উনাকে ডাকার সাহস করে উঠতে পারলাম না আমি। যদি রেগে যান? উনাকে আমি বরাবরই আবার ভয় পাই, সেই তো প্রথম দিনের কথা......
——————
ফ্ল্যাসব্যাক......
——————
বিয়ে পর্ব শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মা আমাকে রুমে পাঠালেন, তার ফোনটা নাকি রুমেই ফেলে এসেছে। আমিও নাচতে নাচতে চলে গেলাম ফোন আনতে। হঠাৎ শাড়ির আঁচলে টান পড়ায় পেছনে তাকিয়ে দেখলাম শাড়ির আঁচলটা গেস্ট রুমের দরজায় আটকে আছে। নিজের মনে বকবক করতে করতে যেই না দরজাটা হালকা খুললাম, আমার চোখ যেনো বেরিয়ে আসার উপক্রম। এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি। মনে হচ্ছিলো হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে, কিছু না ভেবেই চোখ বুজে দিলাম এক চিৎকার। সাথে সাথেই ভারী গলায় ধমক দিয়ে উঠলো কেউ,
"এই মেয়ে? চেচাঁচ্ছ কেন? একদম চুপপপপপ।"
আমি ভয় পেয়ে মুখে হাত চেপে চুপ হয়ে গেলাম। চোখ দুটো হালকা খুলে যা দেখলাম তাতে মনে হলো পুরো বাঁশঝাড়টাই আমার মাথায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ছি ছি একি, এ তো শুভ্র ভাইয়া, আপুদের ক্রাশ। উনি এসব কি করছিলেন? ছিহ, ছিহ, থ্যাংক গড বেশি ক্রাশ খাইনি। নয়তো আমার কচি হার্টটা আজই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেতো, হুহ। আল্লাহ বাঁচিয়েছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসবই ভাবছিলাম, আমার ভাবনার ঘোর কাটলো ওনার আরেক ধমকে,
"এই মেয়ে, তোমার মাথায় কি সমস্যা আছে? এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন?"
আমি ভয়ে ভয়ে কোনোরকমে বললাম,
"আ...আপনারা এ...এখানে ক...কি করছিলেন?"
"কেনো দেখতে পাওনি? রোমান্স করছিলাম। আর তুমি আমাদের ডিস্টার্ব করছো।" (চোখ গরম করে আমার দিকে তাকিয়ে)
উনার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার তো যায় যায় অবস্থা।গলা তো রীতি মতো বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছে। কোনোরকমে একটা ঢোক গিলে বললাম,
"স...সরি ভাইয়া। আ...আমি ইচ্ছা করে ডিস্টার্ব করিনি। আসলে...."
"চুপপপপপপপ একদম চুপপ...."
উনার ধমকে আমি রীতিমতো কেঁপে উঠলাম, মুখটা কাঁদো কাঁদো করে দাঁড়িয়ে আছি। মনে হচ্ছে এখনই কান্না দেবীর আগমন ঘটবে, ঠিক তখনি পেছন থেকে কেউ বলে উঠলো,
"শুভ্র? শুধু শুধু বাচ্চা মেয়েটাকে বকছো কেন?"
"নীলি তুমি চুপ করো, দোষ যখন করেছে, ওকে তো শাস্তি পেতেই হবে।"
আমি শাস্তির কথা শুনে এবার কেঁদেই দিলাম, কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম, ভাইয়া প্লিজজজ আমায় মারবেন না। আমি আর জীবনেও কাউকে ডিস্টার্ব করবো না, আর কাউকে বলবোও না যে আপনা..."
আমাকে থামিয়ে দিয়ে উনি আবার ধমক দিয়ে উঠলেন,
"এইই চুপপ। খবরদার কাঁদবা না। কান্না করলে আরো কঠিন শাস্তি দিবো, হুহ।"
আমি এবার চুপ হয়ে ফুফাতে ফুফাতে বললাম,
"ক...কি শা...শাস্তি দ...দিবেন আমায়?"
"তোমার শাস্তি হলো, ১৫ মিনিট দরজার বাইরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবে।"
কথাটা শুনে আমি বিস্ফারিত চোখে তাকালাম ওনার দিকে, ব্যাটা লুচু বলে কি? এতো জায়গা থাকতে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে যাবো কেনো? আজিব। তাই ভয়ে ভয়ে বললাম,
"ক...কেন?"
"কারন তুমি আমার রোমান্টিক টাইম স্পয়েল করেছো। সো এখন তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিবে, যেনো অন্য কেউ ডিস্টার্ব করতে না পারে। গট ইট?"
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম। পাশের আপুটা বলে উঠলো,
"শুভ্র তুমি না দিন দিন শেমলেস হয়ে যাচ্ছো। বাচ্চা মেয়েটার সামনে কি বলছো এসব, চলো তো। সবাই খুঁজবে।"
"নাহ জান, আমার পাওনা রয়ে গেছে তো। বলে উনার দিকে এগিয়ে গিয়েও হঠাৎ থেমে গেলেন। আমার দিকে তাকিয়ে একটা রাম ধমক দিয়ে বাইরে গিয়ে দাঁড়াতে বললেন। আমিও বাধ্য মেয়ের মতো দরজাটা চাপিয়ে দিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আর বিড় বিড় করে উনার চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করতে লাগলাম। ব্যাটা রোমান্স করবি ভালো কথা, দরজায় যে লক নামক একটা জিনিস আছে সেটা কি জানিস না নাকি। আবার আমাকে বকে, যত্তোসব আবাল জনগন। হুহহ৷ সেটাই ছিলো উনার সাথে আমার প্রথম কথা বলা।
——————
বর্তমান.....
——————
দরজায় কড়া নাড়ায় আমার ভাবনার সুতো কাটলো।মামানি আমায় ডাকছে, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সকাল ৭ঃ৩০ বেজে গেছে। এতো সময় কিভাবে চলে গেলো বুঝতেই পারিনি। তাই আর দেরি না করে উনার ঘুমন্ত মুখটাকে একটু ছুঁয়ে দেওয়ার অদম্য ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে, একটা দীর্ঘশ্বাসকে সঙ্গী করে নিচে চলে এলাম। মা আর আপু কিচেনেই ছিলো। মামানি আমাকে দেখেই বুকে টেনে নিলেন। এতোক্ষণে আমার বিক্ষিপ্ত মনটা যেনো একটু ঠান্ডা পরশ পেলো। আপু তো রীতিমতো বড় বউয়ের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিয়েছে। নেবেই না বা কেনো, সে তো বরাবরই শান্ত-শিষ্ট সংসারী মেয়ে। আর আমি ঠিক তার উল্টো। আপুকে সবসময় মজা করে বলতাম, 'আপু, বিয়ে তো তোর দেবরকেই করবো। নয়তো শশুর বাড়িতে ঝামেলা করলে বাঁচাবে কে আমায়?' আপু জবাবে শুধু মিষ্টি হাসতো। নিয়তির খেলায় আজ আমি সত্যিই আপুর দেবরের বউ। কিন্তু এই নিয়তিটাই যে আমার জীবনের কাল হবে কেই বা জানতো। মামানি আর আপু টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে, আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। এখানেও বাসার মতোই আদর পাচ্ছি। ছোটো বাচ্চার মতো, কিন্তু যাকে পাওয়ার তাড়না আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে সে তো আমায় সহ্যই করতে পারে না। মামানির ডাকে ফিরে তাকালাম, এক কাপ কফি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
"যা মা, শুভ্রকে কফিটা দিয়ে চটপট নিচে আসতে বল।"
ভয় মাখা দুরুদুরু বুক নিয়ে এগিয়ে গেলাম রুমের দিকে। উনি এখনো একই ভাবে ঘুমোচ্ছেন। কয়েকবার ডাকার পরও যখন শুনলেন না, তখন কিছুটা বিরক্ত হয়ে উনাকে হালকা ধাক্কা দিতেই চোখ খুললেন। কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে থেকেই, ঝট করে উঠে বসলেন। উনার চোখে রাগটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। ভয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
"আ...আপনার ক...কফি, মা....."
আর কিছু বলার সুযোগ আমি পেলাম না, তার আগেই গরম কফিতে ঝলসে গেলো আমার হাত। বাবা, মা, আপু আর ভাইয়ার আদরের পরীটি ছিলাম আমি। ফুলের টোকাও পড়তে দেয়নি আমার গায়ে, আর আজ? আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি, চোখ থেকে পানি পড়ছে অবিরল।
★★★★★
মানুষ এতোটা নিষ্ঠুর কি করে হতে পারে? আমি যে একজন মানুষ, আমারও যে কষ্ট হয় এটা হয়তো উনি ভুলেই গেছেন। নিজের কষ্টটাকে আমার কষ্ট দিয়ে ঢাকার কি অসাধারন প্রচেষ্টা! আমি কিছু বলার ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকে বদ্ধ উন্মাদ বলে মনে হচ্ছে। হঠাৎই আমার পুড়ে লাল হয়ে যাওয়া হাতটা চেপে ধরলেন। ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠলাম আমি, কিন্তু সেদিকে তার খেয়ালই নেই। মনে হচ্ছে, আমার ব্যথাতেই পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। আমার চোখের পানিকে উপেক্ষা করে আরো শক্ত করে চেপে ধরে বলে উঠলেন,
"এই মেয়ে, কথা কানে যায় না? আমার থেকে দূরে থাকতে বলিনি? এতো বেহায়া কেনো তুমি? বাবাকে তো হাত করেছো টাকার লোভে, এখন আমাকে হাত করতে চাও?"
আরো শক্ত করে আমার হাতটাকে চেপে ধরে বললেন,
"লাস্ট বারের মতো ওয়ার্ন করছি তোমায়, বিয়ে তো করেছো, বাট কাছে আসার চেষ্টাও করবে না। আমার কাছে আসার অধিকার শুধু এবং শুধুই নিলীর। বুঝতে পারছো তুমি? তোমাদের মতো সো কল্ড মিডিল ক্লাস মেয়েদের বলেও কোনো লাভ নেই। তোমরা হয়তো এসব উত্তরাধিকারসূত্রেই পাও, তাই না?" (তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)
এবার আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। নিজের পরিবারকে কেউ আমারই সামনে নিঃসংকোচে অপমান করছে আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি সেটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। অনেক হয়েছে আর নয়, নিজের রাগ, ক্ষোভ, অভিমান সবকিছুকে ভিত্তি করে অসীম সাহস নিয়ে উনার কলার চেপে ধরলাম। উনার রক্তচক্ষু চাহনী আমার নজর এড়ায়নি, কিন্তু নাহ, আজ আর ভয় নয়। এই আধুনিক যুগে এসে, মধ্য যুগের মহিলাদের মতো স্বামীর অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করবো এমন শিক্ষা বাবা আমায় দেয়নি।
"আপনার সাহস কি করে হয় আমার ফ্যামেলি নিয়ে কথা বলার? আমি চুপ করে আছি তার মানে এই নয় আপনি যা খুশি তাই বলবেন। লিসেন মিস্টার শুভ্র, এতো নেকা সাজার চেষ্টা করবেন না। কি যেনো বলছিলেন? আমি আপনাকে লোভে পড়ে বিয়ে করেছি? ইচ্ছা করলে আটকাতে পারতাম। আপনার জীবন নষ্ট করেছি, ব্লা ব্লা। তাহলে এই একই প্রশ্ন যদি আমি আপনাকে করি তাহলে? কেনো নষ্ট করলেন আমার জীবন? কেনো? যদি নিলীমাকে এতোই ভালোবাসেন, সেটা বিয়ে করার সময় মনে ছিলো না? ইচ্ছা করলে তো আপনিও আটকাতে পারতেন বিয়েটা, কেনো আটকাননি? কিসের লোভে? শরীরের?"
"রোদদদদদদদ......."
"চেঁচাবেন না, আপনার চেঁচানোতে আমার কথা থামবে না। অনেক বলেছেন, এবার আমার পালা।"
"তোমার সাহস কি করে হয়, আমার কলার ধরার?"
"সাহস? সাহসের দেখেছেন কি? আগে আমার প্রশ্নের জবাবগুলো দেন। কেনো করলেন বিয়েটা? নিশ্চয় বলবেন বাবা-মার মুখের দিকে তাকিয়ে, ওদের চাপে, আরো কতো কিছু। তো মিস্টার শুভ্র, বাপ-মা কি আপনার একার আছে? আমি কি আকাশ থেকে টুপ করে পড়েছি নাকি? নাকি আপনার বাবা-মায়ের ইমোশন আছে, কষ্ট আছে আর আমার বাবা মার নেই? তারা কি পাথর? নাকি টাকা দিয়ে ওগুলোও অনলি মি করে রেখেছেন? আর কি যেনো বলছিলেন? টাকা? হুহ... আই স্প্লিট অন ইউর মানি। আপনার টাকা ছুঁয়ে নিজের হাত নোংরা করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই। আর আপনার কাছে যাওয়ার কথা? হাসালেন আমায়, আপনি ভাবলেন কি করে আপনি বলবেন আর আমি ডেং ডেং করে আপনার কাছে চলে যাবো? আমি আপনার মতো থার্ডক্লাস রুচি বহন করি না। আর আমি আপনাকে ওয়ার্ন করছি, ডোন্ট ট্রাই টু টাচ মি। আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না। নেহাত, বাবা-মার মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। নয়তো আপনার মতো লো ক্লাস মেন্টালিটির কোনো লোককে, আমি রোদ তাকিয়েও দেখতাম না। আর হ্যা, এতোদিন কিছু বলিনি তারমানে এই নয় যে আমি কথা বলতে পারি না। আমি চুপ করে ছিলাম শুধুমাত্র আপনার কথা ভেবে। ভেবেছিলাম নীলিমা আপুকে হারিয়ে আপনি ডিপ্রেসড! বাট আই ওয়াজ রং আপনি ডিপ্রেসড নন। ইউ আর মেন্টালি সিক। আর কোনো সাইকো কে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না, ইউ গট ইট?"
বলেই কলার ছেড়ে দ্রুত নিচে চলে আসলাম। ওখানে দাঁড়িয়ে থাকার বিন্দুমাত্র শক্তি আর নেই। রুম থেকে বেরিয়েই কয়েক দফা জোরে জোরে শ্বাস নিলাম। মাই গড রোদদদ, আই এম প্রাউড অফ ইউ। ওয়াহ্, ব্রেফ গার্ল, পুরাই নো বলে ছক্কা মেরে দিয়েছিস। ওয়ে... হোয়ে... সাইকোটার মুখটা দেখার মতো ছিলো। ইচ্ছে করছে লুঙ্গি ডান্স দেই। ইশশশ। আরে কে কোথায় আছিস আমার প্রশংসা কর, অতি খুশি লাগে কেরে? এসব ভাবতে ভাবতে বিশ্বজয়ী একটা হাঁসি নিয়ে নাচতে নাচতে নিচে চলে আসলাম।
নিচে আসতে আমার হাঁসি দেখে দাদি মুখ টিপে হাঁসতে হাঁসতে বলছে,
"কি রে ছোটো নাতবউ? এতো খুশি লাগছে কেন তোকে? বর বেশি বেশি আদর করেছে নাকি?"
আমি অধিক আনন্দে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে দাদিকে জড়িয়ে ধরে বলে ফেললাম,
"না গো বর আমাকে নয়, আমি বরকে আদর করে এলাম।"
"তাই বুঝি?"
"হুমমম।"
বলেই বুঝতে পারলাম। রং জায়গায় রং কথা বলে ফেলছি। ছি, ছি, আংকেল, ভাইয়া, আন্টি সবার সামনে কি বলে ফেললাম। আল্লাহ মাটি ফাঁক করে দাও, নয়তো আকাশে ফুটো করে দাও। আমি আর বাঁচতে চাই না। আড়চোখে সবাইকে দেখছি, সবাই মিটিমিটি হাসছে। ইভেন মামুও। আজকে বুঝতে পারছি লজ্জা কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি? এর আগেও আমার ফুলিসনেসের জন্য এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে আমায়। সেদিনও এই খাটাশটার জন্য, আর আজও।
——————
ফ্ল্যাসব্যাক.....
——————
সেদিন শুভ্র ভাইয়ারা ফুল ফ্যামিলি আমাদের বাসায় ইনভাইটেট ছিলো। আপু আর অভ্র ভাইয়ার বিয়ের কথা চলছিল তখন। এক্সাম শেষে কলেজ থেকে বাসায় ফিরেই যেই না তাড়াহুড়ো করে রুমে ঢুকতে যাবো, কেউ একজন পেছন থেকে হেঁচকা টান দিয়ে পাশের গেস্ট রুমে ঢুকিয়ে দরজা দিয়ে দিলো। ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে চিৎকার করতেই একজোড়া হাত আমায় দেয়ালের সাথে চেপে ধরে, শক্ত হাতে মুখ চেপে ধরলো। ভয়ে মনে হচ্ছিলো হৃৎপিণ্ড নামক জিনিসটা যে কোনো টাইমে বেরিয়ে আসবে। চোখটা মিটমিট করে যা দেখলাম তাতে ভয় চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে শেষ সীমানায় গিয়ে পৌঁছালো। হ্যাং মেরে দাড়িয়ে আছি।
.
.
.
চলবে.........................................................................