মাই মিস্টিরিয়াস প্রিন্স - পর্ব ০৪ - মৌমিতা মৌ - ধারাবাহিক গল্প


ঘড়িতে ৪ টা ছুঁই ছুঁই। রাতের পাখিরা অল্পস্বল্প আওয়াজ করে চলেছে, আর নিস্তব্ধ পরিবেশে এক অজানা সুর তুলছে। অনেকেই ঘুমে নিমগ্ন। কিন্তু হসপিটালে রোগীদের তো আর ঘুম আসে না! অনন্যা গালে হাত দিয়ে পাশের বেডের দিকে তাকিয়ে আছে। জীবনে প্রথমবার কোনো পুরুষকে এমন উন্মুক্ত অবস্থায় দেখছে সে। স্যারের শরীরের পোড়া অংশগুলো তাকে শিউরে তুলছে। হয়তো ব্যথার কারণে তিনি উপরের পোশাক পরিধান করতে পারেননি।

একদিকে লজ্জার ভার, অন্যদিকে চিন্তার গুঁতো অনন্যার মনকে অস্থির করে তুলেছে।
"স্যারের সঙ্গে কী হয়েছিল?", এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে তার মনে।

অনেকক্ষণ পূর্বে পরিদর্শন করতে আসা ডাক্তারটি যখন সুইমিং পুলের কথা তুলেছিল তখন অনন্যাও প্রশ্ন করে বসে,
"কে বলেছে আমি সুইমিংপুলে নেমেছিলাম?"

তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নার্সটি হেসে উত্তর দেয়,
"ম্যাম! আসলে স্যার সবসময় রোগীদের সাথে মশকরা করে কথা বলে। উনার কথায় গুরুত্ব দিয়েন না।"

ডাক্তারটি বললো,
"সব ঠিক আছে। কিন্তু আপনি এমন ভিজে গিয়েছিলেন কীভাবে? তার মধ্যে ভেজা অবস্থায় রাস্তায় বসেছিলেন কেন? আর মনে তো হচ্ছিল বিয়ে ছিল আপনার! পালিয়ে এসেছেন কী?"

ডাক্তারের প্রশ্নে অনন্যা চমকে উঠে। এতগুলো প্রশ্নের ভার যেনো তার ওপর একসাথে চেপে বসেছে। কপাল কুঁচকে যায় তার, কিন্তু সে নিজেকে সামলে নিয়ে খুব অল্প কথায় উত্তর দেয়,
"আমি... আমি নদীতে পড়ে গিয়েছিলাম।"

ডাক্তার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,
"কি? আপনি কী সামনের নদীটার কথা বলছেন?"

অনন্যা ধীরগতিতে মাথা হেলায়। ডাক্তারের চোখমুখে কৌতূহল ঝরে পড়ে।
"বাহ! বেশ ভালো! তাহলে এবার আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন। নিউজে শুনেছি, এই নদীর পানি আজ দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল আর সেটা আপনার আসার কিছু সময় পূর্বের ঘটনা। তাই, আপনি কী বিষয়টা লক্ষ্য করেছিলেন? আর সেই পানির মাঝে নাকি একটা ভয়ংকর প্রাণীও দেখা গেছে। আপনি কি দেখেছিলেন ওসব?"

ডাক্তারের প্রশ্ন শুনে অনন্যার শিরদাঁড়া দিয়ে হিমশীতল স্রোত বয়ে যায়। সে নদীতে পড়ে গিয়েছিল কিন্তু এরপরে তো কিছুই সে জানে না। কিন্তু এর মাঝেই নদী দুই ভাগ হয়ে যায় আর তার মাঝে এক প্রাণীর ও দেখা মেলে? অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপার তো! অনন্যা মুখ খুলে কিছু বলতে পারলো না আর যা শুনেছে তা বিশ্বাস করতে পারলো না। তার বড় বড় চক্ষু যুগল দেখে হঠাৎ নার্সটি এগিয়ে এসে বলল,
"আপনি এই কথা কতজনকে জিজ্ঞেস করেছেন বলুন তো? মেয়েটা নদীতে পড়ে গিয়েছিল, বেঁচে ফিরে এসেছে, এটাই তো অনেক বড় বিষয়, তাই না? এখন শুধু শুধু এসব অলৌকিক ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করে লাভ কী? যা আমরা নিজ চোখে দেখিনি, শুধু অন্যের কথায় ভিত্তি করে বিশ্বাস করলে চলবে না। উনি হয়তো জানেনই না বিষয়টি।"

ডাক্তার মাথা নাড়িয়ে সামান্য বিরক্তির সুরে বলল,
"হুম... কিন্তু ঘটনা সত্যি। জাহাজের লোকেরা নিজ চক্ষে দেখেছে। তারা কি মিথ্যে বলবে?"

নার্স কাঁধ ঝাঁকিয়ে হেসে বলল,
"তাহলে আর কী! বিশ্বাস করে বসে থাকুন।"

ডাক্তারের মুখে কিছুটা অস্বস্তি ফুটে উঠল। অন্যদিকে, অনন্যা যেন এই কথোপকথনের মাঝে আরও গভীর চিন্তায় ডুবে গেল। কথাগুলো তার কানে বাজছে, "নদীর পানি দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল," "ভয়ংকর প্রাণী," "নিজ চক্ষে দেখেছে"। সবকিছু যেন রহস্যের কুয়াশায় ঢেকে আছে।

অনন্যা হঠাৎ পাশের বেডের দিকে তাকিয়ে কাঁপা গলায় বলল,
"এই লোকটা! উনি কখন এসেছেন? উনি আমাকে নিয়ে এসেছেন, তাই না?"

ডাক্তার ইতিমধ্যে অন্য বেডে চেক করতে চলে গেছেন। নার্স দুই দিকে মাথা নাড়িয়ে শান্তভাবে বলল,
"না, ম্যাম। আপনার আসার দশ মিনিট আগে উনি হাসপাতালে এসেছেন। আর আপনাকে এখানে নিয়ে এসেছে আমাদের একজন স্টাফ। তিনি আপনাকে পাশের এক বিল্ডিংয়ের সামনে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। সেখান থেকেই আপনাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে।"

নার্স কিছুক্ষণ থেমে যোগ করল,
"আপনার জামাকাপড় আমরা ওয়াশ করিয়েছি। তবে এখনো ভেজা রয়েছে। স্টাফদের সাথে কথা বললে সেটা আপনি নিয়ে যেতে পারবেন। আর আপনাকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত সেগুলো খেলে ফুসফুস বা শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনো সমস্যা হবে না। ধন্যবাদ।"

অনন্যা মাথা নাড়াতেই নার্স মেয়েটা চলে গেলো। সে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো হসপিটালের সাদা একটা ফতুয়া আর পায়জামা পড়েছে। এতো সাদা দেখতে দেখতে অনন্যার চোখ দুটো ধাঁধিয়ে গেছে। অনন্যা কিছুক্ষণ ভাবনার ভেতর ডুবে থাকার পর বেড থেকে নেমে একটি টুল নিয়ে স্যারের সামনে বসলো। মুখ তুলে স্যারের দিকে তাকিয়েই হাঁ হয়ে গেল। নোহারা ঠিকই বলেছিল, লোকটা দেখতে সত্যিই খুব হ্যান্ডসাম। তার চেহারায় এক ধরনের সৌন্দর্য আর ব্যক্তিত্ব আছে, যা সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

কিছুক্ষণ এভাবে তাকিয়ে থাকার পর হঠাৎ অনন্যা নিজের মুখ ঢেকে ফেললো। বেশ লজ্জা লাগছে তার। এই বিদেশি লোকটার সাথেই কী তার বিয়ে হয়েছে? ব্যাপারটা এখনো বিশ্বাস হচ্ছিল না।

একটু সাহস করে অনন্যা ধীরে ধীরে স্যারের পোড়া বাহুর দিকে হাত বাড়ালো। আঙুলের ছোঁয়া লাগতেই "আহ্!" শব্দ করে কেঁপে উঠলেন ইশতেহার কৌশিক। চমকে গিয়ে নিজের মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন তিনি। বসার সময় শরীরে ভাঁজ পড়ে গেল।

অনন্যা খেয়াল করলো, স্যারের গঠন চিকন হলেও বেশ সুশৃঙ্খল আর সুঠাম। তার মনে হলো, উনার মতো লোকের সিক্স প্যাক থাকলে মানাতো না, বরং এই সরল সৌন্দর্যটাই তার জন্য উপযুক্ত। ভাবনার জগৎ থেকে ফিরতে গিয়ে নিজেই লজ্জায় মুষড়ে পড়লো সে। স্যারের দিকে তাকিয়ে অনন্যা এবার অন্য কিছু খেয়াল করলো। তিনি কেমন যেন অদ্ভুত আচরণ করছেন। আশেপাশে তাকিয়ে কী যেন খুঁজছেন, মাথার চুলে আঙুল চালাচ্ছেন আর অনবরত অস্বস্তি প্রকাশ করছেন।

অনন্যা দ্রুত উঠে বেডের অপর দিক দিয়ে স্যারের কাছে দাঁড়িয়ে বললো,
"স্যার, আপনি এমন করছেন কেন? আর আপনার দেহ....কিভাবে পুড়ে গেলো?"

ইশতেহার কৌশিক হঠাৎ হসপিটালের বেডে হাঁটু মুড়ে বসে অনন্যার কাঁধে হাত রাখলো। অনন্যা শিউরে উঠে নিজের কাঁধে তাকালো।

কৌশিক স্যার গম্ভীর গলায় বললো,
"লুক অ্যাট মি!"

অনন্যা দ্রুত তাকালো স্যারের দিকে। চোখ পিটপিট করছিলো সে। 
স্যার কঠোর গলায় আবার বললো,
"স্টপ! লুক ইনটু মাই আইস উইথ ইউর ফিক্সড আইলিডস!"

অনন্যা সম্পুর্ণ জমে গেলো, তার চোখের মণি দুটো স্থির হয়ে গেলো কৌশিক স্যারের চোখে। স্যারের চোখের হালকা আকাশি মণি কাবু করে ফেললো অনন্যাকে, আকাশি রঙের জ্যোতি বের হতে থাকলো চোখ দুটো থেকে আর কিছু একটা নিয়ে যেতে লাগলো অনন্যার থেকে। অনন্যা বোধ জ্ঞান হারিয়ে শুধু তাকিয়েই থাকলো স্যারের দিকে। হঠাৎ দুর্বল অনুভব করতে লাগলো অনন্যা আর নিস্তেজ হয়ে পড়ে গেলো কৌশিক স্যারের উপর।

ইশতেহার বিরক্তি প্রকাশ করে এক দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। এক হাতে অনন্যার নিস্তেজ দেহটি ধরে সাবধানে পাশে বেডে শুইয়ে দিলো। বিরবির করে বলে উঠলো,
"টুউ উইক!"

ইশতেহার নিজের শরীরের দিকে একবার তাকাল। পোড়া অংশ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বটে, কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। তার চোখে ক্ষীণ বিরক্তির ছাপ। পাশের দড়িতে টাঙানো হাসপাতালের পোশাক টেনে দ্রুত গায়ে চাপিয়ে নিলো। এরপর বেড থেকে উঠে চারপাশে একবার ভালো করে দেখে নিলো। তার চোখে জায়গাটির প্রতিটি কোণ যেন মুদ্রিত হলো। ধীর পায়ে হাঁটতে শুরু করলো সে। আশেপাশে শুধু রোগীদের ভিড়, কেউ ব্যথায় কাতরাচ্ছে, কেউ নিঃশব্দে শুয়ে আছে।

হঠাৎ করেই সেই পরিদর্শক ডাক্তারের সাথে মুখোমুখি হয়ে গেল। ডাক্তার তাকে দেখে অবাক হয়ে বলল,
"আরে, আপনি? শরীর কেমন লাগছে এখন? দেখি আপনার হাত!"

ইশতেহার কৌশিক প্রতিউত্তর না দিয়ে ঠাণ্ডা চোখে তার দিকে তাকালো। ধীর অথচ দৃঢ় হাতে ডাক্তারের কাঁধে হাত রাখল। কণ্ঠস্বরে একটা অদ্ভুত গভীরতা এনে বলল,
"ডক্টর, আই নিড সাম রেস্ট। নাথিং এলস।"

ডাক্তার তার চোখে তাকিয়েই স্থির হয়ে গেল। কৌশিকের দৃষ্টিতে যেনো কোনো অদৃশ্য শক্তি। ডাক্তারের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটলেও, সেই হাসি মুহূর্তেই মুছে গেল। তার শরীর ধীরে ধীরে অবশ হয়ে পড়তে শুরু করল। এক মিনিটও কাটল না, সে একদম মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।

কৌশিক ঠাণ্ডা মাথায় তার নিথর শরীরকে ধরে দেয়ালের পাশে ঠেস দিয়ে বসিয়ে দিল। তারপর নিজের পোশাকের ভাঁজ ঠিক করে আরেকবার শরীরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। তার মুখে বিস্তৃত হাসি। কৌশিক আবার হাঁটা শুরু করলো, তার প্রতিটি পায়ের আওয়াজ যেন ঘরের নিস্তব্ধতায় একধরনের রহস্যের ছাপ রেখে যাচ্ছে। তার চলার পথের পেছনে ইতিমধ্যে দুই-একজন নার্স জড়ো হয়েছে, ডাক্তারের নিথর দেহ নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। 


কতক্ষণ পর অনন্যা চোখ খুললো ঠিক জানা নেই তার। তবে চোখ খোলার পর মনে হচ্ছে শরীরটা অবশ হয়ে আছে। হাত পা নাড়ানো যাচ্ছে না। শ্বেত রঙের বিছানায় শুয়ে আছে উপুড় হয়ে, কিন্তু কীভাবে এখানে এলো, কেন এলো, তা কিছুতেই মনে করতে পারছে না। কয়েক মুহূর্ত কেটে যাওয়ার পর, সে ধীরে ধীরে হাতে ভর দিয়ে উঠার চেষ্টা করল। কিন্তু শরীরে শক্তি না থাকায় বিছানার পাশেই গড়িয়ে পড়ে গেল। আওয়াজ শুনে নার্স দ্রুত ছুটে এল। তাকে ধরে তুলে বিছানায় বসিয়ে দিল। স্টাফ এসে তার হাতে এক গ্লাস লেবুর শরবত দিলো। অনন্যা ধীরে ধীরে শরবত খেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেল।

মাথায় চাপ দিয়ে ঠিক কী হয়েছিল মনে করার চেষ্টা করল। মনে পড়ল, স্যারের বাহুতে সে স্পর্শ করেছিল। আর সঙ্গে সঙ্গে স্যার শব্দ করে উঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর কী হয়েছিল? যতই মনে করার চেষ্টা করছে, কোনো কিছুই স্পষ্টভাবে মনে পড়ছে না।

এবার উতলা হয়ে উঠল অনন্যা। ব্যাকুল মনে স্যারের খোঁজ করতে লাগল। নার্সের কাছে গিয়ে বলল,
"স্যার কোথায়? উনি ঠিক আছেন তো?"

নার্স তাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলল,
"আপনার স্যার এখানেই বাইরে হাঁটাহাঁটি করছেন। দেখে তো বেশ সুস্থ আর স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।"

লোকটা আগেরবারের মতো তাকে রেখে চলে যায়নি এই ভেবে অনন্যা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। কিন্তু একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা তার মনে নিরলসভাবে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল‌ , যার উত্তর সে পায়নি। শরীর একটু ঠিক লাগলে সে বাইরে স্যারকে খুঁজতে চলে গেলো। 

হসপিটালের বাইরে ছোট একটা খোলা মাঠ। সেখানেই রোগীরা হাঁটাহাঁটি করে, মনের তিয়াস মেটায়, যানবাহনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে, কোনো গভীর চিন্তায় ব্যস্ত সময় কাটায় তারা। ইশতেহার কৌশিক স্যারকেও হাসপাতালের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় নির্বাক হয়ে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু যা অনন্যাকে সবচেয়ে বেশি শক দিল, তা ছিল স্যারের দুই বাহু। কিছুক্ষণ আগেও যেখানে পোড়া কালচে দাগ স্পষ্ট ছিল, এখন তার কোনো চিহ্ন নেই। একেবারে স্বাভাবিক, যেন কিছুই ঘটেনি! অনন্যার মাথায় হাজারো প্রশ্ন ভিড় করতে শুরু করল। 

তবে তার বিস্ময় আরও বেড়ে গেল যখন স্যারের পাশ বরাবর দাঁড়িয়ে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই লোকটা হঠাৎ বলল,
"যদি আমার সাথে যেতে চান, কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না।"

কথাটা এমন হঠাৎ এবং দৃঢ়তায় বলা হলো যে অনন্যার মনের ভেতরটা মুহূর্তেই শূন্য হয়ে গেল। সে তো এখনো কোনো শব্দই উচ্চারণ করেনি! অথচ লোকটা যেন তার ভাবনাগুলোও পড়ে ফেলল। চমকে উঠে সে স্যারের মুখের দিকে তাকাল। তার ঠোঁট কাঁপছে, কিন্তু কিছু বলার সাহস যেন হারিয়ে ফেলেছে। নিজের মধ্যে শব্দ খুঁজে পেল না। শুধু অনুভব করল স্যারের কথার গাম্ভীর্যতা।

"ওয়ান্ট টু গো উইথ মি?"
আবারো আরেকটা বাক্য শোনা গেলো স্যারের মুখ থেকে।

"হ্যাঁ, বিয়ে করেছেন আমাকে। তাই যেতে তো হবে। যাবো না কেনো? অবশ্যই যাবো। আর আপনি যে তখন আমাকে রাস্তায় ফেলে চলে গিয়েছিলেন তার জন্য শাস্তিও পাবেন।"

"উঁহু, কীসের শাস্তি? আমি তো বিয়ে করতে চাইনি। আপনার কারণেই বিয়েটা হয়েছে!"

অনন্যা প্রশ্নবিদ্ধ চাহনি নিয়ে তাকিয়ে রইল স্যারের দিকে। ভাবলো, আমার কারণে? আমি কী জোর করেছিলাম তাকে?
.
.
.
চলবে....................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন