আমি সায়েমের মুখোমুখি এসে বসলাম। স্থির চোখে ওনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'আপনি এখানে কেন এসেছেন?'
সায়েমের সোজাসাপটা উত্তর, 'তোমাকে দেখতে।'
পাশে আমার মা দাঁড়িয়ে আছেন। আমি অন্য কোনো সময় হলে নিশ্চিত বিব্রতবোধ করতাম। কিন্তু আজ আমার মাঝে কোনো পরিবর্তন হলো না। বড় ধাক্কা খাওয়ার পর এসব ছোটখাটো ব্যাপারে মানুষ আশ্চর্য হবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
সায়েম মা'র সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলো। সে তার আলোচনা চালিয়ে গেলো। আমি বসে রইলাম তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে। আমাকে কেউ গ্রাহ্যই করছে না। অনেক্ষণ পর মা রান্নাঘরের দিকে গেলেন 'একটু আসছি' বলে।
আমি সায়েমকে বললাম, 'আপনার দেখা কি শেষ হয়েছে?'
'না। আরও বাকি আছে।'
'কি চান আপনি?'
'তোমাকে।'
'আশ্চর্য। এরকম নির্লজ্জ মানুষ আগে দেখিনি আমি।'
'সত্যি কথা বললেও মানুষ নির্লজ্জ হয়? তুমি যা আস্ক করেছো আমি জাস্ট সেটারই আনসার দিচ্ছি।'
আমি যথাসম্ভব শান্ত স্বর ধরে রাখার চেষ্টা করে বললাম, 'এভাবে হয় না সম্পর্ক। আমি জানিনা আপনার কিভাবে বাসায় আসার মতো সাহস হয়। কিন্তু আর এরকম করবেন না প্লিজ। আমার এই ব্যাপারটা ভালো লাগছে না।'
'লিসেন, আমি এতক্ষণ সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করেছি। তুমি আমাকে এইভাবে বলতে পারো না। তোমার মা আমাকে বাসায় চায়ের দাওয়াত দিয়েছে। তাই আমি এসেছি। আলোচনা উনিই শুরু করেছেন, নট মি।'
আমি আর কিছু বলার সাহস করলাম না। থ হয়ে বসে রইলাম। আমার মা এই লোককে যাচাই বাছাই করার জন্য ডেকেছেন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই ছেলেকে মায়ের পছন্দ হবেনা। বেশী আধুনিক মানুষজন আমার মায়ের অপছন্দের তালিকায়। তার ওপর এই ছেলেটা যেভাবে নির্লজ্জের মতো কথা বলে, আমি ধরেই নিলাম বিষয়টা এখানেই সমাপ্ত।
কিন্তু না, আমাকে অবাক করে দিয়ে মা বিষয়টাকে টেনে বাবা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। সায়েমকে বললেন, 'তুমি একবার সরণীর বাবার সঙ্গে দেখা করো। তোমাকে পরে কল দিবো।'
এটা শোনার পর আমি চট করে উঠে নিজের ঘরে চলে এলাম। আমার অসহ্য লাগছিল ওদের আলোচনা শুনতে। মা অসম্ভব সিরিয়াস ভঙ্গীতে সবকিছু জিজ্ঞেস করছিলেন। যেন এই ছেলেকেই ওনার জামাই বানানো চাই।
স্বাগতা আপু ছুটে এলো আমার ঘরে। আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো প্রাণপণে।
'দেখ সরণী, তুই এত দ্রুত মাথা গরম করিস না। তুই না চাইলে কেউ তোকে বিয়ে দিতে পারবে না। সায়েম নিজেও করবে না। আমি ওর সঙ্গে কথা বলবো।'
'তোমার মম, তোমার সায়েম, আর তুমি, সবাই একই ক্যাটাগরির। আমার বোঝা হয়ে গেছে। এতবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে এখানে এসেছে। আমার আর কি বোঝার বাকি আছে আপু?'
স্বাগতা আপু পুরো দোষটা মায়ের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করলো। আমিও তাই মানলাম আপাতত। আমার মা সায়েমকে কেন দাওয়াত করেছে সেটুকু বোঝার বয়স তো আমার হয়েছে। সবকিছু জেনে বুঝে আমি শান্ত হয়ে গেলাম। এত বছর পর যখন ভাগ্য আমার অনুকূলে এসেছিলো, নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের জন্যও আমি বুকে আশা বুনতে পারি। যা ঘটবে, তার পেছনে নিশ্চয়ই আমার জন্য ভালো কিছু থাকবে।
নিজেকে স্বান্তনা দেয়ার পর আমার দুঃখবোধ খানিকটা কমেছে সত্যি। তবে ওইদিন স্বাগতা আপুর বাড়িতে জন্মদিনের দাওয়াত খেতে যাওয়াটাকে আমি ঠিক সৌভাগ্য বলবো নাকি দূর্ভাগ্য, তা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি।
দিন কয়েক চুপচাপ কেটে গেলো। কয়েকদিন বাদে মা আমাকে বললেন, 'সায়েমের বাসা থেকে ওর ফ্যামিলির লোকজনরা বেড়াতে আসবে।'
আমার ভিড়মি খাওয়ার পালা। পরিবারের লোকজন কেন আসবে তা ব্যাখ্যা করার বয়স পেরিয়ে এসেছি। আমি জানি আমাকে দেখতে আসবে। কিন্তু এত বড় সত্য মেনে নিতে আমার ভীষণ কষ্ট হতে লাগলো।
মা নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চলে গেলেন। আমি কোনো প্রশ্ন করার অবকাশ পাইনি। দুপুরের দিকে সীমান্ত ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম, 'তুমি কিছু জানো?'
ভাইয়া দুদিকে মাথা নেড়ে উত্তর দিলো, 'না তো। কি জানবো?'
'আমাকে আজকে কারা নাকি দেখতে আসবে।'
ভাইয়া কয়েক সেকেন্ড হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে উত্তর দিলো, 'তোকে কেন দেখতে আসবে? তোর কি দেখতে আসার মতো বয়স হয়েছে নাকি? এসব ফাজলামো করছেটা কে বলতো?'
'মা।'
'আমি যাচ্ছি মায়ের কাছে। কি যা তা বলিস।'
ভাইয়া মা'র সঙ্গে কথা বলতে চলে গেলো। আমি ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। ভাইয়ার সক্ষমতা আমি জানি। এই বাড়িতে মা যেটা বলে সেটাই হয়। এখানে আমাদের কারো কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। অতীতেও তা কখনো গ্রাহ্য করা হয়নি, আজকেই বা কেন করা হবে।
সায়েমের বাড়ির লোকজন আসার আগমুহূর্তে মা আমাকে এসে বললেন, 'মেহমান চলে আসবে এক্ষুনি। তারাতাড়ি রেডি হয়ে নাও।'
'আমাকে এভাবে রিমোট কন্ট্রোল পুতুলের মতো চালানো হচ্ছে কেন জানতে পারি মা?'
মা কোনো উত্তর দিলেন না। গম্ভীর হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি জোরগলায় বলার চেষ্টা করলাম, 'আমি কি চাই একবারও জানতে চাইলে না?'
'যা করছি, তোমার ভালোর জন্য করছি। তুমি যা চাও সেটাতে তোমার ভালো নাও থাকতে পারে।'
'তোমরা যা করছো তাতেও আমার ভালো নাও থাকতে পারে।'
'আমি তোমার চাইতে বয়সে দ্বিগুণেরও বড়। তোমার চাইতে জীবনকে আরো বেশী দেখেছি আমি।'
এই কথাটা বলে মা ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। আমার সঙ্গে আজীবন যে নিষ্ঠুরতা করা হয়েছে, আজকের ঘটনা সবকিছুকেই ছাড়িয়ে গেলো। আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না সদ্য ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া একটা মেয়েকে এভাবে পাত্রপক্ষের সামনে বসিয়ে দেয়া হবে!
তারা চলে আসলো। সায়েম, ওর মা বাবা, সায়েমের বড় বোন,
দুলাভাই। আমি মায়ের জোরাজোরিতে একটা থ্রিপিস পরে পাউডার মেখে বসে আছি। মা নিজের হাতে চিরুনি দিয়ে চুল বেঁধে দিলেন। আমি কোনো টু শব্দও করলাম না।
সবার সামনে গিয়ে যখন উপস্থিত হলাম, নিজেকে বড্ড অনুভূতি শূন্য মনে হলো। যেন আমার কোথাও কোনো অনুভূতি কাজ করছে না। এইযে অপরিচিত এই মানুষ গুলোর সামনে কেন দাঁড়িয়েছি, কেনই বা সায়েমের মতো একজনকে সহ্য করতে যাচ্ছি, নিজের ভেতর কোনোকিছুরই প্রভাব টের পাচ্ছি না। শুধু যন্ত্রের মতো হাঁটাচলা করছি।
সায়েমের মা বললেন, 'তুমি খুবই লক্ষী একটা মেয়ে। সারাদিন কিছু খাওনি?'
আমি অপ্রস্তুত হয়ে জবাব দিলাম, 'খেয়েছি।'
'মুখটা এত শুকনা লাগছে কেন বাচ্চা? আমাদের সঙ্গে নাস্তা খাও। নাও, একটা পিরিচ তুলে নাও। একদম লজ্জা পাবেনা।'
'আমার খিদে নেই।'
'আহারে, অভিমানী কথাবার্তা। তুমি কি ভাবছো আমরা তোমাকে দেখতে এসেছি আমার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবো বলে? আরে বোকা মেয়ে। আমরা শুধু দেখাসাক্ষাৎ করতে এসেছি। তোমাদের ফ্যামিলির সঙ্গে একটা বন্ডিং করতে এসেছি। তুমি এত ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তোমাকে আমরা কোনো প্রেশার দিচ্ছি না।'
আমি চুপ করে রইলাম। সবাই মিলে আমাকে যা ইচ্ছে তাই বুঝিয়ে চলেছে। যদিও আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না।
কতক্ষণ সম্মুখে বসে তাদের হাসি আড্ডার মিথ্যা নাটক দেখেছি জানিনা। একসময় মনে হলো আমি ভীষণ ক্লান্ত এসব দেখতে দেখতে। আমার বিশ্রাম দরকার। "আমি একটু আসছি" বলে নিজের ঘরে চলে আসি। কোনোমতে জামাকাপড় বদলে বালিশে মাথা রাখি। তারপর কী হয়েছে জানিনা। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ।
ঘুম ভাংলে বোঝার চেষ্টা করলাম এখনো মেহমান আছে কি না। কিন্তু কোনো আওয়াজ শোনা গেলো না। নিশ্চিত হলাম, ওরা চলে গেছে। আমার আশেপাশে কী ঘটছে আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
পরদিন বাবা আমাকে ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে গেলেন। ক্যাম্পাসে এসে ঘাসের ওপর শান্তভাবে বসে রইলাম। ক্লাসে ঢুকলাম না। মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। ক্লাস করার শক্তি নেই। চুপচাপ বসে ঘাসের দিকে চেয়ে আছি আমি। হঠাৎ শুনলাম একটা মেয়ের কণ্ঠস্বর। মিষ্টি অথচ চঞ্চল।
'তোমার কি মন খারাপ?'
আমি মাথা তুলে তাকালাম। স্লিম, পরিপাটি, হাস্যোজ্জ্বল একটা মেয়ে। চোখ নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো, 'এখানে এভাবে বসে আছো কেন? মন খারাপ থাকলে আমাকে বলো। আমি তোমার মন ভালো করে দেবো।'
এই আমার সারাজীবন কোনো বন্ধু ছিলো না। সেই আমার সঙ্গে কারো আগ বাড়িয়ে এমন আন্তরিকতা দেখাতে আসাটা হজম করতে আমার কষ্টই হলো। শুকনো হাসি দিয়ে বললাম, 'তেমন কিছু না।'
'কেমন কিছু হুম?'
'ফ্যামিলি ইস্যু।'
'হুম। বুঝলাম। কফি খাবা?'
'না আপু। থ্যাংকস।'
'আমাকে আপু বলার দরকার নেই। যদিও তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি আমার সিনিয়র হবা।'
'তা ভাবার দরকার নেই। আমি মাত্র ফার্স্ট সেমিস্টারে ভর্তি হলাম।'
'ওহ মাই গড। তোমাকে দেখলে বড় আপু বড় আপু লাগে। আমি ভেবেছিলাম তুমি বড়জোর আমার ব্যাচমেট হবা। আমি থার্ড সেমিস্টারে।'
'অসুবিধা নেই আপু।'
'আরে মেয়ে আপু আপু করবা না তো। চলো আমার সঙ্গে। ওদিকে গিয়ে বসি। তোমার মন ভালো করে দেই।'
'আমার কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না।'
'বুঝেছি। তোমার অনেক মন খারাপ। ঠিক আছে, তাহলে আমিই বসি।'
মেয়েটা আমার পাশেই ঘাসের ওপর বসে পড়লো। আমার ভেতর তেমন কোনো ভাবান্তর দেখতে না পেয়ে নিজে থেকেই কথা চালিয়ে গেলো। এই ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুন্দর গাছ কোনটা, কোন গাছের নিচে দাঁড়ালে কেমন অনুভূতি হয়, কোথায় ফুলের ঘ্রাণ আছে, কোন মামার ফুচকা বেশী মজা, কোন দোকানে সবচেয়ে মজার চা বানায়, এরকম অসংখ্য কথায় আমাকে ব্যস্ত করে তুললো সে। প্রথমে বিরক্ত লাগলেও পরক্ষণেই টের পেলাম আমার ওর সঙ্গ বেশ ভালো লাগছে।
ওর নাম ফারাহ। এখানে কাছেই একটা বাসায় থাকে। ওর বাসার এড্রেসটাও আমাকে দিলো। বললো, যখন খুশি চলে আসবা। আমার বাসায় বড় ব্যালকনি আছে। তোমার ফেসবুক আইডিটা দাও, এড করে ফেলি।
আমি ফ্যাকাশে হাসি দিয়ে বললাম, 'আমার আইডি নেই।'
'তাহলে ফোন নাম্বারটা দাও। ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড।'
'আমার ফোন নেই আপু।'
ফারাহ অবিশ্বাসের সুরে বলল, 'সিরিয়াসলি! এই মেয়ে আমার সঙ্গে ফান করবা না। দিতে না চাইলে দিও না।'
'আমি ফান করছি না আপু। ইউ ক্যান চেক মাই ব্যাগ।'
আমি আমার ব্যাগটা তার দিকে এগিয়ে দিলাম। সে হতচকিত অবস্থায় খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে উত্তর দিলো, 'ওকে। নো প্রবলেম। পৃথিবীটা গোল। আমাদের আবার দেখা হয়ে যেতেও পারে।'
ফারাহ কোন ডিপার্টমেন্টের সেটা জেনে নিয়ে রাখলাম। এত চমৎকার একটা মেয়ের সঙ্গে আরেকদিন দেখা করার ইচ্ছে জাগতেই পারে। বন্ধুত্ব করতে পারবো কিনা জানিনা, তবে মন চাইলে ফারাহ'কে খুঁজে বের করে ওর কথা শুনবো। প্রচণ্ড মন খারাপের দিনে শুধু কথা বলার জন্য একটা মানুষকেই আমরা অসম্ভব মিস করি। ফারাহ আমার সেই কথা বলার সঙ্গী হতে পারে।
ফারাহ'র সঙ্গে প্রায় ঘন্টাখানেক বসে গল্প করলাম। ঠিক গল্প করেছি বলা যায় না, আমি বরং বলবো গল্প শুনেছি। ফারাহ চলে গেলে আমি বের হয়ে এলাম ভার্সিটি থেকে। বাবা বলে দিয়েছে, যদি কখনো ক্লাস ক্যানসেল হয় বা তারাতাড়ি বাসায় যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। আমি যেন একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে যাই।
বের হয়ে একটা রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অনেকদিন পর একা হওয়ায় কিছুক্ষণ ফুটপাত ধরে হাঁটছি, ঠিক এমন সময় পেছন থেকে খুবই চেনা একটি কণ্ঠস্বর শুনে থমকে দাঁড়ালাম।
রৈনীল!
আমি পেছন ফিরে অবাক চোখে চেয়ে আছি। রৈনীল উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললো, 'কেমন আছো?'
'ভালো। আপনি এখানে!'
'একটা কাজ ছিল এদিকে। হঠাৎ দেখা হয়ে গেলো। কী আশ্চর্য!'
ফিক করে হেসে ফেললো রৈনীল। তারপর আমরা পাশাপাশি হাঁটতে শুরু করলাম। রৈনীল কথা বলছিল ওয়েদার নিয়ে, চারপাশের পরিবেশ আর কয়েকটা পোষা কুকুরের কথা।
আমি আশ্চর্য হয়েছি। যেদিনই প্রচণ্ড দুঃখবোধ আমাকে ঘিরে ধরে, সেদিনই কেন অকস্মাৎ আমার রৈনীলের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়!
রিকশা ডেকে উঠে পড়বো কিনা ভাবছি। চট করে রৈনীল বললো, 'চলো কোথাও বসি?'
আমি উত্তর খুঁজে না পেয়ে নিষ্পাপ ভঙ্গীতে রৈনীলের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
.
.
.
চলবে.........................................................................