আশিয়ানা - পর্ব ৫২ - শারমিন আক্তার বর্ষা - ধারাবাহিক গল্প


ঘুম ভাঙার পরপর ঘড়ি দেখতে চায় রোদেলা। দু'হাতে চোখজোড়া কচলাতে কচলাতে দেয়ালের দিকে তাকাল। সেহরিশের ঘরে কোনো দেয়ালঘড়ি নেই। সেহরিশের দেয়ালঘড়ি দেখার প্রয়োজন পড়ে না, সময় জানতে হলে হাতঘড়ি কিংবা ফোনে সময় দেখে নেয়। রোদেলা বুঝে উঠতে পারল না, এখন ক'টা বাজে। সেহরিশ তার রুমটায় রোদেলাকে থাকতে দিয়ে ওঁ পাশের ঘরটা দখল করেছে। রোদেলা বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। অনেকটা সময় শুয়ে থাকায় শরীরটা মেজমেজ করছে। পিঠের দিকে খানিক ব্যথা করছে। বালিশ দুটো জায়গায় ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে রেখে সে জানালার দিকে পা বাড়াল। একহাতে জানালার থাই খুলে দিতে সুরসুর করে উষ্ণ হাওয়া রুমে ঢুকে এলো। আকাশটা আজ স্বচ্ছ, রোদের তেজ তেমন নাই। বাতাসের উষ্ণতায় আন্দাজ করা যাচ্ছে, এখনও ছ'টা বাজেনি। রোদেলা বাথরুমে চলে গেল, ব্রাশ করে ও ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে নামতে একবার আবারও সেহরিশের বাড়িটা দেখল, রান্না ও আশেপাশে কয়েকটা রুম খুঁজে একটা ঝাড়ু পেল সে। ইচ্ছে হল, ঝাড়ু দিয়ে তারপর সকালের নাস্তা বানাবে। ঝাড়ু নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে সময় তূর্ণর মুখোমুখি পড়ল। অপ্রস্তুত হয়ে একটু হাসল রোদেলা। তূর্ণ ভ্রুযুগল কুঁচকে ফেলল। এরপর ওঁ বিরসমুখে শুধাল, ' এটা কী?'
' ঝাড়ু।'
' ঝাড়ু তা আমি দেখতেই পাচ্ছি। ঝাড়ু নিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছে?'
' ঝাড়ু দেওয়ার জন্য উপরে যাচ্ছিলাম।'
' রাখো, এসব তোমার কাজ নয়। সাতটা বাজে কাজের লোকেরা এসে তাদের কাজ করবে। তুমি এসব করছ, সেহরিশ দেখলে কী হবে? একবার ভেবে দেখেছ?' অবাক হল তূর্ণ বিস্মিত কণ্ঠে বলল। 
' কিন্তু? আমি করলে দোষ কোথায়?'
' তুমি বোধহয় ভুলে যাচ্ছ, তুমি আর তুমি নেই। তুমি এখন সেহরিশ ফাতিন চৌধুরীর স্ত্রী। কাজের লোকেরা যদি দেখে তুমি এসব করছ, তারা কানাকানি করবে। ব্যাপারটা ভালো হবে না, লোকে বলবে নতুন বউকে দিয়ে কাজের লোকের মতন খাটাচ্ছে।'
' আমাদের গ্রামে তো এটা এক নিয়মের মধ্যে পড়ে, নতুন বউকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড়ু, উঠোন ঝাড়ু এমনকি অনান্য কাজও করতে হয়।'
তূর্ণ অসহায় চাহনিতে চেয়ে থাকল। একটু পর বলল, ' অন্যরা কি করল না করল সেসব দেখার বিষয় না। তুমি করতে পারবে না। সেহরিশ রাগ করলে কি করতে পারে তুমি জানো না ভাবী।'
তূর্ণর মুখে প্রথমবার ভাবী ডাকটা শুনে একরাশ বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকল রোদেলা। ঝাড়ু রাখতে রাখতে বলল, ' আপনারা নাস্তায় কী খাবেন? আমায় বলুন, আমি বানিয়ে নিয়ে আসছি।'

তূর্ণ কি সব খাবারের নাম বলল। এ-সব খাবারের নাম রোদেলা আগে কখনও শোনে নি। রান্নাঘরে এসে সে জিনিসপত্র খুঁজে খুঁজে দেখল, কোন ড্রয়ারে কি রাখা আছে। এরপর ফ্রিজের সামনে এসে দাঁড়িয়ে রইল। বাঙালী খাবার রান্না করার মতন কোনো সবজি নেই। তূর্ণ যে-সব খাবারের নাম বলেছে সেগুলো কি কি দিয়ে বানাতে হয়। রোদেলা জানে না। 

' এখানে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?'

হঠাৎ পুরুষের কণ্ঠস্বরে প্রশ্ন শুনে রোদেলার সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠল যেন। শুঁকনো ঠোঁট জোড়া কামরে ধরে একপাশ হয়ে দাঁড়াল ওঁ। শরীর থরথর করে কাঁপছে। ঠাণ্ডা লাগলে যেমন নাক বন্ধ হয় আর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তেমন রোদেলার নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছে। সেহরিশ একটু ঝুঁকে এলো, রোদেলাকে দেখে সে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল, ' দম ফেলছো না কেন? শ্বাস নাও।' শেষের কথাটা একটু ধমকের স্বরেই বলল সেহরিশ। রোদেলা নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। মুখ খুলে ভারী ও ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিল। সেহরিশ ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা পানির বোতল বের করল। রোদেলার দিকে না তাকিয়ে প্রশ্ন করল, ' ফ্রিজে কি খুঁজছ?'
জিবের আগা দিয়ে শুঁকনো ঠোঁট জোড়া হালকা ভিজিয়ে নিল রোদেলা। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ' আপনাদের জন্য নাস্তা বানাতে চাই। কি বানাব? বুঝতে না পারায় তূর্ণ ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করেছি, উনি কিসব নাম বললেন। ওসব কিভাবে বানাতে হয় সেটা জানি না। এজন্য ফ্রিজে দেখতে এসেছি কোন কোন জিনিস আছে।'
' তূর্ণ, কী বানাতে বলছে?' গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল সেহরিশ।
' আহহ!' মনে করার চেষ্টা করে রোদেলা বলল, ' জানি না। ভুলে গেছি।'
রোদেলা মাথা নিচু করে আছে। সেহরিশের মুখখানা ওঁর দেখা হচ্ছে না, ইচ্ছে করছে লোকটার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে। কিন্তু সাহস নেই। সেহরিশ ওঁর নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরল। এই মেয়েটার বোকা বোকা কাণ্ড দেখলে ওঁ হতভম্ব হয়ে যায়। ডান হাতের মুঠোয় থাকা পানির বোতলটা হালকা চেপে ধরল। পূর্বের থেকে দ্বিগুণ গম্ভীর কণ্ঠে বলল, ' রান্না করার জন্য তোমাকে কে বলেছে?'
' কেউ বলেনি। আমি ইচ্ছে করে রাঁধতে আসছি।'
সেহরিশের বুক ভারী হয়ে আসলো। রোদেলার ঠোঁটজোড়া ভীষণ সুন্দর, ওঁর মুখের দিকে তাকালে চোখ দু'টো গিয়ে আঁটকে যায় ঠোঁটের ওপর। কথা বলার সময় ভীষণ বাজেভাবে আকৃষ্ট করে সেহরিশকে। ইচ্ছে করে! সহসা নিজের চোখদুটো অন্য দিকে সরিয়ে ফেলল সেহরিশ। এরপর ড্রয়িংরুমের দিকে যেতে যেতে বলল, ' ফ্রিজে অনেক কিছুই আছে, সেসব থেকে নিজের ইচ্ছে মতো কিছু বানিয়ে ফেলো। আমরাও খেয়ে দেখি তুমি কেমন রাঁধতে পারো।'
রোদেলা হাসল। ওঁ ভাবেনি সেহরিশ রাজি হবে। 

তূর্ণ অবসরে বসে গেম খেলে কিংবা কার্টুন দেখে, এখন আবাট নতুন করে আরও একটি কাজ যুক্ত হয়েছে। সময় পেলেই ফোনটা কানের সঙ্গে লাগিয়ে রাখা। সেহরিশ সোফায় বসল। তূর্ণ ওঁর দিকে না তাকিয়ে গরগর করে বলল, ' উমাইয়া ভাবীর পাসপোর্ট ও ভিসা সব কিছু রেডি হয়ে গেছে। আর দু-টো পরীক্ষা কোনোরকমে শেষ হলেই ওঁরা ইতালির উদ্দেশ্য রওনা দিবে। এদিকে আমার সলো অ্যালবামে গাওয়ার সময় খুব বেশি নেই। আমাকেও ফিরে যেতে হবে। আরও দেরি হলে রিহার্সাল করার সময় পাব না।'
' কি বলতে চাচ্ছিস? সরাসরি পয়েন্টে আয়।'
' আমার কী বিয়ে হবে না? সবার বিয়ে হলো অথচ আমি মাঝখানে দুধভাত হয়ে পড়ে রইলাম।'
' আচ্ছা! আমি আজই সাদাফের সঙ্গে জুবিয়ার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলব। তাছাড়া জুবিয়া কী বলেছে? ওঁ কী এখন বিয়ে করতে চায়?'
' জুবি আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু এখন বিয়ে করতে চাচ্ছে না। ওঁর না-কি কিসব ইচ্ছে আছে সেসব পূরণ করতে চায়।'
সেহরিশ নির্বিকার চূড়ান্তে; কাঠকাঠ গলায় বলল,
' ইচ্ছে পূরণ? সেসব তো তোর সঙ্গে থেকেও করতে পারবে। কী পারবে না?' বলে থামল সেহরিশ। তূর্ণর মুখের দিকে তাকিয়ে ওঁর হাবভাব বোঝার চেষ্টা করে আবারও বলল, ' টেনশন নিস না। আমি বিয়ের ব্যাপারে কথা বলব।'
তূর্ণ বলল, ' আজ না। আগামীকাল বলিস।'
' আগামীকাল কেন?'
' আজ আমার নীড় টিভি চ্যানেলে একটা সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউ বা ছোট্ট কথোপকথন আছে। এটা শেষ করে আগামীকাল ধীরেসুস্থে কথা বললে ভালো হবে।'
' ইন্টারভিউ! কি নিয়ে?' ভ্রু কুঁচকে গেল সেহরিশের।
' তেমন কিছু না। তারা দু চারটে প্রশ্ন করবে আর আমি উত্তর দিবো। আমি বিকেল তিনটা বাজে তাদের আসতে বলেছি। আর তোদের কিন্তু অবশ্যই আমার ইন্টারভিউ দেখতে হবে।'
সেহরিশ কথা বাড়াল না। সন্তর্পণে রিমোট নিয়ে চ্যানেল পাল্টে ফেলল। তূর্ণ রিমোট চাইল, সেহরিশ রিমোট দিচ্ছে না বলে তূর্ণ কয়েকবার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হাঁপিয়ে ওঠে বসে পড়ল। সেহরিশ আরাম করে বসে আছে দেখে তূর্ণ হঠাৎ ওঁর কোলে বসে পড়ল। ওঁর দাবি রিমোট না ছাড়লে সে কোল থেকে উঠবে না। রান্না সেরে ওদের ডাকতে এলো রোদেলা। রোদেলাকে দেখে তূর্ণ উঠে গেল। এরপর ডাইনিং টেবিলের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে শাহাদাত আঙুল সোজা করে সেহরিশকে বলল, ' দেখে নিবো তোকে। আমারও সময় আসবে।'
       বাঙালি রান্না দেখে মলিন মুখে তাকিয়ে রইল তূর্ণ। সেহরিশের ভয়ে সে চুপচাপ চেয়ার টেনে বসে গেল। সেহরিশ এলো। টেবিলের ওপর সাজানো খাবার আইটেম গুলো দেখে সে চমকাল। বলল, ' এই অল্প সময়ে এতকিছু কিভাবে বানিয়েছ?'
রোদেলা কিছু বলল না। দুজনের প্লেটে খাবার বেড়ে দিল। সেহরিশ ও তূর্ণ খেতে আরম্ভ করেছে। রোদেলা চোখ বন্ধ করে ফেলল। ওদের জন্য প্রথম দিন রান্না করল। খেতে কেমন হয়েছে? ভাবছে আর বুকের ভেতর ধুকপুক করছে। সেহরিশ খেতে খেতে একবার রোদেলার মুখের দিকে তাকাল। ঠোঁট প্রসারিত করে হাসল ওঁ। তূর্ণ চোখ ছোটোছোটো করে সেহরিশ কে দেখছে। বিড়বিড় করে বলল, ' নয়া নয়া প্রেম! ভাল, ভাল!'

তিনটি বাজে। গুটি কয়েক সাংবাদিকের সামনে বসে আছে তূর্ণ। ঠোঁট জুড়ে হাসি ঝিলঝিল করছে। ক্যামেরা ও লাইটের সামনে বসে থাকতে ওঁর বেশ ভালো লাগে। একেকজন একেকটা প্রশ্ন করে উত্তর দিতে দারুণ লাগে ওঁর। পর্দায় তূর্ণ কে হাসি-হাসি দেখা যাচ্ছে। দেশের সব ক'টা নিউজ চ্যানেলে লাইভ দেখাচ্ছে ওঁকে। জুবিয়ার ছুটি নেই। আজও কাজ করতে হচ্ছে, রেস্তোরাঁর টিভিতে ফিল্ম চলছে। সকাল সকাল সাদাফকে সেহরিশ কল করে। এবং দুপুরের লাঞ্চ সবাই একসাথে করবে বলে তার বাড়িতে আসতে বলে। তূর্ণর ইন্টারভিউ দেখার জন্য সাদাফ সেহরিশের বাড়িতে থেকে যায়। মিনিট বিশ হল, দু'জন টিভির সামনে বসে আছে। তূর্ণকে দেখে সাদাফ বলল, ' এই ছেলে আজ উলটপালট কিছু না বললেই হয়। কথায় কথায় কি কি বলে ওঁ জানেই না।'
সেহরিশ গম্ভীর।

' স্যার, একটা প্রশ্ন করতে চাই।' এক সাংবাদিকের প্রশ্ন। 
' জি করুন।'
' খবরটা সত্য কি-না মিথ্যা জানি না। বাতাসের সঙ্গে একটা খবর উড়ে বেড়াচ্ছে, শুনলাম সাদাফ কাসানোর পর সেহরিশ ফাতিন চৌধুরী লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলছেন। এটা গুজব না-কি সত্য জানি না। কৌতূহল থেকেই প্রশ্ন করছি। আপনি যদি একটু ক্লিয়ার করে বলেন।'
তূর্ণ চেহারায় গম্ভীর ভাব নিয়ে এলো। 
' সেহরিশ ফাতিন চৌধুরী বিয়ে করেছে এটা সত্য। তবে সেটা ঘরোয়া ভাবে, লুকিয়ে নয়। ওঁর ইচ্ছে তে বিয়েতে তেমন হৈ-হুল্লোড় বা কোনোরূপ আয়োজন হয়নি।'
' স্যার, আপনারা ইতালি থেকে দেশে আসছেন কী বিয়ে করার জন্য?' অন্যজনের প্রশ্ন।
তূর্ণ হকচকিয়ে গেল। এই প্রশ্নটার সে কিভাবে দিবে?
' জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি বিষয় মানুষের হাতে নেই। একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছেতে সব হয়। আল্লাহ ইচ্ছে করছেন বলে ওদের বিয়ে হয়েছে। আল্লাহর হুকুম না থাকলে হত না।'
' আপনারা তো মিলিয়ন মিলিয়ন টাকার মালিক। অথচ সাদাফ ও সেহরিশ স্যার বিয়ে করছেন সাধারণ পরিবারের মেয়েদের। এর পিছনে কি কারণ?'
' কোনো কারণ নেই। সব কিছুর উর্ধ্বে মন বলে একটি বস্তু রয়েছে। প্রেমে পড়েছে বলে বিয়ে করে নিয়েছে। তাছাড়া সারাজীবন সিঙ্গেল থাকবে এমন কোনো প্রতিজ্ঞা ওঁরা করেনি। বিয়ের বয়স হয়েছে আর বিয়ে করা ফরজ।'
' আপনি এখনও বিয়ে করছেন না কেনো তূর্ণ স্যার?' চতুর্থ একজন জিজ্ঞেস করলেন।
তূর্ণ বলল, ' আমি এখনও বাচ্চা। বউ সামলাতে পারব না বৈকি বিয়েটা করছি না।' হাসি হাসি মুখেই কথাটা বলল তূর্ণ। ওঁর একথা শুনে সাংবাদিক ওঁরা হাসতে লাগল। সেহরিশ বিস্ময় নিয়ে সাদাফের মুখের দিকে তাকাল। সাদাফ দুই একবার চোখের পলক ফেলল। বিস্মিত কণ্ঠে বলল, ' ওঁ বাচ্চা? রোজ বিয়ে বিয়ে করে আমাদের মাথা খাচ্ছে। আর ক্যামেরার সামনে বসে কি সুন্দর করে মিথ্যা বলছে।'

রোদেলা কিছু ফল কেটে ট্রে'তে করে নিয়ে এলো। উমাইয়া টিভির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল, ' বাচ্চা?'
সাদাফ ইশারা করে উমাইয়া টিভির দিকে তাকাল। রোদেলা সেহরিশের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ' উনি কি বলছেন? সাদাফ ভাইয়া এভাবে কথাগুলো কেন বললেন?'
সেহরিশ ভারশীল কণ্ঠে বলল, ' বিয়ে করে বউ সামলানোর বয়স হয়নি। এটাই বলল।'
রোদেলা ঠোঁট জোড়া উল্টিয়ে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে লজ্জা পেল যেন।
.
.
.
চলবে....................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন