স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা - পর্ব ০৫ - মুশফিকা রহমান মৈথি - ধারাবাহিক গল্প


ছুটির দিনে দীপশিখা ঘুমিয়ে কাটায়। আজ ঘর থেকে শুধু খাওয়ার সময় বের হবে সে। বাকিটা সময় হয় ঘুমোবে, নয় ঘুম আনার জন্য বই পড়বে। আজও তাই হলো, ঘুম আনার জন্য সে বই পড়ছে। অনুরাগ বইটির মধ্যভাগে সে। আজ ঘুম আসছে না। তার ভীষণ আগ্রহ বইটি নিয়ে। পাতা উল্টাচ্ছিলো তখন বাবার স্বর কানে এলো,
 “চিংকি মা, এখানে আসো তো।”
 “বাবা আমি ঘুমাচ্ছি, এখন আসতে পারবো না।”
 “তাহলে ঘুম থেকে একটু উঠো মা, জাওয়াদ এসেছে।”

জাওয়াদের নাম শুনতেই ঘুম চটকে গেলো দীপশিখার। একপ্রকার লাফিয়ে উঠলো সে শোয়া থেকে। ভ্রান্ত দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো। মস্তিষ্ক কাজ করছে না। জাওয়াদ নামক মানুষটি বিগত সাতদিন যাবৎ তার চারপাশে পেন্ডোলামের মতো ঘুরছে। যেখানেই যাচ্ছে লোকটিকে সে দেখছে। দীপশিখার জন্য ব্যাপারটি খুব বিস্ময়ের, সেই সাথে লোকটির এই কাজকর্ম তার জন্য ক্ষতিকারক। লোকটির মুখশ্রী প্রতিদিন দেখা তার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দীপশিখার কাবু হৃদয়ের জন্য পীড়াদায়ক লোকটির হাসি সহ্য করা। তার সামনে নির্লিপ্ত মুখে দাঁড়িয়ে থাকা খুব কঠিন কার্য। 

দীপশিখা ভেবেছিলো তার হৃদয়ে জাওয়াদ নামক ব্যক্তির জন্য অনুভূতিগুলো জমে গেছে, হয়তো ফুরিয়ে গেছে হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো। প্রথম যখন আপু তাকে জাওয়াদের ছবিটা দেখিয়েছিলো তখনও হৃদয়ের এককোনে আটকে রাখা অনুভূতিগুলো নড়ে চড়ে বসেনি। ফলে গুরুত্ব দেয়নি দীপশিখা। অনুভূতিগুলো খুব আড়াল করে রেখেছিলো নিজের। কিন্তু জাওয়াদের সাথের প্রথম সাক্ষাতে হুট করেই অভিমানী হয়ে উঠলো হৃদয়। ছয় বছর পূর্বের কিশোরীর হৃদয়ে অকারণে আঘাত হানার জন্য ভীষণ অভিমান জমলো জাওয়াদের প্রতি। উপরন্তু মানুষটির খেয়াল অবধি নেই তার কথা! অবিবেচক। ফলে প্রথমদিন যখন লোকটি জনসম্মুখে তাকে ডেকে বসলো দীপশিখা ইচ্ছে করেই তাকে অপমানিত করতে চাইলো। ভেবেছিলো, আত্মমর্যাদাহীন মানুষটি আর মুখ দেখাবে না। হৃদয়ের ভার করবে, এতো চাপ নিতে হবে না। কিন্তু লোকটি তার আত্মসম্মান জ্বলাঞ্জলি দিয়ে প্রতিদিন তার সাথে দেখা করতে আসছে। দীপশিখার অন্তস্থলের কিশোরী মনটা দুম করেই নির্লজ্জ হয়ে উঠতে চাইলো। সে অবশ্য মনকে কড়া শাসন করে রেখেছে। তাই তো কথা না বলে পাশ কাটিয়ে চলে এসেছে এই সাতদিন। নির্লিপ্ততা এখনো আগের মতোই রেখেছে সে। কিন্তু এখন তো মানুষটি ঘরে উঠে এসেছে। এবার কি করে এড়াবে? মানুষটির উদ্দেশ্য ঠাহর করতে পারছে না দীপশিখা। চায় কি সে? সে কি পছন্দ করে দীপশিখাকে? সাথে সাথেই মাথা ঝাঁকালো। অলীক চিন্তা করার মানে নেই। 

ওড়নাটা পেঁচিয়ে নিয়ে বসার ঘরে গেলো দীপশিখা। বসার ঘরের সোফায় বসে আছে জাওয়াদ। একটা কালো ইনফর্মাল শার্ট পরণে, সেই সাথে একটি নীল জিন্স। হাতা গুঁটিয়ে রেখে কনুই অবধি। ফলে লোমশ হাত দেখা যাচ্ছে। শুভ্র হাতের মাসল ভেইনগুলো নিজেকে নির্লজ্জভাবে উন্মোচিত করে আছে। জাওয়াদের সামনে মোস্তফা সাহেব। তিনি অদ্ভুত একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছেন,
 “শুনেছি চিনারা নাকি তেলাপোকা, ইঁদুর খেয়ে দিন দিন জোয়ান হয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটি স্ট্রেঞ্জ তাই না? আমি দেখলাম ওদের একটা সত্তর বছরের বৃদ্ধ তরতর করে সিড়ি বেয়ে উঠে যাচ্ছে। এদিকে আমার পয়ষট্টি বছর আমি তিন তালা উঠতে পারি না। হার্টের ব্যামো। আমার ডাক্তার গাধা খালি ঔষধ দিচ্ছে। একটা মানুষ তিনবেলায় মোট পনেরোটা ঔষধ খাচ্ছি। আচ্ছা, তেলাপোকা ভাঁজি করে খাওয়া শুরু করবো নাকি?”

জাওয়াদের শুনেই নাড়ি পেঁচিয়ে এলো। তবুও প্লাস্টিকের হাসি ঠোঁটে আটিয়ে বললো,
 “তেলাপোকা তো এখন পাওয়া যায় না তেমন? আর ওরা নোংরা পোকামাকড়। পেট খারাপ হবে আংকেল।”
 “সেদ্ধ করে নিলে? চিনারা খাচ্ছে তো। সেদিন দেখলাম রক্ত সসেজ খাচ্ছে। তুমি তো কিছু খাচ্ছো না। পুলিপিঠাটা নীরু নিজ হাতে বানিয়েছে, নেও নেও। আমার নীরু রান্নায় পটু হাত। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী বলেই তার মাঝে শৈল্পিক ব্যাপার আছে।”

জাওয়াদের তেলাপোকা ভাঁজির কথায় রুচি উবে গেলো। তার মুখখানা দেখে দীপশিখার হাসি পেলো। বাবা এমন-ই। উদ্ভট কথা বলেন। তার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া বিপজ্জনক। তবুও দীপশিখা তার বাবাকে খুব ভালোবাসে, তার ধারণা বাবা এগুলো ইচ্ছে করে করেন যেনো সামনের মানুষটি অপ্রস্তুত হন। দীপশিখার মনে আছে তার নানা যেবার হার্ট এট্যাক করলেন, বাবা হরলিক্স ছেড়ে এঁটেল মাটি নিয়ে গেলেন। মাটিতে নাকি অনেক নাট্রিক এসিড আছে। নানা সেটা দেখে জুতো ছুড়ে মারলেন। দীপশিখা বাবার পাশে এসে দাঁড়ালো। নীরুপমা তখনই ধমকের সুরে বললেন,
 “এ কি তুমি তৈরি হওনি দীপশিখা?”
 
নীরুপমা একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ মহিলা। তিনি খুবই পার্টিকুলার সব বিষয়ে। বাহিরের মানুষের সামনে অগোছালো থাকা তার পছন্দ নয়। এদিকে দীপশিখার পরণে একটা রঙ জ্বলা টিশার্ট আর ঢোলা প্লাজো। গায়ে একটা কমলা ওড়না জড়ানো। যার সাথে টিশার্ট বা প্লাজোর কোনো মিল নেই। মার মতে এভাবে মানুষের সামনে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু দীপশিখা তার কথা অমান্য করেছে। কারণ জাওয়াদের জন্য সে সাজগোজ করতে পারবে না। ফলে নির্লিপ্ত স্বরে বললো,
 “আমি তো বিয়েবাড়ি যাচ্ছি না মা। তৈরি কেনো হব?”
 “তোমাকে নিয়ে জাওয়াদ ঘুরতে বের হবে।”

নীরুপমার কথা শুনতেই দীপশিখার ভ্রু কুচকে গেলো। জাওয়াদ ঠোঁট বিস্তৃত করলো। দীপশিখা জানে মাকে বলে লাভ হবে না। তাই আদুরে স্বরে বাবাকেই বললো,
 “বাবা, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে। আজ আমি বাহিরে যাবো না।”

মেয়ের আহ্লাদী কথায় মোস্তফা খানিকটা গলে গেলেন। কিন্তু স্ত্রীর ধাঁরালো দৃষ্টি উপেক্ষা করার উপায় নেই। তাই রয়ে সয়ে বললেন,
 “মা, একঘন্টা ঘুরে আসো। ভালো লাগবে।”
 “আংকেল একঘন্টা না, একটু সময় বাড়াতে হবে।”

জাওয়াদ মাঝ থেকে কথা বললো। নীরুপমা সাথে সাথেই বললো,
 “সমস্যা নেই, তুমি ওকে নিয়ে যাও।”

ঘরে মায়ের উপর বাবাও কথা বলেন না। অসহায় দৃষ্টিতে চাইলো দীপশিখা। তখন মোস্তফা অপরাধী স্বরে বললো,
 “মা, দেখা না হলে চিনবে কি করে? কিছুদিন পর বিয়ে হবে তোমাদের।”

সাথে সাথেই বিষম খেলো জাওয়াদ। দীপশিখা বিদ্রুপ টেনে বললো,
 “এখনই বিয়ে হচ্ছে না। পানি খান।”

******

ইস্ত্রী করা একটি কালো জামা পড়লো দীপশিখা। মা জামাকাপড়ের ব্যাপারে খুবই কড়া। রঙ চাপা বিধায় গাঢ় রঙ্গ পড়তে দেন না। কিন্তু দীপশিখার গাঢ় রঙ ভালো লাগে। তার পছন্দের রঙ গাঢ় লাল। কিন্তু মা তাকে লাল পড়তে দেন না। লাল পড়লে নাকি তাকে কালো দেখায়। কালো তো তার চক্ষুশূল। দীপশিখা ইচ্ছে করে কালো পড়েছে। তরঙ্গিনী বললো,
 “আয় সাজিয়ে দেই।”
 “আমার সাজতে ভালো লাগে না।”
 “সে বলদটাকে মুগ্ধ করতে চাস না তাহলে?”
 “মুগ্ধ হলে এমনেই হবে, জোর করে কারোর মুগ্ধতা হতে চাই না।”

তরঙ্গিনী হাসলো। দীপশিখা গেট থেকে বের হতেই দেখলো জাওয়াদ বাইকের উপর বসা। সে অবাক কণ্ঠে বললো, 
 “এই খটখটিতে যাবো?”
 “আমার বাইক তোমার কাছে খটখটি?”

জাওয়াদ ক্ষিপ্ত স্বরে শুধালো। কিন্তু দীপশিখা গায়ে মাখালো না। দায়সারা স্বরে বললো,
 “আমার বাইকে উঠতে ভালো লাগে না।”
 “ভয় পাও নাকি?”
 “মোটেই না।”

কোনো মতে বললো দীপশিখা। হ্যা, সে বাইক ভয় পায়। ছোটবেলায় ছোট চাচুর বাইকে উঠেছিলো। চাচু মোড় ঘুরাতে গিয়ে বাইক সামলাতে পাড়লেন না। ধুপ করে পড়ে গেলেন ছোট দীপশিখাকে নিয়েই। সেই থেকে দীপশিখার তীব্র ভয়। জাওয়াদ বললো,
 “তাহলে বস, আমার গাড়ি নেই। যা আছে এটাই। আমার সম্পত্তি।”
 
উপায় না পেয়ে বসলো দীপশিখা। জাওয়াদ হেলমেট পড়তে পড়তে বলল,
 “আমার কাঁধ ধরে বস। পড়ে যাবে নয়তো।”
 “লাগবে না।”

কিন্তু বাইক স্টার্ট দিতেই টাল সামলাতে পারলো না দীপশিখা। খপ করে দুহাত দিয়ে কোমড় ধরলো জাওয়াদের। হাতের বাধন এতোটাই শক্ত যে ছেড়ে দিলেই সে উড়ে যাবে। জাওয়াদের অচেনা মানুষের স্পর্শ ভালো লাগে না। ওসিডির জন্য ছুঁত ছুঁত একটা স্বভাব আছে তার। ফলে তীব্র অস্বস্তি হলো যখন তার কোমড়ে নরম হাতজোড়া ভিড়লো। সরিয়ে দিতে চাইলো। কিন্তু ফ্রন্ট মিররে চোখ খিঁচে থাকার চিংকির মুখশ্রী দেখে পারলো না। মেয়েটি ভয় পাচ্ছে। কিন্তু স্বীকার করতে চাচ্ছে না। মনে মনে হাসলো জাওয়াদ। নিজের স্বভাবের ভিন্ন একটি কাজ করলো। বা হাত দিয়ে চিংকির হাতজোড়া আকড়ে ধরলো। মেয়েটির হাত ঘামছে। হাত ঘামা নিতান্ত অপছন্দনীয় ব্যাপার জাওয়াদের কাছে। ঘেন্না লাগে। অথচ সে ঘর্মাক্ত হাত ধরে আছে চিংকির। মনে মনে সান্ত্বনা দিলো। স্বপ্নের প্রকোপের কাছে এই ঘর্মাক্ত হাত কিছুই নয়। 

****

পৌষের শীতল বাতাসে উড়ছে দীপশিখার চুল। পাশে চরপড়া নদী। সূর্যের সোনালী কিরণ জমাট বাধছে সেই নদীর স্রোতহীন পানিতে। লোকারণ্য নেই। যতদূর চোখ যায় সবুজ মাঠ। দীপশিখা শুধালো,
 “কোথায় যাচ্ছি?”
 “একটু হারাতে।”

বলেই বাইকের বেগ বাড়ালো জাওয়াদ। দীপশিখা ভেবেছিলো লোকটি কোনো মানুষ ঘেরা দামী রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবে। কিন্তু এমন লোকারণ্যহীন, নিস্তব্ধ প্রকৃতির মায়ায় নিয়ে আসবে কল্পনাতীত ছিলো। মোটা জারুল গাছের সামনে বাইক থামলো। জাওয়াদ নরম গলায় বললো,
 “নামো।”
 “এটা কোথায়?”
 “শহরের বাহিরে।”
 “মানুষ নেই তো।”
 “এজন্যই তো আসা। আমার মানুষের ভীড় ভালো লাগে না। সেখানে নদীর ধারে বসে গল্প করবো। চা-টা পাওয়া যেতে পারে।”

দীপশিখা বাইক থেকে নামলো। সত্যি-ই সুন্দর জায়গা। নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত, নদীর মন্থর সমীরণ, ঘাসের স্নিগ্ধতা, পাখির কলোরব। এমন জায়গায় প্রকৃতিতে মিলে যেতে ইচ্ছে হয়। নদীর পাড় থেকে একটু দূরেই মোটা মোটা গাছে পাখিদের ঝাক বসা। দীপশিখা মুগ্ধ নয়নে তা দেখছে। জাওয়াদ বিদ্রুপ টেনে বললো,
 “তোমার ভালো লাগছে?”
 “হ্যা।”
 “যাক জ্যোতি পয়সা বাঁচিয়ে দিলো। ভেবেছিলাম ক্রিমসন কাপে নিয়ে যাব।”
 “তিনশ টাকা পানি খেতে ভালো না আমার।”
 
জাওয়াদ অবাক হলো। এর আগে এমন ধুলোতে বসে বান্ধবীর মুখের দিকে চেয়ে থাকার অভিজ্ঞতা হয়নি জাওয়াদের। ফলে হেসে বলল,
 “যাক প্রতিদিনের দামী রেস্তোরার খরচ বাঁচিয়ে দিলে।”
 “আপনি প্রতিদিন আমার সাথে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন নাকি?”

অবাক হলো দীপশিখা। জাওয়াদ স্বাভাবিক গলায় বললো,
 “হ্যা, তুমি তো বলেছো এক দেখাতে মানুষ চেনা যায় না। আমি তো তোমাকে চিনতে চাই, নিজেকেও জানাতে চাই।”
 “অসম্ভব। ওটা কথার কথা ছিলো।”
 "আমি তো দেখতে খারাপ নই। অন্তত আমার সুন্দর চেহারা দেখার জন্য হলেও তোমার প্রতিদিন আমার সাথে দেখা করা উচিত।"

দীপশিখা সাথে সাথেই বললো,
 "আপনি অন্যের কাছে সুন্দর হতে পারেন, কিন্তু আমার কেনো যেনো আপনাকে ধলা গরুর মতো লাগে।"

ধলা গরু? দীপশিখা উত্তাপহীন উক্তিতে ভাষা হারিয়ে ফেললো জাওয়াদ। মেয়েদের হৃদয় নাড়িয়ে দেওয়া পুরুষকে মেয়েটি ধলা গরু বলছে। এ অপমান। না আর নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে ক্ষিপ্র স্বরে বললো,
 “তুমি পণ করেছো আমাকে অপমান করবে?”

দীপশিখা একটু বিব্রত হলো। সে অপমান করতে চায়নি। সে মিথ্যে বলতে পারে না। মন জুগিয়ে চলা তার অপছন্দ। মানুষের ধিক্কার যখন না চাইতেই তাকে আঘাত করেছে তখন সেই মানুষদের মুগ্ধ করা বা লাই দেবার মানে নেই--- এই ধ্যান ধারণাই তার চিরটাকাল। কিন্তু জাওয়াদকে অপমান করার মনোবৃত্তি তার নেই। মৃদু স্বরে বললো,
 “আমি আপনাকে অপমান করতে বলিনি। সত্যি বলেছি।”
 “সবসময় সত্যি বলো তুমি?”
 “হ্যা।”
 “তাহলে বলছো, আমার উপর তুমি ক্রাশ খাওনি?”
 “না।”
 “আবার অপমান করছো আমাকে।”
 “বেশ, তাহলে ক্রাশ খেয়েছি।”

জাওয়াদের বিশ্বাস হচ্ছে না। মেয়েটি হেয়ালী করছে। সে হেয়ালী করে আনন্দ পাচ্ছে। জাওয়াদ হতাশ গলায় বললো,
 “তুমি মিথ্যে বলছো।”
 “সত্যিটাও তো পছন্দ হচ্ছে না আপনার। কি করবো বলুন?”
 “কিছু করা লাগবে না, শুধু প্রতিদিন আমার সাথে দেখা করবে। তাইলেই হবে।”
 “আচ্ছা, আপনি এমন উদগ্রীব হয়ে আছেন কেনো আমার সাথে দেখা করতে? মতলব কি বলুন তো!”
.
.
.
চলবে................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন