাইজের জিলাপি কিনছে। কিন্তু স্মরণ খুঁজছে শাহী জিলাপি। যে দোকান থেকে বাড়ির জন্য জিলাপি কেনা হলো সেখানে শাহী জিলাপি নেই। মাহবুবকে জিজ্ঞেস করলো এখানে শাহী জিলাপি কোথায় পাওয়া যায়। মাহবুব এ বিষয়ে জানে না বিধায় কিছু বলতেও পারলো না। কিন্তু দোকানদারকে জিজ্ঞেস করার পর বললো, বাজারের একদম শেষ মাথায় একটা দোকানেই শাহী জিলাপি বানানো হয়। যেহেতু শাহী জিলাপির দাম বেশি, তাই গ্রামের সব দোকানে তা বানানো হয় না।
স্মরণ ভ্যান নিয়ে চললো সেই দোকানে। শুধুমাত্র নীলিমার জন্য কিছু শাহী জিলাপি কিনলো। নীলিমা শাহী জিলাপি ও বাজারের শাহীনের দোকানের ঝাল ঝাল আলুর চপ বেশ পছন্দ করে। এখানকার আলুর চপটা তার ভীষণ পছন্দের। স্মরণ এটা জানে। কিভাবে যেনো নীলিমার এ পছন্দের কথা তার এখনও মনে আছে। অবশ্য বাজারে আসার আগে রাফার মাধ্যমে নীলিমার পছন্দের এ ব্যাপারটা আরো একবার নিশ্চিত করে নেয় সে। স্মরণ সন্দেহ করেছিলো বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে নীলিমার হয়তো এসব আর পছন্দ নেই। তাই নিশ্চিত হয়ে নিয়েছিলো।
শুধুমাত্র নীলিমার জন্য শাহী জিলাপি ও আলুর চপ নিয়ে আগের দোকানে চলে আসে স্মরণ। তার হাতে এসব দেখে মাহবুব সন্দেহের সুরে জিজ্ঞেস করে,
" কি রে? এত স্পেশালি ভাবে কার জন্য জিলাপি আর আলুর চপ নেয়া হচ্ছে? "
স্মরণ হাতের প্যাকেটের দিকে চেয়ে মৃদু হেসে বললো,
" নীলিমার জন্য।"
মাহবুব যেনো আকাশ থেকে পড়লো। আগেপিছে অন্য কোনো প্রশ্ন না করেই তীরের মতো একটা মাত্রই প্রশ্ন ছুড়লো সে,
" তোদের মধ্যে প্রেমটেম হয়ে গেলো নাকি!"
স্মরণের অধর হতে মুহূর্তেই সকল হাসি উবে গেলো। কয়েক সেকেন্ড প্রতিক্রিয়াহীন চেয়ে অতঃপর হাত ঝেড়ে হো হো করে হেসে বললো,
" প্রেম! হা হা। কী যে বলিস তুই! পাগল হয়ে গিয়েছিস নাকি! চল, তোর মাথার স্ক্রু টাইট করে দেই। "
স্মরণ যেমন ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিলো। মাহবুবুও ব্যাপারটাকে তেমন আমলে নিলো না। অতঃপর দুজনে ভ্যান নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
স্মরণ বাড়িতে এসেই মাহবুবের রুমে ঢুকে একটা চিরকুট লিখে জিলাপির প্যাকেটের বাইরের পলিথিনে রেখে দিলো। অতঃপর সকলের আড়ালে রাফাকে দুটো প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বললো,
" এটা নীলিমাকে দিয়ে দিও। আর যদি ও শেয়ার করতে চায় তাহলে নির্দ্বিধায় জিলাপি আর আলুর চপের ভাগ নিয়ে নিও। আর যদি না দেয় তাহলে কালকে আমি স্পেশালি তোমার জন্য কিনে এনে দিবো।"
রাফা প্যাকেট দুটো হাতে নিয়ে বিস্তৃত হেসে বললো,
" ওকে স্মরণ ভাই। আমি যাই তাহলে। "
রাফা পিছনে লুকিয়ে লুকিয়ে প্যাকেট দুটো এনে মানতাসার রুমে ঢুকলো। মানতাসা রুমে নেই। নীলিমা মাত্রই নামাজ পড়ে উঠলো। যায়না ভাঁজ করা মাত্রই রাফা তার হাতে প্যাকেট দুটো ধরিয়ে দিয়ে বললো,
" নে, তোর জন্য। স্পেশালি একজন দিয়েছে।"
নীলিমা কিছু বুঝে উঠতে পারলো না। জিজ্ঞাসু চাহনিতে চেয়ে শুধালো,
" কে দিয়েছে? "
রাফা মিটিমিটি হেসে বললো,
" দিয়েছে একজন। বুঝবি। প্যাকেটে দেখ কাগজ-টাগজ কিছু আছে নাকি।"
নীলিমা ভ্রু কুঁচকে প্যাকেট দুটো উঁচুতে তুললো। দেখলো সত্যি সত্যিই ছোট্ট একটা কাগজ আছে। সে কাগজটা বের করে ভাঁজ খুলে দেখলো......
.
.
.
চলবে...........................