তুমি রবে নীরবে - পর্ব ২৫ - নাদিয়া সাউদ - ধারাবাহিক গল্প


রিশার হুট করেই মনে হলো রাতিম ভাইকে তো কখনো দেখেনি কুহু।উনাকে নিয়ে কথাও হয়নি তার সঙ্গে। না চেনারই কথা! কুহু এক অন্য জগতে হারিয়ে গেছে মুহূর্তে! রাতিম নামের ছেলের সঙ্গেই তো তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল! তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল রিশা,

"আরে তুই চিনবি না।রওনক ভাইয়ার বন্ধু হয়।একবার এসেছিল আমাদের বাসায়।রাস্তায় অনেকবার দেখা হয়েছে তার সঙ্গে।আজকে তোর সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিব।

ভাবনার জাল ছিন্ন হতেই বলল কুহু,

" কোন রাতিম এটা? মানে আমার বিয়েও তো রাতিম নামের কারো সাথেই ঠিক ছিল।এটাই আবার সেই ছেলেটা নয়তো?

কুহুর সন্দিহান গলা শুনে কপালে সুক্ষ্ম ভাজ পরলো রিশার।এই কথাটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিল।অবশ্য কুহুর সঙ্গে যার বিয়ে ঠিক ছিল তাকে দেখেনি রিশা।তার সম্পর্কে শুনেছে শুধু।শব্দ করে হেঁসে বলল রিশা,

"তুই ও না! মানে এখনো আগের চিন্তায় পড়ে আছিস? তোকে না বলেছি সব ছেড়েছুড়ে আমার ভাইয়ার প্রতি মন দে! তোর সাথে যে ছেলেটার বিয়ে ঠিক ছিল সেই ছেলেটার বড়ো বোন আর দুলাভাই এসে তোর বিয়ে ঠিক করে গিয়েছিল।আর আমি যার কথা বলছি তার কোনো বড়ো বোন নেই।ভাই আছে একটা ছোট।এবার এইচএসসি দিয়েছে।

কুহুর মুখ থেকে চিন্তা সরলো না।রিশা গভীর মগ্ন হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ।কুহুর হাতে দৃষ্টি পরতেই দেখল আটা মাখানো।মানে অর্ধেক কাজ রেখে চলে এসেছে মেয়েটা। ঘড়িতে তাকিয়ে দ্রুত তাড়া দিল রিশা। হকচকিয়ে উঠলো কুহু।পরক্ষণে রিশাকে বলল নাশতার জন্য ডাকতে এসেছে সে। কথাটুকু বলেই ভোঁ দৌড় দিল।


আয়নায় দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে রওনক। পরনে ছাই রঙা ফুল হাতার শার্ট। আর কালো রঙা ফর্মাল প্যান্ট।এক হাতা গুটানো হলেও কা-টা হাতের টা গুটাতে পারল না। ঘড়ি পরার সময়ও ঘটলো বিপত্তি! কা-টা হাত নিয়ে তৈরি হতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে তাকে।শার্টের বোতাম লাগাতে গিয়ে রীতিমতো যু-দ্ধ শুরু করে দিয়েছিল। সেই সকালে যে এই রুম থেকে বেরিয়েছে নির্বোধ মেয়েটা এখনো আসার নামগন্ধ নেই! কাল রাতের কথা মনে হতেই ওষ্ঠ জুড়ে ঈষৎ হাসি ফুটে উঠলো রওনকের। কালকে ঘুমের ভাব ধরে পরে না থাকলে বোধহয় কুহুর ওই চমৎকার রূপটা চোখে ধরা দিত না। মাঝরাতে রওনকের কা-টা হাতটা নিজের কাছে টেনে নিয়ে ছোট ছোট চুমু খেয়েছিল মেয়েটা। চোখ ভিজে উঠেছিল জলে! মৃদু ফোঁপানোর শব্দ হচ্ছিল। অন্ধকারে ঠিক অনুভব করছিল রওনক। সে মুহুর্তে বিশ্বজয় করা আনন্দ হচ্ছিল তার! ইচ্ছে করছিল অবোধ মেয়েটাকে বুকে টেনে নিতে। আর চোখের জলটুকু শুষে নিতে। বহুকষ্টে নিজেকে সংবরণ করেছে রওনক। কুহুর ওই মুহূর্তটুকু সে দেখে ফেলেছে এটা বুঝতে দিতে চায়নি। সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে বিছানা থেকে ওয়ালেট নিয়ে পকেটে পুরতে পুরতে বেরিয়ে আসলো রওনক। ডাইনিংয়ে আসতেই সর্বপ্রথম কিচেনে দৃষ্টি গেল। বেশ মনোযোগ নিয়ে কাজ করছে কুহু। একটুপরই তাকে ভার্সিটিতে যেতে হবে।হাতে খুব একটা সময়ও নেই! টেবিলে নাশতা সাজাচ্ছেন শারমিন বেগম। নিজের প্লেটে মনোযোগী হয়ে শান্ত স্বরে বলল রওনক,

"মা ,কুহু তো ভার্সিটিতে যাবে। দেখ তো ওর কাজ শেষ হয়েছে কিনা।

ছেলের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন শারমিন বেগম,

" হ্যাঁ, নাশতা অনেক্ক্ষণ আগেই তৈরি হয়ে গেছে। সারাদিন আমি একা একা কাজ করি। তাই কুহুকে বললাম দুপুরের রান্নার জন্য কিছুটা কাজ এগিয়ে দিয়ে যেতে। বিয়ে হয়ে গেছে এখন যদি না শেখে, সংসার না বোঝে তাহলে আর কবে করবে বল? পড়াশোনা করলেও সংসারের কাজ তো করতেই হয়।

মার কথার প্রতিত্তোরে কিছু বলল না রওনক। চুপচাপ খাওয়ায় মনোযোগী হলো।কিছুক্ষণের মাঝে রিশা উপস্থিত হলো। কিচেনে কুহুকে দেখে ভ্রু কুঁচকে এগিয়ে গেল সে। চপিং বোর্ডে সব্জি কাটছে কুহু। একপ্রকার টেনেটুনে কুহুকে নিয়ে আসলো রিশা। আর কিছুক্ষণ এখানে থাকলে আজকে আর ভার্সিটি যাওয়া হবে না কুহুর। মেয়ের এরুপ আচরণ ভাল লাগেনি শারমিন বেগমের। বিয়ে হলে বুঝবে সংসার কি! অন্তত মায়ের কষ্টটা বোঝা উচিত ছিল রিশার। তপ্ত শ্বাস ফেলে রুমে চলে গেলেন তিনি। কুহু নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। খানিক শক্ত গলায় কুহুকে তৈরি হয়ে আসতে বলল রওনক। কাজ আছে বলে রিশা একটু তাড়া নিয়েই বেরিয়ে গেল। নাশতা শেষ করে রুমে চলে আসলো রওনক।ততক্ষণে কুহু তৈরি হয়ে গেছে।সাদা আর আকাশী রঙা মিশেল কুর্তি পরে নিয়েছে। চুল বাঁধার সময় পেছন থেকে রওনক তাকিয়ে দেখছিল মনোযোগ নিয়ে। আয়নায় অবশ্য রওনককে খেয়াল করছিল কুহু।অদ্ভুত এক মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে আছে লোকটা।ঈষৎ লজ্জা পেল কুহু। কয়েক কদম এগিয়ে এলো রওনক। ঘড়িটা কুহুর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল পরিয়ে দিতে। কিঞ্চিৎ থতমত খেল কুহু। কা-টা হাতটা টেনে নিল নিজের কাছে। বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে বুলিয়ে দেখলো করুণ দৃষ্টি ফেলে। পরক্ষণে সোনালী রঙা ঘড়িটা রওনকের লোমশ হাতে যত্ন নিয়ে পরিয়ে দিল। কুহুর সামনে পড়ে থাকা কাটা চুলগুলো কানের পেছনে গুঁজে দিল রওনক। বার কয়েক চোখের পাতা ঝাপটে নিয়ে বেরিয়ে গেল কুহু। বাঁকা হেসে বিরবির করে বলল রওনক, লজ্জাবতী গাছকে ছুঁয়ে দিলেও বোধহয় এত তাড়াতাড়ি নুইয়ে পড়ে না যতটা সংকুচিত হয়ে যায় কুহু! এই লাজ রওনকের বুকে ভয়ানক তোলপাড় সৃষ্টি করে! ইচ্ছে করে মুহূর্তেই ভেঙ্গে চূর্ণ করে দিক বোকা মেয়েটার সমস্ত হায়া! 


কুহু বেরোতেই শারমিন বেগমের মুখোমুখি হলো। কেমন এক গাম্ভীর্যতা তার মুখাবয়ব জুড়ে। একটুখানি হাসলো কুহু। জানাল ভার্সিটি যাচ্ছে সে। কোনোরকম উত্তর দিলেন না শারমিন বেগম। মুকখানা মলিন হয়ে আসলো কুহুর। মনে মনে ভেবে রাখলো আজকে রাতের সব কাজ একাই করবে সে। রওনক বেরিয়ে আসতেই টুকিটাকি জিনিস আনার কথা বললেন শারমিন বেগম। সায় জানিয়ে চলে গেল রওনক। বাইক বের করে নিল। শারমিন বেগমের কপালে ভাজ পরলো। ছেলেকে পইপই করে নিষেধ করেন বাইক চালাতে। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা হয় তার। মায়ের কথা বাধ্য ছেলের মতো মানে রওনক। তবে আজ কেন কথার বরখেলাপ করছে? এই মুহূর্তে মায়ের মনের অবস্থা বুঝতে পারছে রওনক। এমনিতে দেরি হয়ে গেছে আজ। তারউপর রিশা নেই। তাই বাইকে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। কুহু বেশ খুশি হয়ে এগিয়ে গেল। এতক্ষণ চিন্তা হচ্ছিল পৌছাতে দেরি হয়ে যাবে। বাইক থাকতেও যে কেন ব্যবহার করেননা রওনক ভাই সেটাই বুঝে উঠতে পারে না সে। অযথা গাড়ি ভাড়া দেওয়ার মানে হয়? রওনকের সামনে দাঁড়িয়ে বলল কুহু,

"এখন থেকে আপনার বাইকে করেই ভার্সিটিতে যাব।ওটা আর অযথা ফেলে রাখবেন না।

শারমিন বেগম ছেলেকে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলেন। এখন তো সে বিবাহিত! মায়ের কথার কোনো মূল্য আছে নাকি? বউ যেটা বলবে সেটাই শুনবে। লম্ব লম্বা পা ফেলে চলে গেলেন তিনি। রওনক হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল মায়ের যাওয়ার পানে। 


পরের সপ্তাহে ভার্সিটিতে নবীন বরণ। সেই আয়োজনের পূর্ব প্রস্তুতি চলছে। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে শুরু করে বাকি বর্ষ পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের নৃত্য,গান,কবিতা বিভিন্ন পারফরম্যান্স করার সুযোগ আছে। ছেলেদের দলের দায়িত্ব শাহিনূর মাহি ম্যামের কাছে। তিনি সেচ্ছায় দায়িত্ব না নিলেও ছেলেপেলেরা তার কাছে এসেই নামের লিস্ট ধরিয়ে দিল। রূপসা,সোহা,নয়ন আর আরিয়ান অপেক্ষায় আছে কুহু আর রিশার। রূপসা একক নৃত্য করবে। এর জন্য সপ্তাহ খানেক তাকে রিহার্সাল করতে হবে ভার্সিটির নৃত্য শিল্পী কনকের কাছে। নয়ন আর আরিয়ান সোহাকেও জোড়াজুড়ি করলো।বরাবরের মতো নাকচ করে গেল সে। স্টেজে উঠলেই হাত-পা কাঁপে সোহার। তার দ্বারা নৃত্য করা সম্ভব নয়! আরিয়ান ইচ্ছে প্রকাশ করলো যুগল নৃত্য করবে সে। সবাই যেন ভুত দেখার মতো চমকাল! নয়ন চোখের পলক ফেলতে ভুলে গেল! এসবে শুধু রূপসার আগ্রহ আছে। তাছাড়া এসবে তাদের বন্ধুমহলের কেউ মাথা ঘামায়নি। সোহা কন্ঠস্বর টেনে নয়নের উদ্দেশ্য বলল,

"তুই তাহলে বাকি যাবি কেন রে? গান গাইতে পারিস। একমিনিট! তুই না সারাক্ষণ বই পড়িস? আবৃত্তি করতে পারিস অন্তত!

বিরস মুখে বলল নয়ন,

" দূর! এসব নৃত্য,আবৃত্তি ছেলেদের সাথে যায় না।পারসোনালি আমার মনে হয় আরকি। আরিয়ান আর রূপসা মিলে যুগল নৃত্য করুক। বরং আমরা উপভোগ করি। এটাই ভাল হবে।

পাশ থেকে রূপসা বলল,

"আমি একক নৃত্যে নাম দিয়ে ফেলেছি। ওসব যুগল নৃত্য আমাকে দিয়ে হবে না।

হাসতে হাসতে বলল নয়ন,

" আরিয়ান তুই পার্টনার পাবি কোথায় এখন? এত কিছু রেখে যুগল নৃত্য করতে ইচ্ছে হলো তোর!

নয়নের কথা থামিয়ে দিয়ে বলল সোহা,

"আরে রিশা আর কুহুকে আসতে দে আগে। হতে পারে দুজনের থেকে একজন রাজি হয়ে গেল আরিয়ানের সঙ্গে নাচতে।

আচমকা দৌড়াতে দৌড়াতে আসলো কুহু। সবার সামনে এসে হাঁপিয়ে গেল। ঘনঘন দম ফেলল। রূপসা পেছনে তাকিয়ে দেখে নিয়ে প্রশ্ন করলো,

" কিরে রিশা কই?

নিজেকে শান্ত করে নিয়ে বলল কুহু,

"কি জানি! অনেক্ক্ষণ আগেই তো চলে এসেছে ও!

নয়ন বলল,

" দেখ বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরছে হয়তো কোথাও!

সবার মাঝে নৃত্যশিল্পী কনক আসলেন। আরিয়ানের উদ্দেশ্যে জিগ্যেস করলেন,সে পার্টনার জুগিয়েছে কিনা। আজকের পর আর কারো নাম নেওয়া হবে না। আরিয়ান চট করেই বলল,

"হ্যাঁ পেয়েছি ম্যাম। কুহু আর আমি যুগল নৃত্য করবো।

কুহুর দিকে একপলক তাকিয়ে কাগজে দু'জনের নাম টুকে নিয়ে চলে গেলেন নৃত্য শিল্পী কনক। পাশ দিয়েই যাচ্ছিল রওনক। কথাটা স্পষ্ট শুনেছে সে। কুহু হতবুদ্ধি হয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। আরিয়ানের কথা বোধগম্য হলো না তার। কুহুর অবাক চাহনি দেখে রূপসা এগিয়ে এসে বুঝিয়ে বলল সব। মুহূর্তে রেগে গেল কুহু। তেড়ে গেল আরিয়ানের দিকে। স্কুলে থাকাকালীন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কুহু নৃত্য করতো এটা সবারই জানা। তবে তখন ছোট ছিল সে। এখন এসবে কোনো আগ্রহ নেই। অথচ আরিয়ান তার থেকে মতামত নিবে না? আরিয়ানের পিঠে ধুপধাপ কিল বসাল কুহু। আরিয়ান বেশ অনুনয়ের স্বরে বলে যাচ্ছে রাজি হতে। এবারই প্রথম পারফরম্যান্স তার। খুব আশা করে নাম দিয়েছে সে।

দূর থেকে দুজনের কান্ড দেখছিল রওনক। মনে হচ্ছে কুহু বাড়াবাড়ি করছে। চোখমুখ কাঠিন্যে হয়ে আসলে তার। 

" হাতে কি হয়েছে আপনার?

চিকণ মেয়েলি স্বরে পাশ ফিরে তাকাল রওনক। শাহিনূর মাহি দাঁড়িয়ে আছে। এমুহূর্তে রাগ দ্বিগুন হলেও সেটা দমিয়ে দিল সে। হাসার চেষ্টা করলো। সন্দিহান গলায় ফের বলল শাহিনূর মাহি,

"দেখে মনে হচ্ছে কারো জন্য ইচ্ছাকৃত হাত কে-টেছেন! কার জন্য করেছেন এমন পাগলামি? কে সেই সৌভাগ্যবতী?

একটা মানুষকে সরাসরি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করাটা মূর্খের কাজ। এমুহূর্তে শাহিনূরকে বুদ্ধিশূন্য মনে হলো রওনকের। দূরে কুহুর দিকে দৃষ্টি রেখে উত্তর দিল সে,

" আপনি তো নিজের মতো উত্তর ভেবেই নিয়েছেন ম্যাম। তাহলে অযথা জিগ্যেস করছেন কেন? 

"তার মানে কোনো মেয়ের জন্যই হাত কে-টেছেন?

" আমি সম্পূর্ণ বোধবুদ্ধি সম্পন্ন একজন পুরুষ। পাগল ছাড়া নিজের ক্ষতি কেউ করে বলে মনে হয় না। তবে এসব নিরর্থক প্রশ্ন করার মানে কি বুঝলাম না।

"বুঝতে পারছেন না নাকি বুঝেও না বোঝার ভং ধরছেন? প্রেমে পরলে মানুষ পাগলামিও করে।

" জানা নেই এই বিষয়ে। তবে এটুকু বলতে পারি আমি একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ। আমার চিন্তাভাবনাও সুন্দর। আমার কথা বলার ধরণও যৌক্তিক! অন্যকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করারও কোনো বাজে অভ্যেস নেই।

রওনকের শেষের কথায় অপমানিত বোধ করলো শাহিনূর মাহি। কিছুটা দূরে একদল শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে দেখছিল রওনক আর শাহিনূরকে। বিষয়টা বরাবরের মতো বিরক্তি ধরাল রওনককে। এসব বিষয় খুব নাজুক হয়। যা ঘটে না তা নিয়েও রটে বিশ্রিভাবে! ভীড়ের মাঝে হুট করে কুহুকে দেখতে না পেল না রওনক। ভ্রু কুঁচকে ক্যাম্পাসে চলে আসলো সে। সামনে আরিয়ানকে দেখল হেঁটে কোথাও একটা যাচ্ছে। হাতে লাল টকটকে একটা জবা ফুল। রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে আসলো রওনকের। আরিয়ানকে ডাকলো কাছে।
·
·
·
চলবে...............................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন