শাহজাহান তন্ময় - পর্ব ৮০ - নাবিলা ইষ্ক - ধারাবাহিক গল্প


বৃষ্টি বাইরে তখনো ঝিরিঝিরি বয়ে চলেছে। মাঝেমধ্যে শব্দ করে পড়ছে বজ্রপাত। 
আশরাফুল সাহেব খানিকটা ভিজেছিলেন। ভেজা তিনি এবেলায় থতমত খেয়েছেন। ভ্রু'দ্বয়ের মধ্যিখানে ভাঁজ পড়েছে গুটিকয়েক। ড্যাবড্যাব চোখে দেখেন শাহজাহান বাড়ির প্রত্যেকের আচার-আচরণ, মুখের হাবভাব। তন্ময়ের এই বিহ্বলিত অবস্থা তার কাছে বড়ো সন্দেহজনক লাগছে। ওমন ফ্যাকাসে মুখে চেয়ে ভদ্রলোক সন্দিহান গলায় বলেই বসেন,

‘রাজপুত্র আমার, তোমার মুখের অবস্থা তো ভয়ানক। এমন আশ্চর্য এক্সপ্রেসনস অন্য মিনিং মনে আনাচ্ছে আমার। বলব? বলিইইই…মনে হচ্ছে যেন, অনাগত বাচ্চার সুহৃদবান, সুদর্শন পিতা তুমি নও…খুবই সন্দেহজন…’

তন্ময়ের তাজ্জব বনে যাওয়া ছুটে যায়— এই ভদ্রলোকের এহেন অভদ্র জনিত কথাবার্তায়। সে বিদ্যুৎ গতিতে ভদ্রলোকের বাক্যের মাঝেই ফোড়ন কাটে অত্যন্ত বিরক্ত তবে বেশ রাগিত গলাতেই,

‘অবশ্যই আমার বাচ্চা। আমার বাচ্চা, আমার বউ। সবই আমার। শাহজাহান তন্ময়ের। আংকেল আপনি প্লিজ নিজের মুখের ওপর দয়া করে একটু লাগাম টানুন।’

আশরাফুল সাহেব মুহূর্তেই বুকে কম্পন তুলে শব্দ করে হেসে ওঠেন। হাসির শব্দে কেঁপে ওঠে শাহজাহান বাড়ির লিভিংরুম। হেসে হেসে তিনি তন্ময়ের দিকে আমোদে এগুচ্ছেন। কাছাকাছি এসেই তন্ময়ের চওড়া কাঁধ থাপড়ে উৎসাহিত গলায় বলেন,

'এইতো..এই হচ্ছে তেজ! ওমন এক্সপ্রেশনস করে কী বোঝাতে চাচ্ছিলে? বোকা ছেলে। তুমি বাবা হতে যাচ্ছো ইয়ংম্যান। বাবা! বছর খানেকের মাথাতেই কোলে বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে হবে। দিনরাত শুনতে হবে কান্নাকাটি। আর তিন বছরের মাথাতেই শুনবে, পাপা ডাক। এই পৃথিবীর অন্যতম ভালোবাসার ডাক। আদরের ডাক। তোমার বাবা তো এখনো কাঁদেন তুমি নরম স্বরে বাবা ডাকলেই।’

মোস্তফা সাহেব আড়চোখে বন্ধুর দিকে কড়া দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। তা দেখার সময় কই আশরাফুল সাহেবের? তিনি আরও বলতে থাকেন,

‘বাড়ি থেকে যখন কাজের জন্য বেরোও কাঁদে কে? বউ তো? তখন বউ-বাচ্চা দু'জনই কাঁদবে। হা হা হা…’

তন্ময় নির্বিকার চোখে আশরাফুল সাহেবের প্রাণোচ্ছল হাসিটুকু দেখে কিছুক্ষণ। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘুরে দাঁড়ায় মোস্তফা সাহেবের দিকে। মোস্তফা সাহেব তখন কান খাঁড়া করে শুনছিলেন তবে অন্যদিকে ফিরে থেকে। এযাত্রায় আড়চোখে চাইতেই ছেলের চোখে চোখ পড়ে যায়। অপ্রস্তুত মোস্তফা সাহেব লক্ষ্য করেন ছেলেটা তার আর নির্বিকার নেই। ওর চোখমুখ গম্ভীর তবে চোখের ভাষা ভিন্ন কিছু বলছে। মোস্তফা সাহেব বোঝেন, দাঁড়িয়ে পড়েন। ছেলের সামনাসামনি হোন। ছেলেটার শারিরীক দুর্বলতা তখনো শোচনীয়। ভদ্রলোক একমাত্র ছেলের জন্য চিন্তিত। ছেলের গম্ভীর মুখের গভীর চোখজোড়া রক্তিম হয়ে উঠছে। লাল শিরা ভেসে উঠছে কালো মণির চারপাশে। মোস্তফা সাহেব মুহূর্তেই উতলা হোন, 

’কী হলো?’

তন্ময় প্রত্যুত্তর করে না। শুধুই চেয়েই রয়। তার চোখের কোণ দৃশ্যমান রূপে ভিজে উঠছে। লম্বা নাকের পাটা দুটো কাঁপছে। মোস্তফা সাহেব ছেলের অন্যরকম এমন পরিবর্তনে আশ্চর্য হোন, ব্যথিত হোন, ব্যাকুল হোন। কাঁধে হাত রাখেন খুব সংকোচে। ডাকেন,

‘অ্যাই, তন্ময়।’

তন্ময় আচমকাই জড়িয়ে ধরে মোস্তফা সাহেবের বাহু। মোস্তফা সাহেব একমুহূর্তের জন্য কিংকর্তব্যবিমুঢ় হলেও পরমুহূর্তেই আবেগে আপ্লূত হোন। কিছুটা অপ্রস্তুত তিনি ভালোলাগার জোয়ারে ভেসে যান। নিজেও দু'হাত রাখেন ছেলের পিঠে। তন্ময়ের বন্ধ ডান চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে যায় একফোঁটা অশ্রুজল। সে বিড়বিড় করে,

‘আমি খুব খুশি বাবা। ভীষণ খুশি! আমার বাচ্চা আসছে, আমি বাবা হবো…এই বাবা হবার আনন্দটুকু অনুভব করা আমার জন্য কী অন্যায়? আ-আমার অ– অরু নিজেই তো বাচ্চা!’

মোস্তফা সাহেব দেখেন বাড়ির সবাই কাঁদছে। আনোয়ার সাহেবের চোখ দুটো রক্তিম। আঁচলে মুখ গুঁজে কাঁদছেন জবেদা বেগম। কেনো কাঁদছে সব গুলো? আশ্চর্য! অথচ পরপর খেয়াল করলেন তার গালে উষ্ণ অনুভূতি। তিনিও কাঁদছেন! এই ছেলের ওপর তার রাগারাগি করার কথা, অভিমান করার কথা… অথচ তিনি কাঁদছেন! মোস্তফা সাহেব এইমুহূর্তে শুধুই ছেলের বাবা। নিজ সন্তানের বাবা। ছেলের খুশিই যেন সবকিছু। মিহি স্বরে অবলীলায় বলে বসেন,

‘অন্যায় কেন হবে? আল্লাহ চেয়েছেন, তিনিই দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ্। আলহামদুলিল্লাহ্।’

তন্ময়ও ভাঙা কণ্ঠে প্রত্যুত্তরে বিড়বিড় করে, ‘আলহামদুলিল্লাহ্।’

মোস্তফা সাহেব মৃদু হেসে ফেলেন চোখে জল নিয়েই। বলেন, 

‘কংগ্রাচুলেশনস টু ইউ মাই, সান।’

আনোয়ার সাহেবকে আড়চোখে দেখে তন্ময়কে বাবাকে ছেড়ে চাচার দিক এগুতে চায়। পূর্বেই আনোয়ার সাহেব কাছে এসে জড়িয়ে ধরে সতর্ক করেন,

‘কোনোরকমের মাফটাফ শুনতে চাই না। আমার তন্ময়, আমার অরুর জন্য সবসময় ভালো চেয়ে এসেছে। আমি জানি, বিশ্বাস করি। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য। মেয়েটা ছোটো, অনেক যত্নে রাখব আমরা, হুঁ? আর আপসেট হোস না, বাবা।’

তন্ময় শান্ত হয়। বুকের পাহাড় সমান পাথরের ভার উঠে যায়। আনন্দে বড়ো করে শ্বাস টেনে নেয় ভেতরে। বেশা ফ্রি লাগছে তার নিজেকে। বাধভাঙ্গা খুশিতে বুক ব্যথা করছে। অন্যদিকে একে-একে পালাক্রমে সবাই তন্ময়কে জড়িয়ে ধরতে উতলা। আনোয়ার সাহেবের পর ওহী সাহেবও ভাই পুতকে জড়িয়ে ধরেছে। আকাশ এসে জড়িয়ে ধরেই আবেগে ভেসে বলে,

‘থ্যাংকস, আমাকে চাচ্চু বানানোর জন্যে।’

রুবি ভাইয়েত সুরে সুর মেলায়, ‘থ্যাংকস, আমাকে ফুপি বানানোর জন্যে।’

আনোয়ার সাহেব, ওহী সাহেব হেসে ওঠেন। মোস্তফা সাহেবের ঠোঁটেও একটুকরো হাসি। জবেদা বেগম, সুমিতা আড়ে আড়ে দু'জন দু'জনকে দেখে চোখ মোছেন আঁচলে। থমথমে পরিবেশ কেটে গেছে। দীপ্ত নিজেকে ছাড়া পেয়ে যেন আকাশ ছুঁয়ে নিয়েছে। ছুটে এসে ধরে তন্ময়ের পা। চোখমুখ ভেজা। তন্ময়ের গায়ে লেপ্টে গিয়ে আদুরে গলায় বলে,

‘বড়ো ভাইয়া, আমি ভয় পেয়েছি। বুক ধড়ফড় করছে। প্লিজ ভালো হয়ে যাও তাড়াতাড়ি।’

তন্ময় ঝুঁকে বাচ্চা, বাচ্চা মুখটা দু'হাতে মুছিয়ে দেয়। গম্ভীর তবে মিহি স্বরে বলে,

‘আমি ঠিক আছি। কিচ্ছু হয়নি।’

দীপ্ত নাক টেনে আতঙ্কিত কণ্ঠে বলে, ‘অনেক র ক্ত তোমার গায়ে।’

মোস্তফা সাহেব মুহূর্তেই বিচলিত হোন। আপদমস্তক ছেলেকে দেখে ফের পেরেশানিতে পড়েন। সোফায় গিয়ে বসে শাহজাহান বাড়ির ইমোশনাল ম্যালোড্রামা দেখতে থাকা বন্ধুকে ধমকে ওঠে,

‘তোকে ডেকে এনেছি আমার ছেলেকে দেখতে। ওকে একটু দেখ।’

আশরাফুল সাহেব মিইয়ে গিয়ে দ্রুত কাছে ডাকেন তন্ময়কে। তন্ময় পাশে গিয়ে বসে। বাবার দিকে চেয়ে অসহায় গলায় বলে,

‘আমি ঠিক আছি। মাথায় আর হাতে চট পেয়েছি। ব্যান্ডেজ করিয়েছি ঔষধ লাগিয়ে।’

মোস্তফা সাহেবের বাবামন মানে না সে কথা। তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন,

‘তোমার চাচা একটু দেখে দিক। প্রব্লেম তো হচ্ছে।’

তন্ময় অসহায় হয়ে বসে রইল। আশরাফুল সাহেব চেক-আপ করে যাচ্ছেন। তিনি ব্রিফকেস এনেছিলেন সাথে করে। তন্ময় আড়চোখে চাইল ওপরে। খুব করে দেখল ফাঁকা করিডোর। তারপর আশরাফুল সাহেবের মুখে চেয়ে পরিষ্কার তবে আগ্রহী গলায় জানতে চাইল, 

‘অরুকে কেমন দেখলেন, চাচা?’

আশরাফুল সাহেব আশ্বস্ত করেন নরম কণ্ঠে,

‘আলহামদুলিল্লাহ্, ভালো। সম্ভবত দু'মাসের প্রেগন্যান্ট। আগামীকাল হসপিটাল নিয়ে এসো। কিছু চেক-আপ করতে হবে। ওর প্রতি দ্বিগুণ যত্নশীল হতে হবে… এইতো আর আমার বলতে হবে না। তুমি এভাবেই ওকে খুব যত্নে রাখো সাথে বাড়ির বাকিরাও। তাই আর ওসব বলছি না।’

তন্ময় মাথা দোলায়। আরও কিছু প্রশ্ন করতে চায় ওসময় পিনপতন নীরবতা ভেঙে দোতলার দরজা কেউ খোলে। নুপুরের ধ্বনি এসে ছুঁয়ে যায় কানের পাশটা। তন্ময় বিচলিত হয়। তাকায় নিজের দিকে। সে শার্ট খুলে দূরে ছুঁড়ে ফেলবে এতটুকু সময় তাকে দেওয়া হয় না। অরু উচ্ছ্বসিত কদমে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে। সাদা কামিজ পরনে। নূপুর ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। ওকে এভাবে নামতে দেখে সবাই শ্বাস বন্ধ করে চ্যাঁচিয়ে ওঠে,

‘সাবধানে!’

অরু চমকে ওঠে। বেচারির মুখ হঠাৎ এতগুলো চিৎকারে থতমত খেয়ে ওঠে। তন্ময় দাঁড়িয়ে পড়েছে। বিচলিত অরু এবেলায় দেখে লম্বাটে তন্ময়কে। মাথায় ব্যান্ডেজ। গায়ের শার্টে র ক্ত। প্যান্ট ধুলোবালিতে মেখে আছে। বিধ্বস্ত মুখ। অরুর বিস্ফোরিত চোখের পাতার পলক পড়ে না। অস্পষ্ট স্বরে সে ডাকে,

‘তন্ময় ভাই!

তন্ময় ঘাবড়ে যায় সেই ডাকে। শিরদাঁড়া বেয়ে শিহরণ ছুটে যায়। ঢোক গিলে সে। অরু মুহূর্তেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে। একমুহূর্তেই, চোখের পলকে কাঁদতে কাঁদতে দিশেহারা অবস্থা ওর। দ্রুত কদমে ছুটে আসতে চাইলে তন্ময়ই এগিয়ে যায় তার চেয়েও দ্রুত। অরুর হাত কাঁপছে। কাঁপছে অস্পষ্ট আর্তনাদ করা ঠোঁটজোড়া। তন্ময় এইমুহূর্তে লিভিংরুমে —সবার সামনে না থাকলে, এতক্ষণে কান্নারত এই গোলাপি ঠোঁটজোড়া এক শক্ত চুমুতে বন্ধ করে দিতো। এতক্ষণ ধরে কাঁদতে কখনো পারতো না। অরুর কম্পিত হাত এসে ছুঁয়ে দেয় তন্ময়ের র ক্তা ক্ত শার্ট। তন্ময় নরম তুলতুলে হাতটা ধরে শক্ত করে। অন্য হাতে মুখ ধরে.. নদীর জলের মতো শান্ত, মিহি গলায় বলে,

‘আমি ঠিকাছি। কান্না বন্ধ কর। শ্বাস নিতে পারছিস না।'

অরু কান্নার ধকলে শ্বাস নিতে পারে না ঠিকমতো। হেঁচকি তুলে সে বলে গেল কান্নারত ভেজা গলায়, 

‘কী- কীভাবে হলো! আমি যেতে দিতে চাইনি। একদম চাইনি।’

মোস্তফা সাহেব অনুশোচনায় নড়েচড়ে ওঠেন। তিনিই তো পাঠিয়েছিলেন ছেলেকে। না পাঠালে তো আজ আর এমন হতো না। অন্যদিকে তন্ময় অসহায়! সে আগে থেকেই কল্পনা করেছে, মেয়েটা এমন করবে, এভাবেই কাঁদবে— তারপরও সে অসহায়। অসহায় এই অঝোরে কান্নারত মেয়েটার কাছেই। তন্ময় আশপাশ ভুলে আলগোছে জড়িয়ে ধরে অরুকে নিজের পুরুষালি বুকের মধ্যে। মাথা ছুঁয়ে শান্ত করতে চায়,

‘হয়েছে তো, থাম। চুউউপ। শান্ত হো।’

জবেদা বেগম সহ সুমিতা বেগম, মুফতি বেগম রান্নাঘরের দিকে হাঁটা ধরেন আঁচলে মুখ গুঁজে। তারা মিটিমিটি হাসছে। মোস্তফা সাহেব ভাইদের নিয়ে এই রাত-বিরেতে বাগান দেখতে বেরিয়ে গেলেন। সাথে আশরাফুল সাহেবও বাধ্য হলেন যেতে। আকাশ মাথা চুলকাতে চুলকাতে সরে গিয়েছে। আশেপাশে রুবি, দীপ্তও নেই। তন্ময় সকলের এহেন কাণ্ডে হাসে অগোচরে। বুকে থাকা ছোটোখাটো শরীরটা আরও গভীর, দৃঢ়ভাবে জাপ্টে ধরে নিজের মধ্যে। দু'হাতে গুছিয়ে নেয় অগোছালো চুলগুলো। অরুর কান্নার গতি কমে এসেছে। হেঁচকি তুলছে ঘনঘন। চোখমুখ টকটকে লালা। তন্ময় ওই মুখে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কিছুই জানে না? তন্ময় চাপা গলায় আওড়ায়,

‘পুরো বাড়ি মাথায় তুলে দিয়ে তুই কিছুই জানিস না?’

অরু নাক টেনে ভাঙা কণ্ঠে থেমে থেমে শুধায়,

‘কী? কী জানব?’

বড্ড আদুরে শোনায়। তন্ময় চারিদিকে একটিবার চেয়ে নেয়। সব ফাঁকা। কেউ নেই বলে সে মাথা নুইয়ে ফেলে ততক্ষণে। অরুর চোখে চোখ রাখে, মেলায় দৃষ্টিতে দৃষ্টি। চাপা গলায় বলে,

‘এই যে— তুই আমার বাচ্চার মা হতে যাচ্ছিস।’

কেঁদেকেটে ফুলে ছোট্ট হয়ে আসা চোখ দুটো দানবের মতো বড়ো করে ফেলে অরু। অবিশ্বাস্য চোখে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রয় শুধু। তন্ময় মৃদু শক্ত করে টেনে ধরে অরুর নাজুক গাল। গম্ভীর গলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলেও সে শেষমেশ পারে না। এমন সময়তে কখনোই পারবে না। অসম্ভব! নরম হয়ে আসে স্বর,

‘ঔষধ গুলো খাসনি, তাই না? হুম?’

অরুর হতবিহ্বল অবস্থা তখনো দণ্ডায়মান। বড়ো বড়ো চোখে চেয়ে আছে শুধু। পরপর দু'হাতে চেপে ধরে মুখ। অস্পষ্ট আর্তনাদ করে বসে। তন্ময় নিগূঢ় চোখে চেয়ে রয়। অরুর উজ্জ্বল চোখে নিজের ভবিষ্যৎ দেখে। এক সুন্দর স্বপ্ননীল ভবিষ্যৎ! 
.
.
.
চলবে........................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp