তারপর এলো দিন পরিবর্তনের সাঁঝ। দুই সপ্তাহ পরের এক সন্ধ্যা, বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা আড্ডায় অতসী নামের মেয়েটার থেকে আচমকা একটা প্রস্তাব এলো, একদম সোজাসাপটা প্রস্তাব,
-“ওয়ানা বি মাই বয়ফ্রেন্ড?”
বড়ো অস্বাভাবিকতার সাথে তৎক্ষনাৎ নক্ষত্রের উত্তর দিলো,
-“ইয়েস, ইউ আর মাই টাইপ।”
অতসী চোখে হাসল। শুরু হলো তাদের বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড সম্পর্ক। পশ্চিমা বিশ্বে বেড়ে ওঠা অতসীর কাছে বিষয়টা অত্যন্ত স্বাভাবিক। এতদিন অন্য কাউকে পছন্দ হচ্ছিল না বলে রিলেশনশিপেও যাওয়া হচ্ছিল না। এই ব্যাপারটা নিয়ে তার বন্ধুরা ভীষণ হাসাহাসি করত। সে অবশ্য পাত্তা দিত না। এবার কী থেকে কী যে হয়ে গেল।
সম্পর্কের দ্বিতীয় সপ্তাহে নক্ষত্র টের পেল, মেয়েটা অনেক বেশিই অন্য ধরনের। তার কাছে সম্পর্ক মানে কেবল একটা কমিটমেন্ট। এখানে একে-অপরের সাথে থাকা, ঘোরাফেরা করা, ফিজিক্যালি ইনভলভ হওয়া—এটুকুই। আর কিছু না। কোনো আবেগ, অনুভূতি না। এই সম্পর্কে একজন যদি অন্য আরেকজনের সাথে জড়ায়, তবে দ্বিতীয়জন রেগে কয়টা গালি দিয়ে ব্রেকআপ করে নেবে। তার কিছু আসবে-যাবে না। নক্ষত্র বিষয়গুলো খুব গভীরভাবে লক্ষ করল। মেয়েটা ফিজিক্যালি অতটাও কাছে আসেনি, আসতে চায়নি। এটুকুতেই স্বস্তি পায় সে। কোনো মেয়ে তাকে স্পর্শ করুক, এটা সে পছন্দ করে না।
তাদের সম্পর্কের সাড়ে তিনমাস পেরোল। সামনে নক্ষত্রের এডমিশন টেস্ট। সে পড়াশোনায় ভীষণ ব্যস্ত। এখন শুরুর দিকের মতো অতসীকে সময় দেওয়া হয় না। অতসী এ নিয়ে অভিযোগও করে না।
অতসী ইদানীং লক্ষ করল, নক্ষত্রের সাথে একই বাসায় থাকা সত্ত্বেও সারাদিনে একবারও দেখা হচ্ছে না। আজ তিনদিন ধরে তাকে দেখেনি। টেক্সট করে একে-অপরকে মাঝেমধ্যে, ওটুকুই। খেতেও আসে না। মামি তিনবেলা খাবার রুমে দিয়ে আসে। তাছাড়া নক্ষত্র রুম থেকে বের হয় না।
আজ রাতের খাবার নিয়ে অতসী নক্ষত্রের রুমের দরজা নক করল। কোনো সাড়াশব্দ এলো না। অতসী ভেতরে এসে দেখল নক্ষত্র কানে ইয়ারফোন গুঁজে ম্যাথ করছে। সে সেন্টার টেবিলে খাবারটা রেখে নক্ষত্রের পাশে এসে দাঁড়াল। তারপর তার কানে থেকে ইয়ারফোন খোলার পর নক্ষত্র অতসীর উপস্থিতি লক্ষ করে জিজ্ঞেস করল,
-“তুমি?”
-“হ্যাঁ, ডিনার টাইম। খাবার এনেছি।”
-“ঠিক আছে, রেখে যাও। একটু পরে খাচ্ছি।”
অতসী ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল। নক্ষত্র বলল,
-“কিছু বলবে?”
-“হ্যাঁ।”
-“ফ্রি হলে টেক্সট কোরো।”
-“আচ্ছা।”
অতসী চলে গেল। এরপর ফ্রি হলেও নক্ষত্রের আর টেক্সট দিতে মনে পড়ল না। পুরোদস্তুরভাবে পড়াশোনায় ডুবে আছে সে। টার্গেট বুয়েট৷ মধ্যরাতে যখন কফি বানাতে এলো, তখন লিভিং রুমের বেলকনিতে একটা মেয়েলি অবয়ব দেখে নক্ষত্র নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠল। বিরবির করল কপালে হাত রেখে,
-“ওহ শিট! মেয়েটা অপেক্ষা করছিল নাকি?”
নক্ষত্র দু-কাপ কফি বানিয়ে অতসীর পাশে গিয়ে দাঁড়াল। অতসী হাসল,
-“ফ্রি হলে?”
-“হ্যাঁ, এই তো।”
অতসী কফির মগটা হাতে নিয়ে বলল,
-“থ্যেংক ইউ।”
-“হু। কী যেন বলবে?”
-“নাথিং স্পেশ্যাল।”
-“সমস্যা নেই, বলো।”
নক্ষত্র কফির মগে চুমুক দিলো। অতসী বলল,
-“আমার ফেরার সময় হয়ে যাচ্ছে।”
-“ওহ! হ্যাঁ। ফ্লাইট কয় তারিখে?”
-“সামনের মাসের পাঁচ তারিখে।”
-“আচ্ছা।”
-“কিছু বলবে না?”
-“কী? ওহ। হ্যাঁ।”
বড়ো ব্যস্ততায় ও বিরক্তিতে আছে নক্ষত্র। মাথায় কোনো কিছু ঢুকছে না। কোনো চাপ নিতে পারছে না। এরকম এক পরিস্থিতিতে এসে সে যে কী কী করে বসছে, তার ধারণাতেও নেই। সে শুধু এটুকু ভেবে স্বস্তি পায়, ভাগ্যিস অতসী টিপিক্যাল বাঙালি মেয়েদের মতো আবেগী নয়! নাহলে দেখা যেত তার মন রাখার চক্করে পড়াশোনা সব গাঙ্গে ভাসত।
নক্ষত্র মাথা নেড়ে ফের বলা শুরু করল,
-“পরে বলব।”
-“কেন?”
নক্ষত্র অপ্রস্তুত বোধ করল এই ‘কেন’ এর উত্তর দিতে। অতসী হেসে বলল,
-“কারণ তুমি কী বলবে, এটা তুমি এখন বুঝতে পারছ না। ইটস ওকে, নক্ষত্র। টেইক ইওয়োর টাইম।”
-“আমাকে এতটা বোঝার জন্য থ্যাংকস, অতসী।”
অতসী পরদিনই নিজের ফুপির বাসায় চলে গেল। নক্ষত্রের সাথে তার কথা হলো না। রাতে মায়ের কাছে জানতে পারল, অতসী চলে গেছে। তখন নক্ষত্র টেক্সট করল তাকে,
-“পৌঁছেছ?”
অতসী রিপ্লাই করল,
-“হু।”
-“ক'দিন থাকবে ওখানে?”
-“সপ্তাহ খানেক।”
-“ঠিকাছে। সাবধানে থেকো। এনজয় ইওয়োর টাইম।”
অতসী সপ্তাহ খানেকের কথা বলে গেল, তবে মাস খানেকেও বাড়ি ফিরল না। নিয়মিত একটা-দুইটা করে টেক্সটে কথা হচ্ছে। যেমন: গুড মর্নিং, কী করছ? তারপর সন্ধ্যা। এরপর রাতে খেয়েছ? তারপর শুভ রাত্রি। নক্ষত্রের ওসব আর মনে রইল না।
তারপর এক সকালে হঠাৎ করে কী যেন মনে হলো তার, কেমন অধৈর্য হয়ে তারিখ দেখল। স্থির থাকতে পারল না, দ্রুততার সাথে কল লাগাল অতসীর হোয়াটসঅ্যাপে। কল রিসিভ হলো কিছুক্ষণের মধ্যেই।
নক্ষত্রের কণ্ঠ সামান্য কাঁপল,
-“হ্যালো?”
-“নক্ষত্র?”
-“হু।”
-“বলো।”
-“কোথায় তুমি?”
-“নিজের বাড়িতে।”
-“কবে চলে গেছো?”
-“দু'সপ্তাহ হয়ে গেছে।”
-“জানাওনি।”
-“তুমি জানতে চাওনি, নক্ষত্র।”
অতসীর ঘুম জড়ানো আওয়াজ, ওধারে এখন ভীষণ রাত। নক্ষত্র দীর্ঘশ্বাস ফেলল, ছোট্ট করে বলল,
-“সরি।”
-“ডোন্ট বি।”
-“আই শ্যুড বি।”
-“নাহ নক্ষত্র, ইটস ওকে।”
-“মেবি ইটস নট ওকে।”
অতসী ঘুম জড়ানো আওয়াজে হাসল সামান্য,
-“তুমি মন খারাপ কোরো না। কিছু হয়নি। আমার ফেরার কথা ছিল, আমি ফিরেছি। এটা নরমাল একটা ব্যাপার। ইজিলি নাও।”
-“আমার ওপর রেগে আছো?”
-“না।”
নক্ষত্র ইতস্তত করল,
-“অ..অভিমান?”
-“অভিমান?”
-“হু।”
অতসী এর জবাবে বলল,
-“আমাদের ব্রেকআপ করা উচিত।”
নক্ষত্র থমকাল। অবশ্য তার মতো মানুষের সাথে এত সহজভাবে ব্রেকআপ করছে, এটুকুও যথেষ্ট আন্তরিক। অন্য মেয়ে হলে গালি ও মার ভাগ্যে লেখা ছিল। পরক্ষণে সে চাপা শ্বাস ফেলল। জিজ্ঞেস করল,
-“ভেবে বলছ?”
-“হুম।”
-“আচ্ছা।”
-“ব্রেকআপের পর কনট্যাক্টে থাকাটা ভালো ব্যাপার না। তুমি এক্সামের প্রিপারেশন নাও ভালোমতো। যা যা চাও, সব পেয়ে যাবে।”
-“আচ্ছা। তুমিও ভালো থেকো।”
নক্ষত্র কল কেটে দিলো। অতসী রক্তলাল চোখে ফোনটার দিকে তাকিয়ে রইল। ঘুম হচ্ছে না ইদানিং তার। কাটা কাটা লাগছে চোখ। স্লিপিং ড্রাগ দুটো নিয়েও নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। আগামীকাল একটা সাইকোলজিস্টের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আছে, যাওয়া লাগবে।
নক্ষত্রের দিনগুলো বরাবরের মতো স্বাভাবিক কাটতে লাগল। অতসীর থাকা না-থাকায় তার খুব একটা গেল এলো না। যেন কিছুই হয়নি, এমন। এক্সামের দুইদিন পর একটা চিঠি এলো তার কাছে। অতসীর চিঠি।
নক্ষত্র খুবই উতলা হয়ে উঠল এটা নিয়ে। খাম খুলে দেখতে পেল, একটা বড়োসড়ো চিঠি। আঁকা বাঁকা হাতের লেখায় এবড়োখেবড়ো রং ছড়ানো শব্দে চিঠি। এমন চিঠি পড়া লাগে নিস্তব্ধ সময়ে, রাতের গভীরতায়। নক্ষত্র গভীর রাতের অপেক্ষায় রইল চিঠিটা পড়ার জন্য। শুরুতেই লেখা—
ছোট আবরার সাহেব,
চিঠিটা লেখার সময় হাতে গুগল ট্রান্সলেটর নিয়ে বসেছি। পুরোপুরি বাংলায় লেখার চেষ্টা থাকবে। তাতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। আমার লাইফের এত গুরুত্বপূর্ণ মানুষটা, এটুকু সময় ডিজার্ভ করেই। হাতের লেখা ও অন্যান্য ভুলত্রুটি নজরে ফেলো না।
বাচ্চাকাল থেকে কখনো বাংলাদেশে যেতে পছন্দ করতাম না আমি। তারপরও যাওয়া লাগত। প্রথমে বাবা-মায়ের জোর, আর পরে বাচ্চাকালেই নিজে থেকে একটা টান খুঁজে পেয়ে গেলাম আমি। সেই টানটা ছিলে তুমি। কিছুটা রাগী, জেদি, শান্ত, কিছুটা পড়াকু, ভাবুক, গম্ভীর আর অনেকটা আমার মতো; আমার মনের মতো। কখনো মুখোমুখি হওয়া হয়নি। তবে কাজিনদের মুখে, বা তোমাদের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে যে-কয়বার তোমাকে দেখা হয়েছে, শোনা হয়েছে, তাতে আমি আগ্রহবোধ করেছি। এইটা একটা টান। যেটাকে ভালোবাসা বলার মতো রসিকতা আমি কখনো করব না।
কেবল এটুকু জানাব, তোমার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বে আমি শুরু থেকেই আটকে এসেছি। তোমার মধ্যে এত আমার আমার অনুভূতি পাই!
আমি অস্বীকার করব না এখন, এবারের শীতে আমার একাকী বাংলাদেশে আসার একমাত্র কারণ তুমি ছিলে। মা-বাবার সাথে একপ্রকার রাগারাগি করে এসেছি। শেষমেষ তো হুমকিও দিয়েছিলাম, আমাকে দেশে ফিরতে না দিলে কোনো এক বিলেতির সাথে লিভইনে চলে যাব। মা তওবা কেটে তৎক্ষনাৎ ফেরার ব্যবস্থায় মশগুল।
আমি ফিরলাম। শুরুর সেই টানটা এবার অন্য কিছু হলো। অভিমান নামে ইংলিশে কোনো শব্দ নেই। তবে এই শব্দের উপলব্ধিটা আমি অনায়াসে করে ফেললাম, তোমার মাধ্যমে। আমি ধীরে ধীরে তোমার খুব কাছে যেতে লাগলাম।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছি, অদ্ভুত ও ঐশ্বরিক এ-সকল অনুভূতিদের সম্মুখীন যখন প্রথমবারের মতো হলাম আমি, মানতে চাইছিলাম না যে আমার মতো নিষ্ক্রিয় মানুষের বুকের ভেতরটাও অস্থির হবে, বিক্ষিপ্ত নজর দিকবিদিকশুন্য হয়ে পড়বে। এখনো গলার ভেতর দলা পাকানো হাহাকারগুলো চেপে রেখে লিখছি। আমি নিশ্চিত, চিঠিটা লেখার শেষের দিকে আমি হয়তো কাঁদব। তারপর শান্ত হয়ে যাব আগের মতো। এই চিঠিটা লেখার মাধ্যমে আমার ভেতরকার চেপে রাখা সকল আবেগ হাওয়ায় মিশে যাবে...
তোমার কাছে হয়তো আমার অনুভূতি যান্ত্রিক লেগেছে। আমি কী বলব, বলো? আমি নিজেও তো সমপরিমাণে অবাক। এসব তো হওয়ার কথা নয়। ভালোবাসা? আমার সব ফ্রেন্ডদেরই বয়ফ্রেন্ড আছে। একটা না, অনেকগুলো আছে। তারা ইজিলি তাদের সাথে ফিজিক্যালি ইনভলভ হয়। একাধিকের সাথে হয়। আর আমি তোমার হাতটা ধরার কথা ভাবতে গেলেও বুক কেঁপে ওঠে অদ্ভুতভাবে। অন্য কারো ব্যাপারে ভাবতেও পারি না। এসব আমার সাথে কী হচ্ছে!
নক্ষত্র, বয়সের দোষ অনেক বাজেভাবে আমাকে তোমার করে দিচ্ছিল। তুমি টের পাচ্ছিলে না। একটুও না। পড়াশোনায় ভীষণ ব্যস্ত তুমি। কথা বলা তো দূর, পাশের রুমেই যে একটা মেয়ে তোমার অপেক্ষায় বসে আছে, এটুকু তুমি ভাবতে পারছিলে না। ভাবার সময় পাচ্ছিলে না। আমার কেমন অস্থির অস্থির লাগে। এমন তো নয় যে, তোমার নৈরপেক্ষ আচরণ সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমি তো সব জানি। জেনেই এত পছন্দ করেছি। অথচ এখন মানতে পারছি না।
তোমার-আমার সম্পর্কের ব্যাপারে আমি আর তুমি ছাড়া কেউ জানে না। এখন তুমিও এই সম্পর্কে নেই। আমি একাই আছি। এই বিষয়টা টের পেতেই দূরত্ব বাড়িয়ে নিলাম। একপাক্ষিক ভালোবাসা হলেও, ভালো থাকা হয় না। আর আমি তোমার প্রতি নিজের ভালোবাসা যেদিন টের পেলাম, একই সঙ্গে বুঝতে পারলাম—আমাকে তুমি কেবল একজন গার্লফ্রেন্ড মনে করো; যে অনুভূতিহীন ও দায়সারা, যাকে অযত্ন করলেও সমস্যা নেই, যার থাকা ও না-থাকার ব্যাপারটাও গুরুত্বহীন।
তুমি হয়তো অবুঝ, নয়তো নিষ্ঠুর। আমার অনুভূতিদের অপমানে বুঝতে শেখার পর এই প্রথমবার কাঁদছি। তোমার প্রতি আমার এক সমুদ্র প্রেমে অকস্মাৎ টের পেলাম, আমি সাঁতার জানি না। আমি যেখানে যেতে চাইছি, সেখানে যাওয়াটা আমার অনুকূলে, ফেরাটা দুঃসাধ্য। তাই পথিমধ্যে পিছে সরে এলাম।
আমার মনকে এত বাজেভাবে ভেঙে ফেলা কঠিন মানুষকে বলছি, একই অনুভূতি তুমিও পাও। তোমার মানুষটার কাছেও তোমার কোনো গুরুত্ব না থাকুক, তোমাকে সে অবহেলা করুক; বার বার, প্রতিনিয়ত, অগণিত সময় ধরে অবহেলা করুক। হয়তো এটা হলেই কেবল আমার ব্যথার একসহস্র খণ্ডের এক খণ্ড তুমি নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারবে।
অবুঝ নক্ষত্র, আমাকে এত দারুণভাবে হারিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তুমি ভালো থেকো।
ইতি
অতসী
.
.
.
চলবে.................................................................