এমন সময় টুং করে বেজে উঠলো মোবাইলটা। মোবাইলে একটা ম্যাসেজ। ম্যাসেজটা জাওয়াদ নামক ব্যক্তির। কিন্তু ম্যাসেজ দেখেই আক্কেলগুড়ুম হলো দীপশিখার, হতবিহ্বল চেয়ে রইলো। কারণ ম্যাসেজে লেখা,
“আমার কথা ভাবছো কি?”
নির্লজ্জ ম্যাসেজ। দীপশিখার চিন্তা করার হাজারোও কারণ আছে। এই ব্যক্তিকে নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই তার। দীপশিখা ফটাফট উত্তর দিলো,
“আমার বেহুদা সময় নেই যে অহেতুক মানুষের কথা ভাববো।”
মিনিট দুয়ের মধ্যেই আরেকটা ম্যাসেজ এলো,
“তুমি তো ভারি মিথ্যুক মেয়ে! বেহুদা সময় নেই, অথচ একমিনিটের মধ্যেই এই অহেতুক মানুষের রিপ্লাই দিচ্ছো। যে কেউ ভাববে তুমি মোবাইলের টাওয়ারের উপর বসে ছিলে আমার ম্যাসেজের অপেক্ষায়।”
দীপশিখার কপালের ভাঁজ প্রগাঢ় হলো। তার ভুল হয়েছে। মহা ভুল হয়েছে এই লোকটার ম্যাসেজের উত্তর দেওয়া। নারসিসিস্টিক লোক কোথাকার, কি ভাবে নিজেকে? জো বাইডেন না ট্রাম্প নাকি শেখ হাসিনার মেইল ভার্সন যে সবাই তাকে নিয়ে পড়ে থাকবে! দীপশিখার অনেক কাজ আছে। সে এখন পড়তে বসবে। তারপর সদ্য দেখা একটি সিনেমার সমালোচনা করবে। দীপশিখার একটি আলাদা পরিচয় আছে যা খুব কম মানুষ জানে। সে একজন সেলফ ডিকলিয়ারড ক্রিটিক। সে পিটার ট্রাভার্স বা বিলগে এবিরির মতো নামখ্যাত সমালোচক নয়। কিন্তু তার সিনেমা দেখে তার বিশ্লেষণ করতে ভালো লাগে। একটা ছোট ইউটিউব চ্যানেল আছে তার। বেশ কিছু গ্রুপে তার এই সমালোচনা সে ফেসবুকে পোস্ট করে। সেখানে অবশ্য তার নাম দীপশিখা কবির চিংকি নয়, সেখানে নাম “চিংকি এক্সপ্রেস”। ছবিহীন, পরিচয়হীন একটা সত্ত্বা। যার শত শত ফলোয়ারস। মজা লাগে, নিজের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন করে ভিড়ে মিলতে। কারোর সাথে ঝগড়া বাধলেও সমস্যা নেই, কারোর সাথে মতের অমিল হলেও কিছু যায় আসে না। দীপশিখা তাকে ব্লক করে চলে আসে। কিছু পরিচিত নামও চেনা হয়েছে। যারা তাকে ভালোবাসে বলে দাবি করে। দীপশিখার অবাক লাগে না দেখে, না চিনেও কারোর প্রিয়র তালিকায় নাম লেখানো যায়! দীপশিখার এই পরিচয়টা আপুও চিনে না। সে কাউকে বলবে না এই পরিচয়ের কথা, কখনো না।
দীপশিখা মোবাইল উলটে রাখল। কিন্তু বেশিক্ষণ পারলো না। টু টু সাউন্ড মেজাজ বিগড়ে দিলো। মানুষটা ৮ টা ম্যাসেজ করেছে। টাকা কি অনেক? হতেই পারে! মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে। বাবা বলেছিলো, বেতন পাঁচ অংকের। দীপশিখা বিরক্তি নিয়ে শুধালো,
“জ্বালাচ্ছেন কেনো?”
“জ্বালাচ্ছি কোথায়!”
“পরপর আটটা ম্যাসেজ দিয়েছেন আর বলছেন জ্বালাচ্ছেন না?”
“না জ্বালাচ্ছি না, আমি শুধু এটেনশন চাচ্ছি। তুমি রিপ্লাই দিচ্ছো না, আমি কি করবো বলো?”
দীপশিখা কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল মোবাইলের দিকে। তারপর শুধালো,
“আপনি কেনো এত ম্যাসেজ করছেন জাওয়াদ সাহেব?”
একমিনিটের মধ্যেই উত্তর এলো,
“তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা, তোমার ফেসবুক, ইন্সটা নেই? মোবাইলের টাকা খোঁয়াতে ইচ্ছে হচ্ছে না। অফিস তো আমাকে পাত্রীদের সাথে কথা বলতে মোবাইলের টাকা দেয় না। দেয় ক্লাইন্টের সাথে গ্যাজাতে। এখন যদি তোমার সাথে ম্যাসেজিং করেই আমার টাকা শেষ হয়ে যায় কালকে ক্লাইন্টের গালি খাওয়ার সময় আর টাকা পাবো না। বেজ্জতি হয়ে যাবে। ক্লাইন্ট অর্ধেক গালি দিতেই ফোন কেটে যাবে। নন টুকু শুনতে পাবো সেন্সটুকু খসে যাবে। ক্লাইন্ট ভাববে আমি ইচ্ছেকৃত ফোন কেটে দিয়েছি। বুঝতে পারছো কত গুরুতর ব্যাপার?”
“আপনি কি সবসময় এমন বেশি কথা বলেন? সারা বিকেল, সন্ধ্যে এতো কথা বলেও হাউস মেটেনি?”
“কথা বললাম কোথায়? তোমার করা অপমান গিলেছি। এখন কথা বলতে চাই।”
দীপশিখার ঠোঁটে অজান্তেই একটা হাসি উঁকি দিলো। এবার কঠিন সত্তাখানা হালকা নরম করলো। ম্যাসেজ করলো,
“কি কথা বলতে চান?”
“তোমার কথা, আমার কথা।”
“আপনাকে কেউ কখনো বলেছে কি আপনি বাজে ফ্লার্ট করেন?”
জাওয়াদ চিংকির ম্যাসেজে একটু ধাক্কা খেলো। তারপর লিখল,
“হতে পারে, কারণ আমি এই প্রথম তোমার সাথেই ফ্লার্ট করছি।”
দুসেকেন্ডের মধ্যেই রিপ্লাই এলো বড় হাতের অক্ষরের,
“ইউ আর এ লায়ার।”
“সত্যি বলছি দীপশিখা, এই প্রথম আমি কোনো মেয়ের গুডবুকে আসার চেষ্টা করছি।”
“আগে কখনো করেননি? আমাকে বিশ্বাস করতে হবে?”
“আগে প্রয়োজন হয়নি, মেয়েরা এমনেই পটে যেতো। আমি হাসলে এখনো মেয়েদের লাইন পড়ে।”
“ধলা গরুর হাসি বোধ হয় কেউ আগে দেখেনি।”
“আমি ঠিক করেছি, তোমার অপমান গায়ে মাখবো না।”
“আপনার এই দৃঢ় প্রতীজ্ঞার জন্য আপনাকে একটা নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিত। আফসোস আমি সেই সংস্থার কেউ নই।”
সারাটা রাত ম্যাসেজেই কেটে গেলো। কখন রাত গভীর হলো, সেই রাতের অবসান ঘটলো, পূর্ব আকাশে আলোর কিরণ দেখা গেলো দুটো মানুষের খেয়াল রইলো না। কথার পিছে কথা, কথাই শেষ হবার নাম নেই। এক রাজ্য আলাপনের শেষ ম্যাসেজটা চিংকিই দিলো,
“এবার আসি, জাওয়াদ সাহেব। খুব ঘুম পাচ্ছে।”
“সাতটায় আমার জন্য সময় রেখো, আর শোনো কালো একটা জামা পড়ো।”
জাওয়াদ ঘড়ির দিকে তাকালো। এখন ভোর পাঁচটা বাজে। কুয়াশার ধূসর পরদে সকালের কিরণ এখনো ধরণীতে আসতে পারে নি। কিন্তু জাওয়াদের অফিস নয়টায়। এখন ঘুমানো বিপদ। কিন্তু না ঘুমালে মিটিং এ ঘুমাতে হবে। জাওয়াদ শেষ কবে রাত জেগে কথা বলেছে তার মনে নেই। শাম্মীর সাথে ঝগড়ার একটি কারণ ছিলো, জাওয়াদ টেক্সট করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তো। “কি করো?” “খাইসো?” “দিন কেমন চলে?” এছাড়া আর কোনো কথা ছিলো না। শাম্মীর কথা বেশিরভাগ সময়েই জামাকাপড় কেনাকাটা, শপিং রিলেটেড হত। যা খুবই বিরক্তি লাগতো জাওয়াদের। যখন নিজের স্ট্রেসের কথা বলার কথা আসতো শাম্মী শুনতে চাইতো না। তাই জাওয়াদ বলতোও না। অফিস করে টায়ার্ড শরীরে অহেতুক কথা শুনতে একঘেয়েমি লাগতো। একটা সময় সে ঘুমিয়ে যেত। আজ তেমনটা হলো না। জাওয়াদের ভালো লাগছিলো চিংকির সাথে কথা বলতে। মেয়েটা অনেক আলাদা। জাওয়াদের মনে চিংকির যে প্রতিচ্ছবি ছিলো সেই প্রতিচ্ছবিটা কেমন যেনো ভেঙ্গে যাচ্ছে। চিংকিকে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, চিনতে ইচ্ছে হচ্ছে।
****
জাওয়াদের দিনকাল খুব ভালো যাচ্ছে। প্রতিদিন চোখের পলকে একরাশ ঘুম নিয়ে আসে সে। কিন্তু ক্লান্তিহীন দিন কাটছে। জীবনে দুশ্চিন্তা নেই, দুঃস্বপ্ন নেই। তার সাথে কিছুই খারাপ হচ্ছে না। আব্বা আজকাল তার উপর সদয় হয়েছেন। গালাগাল করছেন না। জ্যোতি চাঁদাবাজি করার সুযোগ খুঁজছে কিন্তু পারছে না। জাওয়াদের মন মেজাজ দুই ভালো। চিংকির সাথে তার একটা সহজ সমীকরণ দাঁড় হয়েছে। এই কদিনে সে একটা ধারণা পেয়েছে চিংকির। চিংকি অনেকটা জঙ্গলী বেড়ালের মতো। ইচ্ছের বিরুদ্ধে সে বশ হয় না। নিজের মতো একটা আলাদা দুনিয়াতে সে থাকবে, সেই দুনিয়ায় দুম করে ঢুকে পড়া সহজ নয়। তবে জাওয়াদের ধারণা সে একটু একটু করে চিংকির দেওয়াল ঘেরা দুনিয়াতে ঢুকেছে। চিংকির দুনিয়াতে জাওয়াদ খুব সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে যা ভালোলাগছে জাওয়াদের মুখোশ পড়তে হচ্ছে না। তার পছন্দ, অপছন্দ, কথাবার্তায় কোনো ফিল্টার লাগাতে হচ্ছে না। প্রথম প্রথম চিংকিকে সে মুগ্ধ করতে চাইতো। কিন্তু এখন সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। চিংকি বাহ্যিক সৌন্দর্যতে মুগ্ধ হওয়া মেয়ে নয়, তাকে উপহার, ফুলপাতাতেও মুগ্ধ করা যায় না। প্লাস্টিকের কাপে এককাপ দুধ চায় আর বাদামেই সে প্রসন্ন।
জাওয়াদের মাঝে মাঝে খুব হাসি পায়। এই পঁচিশ বছরের জীবনে পাভেল ছাড়া কারোর সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে নি। ছোটবেলা থেকেই তাকে মানুষ আলাদা গোছের মানুষের তালিকাতেই ফেলেছে। সে আলাদা, বাকি ছেলেদের মতো সে চাইলেই মোড়ের দোকানে সিগারেট জ্বালাতে পারে না, রাগ হলেই কারোর উপর হাত তুলতে সে পারে না, কারোর সাথে খারাপ ব্যাবহার সে করতে পারে না। নিজের একটা আলাদা চরিত্রই গড়ে উঠেছিলো তার। সভ্য, ভদ্র, পড়াশোনায় ভালো, দেখতে সুন্দর ছেলে, কারোর সাথে খারাপ আচারণ করে না, ঝামেলা করে না। সবদিকে পার্ফেক্ট। কিন্তু জাওয়াদ পার্ফেক্ট নয়। তার রাগ হয়, মেজাজ খারাপ হয়, সেও গালি দিতে পারে, তারও সিগারেট, মদ খেতে ইচ্ছে হয়, মুখের উপর মানুষকে কথা শুনাতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু এসব করলে পার্ফেক্ট চরিত্রটা নষ্ট হয়ে যাবে। এই চরিত্রের অনেক সুবিধে আছে। যেমন শিক্ষকদের ধারণা জাওয়াদ খুব ভালো ছেলে, সে মিথ্যে বলে না, মারপিট করে না। তাই কখনো কেউ ঝামেলাতে জড়ালেও সে বেঁচে গেছে। ক্লাসে তার একটি জনপ্রিয় প্রতিচ্ছবি ছিলো। সবাই জাওয়াদ হতে চায়। তাকে হিংসে করে। তার পেছনে তাকে নিয়ে আলোচনা করে, আবার তার বন্ধু হতে চায়। কিন্তু চিংকি আলাদা। চিংকি তাকে সাধারণ ভাবে।
সেদিনের ঘটনাই, বাইকে জাওয়াদ এবং চিংকি যাচ্ছিলো চিংকির বাসায়। হঠাৎ সামনে থেকে একটা সিএনজি রং সাইডে গাড়ি ঢুকিয়ে দিলো। একটুর জন্য দূর্ঘটনা ঘটে নি। কিন্তু জাওয়াদের বাইকের হেডলাইট ভেঙ্গে গেছে। ফলে রাগে জাওয়াদের মুখ থেকে গালি বেড়িয়ে গিয়েছিলো। পরে নিজেকে সংযত করে সে। ভেবেছিলো চিংকি হয়তো বিষয়টাকে নিয়ে নাক শিটকাবে। কিন্তু এমন কিছুই হয় নি। জাওয়াদ তাকে যখন শুধালো,
“তুমি মাইন্ড করো নি তো?”
“কিসে?”
চিংকি অবাক হলো, জাওয়াদ বিব্রতস্বরে বললো,
“এই যে গালি দিলাম!”
চিংকি হাসতে হাসতে বললো,
“আপনার ওটা গালি ছিলো? আসলে বাবার গালির ডিকশোনারি অনেক বড়। সেই অনুযায়ী এই শব্দটা প্রথম শ্রেনীতেও পড়ে না।”
জাওয়াদ হাসলো। মেয়েটা একটু বিচিত্র। মাঝে মাঝে এমন বিচিত্র মানুষদের সাথে থাকতে ভালো লাগে।
*****
নিয়মমাফিক চিংকির আজ দেখা করার কথা। ভার্সিটিতে পিঠাপুলির অনুষ্ঠান হচ্ছে। স্টল বসেছে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী। চিংকির ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা স্টল বসেছে। সব মেয়েরা সুন্দর শাড়ি পড়ে এসেছে। চিংকির অনিচ্ছাসত্ত্বেও মা জোর করে একটা নীল শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছেন। চুল খোঁপা করে তাকে বেলিফুল গুঁজে দিয়েছেন। চিংকির হাত দিয়ে তিন রকমের পিঠে পাঠিয়েছেন। এই পিঠে বিক্রি করে যে টাকা হবে তা যাবে শীতের বস্ত্র দান প্রকল্পে। চিংকির দায়িত্ব পড়েছে ক্যাশের। বাধ্য হয়ে কাজটা করতে হচ্ছে তাকে। আজ জাওয়াদের সাথে দেখা করা হবে না। ফলে সে ম্যাসেজ করলো জাওয়াদকে,
“আজ আমি ব্যস্ত, দেখা করতে পারছি না। স্টলের কাজে আটকে গেছি।”
ম্যাসেজটা পেতেই জাওয়াদের কপালে ভাঁজ পড়লো। বিরক্ত হলো ভীষণরুপে। সে কোনো ম্যাসেজ করলো না। চারটের মধ্যে কাজ রফাদফা করেই অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো। একেবারে সোজা পৌছালো চিংকির ভার্সিটি। ভার্সিটিতে যেনো পরীদের মেলা বসেছে। কিসের শীত, কিসের শ্বৈতপ্রবাহ। সব মেয়েরা শীতকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেজেগুজে এসেছে। গায়ে শাল অবধি নেই। জাওয়াদের প্রথম যা মনে হলো তা হলো,
“চিংকি কি শাড়ি পড়েছে?”
চিংকিকে ফোন দিলো সে। কিন্তু চিংকি ফোন ধরলো না। বিরক্তি বাড়লো অজান্তেই। এক মেয়েকে শুধালো,
“ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের স্টল কোথায়?”
মেয়েটি প্রথমে তারদিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো। তার চোখে খানিকটা বিস্ময়। তোঁতলাতে তোঁতলাতে বললো,
“মেইন বিল্ডিংএর পাশে, নীল ব্যানার। আচ্ছা ভাইয়া?”
“জি?”
“আপনি কি আমাদের ভার্সিটির?”
ছোট মেয়ের মুখে এমন কথায় মনে মনে হাসলো জাওয়াদ। বললো,
“নাহ, আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে এসেছি।”
মেয়েটার মুখখানা মিয়ে গেলো। সে আর প্রশ্ন করলো না। জাওয়াদ এমন উত্তর কেনো দিলো সে জানে না। হয়তো অহেতুক মেয়েটার যন্ত্রণা ভুগতে চায় না। চিংকি আর তার গার্লফ্রেন্ড? হাস্যকর লাগলো লাইনটা। জাওয়াদ হাসলো কিছুসময়। তবে হাসিখুশি মেজাজটা একেবারেই চটকে গেলো স্টলের সামনে যেয়ে। চিংকি ক্যাশে বসে রয়েছে। তাকে দারুণ সুন্দর লাগছে। একেবারে অপরাজিতা ফুলের মত লাগছে। তার মৌমাছির মতো চারটে ছেলে তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। চাতক পাখির মতো তার দিকে চেয়ে আছে………………
.
.
.
চলবে.................................................