ইমাদ সাহেব রাগে ফুলেফেঁপে রুমে গিয়ে উঠেছেন। মেজাজটা ভীষণ চটে গিয়েছে। খাবার খাওয়ার মুডটাই পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর। মিলি বেগম দ্রুত গেলেন স্বামীর রাগ ভাঙাতে। পিছু পিছু নীলিমাও। মিলি বেগম গিয়ে ইমাদ সাহেবের পাশে বসলেন। এ ঘটনায় ভীষণ লজ্জিত তিনি। এভাবে খাবার প্লেট পিছিয়ে দিয়ে ইমাদ সাহেব চলে আসবেন তা কল্পনাতীত ছিলো তাঁর জন্য। অবশ্য স্বামীর এসব ছোটখাটো বিষয়ে খিটখিট করার স্বভাব সম্পর্কে তিনি অবগত। তবুও বাবার বাড়ির সকলের সামনে লজ্জায় যেনো মাথা কাটা পড়লো মিলি বেগমের।
মিলি বেগম এসেই নম্র কণ্ঠে বললেন,
" এসব কি করছো নওরীনের বাবা? এ বয়সে তোমার কি এসব মানায়?"
ইমাদ সাহেব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চট করে মিলি বেগমের দিকে চাইলেন। ক্রোধান্বিত গলায় বললেন,
" তুমি কি জানো না আমি পোড়া জিনিস দু চোখে দেখতে পারি না? "
" সে আমি জানি। কিংবা বাকি কেউ তো জানে না।"
" জানবে না কেনো? আমি যে বাড়ির বড় জামাই, এটা কি সবাই ভুলে বসেছে?"
ইমাদ সাহেবকে বাচ্চাদের মতো অভিযোগ করতে দেখে মিলি বেগম এবার খানিকটা শক্ত হলেন। বললেন,
" দেখো নওরীনের বাবা, তোমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়েরও বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। এখন যদি শ্বশুরবাড়ি এসে এমন আচরণ করো, তাহলে লজ্জায় সবার সামনে আমাকেই মাথা নত করতে হবে। "
ইমাদ সাহেবের ক্রোধে যেনো ঘি পড়লো মিলি বেগমের কথায়। তিনি ক্রোধে দাঁতে দাঁত পিষে বললেন,
" তুমি তো আমার সামনেই বসে ছিলে মিলি। তাহলে তুমি নিষেধ করোনি কেনো ঐ ছেলেটাকে?"
মিলি বেগম এবার পুরোদমে রেগে গেলেন। চোখ গরম করে ক্রোধান্বিত গলায় বললেন,
" সবসময় তোমার সবকিছুর খেয়াল রাখার দায়িত্ব আমার উপর পড়ে না ইমাদ। বিয়ের পর থেকে তোমাকে সামলিয়ে যাচ্ছি, সংসার সামলাচ্ছি। এই বুড়ো বয়সে এসেও যদি এসব করতে হয় তাহলে তোমার নিজের অস্তিত্ব থাকার দরকারটা কি!"
ইমাদ সাহেবও এবার কোমড়ে গামছা বেঁধে ঝগড়া করার মনমানসিকতা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন। ঠিক সে মুহূর্তেই নীলিমা এসে তাঁকে থামালেন। সে বাবা মায়ের কথার মাঝে হতক্ষেপ চেয়েছিলো না। তবে এ মুহূর্তে কিছু না বললে তুমুল ঝগড়া লেগে যেতো দুজনের মাঝে। তাই নীলিমা এগিয়ে গেলো। ইমাদ সাহেবকে ধরে মিলি বেগমকে নম্র গলায় বললেন,
" আম্মু, তুমি খেতে যাও। আমি আর আব্বু আসছি।"
মিলি বেগম তৎক্ষনাৎ মুখ ফিরিয়ে চলে গেলেন। তিনি যেতেই নীলিমা ইমাদ সাহেবকে বললো,
" আব্বু, তুমি বসো। শান্ত হও একটু। "
ইমাদ সাহেব কোনো তর্ক ছাড়াই বসে পড়লেন। নীলিমাকে ভীষণ ভালোবাসেন তিনি। যতই উপর দিয়ে কঠোরতা দেখাক না কেনো, নীলিমার ছোট্ট কথায় তিনি বরফের মতো গলে পড়েন। আজকেও যে তার ব্যতিক্রম হবে না এটা নীলিমার জানা আছে। এজন্যই কণ্ঠে আরোও মিষ্টিভাব এনে সে বললো,
" আব্বু, তুমি যে পোড়া ভাত খাও না এটা কেউ জানে না। আর জানলেও কেউ স্বেচ্ছায় পোড়া ভাত তুলে দিতো না তোমার প্লেটে। ঐ ছেলেটা আমাদের বাড়ির কেউ না, প্রতিবেশী। এখন একজন প্রতিবেশী নিশ্চয়ই তোমার সম্পর্কে সব জানবে না। ঠিক তো?"
ইমাদ সাহেব মাথা নাড়ালেন। নীলিমার পুনরায় বললো,
" তাহলে এভাবে রাগ দেখানোটা কি ঠিক ছিলো? তুমি ওকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারতে। তাহলেই ব্যাপারটা মিটে যেতো। "
ইমাদ সাহেব এবার পূর্বের তুলনায় খানিক মিইয়ে এলেন। উত্তপ্ত মেজাজে ঠান্ডা এক জগ পানি পড়লো যেনো। কণ্ঠে কঠোরতা কমিয়ে এনে বললেন,
" হুম, তা অবশ্য ঠিক বলেছিস। কিন্তু দেখ, তোর নানাবাড়ির একটা লোকও আমাকে সাধতে এলো না। সবাই কত স্বার্থপর! "
নীলিমা বাবার হাতে হাত রেখে বললেন,
" সবাই এখন খাওয়াদাওয়া করছে আব্বু। আর তুমি তো এ বাড়িরই একজন সদস্য তাই না? তাহলে তোমাকে ঘরে এসে সাধবার কি আছে? তুমিই নিজে গিয়ে বসে খাওয়াদাওয়া শুরু করে দিবে। "
" মোটেও না। আমার একটা আত্মসম্মান আছে না! এভাবে গিয়ে বসাটা কি মানায়? আমার তো ভ্যালুই কমে যাবে। "
মৃদু হাসলো নীলিমা। বললো,
" আব্বু, তোমার বয়স হয়েছে। এবার দুলাভাইয়ের জন্য জামাইয়ের চেয়ারটা ছাড়ো। তুমি এ চেয়ার ত্যাগ না করলে দুলাভাইও বসতে পারবে না, আমার বরও বসতে পারবে না। তখন কি ও রাস্তায় বসে থাকবে?"
মেয়ের কথায় হেসে ফেললন ইমাদ সাহেব। এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলেন মেয়েকে। পূর্বের ন্যায় খানিক ফুরফুরে গলায় বললেন,
" আচ্ছা আচ্ছা বুঝেছি। তোর বরের জন্য হলেও আমাকে জামাই ভাবটা ছাড়তে হবে। তাই তো?"
নীলিমা হাস্যোজ্জ্বল গলায় বললো,
" হুম। একদম ঠিক। এবার চলো, খাওয়াদাওয়া করে নেই। কত কাজ পড়ে আছে!"
ইমাদ সাহেব মেয়ের সাথে গেলেন খাবার টেবিলে। তাঁকে দেখে বাহাদুর শেখ স্বস্তির গলায় বললেন,
" আইছো বাবাজি। বসো বসো। আমি ওরে বলতেসি তোমার জন্য ফেরেশ ভাত তুইলা দিতে।"
ইমাদ সাহেব অনুগ্রের গলায় বললেন,
" আরে বসুন আব্বা। সমস্যা নেই। শুধু শুধু আপনাদের একটু জ্বালিয়েছি। আমি খাচ্ছি। আপনারা খাওয়া শেষ করুন। "
এই বলতে বলতে ইমাদ সাহেবের প্লেটে একদম ঝকঝকে সাদা ভাত ও মুড়ি ঘণ্ট দেয়া হলো। তার এহেন কান্ডকারখানা দেখে নাজমা বেগম আপনমনে টিটকারি মেরে বলতে লাগলেন,
" এই বয়সে এসেও ঢং কমে না বুড়ার। আর কয়দিন পর ছোট মেয়ের বিয়ে দিবে, আর তার এখনও জামাই জামাই খেলা বন্ধ হয় না।"
বলেই তিনি ভেঙচি কেটে শেষ লোকমটুকু মুখে তুললেন।
----------------------------------
সন্ধ্যে হতে না হতেই বাড়ির প্রতিটা মেয়ের মেহেদি দেয়ার হিড়িক পড়লো। আশেপাশের বাড়ি থেকেও কিছু মেয়েরা এলো, বয়স্ক মহিলারা এলো। এই প্রথম তাড়া মেহেদি অনুষ্ঠান দেখছে। মেহেদি দেয়ার জন্যও যে আলাদাভাবে এতো আয়োজন করা হয় এবারই নতুন দেখছেন তারা। এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের ধারণাই ছিলো না। এজন্যই মেহেদি অনুষ্ঠানে মহিলাদের ভীড় একটু বেশি। বেশিরভাগই এসেছে আগ্রহ মেটাতে। আর কম বয়সী মেয়েরা এসেছে হাতে মেহেদি পড়াতে। কেননা তাদের কানে এসেছে, নতুন জামাই ঢাকা থেকে মেহেদি আর্টিস্ট পাঠিয়েছে এই অনুষ্ঠানের জন্য। তাই ফ্রি-তে মেহেদি দেয়ার সুযোগ কিছুতেই বাদ দেয়া যাবে না।
এদিকে মানতাসা মেহেদি দেয়ার জন্য মেয়েদের এত লম্বা লাইন দেখে ভারী দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো। এখন এতগুলো মেয়েকে মেহেদি দিতে বসলে মেহেদি আর্টিস্ট তাকে মেহেদি দিবে কখন? মানতাসা এ পরিস্থিতি দেখে নীলিমা ও রাফাকে কাজে বসালো। দুজনকে বেশ অনুরোধ করেই কাজে বসালো মানতাসা। নীলিমা ও রাফা মিলেমিশে প্রতিবেশী মেয়েগুলোকে মেহেদি দিয়ে বিদায় করলো। ততক্ষণে মানতাসার দু হাতে প্রায় অর্ধেক মেহেদি পরানো হয়ে গিয়েছে।
রাত প্রায় সাড়ে ন'টার দিকে মানতাসার মেহেদি পরানো শেষ হলো। তাকে স্টেজে বসিয়ে তখনও নাচগান চলছে। শুধু মহিলা-মেয়েভিত্তিক এ অনুষ্টানে সকলেই বেশ মজা করছে। মিলি বেগম, লিলি বেগম একমাত্র ভাতিজির বিয়ে উপলক্ষে ধুম মাচিয়ে নাচানো করছেন। আজ আর কোনো বাঁধা মানছেন না।
এদিকে মানতাসার মেহেদি দেয়া শেষে নীলিমা ও রাফাও মেহেদি আর্টিস্টের কাছ থেকে মেহেদি নিয়ে নিলো। মেহেদি নেয়া শেষে নীলিমা চলে গেলো রুমে। অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে। সাউন্ড বক্সের তীব্র শব্দে তার কান ধরে গিয়েছিলো। তাই তো একটু রুমে বসে বিশ্রাম করতে চেয়েছিলো সে। কিন্তু সে সুযোগটুকু স্মরণ দিলো না।
নীলিমা বসেছিলো ড্রইংরুমে। এই সুযোগও পেয়ে স্মরণও কিছুক্ষণ বাদে ড্রইংরুমে চলে গেলো। নীলিমাকে দেখে তার হাতের মেহেদির দিকে ইশারা করে জিজ্ঞেস করলো,
" কার নাম লিখেছো মেহেদিতে?"
নীলিমা ভ্রু কুঁচকালো। জিজ্ঞেস করলো,
" মেহেদিতে নাম লিখতে যাবো কেনো?"
" কেনো মানে? আমি তো শুনেছি মেয়েরা মেহেদি দিলে তাদের প্রিয় মানুষটার নাম লিখে।"
" হ্যাঁ লিখে। কিন্তু আমার কোনো প্রিয় মানুষ নেই। তাই আমিও নাম লিখিনি। এখন প্লিজ বলবেন না যে আপনার নাম লিখতে হবে। আমি কখনোই আপনার নাম লিখবো না। কেননা আপনি মোটেও আমার প্রিয় মানুষ নন। হ্যাঁ, আগে ছিলেন। এখন না। আর আমাকে পাগল কুকুর কামড়ায়নি যে আপনার নাম লিখে বাড়ির সবার প্রশ্নের মুখে পড়বো। "
বলোই নীলিমা উঠতে নিলো। কিন্তু স্মরণ তৎক্ষণাৎ গিয়ে তার পথ রোধ করলো। ঠিক নীলিমার চোখে চোখ রেখে বললো,
" তোমার সাথে কথা আছে নীলিমা। "
নীলিমা অগ্রাহ্য করে বললো,
" কিন্তু আপনার সাথে আমার আর কোনো কথা নেই। যা বলার বলেছি। এবার আমাকে যেতে দিন।"
স্মরণ মুহূর্তেই অনুরোধে নেমে এলো। বললো,
" প্লিজ নীলিমা। পুরোপুরি আমার কথাটা শোনো। এরপর তোমার যা সিদ্ধান্ত হয় তাই মেনে নিবো আমি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কথা শুনবে না ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবেই তোমার পিছে পড়ে থাকতে হবে। "
স্মরণের কথায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও নীলিমা রাজি হলো। তখনই স্মরণ বললো,
" রুমে না। পিছনের ঐ ব্যালকনিতে কথা বলবো। এখানে যে কেউ চলে আসতে পারে। "
" আচ্ছা, চলুন তবে। "
ড্রইংরুমের পিছনের ঐ ব্যালকনির দরজাটা খুলে দুজনে সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। স্মরণ আবার এগিয়ে এসে দরজাটা হালকা ভিজিয়ে দিলো, যেনো সরাসরি তাদের দেখা না যায়।
নীলিমার দু হাত হতে এখনও মেহেদির আদ্রতা যায়নি। তাই সে যথাসম্ভব সাবধাণতা অবলম্বন করে দাঁড়ালো। বেশ রুঢ় স্বরে বললো,
" বলুন। কি এতো জরুরী কথা বলবেন বলুন। "
নীলিমার এহেন কণ্ঠস্বরে স্মরণ খানিকটা আহত হলো। তবে নিজের অনুভূতিকে পাশ কাটিয়ে স্বাভাবিক স্বরে শুধালো,
" আমার সাথে আর আগের মতো কথা বলছো না কেনো নীলিমা? গতকালের পর থেকে তোমাকে এভাবেই দেখছি। আমাকে এভয়েড করার চেষ্টা করছো কেনো?"
নীলিমা কাটকাট স্বরে জবাব দিলো,
" তো কি করবো বলুন? আপনার সাথে লেগে থাকবো? এটা আমার পক্ষে সম্ভব না স্মরণ ভাই। অন্তত আমাকে নিয়ে আপনার মনে কি চলছে এটা জানার পর কখনোই আপনার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করা সম্ভব নয়। "
" কেনো নীলিমা? আমার ভুলটা কি? তোমাকে ভালোবাসা? এটা আমার ভুল?"
নীলিমা বোধহয় নিজের দুটো হৃদস্পন্দন মিস করলো। স্মরণ এবার সরাসরিই তার অনুভূতির কথা উল্লেখ করেছে। যদিও প্রশ্নসূচক গলায়। তবুও নীলিমার ভেতরটা এ কথায় খানিক নড়ে উঠলো। কিন্তু নিজেকে যথাসম্ভব শক্ত রেখে সে বললো,
" অবশ্যই এটা আপনার ভুল। আপনি আমাকে ভালোবাসতে পারেন না। "
" কেনো নীলি? আমি কেনো ভালোবাসতে পারবো না? তুমি তো আমায় ভালোবেসে ছিলে। "
" আমি ভালোবেসে ছিলাম। কিন্তু এখন বাসি না। আর আল্লাহর দোহায় লাগে, দয়া করে অতীতের ওসব কথা আর সামনে আনবেন না। আমি সত্যিই আমার কাজের জন্য লজ্জিত। "
স্মরণ বিস্ময় নিয়ে বললো,
" লজ্জিত কেনো বলছো নীলিমা? লজ্জার কি ছিলো ওখানে? "
নীলিমা এবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
" দেখুন স্মরণ ভাই, তখন আমি অবুঝ ছিলাম। কিশোরী বয়সের একটা আবেগের ভিত্তিতে ওমন কাজ করেছিলাম। কিন্তু আপনি এই বয়সে নেই স্মরণ ভাই। আপনি একজন চাকুরীজীবি। এডাল্ট একজন মানুষ। আপনার সাথে এসব মানায় না। "
" আশ্চর্য! চাকুরীজীবি আর এডাল্ট হলে কি কারোর প্রতি ফিলিংস আসা যাবে না! এসব কি যুক্তি দিচ্ছো নীলিমা? "
এই বলে সে চোখ বন্ধ করে হাত মুঠো বন্দি করে বার কয়েক জোরে জোরে শ্বাসক্রিয়া চালালো। অতঃপর বললো,
" শোনো নীলিমা, আমার জীবনে কখনো প্রেম আসেনি। আমি আসতেও দেয়নি। সবসময় পড়ালেখার পিছনে সময় দিয়েছি। আর এখন কাজের পিছনে। গল্প উপন্যাসের মতো আমার জীবনে ধীরেধীরে প্রেম আসেনি। একদম হুট করে এসেছে। আর আমি সেটা মেনেও নিয়েছি। আমি শুধু জানি তোমাকে আমি ভালোবাসি। তোমাকে নিজের করে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা আমার ভেতরে বয়ে বেড়াচ্ছে। এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে যে তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা অসম্ভব। আমি জানি, কথাগুলো বেশ হাস্যকর শোনাচ্ছে। কিন্তু এটাই সত্যি। আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনে আসা প্রথম প্রেম। আর তোমাকে যেভাবেই হোক আমার হতে হবে। এবং আমি এই দুদিনের প্রেমেই তোমাকে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছি। আমার পক্ষে এতো অপেক্ষা করা সম্ভব না। আমি তোমাকে ভালোবাসি। ব্যস, সময় নষ্ট না করে জানিয়ে দিয়েছি। এখন তুমি আমার হবে। অন্য কারোর নয়। এটাকে প্রপোজাল ভাবো বা থ্রেট ভাবো এটা সম্পূর্ণ তোমার বিষয়। বাট, মার্ক মাই ওয়ার্ড নীলি, ইউ উইল বি মাইন।"
.
.
.
চলবে..................................................