গুলনূরের সঙ্গ জাওয়াদের ক্ষত-বিক্ষত মনের মলম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বিকেল নামলেই জাওয়াদের চোখ খুঁজে বেড়ায় গুলনূরকে। কখনও বাগানের নিরালায়, কখনও ধোঁয়াচ্ছন্ন রান্নাঘরে, আবার কখনও বা দক্ষিণমুখী বারান্দার কোণে।
তার হাতে সব সময় থাকে একটা মোটা খাতা। সেই খাতার পাতায় গুলনূর লিপিবদ্ধ করে তার মনের কথা। জাওয়াদের প্রতিটি কথার উত্তরে গুলনূরের কলম নেচে ওঠে - কখনও দ্রুত, কখনও ধীরে।
গুলনূরের হৃদয়ে এই সম্পর্কের শিকড় কতটা গভীরে প্রোথিত, তা এখনও রহস্য। তবে তার চোখের চাহনি, হাতের লেখার ভঙ্গি, আর ঠোঁটের কোণে লুকানো মৃদু হাসিতে ছড়িয়ে আছে একটা মিষ্টি অনুভূতির ছোঁয়া। জাওয়াদ যখন তার সামনে বসে জীবনের নানা গল্প শোনায়, তখন সে মনোযোগ দিয়ে শোনে।
তাদের নিয়ে জমিদার বাড়ির দাস-দাসীদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায় নানা কথা। কেউ বলে এটা করুণার খেলা, কেউ বলে প্রেমের আখ্যান, আবার কারও কাছে এটা শুধুই পাগলামি।
সুফিয়ান ভুঁইয়ার কানেও এসে পৌঁছেছিল সেই গুঞ্জন। তবে তিনি কখনও প্রত্যক্ষ করেননি সেই দৃশ্য। আজ বিকেলের শেষ রোদে তিনি নিজের চোখেই দেখলেন। জাওয়াদের নীল রঙের গাড়িটা অলস গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল গ্রামের কাঁচা সড়ক ধরে। পাশে নীরব উপস্থিতি গুলনূরের। গাড়ির জানালা দিয়ে ভেসে আসা হাওয়ায় উড়ছিল তার ওড়নার প্রান্ত।
সুফিয়ানের কপালে ফুটে উঠল গভীর চিন্তার রেখা। দাঁড়িয়ে রইলেন নিথর হয়ে।
গাড়িটা থামল একটা বিশাল বটগাছের নীচে। চারদিকে ছড়িয়ে আছে গাছের শিকড়। দূরে বিস্তৃত ধানের ক্ষেত। বিকেলের রোদ এখন স্নিগ্ধ, সোনালি। বটগাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়েছে গাড়ির জানালায়।
গুলনূর খাতাটা খুলে বসল গাছের একটা বেরিয়ে থাকা শিকড়ে। তার মুখে চিন্তার ছায়া। কলমটা নিয়ে ভাবতে লাগল।
তারপর খাতার পাতায় কলম চালিয়ে লিখল গুলনূর - "এভাবে সকলের সামনে রান্নাঘর থেকে নিয়ে আসা কি ঠিক হলো?"
সামান্য ইতস্তত করে খাতাটা এগিয়ে দিল জাওয়াদের দিকে। জাওয়াদ খাতাটা হাতে নিয়ে পড়ল। তার ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি দেখা দিল - যে হাসি দেখলেই গুলনূরের বুক টিপটিপ করে।
"আমি ঠিক-বেঠিকের তোয়াক্কা করি না। মনে যা আসে, তাই করি।"
গুলনূর তাড়াতাড়ি খাতাটা ফিরিয়ে নিয়ে লিখতে শুরু করল, কলমের খসখস শব্দে ফুটে উঠল তার অস্থিরতা - "আপনার তো কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু আমার পরিণতি ভাবুন। বড় বেগম আমাকে তলব করেছেন। নিশ্চয়ই কানে গেছে আপনার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের কথা।"
এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা জাওয়াদ এবার ধীরে সুস্থে এসে বসল গুলনূরের পাশে, প্রাচীন বটগাছের শিকড়ে হেলান দিয়ে। বিকেলের শেষ রোদ এসে পড়েছে তার মুখে। সে মুখ ফেরাল গুলনূরের দিকে।
"ভয় পেয়ো না। আমি তোমার পাশে আছি। বড় বেগম তোমাকে কিছুই বলবেন না। আমি দেখব।"
গুলনূর মুখ তুলল। জাওয়াদের চোখে চোখ রাখল। তার নিজের চোখে জমে থাকা ভয়ের কালো মেঘ ধীরে ধীরে সরে যেতে লাগল। হঠাৎ করেই তার মনে হলো, এই মুহূর্তে সে দুনিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গায় বসে আছে - এই বটগাছের নীচে, জাওয়াদের পাশে।
জাওয়াদ দূরের ধানক্ষেতের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপর বলল, "ছোটবেলায় চাচাজানের সঙ্গে প্রায়ই আসতাম এখানে। এই যে সামনে যতদূর চোখ যায়, এই সব ধানক্ষেত আমাদের। চাচাজান বলতেন, সম্পত্তি মানুষকে বড় করে না, মানুষের মন বড় করে।" একটু থেমে আবার বলল, "বিকেলে এখানে এসে বসলেই মনটা হালকা হয়ে যেত। তাই তোমাকে নিয়ে এলাম।"
আকাশে তখন কালো মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। দূরে মেঘ গর্জনের শব্দ। বাতাস ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে। বটগাছের পাতায় পাতায় অস্থির শনশনানি।
গুলনূর আবার কলমটা তুলে নিল। জাওয়াদ উৎসুক চোখে তাকিয়ে রইল খাতার দিকে। বাতাসে খাতার পাতা উড়তে চাইছে, গুলনূর বাঁ হাত দিয়ে চেপে ধরে লিখতে শুরু করল - "একটা কথা জিজ্ঞেস করব আপনাকে?"
"করো।"
"আপনার ঘৃণা লাগে না?"
"কিসের ঘৃণা?"
"অশুচি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে?"
দূরে বিদ্যুৎ চমকাল। মেঘের গর্জন আরও কাছে এসে গেছে।
"অশুচি?" জাওয়াদের চোখে বিস্ময় ।
গুলনূর আবার লিখল, তার হাতের লেখায় কাঁপুনি, "হ্যাঁ, অশুচি। যার দেহে পুরুষের দেওয়া কলঙ্কের দাগ। সে তো চিরতরে নাপাক হয়ে গেছে।"
"কে বলেছে তোমাকে এসব?"
"সবাই।"
বাতাস আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বটগাছের ডালপালা দুলছে প্রচণ্ডভাবে।
জাওয়াদ গভীর দৃষ্টিতে তাকাল গুলনূরের দিকে। "যারা তোমাকে অশুচি বলে, তাদের মন কলুষিত, বিষাক্ত। যে নরপশু একজন নারীর ওপর অত্যাচার করে, সেই অশুচি। তুমি নও, কখনোই নও।"
আকাশ তখন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। বাতাসে উড়ে আসছে ধুলোর কুণ্ডলী। গুলনূর আবার লিখতে শুরু করল। "এখানকার কেউ জানে না আমার অতীত। যদি জানতে পারে, আপনার সম্মানে কালি পড়বে।"
"কেন কালি পড়বে?"
"লোকে বলে, আমার ছায়া মাড়ানোও পাপ। আল্লাহর গজব নেমেছে আমার ওপর। গ্রামের কেউ আমার দিকে ফিরেও তাকাত না। আপনারও আমার সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। সমাজের চোখে আপনি হেয় হয়ে যাবেন।"
আকাশে প্রচণ্ড মেঘ গর্জন। বিদ্যুতের ঝিলিক। বাতাসে উড়ে যাচ্ছে শুকনো পাতা।
জাওয়াদ গভীর মনোযোগে পড়ল লেখাটা। তার চোখে জ্বলে উঠল ক্ষোভ। তবুও সে ধীর, স্থির কণ্ঠে বলল, "আমাদের সমাজে অনেক কিছুই ভুল হয়ে আসছে বহুকাল ধরে। এসব কুসংস্কার মেনে চললে তো চলবে না। তোমার সঙ্গে যা হয়েছে, তা অমানবিক, পাশবিক। একজন নারীর জীবনে এর চেয়ে বড় আঘাত আর কিছু হতে পারে না। আমি বুঝি, এই যন্ত্রণা ভোলা অসম্ভব। কিন্তু এই যন্ত্রণাকে তোমার শক্তিতে পরিণত করো, দুর্বলতায় নয়।"
"আমি তো কলঙ্কিত। আমার শরীরে..."
জাওয়াদ তার লেখা শেষ হতে দিল না। সে দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "শরীর কেবল একটা খোলস। আসল মানুষ বাস করে মনে, হৃদয়ে। তোমার মন এখনও সেই আগের মতোই পবিত্র, নির্মল। কেউ তা নষ্ট করতে পারেনি, পারবেও না।"
"সবাই যে বলে আমি নষ্ট হয়ে গেছি!"
"যারা এমন বলে, তারা নিজেরাই নষ্ট। তাদের মন এতটাই সংকীর্ণ যে, তারা শুধু বাহ্যিক দিয়ে মানুষ বিচার করে।"
ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে খাতার পাতা। গুলনূর কষ্টে সামলে নিয়ে লিখল - "আপনি জমিদার-পুত্র। আপনার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব..."
"আমি মানুষ, তুমিও মানুষ। জমিদার-প্রজা, ধনী-দরিদ্র - এসব শুধু বাইরের পরিচয়। আসল পরিচয় মানবতায়। আর তুমি একজন অসাধারণ মানুষ, গুলনূর।"
"লোকে জানলে কী বলবে?"
"লোকে সব সময়ই কিছু না কিছু বলবে। কিন্তু মানুষের কথায় কি সূর্য থেমে যায়? চাঁদ কি আর ওঠে না? বাতাস কি বইতে ভুলে যায়? তাহলে তুমি কেন ওই একটা ঘটনাতেই থেমে থাকবে?"
দুজনেই নীরব হয়ে গেল। চারদিকে শুধু বাতাসের শব্দ। বটগাছের পাতায় পাতায় মর্মর ধ্বনি। আকাশে তখনও কালো মেঘের ভিড়, অথচ বৃষ্টি নামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং বাতাস ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
জাওয়াদ উঠে দাঁড়াল। গুলনূরের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল, "চলো।"
গুলনূর প্রথমে ইতস্তত করল। তারপর জাওয়াদের হাতে হাত রেখে উঠে দাঁড়াল।
দুজনে হাঁটতে শুরু করল ধানক্ষেতের আল ধরে। প্রচণ্ড বাতাসে উড়ে যাচ্ছে জাওয়াদের চুল। গুলনূরের গায়ে জড়ানো হালকা নীল ওড়নাটা উড়ছে পতাকার মতো। তার কালো চুলের গুচ্ছ নাচছে হাওয়ায়। জাওয়াদ মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। গুলনূরের মুখের গঠনে একটা অন্যরকম মাধুর্য আছে, কোমল অথচ দৃঢ়।
দূরে কালো মেঘের গর্জন। আকাশের রং ক্রমশ গাঢ় হয়ে আসছে। জাওয়াদ আলতো করে গুলনূরের হাত ধরল। "চলো, ফিরে যাই। বৃষ্টি আসছে।"
নীল রঙের পুরনো গাড়িটা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে গ্রামের কাঁচা রাস্তা ধরে। বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা পড়তে শুরু করেছে গাড়ির জানালার কাঁচে - টুপ... টুপ... টাপ।
বাড়ি ফেরার পর গুলনূর সোজা চলে গেল বড় বেগম ললিতার ঘরের দিকে। তার বুকের ভেতরটা ধুকপুক করছে। জানে, আজ রক্ষে নেই। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে সে আস্তে করে টোকা দিল।
"ভেতরে আয়।" ললিতার কণ্ঠস্বরে বিরক্তি আর ক্রোধের সুর।
গুলনূর মাথা নীচু করে ঘরে ঢুকল।
ললিতা বিছানার কিনারায় বসেছিলেন। উঠে দাঁড়ালেন। তার চোখে-মুখে রাগ আর ঘৃণা। বাড়ির দাস-দাসীদের কানাঘুষো তিনি শুনেছেন। নিজের চোখেও দেখেছেন, তার একমাত্র ছেলে জাওয়াদ কীভাবে এই বোবা দাসীর ঘর থেকে বের হয়, বাগানে গোপনে দেখা করে।
"কোথায় গিয়েছিলি?" ললিতার গলা থেকে যেন বিষ ঝরে পড়ল।
গুলনূর দাঁড়িয়ে রইল, মাথা নীচু করে। তার হাত দুটো থরথর করে কাঁপছে।
"বল!" ললিতা এক পা এগিয়ে এলেন। তারপর নিজের সঙ্গেই কথা বলার মতো করে বললেন, "ওহ্, তুই তো কথা বলতে পারিস না। তাই বুঝি আমার ছেলেকে ভুলাতে এত সুবিধা হচ্ছে?"
গুলনূরের চোখের কোণে জল জমে এল। সে মাথা নেড়ে 'না' বোঝানোর চেষ্টা করল।
"চুপ!" ললিতা গর্জে উঠলেন। "তোর এই অভিনয় আমি বুঝি। এতদিন তোকে সরল ভেবেছিলাম, কিন্তু তুই একটা শয়তান। জমিদার-পুত্রকে ফাঁদে ফেলার মতলব আঁটছিস? ভেবেছিস কী নিজেকে মজলুম দেখিয়ে জাওয়াদের মন জয় করে নেবি? তারপর জমিদার বাড়ির বউ হয়ে বসে থাকবি?"
গুলনূরের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল গালে।
ললিতা তার সামনে এসে দাঁড়ালেন। "এই প্রথম আর শেষবারের মতো সাবধান করে দিচ্ছি। আমার ছেলের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করবি না। ডাকলেও যাবি না, দূরে দূরে থাকবি। কথা বুঝতে পেরেছিস?"
গুলনূর তাড়াতাড়ি মাথা নেড়ে 'হ্যাঁ' বোঝাল।
"এখন যা। আর মনে রাখিস, পরের বার এমন কিছু শুনলে..." ললিতার চোখে আগুন জ্বলে উঠল। "তোকে এই বাড়ি থেকে বের করে দেব। যা, এখন যা! দূর হ..."
গুলনূর পিছিয়ে পিছিয়ে দরজার দিকে গেল। বাইরে তখন ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে। আকাশও কাঁদছে তার সঙ্গে।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই জমিদার বাড়িতে হৈচৈ পড়ে গেল। খামারের কর্মচারী সবুর মিয়া হাঁপাতে হাঁপাতে ছুটে এসেছে। তার মুখে কথা সরছে না, শুধু হাত নেড়ে খামারের দিকে ইশারা করছে।
সুফিয়ান ভূঁইয়া তখন ফজরের নামাজ শেষ করে জায়নামাজে বসে আছেন। শব্দর নতুন জামা-কাপড় পরে রাজধানী যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। সবুরের চিৎকারে দুজনেই ছুটে গেল খামারের দিকে।
খামারে পৌঁছে যা দেখল, তাতে দুজনেরই পা যেন মাটিতে গেঁথে গেল। সকালের নরম রোদে দশটা হলস্টিন ফ্রিজিয়ান গরু মরে পড়ে আছে। এই গরুগুলোই ছিল খামারের মুখ, প্রতিদিন প্রতিটি গরু গড়ে ত্রিশ লিটার করে দুধ দিত। তাদের চোখ খোলা, যেন কোনো অদৃশ্য আতঙ্কে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছে।
শব্দর ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল মৃত গরুগুলোর দিকে। গরুগুলোর নিথর দেহ দেখে তার বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। এই গরুগুলোই ছিল তাদের খামারবাড়ির সম্পদ, তাদের ভরসা।
সে মাথা নিচু করে প্রতিটি গরুর কাছে গিয়ে পরীক্ষা করল। চামড়ায় কোথাও আঁচড়ের দাগ নেই, মুখ দিয়ে রক্ত বা ফেনা বের হয়নি। যেন ঘুমিয়ে আছে।
"সবুর মিয়া," শব্দর ডাকল, "রাতে কি কোনো অস্বাভাবিক শব্দ শুনেছিলেন? কিছু দেখেছেন?"
সবুর মিয়া মাথা চুলকে বলল, "না হুজুর। আল্লাহর কসম, কিচ্ছু বুঝতে পারি নাই। রাইতে যখন শেষবার দেখছি, গরুগুলা ঘাস খাইতেছিল। সকালে উইঠা দেখি..." তার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেল।
চারপাশে ততক্ষণে বেশ ভিড় জমে গেছে। কেউ ফিসফিস করে বলছে এটা জিন-পরীর কাজ। কেউ বলছে বদনজর লেগেছে। বয়স্ক এক লোক দাঁড়ি চুলকাতে চুলকাতে মন্তব্য করল, "আজকালকার দিনে কি আর ভালো থাকতে আছে? সব কিছুর পিছনেই শয়তানি।"
শুধু শব্দরের মন বলছে, এর পিছনে মানুষের হাত আছে। গতকাল ব্যবসায়ীদের সাথে চুক্তি ভেঙে গেছে। আজ তার গরুগুলো মারা গেল। এ দুটো ঘটনা নিছক কাকতালীয় নয়।
দূরে দাঁড়িয়ে আছেন সুফিয়ান ভুঁইয়া। চোখে তার হতাশা আর বিষাদের ছায়া। যেন জাগ্রত অবস্থায় কোনো ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন দেখছেন।
.
.
.
চলবে................................................