আরিয়ান হাসিমুখে এগিয়ে এসে সালাম জানাল। রওনকের মুখ থমথমে গম্ভীর দেখাল। আরিয়ানের আপাদমস্তক দেখে নিয়ে সালামের উত্তর দিয়ে বলল সে,
"পড়াশোনার কি অবস্থা? কদিন বাদেই ইনকোর্স পরীক্ষা। মাথায় আছে?
আরিয়ানের হাসিটুকু নিমেষে বিলীন হয়ে গেল। রওনক স্যার বলতে সবাই একটু ভয়ই পায়। সবকিছুতে বেশ কড়াকড়ি নিয়ম তার! নিয়মের বাইরে একচুল ছাড় দেননা। সুদর্শন হলেও কোনো মেয়ের সাহস নেই চোখ তুলে ভাল মতো দেখবার। মেয়েরা যা প্রশংসা করে দূর থেকেই। আর সামনাসামনি ভয়েই সেঁধিয়ে থাকে! জোড়পূর্বক হাসার চেষ্টা করে বলল আরিয়ান,
" জ্বী স্যার,মাথায় আছে পরীক্ষার কথা।
"তোমার পরিবারে কি কেউ নৃত্য শিল্পী আছে? এই ধরো তোমার বাবা, কাকা কিংবা ভাই! হতে পারে তোমার দাদা। কারণ ছেলেরা নাচের প্রতি কমই ঝুঁকে।
আমার জানামতে, কমবেশি যারা নৃত্যের সঙ্গে জড়িত তারা বংশগত ভাবে দ্বারা পেয়ে থাকে।
রওনক স্যারের কথায় লজ্জাবোধ করলো আরিয়ান।সেটুকু তার মুখাবয়বে স্পষ্ট ফুটে উঠলো।
" না মানে আমার বংশের কেউ নাচের সঙ্গে জড়িত নয় স্যার। আমার পরিবারে এসব পছন্দও করে না কেউ। এমন ফাংশনে টুকটাক নাচ সবাই-ই করে।
আরিয়ানের কথার সঙ্গে ঈষৎ মাথা ঝাঁকাল রওনক। পকেটে হাত পুরে নিয়ে বলল,
" কথাটা ভুল বললে। সবাই এসব ফাংশনে নৃত্য করতে পছন্দ করে না। আর নিজের পছন্দ, ইচ্ছে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। যদি ঠিকঠাক নৃত্য জানো, অভিজ্ঞতা থাকে তাহলেই পারফরম্যান্স কোরো। পরে দর্শক যেন তোমার নাচের প্রতি আগ্রহ না হারায়। সময় নষ্ট মনে না করে।
রওনক স্যারের কথায় কনফিডেন্স লেভেল একেবারে কমে গেল আরিয়ানের। শখেই একপ্রকার নাম লিখিয়েছিল সে। এখন যদি ঠিকঠাক নৃত্য করতে না পারে? তাহলে ভার্সিটিতে তাকে নিয়ে হাসাহাসি হবে! মাথায় একরাশ চিন্তা নিয়ে প্রস্থান করলো আরিয়ান। রওনক আশেপাশে দৃষ্টি ঘুরিয়ে কুহুকে খুঁজতে লাগলো। এই মেয়ে কি একদণ্ডও শান্তি দিবে না? একটা ছেলে জোড় করছে নাচার জন্য মুখের উপর 'না' বলে দেওয়া যেত না? নাকি রওনকের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই? কুহুকে দেখা গেল পাশের ভবনের তিনতলায় উঠছে। সাথে দু'টো মেয়ে। আপাতত ক্লাস না থাকায় দ্রত সেদিকে এগিয়ে গেল রওনক। লম্বা লম্বা পা ফেলে মুহূর্তে উঠে গেল উপরে। পাশে রওনককে দেখে রূপসা আর সোহা দাঁড়িয়ে গেল। সালাম জানাল। তাদের সঙ্গে কুহুও তাল মেলাল। রওনকের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি কুহুর মাঝে নিবদ্ধ। থমথমে মুখে রিশা কোথায় জানতে চাইল রওনক। হঠাৎ কুহুর মনে হলো রিশা তো এখনো আসেনি! ঠোঁট উল্টে বলল সে,
"আমিও তো রিশুকে খুঁজছি স্যার। ও এখনো আসেনি!
সোহার ফোনে কল আসলো। নয়ন জরুরি তলব জানাল নিচে যাওয়ার জন্য। কাল কখন থেকে রিহার্সাল শুরু হবে সেটা জানিয়ে দিবে কনক স্যার। কুহুকে স্যারের সঙ্গে কথা বলতে দেখে কিছু বলল না সোহা। রূপসাকে নিয়ে চলে গেল। আশপাশে একটু দৃষ্টি বুলিয়ে নিয়ে কুহুর হাত চেপে ধরলো রওনক। ঈষৎ চমকাল কুহু! টেনে নিয়ে ফাঁকা ক্লাসরুমে চলে আসলো রওনক। নিজের বদ্ধ হাতের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইল কুহু! চোখমুখ শক্ত করে বলল রওনক,
" নাচের জন্য যে নাম লিখিয়েছ ওটা কেটে আসো যাও!
রওনকের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকাল কুহু। এই নাচের কথা কিভাবে জানলো রওনক ভাই? তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল সে,
"আরে আমি ইচ্ছে করে নাম দেইনি তো। বন্ধুরা মিলে লিখিয়ে দিল। তাই আমি আর কিছু বলিনি।
" বলোনি মানে? তোমার তো ইচ্ছে নেই নাচার! তাহলে কেন বারণ করবে না? আর আমার বউ সবার সামনে নাচবে সেটা দেখতে পারব না আমি।
চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবল কুহু। পরক্ষণে গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলল,
"কে আপনার বউ? আপনি বিবাহিত নাকি? নিজেই তো শাহিনূর মাহি ম্যামের সঙ্গে বললেন আপনি অবিবাহিত! ভার্সিটিতে আপনার আর আমার মধ্যে শুধু শিক্ষক - ছাত্রীর সম্পর্ক! কোনো বারণ শুনবো না। আমার ব্যাপারে নাক গলাবেন না আপনি। সরুন, নিচে যেতে হবে আমাকে।
কুহু হাত ছাড়াতে চেষ্টা করতেই অপর হাতে কুহুর কোমড় জড়িয়ে ধরলো রওনক। টেনে নিল আরো কাছে।টাল সামলাতে না পেরে রওনকের শক্তপোক্ত বুকে ধাক্কা খেল কুহু। চোখমুখ ঈষৎ কুঁচকে মাথা উঁচু করে তাকাল রওনকের দিকে! কাঠিন্য স্বরে বলল রওনক,
" যা বলছি সেটা শোনো। নয়তো খারাপ হয়ে যাবে কুহু।
"এখন আপনি যা শুরু করছেন সেটা খারাপ হচ্ছে! কেউ দেখে ফেললে কি হবে ভাবতে পারছেন? সবাই বলবে আপনি একটা অসভ্য, চরিত্রহীন টিচার!
কথাটুকু বলে রওনকের বুকে হাত রেখে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলো কুহু।হাতের বাঁধন আরো শক্ত করলো রওনক।শীতল স্বরে কুহুর কানের পাশে বলল,
" যার যা ইচ্ছে হয় বলুক। সমস্ত কলঙ্ক হাসিমুখে মাথা পেতে নেব। কথা না শুনলে অসভ্যতা কাকে বলে সেটা বুঝিয়ে ছাড়ব তোমাকে।
" শুনব না। পারলে নিজে গিয়ে নাম কেটে দিয়ে আসুন। গিয়ে বলুন আমার বউকে নাচতে দিব না আমি।
কোনো উত্তর দিল না রওনক। নিনির্মেষ তাকিয়ে রইল কুহুর দিকে। খানিক্ষন আগের রোদ জ্বলমলে আকাশে মুহুর্তেই ঘন কালো মেঘ জমেছে।থেমে থেমে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। দমকা হাওয়া ছেড়েছে বাইরে। পুরো ক্লাসরুম প্রায় অন্ধকারে ছেয়ে গেছে! বাতাসটা গায়ের সঙ্গে মিশে যেতেই শরীর শিরশির করে উঠলো কুহুর। নির্ঘাত সবাই তাকে খুঁজছে। মুখ তুলে রওনকের পানে চাইল সে। বাতাসে রওনকের চুল এলোমেলো হয়ে কপাল ছুঁয়ে আছে। অদ্ভুত এক ঘোর লাগা নিয়ে তাকিয়ে আছে কুহুর পানে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য সামনে থাকা পুরুষের মাঝে দৃষ্টি আঁটকে গেল কুহুর। হৃৎস্পন্দন থমকে গেল যেন! কুহুকে জড়িয়ে নিয়েই ধীরে ধীরে সামনে এগোলো রওনক।পেছাতে থাকলো কুহু। দেওয়ালে পৃষ্ঠদেশ ঠেকতেই চমকে উঠলো! ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে রইল রওনকের দিকে। দরজার আড়ালে আসতেই কুহুর দুগালে আলতো ল হাত রাখলো রওনক। ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে রইল কুহু। এখন ঠিক কি ঘটবে তার মস্তিষ্ক বোধহয় বুঝে ফেলল! ধীরে ধীরে ঝুঁকে কুহুর অধরোষ্ঠে ঠোঁট ছোঁয়াল রওনক। মুহূর্তে সর্ব শরীর কেঁপে উঠলো কুহুর।চোখ বুজে ফেলল সে। ক্ষনে ক্ষনে রওনক ডুবে যেতে লাগলো অন্যরকম এক ঘোরে! নিজের পেলব দু'হাতে রওনকের পিঠ জড়িয়ে ধরল কুহু। মুহূর্তে রওনকের মস্তিষ্ক এটুকু বুঝতে সক্ষম হলো কুহু সম্মোহিত! তার মন সম্পূর্ণ রূপে মেনে নিয়েছে রওনককে! ছাড়াবার প্রচেষ্টা না চালিয়ে উল্টো জড়িয়ে নিচ্ছে মেয়েটা! রওনকের পুরুষালি হাত অবাধ্যের মতো বিচরণ করলো কুহুর তনুময় জুড়ে! অত্যল্পকালে শ্বাস আঁটকে গেল কুহুর! নিজের সমস্ত ভার রওনকের উপর দিয়ে ঢলে পড়লো সে! রওনক ছেড়ে দাঁড়াতেই ঘনঘন দম ফেলল কুহু। ঘাপটি মেরে রইল বুকে। রওনকের ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত এক হাসি। কুহুর মাথায় হাত বুলিয়ে নিয়ে বলল রওনক,
"এতটা অসভ্য হয়ে যাব নিজেও বুঝতে পারিনি। তুমি যতবার অবাধ্য হতে চাইবে আমি ততবার এভাবে অস্তিত্ব হারাব! মনে রেখ পালাবার কোনো পথ নেই তোমার।
আচমকা জুতার শব্দ হলো। কেউ একজন হেঁটে আসছে মনে হলো। দরজার কাছে লেগে থেকে খুব সুক্ষতার সহিত বাইরে তাকাল রওনক। করিডর পেরিয়ে যাচ্ছে শাহিনূর মাহি। আচমকা কুহুকে ছেড়ে দিয়ে বলল রওনক,
" আমি চলে যাচ্ছি।
রওনক বেরিয়ে গেল। কুহু দাঁড়িয়ে রইল ঠাঁয়। কোনো কথার জবাব দিল না সে। নব্য ভাবে রওনক ভাইকে আবিষ্কার করে তার মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে গেল! এখন অবধিও শরীর মৃদু কাঁপছে অনুভব হলো! কেন একটুও রাগ হলো না সে বুঝতে পারলো না! উল্টো ভাল লাগার আবেশে জড়িয়ে গেল যেন!
শাহিনূর কে পিছু ডাকলো রওনক। পেছন ফিরে তাকিয়ে ফের এগিয়ে আসলো শাহিনূর মাহি। কপালে সুক্ষ্ম ভাজ ফেলে বলল,
"কোথায় ছিলেন আপনি? প্রতিটা ক্লাসেই তো খুঁজলাম! পেলাম না।
" কেন খুঁজছিলেন?
"তার আগে বলুন আপনি এই ভবনে কেন? এখানে তো আপনার কোনো ক্লাস নেই!
খানিক অপ্রস্তুত হলো রওনক। মাথা চুলকে নিয়ে আমতাআমতা করে বলল,
" দরকার ছিল। আপনি কিভাবে জানলেন আমি এখানে?
"দু'জন স্টুডেন্ট বলল এই ভবনে উঠতে দেখেছে আপনাকে। ওদিকে একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টর স্টুডেন্টরা আপনার অপেক্ষায় ক্লাসে বসে আছে। ক্লাস রেখে এখানে কি করছেন আপনি?
হাত ঘড়ি দেখে নিয়ে তাড়া নিয়ে চলে গেল রওনক। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল শাহিনূর মাহি। এই ভবনে মাইক্রো ইকোনমিকস সাবজেক্টের ক্লাস নেয় সে। যখন শুনেছে রওনক স্যার এদিকে এসেছে তখন প্রচন্ড খুশি হয়েছিল সে।ভেবেছিল তার খোঁজেই হয়তো এসেছিলেন রওনক স্যার। তাই একপ্রকার দ্রুতই এসেছে সে। রওনক স্যার তো কোনো কিছু না বলেই চলে গেলেন!
◾
মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে। বিশাল কদম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে রাতিম আর রিশা। আশেপাশে সেরকম কোনো জায়গা নেই গা বাচিয়ে দাঁড়ানোর মতো। রাতিম খানিকটা দৌড়ে চলে গেলেও পিছু ফিরে দেখল রিশা ঠায় দাঁড়িয়ে ভিজছে! অগত্যা আবার ফিরে এলো রাতিম। গাছের তলা থেকে অনেকগুলো হলদে পাতা কুড়িয়ে হাতে তুলে নিয়ে বলল রিশা,
" ফিরে এলেন যে রাতিম ভাই? আপনার তো ভেজার ইচ্ছে ছিল না!
রিশার গালে কপালে লেপ্টে আছে ভেজা চুল। মুখে কোনো কৃত্রিম সাজ নেই! নাকের ডগা বেয়ে টুপটুপ করে ঝরছে জল! সেদিকে তাকিয়ে থেকে বলল রাতিম,
"নিজের ভাল থাকা, খুশি থাকা যখন অন্যের উপর নির্ভর করে, তখন সেই মানুষটার চাহিদার উপর আমাদের ইচ্ছেকে ছেড়ে দেই! মানে বলতে চাইছি এমুহূর্তে তোমাকে এভাবে একা ফেলে চলে যাওয়াটা বেমানান দেখায় আইরিশ।
মৃদু হাসলো রিশা। পাতাগুলো এক এক করে জড়ো করে সাজিয়ে নিল হাতে। পরক্ষণে রাতিমের দিকে তাকিয়ে বলল,
" আপনি খুব কঠিন ভাষায় কথা বলেন রাতিম ভাই। তবে খুব চমৎকার অর্থবহ করে! কথার জাদুকর আপনি।
শব্দ করে হাসলো রাতিম। ভেজা চুল ঝাঁকিয়ে নিল। পাশে থাকা ভেজা নারীর রূপ তাকে আকৃষ্ট করতে চাইছে বারংবার! মানুষের স্বভাবই বোধহয় নিষিদ্ধ কিছুর প্রতি কৌতুহলী হওয়া! এই মুহূর্তে বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটাকে খুব হিংসে হচ্ছে রাতিমের। তারা অনায়াসেই কেমন রিশার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে, শরীর ছুঁয়ে মন অব্ধি পৌঁছে গিয়ে ভাল লাগার পরশ দিচ্ছে! অথচ এতটা সামনে থেকেও সহস্র মাইল দূরত্বে রাতিম। আজকের বৃষ্টিটা অন্যরকম ভাল লাগছে রিশার। হয়তো রাতিম ভাই পাশে আছেই বলে। সামনে থাকা ছেলেটার মনে যে রিশার জন্য কিছু চলছে সেটুকু বুঝতে বাকি নেই। পাতাগুলো রাতিমের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল রিশা,
"এগুলো মাথার উপর ধরে রাখতে পারেন রাতিম ভাই। সাময়িক ছাতার কাজ দিবে।
হাত বাড়িয়ে সেগুলো নিতে নিতে বলল রাতিম,
" নিজেকে আজ সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দেওয়ার পন যখন করেছি তাহলে অযথা মাথা বাঁচিয়ে কি হবে?
রিশা কোনো প্রতিত্তোর করলো না। ওড়নাটা ভাল মতো গায়ে জড়িয়ে নিল। আজকে ভার্সিটিতে না গিয়ে ইচ্ছে করে রাতিম ভাইয়ের সাথে দেখা করতে এসেছে সে। একটা রহস্য উদঘাটন করতে। তবে বিষয়টা সত্য কিনা তাকে কৌশলে যাচাই করতে হবে।
"আপনি এমন একটা কাজ কেন করেছেন আমার বান্ধবীর সাথে? তাও বিয়ের মতো বিষয় নিয়ে! সব ঠিকঠাক করে কেন বিয়ে করতে গেলেন না? আপনি তো খুব বুঝদার একজন মানুষ। কি করে করলেন এমন অন্যায়?
রিশার কথায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেল রাতিম! এই খবরটা রিশা কি করে জানতে পারলো? সে তো কুহুকে নিজের ছবিও পাঠায়নি কখনো! রওনক বলেছে তাদের দুজন ছাড়া কোনো কাকপক্ষীও টের পাবে না! রিশার কৌতুহলী চেহারার দিকে একপলক তাকাল রাতিম। মেয়েটা কে তার প্রতি ক্ষিপ্ত? এমন কিছু শুনতে পেলে রেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক! অবশেষে কি রিশাকে না পেয়েই হারিয়ে ফেলবে? কি ভাবে পরিস্থিতি সামলাবে রাতিম? মাথা কাজ করছে না তার। ঘাবড়ে যাওয়া রাতিমের দিকে তাকিয়ে সন্দেহ দ্বিগুণ হলো রিশার। সকালে কুহুর কথা ততটা পাত্তা না দিলেও পরবর্তীতে ভেবেছে রিশা। নাম না হয় মিলে যেতে পারে। পেশা আর বর্নণাও মিলে যাবে? এটা তো অসম্ভব!
·
·
·
চলবে...............................................