সারাটা রাত নির্ঘুমে কাটাল সেহরিশ। সোফায় নিথর বসে আছে সে। ওর বাঁ হাত মাঝেমাঝে কাঁপছে। হঠাৎ কি যেন ভেবে সেহরিশ উঠল। সেহরিশ রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বিছানা ঠিক করে পেছন পেছন বেরিয়ে এল রোদেলা। সবার জন্য চটপট চা বানাতে রান্নাঘরে ঢুকে পানি ফুটতে দিলো মাইমুনা। বাইরের দরজায় শব্দ হলো। রোদেলা দ্রুত এগিয়ে গেল শ্বাশুড়ির ঘরে। ড্রয়িংরুমে বসে আছেন তিনজন। সেহরিশের প্রশ্নে খানিক দ্বন্দ্বে পড়লেন শফিকুল চৌধুরী। সোহান মাথা নাড়লো, 'না, অনিকের বাবাও কল রিসিভ করেন নি। আমি কম করে হলেও দশ, বারোটা কল করেছিলাম।'
শফিকুল চৌধুরী কোনো জবাব দিলেন না। সেহরিশ বলল, 'লোকটা সম্পর্কে কতটুকু জানো বাবা? আমাকে সব ডিটেইলস দাও।'
শফিকুল চৌধুরী থতমত খেয়ে গেলেন, '২০০২ সালে আমাদের প্রথম দেখা হয় ক্যাম্পে। তখন ওর সঙ্গে একটা ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়।'
সেহরিশ জিজ্ঞেস করলো, 'মাঝখানে ১৫ বছর, তার সঙ্গে তোমার নিয়মিত যোগাযোগ হতো?'
শফিকুল চৌধুরী বললেন, 'না। পাঁচ বছর আগে একবার ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালে গিয়ে ছিলাম ঢাকাতে। তখন সেখানে ওর সঙ্গে আবার দেখা হয়। তার তিন বছর পর ও আমাদের বাড়িতে আসে তখন আরুশি কে দেখেছিল। দুই বছর পর ওর ছেলে দেশে আসে তখন আরুশির সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা চালু হয়। ছেলে দেখতে ভালো ছিল তাই আমরা আপত্তি করিনি।'
সেহরিশ বিরক্তিতে কপালে আঙুল ছুঁয়ে গম্ভীর হয়ে গেল। মস্তিষ্ক যেন হঠাৎ চঞ্চল হয়ে উঠল। সেহরিশ বাবার মুখের দিকে তাকাল অবাক হয়ে। 'শুধু একবারের পরিচয়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেললে একবার খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন ও মনে করো নি?'
শফিকুল চৌধুরী মাথা নিচু করে ফেলল। সেহরিশ গম্ভীর গলায় বলল, 'এতোটা কেয়ারলেস কি করে হতে পারো তোমরা?'
মাইমুনা টেবিলে কাপ ডিস নামিয়ে বলল, 'মা তোমাকে এ বিয়ের সম্পর্কে জানিয়েছিল, ভাই। তুমি তখন স্পষ্ট জানিয়ে ছিলে এসবে যেনো তোমাকে জড়ানো না হয়।'
সেহরিশ ভ্রু কুঞ্চিত করে মাইমুনার দিকে তাকাল। কড়া কথা বলতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলো। সোহান বলল, 'ছেলের বাড়ি সিলেট। আমরা মোটামুটি খোঁজ নিয়েছিলাম ছেলেকে সবাই ভালো বলেছিল। তাই তো বাবা বিয়েটা দিতে রাজি হন।'
সেহরিশ শক্ত গলায় বলল, 'ছেলের ও তার বাবার চৌদ্দ গুষ্টি খুঁজে বের করা আমার দায়িত্ব। ওদের কিছু ছবি আমাকে দাও।'
সোহান বলল, 'পুলিশ তো খুঁজছে।'
শফিকুল চৌধুরী জিজ্ঞেস করলেন, 'কিভাবে খুঁজবি?'
সেহরিশ মুখ নামালো, 'আমার উপর ছেড়ে দাও।'
সেহরিশ তার রুমে ফিরে এল। রোদেলা জিজ্ঞেস করল, 'আপনি সিলেট যাবেন?'
সেহরিশ পেছন দিকে ফিরে তাকায়। মৃদু গলায় জিজ্ঞেস করল, 'আমি সিলেট যাব, তোমার এমন মনে হলো কেন?'
'তখন বাবাকে বলছিলেন, আপনি নিজেই সব করবেন।'
সেহরিশ হালকা হাসার চেষ্টা করে। বলল,
'আমি তোমার সামনেই বসে থাকব। আর ওদের সম্পর্কে সব তথ্য আমার কাছে পৌঁছে যাবে।'
রোদেলা বুঝলো না। সেহরিশ বিছানার উপর দুবার হাত বুলিয়ে বলল, 'এখানে বসো।'
রোদেলা বসল। সেহরিশ জিজ্ঞেস করল, 'কিছু খেয়েছ?'
ডান থেকে বামে নিবিড়ভাবে মাথা নাড়লো। বলল, 'আপনাকে রেখে আমি কিভাবে খাই?'
সেহরিশ রোদেলাকে আলতোভাবে বুকের সঙ্গে মিশিয়ে নিলো। তারপর রোদেলার চোখ মুখ খুঁটিয়ে দেখতে লাগল ও। ভারী নিঃশ্বাস ফেলে বলল, 'বাড়িতে বড়রা আছেন তাদের সঙ্গে খেয়ে নিবা। আমার আজ আসতে দেরি হবে।'
'কোথায় যাবেন?'
'শহরেই থাকব।'
বাড়িতে থেকে কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করতে চায় না সেহরিশ। বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে অনিকের সম্পর্কে খোঁজ বের করবে। অনিকের ছবি ও তার বাবার সব ডিটেইলস সহ একটা ফাইল সেহরিশ তার ম্যানেজার ফ্রাঙ্ককে দেয় সকালে। ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক সেই কাজের ভার দু'জন গুপ্তচর কে দেন। ফ্রাঙ্ক কাজ শেষ করে তবেই সেহরিশের সঙ্গে দেখা করবে। চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। সেহরিশ তারই একটা ফ্ল্যাটে বসে আছে। কলিংবেল বাজতে একজন বডিগার্ড দরজা খুলে দেয়। ভেতর রুমের দরজায় টোকা পড়তে সেহরিশ গম্ভীর গলায় বলল, 'এসো।'
ফ্রাঙ্ক রুমে ঢুকেই সেহরিশকে দেখে ভারী নিঃশ্বাস ফেলল। তারপর হাতের ফাইলটা টেবিলের উপর রেখে ইতালীর ভাষায় বলল, 'স্যার, এইখানে সব তথ্য রয়েছে। কিন্তু..'
সেহরিশ ভ্রু কুঁচকে তাকাল। 'কিন্তু কী?'
'কাগজগুলো দেখলে আপনি চমকে যাবেন।' বলল ফ্রাঙ্ক।
সেহরিশের কৌতূহল বেড়ে গেল। খামের ভেতর থেকে এক এক করে সবগুলো কাগজ বের করে টেবিলের উপর রাখে। এরপর চোখ পড়ল ছবির উপর। অনিকের বাবা মনির খানের পাশে একটা বোকাসোকা দেখতে ছেলে দাঁড়ানো। এত গুলো ছবির মধ্যে আরুশির স্বামী অনিক কোথাও নেই। সেহরিশ ভ্রুকুটি করে। ফ্রাঙ্ক এবার বলল, 'ছবিতে মনির খানের পাশে দাঁড়ানো ছেলেটাই আসল অনিক।'
সেহরিশ তাকাল। তার কণ্ঠে অনেক কঠিন শব্দ এসে যাচ্ছিল। কোনমতে নিজেকে সামলে বলল, 'ফ্রাঙ্ক তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে।'
ফ্রাঙ্ক বলল, 'নো, স্যার। আই হ্যাভ এভিডেন্স।'
ফ্রাঙ্ক আরও কিছু কাগজপত্র সেহরিশকে দেখাল। সেহরিশ প্রচন্ড রাগে দু চোখ বন্ধ করে ফেলেছে, হঠাৎ ডান হাত মুঠো বদ্ধ করে টেবিলের উপর শক্তভাবে পাঞ্চ করল। ফ্রাঙ্ক বলল, 'স্যার, আমার সঙ্গে পুলিশ ইন্সপেক্টর শায়ের মির্জা এসেছেন। আপনাকে একটা খবর দেওয়ার আছে ওনার। যা দুই বছর আগে দেওয়া দরকার ছিল কিন্তু ততক্ষণে আপনি ইতালি ব্যাক করেছিলেন।'
সেহরিশ তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল,
'ইন্সপেক্টর শায়ের মির্জা?'
'আমি থানায় গিয়েছিলাম তখন দেখা হয়। উনি আমার থেকে ঘটনা শুনে তারপর উনি বলেন, দুই বছর আগে আপনার উপর এক রাতে অ্যাটাক হয়েছিল। সে বিষয়ে আপনাকে কিছু দেখাতে চান।' বলে থামল ফ্রাঙ্ক। দরজার দিকে ইশারা করে বলল, 'উনি বাহিরে আছেন। ডাকব?'
সেহরিশ অনুমতি দিলো। শায়ের মির্জা এসে একটা চেয়ার টেনে বসলেন। সেহরিশের সঙ্গে কুশলাদি করে তারপর মূল প্রসঙ্গে আসলেন তিনি। একটা পেনড্রাইভ টেবিলের উপর রেখে বললেন, 'এই পেনড্রাইভ আপনার কাজে আসতে পারে। আপনি যে জঙ্গলের পথে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে অনেকটা পথ এগিয়ে একটা বাংলো বাড়ি রয়েছে। তার গেটের সামনে একটা সিসি ক্যামেরা আছে। আমরা অনুরোধ করায় ওখানকার মালিক সিসি ক্যামেরা আমাদের চেক করতে দেন। তারপর দেখি আপনার গাড়ির পেছনে একটা গাড়ি যাচ্ছে আর সে গাড়িটা একবার ওই বাংলোর সামনে থেমে ছিল। গাড়ি থেকে একটা লোক নামে, ইঞ্জিন চেক করে আবারও গাড়ি স্টার্ট দেয়। আমরা যখন ভিডিও ফুটেজ পাই তখন আপনি দেশ থেকে চলে যান। তারপর কেসটা বন্ধ করা হয়। কিন্তু ফুটেজটা আমি সংগ্রহ করে রেখেছিলাম।'
সেহরিশ বলল, 'অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এরপর যদি কোনো প্রয়োজন হয় আপনাকে অবশ্যই জানাবো।'
একটু পর শায়ের মির্জা বিদায় নিয়ে চলে যান। পেনড্রাইভ ড্রয়ারে রেখে নড়েচড়ে বসল সেহরিশ। ফ্রাঙ্ক বলল, 'স্যার, পেনড্রাইভের ভিডিওটা দেখবেন না?'
'এখন আর এটার কোনো দরকার নেই ফ্রাঙ্ক।'
ফ্রাঙ্ক বলল, 'আমরা তো জানি না স্যার। কোন জিনিসটা আমাদের কাজের আর কোনটা নয়। হতে পারে পেনড্রাইভের ভিডিওটা অজান্তেই অনেক কাজে লেগে গেল।' বলে একটু দম নিলো সে। ফের গম্ভীর ভঙ্গিতে বলল, 'নিশ্চয়ই। একবার দেখা দরকার।'
অগত্যা সেহরিশ তার ল্যাপটপে পেনড্রাইভ সেট করে। ভিডিও ফুটেজ দেখল, কালো রঙের গাড়ি নির্জন রাস্তায় হঠাৎ থামে। ল্যাম্পপোস্টের বাতির জন্য সবটা স্পষ্ট রেকর্ড হয়েছে। এক মিনিট পর গাড়ি থেকে অনিক নামে। ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে। একটু সময় নিয়ে সে ইঞ্জিন চেক করে তারপর গাড়িটা অন্ধকারে চলে যায়। সেহরিশ চোখ জোড়া খিঁচে বন্ধ করে কপালে দুই আঙুল ছোঁয়ালো।
ফ্রাঙ্ক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সেহরিশ একটু শান্ত হতেই ফ্রাঙ্ক বলল, 'আরও একটি শোকিং নিউজ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, স্যার।'
সেহরিশ কপালে চার ভাজ ফেলে নির্লিপ্ত ভাবে বলল, 'আরও?'
'মনির খান তার স্ত্রী ও ছেলে তিনজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। ওদেরকে নিচ তলার কমন ঘরটায় রাখা হয়েছে।'
সেহরিশ যেনো এতক্ষণে একটু আনন্দ পেল। ফ্রাঙ্ক দুই আঙুলে তুড়ি বাজিয়ে বলল, 'এখনই এত খুশি হবেন না স্যার। বোমা বিস্ফোরণ তো এখনও বাকি।'
সেহরিশ হতবাক। কণ্ঠ স্বাভাবিক থেকে একটু উঁচু করে বলল, 'কথায় রহস্য না রেখে সোজাসুজি বলো।'
কথাটা শুনে ঝট করেই ফ্রাঙ্ক বলল, 'আরুশি ম্যামকে যে লোকটা অনিক সেজে বিয়ে করেছিল। সে একজন রাশিয়ান যুবক। আর আমার ধারণা সে তিনদিন আগেই দেশ ছেড়েছে। কারণ সে দেশে থাকার মতো রিস্ক মোটেও নিবে না। তার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে পারিনি।'
সেহরিশ বেশ চমকাল। একটা লোক রাশিয়া থেকে এসে ওকে মারার চেষ্টা করে তারপর ওরই ছোটো বোনকে বিয়ে করে তারপর হত্যা করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সে কিছুই বুঝতে পারে নি?
'এতো নির্বোধ তুমি কি করে হতে পারলে সেহরিশ ফাতিন চৌধুরী?' নিজেকে ধিক্কার জানালো সেহরিশ। ছদ্মবেশী অনিক তার সামনে বসেছিল। অথচ সে তার মনের কুবাসনা একটুও টের পায়নি। নিজে যদি ছেলেটার সম্পর্কে খোঁজ নিতো তাহলে ওর আদরের বোনটা আজ বেঁচে থাকতো। সকালবেলা বড় ভাবীর খোঁচা দেওয়া কথাটা শোনার পর আরুশির মৃত্যুর জন্য কিছুটা নিজেকে দ্বায় করেছিল সে। কিন্তু এখন? সব সত্য জানার পর তো এটা ক্লিয়ার হয়ে গেল। এই সব কিছু শুরু থেকেই প্ল্যান করা ছিল। আর আরুশির মৃত্যুর পেছনে সব দায় সেহরিশের। এ দায় থেকে কিভাবে রক্ষা পাবে সে? সারাজীবন এটাই মনে হবে, তার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কোনো শত্রু তার বোনকে.. না, না! সেহরিশ আর ভাবতে পারলো না। মাথাটা ঝিমঝিম করছে। সেহরিশ দাঁতে দাঁত চেপে ফ্রাঙ্কের উদ্দেশ্যে বলল,
'এই অজানা শত্রু কে? খোঁজ লাগাও। আর ওই রাশিয়ান যুবক যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাকে বের করে, আমার কাছে নিয়ে আসো।'
মাথা নিচু করেই ফ্রাঙ্ক বলল, 'চিন্তা করবেন না স্যার। হয়ে যাবে।'
সেহরিশ চলে গেলো ফ্রাঙ্কের সঙ্গে নিচ তলার কমন ঘরটায়। দুহাত পেছনে, চেয়ারে বাঁধা, মনির খান বসে বসে ঝিমাচ্ছেন। পায়ের শব্দ শুনে মাথা তুলে তাকাল ও। ওনার স্ত্রী ও পুত্রের হুঁশশ নেই। মনির খান কাঁপা গলায় বললেন, 'কে?'
সেহরিশকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠেন মনির খান। আরুশি মারা গেছে, খবরটি টিভিতে দেখার পরই উনি স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তবুও ফ্রাঙ্ক তাকে খুঁজে বের করে এখানে তুলে নিয়ে এসেছে। সেহরিশ অকপটে বেশকিছু প্রশ্ন করে। মনির খান ভয়ে ভয়ে ছেলে ও স্ত্রীর দিকে তাকান। সেহরিশ ধমকে উঠে, আঁতকে উঠল মনির খান। সব স্বীকার করে বললেন, 'আমার কোনো দোষ নেই বাবা। ওই ছেলেটা জানিনা আমার খোঁজ কিভাবে পেয়েছিল। একদিন আমার সঙ্গে দেখা করে। তারপর বলে ও, তোমার বোনকে ভালোবাসে। বিয়ে করতে চায়। আমি যেনো তাকে নিজের ছেলের পরিচয় দেই আর তোমার বোনের বিয়ের সম্মন্ধ নিয়ে তোমার বাবার কাছে যাই। আর এটা যদি আমি না করি তাহলে সে আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে। আমার একমাত্র ছেলে বাবা, ওরা অনিককে তুলে নিয়ে যায়। দুদিন আঁটকে রেখে অনেক মারধর করে। তারপর আমি তোমার বাবার সঙ্গে কথা বলি। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ওরা আমার ছেলেকে আমার কাছে ফেরত দেয়। আর সে তোমার বোনকে নিয়ে কোথায় যেনো চলে যায়। বিয়ের পর আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেনি।'
সেহরিশ ফ্রাঙ্ককে বলল, 'ইন্সপেক্টরকে কল করো। আর তাকে বলো, এদের মতো কীটপতঙ্গকে জেলে ভরার জন্য। সারাজীবন জেলে পঁচে মরবে এমন ব্যবস্থা করো।'
সেহরিশ দরজা ফাঁক করে বেরিয়ে গেল। ফ্রাঙ্ক মিনমিনে গলায় বলল, 'স্যার, বাড়ি যাবেন না? চব্বিশ ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে। আপনার পরিবারের লোকজন চিন্তা করছেন।'
সেহরিশ নির্বিকার চূড়ান্তে; বলল,
'না।'
.
.
.
চলবে........................................................................